হিফজ পড়াতে ইচ্ছুক সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ।
🔴🔷🔹এক : বাচ্চা মেধাবী হলে হিফজে দিন। মেধা দুর্বল হলে হিফজে না দেওয়াই ভালো ।
🔴🔷🔹দুই : মেধা ভালো। হিফজে দিয়েছেন। কিন্তু সে হিফজে পড়তে বিলকুল আগ্রহী না। অসহ্য লাগে। পালিয়ে আসে। হিফজের চিন্তা বাদ দিয়ে ক্লাসে ভর্তি করে দিন।
🔴🔷🔹তিন : মেধা দুর্বল। তবুও আশা করে হিফজে দিয়েছেন, পারছে না। শত চেষ্টা করেও হচ্ছে না। অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে ক্লাসে ভর্তি করে দিন।
🔴🔷🔹চার : নূরানী ৩য় ক্লাস পাশ করে হিফজে দিন। জীবনের শুরুতেই হিফযে দেওয়া চরম ভুল। এতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
🔴🔷🔹পাঁচ : হাফেজ হওয়া ফরয, ওয়াজিব কিছুই না। অতিরিক্ত আবেগী হয়ে বাচ্চার সময় নষ্ট করবেন না।
🔴🔷🔹ছয় : উস্তাদের দোয়া নিন। উস্তাদকে সর্বোচ্চ সম্মান করুন। উস্তাদের দোয়া ও আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া বাচ্চার পড়ার উন্নতি হবে না।
🔴🔷🔹সাত : আল্লাহর খাস রহমত ও বাচ্চার স্বতস্ফুর্ত অবিরাম চেষ্টা সাধনা ছাড়া হাফেজ হওয়া যায় না। এজন্য হালাল হারাম মেনে চলুন। বেশি বেশি দোয়া ও আমল করতে থাকুন।
🔴🔷🔹আট : হাফেজ হওয়া সম্মানের, সৌভাগ্যের। তবে বাচ্চার অবস্হা বিবেচনা করতে হবে। অভিভাবকের ভুলের কারণে বাচ্চার জীবন যেন হুমকির মুখে না পড়ে।
🔴🔷🔹নয় : হাফেজ হওয়ার পর ভালো আলেম বানানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। শুধু হাফেয হওয়ার মধ্যে পরিপূর্ণ কল্যাণ নেই।
🔴🔷🔹দশ অভিভাবকদের প্রতি ছোট একটি আবেদন,,,,,,,,,,
এই ভুল কেউ করবেন না,,,,,,,
ইলম আসার জন্য উস্তাদের দুআ নিন। উস্তাদকে সর্বোচ্চ সম্মান করুন। উস্তাদের দুআ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া বাচ্চার লেখা পড়ার উন্নতি হয় না।
উস্তাদের সাথে যে গার্ডিয়ান যত ভদ্র আচরণ করবে, তার সন্তান উস্তাদকে তত বেশি সম্মান করবে। এমনকি যে গার্ডিয়ান উস্তাদের সাথে খারাপ আচরন করবে, তার সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নষ্ট করার জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন।
Madrasa Review
মাদরাসা শিক্ষার যাবতীয় খবর ও পরামর্শ
Operating as usual
উস্তাদের সঙ্গে অভিভাবকের বেয়াদবি
সন্তানের সুন্দর জীবনকে নষ্ট করে দেয়।
Education is not about Medals and high Grades, it's all about manners and good attitude you've Learned.
