ফেসবুক নিয়ে এলো নতুন চমক
লিখলে কালার হয়ে যাবে আর
যাদের প্রোফাইলে রিচ ডাউন
আছে তাদের হবেনা।
Krishnendu Das
Nearby schools & colleges
Žemaitės Gatvė, Šiauliai
Liepų Gatvė, Garliava
Kosmonautų Gatvė, Jonava
Kamajai 42285
Kaunas
Jurbarkas LT-74119
Ateities, Raseiniai
Druskininkai LT-66128
Mokyklos Gatvė, Marijampole
Ozo Gatvė, Vilnius
Dzūkų Gatvė, Vilnius
Buozenai LT-88437
Šiauliai
Dariaus Ir Girėno, Zarasai
Comments
পোস্ট Krishnendu Das
আজ 06/04/2021 চতুর্থ মঙ্গলবার ২৩/ চৈত্র/ ১৪২৭ মনসা মাতার মহামেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।।
আজ ২৩শে চৈত্র ৬ই এপ্রিল অর্থাৎ চতুর্থ মঙ্গলবার মনসা মাতার মহামেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকল ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মেলায় আসার জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
#মাদপুরের_মইষ্যা_গ্রামের_মনসা_মন্দিরের_মাহাত্ম্য।
পশ্চিমবাংলার গঙ্গাসাগর মেলার পর মাদপুরের মনসা মায়ের মেলা পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার খড়গপুর লোকাল থানার তিন নম্বর লজমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দ নগর মৌজা মহিষা গ্রামে এই মনসা দেবীর মন্দির। প্রায় 400 বছর আগে এই মহিষা গ্রামটি ছিল জবপুরের জমিদার যোগেশ্বর রায়ের জমিদারির অন্তর্গত।
জমিদার যোগেশ্বর রায় একদিন ভোররাতে মা মনসার স্বপ্নাদেশ পান। তিনি দেখেন যে চতুর্ভুজা মা মনসা হাত নেড়ে তাকে বলছেন মহিষা গ্রামের ওই জঙ্গলে উই ঢিপিতে তিনি বিরাজ করছেন। তাঁকে যেন পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে পুজো করা হয়।
সূর্যোদয়ের পরে জমিদার সদলবলে গিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে ওইখানে মনসা মায়ের নিয়মিত পূজার ব্যবস্থা করেন। ওই উই ঢিপিতেই মা অবস্থান করেন। পরে ওই উই ঢিপিটিকে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো হয়। ওই উই ঢিপির মাটি নিয়ে পাশে একটি লাল পদ্ম একটি লাল পদ্ম ফুল বানানো হয়। এই পদ্মফুল আসলে দেবী মনসার প্রতীক।
এই মন্দিরটিতে প্রথম থেকেই যেভাবে খোলা আকাশের নিচে মায়ের আরাধনা শুরু হয়েছিল সেই প্রথা এখনও চলে আসছে কারণ তিনি আদেশ দেন যে তিনি আবদ্ধ ঘরে থাকতে নারাজ। তাই মন্দির নির্মাণ করলেও মাথায় কোন আচ্ছাদন থাকবে না। যতবারই মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে ততবার'ই মন্দির ভেঙে পড়েছে।
মায়ের ভক্তরা সারা বছর ধরে মায়ের পুজো দিলেও সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার ভক্তদের ভিড় বেশি হয়। এখানে ভক্তরা উই ঢিপি ও পদ্মফুলে ফুল, দুধ-কলা, সিঁদুর মাখিয়ে নিজেরাই পুজো করেন। এখানে এই মন্দিরে মনসা মায়ের কোন মূর্তি। নেই কোন পান্ডা বা পুজারী। মায়ের নির্দেশে ভক্তরা নিজেদের পুজো নিজেরাই করেন এবং মনস্কামনা জানান।
চৈত্র মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার এখানে বিশাল মেলা বসে যা পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় বৃহত্তম বেলা বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিনে ওই গ্রামের কারোর বাড়িতে উনুন জ্বলে না। রান্না হয় পরের দিন। চক্রবর্তী পদবিধারী ব্রাহ্মণরা পুজো করেন। কোন মন্ত্র উচ্চারিত হয় না। কেবল ব্রাহ্মণ উৎসর্গ করে যান।
এই বিশেষ দিনের বিশেষত্ব হলো ছাগ বলি। প্রায় 30000 ছাগল বলি দেয়া হয় এই দিনে। এছাড়া মনসা দেবীর মন্ত্রপূতঃ জলে স্নান করিয়ে হলুদ মাখিয়ে অসংখ্য পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি এখানে রয়েছে। এখানে হাঁস বলিও হয়। কখনো কখনো হাঁস গুলিকে সামনের পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আগেকার দিনে মানুষ এই মন্দিরে সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই মনসা দেবীর পূজা করত। ভক্তরা পুত্র লাভের আশায়, বেকাররা চাকরির আশায় বা রোগ ব্যাধি নিরাময় ও সাংসারিক কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মায়ের কাছে পুজো দেন।
কলকাতা বা হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনের মাদপুর স্টেশনে নেমে টোটো বা রিক্সা করে মায়ের মন্দিরে আসতে পারেন।
পোস্ট : Krishnendu Das
শুভ সকালের শুভেচ্ছা সকলকে ।।
পোস্ট Krishnendu Das
পোস্ট : Krishnendu Das
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আনন্দে থাকুন।।
Post Krishnendu Das
ক্যামেরায় Krishnendu Das
About Me
Hello everyone! My name is Krishnendu Das and I am a teacher of English Communication h
Operating as usual

