Mahathir Bin Ali

Mahathir Bin Ali

Share

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Mahathir Bin Ali, .

01/02/2025

বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা

আল্লাহ তা'আলা বলেন-
'হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো' [সূরা তাওবাহ, আয়াত ১১৯]

রাসূল ﷺ বলেন-
'মানুষ তার বন্ধুর জীবন দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাই কাকে বন্ধু বানাচ্ছো খেয়াল রাখো' [আবু দাউদ, ৪৮৩৩]

এমন কাউকে বন্ধু বানানো উচিত নয়, যারা-

- তাওহীদবিরোধী কাজে জড়িত
- যার মধ্যে ইসলামোফোবিয়া আছে
- যারা ফিসক ও ফাহেশার প্রচারক
- দ্বীনি লেবাসধারী ভণ্ড যারা
- যারা সালাত ত্যাগ করে
- রিয়া করে বেড়ায়
- স্ল্যাং ওয়ার্ড ব্যবহার করে
- মিম আর ফান করার নামে সীমালঙ্ঘন করে
- যারা নিজে ভালো কাজ করে না, অন্য কেউ করলে বাধা দেয়
- যাদের কথাবার্তায় দাম্ভিকতা ও সর্বজান্তা ভাব আছে
- যারা দাইউস
- যারা মিথ্যা কথা বলে
- যারা একজনের কাছে আরেকজনের বদনাম করে। আবার বদনামকৃত ব্যক্তির কাছে তার সুনাম করে।
- যারা প্রকাশ্যে ভালোবাসা দেখিয়ে পিছনে কুৎসা রটায়
- গানবাদ্য, সিনেমা ও অশ্লীলতা দেখলে যাদের গায়ে লাগে না
- যারা দিনরাত ফানি মুডে থেকে আকাশে উড়ে বেড়ায়, বিন্দুমাত্র সিরিয়াসনেস থাকে না। তাদের অন্তর পাথর হয়ে গেছে, ফলে তারা বুঝতে পারে না।

26/01/2025

দারস- উমদাতুল আহকাম
ইমামুল হারামাইন শাইখ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইস

বিষয়- আযানের বাক্যগুলো দুইবার ও ইকামতের বাক্যগুলো একবার করে দ্রুত উচ্চারণের হিকমাহ

আযান শব্দের অর্থ হলো- ঘোষণা দেওয়া। মুয়াযযিন আযান দেন, যাতে অনুপস্থিত মানুষের কাছে সালাতের আহ্বান পৌঁছায়। আযান ধীরগতিতে দেওয়া হয় এবং বাক্যগুলো দুইবার উচ্চারণ করা হয়, কারণ যাদের আহ্বান করা হচ্ছে তারা দূরে আছে। তাদের কাছে ভালোমতো সালাতের আহ্বান পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়।

ইকামতের অর্থ হলো দাঁড়ানোর ঘোষণা। ইকামতের বাক্যগুলো দ্রুত করে একবার উচ্চারণ করার কারণ হলো মানুষগুলো আর দূরে নেই। তারা সালাতের জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়েছে। তাই তাদের সামনে ধীরগতিতে দুইবার করে উচ্চারণের কোন প্রয়োজন নেই।

https://youtu.be/nde7nLQuZeY?si=X4RAP6_9AOSV0vmC

19/01/2025

চ্যানেল আই সবুজ রঙের পাগড়ি পরিহিত সুন্নী পুরোহিতদের দিয়ে দেশবাসীকে শির্ক আর কুফরের দীক্ষা দিতো। সুন্নী পুরোহিত ফারুকী ছিলো এই চ্যানেলের বিখ্যাত আলোচক। ঠিক তাদেরই পর্দার প্রতি এত বিদ্বেষ কেন?

17/01/2025

শাইখ সুদাইস তাঁর এই খুতবায় (ইহু)-দীদের যেসব আখ্যা দেন-

- তাদের পূর্বসূরিরা খারাপ
- পরবর্তীরা আরো নি-কৃষ্ট
- আল্লাহর নিয়ামতের প্রতি কুফরী করেছে
- আল্লাহর কালাম বিকৃ+তকারী
- নবীদের হ-ত্যা(কারী)
- রিসালাত অস্বীকারকারী
- আল্লাহ তাদের লা/নত করেছেন
- আল্লাহর গ/যব আপতিত হয়েছে তাদের উপর
- আল্লাহ তাদেরকে বা-নর ও শূ-ক-রে পরিণত করেছেন
- তারা তা/গুতের ইবাদত করেছে
- দাওয়াতের দুশমন
- বাছুরের পূজা+রী
- সংখ্যায় অল্প, মানবজাতির আব+র্জনা
- তাদের পরিণতি জ/ঘন্য হবে
- সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত
- ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের সিলসিলা জারি রেখেছে
- বিশ্বময় ফাসাদ সৃষ্টিকারী
- আল্লাহকে ফকির বলেছে
- আল্লাহর দুই হাতকে অবরুদ্ধ বলেছে
- তাদের কথার দরুন আল্লাহ তাদের লান/ত দিয়েছেন
- মূসাকে কষ্ট দিয়েছে
- ঈসার প্রতি কুফ/রী করেছে
- যাকারিয়া ও ইয়াহইয়াকে ক*তল করেছে
- তারাই মুহাম্মদ ﷺ এর হত্যা+কারী
- রাসূল ﷺ কে জাদু+টোনা করেছে

অত:পর আমেরিকা শাইখের উপর ভিসা স্যাংকশন আরোপ করেছে।

20/11/2024

Once this wise ruler was holding a get together with senior scholars. তার বক্তব্যের মাঝে শাইখ সালেহ আল ফাওযান পাশ থেকে বলে উঠলেন- "যারা কুফরী করেছে,আল্লাহ তাদের হস্ত রুদ্ধ করুন। আল্লাহ ক্ষমতায় অধিকতর প্রবল এবং শাস্তিদানে অধিকতর কঠোর।"

বাদশাহ আব্দুল্লাহ বললেন ''আল্লাহুম্মা আমিন!''

শাইখ ফাওযান কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন "নিশ্চয়ই আল্লাহ ঈমানদারদের হয়ে প্রতিরোধ করেন।"

বাদশাহ তাতে সায় দিলেন। তিনি বললেন "আমার যুদ্ধ তাদের বিরুদ্ধে যারা আমাদের যুবকদের নষ্ট করতে চায়।"

আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন। তাঁর মতো শাসকের আজকে খুব অভাব। তাঁর মৃত্যুর পর যা হচ্ছে তা সারা বিশ্বের মুসলিমদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়।

19/10/2024

এপেন্ডিক্স কি কোনো নিষ্ক্রিয় অঙ্গ?

বাংলাদেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. জাফর ইকবাল তার বইয়ে লিখেন - "ছোট একটা টিউবের মত এই অংশটার মানুষের শরীরে কোনো কাজই নেই।" [আরো একটুখানি বিজ্ঞান, পৃষ্ঠা ৮৯]

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইয়ের ৩৪৬ পৃষ্ঠায় এপেন্ডিক্সকে অকার্যকর, নিষ্ক্রিয়, গুরুত্বহীন এবং অগঠিত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। [গাজী আজমল, গাজী আসমত, জীববিজ্ঞান (২য় পত্র)]

অন্য একটি বইয়ে বলা হয়েছে-
"উঁচু জাতের প্রাইমেটে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হওয়ায় সিকামের ব্যবহার হ্রাস পায় ও কার্যকারিতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। ফলে আকার পরিবর্তিত হয়ে লুপ্তপ্রায় এপেন্ডিক্স হিসেবে বিদ্যমান আছে।" [ড. আব্দুল আলীম, জীববিজ্ঞান ২য় পত্র]

এ হলো আমাদের দেশের শিক্ষার অবস্থা। এক শ্রেণির লোক এসব পড়বে আর বিশ্বাস করবে। অন্ধের মত বিশ্বাস করবে। মানব সৃষ্টিকে ত্রুটিপূর্ণ আর উদ্দেশ্যহীন বলে আখ্যা দিবে।

কিন্তু....... আসলে এপেন্ডিক্স নিষ্ক্রিয় নয়।

জাপান এর The University of Tokyo, Osaka University, Kinki University এর একদল গবেষক এপেন্ডিক্সে IgA এর সন্ধান পেয়েছেন।

তারা তাদের গবেষণায় বলেছেন - IBD (Inflammatory Bowel Disease) প্রতিরোধে এপেন্ডিক্স একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এবং, এপেন্ডিক্স অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরার ভারসাম্য বজায় রাখে। Appendicectomy বা এপেন্ডিক্স রিমুভাল সার্জারি বৃহদন্ত্রে ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরার ভারসাম্য নষ্ট করে। এবং, অন্ত্রে ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়।

অন্যত্র বলা হয়েছে -

Long denigrated as vestigial or useless, the appendix now appears to have a reason to be - as a "safe house" for the beneficial bacteria living in the human gut

ড. জাফর খোঁচা মেরে বলেন -

"... কিন্তু মানুষের শরীরে ডিজাইন ত্রুটির বিষয়টি মানতেই চান না। তাদের ধারণা সেটা মেনে নিলে ধর্মকে খাটো করে দেখা হয়। তাই, তাঁরা এ বিষয় নিয়ে ক্রমাগত চেচামেচি করে যাচ্ছেন...." [আরো একটুখানি বিজ্ঞান, পৃষ্ঠা ৮৯]

আল্লাহ বলেছেন-

"পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোনো অসামাঞ্জস্য দেখতে পাবে না। আবার, দৃষ্টি ফেরাও, তুমি কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।" [সূরা মুলক, আয়াত ৩-৪]

রেফারেন্সঃ

[১] https://resou.osaka-u.ac.jp/en/research/2014/20140410_1 #:~:text=IgA%20is%20an%20important%20antibody,balance%20in%20intestinal%20bacterial%20flora.&text=This%20group%20also%20found%20that,cells%20migrated%20to%20small%20intestine.

