আগামীকাল চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে জাপানের ‘চন্দ্রযান’!
*****************************************
ভারতের ইসরো প্রেরিত চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম গত ২৩ শে আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ (সফট ল্যান্ডিং) করে ইতিহাস গড়েছে। এবার জাপানের চন্দ্রযান রওনা দেবে চাঁদের উদ্দেশ্যে। সব ঠিকঠাক চললে আগামীকাল ২৬ শে আগস্ট তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে ভারতীয় সময় সকাল ৬ টা ০৪ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র জাপানিস এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)-এর তৈরি ‘চন্দ্রযান’। জাপানের তৈরি এই ল্যান্ডারের নাম স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেশন মুন (SLIM)। স্লিম ল্যান্ডার থেকে যে রোভার নামবে চাঁদের বুকে, তা এক্স-রে ছবি তুলবে। সে কারণে এই অভিযানের নাম এক্স-রে ইমেজিং অ্যান্ড স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (XRISM)। এই অভিযানে জাক্সার সঙ্গে সহযোগিতা করবে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। জাক্সার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ল্যান্ডারের উচ্চতা ৯ ফুট (প্রায় ২.৪ মিটার), প্রস্থ ৮.৮ মিটার (২.৭ মিটার), গভীরতা ৫.৬ মিটার (১.৭ মিটার)। চাঁদের ঠিক কোথায় অবতরণ করতে পারে তাদের ল্যান্ডার, তা-ও জানিয়েছে জাক্সা। ভারতের ল্যান্ডার নেমেছে দক্ষিণ মেরুতে, যে পিঠ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। জাপানের ল্যান্ডার নামবে সেই পৃষ্ঠে, যা পৃথিবী থেকে দেখা যায়। জাক্সার তরফে জানানো হয়েছে, তুলনামূলক ভাবে নতুন তৈরি হওয়া শিওলি গহ্বরে অবতরণ করবে সে। পৃথিবী থেকে চাঁদের যে দিক দেখা যায়, সেখানে রয়েছে এক শূন্য সমুদ্র (মেয়ার নেকটারিস)। তার মধ্যেই রয়েছে সেই শিওলি গহ্বর। যার বিস্তৃতি প্রায় ৯৮৪ ফুট (৩০০ মিটার)। সেই শিওলি গহ্বরে নামবে জাপানের ল্যান্ডার। চাঁদের জন্ম, বিবর্তন ও গঠন নিয়ে গবেষণা চলবে। প্রসঙ্গত, জাক্সার সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর। ভারত এবং জাপান যৌথ ভাবে ‘চন্দ্রযান-৪’ অভিযানে কাজ করবে। এই অভিযানের আসল নাম লুপেক্স (লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন)। লুপেক্সে মূলত চাঁদের মেরুকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ চালাবে ভারত এবং জাপান। খুঁজবে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্নটির জবাব— চাঁদে কী অবস্থায় জল আছে?
তথ্যসূত্রঃ- আনন্দবাজার পত্রিকা
Raghab Ghosh Geography
Geography is everywhere. This Page is for the students and those candidates who wants to be qualifie
Operating as usual

ত্রিস্তান দা কুনহা*********
আটলানটিক মহাসাগরের মাঝামাঝি অবস্থিত একটা ছোট দ্বীপ। আয়তনে এতটাই ক্ষুদ্র যে গুগল ম্যাপে বেশ কয়েকবার জুম করার পরে তবেই চোখে পড়ে।
এমন একটা দ্বীপেও নাকি ২৭০ জন মানুষের বাস। একটাই শহর সেখানে যার নাম হল এডিনবার্গ অফ দ্য সেভেন সীজ। এহেন দ্বীপে মানুষ করছেটা কি? ইয়ুরোপ থেকে যখন বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ ভারত বা মধ্যপ্রাচ্যে আসত, তখন তারা অনেকসময় এই দ্বীপে থামত জল আর খাবার নিতে। ধীরে ধীরে কেউ কেউ এই দ্বীপে থেকে যায়। আজ তাদেরই বংশধরেরা এই দ্বীপের বাসিন্দা। কালক্রমে আরো অনেক লোক এসেছে।
সুয়েজ খাল চালু হবার পরে সে পথে জাহাজ কমলেও, ইয়ুরোপ থেকে আর্জেন্টিনা যাবার সময় ও আফ্রিকা থেকে আর্জেন্টিনা যাবার পথে এই দ্বীপ থেকেই জল আর খাবার নিতে হত। কোন লিখিত নিয়ম বা শাসনতন্ত্র না থাকার পরেও কিন্তু এই দ্বীপের বাসিন্দারা গত ১৫০ বছর সুন্দর ভাবে থেকে নিয়েছে এখানে।
মাঝে ১৯৬১-৬২ সালে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা আসার ফলে ২ বছর সব বাসিন্দাকে ব্রিটেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে শহরটায় আছে একটা বড় রাস্তা, যা সবার বাড়ি হয়ে আলুক্ষেতের দিকে গেছে, একটা ছোট বাস, কয়েকটা সরকারি গাড়ি ও কয়েকটা প্রাইভেট গাড়ি ও বাইক। এছাড়া আছে একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, দুটো হসপিটাল, টাউন এডমিনিস্ট্রেশন অফিস, ফায়ার ব্রিগেড ও একটা পুলিশ স্টেশন। অধিকাংশ লোকে আলু চাষের সাথে যুক্ত। সমস্ত রসদ আসে কেপ টাউন থেকে যা ২৭০০ কিমি দূরে অবস্থিত।
এহেন দ্বীপে একটা চাকরি পেয়ে যাবে নাকি?