এক মাদ্রাসা থেকে দশ লাখ হাফেজ
পাকিস্তানের একটি মাদ্রাসা থেকেই পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন অন্তত দশ লাখ শিক্ষার্থী। ওয়াকাফ উল মাদারিস নামের মাদ্রাসাটি ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এই মাদ্রাসা থেকে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছেন।
স্টার্টাপ পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে, শুধু ২০১৯ সালে মাদ্রাসাটি থেকে ১৪ হাজার ছাত্রীসহ ৭৮ হাজার জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ হন।
খবরে বলা হয়েছে, মাদ্রাসাটি চার বছরের কম বয়সী শিশুদের ভর্তি করে। তারা মাত্র দুই বছরের মধ্যে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করে। কুরআন মুখস্থ ছাড়াও এই পাকিস্তানি মাদ্রাসার ছাত্ররা ইংরেজি, উর্দু, গণিত ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান স্টাডিজ এবং বিজ্ঞান।
ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রতিনিধি ক্বারী হাফিজ জলন্ধরি পাকিস্তানে বার্ষিক হাফিজ-ই-কুরআনের সংখ্যা সৌদি আরবের সাথে তুলনা করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আরবি পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা না হলেও সৌদি আরবের তুলনায় পাকিস্তানের বেশি শিশু কুরআন মুখস্থ করছে। তিনি তুলে ধরেন যে সৌদি আরবে প্রতি বছর মাত্র পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী হাফেজে কুরআন হয়।
ক্বারী হাফিজ জলন্ধরী উল্লেখ করেছেন যে ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রচেষ্টা সৌদি সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটি মাদ্রাসাটির প্রশংসা করেছে এবং এটিকে পুরষ্কার দিয়েছে।
মুহতামিম'র বিরুদ্ধে কলম ধরা সহজ!
#মুহতামিম/ পরিচালক কি জিনিস জানেন?
------------------------------------------
১। ২৪ ঘন্টা মাদ্রাসার চিন্তা মাথায় নিয়ে যে ঘুরে সেই মানুষটিই হলো মুহতামিম।
২। পাহাড় সমপরিমাণ ধৈর্য ও সহমমিতা নিয়ে যিনি চলাচল করেন তিনিই হলেন মুহতামিম।
৩। নিজের সুখ- চিন্তা আরাম আয়েস বাদ দিয়ে উস্তাদ ও ছাত্রদের কল্যাণে যিনি নিয়জিত থাকেন তিনিই হলেন মুহতামিম।
৪। নিজের জন্য যে মানুষটি কখনো মানুষের কাছে হাত পাতেনি সেই মানুষটি মাদ্রাসার জন্য অনায়াসে মানুষের কাছে মাদ্রাসার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করে।
৫। উস্তাদ ছাত্র অভিভাবকের সকল অভিযোগ দেওয়া ও শোনার ব্যক্তিটির নামই মুহতামিম।
৬। নিজে মাসিক বেতন /হাদিয়া পাক আর না পাক শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করে দেওয়া ব্যক্তিটার নামই হলো মুহতামিম।
৭। মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে যে ব্যক্তিটি সাহায্য প্রার্থনা করেন সেই লোকটিই হলো মুহতামিম।
৮। রাত ১২টা বা ১টা যে কোনো সময় মাদ্রাসায় কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক যে লোকটি মাদ্রাসায় উপস্থিত হতে হয় সেই লোকটিই হলো মুহতামিম।
৯। হাজারো কষ্ট বুকে চেপে যে মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন সেই মানুষটিই হলো মুহতামিম।
১০। নিজের এবং পরিবারের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যিনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, আমানতের হেফাজত করেন তিনিই মুহতামিম।
এছাড়া আরো অনেক কষ্ট বেদনার কথা আছে যা লেখে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ সবাই কে সঠিক বুঝ দান করুন।, ,,,
আমিন 🤲
#মাদানী_নেসাব
উত্তরবঙ্গে মাদানি নেসাবের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসাতুল মাদীনাহ আল আরাবিয়্যাহ, রাজশাহী
আলহামদুলিল্লাহ
পটুয়াখালীতে একই পরিবারে ৬৩ জন হাফেজ/হাফেজা হয়েছেন।
তুরস্কে বিশেষ সম্মাননা পেল ১০০১ হাফেজ🥰
রাজশাহীতে জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।
একজন এক মাদ্রাসার শিক্ষককে মেসেজে জিজ্ঞেস করলেন, আমার ছেলেটা ছোট। স্কুলে পড়ে। আমি কি ওকে মাদরাসায় পড়াব?