[২] https://www.sciencedaily.com/releases/2007/10/071008102334.htm #:~:text=Summary%3A,living%20in%20the%20human%20gut.

12/10/2024

প্রশ্ন- কুরআনে আছে রক্ত ও গোবরের মধ্য থেকে দুধ উৎপন্ন হয়। রক্ত, দুধ, গোবর একসাথে মিশে থাকে, গরুর লিভার সেটি আলাদা করে ৩ জায়গায় পৌঁছে দেয়। অথচ বিজ্ঞান বলে দুধ উৎপাদন হয় স্তনগ্রন্থিতে এবং লিভার এমনকিছু করে না। এর ব্যাখ্যা কী?

উত্তর- কুরআনে এমন কোনো আয়াত নেই, যা বলে রক্ত, দুধ, গোবর একসাথে মিশে থাকে এবং যকৃত সেটাকে আলাদা করে ভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেন-

"আর নিশ্চয়ই গবাদি পশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। তার উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে তোমাদেরকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ, যা পানকারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যকর।" [সূরা নাহল, আয়াত ৬৬]

এখানে যকৃতের কোনো ভূমিকা উল্লেখ নেই। যকৃতের ভূমিকার বিষয়টি কুরআনে নয়, বরং তাফসীরে উঠে এসেছে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ জন্তুর ভক্ষিত ঘাস তার পাকস্থলীতে একত্রিত হলে পাকস্থলী তা সিদ্ধ করে। পাকস্থলীর এই ক্রিয়ার ফলে খাদ্যের বিষ্ঠা নীচে বসে যায় এবং দুধ উপরে থেকে যায়। দুধের উপরে থাকে রক্ত। এরপর যকৃত এই তিন প্রকার বস্তুকে পৃথকভাবে তাদের স্থানে ভাগ করে দেয়, রক্ত পৃথক করে রগের মধ্যে চালায় এবং দুধ পৃথক করে জন্তুর স্তনে পৌঁছে দেয়। এখন পাকস্থলীতে শুধু বিষ্ঠা থেকে যায়, যা গোবর হয়ে বের হয়ে আসে। [তাফসীরে বাগাওয়ী]

শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ লিখেন-

এ বর্ণনাটি ইমাম বাগাভী রাহিমাহল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এনেছেন। তবে সনদ উল্লেখ নেই। ইমাম ইবন কাসীর সেটা এনেছেন, তবে দুটি কাজ করেছেন,

১- যকৃত উল্লেখ করেননি।
২- ইবন আব্বাস উল্লেখ করেননি।

তাই বুঝা গেল, আসল সমস্যাটি তাফসীর বাগাওয়ী থেকে। সেখানে যেহেতু 'যকৃত' বলা হলেও মূল বক্তব্যটির সনদ উল্লেখ করা হয়নি, তাই ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এ শব্দ থেকে মুক্ত বলা যায়।

অর্থাৎ, এরকম কিছু কুরআনে নেই এবং সনদসহ রাসূল ﷺ বা কোনো সাহাবী থেকেও বর্ণিত হয় নি।

এবার জেনে নিই, বিজ্ঞান অনুযায়ী দুধ কীভাবে উৎপন্ন হয়। দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণলব্ধ এবং দৃশ্যমান সত্য, কোনো হাইপোথিসিস বা থিওরি নয়। তাই এটা বিশ্বাস করা জরুরি, ইসলাম দৃশ্যমান বিষয় অস্বীকার করে না।

দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়া-

গরু Mammalia- স্তন্যপায়ী শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। অন্যসব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মত গরুর Mammary Gland থেকে দুধ উৎপন্ন হয়। গরুর ডিম্বাশয় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদন করে, যা স্তনগ্রন্থির বিকাশের জন্য আবশ্যক। এই হরমোন দুটি রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।

বাছুর জন্মের পর দুধ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাছুর দুধপানের চেষ্টা করলে এই উদ্দীপনা মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে পৌঁছে ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার ব্লক করে দেয়। এর ফলে প্রোল্যাক্টিন হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের নিচে অবস্থিত পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে আসা এই হরমোন এবং ভ্যাসো-এক্টিভ আন্ত্রিক পেপটাইড দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করে। গরুর ক্ষুদ্রান্ত চর্বিত ঘাস থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে রক্তের মাধ্যমে তা স্তনগ্রন্থিতে পৌঁছায়। কৈশিক নালিকা বেষ্টিত নি:স্রাবি কোষে সেই পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করে দুধ উৎপন্ন হয়ে সংগ্রাহী গ্রন্থিতে জমা হয়, যা স্তনবৃন্তের মাধ্যমে নি:সরণ হয়।

দুধে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলো হলো- ক্যালসিয়াম, রিবোফ্ল্যাভিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়োডিন।

অর্থাৎ, সংক্ষেপে-
- গরুর স্তনগ্রন্থির বিকাশ ঘটে ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন দ্বারা, যা রক্তের মাধ্যমে কাজ করে।
- বাছুর জন্মের পর দুধপানের চেষ্টার ফলে পিটুইটারি থেকে প্রোল্যাক্টিন হরমোন রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে স্তনগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে ল্যাক্টোজেনেসিস বা দুধ উৎপাদন শুরু করে।
- গরুর ক্ষুদ্রান্ত্র চর্বিত ঘাস অর্থাৎ গোবর থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে, যা সরাসরি রক্তের মাধ্যমে স্তনগ্রন্থিতে পৌঁছে সিক্রেটরি সেল বা নিস:স্রাবি কোষে দুধ উৎপাদন করে।

অর্থাৎ, পুরো প্রক্রিয়াটি রক্ত এবং গোবর থেকে আসা পুষ্টি উপাদান ও হরমোনের মাধ্যমে সম্পাদন হয়, যা কুরআনের আয়াতের সাথে শতভাগ সাদৃশ্যপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ, এটাই এ প্রশ্নের উত্তর।

দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন

[১] https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK218174/ #:~:text=The%20cow%20has%20four%20mammary,into%20small%20clusters%20called%20lobules.
[২] https://academic.oup.com/af/article/13/3/44/7205886
[৩] https://vikaspedia.in/agriculture/livestock/general-management-practices-of-livestock/milk-production-and-the-udder
[৪] https://www.sciencedirect.com/topics/agricultural-and-biological-sciences/milk-synthesis

10/10/2024

নম্রতা, বিনয় ও কোমলতা দাওয়াতকে গতিশীল করে, মানুষকে আকৃষ্ট করে, মুসলিমদের ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে, অনৈক্য প্রতিহত করে-

আল্লাহ তা'আলা বলেন-

"আল্লাহর দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছিলেন, যদি আপনি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতেন তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে দূরে সরে পড়ত।" [সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৫৯]

মানবজাতির সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী, তা-গুত ফিরআউনের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা তাঁর দুই রাসূল মূসা এবং হারুন আলাইহিমাস সালামকে বলেছেন-

"আপনারা উভয়ে ফিরআউনের কাছে যান, সে তো সীমালংঘন করেছে। আপনারা তার সাথে নরম ভাষায় কথা বলবেন, হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।'' [সূরা ত্বহা, আয়াত ৪৩-৪৪]

যদি ফিরআউনের মত ব্যক্তির ক্ষেত্রে নমনীয়তা অবলম্বন করতে হয়, তাহলে মুসলিমদের মাঝে দাওয়াতি কাজে কঠোরতা ও রূঢ়তা কীভাবে বৈধ হতে পারে?