স্যালুট মনোজ পান্ডে :- মাথায় গুলি লাগার পরেও ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে-র মুখ থেকে বের হয়েছিলো “না ছোন্নু”
ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে বিশেষ করে বক্সিং এবং শরীরচর্চায় আগ্রহী ক্রীড়াবিদ ছিলেন।
১৯৯০ সালে, তিনি উত্তর প্রদেশের জুনিয়র বিভাগ এনসিসির সেরা ক্যাডেট ছিলেন।স্কুল শেষ করার পর তিনি এনডিএ পরীক্ষা সাফ করতে যান।তাঁর এসএসবি (পরিষেবাদি বাছাই বোর্ড) সাক্ষাত্কারের সময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেনো তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান? যার জবাবে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, “আমি পরম বীরচক্র জয় করতে চাই।” এবং মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে, কার্গিল যুদ্ধে, অপারেশন বিজয় অভিযানে গিয়ে আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছিলো।
১৯৯৫ সালের জুন, তাঁকে কমার্স করা হয়েছিলো ১/১১ গোর্খা রাইফেলসে। তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিলো কাশ্মীর উপত্যকায়।তারপর তাকে সিয়াচেনে পোস্ট করা হয়েছিলো।তিনি তার পিতামাতাকে বলেছিলেন যে “আমরা শত্রুদের সাথে লড়াই করার চেয়ে সিয়াচেনের জলবায়ুকে লড়াই করি বেশি।”
কারগিল যুদ্ধের সাহসী কর্মের জন্য তাঁকে “বাটালিকের বীর” বলা হয়েছিলো।কার্গিল যুদ্ধে তাঁর দায়িত্ব ছিলো অনুপ্রবেশকারী পাক সেনাদের তাড়িয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধিকৃত বাঙ্কার গুলো দখল মুক্ত করা।সেই বাঙ্কার গুলো দখল মুক্ত না করলে ভারতীয় সেনাদের প্রকাশ্য দিবালোকে খোলা জায়গা থেকে যুদ্ধ করতে গিয়ে শত্রুর নিশানায় এসে বিনা বাধায় মৃত্যুবরণ করাই ছিলো ভবিতব্য।এই দখলদার অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে অধিকৃত অঞ্চলে থাকা ভারতীয় সেনাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাঙ্কার গুলো পুনর্দখলের অভিযানের নামই ছিলো “অপারেশন বিজয়”।
মাথায় তিনটে গুলি লাগার পরও কারগিল যুদ্ধের শহীদ ভারতীয় সেনার ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে'র মুখ দিয়ে একটি মাত্র কথা বের হয়েছিলো “না ছোন্নু”।গোর্খা ভাষার এই শব্দটির বাংলা অর্থ “ছাড়বো না”।ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্ট দডন্ডপ্রতাপ শক্রর হ্রদয়কেও ভয়ে কাপিয়ে দিতে পারে, সেখানে পাকিস্তানি সেনা তো দূর অন্ত।কিন্তু, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের খালুবার-এর লড়াই ছিলো বাহাদুর গোর্খাদের কাছেও বড়ো চ্যালেঞ্জ।কারণ শক্র পাকিস্তানি সেনা উগ্রপন্থীর বেশ ধরে সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে পাহাড়ের ওপরে বসেছিলো বিশ্বাসঘাতকতা করে।ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে-র ইউনিট ছিলো ১/১১ গোর্খা রাইফেল।যার কমান্ডিং অফিসার ছিলেন কর্ণেল ললিত রায়।
১৭৭৬০ ফুট উচ্চতার এই খালুবার পোস্টটির গুরুত্ব ছিলো কারগিল যুদ্ধ জয়ের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট।এই খালুবার পোস্টটি দখলের জন্য ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ১/১১ গোর্খা রাইফেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো।শক্র পক্ষ পাকিস্তানিদের দখলে থাকা এই পোস্টটির বিষয়ে তথ্য ও খুঁটিনাটি জানতে প্রথমে ২২ গ্রেনেডিয়ারের চার্লি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো।কিন্তু ভারতীয় সেনার চার্লি কোম্পানির কাছ থেকে এক বিপদ সংকেত পেয়ে গুরুত্ব বুঝে ১/১১ গোর্খা রাইফেলের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ললিত রায় সহ পুরো কোম্পানি ঝাঁপিয়ে পড়ে খালুবার-এর লড়াইয়ে।ভারতীয় সেনার ১/১১ গোর্খা রাইফেল-এর জওয়ানরা ১৪ ঘন্টা খাড়া পাহাড় চড়ে যখন খালুবার-এর পোস্ট থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে সেই সময় পাহাড়ের মাথায় বসে থাকা পাকিস্তানি ১ মিনিটে ১০০০ গুলি করতে সক্ষম এ.