সেলিব্রেটি হতে চান তাহলে রাস্তার কুকুর কে কয়েকদিন বিস্কুট খাইয়ে দেখুন।
ওই এলাকা দিয়ে যখনই যাবেন ওদের আচরণে নিজেকে সেলিব্রিটি মনে হবে।

#শুভ_জন্মদিন_মেদিনীপুরের_বাঘিনী
আজ মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম দিবস, জানুন তার অজানা জীবন কাহিনী!
1870 সালে 19 অক্টোবর মাতঙ্গিনী হাজরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মেদিনীপুরের তমলুক থেকে অদূরে হোগলা নামে একটি ছোট গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে তার জন্ম হয়। অতি অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়ে যায়, তিনি মাত্র 18 বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হয়েছিলেন।
1905 সালে প্রত্যক্ষভাবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মাতঙ্গিনী হাজরা মতাদর্শগত ভাবে তিনি ছিলেন একজন গান্ধীবাদী। তাইতো গান্ধী বুড়ি নামে ডাকা হয়। 1932 সালে মাতঙ্গিনী আইন অমান্য আন্দোলনে যোগদান করেন গ্রেফতার বরণ করেছিলেন।
ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস সদস্যরা মেদিনীপুর জেলার সকল থানা ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল জেলা থেকে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ করে এখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। প্রথম মহিলা স্বেচ্ছাসেবক ছয় হাজার সমর্থক তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করেন। এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন 73 বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরা। মিছিলে বারংবার তার গায়ে গুলি লাগে, তার কপালে ও দুই হাতে। তবু তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপর তার ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।
কংগ্রেসের পতাকা মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ধরে বন্দেমাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করতে করতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 1947 সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে অসংখ্য স্কুল, পাড়া ও রাস্তার নাম মাতঙ্গিনী হাজরার নামে উৎসর্গ করা হয়। স্বাধীন ভারতে কলকাতা শহরে প্রথম যে নারী মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, সেটি হলো মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। 2002 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের 60 বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের ডাক বিভাগ মাতঙ্গিনী হাজরার ছবি দেওয়া 5 টাকার পোস্টাল চালু করে।