মাদ্রাসার শিক্ষক তার জিজ্ঞাসা শুনে একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। কী বলব ভাবছিলাম। কারণ প্রশ্নের উত্তরটা আমার কাছে কিছুটা ভারী লাগছিল।
প্রথম বিষয় হলো, সন্তানকে আপনি কেন মাদরাসায় পড়াতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরটা স্পষ্টভাবে আপনার জানা থাকতে হবে।
💎 দ্বিতীয় বিষয় হলো, মাদ্রাসায় পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার রোজগার হালাল কিনা, আপনার বাসার পরিবেশ দ্বীন বান্ধব কিনা এটাও গুরুত্বপূর্ণ।
😥 আপনি আবেগের বশে সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করালেন অথচ বাসার পরিবেশ পুরাই ভিন্ন রকম; সারাক্ষণই টিভিতে গানবাজনা চলে, পর্দার বালাই নাই, তাহলে দেখা যাবে সন্তান মাদরাসায় তো ভালো থাকবে কিন্তু বাসায় এসে বিগড়ে যাবে। বাসার পরিবেশ তাকে বেশি প্রভাবিত করবে এবং একটা সময় মাদরাসার পড়া তার ভালো লাগবে না। মাঝে কয়েকটা বছর অহেতুক নষ্ট।
📍 তৃতীয়ত মাদরাসায় সন্তানকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বুঝতে হবে, এখানে পড়াশোনা করার দ্বারা দুনিয়ার বিত্ত অর্জন হবে না। স্কুল কলেজে পড়ানোর দ্বারা অনেক সময় বাবা মায়ের একটা স্বপ্ন থাকে, ছেলে ভালো সেলারির চাকরি করবে। টাকা পয়সা কামাবে।
মাদরাসার পড়াশোনায় এমন স্বপ্ন না দেখাই ভালো। যদি কারও ক্ষেত্রে অর্জন হয় সেটা ভিন্ন কথা। ইন জেনারেলি এমনটা হয় না। খুব নরমালি জীবন হয়ে থাকে মাদরাসা পড়ুয়াদের। তো এসব নানান কথা মাথায় রেখে তারপর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি সত্যিই সন্তানকে মাদরাসায় পড়াতে চাচ্ছেন কিনা।
💎 আমি বিশ্বাস করি, বিত্তবান মা বাবা সন্তানকে স্কুলে না পড়িয়ে মাদরাসায় পড়ানোটা এক বিশাল কুরবানি। আপন সন্তানকে দ্বীনের জন্য ওয়াকফ করার মানসিকতা যদি থাকে এবং ঘরোয়াভাবে উপযুক্ত পরিবেশও যদি সন্তানকে দিতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানকে মাদরাসায় পড়ানোর ব্যাপারে ভাবতে পারেন।
তা নাহলে না পড়ানোই মঙ্গলজনক মনে করি। কারণ বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এদের ক্ষেত্রে ‘না ঘর কা কা ঘট কা’ প্রবাদ বাস্তব হয়ে দেখা দেয়। দুনিয়াবি শিক্ষায় ভালো শিক্ষিত বা দ্বীনি শিক্ষায় ভালো শিক্ষিত কোনোটাই হতে পারে না।
অনেক সময় হিতে বিপরীত হতেও দেখা যায়। দু কূল হারানোর ক্ষোভ এদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। অনেক সময় ধর্মবিদ্বেষীও বানিয়ে দেয়। অনলাইনে এমন অনেক কেস দেখেছি।
🔹 তো এখন কী করতে হবে? এর উত্তর সোজা। দুনিয়ার তাবৎ সন্তানকে মাদরাসায় পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনি যদি এমন পরিবেশ আর মানসিকতা নিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে ছেলেকে স্কুলেই পড়ান। তবে পাশাপাশি তার দ্বীনের জরুরি জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থাও করুন। ছেলেকে নামাজি বানান। কুরআন পাঠে অভ্যস্ত করে গড়ে তুলুন।
ধর্মের সাথে তার আত্মার বন্ধনকে সুদৃঢ় করুন। তাহলে সে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যা-ই হবে, ধর্মের গণ্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ রাখবে। ইসলামকে ভালোবাসবে। সুযোগ পেলে সেও দ্বীনের খেদমত করবে। পর্দার পরিবেশ ওয়ালা হসপিটাল করবে, স্কুল কলেজ ও পড়লে করার চান্স থাকলে প্রতিষ্ঠা করবে, যা মাদ্রাসায় পড়লে করতো।
📍 তো সন্তান আপনার। সিদ্ধান্তও আপনার। তাকে আপনি কোথায় পড়াবেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাকে আপনি কী বানাবেন।
মাদরাসায় পড়েও আপনার সন্তান দুনিয়াদার হতে পারে আবার স্কুল কলেজে পড়েও দ্বীনদার হতে পারে। এই পার্থক্যটা বিচক্ষণতার মাধ্যমে আপনিই তার মধ্যে তৈরি করে দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
ছবিটি একটি নৈশ মাদরাসার। পরীক্ষার হলের দৃশ্য। সামনের সারিতে একজন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি বসে আছেন। পেশায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সারাদিন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও যাবতীয় দায়িত্ব শেষে চলে আসেন মাদরাসায়। উস্তাদের সামনে নতজানু হয়ে ইলম অর্জনে নিমগ্ন হন তিনি।
তরুন, ইলম অর্জন না করার আর কী অজুহাত থাকতে পারে তোমার?