ডি গান, রকেট লঞ্চার, মর্টার দিয়ে গুলি ছুড়ছিলো ভারতীয় সেনার দিকে।এই সময় কর্নেল ললিত রায়-এর পায়ে আঘাত লাগলেও অদম্য সাহসের সঙ্গে কর্ণেল ললিত রায় এবং ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে ৩০-৩০ জন জওয়ান নিয়ে দুটো দলে ভাগ হয়ে খালুবার পোস্টে থাকা পাকিস্তানী সেনাকে পরাজিত করতে এগিয়ে যেতে থাকে খালুবার পোস্টের দিকে।খালুবার পোস্টে শক্ত পক্ষের ২ টো বাঙ্কার কথা পূর্বে মনোজের জানা থাকলেও ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে খুব শীঘ্রই বুঝতে পারে এই পোস্টটিতে শক্র পক্ষের বাঙ্কারের সংখ্যা ৬টি।এরপর ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডের বন্দুকে দাগা সঠিক নিশানায় প্রথম বাঙ্কারের মেশিনগান চালক পাকিস্তানীর মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়।কাঁধে ও পায়ে গুলি লাগে ক্যাপ্টেন মনোজের।তা সত্ত্বেও ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে দ্বিতীয় বাঙ্কারে গ্রেনেড ছুড়ে পাকিস্তানি বাঙ্কারটিকে গুড়িয়ে দেওয়ায় ২টি বাঙ্কারেরই দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা।এরপর ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে লক্ষ্য করেন তৃতীয় বাঙ্কার থেকে পাকিস্তানিরা কেবল ভারতীয় সেনার দিকে গুলি ছুড়বে সেই সময় বীর বিক্রমে ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃতীয় বাঙ্কারে থাকা পাকিস্তানী সেনাদের উপর এবং খুকরি বের করে একাই পাকিস্তানী সেনাদের গলা কেটে ফেলেন।
ঘটনাক্রমে এই সময় চতুর্থ বাঙ্কারের পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া ৩টি গুলি লাগে ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে-এর মাথায়।তখনও ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে-র মুখ থেকে বের হয়ে এসেছে “না ছোন্নু”।
এরপর ক্রোধান্বিত গোর্খা জওয়ানরা খুকরি বের করে এক একটি পাকিস্তানি সেনাকে কাটতে আরম্ভ করে।এমনকি একটি পাকিস্তানি সেনা পালাতে পারে নি, সব পাকিস্তানি সেনাদের কেটে ফেলে ভারতীয় সেনার ১/১১ গোর্খা রাইফেলের জওয়ানরা।চারিদিকে তখন শুধু গোর্খা জওয়ানদের সিংহ গর্জন- “জয় মহাকালী, আও গোর্খালী”।খালুবার লড়াইয়ে নিজে শহীদ হয়ে ভারত মাতার বীর সন্তান ক্যাপ্টেন মনোজ পান্ডে ভারতকে জয় এনে দেন।যা কারগিল যুদ্ধের মোড় ভারতের পক্ষে এক ঝটকায় অনেকটাই ঘুরিয়ে দেয়।অপারেশন বিজয়তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন; শত্রুদের পেছনে দৌড়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনেক আক্রমণ পরিচালনা করেন।তাঁর এই আত্মদানের ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে, বাটালিক সেক্টরের খালুদুর পুনর্দখল করা সম্ভব হয়েছিলো।আর তিনি পেয়েছিলেন তাঁর সেই স্বপ্নের পরম বীর চক্র।যদিও তাঁর বৃদ্ধ পিতাকে হাতে করে গ্রহণ করতে হয়েছিলো সেই পুরষ্কার।
তাঁর শহীদ হওয়ার খবর তাঁর গ্রামে পৌঁছলে বিপুল মানুষ এই কারগিল হিরোর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হয়েছিলো।
তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরিতে উদ্ধৃতি; “কিছু লক্ষ্য এতটাই যোগ্য, এটি ব্যর্থ হওয়া এমনকি গৌরবযুক্ত”, “যদি আমি আমার রক্ত প্রমাণের আগে মৃত্যু আঘাত করে, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি(শপথ করবো), আমি মৃত্যুকে হত্যা করব।” তাঁর লিখার অভ্যেস ছিলো, এমনকি যুদ্ধের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি তাঁর ডায়েরি বজায় রাখতে এবং তার প্রিয় জনকে চিঠি লিখার পক্ষে সক্ষম হয়েছিলেন।যুদ্ধের সময় তার বন্ধুর কাছে লিখা তাঁর চিঠিটি তার সাহসী এবং কীভাবে সত্যই একজন দেশপ্রেমিক মানুষ তা জানায়।
#मार्कोस 🇮🇳
🇮🇳
मार्कोस 🇮🇳
যদি আমাদের পেজে তোমরা কোনো লেখা বা প্রশ্নোত্তর প্রকাশ করতে চাও তাহলে মেসেজ করো। তোমাদের নামসহ প্রকাশিত হবে। ধন্যবাদ