আখলাকের সংকট বিশুদ্ধ ইসলামি দাওয়াত এর পথে বড় বাঁধা। আল্লাহর কাছে চাই তিনি যেন আম্বিয়া এবং সালাফদের আখলাক আমাদের দান করেন।

23/01/2022

উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি

মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-

(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ!
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ!
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ!
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা!
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা!
____________________________________

(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ:

আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর।[1]

বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ?[2]

আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
____________________________________

(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ:

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[3]

শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
____________________________________

(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ:

আল্লাহ আ‘আলা বলেন, অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর [4]।

সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
____________________________________

(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা:

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। [5]
____________________________________

(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা:

যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। [6]

এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
____________________________________

[1]. সূরা আল মু’মিনুন; আয়াত নং ৫২
[2]. সূরা ইউসুফ; আয়াত নং ৩৯
[3]. সহীহ: আবু দাউদ, হা/৪৬০৭; তিরমিযী, হা/২৭৭৬; হাকিম ১/৯৬;
[4]. সূরা আন নিসা; আয়াত নং ৫৯
[5]. সূরা আল আনফাল; আয়াত নং ১
[6]. সূরা আল হুজুরাত; আয়াত নং ৯
____________________________________

গৃহীতঃ
ড. সলিহ ইবনে ফাওযান ইবনে আব্দুল্লাহ আল ফাওযান (হাফিয্বাহুল্লাহ)-র ‘আল আজউইবাতুল মুফীদাহ আন আসইলাতিল মানাহিজিল জাদীদাহ’ বইয়ের ৮৫ নং প্রশ্নত্তর থেকে সংগৃহীত!
____________________________________

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !

#ইনাবাহ্ : TurningToALLAH
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

05/01/2022

💔

▌হে যুবক! মৃত্যু সন্নিকটে..

·
মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, মসজিদে নাবাউয়ীর মুদার্রিস এবং মসজিদে কুবার সম্মাননীয় ইমাম ও খতিব, আশ-শাইখ, আল-আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ড. সুলাইমান বিন সালীমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছন:



❝আমি আপনাদের মধ্যে বৃদ্ধ এবং যুবকদের দেখতে পাচ্ছি! জেনে রাখুন মৃত্যু আমাদের নিকটেই.. কেউ একে এড়িয়ে যেতে পারবে না! একমাত্র আল্লাহই জানেন কখন আমরা মারা যাবো!

একদিন মায়মুন ইবনে সাহরান (মৃত্যু- ১১৭ হিজরী) তাঁর সাথের লোকদের দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, সেখানে বৃদ্ধরা আছে এবং দেখলেন তাদের মধ্যে কিছু যুবকও আছে। এরপরে তিনি তাদের বললেন, হে প্রবীণ লোকেরা! ফসল সাদা হয়ে গেলে (অর্থাৎ পেকে গেলে) তার সাথে কি করা হবে বলে আশা করা যায়? তারা বললো, "ফসল তোলা।" অতঃপর তিনি যুবকদের দিকে ফিরলেন এবং বললেন, "হে যুযকেরা, ফসল পাকা এবং পরিপক্ক হওয়া এবং ফসলের কাটার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই অবশ্যই তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জেনে রেখো, আল্লাহ আমার ও তোমার প্রতি দয়া করুন, যে পার্থিব জীবন আল্লাহর থেকে অনেক দূরের এবং দূরত্বের। কারণ এটি আল্লাহর কাছ থেকে দূরে এবং দূরত্বে করে তোলে (অর্থাৎ তাঁর ইবাদতে ব্যস্ত হওয়া থেকে ইত্যাদি)। সৎকর্ম ও আমল ব্যতীত এটি শুদ্ধ ও ভালো হয় না।

নবী (ﷺ) বলেছেন, "এই পৃথিবীটি অভিশপ্ত এবং এতে যা রয়েছে তা অভিশপ্ত, আল্লাহর স্মরণ (জিকির) ব্যতীত এবং এর পক্ষে উপযুক্ত আলেম এবং (দ্বীনের জ্ঞানার্জনকারী) ছাত্র।" কাজেই পরিশ্রমী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, আল্লাহ আমার ও আপনার প্রতি দয়া করুন, আল্লাহর আনুগত্যের সাথে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকুন এবং আল্লাহর নির্দেশের প্রতি ধৈর্য ধারণ করুন।

জেনে রাখুন! যে, পুরো পার্থিব জীবন সামান্য এবং যা বাকি আছে তাও অল্প এবং এই ছোটসময়ের যা বাকি আছে তাও আরো ছোট। এই অল্পকালীন সময়টি কখন শেষ হবে তা কেবল আল্লাহই জানেন। আল্লাহর কসম! আল্লাহর কসম! হে আমার প্রিয়! আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি দৃঢ় থাকুন.. তোমরা সকলেই তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এসো, হে ঈমানদারগণ, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।❞
_

_________________________________

বক্তব্যের উৎসঃ https://youtu(.)be/ymSYf8xJGPQ
অনুবাদঃ আল ইনাবাহ টীম!

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !

#ইনাবাহ্ : TurningToALLAH
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

03/01/2022

▌ইসলাম সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত!
_
মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক.. ও মাসজিদে নাবাউয়ী’র সম্মানিত মুদার্রিস, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ড. সুলাইমান বিন সালীমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ)..

▌ইসলাম সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত!

আমাদের আলেমরা ফাতাওয়া জারি করেছেন যা সন্ত্রাসবাদ নিষিদ্ধ করে (এর শক্তিতে) পাহাড়কে কাঁপিয়ে দেবে। তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সুরক্ষা অর্জনে আমাদের ভূমিকা কী?

আলেমদের জন্য, তাদের ভূমিকা হলো কথা বলা এবং চুপ করে না থাকা বা আকাঙ্ক্ষা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদীদের পরিপূরক না হওয়া। বিপরীতে, তাদের অবশ্যই শরিয়াহ এর উসুলগুলি স্পষ্ট করতে হবে যা সন্ত্রাসবাদকে পুরোপুরি ধ্বংস করে এবং সন্ত্রাসীদের ভূমিকম্পের মতো কাঁপিয়ে দেয়। এই নীতিগুলি ঘোষণা করা উচিত, সেগুলো ব্যাখ্যা করা, সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা এবং সেগুলোর দারস প্রদান করা উচিত।

(দ্বীনের) আহ্বানকারীদের জন্য, তাদের উপর (সঠিক দ্বীন) শেখা এবং শেখানো ওয়াজীব। ভাল কথা বলতে এবং জনগণকে আহলুল সুন্নাহের নীতিমালা শিক্ষা দেওয়ার জন্য। কারণ আহলুস সুন্নাহের নীতিগুলি তার ভিত্তি থেকে সন্ত্রাসবাদকে বাধা দেয়।

ওহে আমার ভাই, শায়খ আসগর আমাকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে বললেন এবং যদি তা না হতো তবে আমার অনেক কিছু বলার দরকার ছিল, তবে আমি আপনাকে বলছি: ওহে মুমিনরা! এটি নিশ্চিত কণ্ঠে বলুন যে:

ইসলাম সকল সন্ত্রাসবাদ মুক্ত। ইসলাম সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। আল্লাহর কসম! ওহে ভাইয়েরা, বিপথগামীদের ব্যাপারে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায়, আমি আপনাকে বলি যে, সন্ত্রাসবাদ সাধারণত দুটি কারণ থেকেই উদ্ভূত হয়।

প্রথমটি একটি অপরাধী অতীত, কারণ অপরাধ সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়। আমরা দেখতে পেয়েছি যে এই সন্ত্রাসীরা এর আগে মাদকের সাথে জড়িত ছিল, মহিলাদের ধর্ষণ করেছিল, তারপরে তারা সন্ত্রাসবাদের দিকে এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয় কারণ হলো দ্বীনে চরমপন্থা যা দ্বীন নিজেই নিষিদ্ধ করেছে, কারণ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "দ্বীনকে চরমপন্থা থেকে দূরে রাখো, কারণ তোমাদের আগে দ্বীনের মধ্যে কেবল উগ্রবাদই ছিল যা মানুষকে ধ্বংস করেছিল।"

আমার প্রিয় বন্ধুরা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, আপনার ইসলাম সম্পর্কে গর্বিত হোন এবং সত্যই আপনি আহলুল হাদীসের, আহলুস সুন্নাহের পক্ষ থেকে হলে খুশী হন, কারণ এটির প্রতিটি মঙ্গলকর্ম। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান এবং কাউকে আপনার দ্বীনের ক্ষতি করতে দেবেন না।

আমি আল্লাহকে তাঁর সমস্ত সম্মানিত নাম ও গুণাবলী সহকারে ডেকে বলি যে, তিনি যেন ইসলাম ও মুসলমানদের সম্মান দান করেন। আমি আল্লাহকে ঐক্য, দৃঢ়তা, নিয়ামত ও বারাকাহ এর জন্য দোয়া করি এবং বিভক্ত হওয়ার কুফল থেকে আশ্রয় চাই। মহান আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, তিনিই ভালো জানেন এবং আমাদের নবীর উপর শান্তি ও দুরুদ বর্ষিত হোক।

_________________________________
উৎস - https://youtu(ডট)be/FJ07_yrql8E
_________________________________
-অনুবাদ: নাঈম সিদ্দিকী
-অনুবাদ সম্পাদনায়: উস্তায্ব যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !

#ইনাবাহ্ : TurningToALLAH
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

01/01/2022

মিতভাষী হলেই তার জ্ঞান কম নয়

বর্তমানে আমরা এমন কিছু মূর্খ লোকদের পাল্লায় পড়েছি, যারা পরবর্তী কিছু লোকের ব্যাপারে এ বিশ্বাস করে যে, যার বক্তব্য ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে, সে অতীতের আলেমদের থেকে বেশি জ্ঞানী। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু লোকের ব্যাপারে এমন ধারণাও করে যে, তারা পূর্ববর্তী ছাহাবী বা তাবেঈর চেয়েও বেশী জ্ঞানী। যেহেতু তাদের বক্তব্য ও আলোচনার আধিক্যতা রয়েছে।

আবার কেউ বলে, অমুক ব্যক্তি প্রসিদ্ধ ফকী¡হদের থেকেও বেশি জানে! আর এটা পূর্বে যা বলা হল সে বিষয়কে আবশ্যক করে দেয়। কেননা প্রসিদ্ধ ফক্বীহগণ তো তাদের পূর্ববর্তীদের থেকে বেশি বক্তব্য দিয়ে গেছেন। যেহেতু পরবর্তীরা অধিক বক্তব্যের কারণে বেশি জ্ঞানী, তাহলে যুক্তিসঙ্গতভাবেই বর্তমানরাও সালাফদের থেকে বেশি জ্ঞানী হবেন। কেননা সালাফরা বর্তমানদের থেকে কম আলোচনা করেছেন। যেমন- সুফইয়ান ছাওরী, আওযাঈ, লাইছ, ইবনুল মুবারাক ও তাদের স্থলে যারা আছেন। এ রকমভাবে তাদের পূর্বের ছাহাবী এবং তাবিঈরাও। সবাই তাদের থেকে স্বল্প আলোচনাকারী ছিলেন।

এসব কথা মূলত সালাফে ছালেহীনের মর্যাদায় আঘাত, তাদের ব্যাপারে খারাপ ধারণা এবং তাদেরকে মূর্খ ও অল্প জ্ঞানের দিকে সম্পৃক্ত করা। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ! ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ছাহাবীদের ব্যাপারে যথার্থই বলেছিলেন, إِنَّهُمْ أَبَرُّ الْأُمَّةِ قُلُوْبًا وَ أَعْمَقُهَا عُلُوْمًا وَ أَقَلُّهَا تَكَلُّفًا ‘অন্তরের দিক থেকে ছাহাবীগণ ছিলেন উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে সদয়, ইলমে গভীর আর ফৎওয়া প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণে খুবই অল্প।[১] ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা এসেছে।[২]

ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর এই উক্তির মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ছাহাবীদের পরে যারা আসবে তারা ইলমে পিছিয়ে থাকবে, আর ফৎওয়া প্রদানের দায়িত্বে এগিয়ে থাকবে। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) আরো বলেন,

إِنَّكُمْ فِيْ زَمَانٍ كَثِيْرٌ عُلَمَاؤُهُ قَلِيْلٌ خُطَبَاؤُهُ وَ سَيَأْتِيْ بَعَدَكُمْ زَمَانٌ قَلِيْلٌ عُلَمَاؤُهُ كَثِيْرٌ خُطَبَاؤُهُ

‘তোমরা এমন একটি যুগে আছ, যে যুগে আলেমের সংখ্যা বেশি বক্তার সংখ্যা কম। তবে তোমাদের পরে এমন একটি যুগ আসবে, যখন আলেমের সংখ্যা কম হবে কিন্তু বক্তার সংখ্যা বেশি হবে’।[৩] সুতরাং যার ইলম বেশি কিন্তু বক্তব্য কম, সেই প্রশংসিত। পক্ষান্তরে যার ইলম কম, বক্তব্য বেশি সেই নিন্দিত।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানবাসীদের ইমান ও ফিক্বহের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন।[৪] কারণ তারাই মানুষদের মধ্যে মিতভাষী এবং বাহ্যিক দৃষ্টিতে অল্প জ্ঞানী হলেও তাদের জ্ঞান ছিল উপকারী, যা তাদের অন্তরে গেঁথে ছিল। সেই উপকারী জ্ঞান থেকে তারা প্রয়োজনে প্রকাশ করতেন, আর এটাই হল ফিক্বহ ও উপকারী জ্ঞান।

_________________________________

[১]. ইবনু আব্দুল বার্র, জামি‘ঊ বায়ানিল ইলম ও ফাযলিহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৮৭, সনদ মুনক্বাতে‘, সানিদ আল-মাসীসী নামক একজন রাবী আছেন, যিনি ইবনু আবী হাতেম ও অন্যান্যের নিকট দুর্বল।
[২]. আবূ নু‘আইম, হিলয়াতুল আউলিয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩০৫, সনদে ওমর ইবনু নুবহান নামক রাবী আছেন, যিনি দুর্বল। হাসান বাছরী থেকেও এমন আছার বর্ণিত হয়েছে।
[৩]. যুহাইর ইবনু হারব ‘ইলম’ গ্রন্থে ছহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন, পৃ. ২৭; হাকেম পাশাপাশি শব্দে মুসতাদরাকে বর্ণনা করেছন, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৫২৯; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১০৮; হান্দাদ, যুহুদ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৫৫; হাকেম শায়খাইনের শর্তে ছহীহ বলেছেন, ইমাম যাহাবীও তার সাথে একমত পোষণ করেছেন, শায়খ আলবানী ছহীহ বলেছেন। সিলসিলাহ ছহীহাহ, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৫৭৬।
[৪]. লেখক সেই হাদীছের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যা আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,الْإِيمَانُ يَمَانٍ وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ ‘ঈমান হল ইয়ামানীদের আর হিকমাতও ইয়ামানীদের’।

_________________________________
-মূল : ইবনু রজব (রাহিমাহুল্লাহ)
_________________________________
-অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
_
অধ্যয়নরত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদীনা মুনাওয়ারাহ, সঊদী আরব।

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !

#ইনাবাহ্ : TurningToALLAH
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

27/12/2021

❤️

শয়তানের চক্রান্ত এবং তার প্রতিকার..

আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ছালাত ও সালামের পরে সম্মানিত খত্বীব বলেছেন, হে মুসলিমগণ! আল্লাহকে ভয় করুন এবং সেই মহা দিবসের জন্য আমল করুন, যেদিনের তাপমাত্রা এবং রোদ্রের প্রখরতা প্রচ- হবে। সেদিন বড় ভয়াবহ দিবস হবে, সমস্ত গোপনীয় বিষয়কে উন্মোচিত করা হবে এবং সব লুক্কায়িত বস্তু প্রকাশিত হবে। সেদিন মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হবে। একদল জান্নাতে যাবে আরেক দল জাহান্নামে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সেদিন ঐ ভয়াবহ পরিণাম থেকে মুক্তি দিতে কারো জন্য কোন শক্তি এবং সাহায্যকারী থাকবে না।

ইবলীস শয়তান ও তার চক্রান্ত:

হে মুসলিমগণ! আহকামুল হাকিমীন আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীতে তাঁর খলীফা সৃষ্টির বিষয়টি ফেরেশতাদেরকে বললে তারা সেটাকে অপসন্দ করেছিল এবং আপত্তি তুলেছিল। কিন্তু যখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন যে, আমি এটা করব। তখনই তারা দ্রুত রবের নির্দেশে আত্মসমর্পন করলেন এবং এটা মেনে নিলেন যে, আল্লাহ তা‘আলা যা করবেন তার মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। অতঃপর তিনি আদম (আলাইহিস সালাম) (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করে ফেরেশতাদের সিজদা করার নির্দেশ দিলেন। ফেরেশতাগণ সিজদা করলেন। কিন্তু ফেরেশতাদের মধ্যে অবস্থান করা ইবলীসের অন্তরে হিংসা এবং চরম অহংকারের বহিঃপ্রকাশ হল। সে মাটির সৃষ্টি আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করল। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ قَالَ ءَاَسۡجُدُ لِمَنۡ خَلَقۡتَ طِیۡنًا ‘স্মরণ কর, যখন আমরা ফেরেশতাদেরকে বললাম, আদমের প্রতি সিজদাবনত হও; তখন ইবলীস ছাড়া সবাই সিজদাবনত হল; সে বলল, আমি কি তাঁকে সিজদা করব যাকে আপনি কাদা মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন?’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ৬১)। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন,قَالَ مَا مَنَعَکَ اَلَّا تَسۡجُدَ اِذۡ اَمَرۡتُکَ قَالَ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡہُ خَلَقۡتَنِیۡ مِنۡ نَّارٍ وَّ خَلَقۡتَہٗ مِنۡ طِیۡنٍ ‘তিনি (আল্লাহ) তাকে (ইবলীসকে) জিজ্ঞেস করলেন, আমি যখন তোমাকে আদমকে সিজদা করতে আদেশ করলাম, তখন কোন্ বস্তু তোমাকে সিজদা করা হতে নিবৃত্ত করল? সে উত্তরে বলল, আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি হতে’ (সূরা আল-‘আরাফ : ১২)।