সকল আলিম এবং এইসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। আল্লাহ আপনাদের পরীক্ষা সহজ করে দিন।
সময় থাকতে সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন।
আপনার সন্তানকে প্রথমে মাদরাসায় ভর্তি করুন।
তুরস্কে একসাথে ৮০০ ছাত্র/ছাত্রীর হিফজ সম্পন্ন করে এবং আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ইন্না-লিল্লাহ 🥺
কি অবস্থা এটা 🥺🥺
আবারো কুরআন দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বজয়।
কুয়েত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে
বাংলাদেশের হাফেজ আবু রাহাত।
নিচের কথাটা কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক, বাস্তবতা কিন্তু এটাই।
(একমত হলে শেয়ার করুন)
♥♥মাদরাসার শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ♥♥
নিচের কথাগুলো নিজের ডাইরিতে লিখে রাখুল। মাঝে মাঝে বের করে পড়ুন। আর আমল করুন। ধন্যবাদ
বিশ্বের অন্যতম সুপ্রসিদ্ধ ক্বারী শায়েখ আহমাদ বিন ইউসুফ হাফিজাহুল্লাহ পাকিস্তান সফররত অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তিনি সকলের কাছে দুআ চেয়েছেন।
• একটু আগে নার্স এসে বললো,
আমার ছেলে হয়েছে। নার্সকে ৫০০ টাকার একটা নোট দিয়ে নিজের ছেলেকে কোলে নিলাম। এ যেনো এক অনুভুতি! ৩০ কেজি মিষ্টি কিনে,পুরো এলাকার লোকজনকে খাওয়ালাম।
বাড়ির পিছনে একটা খালি জায়গা পড়ে ছিল। ৫০ টাকা দিয়ে একটা ফলের চারা কিনে সেখানে লাগিয়ে দিলাম।
• ৭ দিন পর,
আজ আমার ছেলের আকিকা।এই উপলক্ষে বিরাট এক অনুষ্টানের আয়োজন করেছি।
• ৫ বছর পর,
আজ আমার ছেলের প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিন। শহরের সবচেয়ে নামি স্কুলে ভর্তি করিয়েছি ও-কে। আমি নিজে গিয়ে স্কুলে পৌছে দিয়ে আসলাম।
• ১৬ বছর পর,
আজ আমার ছেলে এসএসসি পাশ করেছে।খুশিতে আত্মহারা আমি! এই উপলক্ষে ছেলেকে একটা বাইক কিনে দিলাম।
• ৫০ বছর পর,
আজ নিজের সমস্ত সম্পত্তি একমাত্র ছেলের নামে লিখে দিলাম।
• ছেলের পথ চেয়ে বসে আছি। নিজের সবটুকু দিয়ে যে ছেলেকে আমি মানুষ করেছি, সেই ছেলে নিজের বাবার কবর জিয়ারত করতে একটিবারও এলো না একটিবারও আমার জন্য নামাজের বিছানায় বসে হাত তুললো না! কিন্তু শত বছর আগে লাগানো ফলের গাছটি থেকে এখনো সওয়াব পাচ্ছি!