চন্দ্রযান থ্রি প্রকল্পে যুক্ত বাঙালি বিজ্ঞানীরা
❤️❤️❤️❤️
চাঁদের দেশে ভারত
India on moon
পেজের রিচ একদম কমে গেছে । অনুগ্রহ করে একটু কমেন্ট করে পেজটাকে সচল রাখতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।

ভারতের কোন কোন রাজ্যের ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা প্রবাহিত হয়েছে?
ভারতের কোন কোন রাজ্যের উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা প্রবাহিত হয়েছে #geography

The Photographer
(Reynisfjara, Iceland)

Kilimanjaro is a massif, not a mountain. It consists of 3 dormant stratovolcanoes – Shira, Mawenzi and Kibo. On the Kibo volcano, at a height of 5895 m above sea level, there is the highest point of Tanzania and at the same time of the entire African continent - Uhuru peak.
কিলিমাঞ্জারো একটি ম্যাসিফ, পর্বত নয়। এটি 3টি সুপ্ত স্ট্রাটো আগ্নেয়গিরি নিয়ে গঠিত - শিরা, মাওয়েনজি এবং কিবো। কিবো আগ্নেয়গিরিতে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 5895 মিটার উচ্চতায়, তানজানিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু এবং সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশের একই সময়ে রয়েছে - উহুরু শিখর।
Source: Simon shows map
মাউন্ট এভারেস্ট

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী #straits #aspirants #job #worldgeography ...

Mu Cang Chai rice field terraces
Yen Bai, Vietnam

পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর নিজের মতো বা জিওয়েড
Geoid জিওয়েড #ভূগোল #পৃথিবী #জিয়ড #জিওয়েড