আজ ছাত্র দিবসে আমার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি রইল অসংখ্য ভালোবাসা যাদের জন্য আজ আমি কৃষ্ণেন্দু স্যার হতে পেরেছি যাদের জন্য আমি সমাজে এত সম্মান পেয়েছি ।।
ভালো থেকো তোমরা উন্নতি করো যাতে একজন শিক্ষক হিসাবে তোমাদের নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি ❤️❤️❤️💚
Love you all

তমলুকের দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরের কিছু টুকরো ভিডিও ।।
#ইতিহাস ও কিংবদন্তীর দেবী #বর্গভীমা
প্রায় পাঁচ হাজার মন্দিরের আজব দেশ #মেদিনীপুর। কালের করাল গর্ভে সবই আজ ভগ্নস্তূপ। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম পরিহাসকে অস্বীকার করে যে কয়টি আজও বেঁচে আছে পূর্ণ মহিমায়। তার মধ্যে দেবী বর্গভীমা সর্বশ্রেষ্ঠ। ইতিহাস আর কিংবদন্তী পেরিয়ে এ মন্দির আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের উৎসবক্ষেত্র। এর শ্রেষ্ঠ পূজা শারদীয়া উত্সবে। দেবী বর্গভীমা তখন করালবদনা বরাভয়দায়িনী শক্তিরূপিনী ভীমা, আদ্যাশক্তি মহামায়া।
ইতিহাসের কোন প্রাচীন অক্ষরেখা ধরে কে যেন বলে এ হল বৌদ্ধসংঘারাম। হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানে শক্তির আরাধকরা একে রূপান্তরিত করেছে হিন্দু মন্দিরে। যদি তাই হয়, সেও তো বল্লাল সেনের যুগ। কিংবদন্তী নিয়ে যায় আরো কোনো প্রাচীন কথায় পুরাকালে বর্গভীমার জন্য তাম্রলিপ্ত যে একটি বিশিষ্ট সিদ্ধপীঠ হিসেবে প্রকীর্তিত ছিল, তার উল্লেখ পাওয়া যায় ব্রহ্মপুরাণ থেকে। পুরাকালে দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষযজ্ঞে ব্রহ্মার পুত্র দক্ষ প্রজাপতিকে নিহত করলে ব্রহ্মহত্যার ফলস্বরূপ শরীর বিশ্লিষ্ট দক্ষের মাথা মহাদেবের হাতে সংসৃষ্ট হয়ে যায়। মহাদেব কোনোপ্রকারেই একে নিজের হাত থেকে বিচ্ছিন্ন না করতে পেরে উদ্দাম নৃত্য করতে থাকেন, তাতেও হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে না পেরে পৃথিবীর বিভিন্ন তীর্থে পরিভ্রমণ করতে থাকেন। কিন্ত্ত দক্ষের মাথা তাঁর হাত থেকে কিছুতেই বিশ্লিষ্ট না হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে বিষ্ণুর নিকটে উপস্থিত হলেন। তখন বিষ্ণু বললেন :
অহং তে কথয়িষ্যামি যত্র নশ্যতি পাতকং
তত্র গত্বা ক্ষণামুক্তঃ পাপাদ্ধর্গো ভবিষ্যসি।।
অর্থাৎ সেখানে গমন করলে জীব ক্ষণকাল মধ্যে পাপ থেকে মুক্ত হয়, এবং সকল পাপ বিনষ্ট হয়, তোমায় সে স্থানের মাহাত্ম্য বলব। এই বলে বিষ্ণু বললেন :
আস্তি ভারতবর্ষস্য দক্ষিণস্যাং মহাপুরী,
তমোলিপ্তং সমাখ্যাতং গূঢ়ঃ তীর্থ বরং বসেত্।
তত্র স্নাত্বা চিরাদেব সম্যগেষ্যসি মত্পুরীং
জগাম তীর্থরাজস্য দর্শনার্থং মহাশয়।।