উপসংহার :
সন্তানের দুনিয়াবি শিক্ষার চেয়ে দ্বীনী শিক্ষার প্রাধান্য দিন। সন্তানের জন্য সম্পদ না রেখে সন্তানকে সম্পদে পরিণত করুন।
আমীন।
আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আপনার কোন শিক্ষকের কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে?
শিক্ষকরা সবসময়ই স্মরণীয়-বরণীয়। আপনার শিক্ষককে একবার স্মরণ করে দুআ করতে পারেন।
আলহামদুলিল্লাহ আরও একটি শুভ সংবাদ
আমাদের আরও একটি অর্জন....
অভিনন্দন তোমাকে- হাফেজ সিহাবুল্লাহ।
মাত্র নয় বছর বয়সে বিশ্ব জয়।
ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ায় ২৫-তম আন্তর্জাতিক
কুরআন প্রতিযোগিতায় ৪৩টি দেশকে পিছনে ফেলে ৩য় স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশের শিশু হাফেজ
মুহাম্মাদ শিহাবুল্লাহ। আগামীর বাংলাদেশ কুরআনের বাংলাদেশ হবে ইনশাআল্লাহ
মূর্তিপূজা শিরক। এ কথা বলাটা অপরাধ হলে, তারা পবিত্র কুরআনকে নিষিদ্ধ করুক।
যাদের SSC পরীক্ষা শেষ, এখন তোমরা যা যা করতে পারোঃ
(1) কম্পিউটার চালানো শিখতে পারো।
(2) যেকোন পছন্দের জায়গায় ভ্রমন করতে পারো।
(3) আত্ম উন্নয়ন মূলক বই পড়তে পারো।
(4) Freelancing শিখতে পারো।
(5) বিয়ের বয়স হইলে বিয়ে করতে পারো।
(6) সবকিছু ঠিক থাকলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারো।
(7) ইন্টার এর subject গুলার বেসিক শিখতে পারো।
(8) English grammar শিখতে পারো।
(9) আত্মীয় বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারো।
(10) শুদ্ধ ভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে পারো।
(11) যেকোন ধরনের বদঅভ্যাস বাদ দিতে পারো।
(12) কিছু দিনের জন্য যেকোন ব্যবসা করতে পারো।
(12) ইংরেজি Vocabulary শিখতে পারো।
(13) নিয়মিত Exercise করতে পারো।
(14) প্রতিদিন খেলাধুলা করতে পারো।
(15) ছোট ভাইদের পড়াইতে পারো।
(16) নিজের ভালো কোন প্রতিভা থাকলে সেটা আরো ভালো ভাবে শিখতে পারো।
(17) মসজিদ থেকে জামাতে যাইতে পারো।
সর্বোপরি আগামী অন্তত ৩মাস সময়টার সঠিক ব্যবহার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
সবার জন্য শুভ কামনা❤️
হিফজখানার শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা এবং ২৪ ঘন্টার রুটিন পরিবর্তন করা সময়ের দাবি।
শায়খ মাহমুদ খলিল আল হুসারি: যার কণ্ঠে সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কুরআনের অডিও রেকর্ড হয়।
নূরানী-মক্তব পড়ানোয় পারদর্শী মেহনতী উস্তাদ প্রয়োজন।
(হাদিয়া ১০,০০০+)
স্থানঃ ছওতুল কুরআন একাডেমি, রাজশাহী
0 1734-106703
বিশ্বজয় আলহামদুলিল্লাহ!