আল্লাহ ও মানুষের দুশমন ইবলীস তখন থেকেই আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য হল, আদম সন্তানের বিরুদ্ধে চরম শত্রুতা শুরু করল এবং অব্যাহতভাবে এই শত্রুতা পোষণের ঘোষণা করল। গোমরাহী ও ফেৎনা সৃষ্টির পতাকা উত্তোলন করল এবং নিজে অঙ্গীকারবদ্ধ হল যে, সে সবসময় মানব জাতির বিরুদ্ধে ওঁৎ পেতে থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত থাকবে। মহান আল্লাহ ইবলীস সম্পর্কে বলেন,

قَالَ فَبِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاَقۡعُدَنَّ لَہُمۡ صِرَاطَکَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ - ثُمَّ لَاٰتِیَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مِنۡ خَلۡفِہِمۡ وَ عَنۡ اَیۡمَانِہِمۡ وَ عَنۡ شَمَآئِلِہِمۡ وَ لَا تَجِدُ اَکۡثَرَہُمۡ شٰکِرِیۡنَ

‘(ইবলীস) বলল, আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন এ কারণে আমিও শপথ করে বলছি, আমি (বনী আদমকে) তাদের (বিভ্রান্ত করার) জন্য সরল পথের (মাথায়) অবশ্যই ওঁৎ পেতে বসে থাকব’। অতঃপর আমি (পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে) তাদের সম্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে, ডান দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব, আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞরূপে পাবেন না’ (সূরা আল-‘আরাফ : ১৬-১৭)।

চক্রান্ত নং-১ : ভূমিষ্ট হওয়া সন্তানকে আঘাত করা:

হে আল্লাহর বান্দারা! ইবলীস মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সবসময় শত্রুতা করে এবং করতেই থাকবে। শয়তান মানুষকে কষ্ট দেয়ার ও বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ ছেড়ে দেয় না। সে বিভিন্ন রূপ ধারণের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে এবং মানবজাতির ক্ষতি সাধন করে। মানুষের ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকেই সে তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে এবং কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করে। সন্তান যখন মায়ের পেট থেকে পৃথিবীতে আগমন করে, তখনই ইবলীস নবজাতক সন্তানের দুই পার্শ্বদেশে তার আঙ্গুল দিয়ে আঘাত করে। ফলে শিশু চিৎকার করে ও কাঁদতে থাকে। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

مَا مِنْ بَنِىْ آدَمَ مَوْلُوْدٌ إِلَّا يَمَسُّهُ الشَّيْطَانُ حِيْنَ يُوْلَدُ فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا مِنْ مَسِّ الشَّيْطَانِ غَيْرَ مَرْيَمَ وَابْنِهَا

‘আদম সন্তানের মধ্যে এমন কেউ নেই যার জন্মলগ্নে শয়তান তাকে স্পর্শ করেনি। অতঃপর সে শয়তানের স্পর্শে চিৎকার দেয় তবে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর পুত্র ব্যতীত’। অতঃপর আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলতেন, যদি তোমরা ইচ্ছা কর (এটা জানতে) তাহলে পড়, وَ اِنِّیۡۤ اُعِیۡذُہَا بِکَ وَ ذُرِّیَّتَہَا مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ ‘আমি তাঁকে ও তাঁর সন্তানদেরকে বিতাড়িত শয়তান হতে আপনার আশ্রয়ে সমর্পণ করলাম’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ৩৬)।[১]

চক্রান্ত নং-২ : কুমন্ত্রণা:

মানবজাতির বিরুদ্ধে শয়তানের দ্বিতীয় গোপন চক্রান্ত হল- ভয়ঙ্কর কুমন্ত্রণা, যা মানুষের অন্তরে সে জাগ্রত ও ঘুমন্ত অবস্থায় দিয়ে থাকে। মহান আল্লাহ বলেন,

اِنَّمَا النَّجۡوٰی مِنَ الشَّیۡطٰنِ لِیَحۡزُنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ لَیۡسَ بِضَآرِّہِمۡ شَیۡئًا اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ عَلَی اللّٰہِ فَلۡیَتَوَکَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ

‘কানাঘুষা তো শয়তানেদের কাজ, যা মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্য করা হয়; তবে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত শয়তান তাদের সামান্যতম ক্ষতি করতে পারবে না। মুমিনদের কর্তব্য আল্লাহর উপর নির্ভর করা’ (সূরা আল-মুজাদালাহ : ১০)। আবূ ক্বাতাদা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

اَلرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ مِنَ اللهِ وَالْحُلُمُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا حَلَمَ أَحَدُكُمْ حُلُمًا يَخَافُهُ فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ وَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لَا تَضُرُّهُ

‘নেক স্বপ্ন বা সত্য স্বপ্ন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। কাজেই তোমাদের কেউ যখন ভয়ানক মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে থুথু ফেলে আর শয়তানের ক্ষতি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। তাহলে এমন স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’।[২]

চক্রান্ত নং-৩ : ছালাতের মধ্যে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়া এবং তা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা:

আদম সন্তানের বিরুদ্ধে ইবলীস শয়তানের আরেকটি চক্রান্ত হচ্ছে ছালাতে। একজন মুসলিম যখন ছালাত আরম্ভ করে, তখন শয়তান তাকে ষড়যন্ত্র ও সীমাহীন কষ্ট দেয়া শুরু করে। শয়তান ভালো করে জানে যে, প্রকৃত মুমিন দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে থাকে। এই ছালাতই তার সততার একমাত্র মাধ্যম এবং মুক্তির উপায়। একজন মানুষের সর্বোত্তম কাজ হচ্ছে আল্লাহর সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়া। কারণ আল্লাহ তা‘আলার সামনে সীমাহীন বিনয়ী হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল সিজদা। যা শয়তান অস্বীকার করায় সে বিতাড়িত হয়েছে। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য লাঞ্ছনা ও আক্ষেপ বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন। তাই আদম সন্তান যখন আল্লাহকে সিজদা করে, তখন শয়তান অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং আক্ষেপ করে। অনুতপ্ত হতে থাকে যে, সিজদা না করার কারণে আমার পরিণাম এত খারাপ। আর এরা সিজদা করে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করে এবং ইহকাল-পরকালে সুখি থাকে। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا قَرَأَ ابْنُ آدَمَ السَّجْدَةَ فَسَجَدَ اعْتَزَلَ الشَّيْطَانُ يَبْكِيْ يَقُوْلُ يَا وَيْلَتِيْ أُمِرَ ابْنُ آدَمَ بِالسُّجُوْدِ فَسَجَدَ فَلَهُ الْجَنَّةُ وَأُمِرْتُ بِالسُّجُوْدِ فَأَبَيْتُ فَلِي النَّارُ

‘আদম সন্তান যখন সিজদার আয়াত পড়ে এবং সিজদা করে, শয়তান তখন কাঁদতে কাঁদতে একদিকে চলে যায় এবং বলে, হায় আমার দুর্ভাগ্য! আদম সন্তানকে সিজদার আদেশ করা হলে সে সিজদা করে। ফলে তার জন্য জান্নাত। আর আমাকে সিজদার আদেশ করা হলে আমি তা অস্বীকার করেছি, ফলে আমার জন্য জাহান্নাম’।[৩]

শয়তান ছালাতের ক্ষেত্রে এক আশ্চর্যজনক কাজ করে। সে মানুষ এবং তার ছালাতের মাঝে বিভিন্নভাবে অন্তরায় সৃষ্টি করে থাকে। ছালাতকে ভারী করার চেষ্টা করে। ব্যস্ততা, খেলাধুলা এবং বিভিন্ন পাপে জড়িয়ে দিয়ে ছালাত থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। যেমন আল্লাহ বলেন,

اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِ وَ یَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ عَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَہُوۡنَ.