অর্থাৎ ভারতবর্ষের দক্ষিণে তমোলিপ্ত (তাম্রলিপ্ত) নামে মহাতীর্থ আছে, তাতে গূঢ়তীর্থ বাস করে। সেখানে স্নান করলে লোকে বৈকুন্ঠে গমন করে। অতএব আপনি তীর্থরাজের দর্শনের জন্য সেখানে যান। মহাদেব একথা ষুনেই তাম্রলিপ্ত হয়ে বর্গভীমা ও বিষ্ণু নারায়ণের মন্দির দুটির মধ্যবর্তী সরসীনীরে অবগাহন করলে দক্ষ শির তাঁর হাত থেকে মুক্ত হল।
মহাভারতের যুগে নরপতি তাম্ররাজ এক ধীবরপত্নীর কাছ থেকে শোনেন আলৌকিক সে কাহিনী। রোজ মরা মাছ কয়েক যোজন দূর থেকে এনে বনের ভেতর এক মন্দিরের পুকুরে ডুবিয়ে সে মাছকে জ্যান্ত করে নেয়। তারপর নিয়ে যায় রাজবাটীতে। রাজা তাম্ররাজ সেই কাহিনী শুনে ধীরবীর সমভিব্যবহারে গিয়ে উপস্থিত হলেন বনের ভেতরের সেই মন্দিরে। প্রতিষ্ঠা করলেন দেবীকে-প্রস্তরময়ী সে দেবীকে স্বমহিমায়।
ঐতিহাসিক হান্টার বলেন, “নূতন রাজা কালুভূঞা নূতন ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করিয়া পূজারম্ভ করেন, ঐ ঠাকুর বর্গভীমা নামে বিরাজ করিতেছেন।” আবার A Statiscal Account of Bengal. Vol.-III, p.61-এ আছে ধনপতি সদাগর নাকি এ মন্দির ও এ দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু কিংবদন্তী যেখানে রাতের ঘুম কেড়ে নেয়, সেখানে ইতিহাস পুরুষের মতো দাঁড়িয়ে থাকে কালাপাহাড়-
”দেবীর উপাসক মহাশয়দিগের নিকট একখন্ড পারসিক ভাষায় লিখিত দলিল রহিয়াছে, ইহাকে তাঁহারা ‘বাদশাহী পঞ্জ’ বলিয়া নির্দেশ করেন। যখন (খ্রীঃ 1567-68) দুরন্ত কালাপাহাড় উড়িষ্যা বিজয় বাসনায় এই দেশে আগমন করিয়াছিলেন, তিনি দেবীকে সন্দর্শন করত প্রীত হইয়া এই দলিল লিখিয়া দিয়াছিলেন।” (বৃহত্তর তাম্রলিপ্তর ইতিহাস : যুধিষ্ঠির জানা (মালীবুড়ো) পৃ. 100)
ইতিহাস আর কিংবদন্তী মেশা কাহিনী বিস্ময়কর, লোমহর্ষক। বালক রাজু, রাজীবলোচনই দামোদরের তটের গ্রামের এক হিন্দু মায়ের আঁচল ধরা আভিমানী ছেলে নবাব দুহিতার প্রেমে মুসলমান হয়েছিলেন – হয়েছিলেন সুলেমান করণানির সেনাপতি।
উড়িষ্যা আভিযানে চণ্ড কালাপাহাড় এক একটি মন্দির, দেবদেউল ধ্বংস করে এগিয়ে চলেছেন রূপনারায়ণের দিকে। তটে শিবির খাঁটালেন। মন্দির চূড়ার দিকে তাকিয়ে আছেন কালাপাহাড়। আর কতক্ষণ ঐ মন্দির দাঁড়িয়ে থাকবে?
একাকী এগিয়ে চললেন কালাপাহাড়। সোপানশ্রেণী আতিক্রম করে মন্দিরের দেবীগৃহের দুয়ারে এসে দাঁড়ালেন কালাপাহাড়। বেলা বাড়ে। কিন্ত্ত একি হল। স্তম্ভিত পাঠান সৈনিকেরা। দেবী বর্গভীমার সম্মুখে এক শীতল সুবাতাসের আশ্রয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন সুলেমান করণানির সেনাপতি কালাপাহাড়।
কি স্বপ্ন দেখে সেদিন জেগে উঠেছিল কালাপাহাড়? দেবী বর্গভীমার কি আদেশ পেয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছিল কালাপাহাড়ের ধ্বংসলীলা। ‘মূর্তিনাশক কালাপাহাড় জীবনে প্রথম ও একমাত্র মূর্তিকে ধ্বংস করতে এসেও ধ্বংস করতে পারেন নি, সেই মূর্তি আজও তমলুকের মন্দিরে আরতির আলোকে প্রতি সন্ধ্যায় দীপ্ত হয়ে ওঠে।’