গতকালের ব্রেকিং নিউজ
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফিজ সালেহ আহমেদ তাকরীম ৩য় স্থান অর্জন করায় তাকে Madrasa Review এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ।
আল্লাহ কবুল করুন।
আল্লাহ কবুল করুন, আমীন।
দারুল উলুম দেওবন্দে আজকে অনুষ্ঠিত ইউপির রাবেতায়ে মাদারিসের বৈঠকে ফায়সালা হল:
تمام مدارس میں ہائی اسکول تک عصری تعلیم کا لازمی انتظام کیا جائے ، دارالعلوم دیو بند میں بھی آئندہ سال سے اس کا آغاز ہو جائے گا
দেওবন্দী সিলসিলার সমস্ত মাদ্রাসায় হাই-স্কুল পর্যন্ত জেনারেল শিক্ষাকে বাধ্যতমূলক করা৷
দারুল উলুম দেওবন্দেও আগামী বছর থেকে এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাই স্কুল পর্যন্ত জেনারেল শিক্ষা চালু হবে৷
যুগপোযুগী সিদ্ধান্ত মাশাল্লাহ৷
আল্লাহ তাআলা সহজ করুন, আমীন৷
"ব্রেকিং নিউজ"
বর্তমানে পৃথিবীতে যত দেশ আছে, এর মধ্যে কুরআনের হাফেজের সংখ্যা বাংলাদেশ
সবার ঊর্ধ্বে !
আলহামদুলিল্লাহ্!
হিফজ প্রতিযোগিতার বিচারকার্য শিখে নিতে পারেন।👉------------------------------নেছার আহমাদ আন নাছিরী
হিফয প্রতিযোগিতার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড বাছাই বা বিচার পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত বাছাই পরীক্ষার পদ্ধতি মোটামুটি আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
১/প্রতিযোগিতায় বিচার কার্যের জন্য পূর্ণ হাফেয, বিচার কার্যে অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।
২/হিফযে ৫০, তাজবীদে ৪০ এবং উপস্থাপনায় ১০ নাম্বার করে মোট ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা হতে হবে।
৩/প্রশ্ন করার সময় পূর্ণ এক আয়াত অথবা বড় আয়াতের কমপক্ষে ১ লাইন পরিমাণ বলা। প্রশ্নের আয়াতে দোহরালেও নাম্বার কর্তন না করা।
৪/ইয়াদের দূর্বলতার কারণে পড়তে না পারলে কিছু শুনে আন্দাজ করে নাম্বার দেয়া যায়।আর স্বাভাবিক গতিতে পড়তে পারলে সকল প্রতিযোগীর নিকট ১ পৃষ্ঠা বা আধা পৃষ্ঠা অর্থাৎ সমান পরিমাণ শুনতে হবে।
১ম প্রশ্ন ভালো করলেও সবার সমান অর্থাৎ ২য় ও ৩য় প্রশ্ন করতে হবে। কারণ সে প্রশ্নতেও লোকমা লাগার সম্ভাবনা আছে। পূর্ণ ইনসাফ করার জন্য সকলের পড়া সমান শুনতে হবে।
৫/পড়ার মধ্যে যদি সামান্য বিলম্ব বা তারাদ্দুদ করে তাহলে ১ নাম্বার , যদি ইয়াদা বিনাফসিহী বা নিজে নিজে ভুল ঠিক করে পড়ে তাহলে ২ নাম্বার, ইয়াদা বিত্তাম্বীহ টোকা খেয়ে যদি শোধরায় ৩ নাম্বার, আর শোধরাতে না পারলে বা লোকমা দিতে হলে ৫ নাম্বার কর্তন করতে হবে। এইরকম যতোবার হবে ততোবার নাম্বার কাটা হবে। সেটা আলাদা কাগজে যোগ দিয়ে যেমন,(১+২+৩+৫+২+৩=১৬) তা পূর্ণ ৫০ থেকে বাদ যাবে। অনেক বেশি নাম্বার কাটা গেলে আন্দাজ করে একটা দিয়ে বিদায় করা যায়।
৬/তাজবীদের ক্ষেত্রে লাহনে জলি হলে ৫ নাম্বার,
লাহনেখফী হলে ৩ নম্বর কাটা যাবে। সামান্য ব্যতিক্রমের জন্য ৩ বারে ১ নম্বর কাটা যেতে পারে।
৭/ মারাত্মক ভুল, নাঁকি সুর,ওয়াকফ,ইবতিদা ও নিঃশ্বাস জনিত সমস্যার জন্য নাম্বার কাটার পাশাপাশি ছাত্রকে তার সমস্যাটি বলে দেয়া প্রয়োজন, ভবিষ্যতে সংশোধনের জন্য ।
৮/উপস্থাপনার ক্ষেত্রে আচার-আচরণ, পোশাক, বসার ধরন, আত্মবিশ্বাস, এক তালে এক সুরে এবং ইতমিনানের সাথে পড়া ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করে নাম্বার দেয়া হয়।
৯/ তেলাওয়াত এর মধ্যে প্রয়োজনে ছাত্রকে পানি খাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। মোবাইল ফোন, অন্য কোন আওয়াজ বা বাধা থেকে প্রতিযোগিতার স্থান মুক্ত রাখতে হবে।
সহকারী শিক্ষকগণ মুহতামিম সাহেবের কাছে বাড়ি গাড়ি চায় না। সময় মত বেতন, নিয়ম অনুযায়ী ছুটি আর একটু হাসি দিয়ে কথা বললেই তারা খুশি!
আবাসিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সপরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরী।
* প্রতিষ্ঠানের পাশেই অল্প খরচে আবাসিক এলাকা তৈরি করা।
* প্রত্যেকের জন্য একটি করে কক্ষ তৈরী করা,সাথে থাকবে বাথরুম ও একটি চুলার ব্যবস্থা।
* রীতি অনুযায়ী ৬ বছরের কম বয়সী সন্তানেরা মায়ের সাথে থাকবে, এর বড় যারা তারা মাদরাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আবাসিক থাকবে।
• ছুটি দেওয়ার ঝামেলা কমবে।
• বেতন বাড়ানোর চাপ কমবে।
• শিক্ষক চলে যাওয়ার ভয় কমবে।
• দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকবে না।
• প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ও তেমন বাড়বে না।
আসুন শুরু করি।
হিফজ পড়াতে ইচ্ছুক সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ।
#এক : বাচ্চা মেধাবী হলে হিফযে দিন। মেধা দুর্বল হলে হিফযে দিবেন না। কিতাবখানায় দিন।
#দুই : মেধা ভালো। হিফযে দিছেন। কিন্তু সে হিফযে পড়তে বিলকুল আগ্রহী না। অসহ্য লাগে। পালিয়ে আসে। হিফযের চিন্তা বাদ দিয়ে কিতাবখানার ক্লাসে ভর্তি করে দিন।
#তিন : মেধা দুর্বল। তবুও আশা করে হিফযে দিছেন। পারছে না। শত চেষ্টা করেও হচ্ছে না। অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে কিতাবখানার ক্লাসে ভর্তি করে দিন।
#চার : নূরানীতে বা স্কুলে তিন / চার ক্লাস অথবা ফাইভ পাশ করে হিফযে দিন। জীবনের শুরুতেই হিফযে দেওয়া চরম ভুল। এতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
#পাঁচ : হাফিয হওয়া ফরয ওয়াজিব কিছু না। অতিরিক্ত আবেগী হয়ে বাচ্চার সময় নষ্ট করবেন না।
#ছয় : উস্তাদের দোয়া নিন। উস্তাদকে সর্বোচ্চ সম্মান করুন। উস্তাদের দোয়া ও আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া বাচ্চার পড়ার উন্নতি হবে না।
#সাত : আল্লাহর খাস রহমত ও বাচ্চার স্বতস্ফুর্ত অবিরাম চেষ্টা সাধনা ছাড়া হাফিয হওয়া যায় না। এজন্য হালাল হারাম মেনে চলুন। বেশি বেশি দোয়া ও আমল করতে থাকুন।
#আট : হাফিয হওয়া সম্মানের সৌভাগ্যের। তবে বাচ্চার অবস্হা বিবেচনা করতে হবে। অভিভাবকের ভুলের কারণে বাচ্চার জীবন যেন হুমকির মুখে না পড়ে।
#নয় : হাফিয হওয়ার পর ভালো আলিম বানানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। শুধু হাফিয হওয়ার মধ্যে পরিপূর্ণ কল্যাণ নেই।
আল্লাহ জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কুরআনের খেদমতের জন্য কবুল করে নিন।
আমিন
ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কতো এমনই হওয়া উচিত 💜
আল্লাহ আমাদের সেরাদের একজন হওয়ার তৌফিক দান করুন।
প্রথম বারের মতো ইতালিতে ৭০ জন হাফেজে কুরআনকে সংবর্ধনা।