জানকী অম্মাল : উদ্ভিদবিজ্ঞানে ভারতের প্রথম মহিলা পিএইচডি
***********************************************
প্রায় ১২৮ বছর আগে ১৮৮৭ সালের ৪ নভেম্বর কেরলের তেলিচেরিতে (বর্তমানে যা পরিচিত তালাসেরি নামে) জন্ম হয়েছিল ইডাবলেট কক্কট জানকী অম্মালের। তাঁর বাবা ইকে কৃষ্ণণ ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির এক আদালতের বিচারক। ভাইবোন মিলিয়ে জানকীরা ছিলেন ১৯ জন। তাঁদের সকলেরই সময় কাটত বাড়ির বাগানে। শখ করে সে বাগান করেছিলেন জানকীর বাবা। সেই সঙ্গে উত্তর মালাবার অঞ্চলের পাখিদের সম্পর্ক দু’টি বইও লিখেছিলেন তিনি। গাছপালা, পশুপাখির প্রতি বাবার এই টানই বোধহয় জানকীর মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল। অন্তত, জানকীর ভাইঝি গীতার তেমনই দাবি। একে একে ভাইবোনেদের সম্বন্ধ করে বিয়ে হলেও সে পথে পা বাড়াননি জানকী। তখনকার দিনে স্কুলের পড়াশোনার শেষে বিয়ের বদলে তিনি অন্য পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তৎকালীন মাদ্রাজের কুইন মেরি’জ কলেজ থেকে স্নাতক হন।
উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য জেদ বজায় রেখেছিলেন জানকী। স্নাতক হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে সাম্মানিক ডিগ্রি লাভ করেন। সেটি ছিল ১৯১৩ সাল। জানকীর এই ‘কীর্তিতে’ পরে ইতিহাসবিদ তথা তাঁর দুরসম্পর্কের ভাইঝি বিনীতা দামোদরণ একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। শিরোনাম ছিল— ‘জেন্ডার, রেস অ্যান্ড সায়েন্স ইন টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ইন ইন্ডিয়া’। বস্তুত, যে সালে জানকী স্নাতক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে সময় এ দেশে তো বটেই, বিদেশেও নারীশিক্ষার হার ছিল বেশ কম। স্নাতক হওয়ার পর তৎকালীন মাদ্রাজের ক্রিস্টিয়ান কলেজে তিন বছর শিক্ষকতা করেন জানকী। এর পর বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ আসে। লেভি বারবারের নামে একটি স্কলারশিপের মাধ্যমে বিনামূল্যে আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। ১৯২৪ সালে আমেরিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে পড়তে যান জানকী। বস্তুত, তাঁর মতো এশীয় মহিলাদের পড়াশোনার জন্যই ওই বিভাগটি তৈরি করেছিলেন লেভি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় প্ল্যান্ট সাইটোলজিতে মন বসিয়েছিলেন জানকী। এই বিদ্যায় গাছপালার জেনেটিক গঠন এবং জিনগত ধাঁচ বা বিন্যাস নিয়ে আলোকপাত করা হয়। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষা কাজে এসেছিল জানকীর। বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালির মধ্যে নিষেক করিয়ে নতুন হাইব্রিড প্রজাতি তৈরি করেছিলেন জানকী। ১৯২৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ’৩১-এ ডক্টরেট হন। বস্তুত, তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি উদ্ভিদবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন।
দেশে ফিরে এসে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কাজে লাগিয়েছিলেন জানকী। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে ইম্পেরিয়াল সুগারকেন ইনস্টিটিউট তখন জানকীর পারদর্শিতায় ভরসা রেখে নতুন এক জাতের আখ উৎপন্ন করতে সমর্থ হয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া থেকে আখ আমদানি করতে হত ভারতকে। বস্তুত, জানকীর গবেষণার জেরেই ভারতের আবহাওয়ায় ক্রস-ব্রিডের আখ উৎপন্ন করা করা গিয়েছিল। যাতে শর্করার মাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেশি ছিল। ১৯৪০ সালে ইংল্যান্ডের নরফোকে গিয়ে জন ইনেস ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করেন জানকী। সেখানকার জিনোলজিস্ট সিরিল ডিন ডার্লিংটনের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের গবেষণার যৌথ ফসল— ‘ক্রোমোজোম অ্যাটলাস অব কাল্টিভেটেড প্ল্যান্টস’। যে বইটি আজও উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রামাণ্য গ্রন্থ বলে মান্যতা পায়। জানকী এবং সিরিলের ওই বইটিতে ১০ হাজার গাছের ক্রোমোজোম নম্বর লেখা রয়েছে। সেই সঙ্গে নিষেক এবং বিভিন্ন জাতের গাছগাছালির বিবর্তনের ধরনেরও উল্লেখ রয়েছে। ১৯৪৬ সালে নরফোকের ইনস্টিটিউট ছেড়ে লন্ডনের রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটিতে যোগ দেন জানকী। সে সময় তিনিই ছিলেন ওই ইনস্টিটিউটের প্রথম বেতনভোগী মহিলা সদস্য।
পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর অনুরোধে দেশে ফিরে আসেন জানকী। পরে বিনীতা লিখেছিলেন, ‘এ দেশের চাষবাসের কাজে উদ্ভিদবিজ্ঞানের চর্চা বাড়াতে তাঁর মতো গবেষকের প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে মনে করতেন নেহরু।’ লখনউতে সেন্ট্রাল বোটানিক্যাল ল্যাবরেটরির সুপারভাইজার পদে জানকীকে নিয়োগ করেছিলেন নেহরু। বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (বিএসআই)-র পুনর্গঠনে জানকীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। দেশীয় গাছগাছালি সংগ্রহ করা এবং তা নিয়ে সমীক্ষার জন্য ১৮৯০ সালে গঠিত হয়েছিল বিএসআই। বিএসআইতে কাজ করার সময় বিপন্ন দেশীয় গাছগাছালি রক্ষায় মন দিয়েছিলেন জানকী। দেশীয় গাছগাছালি সংগ্রহে স্থানীয়দের জ্ঞানের উপরেই ভরসা করতেন তিনি। জীবনের শেষ ভাগে পৌঁছে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান চর্চায় গঠিত সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের সায়েন্টিস্ট এমিরেটা নির্বাচিত হয়েছিলেন জানকী।
সত্তরের দশকে কেরলের ৮.৩ বর্গ কিলোমিটারের বনাঞ্চলে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে চেয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। সরকারের দাবি ছিল, তাতে ঘাটতি মিটবে বিদ্যুতের। পাশাপাশি, রাজ্যের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান হবে। তবে ৮০ বছরের এক লড়াকু বৃদ্ধা জানকীর অনড় মনোভাবে কাছে হার মেনেছিল রাজ্য প্রশাসন। ওই বনাঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে পারেনি কেরল সরকার। বৃদ্ধা জানকী অম্মালের নেতৃত্বে স্থানীয়দের আন্দোলনে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। তাতে রক্ষা পেয়েছিল বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র। আজও এর কৃতিত্ব দেওয়া হয় জানকীকে। সাইলেন্ট ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত ওই বনাঞ্চলে আজ রয়েছে বিশাল আকারের ম্যাককাস বাঁদর-সহ রয়েছে বহু বিপন্ন অর্কিড। সঙ্গে প্রায় হাজার প্রজাতির ফুলের গাছগাছড়া। এই সাফল্যের পিছনেও জানকীর হাত রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। কেরলের বনাঞ্চলে হ্রদ তৈরি করে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিলেন তিনি। জানকী লিখেছিলেন, ‘মনস্থির করে ফেলেছি। সাইলেন্ট ভ্যালিতে যেখানে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ার জন্য কুন্তী নদীর জল দিয়ে হ্রদ তৈরি করা হবে। সেখানকার বনাঞ্চলের গাছগুলির ক্রোমোজোম-সার্ভে করব।’ সাইলেন্ট ভ্যালি প্রকল্পের বিরুদ্ধে জানকীদের আন্দোলন অন্য মাত্রা পেয়েছিল। সত্তরের দশকে কেরল তথা ভারতে পরিবেশরক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল তা। সফল হয়েছিলেন জানকীরা। ক্রমাগত স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ১৯৮৪ সালের ১৫ নভেম্বর সে প্রকল্প বাতিল বলে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল কেরল সরকার। তবে তা দেখে যেতে পারেননি জানকী। প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করার ন’মাস আগে ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি।
তথ্যসূত্রঃ- আনন্দবাজার পত্রিকা
R Geography & Environment