‘শয়তান তো এটাই চায় যে, মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও হিংসা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর স্মরণ হতে ও ছালাত হতে তোমাদেরকে বিরত রাখে। সুতরাং এখনও কি তোমরা বিরত হবে না?’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৯১)।

চক্রান্ত নং-৪ : ছালাতে বিলম্ব করানো:

শয়তানের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, মুমিন বান্দা যখন ছালাতের জন্য তাড়াহুড়া করে তখন শয়তান তার সংকল্পে বাধাগ্রস্ত করে এবং বিলম্ব করে ছালাতে যাওয়া ও অলসতা দেখানোর কাজটাকে সাজিয়ে পেশ করে। ছালাতের সময় পার করে দেয়া ও বিলম্ব করার জিনিসটাকে সুসজ্জিদ করে এবং বিভিন্নভাবে প্রতারিত করে। এগুলো শয়তানের পক্ষ থেকে প্রতারণা ও ধোঁকাবাজী। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

يَعْقِدُ الشَّيْطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأْسِ أَحَدِكُمْ إِذَا هُوَ نَامَ ثَلَاثَ عُقَدٍ يَضْرِبُ عَلَى كُلِّ عُقْدَةٍ عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيْلٌ فَارْقُدْ فَإِنِ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللهَ اِنْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَإِنْ تَوَضَّأَ اِنْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَإِنْ صَلَّى اِنْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَأَصْبَحَ نَشِيْطًا طَيِّبَ النَّفْسِ وَإِلَّا أَصْبَحَ خَبِيْثَ النَّفْسِ كَسْلَانًا

‘যখন তোমাদের কেউ ঘুমায়, তখন শয়তান তার মাথার পিছন দিকে তিনটি গিরা দেয় এবং প্রত্যেক গিরার উপর প্রহার করে আর বলে, এখনও অনেক রাত্রি আছে, সুতরাং তুমি ঘুমাও। যদি সে জাগে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে, তাহলে একটি গিরা খুলে যায়। অতঃপর যদি সে ওযূ করে, তাহলে আরো একটি গিরা খুলে যায়। এরপর যদি সে ছালাত আদায় করে, তবে অপর গিরাটিও খুলে যায়, এভাবে সে সকালে উঠে প্রফুল্ল মন ও পবিত্র অন্তরে। অন্যথা সে সকালে উঠে কলুষিত অন্তর ও অলস মনে’।[৪]

চক্রান্ত নং-৫ : ছালাতে খুশূ‘-খুযূ‘ নষ্ট করা:

শয়তানের আরো একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে, মুমিন বান্দা ইবাদতে যেন খুশূ‘-খুযূ‘ আনতে না পারে ও বিনয়ী হতে না পারে সে জন্য শয়তান যড়যন্ত্র করে। অন্যমনস্ক হওয়ার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে এবং ছালাতে ভুল-ভ্রান্তিতে পতিত করে। যাতে করে মুছল্লী এমন পেরেশান হয়ে যায় যে, তার সমস্ত ছালাতের খুশূ‘ নষ্ট হয়ে যাবে। ছালাতে শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকই থাকে। কিন্তু মনকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে চলে যায় তা জানা খুবই কঠিন। অথচ খুশূ‘-খুযূ‘ তথা একাগ্রতা ও মনোযোগ ছালাতের রূহ, আত্মা, মগজ এবং সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু।

একদা ওছমান ইবনু আবিল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহ আনহু) নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে আগমন করে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! শয়তান আমার ও আমার ছালাত এবং ক্বিরাআতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। যা তাতে তালগোল পাকিয়ে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خِنْزَبٌ فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلاَثًا ‘ওটা শয়তান। তাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। তুমি যখন তার উপস্থিতি অনুভব করবে, তখন তা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইবে ও বামদিকে তিনবার থুতু ফেলবে’। রাবী বলেন, অতঃপর আমি এরূপ করলে আল্লাহ আমার থেকে তা দূর করে দেন।[৫]

চক্রান্ত নং-৬ : আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ লাগানো:

হে মুসলিমগণ! শয়তান যে ষড়যন্ত্রে সর্বদা লিপ্ত, তা হচ্ছে- মুমিন-মুমিন, আপনজন-প্রিয়জন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং মুসলিম ভাই-বোনদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে ফেৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে দেয়া। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে। কারণ যদি মুমিনদের পরস্পর সম্প্রীতি ও ভালোবাসা থাকে, তাহলে তাতে আল্লাহ সন্তুষ্টি হন এবং মানুষ শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারে। দাম্পত্য জীবন সুখী হয়, এতে আল্লাহ তা‘আলা সন্তুষ্ট থাকেন এবং তাতে মানুষ ইহকাল-পরকালে শান্তি পায়। কিন্তু শয়তান মানবজাতি কল্যাণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করুক এটা চায় না।

জাবের (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ইবলীস পানির উপর তার সিংহাসন স্থাপন করে। অতঃপর মানুষের মধ্যে ফেৎনা সৃষ্টির জন্য চারিদিকে তার সেনাদলসমূহ প্রেরণ করে। এদের মধ্যে তার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত সেই, যে সর্বাধিক বড় ফেৎনা সৃষ্টি করতে পারে। তাদের মধ্যে কেউ এসে বলে, ‘আমি এরূপ এরূপ কাজ করেছি’। তখন সে বলে, তুমি কিছুই করনি। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

ثُمَّ يَجِىءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُوْلُ مَا تَرَكْتُهُ حَتَّى فَرَّقْتُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ اِمْرَأَتِهِ قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُدْنِيْهِ مِنْهُ وَيَقُوْلُ نِعْمَ أَنْتَ

‘অতঃপর একজন এসে বলে, আমি লোকটিকে ছাড়িনি, যতক্ষণ না আমি তার ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পেরেছি। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অতঃপর শয়তান তাকে কাছে টেনে নেয় এবং বলে, তুমি কতই না সুন্দর!’ রাবী আ‘মাশ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি মনে করি জাবের (রাযিয়াল্লাহ আনহু) একথাও বলেছিলেন যে, ‘অতঃপর ইবলীস তার সাথে আলিঙ্গন করে’।[৬]

চক্রান্ত নং-৭ : মুসলিমদের মাঝে আপসে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে দেয়া:

মুসলিম-মুমিনদের মধ্যে আপসে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে দেয়া শয়তানের সাত নম্বর ষড়যন্ত্র¿। সে যখন মুসলিমদেরকে শিরক, কবর-মাযার ও মূর্তি পূজা, নাস্তিক ও বড় মুনাফেক্ব বানাতে পারে না, তারপরও সে নিরাশ হয় না। বরং মানবজাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য লেগেই থাকে। যখন তাওহীদ ও সুন্নাহপন্থী মানুষদের শিরক ও বিদ‘আতে লিপ্ত করতে পারে না, তখন তাদের মধ্যে আপসে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে যেমন ছহীহ আক্বীদার ভাই-বোন ও পরিবারের মধ্যে কলহ বিবাদ, দ্বীনি ভাই-বোনদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষী মনোভাব এবং সামান্য কথা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহ আনহুমা) বলেন, আমি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ أَنْ يَّعْبُدَهُ الْمُصَلُّوْنَ فِىْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ وَلَكِنْ فِى التَّحْرِيْشِ بَيْنَهُمْ ‘শয়তান এ বিষয়ে নিরাশ হয়ে গেছে যে, আরব উপদ্বীপের মুছল্লীরা তাকে পূজা করবে। কিন্তু তাদের পরস্পরের মাঝে বিচ্ছেদ-বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির ব্যাপারে নিরাশ হয়নি’।[৭]

আলহামদুলিল্লাহ! সঊদী আরবে মূর্তি, দরগা এবং দূর্গা পূজা নেই। শিরকের কোন আড্ডাখানাও নেই। ওখানে প্রকাশ্যে বিদ‘আত করতে কেউ সাহস পাবে না। শয়তান যখন এসব ক্ষেত্রে তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে না, তখন যারা কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর অনুসারী তাদেরকে আপসে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দেয়।

চক্রান্ত নং-৮ : মন্দকে সুন্দর করে এবং সুন্দরকে মন্দ করে পেশ করা:

শয়তান মন্দকে সুন্দর করে এবং সুন্দরকে মন্দ করে পেশ করে থাকে। এটি অত্যন্ত বিষ্ময়কর ও আশ্চর্যজনক ষড়যন্ত্র। শয়তান মানবজাতির উদ্দেশ্যে আত্মগোপন করে আসে এবং গুনাহগুলোকে চমৎকারভাবে সাজিয়ে পেশ করে। যার কারণে চোখের সামনে গুনাহগুলো ভালো লাগে। যেমন, স্ত্রীকে দেখতে ভালো লাগে না কিন্তু বেগানা মহিলাদেরকে দেখতে ভালো লাগে। স্বামীকে বা স্ত্রীকে ভালো লাগে না, তার সাথে ঝগড়া বিবাদ করে। অন্যদিকে সে (স্বামী অথবা স্ত্রী) পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত থাকে। স্ত্রী, স্বামীর সাথে বা স্বামী, স্ত্রীর সাথে দু, চার, পাঁচ মিনিট কথা বলতে চায় না এবং তাকে সময়ও দিতে চায় না। ঘরে লম্বা ঘুম দেয় অথবা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়। পক্ষান্তরে বেগানা মহিলা বা পুরুষের সাথে কথা বলতে সুযোগ পেলে আর কোন দিশা থাকে না। এটা আজকাল ইন্টারনেট ও ফেৎনার যুগে শয়তানের বড় ও ভয়ঙ্কর একটি চক্রান্ত।