কালাপাহাড় সম্ভবত জালাল সাহের সময় 1260-এর দিকে বর্তমান ছিলেন। আর রাজেন্দ্রলাল গুপ্ত একটি প্রবন্ধে (সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত ‘সাহিত্য’ পত্রিকায়) লিখেছেন, ‘বর্গভীমা মন্দির পূর্বে বৌদ্ধমন্দির ছিল।’ এখনও যদি কোনো দর্শক মনোযোগ সহকারে দেখেন, দেখবেন মূল মন্দিরের চারদিকে আনেকগুলি ছোট ছোট গৃহ বা বিহার ছিল। কালের আমোঘ নিয়মে তার আনেকগুলি ধ্বংস হলেও দু একটি এখনও টিকে আছে। বর্তমান মন্দিরটিতে সম্ভবত প্রধান আচার্য থাকতেন। মন্দিরের গঠন আনেকটা বুদ্ধগয়ার মন্দিরের মতো।
আরও আনেক রকম ইতিহাস, কিংবদন্তী, প্রবাদ প্রচলিত আছে। সে থাক। এবার বরং আসি এখন মন্দিরে যা আছে, তার বর্ণনায়। বর্গভীমাকে আনেকে চন্ডীতন্ত্রে কথিত ভীমাদেবী বলে মনে করেন। 51 পীঠের মধ্যে তমলুকের বর্গভীমাও একটি পীঠস্থান। এই দেবীর মূর্তি একটি প্রস্তরের সম্মুখভাগ খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই মূর্তির গঠন উগ্রতারা মূর্তির মতই। প্রতিকৃতিটি কৃষ্ণ প্রস্তরে নির্মিত। এরকম খোদাই করা মূর্তি সচরাচর দেখা যায় না। এই দেবীর ধ্যান ও পূজাদি যোগিনী মন্ত্র ও নীল তন্ত্রানুসারে সম্পাদিত হয়। কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তাঁর চন্ডীমঙ্গল (অভয়ামঙ্গল) কাব্যে এই দেবী সম্পর্কে লিখেছেন :
“গোকুলে গোমতীনামা তাম্রলিপ্তে বর্গভীমা
উত্তরে বিদিত বিশ্বকায়া।”
সেও তো প্রায় চারশ বছর আগের লেখা।
বর্তমানে মন্দিরটির চারদিকে কিছু সংস্কার করা হলেও মূল প্রাচীন রূপটি অক্ষুন্ন। মন্দিরটি উচ্চতায় প্রায় 60 ফুট। এর দেওয়ালের ভেতরের প্রস্থ 9 ফুট। এটি গোল ছাদ বিশিষ্ট। মন্দিরের চারটি অংশ—
(1) মূল মন্দির
(2) জগমোহন
(3) যজ্ঞ মন্দির
(4) নাট মন্দির।
তবে মনে হয় মন্দিরটির সব অংশ একসঙ্গে তৈরি হয়নি।
মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেলীতে 27টি পোড়ামাটির বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এ মন্দির রেখ দেউল রীতির। এখনকার রূপ বিশ্লেষণ করলে মনে হয় দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দীর কোনো এক সময় এ মন্দির নির্মিত হয়েছে।
আগেই বলেছি বর্তমানে এ মন্দিরের আনেক সংস্কার করা হয়েছে। বাইরের টেরাকোটার মূর্তিগুলি সিঁদুরে লেপটে গেছে। মূল দেবী মূর্তিও মুখোশ পরানোর ফলে আজ আর দৃষ্ট হয় না।
এখনও দুর্গাপূজার সময় ধূমধাম সহকারে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয়। এমন কি মহাষ্টমীর লগ্নে বলীও দেওয়া হয়। মা বর্গভীমা সে রক্ত পান করেন কিনা জানি না। বাইরের হাড়ি কাঠে লাল সিঁদুরের গভীর প্রলেপ। প্রতিদিন প্রহরে প্রহরে ভোগ দেওয়া হয়। আর আজকাল বিবাহ অন্নপ্রাশন উপনয়ন সব অনুষ্ঠানই সরাসরি এই মন্দিরে হয় মহাসমারোহে।
তাই দেবী বর্গভীমা আজ পূর্ব মেদিনীপুরের সবচেয়ে প্রাচীন জাগ্রত জনপ্রিয় দেবী। জনসমাগমে এ মন্দির টেক্কা দিয়েছে জেলার আর সব দেবদেবীকেই।
— সুস্নাত জানা