অগণিত প্রাচুর্যের আধার সমুদ্র। প্রাণিজ উপাদানের পাশাপাশি অতল জলরাশির আড়ালে লুকিয়ে মহার্ঘ খনিজ সম্পদও। শুধু তলদেশ নয়, সমুদ্রের ঢেউতে পর্যন্ত মিশে রয়েছে তার অংশবিশেষ। এমনকী গোটা দুনিয়ার জ্বালানি সমস্যা মিটিয়ে ফেলার মতো প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামও। তবে হ্যাঁ, নোনা জল থেকে এই তেজস্ক্রিয় ধাতু ছেঁকে তোলা মোটেই সহজ নয়। সেই কঠিন কাজ এবার কার্যত ‘জলবৎ তরলং’ করে দেখালেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী। বাঁকুড়ার বাসিন্দা সুজিত কুমার ঘোষ। রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রির একটি পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে সেই গবেষণা। এই আবিষ্কারের ফলে ভারতের অর্থনীতি থেকে প্রতিরক্ষা বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেই মনে করছে বিজ্ঞানী মহল।
গোটা গবেষণাটির নেপথ্য কারিগর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার) পুনেতে কেমিস্ট্রি বিভাগে অধ্যাপনারত সুজিতবাবু। তবে গবেষণাপত্রের মূল লেখক তিনি নন, তাঁর তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করা সমরাজ মল্লিক। তিনি বর্তমানে ব্রিটেনে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চে ব্যস্ত। সুজিতবাবুর দাবি, ভূগর্ভে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সঞ্চিত রয়েছে, তাতে বড়জোর ১০০ বছর জ্বালানি সঙ্কট মেটানো যাবে। কিন্তু আগামী দিনে কয়লার ব্যবহার কমবে। তাপবিদ্যুতের পরিবর্তে বাড়বে পারমাণবিক বিদ্যুতের উপর নির্ভরতা। তাতে আরও কম সময়ে ফুরিয়ে যাবে ইউরেনিয়ামের ভাঁড়ার। অথচ সমুদ্রের জলে যে পরিমাণ এই তেজস্ক্রিয় ধাতু সঞ্চিত রয়েছে, তাতে আগামী ১০০০ বছর চোখ বুজে চলে যাবে।
একটি হিসেব বলছে, সমুদ্রে থাকা ইউরেনিয়ামের পরিমাণ প্রায় ৪৫০ কোটি মেট্রিক টন। কিন্তু জলে মিশে থাকায় সেটির ঘনত্ব খুবই কম। সুজিতবাবু জানাচ্ছেন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো মৌল থেকে ইউরেনিয়ামকে পৃথক করাই চ্যালেঞ্জের। জাপান, আমেরিকায় সেই চেষ্টা যে আগে হয়নি, তা নয়। তবে, সাফল্য তেমন মেলেনি। শেষপর্যন্ত লাভজনকভাবে ইউরেনিয়াম আহরণের পথ দেখিয়েছে সুজিতবাবুদের তৈরি যৌগটি। ধাতুর সঙ্গে জৈব যৌগ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে মেটাল অর্গ্যানিক ফ্রেমওয়ার্ক (এমওএফ)। তাতে বৈদ্যুতিক আধান বা আয়নযুক্ত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিল বা মাইক্রোপোরস থাকে। সেখান দিয়েই প্রবেশ করে তেজস্ক্রিয় ধাতু। দেখা গিয়েছে, দু’ঘণ্টার মধ্যে জলের ৯৫ শতাংশ ইউরেনিয়াম শোষণ করেছে সেই যৌগ। ২৫ দিন ধরে চলে গবেষণাটি। কিন্তু মাত্র দু’দিনেই ব্যবহারের উপযোগী তেজস্ক্রিয় ধাতু সঞ্চয় করা সম্ভব হয়।
ধাতব জৈব যৌগ তৈরিতে সুজিতবাবুর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমুমু কিতাগাওয়া বিশ্ববন্দিত। তাঁর থেকেই মূল ধারণা পান এই বাঙালি বিজ্ঞানী। তবে, তিনি নিজস্ব পদ্ধতিতে নতুন ধরনের যৌগ প্রস্তুত করেছেন। ওই যৌগকে নির্দিষ্ট উপায়ে অ্যাসিডে ফেললে তৈরি হয় ইউরেনিয়াম দ্রবণ। তা শুকিয়ে নিলে যে গুঁড়ো মেলে, সেটির ধর্ম খনিতে পাওয়া ধাতুটির মতোই ।
সূত্র:- বর্তমান ২১.০৮.২০২২