নেকীর কাজ করতে বললে শয়তান সেখানে এমনভাবে পেশ করে যে, মানুষ আগ্রহী হয় না। যেন নেকীর কাজ করতে কষ্ট লাগছে, ভারী লাগছে এবং তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় বাধা দেয়া হচ্ছে। আজকাল পশ্চিমা সভ্যতায় স্বাধীনতা-স্বাধীনতা-স্বাধীনতা বলে চিৎকার করা হচ্ছে। অথচ যদি ভালো কথা বলেন তাহলে আমার স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, যৌন স্বাধীনতা প্রভৃতি শয়তানের পাতানো চক্রান্ত। এইভাবে শয়তান মানবজাতিকে প্রতারিত করে থাকে এবং পাপে লিপ্ত করে থাকে। মহান আল্লাহ বলেন,

تَاللّٰہِ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلٰۤی اُمَمٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَزَیَّنَ لَہُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَہُمۡ فَہُوَ وَلِیُّہُمُ الۡیَوۡمَ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ

‘শপথ আল্লাহর! আমরা আপনার পূর্বেও বহু জাতির নিকট (রাসূল) প্রেরণ করেছি; কিন্তু শয়তান ঐ সব জাতির কার্যকলাপ তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল; সুতরাং সে আজ তাদের অভিভাবক এবং তাদেরই জন্য পীড়াদায়ক শান্তি’ (সূরা আন-নাহল : ৬৩)। শয়তানের ষড়যন্ত্র বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,

لَعَنَہُ اللّٰہُ وَ قَالَ لَاَتَّخِذَنَّ مِنۡ عِبَادِکَ نَصِیۡبًا مَّفۡرُوۡضًا - وَّ لَاُضِلَّنَّہُمۡ وَ لَاُمَنِّیَنَّہُمۡ وَ لَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ وَ مَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا - یَعِدُہُمۡ وَ یُمَنِّیۡہِمۡ وَ مَا یَعِدُہُمُ الشَّیۡطٰنُ اِلَّا غُرُوۡرًا

‘আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং সে বলেছিল যে, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের হতে এক নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব এবং নিশ্চয় আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দিব এবং তাদেরকে আদেশ করব, যেন তারা পশুর কর্ণ ছেদন করে এবং তাদেরকে আদেশ করব, যেন তারা আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করে। যে আল্লাহকে পরিত্যাগ করে, নিশ্চয় সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন ও আশ্বাস দান করেন এবং শয়তান প্রতারণা ব্যতীত তাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে না’ (সূরা আন-নিসা : ১১৮-১২০)।

চক্রান্ত নং-৯ : উলঙ্গ বা বস্ত্রহীন করা:

শয়তানের আরেকটি জঘন্য ষড়যন্ত্র হল- আদম সন্তানকে বস্ত্রহীন করা। বর্তমানে এক শ্রেণীর অসৎ এবং অজ্ঞ লোকেরা বস্ত্রহীন, উলঙ্গ এবং অর্ধ উলঙ্গ হয়ে চলাফেরাকে সভ্যতা মনে করছে। তাহলে তো সবচেয়ে বড় সভ্য হচ্ছে হিং¯্র পশু, যে কখনে শরীরে বস্ত্র রাখে না। শয়তান আদম সন্তানকে বস্ত্রহীন ও উলঙ্গ করতে চায় এবং লজ্জাস্থান খুলে দিতে চায়। এর মাধ্যমে তাদের মাঝে বিপর্যয় আনতে চায়। তাদের যে কামনা-বাসনা ও যৌন চাহিদা রয়েছে, তাতে আগুন লাগিয়ে দিতে চায় এবং ঈমানের জ্যোতি কেড়ে নিতে চায়। যা শয়তানের প্রাচীন ষড়যন্ত্র। কেননা সে এই ষড়যন্ত্র সর্বপ্রথম আদম (আলাইহিস সালাম) এবং হাওয়া (আলাইহিস সালাম) -এর বিরূদ্ধে করেছিল। মহান আল্লাহ বলেন,

یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ قَدۡ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمۡ لِبَاسًا یُّوَارِیۡ سَوۡاٰتِکُمۡ وَ رِیۡشًا ؕ وَ لِبَاسُ التَّقۡوٰی ۙ ذٰلِکَ خَیۡرٌ ؕ ذٰلِکَ مِنۡ اٰیٰتِ اللّٰہِ لَعَلَّہُمۡ یَذَّکَّرُوۡنَ - یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ لَا یَفۡتِنَنَّکُمُ الشَّیۡطٰنُ کَمَاۤ اَخۡرَجَ اَبَوَیۡکُمۡ مِّنَ الۡجَنَّۃِ یَنۡزِعُ عَنۡہُمَا لِبَاسَہُمَا لِیُرِیَہُمَا سَوۡاٰتِہِمَا ؕ اِنَّہٗ یَرٰىکُمۡ ہُوَ وَ قَبِیۡلُہٗ مِنۡ حَیۡثُ لَا تَرَوۡنَہُمۡ ؕ اِنَّا جَعَلۡنَا الشَّیٰطِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ لِلَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ

‘হে আদম সন্তানগণ! আমরা তোমাদেরকে লজ্জাস্থান আবৃত করার ও বেশভূষার জন্য তোমাদের পোশাক-পরিচ্ছদের উপকরণ অবতীর্ণ করেছি (বেশভূষার তুলনায়) আল্লাহভীতি পরিচ্ছদই সর্বোত্তম পরিচ্ছদ এটা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম নিদর্শন, সম্ভবত মানুষ এটা হতে উপদেশ গ্রহণ করবে। হে আদম সন্তানগণ! শয়তান যেন তোমাদেরকে সেরূপ ফেৎনায় জড়িয়ে ফেলতে না পারে যেরূপ তোমাদের পিতা-মাতাকে (ফেৎনায় ফেলে) জান্নাত হতে বহিস্কৃত করেছিল এবং তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখাবার জন্য বিবস্ত্র করেছিল, সে নিজে এবং তার দল তোমাদেরকে এমনভাবে দেখতে পায় যে, তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না, নিঃসন্দেহে শয়তানকে আমরা বেঈমান লোকদের বন্ধু ও অভিভাবক বানিয়ে দিয়েছি’ (সূরা আল-‘আরাফ : ২৬-২৭)।

অতএব হে মুমিনগণ! কুরআনে আল্লাহর যে উপদেশগুলো রয়েছে সেগুলো মনোযোগী হয়ে শ্রবণ করুন এবং তা বাস্তবায়ন করুন। মহান আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّکُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا ٝ وَ لَا یَغُرَّنَّکُمۡ بِاللّٰہِ الۡغَرُوۡرُ -اِنَّ الشَّیۡطٰنَ لَکُمۡ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوۡہُ عَدُوًّا ؕ اِنَّمَا یَدۡعُوۡا حِزۡبَہٗ لِیَکُوۡنُوۡا مِنۡ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ

‘হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সে (শয়তান) যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে। নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসাবে গ্রহণ কর। সে তো তার দলকে আহ্বান করে শুধু এই জন্য যে, তারা যেন জাহান্নামী হয়’ (সূরা আল-ফাতির : ৫-৬)। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদেরকে কুরআন সুন্নাহর ইলম দিয়ে উপকৃত করেন।

ছানী খুত্ববাহ-

হাম্দ ও ছানার পরে সম্মানিত খত্বীব বলেছেন, হে মুমিনগণ! জেনে রাখুন, শয়তান যদিও মানবজাতির বিপর্যয় সৃষ্টিকারী তবুও শয়তানের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু তার সৃষ্টিতে অনেক তত্ত্ব ও আশ্চর্যজনক রহস্য রয়েছে। তাকে সৃষ্টি করার রহস্য বহুমুখী। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) কয়েকটি রহস্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন-

রহস্য-১ : আল্লাহ তা‘আলার গোলামী প্রকাশ পাওয়া। যদি ইবলীসকে সৃষ্টি করা না হত, তাহলে বান্দার জন্য আল্লাহর গোলামী ও ঊবূদিয়্যাতের বাস্তবায়ন হাসিল হত না। যেমন ভালো কাজের উপদেশ দেয়া আর অন্যায় কাজে বাধা দেয়া। শয়তানই যদি না থাকত, তাহলে কোন মানুষ মন্দ কাজ করত না। আর মন্দ কাজ থেকে বাধা দেয়ার ও ভালো কাজের উপদেশ দেয়ার প্রয়োজনই হত না।

রহস্য-২ : তওবার বাস্তবায়ন। শয়তান যদি না থাকত, তাহলে পাপও হত না; তওবারও প্রয়োজন হত না। শয়তানই যদি না থাকত তাহলে তওবা ও ইস্তেগফারের ইবাদত থেকে মানবজাতি বঞ্চিত থাকত।