#তমলুক : পূর্ব মেদিনীপুর
ছবি ও পোস্ট : 🅺🆁🅸🆂🅷🅽🅴🅽🅳🆄 🅳🅰🆂
( #প্রিন্সিপাল_এডমিন)
আপনিও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম সম্পর্কিত ছবি পাঠাতে পারেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং আপনার সেই ছবি মনোনীত হলে আমরা আপনার নাম সহ আমাদের এই পেজে পোস্ট করবো।
এ ছবি পাঠানোর জন্য নিচের লিংক ক্লিক করুন
👇
https://chat.whatsapp.com/I4xsi4BNFBbHvS3vSFzy8K
আরও সুন্দর সুন্দর গ্রামের ছবি ও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে এই পেজটি লাইক করুন ।
#রূপনারায়ণের_পাড়ে
#রূপনারায়ণের_পাড়ে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক থানার অন্তর্গত নারায়নপুর বাস স্টপেজ থেকে পূর্বদিকে সরু পিচের রাস্তা চলে গেছে #রূপনারায়ন নদের পাড় বরাবর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এ রাস্তা সত্যিই খুব মনোরম। রাস্তার একপাশে রূপনারায়ন নদের বৈচিত্র এবং অন্যদিকে প্রকৃতির শোভা। এই পথ দিয়ে যেতে হলে অনেকগুলি গ্রাম পেরিয়ে যেতে হবে। নদী বাঁধের ধারে ছোট-বড় অনেক বাড়ি দেখতে পাবেন। এই নারায়নপুর বাস স্টপেজ থেকে কয়েক পা এগোলেই রূপনারায়ন নদ থেকে #প্রতাপ_খাল নামে একটি খাল পশ্চিমে বয়ে চলেছে। ছবিতে এই স্থানটি রূপনারায়ন নদ থেকে প্রতাপ খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত #গঙ্গা_মন্দির পার্শ্ববর্তী এলাকা। এখানে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি মালবাহী বড় বড় নৌকা আসা-যাওয়া করে ও মাল ওঠানামা করে । মালপত্র বলতে এখানে বিশেষ করে বালি ইট স্টোনচিপ এছাড়াও নানা রকম দ্রব্য আদান-প্রদানের উত্তম মাধ্যম এই স্থানের নৌকা গুলি । তবে স্থানটি বেশ নিরিবিলি। মালবাহী নৌকার খালাসী এবং সেই সকল কাজের সাথে যুক্ত লোকজন ছাড়া আর ছোট ছোট কয়েকটি খাবারের দোকানের লোকজন ছাড়া বিশেষ কেউ আসে না এখানে। তবে সকালের দিকে এবং বিকেলের দিকে কিছু বহিরাগত যুবক এসে সময় কাটান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য । যেহেতু নারায়নপুর বাস স্টপেজ সংলগ্ন এলাকা এবং বেশ নিরিবিলি তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ার কারণে যাতায়াতের কোনো অসুবিধা হয় না । লোকালয়ের এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও স্থানটি বেশ নিরিবিলি এবং মনে হবে যেন শহর থেকে কয়েক ক্রোশ দূরে আছেন। নৌকার খালাসিদের মালপত্র ওঠানো-নামানোর শৃঙ্খলা চোখে পড়ার মতো। দিনের যেই সময় যান না কেন দুই থেকে তিনটি রঙিন নৌকা নোঙ্গর করা অবস্থায় দেখতে পাবেন। আমি যতবার ছবি তুলতে গিয়েছি নিরাশ হইনি এমনকি কখনো কখনো সাত থেকে আট টা নৌকা নোঙ্গর করা থাকে। ছুটির দিনে বিকেলে ঘন্টাখানেক এই নিরিবিলি স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যেতে পারে।
নারায়নপুর :তমলুক : পূর্ব মেদিনীপুর