আজ ২০ আগস্ট, বিশ্ব মশা দিবস। ১৮৯৭ সালের এই দিনে অ্যানোফিলিস মশাবাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন চিকিৎসক রোনাল্ড রস। পরবর্তী সময়ে এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
ব্রিটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসকে সম্মান জানাতে ১৯৩০ সালে দিবসটি পালনের সূচনা করেছিল যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় মারা যায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ। জনসাধারণকে সতর্ক করতে প্রতি বছর ২০ আগস্ট দিবসটি পালন করা হয়।
বিভিন্ন ভয়াবহ অসুখের মধ্যে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু উল্লেখযোগ্য। তাই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য এইদিন সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়। মশাবাহিত রোগ থেকে সাবধান হতে এবং এ বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে এই দিনে বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।
মশা আকারে ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত ভয়ংকর। খুব সহজেই ঘাতক হিসেবে রূপ নিতে পারে ক্ষুদ্র এই জীবটি। অনেকের কাছে বর্ষাকাল প্রিয় হলেও মাথায় রাখতে হবে এই সময় এলেই বাড়তে থাকে মশার উপদ্রব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মশাকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিডিসি বলছে, বিশ্বে বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে। বেঁচে থাকতে এসব রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে আরও কয়েক কোটি মানুষ।
কীটতত্ত্ববিদদের তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১০০ প্রজাতি রোগ ছড়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ২০টির মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ে মশা থেকেই। সেগুলোর মধ্যে কিছু রোগ প্রাণঘাতী। বাংলাদেশে ১২৩ প্রজাতির মশার খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকাতেই ১৪ প্রজাতির মশা বিচরণ রয়েছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত পাঁচটি রোগের বিস্তার রয়েছে। সেগুলো হলো- ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জাপানিজ এনসেফালাইটিস।
Source:- jagonews24

Reflection Canyon In Utah, USA 🇺🇸 ...
📷 karolnienartowicz
আজ বিশ্ব ছবি তোলা দিবস world photography day...

মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর এর স্বাধীনতা দিবস
জানো কি পশ্চিমবঙ্গের এইসব জায়গার স্বাধীনতা দিবস ১৮ই আগষ্ট #1947

https://youtube.com/shorts/vJdm9xkfSJo?feature=share
জানো কি পশ্চিমবঙ্গের এইসব জায়গার স্বাধীনতা দিবস ১৮ই আগষ্ট #1947

খুবই দুঃখজনক খবর । গতকাল।

১৫ আগস্ট নয়, মুর্শিদাবাদের স্বাধীনতা দিবস / ভারত অন্তর্ভূক্তি দিবস ১৮ আগষ্ট

Patkai mountain বা পাটকই পর্বত :- Tai -Ahom ভাষায় (উত্তর-পূর্ব সীমান্ত বর্তী পার্বত্য অঞ্চলের ভাষা) PAT এর অর্থ to cut এবং KAI শব্দের অর্থ chicken। পাটকই উত্তর পূর্ব ভারতের পার্বত্য ভূমি বা পূর্বাচল এর অন্তভুক্ত। এই পর্বত অরুনাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে দক্ষিন পূর্বে নাগাল্যান্ড অবধি বিস্তৃত। এর উচ্চতা সাধারনত ২০০০-৩০০০ মিটার। এই পর্বত অরুনাচল প্রদেশ কে মায়ানমার এর থেকে আলাদা করেছে। এই পাটকই হল হিমালয়ের দক্ষিন শাখা। মনে করা হয়, ৩০ মিলিয়ন বছর আগে উত্তরের দিকে তিব্বতীয় প্লেটের সাথে ভারতীয় প্লেটের সংঘর্ষ ঘটে এবং পরে ভারতীয় প্লেটের সাথে বার্মা প্লেটের পূর্ব অভিমুখী সংঘর্ষ হয়। এর ফলে হিমালয় এবং ইন্দো -বার্মা শ্রেনীতে Fold -Thrust belt সৃষ্টি হয়েছে। এখনো প্লেট এর চলন এবং সংঘর্ষ চলছে বলেই উত্তর -পূর্ব ভারতের এইসব অঞ্চল গুলি অত্যন্ত ভুমিকম্প প্রবন।

মালদা জেলা ভারতের সাথে সংযুক্ত হয় আজকের দিনেই ১৯৪৭ সালে।
সরকারিভাবে মালদা স্বাধীন হয় ১৮ আগস্ট
আসলে দেশ বিভাগের সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট রাডক্লিফের সীমানা সংক্রান্ত ঘোষণায় কোনও সুস্পষ্ট সরকারি নির্দেশ ছিল না। এর ফলে ১৯৪৭ সালের ১২ থেকে ১৭ অগস্ট মালদার জনগণ জানতে পারে নি যে জেলাটির ভাগ্য কি? সেজন্য ১৫ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ওই দুইদিনই মালদা জেলাতে উড়েছিল পাকিস্তানের পতাকা।
১৫ অগস্ট নয়, সরকারিভাবে মালদা জেলা স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৮ অগস্ট।
পূর্ব পাকিস্তানের এক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ছিল এই মালদা জেলা। এক ভীষন বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে দুইদিন কাটানোর পর ১৭ অগস্ট বেতারে রাডক্লিফ কমিশনের ঘোষণা প্রচারিত হয় এবং ওই দিনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে (নোটিফিকেশন ৬৭ জিএ, তারিখ ১৭.৮.১৯৪৭) পূর্বের মালদা জেলার ১৫টি থানার মধ্যে দশটি থানা অর্থাৎ ইংরেজবাজার, মালদা, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, খরবা, গাজোল, হবিবপুর,বামনগোলা, মানিকচক ও কালিয়াচক ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
বাকি পাঁচটি থানা– শিবগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, ভোলাহাট, নাচোল ও গোমস্তাপুর পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। অর্থাৎ ১৭ তারিখ পর্যন্ত মালদা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের এক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ছিল। ১৮ আগস্ট জেলার শাসনভার ভূতপূর্ব পাবনার এডিএম মঙ্গলকুমার আচার্যের হাতে সমর্পিত হয়। তিনি ১৮ আগস্ট মালদা কালেক্টরেটের মাস্তুলে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
#সংগৃহীত

Chandrayaan-3's Lander separated from Propulsion Module. 1st Lander De_boost (Reverse Thrust) scheduled on Tomorrow.


Happy Independence Day

Happy Independence Day