রহস্য-৩ : আল্লাহ তা‘আলার শত্রুর বিরোধিতা করা। ইবলীস হল আল্লাহ এবং তাঁর বান্দার শত্রু। এই শত্রুর বিরোধিতা করার মাধ্যমে আল্লাহর গোলামী প্রকাশ করা। সুতরাং তিনি চান যে, তাঁর বান্দা দুশমনকে রাগান্বিত ও লাঞ্চিত করুক। তাঁর দুশমনের যেটা খারাপ লাগে সেই রকম কিছু করুক। এটি এমন একটি সূক্ষ্ম গোলামী যেটি জ্ঞানী মানুষ ছাড়া অন্য কারো অনুধাবন করা সম্ভব নয়।

রহস্য-৪ : শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয় কামনা করা। যদি শয়তান না থাকত তাহলে মানুষ তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করত না বা করার প্রয়োজনই হত না। এছাড়া এটি একটি আল্লাহর বড় ইবাদতও।

রহস্য-৫ : মানুষ যেন শুধু আশায় প্রতারিত হয়ে এবং আকাক্সক্ষা নিয়ে বসে না থাকে। বরং বান্দা আল্লাহর নাফরমানীকে অত্যন্ত ভয় পাবে এবং শয়তান থেকে সাবধান থাকবে। তারা চিন্তা করবে যে, ইবলীস আদমকে সিজদা না করে আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ করে নাফরমানী করেছিল। আমরাও যদি সেরকমই নাফরমানী করি, তাহলে আমরাও শয়তানের কাতারে দাঁড়িয়ে যাব।

রহস্য-৬ : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির প্রকৃতিতে ভালো এবং মন্দ দু’টি ক্ষমতা নিহিত রেখেছেন। মানুষের যেমন ভালো কথা ও কাজের ক্ষমতা রয়েছে, তেমনি মন্দ কথা ও কাজের ক্ষমতাও রয়েছে। শয়তানকে সৃষ্টি করার মাধ্যমে মানুষের প্রকৃতিতে যে খারাপ শক্তি রয়েছে, তা তার খারাপ কাজের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।

উক্ত আলোচনায় স্পষ্ট হল যে, শয়তান মানবজাতির এত অনিষ্টকারী হওয়া সত্ত্বেও শয়তানকে সৃষ্টি করার রহস্য কী?

প্রতিকার:-

১). শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করা। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে আল্লাহ অবশ্যই তাকে আশ্রয় দিবেন।

২). আল্লাহ তা‘আলার উপর সত্যিকার আশা ও ভরসা রাখা। মহান আল্লাহ বলেন,

اِنَّہٗ لَیۡسَ لَہٗ سُلۡطٰنٌ عَلَی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ

‘তার (শয়তানের) কোন আধিপত্য নেই তাদের উপর, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে’ (সূরা আন-নাহল : ৯৯)।

৩). সর্বদা শরী‘আতসম্মত যিকির-আযকারে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। সেই যিকির যেকোন সময়, কাজ ও ইবাদতের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে অথবা অনির্দিষ্ট যিকির-আযকার হতে পারে। যেমন, ছালাতের সাথে সম্পৃক্ত যিকির হল- ফরয ছলাতের পরে; বিভিন্ন কাজকর্মের সাথে সম্পৃক্ত যিকির হল- ঘুমের পূর্বে, মাঝে ও পরে। বাড়িতে প্রবেশের ও বের হবার সময়, কোন স্থানে অবতরণের সময় ইত্যাদি। বান্দা যতবেশী যিকির-আযকার করবে, ততবেশী শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। আর সেক্ষেত্রে শয়তান দুর্বল হবে এবং তার ষড়যন্ত্রও দুর্বল হয়ে পড়বে। শয়তান যখনই আদম সন্তানকে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে, তখনই যিকির-আযকার করলে তা দূরীভূত হয়, আত্মগোপন করে, লাঞ্চিত ও পদদলিত হয়ে যায়।

৪). কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে সর্বদা সতর্ক-সাবধান থাকা। কখনও মনের খারাপ চাহিদা পূরণ করবেন না। মনের যে খারাপ কামনা-বাসনা ও কুপ্রবৃত্তি রয়েছে, তার অনুসরণ করবেন না। সতর্ক-সাবধান থাকবেন। শয়তান মনের চাহিদাগুলোকে সাজিয়ে পেশ করে। যখন একজন মানুষ সাবধান হবে, তখন মনের সেই অসৎ বা অবৈধ চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে শয়তানের অনিষ্ট এবং ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ থাকবেন। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি এর বিপরীত করবে সে ব্যক্তি শয়তানের জালে ফেসে যাবে। আর যদি ভুলভ্রান্তি হয় কিংবা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ ও অন্যায় কাজ করেই ফেলে, তবে এক্ষেত্রে করণীয় হল- দ্রুত তার যে কুপ্রভাব রয়েছে সেটা ইস্তেগফার, তাওবা এবং বেশী বেশী নেকীর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখার মাধ্যমে তা মুছে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। এর মাধ্যমে শয়তান কষ্ট পাবে, লাঞ্চিত হবে এবং তারা অনিষ্ট দূরীভূত হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আ করি, তিনি যেন আমাদেরকে দ্বীন, দুনিয়া, শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থ-সম্পদ, রুজি-রোজগার এবং শয়তানের যাবতীয় অনিষ্ট ও ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন এবং মুসলিমদের হেফাযত করেন-আমীন!!

পরিশেষে খত্বীব ছাহেব আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর দরূদ পাঠ করেন। মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামের জন্য কল্যাণের ও নিরাপত্তার দু‘আ চাওয়ার মাধ্যমে খুত্ববাহ সমাপ্ত করেন।

_________________________________
তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৫৪৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩৬৬; মিশকাত, হা/৬৯।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/৩২৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬১; মিশকাত, হা/৪৬১২।
[৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮১; ইবনু মাজাহ, হা/১০৫২; মিশকাত, হা/৮৯৫।
[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১১৪২; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭৬; মিশকাত, হা/১২১৯।
[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৩; মুসতাদরাক হাকেম, হা/৭৫১৪; মিশকাত, হা/৭৭।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৮১৩, ‘জান্নাত, জাহান্নাম ও ক্বিয়ামতের বিবরণ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭; মিশকাত, হা/৭১।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৮১২; মিশকাত, হা/৭২।

_________________________________
-খত্বীব : শায়খ ড. বান্দার বিন আব্দুল আযীয বালীলাহ (হাফি.)
_________________________________
-অনুবাদ : উস্তায্ব শায়খ মতিউর রহমান মাদানী (হাফি.)
_
সম্মানিত দাঈ, দাম্মাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, বাংলা বিভাগ, সঊদী আরব।
_________________________________
[২৪ জুমা. উলা. ১৪৪২ হি. ৮ জানুয়ারী, ২০২১ তারিখের ‘বায়তুল হারাম, মক্কা আল-মুকাররমা’- এর জুমু‘আর খুত্ববার বঙ্গানুবাদ]

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !

#ইনাবাহ্ : TurningToALLAH
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

Want your school to be the top-listed School/college?

Videos (show all)

শাইখ সুদাইস তাঁর এই খুতবায় (ইহু)-দীদের যেসব আখ্যা দেন-- তাদের পূর্বসূরিরা খারাপ- পরবর্তীরা আরো নি-কৃষ্ট - আল্লাহর নিয়ামত...
Once this wise ruler was holding a get together with senior scholars. তার বক্তব্যের মাঝে শাইখ সালেহ আল ফাওযান পাশ থেকে ব...
নামাজী ব্যক্তির কতটুকু সামনে দিয়ে অতিক্রম করা বৈধ? জেনে নিন ভিডিও থেকে!
হাদীস-একঃ নিয়তের গুরুত্ব
▌ কুরআনের হাফেজদের মর্যাদাআব্দুন নুর মাদানী
Very Heart Touching Quran Recitation ┇ Emotional Recitation Fadi Al Daly.
আল্লাহর নিকট প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য এই দোয়াটি-ই যথেষ্ট - শাইখ মতিউর রহমান মাদানী;
রমাদান মাসে যেভাবে কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে আমাদের একটু ভাবতে হবে | শাইখ মোহাম্মদ ড. মানজুরে ইলাহী ;
▌"কোন ছোঁয়াচে রোগ নে" এই হাদীসের ব্যাখ্যা জেনে নিন।
▌যেই জিকিরে জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে.....
▍ভালবাসার আগে কিছু কথা...... ১৪ই ফেব্রুয়ারী। এ দিনকে ঘিরে অনেকেই অনেক ধরণের পরিকল্পনা করছেন। কেউ গার্লফ্রেন্ডের জন্য চকল...
▌সাহু সিজদাহ্ এর সঠিক পদ্ধতি। ___________________________সালাতে আমরা বিভিন্ন সময় ভুল করে থাকি সেই ভুলের জন্য আমাদের সালা...

Website