❤️ভালোবাসার শহর তমলুক ❤️
সেজে উঠেছে #তমলুক_শহর।।❤️
পূজা কার্নিভাল 2022 ❤️
Pujo Carnival 2022
শুক্রবার 7th October, বিকেল 5 টায় 🙏
❤️।
👉ছবি ও পোস্ট - কৃষ্ণেন্দু দাস

Nature
।
।
।
।

#রূপনারায়ণের_পাড়ে
#রূপনারায়ণের_পাড়ে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক থানার অন্তর্গত নারায়নপুর বাস স্টপেজ থেকে পূর্বদিকে সরু পিচের রাস্তা চলে গেছে #রূপনারায়ন নদের পাড় বরাবর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এ রাস্তা সত্যিই খুব মনোরম। রাস্তার একপাশে রূপনারায়ন নদের বৈচিত্র এবং অন্যদিকে প্রকৃতির শোভা। এই পথ দিয়ে যেতে হলে অনেকগুলি গ্রাম পেরিয়ে যেতে হবে। নদী বাঁধের ধারে ছোট-বড় অনেক বাড়ি দেখতে পাবেন। এই নারায়নপুর বাস স্টপেজ থেকে কয়েক পা এগোলেই রূপনারায়ন নদ থেকে #প্রতাপ_খাল নামে একটি খাল পশ্চিমে বয়ে চলেছে। ছবিতে এই স্থানটি রূপনারায়ন নদ থেকে প্রতাপ খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত #গঙ্গা_মন্দির পার্শ্ববর্তী এলাকা। এখানে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি মালবাহী বড় বড় নৌকা আসা-যাওয়া করে ও মাল ওঠানামা করে । মালপত্র বলতে এখানে বিশেষ করে বালি ইট স্টোনচিপ এছাড়াও নানা রকম দ্রব্য আদান-প্রদানের উত্তম মাধ্যম এই স্থানের নৌকা গুলি । তবে স্থানটি বেশ নিরিবিলি। মালবাহী নৌকার খালাসী এবং সেই সকল কাজের সাথে যুক্ত লোকজন ছাড়া আর ছোট ছোট কয়েকটি খাবারের দোকানের লোকজন ছাড়া বিশেষ কেউ আসে না এখানে। তবে সকালের দিকে এবং বিকেলের দিকে কিছু বহিরাগত যুবক এসে সময় কাটান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য । যেহেতু নারায়নপুর বাস স্টপেজ সংলগ্ন এলাকা এবং বেশ নিরিবিলি তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ার কারণে যাতায়াতের কোনো অসুবিধা হয় না । লোকালয়ের এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও স্থানটি বেশ নিরিবিলি এবং মনে হবে যেন শহর থেকে কয়েক ক্রোশ দূরে আছেন। নৌকার খালাসিদের মালপত্র ওঠানো-নামানোর শৃঙ্খলা চোখে পড়ার মতো। দিনের যেই সময় যান না কেন দুই থেকে তিনটি রঙিন নৌকা নোঙ্গর করা অবস্থায় দেখতে পাবেন। আমি যতবার ছবি তুলতে গিয়েছি নিরাশ হইনি এমনকি কখনো কখনো সাত থেকে আট টা নৌকা নোঙ্গর করা থাকে। ছুটির দিনে বিকেলে ঘন্টাখানেক এই নিরিবিলি স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যেতে পারে।
নারায়নপুর :তমলুক : পূর্ব মেদিনীপুর

