পশু হত্যার গল্প বলে আপনি যে খুব এন্টি ভায়লেন্স আর গ্রিন-ন্যাচার ফ্রেন্ডলি ভংটা ধরে বসে আছেন ঐটাকে আদর করে আমরা ডাবল ফেস স্নেক বলে ডাকি 😑
কেএফসি, ম্যাকডোনাল্ড'স, পিৎজা হাট, ডমিনো'জ সহ বিশ্বের সেরা ফুড ব্রান্ড গুলো প্রতিদিন প্রায় ১.৩ বিলিয়ন পশু তাদের ফুড প্রসেসিং এর জন্য আপনার ভাষায় সো-কল্ড "হত্যা" করে থাকে।
এতে নিশ্চয়ই আপনার খুব একটা মায়া কান্না বা মানবতা জেগে ওঠে না।
আপনার পশ্চিমপাড়া থেকে শুরু করে উত্তর দক্ষিণে ফুড লিস্ট এর বেশ উপরের দিকে থাকে শুকর, এটাও নিশ্চয়ই আপনার অজানা থাকার কথা না।
তারপরেও ক্যান কুরবানী আসলেই আপনার মানবতা প্রচুর উপরে উঠে যায় এটা বুঝতে খুব একটা ম্যাথ করা লাগে না আমাদের।
আপনার সমস্যাটা আমরা বুঝতে পারি!
এন্টি-মুসলিম সেন্টিমেন্টের দাম বাজারে যে খুব চড়া এটাও বুঝতে পারি আমরা।
আপনাদের এই সংঘবদ্ধ প্রপাগান্ডার বিপক্ষে শুধু একটা ছোট্ট স্ট্যাট শেয়ার করি
গত বছর (২০২২) প্রথম আলোর তথ্যমতে সারা দেশে মোট ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছিলো যা গত ২০২১ এর সংখ্যা থেকে প্রায় ৮ লক্ষ বেশি।
এবং এ বছর বিগত সাল গুলো থেকেও বেশি পশু কুরবানী হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন পরিসংখ্যানবিদরা।
💜
হ্যাপ্পি কুরবানী
Punch of Truth
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Punch of Truth, Religious school, .
কুরবানী গোশত কত ভাগ হবে বা বণ্টন পদ্ধতি কেমন হবে?
সমাজে প্রচলিত অনেক গুলো নিয়মের মধ্য অধিকতর প্র্যাক্টিসড একটা ধরণা হচ্ছে গোশত সমান ৩ ভাগে ভাগ করা
যার ১ম অংশ নিজের পরিবার, ২য় অংশ নিকটস্থ আত্মীয় ও পাড়াপ্রতিবেশি এবং ৩য় অংশটি সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য।।
মূলত এই প্রাক্টিস একটি মুস্তাহাব আমল যাকে আমরা গুড সোশ্যাল ইসলামীক প্রাক্টিস বলতে পারি।
শরীয়াহ দৃষ্টিকোণে এই পদ্ধতির পক্ষে বা বিপক্ষে মৌলিক কোনো বিধিনিষেধ নেই বা ইন্সট্রাকশন নেই।
অর্থাৎ দাড়িপাল্লা দিয়ে মেপে ৩ টি ভাগ করেই যে আপনাকে বাকি বণ্টন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিষয়টি এমন নয়।
আপনি চাইলে ৩ ভাগ না করে আপনার কুরবানি করা পশুর পুরোটাই গরীব-দুঃখীদের জন্য দান করতে পারেন আবার চাইলে এর বড় একটি অংশ প্রয়োজন সাপেক্ষে আপনার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন দের জন্যেও রেখে দিতে পারেন।
তবে, যেহেতু কুরবানীর মৌলিক শিক্ষাই হচ্ছে সেক্রিফাইজ সেহেতু গোশতের পর্যাপ্ততা থাকা পরেও যেন আপনার দরজা থেকে কেও গোশত বিহীন খালি হাতে ফেরত না যায় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
আপনার দেয়া কুরবারীর গোশতে কোনো একটি বঞ্চিত পরিবারের একবেলার উত্তম আহার হোক এরচেয়ে সুন্দর আর কি বা হতে পারে?
আল্লাহ আপনার আমার সবার ত্যাগ কবুল করুন।
কুরবানির টাকা দান করলে কুরবানি হবে কিনা, এমন প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে। ইদানিং অনেককেই দেখা যায় তারা কুরবানী না দিয়ে সেই টাকা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বা এতিমখানায় দিয়ে থাকেন। তাদের নিয়ত হয়তো ভালো। তবে এতে কুরবানী আদায় হয় না।
ইমাম আবু হানিফা, ইবনে তাইমিয়াহ সহ অনেক স্কলারগণ কুরবানিকে ওয়াজিব বলেছেন। সেই হিসেবে কুরবানী দেয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ স্কলার এই মত গ্রহণ করে থাকেন। আবার যারা সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন তারাও কুরবানিকে ওয়াজিবের কাছাকাছি বলেছেন। সুতরাং এখানেও কুরবানী দিতে হবে। তাছাড়া রাসুল সাঃ তার জীবদ্দশায় কখনো কুরবানী মিস করেননি। রাসুল সাঃ বলেন, যার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করলো না সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে। আরেক হাদীসে বলেন, যেই পশুকে কুরবানী করা হলো সে তার শিং, পশম, পায়ের ক্ষুর নিয়ে কেয়ামতের মাঠে দাঁড়াবে। এসব বর্ণনা থেকে আমরা কুরবানির গুরুত্ব বুঝতে পারি।
ভালো নিয়তে কুরবানির টাকা বা পশু দান করে দিলে দানের সাওয়াব হবে। তবে ইবাদত পরিপূর্ণ করার জন্য শুধু নিয়ত ভালো হওয়া যথেষ্ট না। পদ্ধতিও ভালো হতে হয়। রাসুল সাঃ আমাদেরকে যেই পদ্ধতি শিখিয়ে গেছেন সেই পদ্ধতিতেই কুরবানী দিতে হবে। তবে হ্যাঁ, আপনি চাইলে কুরবানী দেয়ার পর সেই গোশত মানুষকে দিতে পারে। এতে আপনার কুরবানী এবং দান দুটোই আদায় হবে ইনশাআল্লাহ।