আমাদের গ্রাম ।।
।
।
।
।

হলদিয়ায় নদীর পাড়ে ।।
।
।
।
।

বৃষ্টি ভেজা সকাল
Mecheda Central Bus stand ।।
।
।
।
।

দুর্গাপূজা পরিক্রমা ২০২২
মেচেদার সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের একটি দুর্গাপূজা তৈরীর কাজ চলছে ।।
।
।
।
।
।
।
।

দুর্গাপূজা পরিক্রমা ২০২২
মেচেদার সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের একটি দুর্গাপূজা তৈরীর কাজ চলছে ।।
।
।
।
।
।
।
।

বৃষ্টি ভেজা সকাল
তমলুক হাসপাতাল মোড়।।
।
।
।
।

বৃষ্টি ভেজা সকাল
তমলুক হাসপাতাল মোড়।।
।
।
।
।

রূপনারায়ণের পাড়ে ।।
তমলুক
।
।
।
।

তমলুক রেল স্টেশন এর সামনে ।।
তমলুক
।
।
।
।

Nature Beauty
।
।
।
।

Nature Beauty
।
।
।
।

কবিতা
দীঘা মানে
।
।
।
।

রূপনারায়ণের পাড়ে ।।
তমলুক
।
।
।
।

সকালের তমলুক রেলস্টেশন
।
।
।
।

বেলুড় মঠ
।
।
।
।




Photos from Krishnendu Das's post

এই অ্যালবামটি থেকে খুঁজে নিন আপনার এলাকার নামের কবিতা ।
যদি আপনার এলাকার নামের কবিতা খুঁজে না পান তাহলে আপনার এলাকার নাম নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
আমি সেই নামের কবিতা লিখে পোস্ট করব।
রেগুলার আপডেট পাওয়ার জন্য এই পেজটি লাইক করুন।

দীঘার ঝাউ বনে।

আজ দীঘার ঝাউবনে।
Anubhab
International Wildlife Film Show 2019
Series 4
Anubhab
International Wildlife Film Show 2019
Series 4
Anubhab
International Wildlife Film Show 2019
Series 4
Anubhab
International Wildlife Film Show 2019
Series 4




Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Tamluk
Tamluk
This page is the official page of the All Bengal Teachers' Association, Purba Medinipur District Bra
Tamluk, Purba Midnapur
Tamluk, 721649
We are the best on social media Math Shortcut method . We solve the all kind of math teaching by the
Tamluk, 721636
Welcome to Rajeshwari's makeover & Academy.AN ISO 9001:2015 Certified. Passionate about art and Spe
Bargabhima Mandir Para
Tamluk, 721636
THIS IS A PAGE OF EDUCATION ON BIOLOGICAL SCIENCE AND CULTURAL ACTIVITIES OUR WHATSAPP NUMBER 943418