কোচবিহারের এস.পি অফিসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ডেপুটেশানে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ ও ৪ জন ছাত্রী সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ,নারীদের উপর নিগ্রহ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ও ১০ দিন জেল হেফাজতে রাখার প্রতিবাদে
হুগলীর চুঁচুড়াতে ধিক্কার মিছিল
ছাত্র ঐক্য Chatra Oikya
Nearby schools & colleges
Firozabad 283203
Baramula 193301
Sector15-A Kaimiri Road, Hisar
Dehra Dun 248001
Skemiai
Guntur 524142
Pharenda 273157
Khagaria 851205
Shahupuri, Kolhapur
Lucknow 226025
Tulsi Nagar Buldana, Buldana
Jodhpur
Delhi 110026
Hs Kariya Zone Batote District Ramban, Skemiai
Gonda
Struggle - Unity - Progress
Operating as usual

কোচবিহারের এস.পি অফিসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ডেপুটেশানে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ ও ৪ জন ছাত্রী সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ,নারীদের উপর নিগ্রহ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ও ১০ দিন জেল হেফাজতে রাখার প্রতিবাদে আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধিক্কার সভা ও মিছিল সংগঠিত হয়।
AIDSO—পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে ১৯ আগষ্ট রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা শহরে ধিক্কার মিছিল, ২৩ আগষ্ট কোচবিহার জেলা ছাত্র ধর্মঘট এবং কলকাতা ও শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় মিছিল সফল করুন।

কোচবিহারে এস পি অফিসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচীতে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ ও ৪ জন ছাত্রী সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নারীদের উপর নিগ্রহ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা এবং ১০ দিন জেল হেফাজতে রাখার প্রতিবাদে সোচ্চার হোন
গত ১৬ ই আগস্ট কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি কলেজে ফি বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনে শাসক দলের মদতে পুলিশ প্রশাসন নৃশংসভাবে আক্রমণ নামিয়ে আনে এবং একজন পুলিশ অফিসার ও সিভিক ভলান্টিয়ার এআইডিএসও কর্মী, কলেজ ছাত্র সুজয় বর্মনকে গলা টিপে ধরে । সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে সুজয় বর্মন। প্রায় ৪ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফেরে। আশঙ্কাজনক ভাবে সুজয় বর্মন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দোষী পুলিশদের শাস্তির দাবীতে ১৭ আগষ্ট কোচবিহার এসপি অফিসে বিক্ষোভে পুনরায় চালানো হয় নৃশংস পুলিশী আক্রমণ। শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল এসপি অফিসে পৌঁছালে পুলিশ অতর্কিত ভাবে নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রী কর্মীদের উপর চড়াও হয়। ছাত্রছাত্রীদের পোষাক ধরে টানাটানি, অশ্লীল গালিগালাজ, ও ব্যাপকভাবে লাঠিচার্জ করে। নিস্তার পায়নি মহিলা কর্মীরাও, পুরুষ পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হয় তারাও। পুলিশ খুবই আক্রমনাত্মক মনোভাব নিয়ে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে ছাত্রছাত্রী ও AIDSO কর্মীদের। দুই ছাত্র সুনির্মল অধিকারী ও দেবাশিস অধিকারীকে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। তাদেরকে এস পি অফিসের ভিতরে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। দুইজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। থানায় বার বার বলার পর পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজে পাঠায়, ডাক্তার গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থা বুঝে ভর্তি রেখে চিকিৎসা শুরু করেন। হলদিবাড়ি ও কোচবিহারে পুলিশের এই বর্বরোচিত আক্রমণকে নিন্দা জানিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে ১৮ আগষ্ট কোচবিহার জেলা জুড়ে ধিক্কার দিবস পালিত হয়।
১৩ জন ছাত্র ছাত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নারীদের উপর নিগ্রহ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে এবং কোর্টের তোলার পর ১০ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কমরেড মণিশংকর পট্টনায়ক বলেন- "রাজ্যের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকদের কাছে আমাদের আবেদন পুলিশের এই ন্যক্কারজনক, পৈশাচিক আক্রমণ এবং আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের মিথ্যা মামলায় জামিন অযোগ্য ধারায় কেস দেওয়ার প্রতিবাদে সোচ্চার হোন। পশ্চিমবাংলার জনগণ এআইডিএসও'র ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের সাথে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গবাসী জানেন, আমাদের সংগঠন এআইডিএসও ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকে কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে নীতিহীনতার চর্চা করেনি। সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার কোন ইতিহাস নেই। অথচ পুলিশ প্রশাসন আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর অশালীন আচরন ও সন্ত্রাস সৃষ্টির একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। পুলিশের এই অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও শাসকদলের মদতপুষ্ট। আমরা নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি প্রশাসনের এই ভূমিকা রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশ প্রশাসনের এই ভূমিকা শুধুমাত্র AIDSO'র ছাত্রছাত্রীদের উপর নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর, মানুষের যে কোন ধরনের প্রতিবাদের উপর নির্মম আক্রমণ। একে রুখতে আমরা সকল ছাত্র শিক্ষক অভিভবক ও সমস্ত পেশার মানুষদের কাছে জোট বেধে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন করছি ৷ কোচবিহারের এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৯ আগষ্ট রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা শহরে ধিক্কার মিছিল এবং ২৩ আগষ্ট কোচবিহার জেলা ছাত্র ধর্মঘট এবং কলকাতা ও শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের আহ্বান জানাচ্ছি৷"
-সংবাদদাতা
শম্পা শিরিন
৯৫৯৩১২৯১০৭

শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণ, কেন্দ্রীকরণের নীলনক্সা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিলের দাবিতে সারা দেশজুড়ে এক কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে হুগলি জেলার বেহুলা,সিঙ্গুর সহ বিভিন্ন জায়গায় স্বাক্ষর সংগ্রহের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের বার্তা নিয়ে যাচ্ছে AIDSO কর্মীরা। তার সাথে সাথে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিলের দাবিতে আগামী ১৪সেপ্টেম্বর ছাত্র বিক্ষোভ মিছিলের প্রচারও চলছে।
হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়া বড়বাজারে গুপ্তিপাড়া লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ২৫-৩১ জুলাই "সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ও সরকারি স্থায়ী কর্মসংস্থান বাঁচাও সপ্তাহের" বিবিধ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় একটি পথসভায় বক্তব্য রাখছেন AIDSO পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সুরজিৎ সামন্ত।

ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের আপোষহীন ধারার বীর বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

AIDSO হুগলী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে চুঁচুড়া শহরের কিশোর প্রগতি সংঘ হলে "ছাত্র জীবনে রাজনীতি করা উচিত কি?" এই বইটির উপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এআইডিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড মনিশংকর পট্টনায়ক। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন এই আলোচনা সভায়। প্রশ্ন-উত্তরের ভিত্তিতে অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে এই আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়।
AIDSO হুগলী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে চুঁচুড়া শহরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রতিবাদে এবং এসএসসি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক মিছিল হয় এবং রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। প্রতিলিপিতে অগ্নিসংযোগ করেন এ আই ডি এস ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড মণিশঙ্কর পট্টনায়ক।
এআইডিএসও গুপ্তিপাড়া লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে গুপ্তিপাড়া বড়বাজারে রবীন্দ্র নজরুল স্মরণে অনুষ্ঠান।
_________

বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য
............................................................................
" আমি কবি বলে বলছিনে, আপনাদের ভালবাসা পেয়েছিলাম সেই অধিকারে বলছি- আমায় আপনারা ক্ষমা করবেন আমায় ভুলে যাবেন। বিশ্বাস করুন আমি কবি হতে আসিনি, আমি নেতা হতে আসিনি, আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম, প্রেম পেতে এসেছিলাম। সেই প্রেম পেলাম না বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চির দিনের জন্য বিদায় নিলাম।".........
(নজরুল ইসলাম)
নজরুল জন্মসূত্রে মুসলিম হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। পড়াশোনায় তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী।স্কুলে পড়ার সময়ে সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রমোশন পেয়ে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় বিখ্যাত সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের। নজরুল ছিলেন একেবারে সহায় সম্বলহীন, আর শৈলজানন্দ রায়, সাহেব মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের নাতি। শৈলজানন্দ বলেছেন-"পাশাপাশি দুই স্কুলে একই ক্লাসে পড়েছি আমরা। আমি রানীগঞ্জে, নজরুল সিয়ারসোল রাজার ইস্কুলে। মাইল দুয়েকের ছাড়াছাড়ি। থার্ড ক্লাস শেষে মিললাম দুজনে। আমি হিন্দু ও মুসলিম, আমি লিখি কবিতা-- আশ্চর্য হচ্ছ--ও লেখে গল্প।সেই টানে মিললাম, যে টানে ধর্মাধর্ম নেই, বর্ণ বর্ণ নেই, সৃষ্টির টান- সাহিত্যের টান। দুজনেই রোজ একসঙ্গে মিলি,ঘুরে বেড়াই, গল্প করি, স্কুল পালাই গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ধরি, ধরি ই- আই আরের লাইন।কোন দিন বা চলে যাই শিশুশালের অরণ্যে"।
দেশ তখন আন্দোলনের তরঙ্গে উত্তাল। নজরুল, সেনাব্যারাক থেকে দেশপ্রেমের অফুরন্ত প্রাণপ্রাচুর্য নিয়ে ফিরেছেন। কেবল যুদ্ধের কলাকৌশল আয়ত্ত করাই নয়, নজরুল নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে যুক্ত করার জন্য। এই সময় নজরুলের এক বন্ধু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন-“এই পরিস্থিতিতে আপনার কর্তব্য কী বলে আপনি মনে করেন? শুধুই সাহিত্য করবেন নাকি রাজনীতি করবেন?”
নজরুল পরিষ্কার ভাষায় জানালেন ,"রাজনীতি যদি না করব যুদ্ধে গিয়েছিলাম কেন?"নজরুল বললেন, “আমার রাজনীতিকে সাহিত্যায়িত করব,কবিতা লিখবো, গান লিখবো ,যেমনভাবে দরকার আমি গান করবো, নিজে গাইবো, মানুষকে গাইয়ে নিয়ে বেড়াবো, চারণ হবো আমি। ঘুমন্ত মানুষগুলোকে জাগাতে হলে যত রকমের পদ আছে সব দিক দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বদেশীয় সশস্ত্র সংগ্রাম পরাধীন জাতিকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। এসময় সংবাদপত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসন শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিচ্ছবিকে তুলে ধরে আন্দোলনকারীদের সামনের সঠিক আদর্শ ও নীতি উপস্থাপনার কাজটা সব থেকে জরুরি ছিল। আবুল কাশেম ফজলুল হকের প্রেসে একটি সংবাদপত্র ছাপানোর সিদ্ধান্ত হলো। দু-তিনদিন বৈঠকের পর ফজলুল সাহেব বললেন - “সংবাদপত্রের নামটি আরবী নামে হবে।” নজরুলের বললেন- “কাগজটা হিন্দু না মুসলমান কারা চালাচ্ছে সেটা বড় কথা নয় আসল কথা হলো হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কথা সমস্বরে ফুটে উঠছে কিনা। আসলে যারা কাগজ কিনবে তাদের নিজেদের কাছে হিন্দু-মুসলমান পরিচয়টা বড় পরিচয় নয়।” শৃঙ্খলিত,অবহেলিত দেশবাসীর কাছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর তারা দেখতে চায় কোন প্রতিষ্ঠান তাদের বুকের ব্যথা কে প্রকাশ করছে। এক্ষেত্রেও ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নজরুলকে আপোষহীন সংগ্রাম করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কাগজের নাম ঠিক হলো ।
নজরুল ইসলামের জীবন এবং তার জীবনের সংগ্রাম এইটুকু লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবুও আজ আমাদের যাত্রা শুরু করতে হবে যেখানে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের মতো মানুষেরা শেষ করেছেন সেখান থেকে। আমাদের দেশের নবজাগরণের মনীষীরা যে পর্যন্ত সমাজ-সভ্যতা সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সংস্কৃতি সূত্র ধরেই আজ আমাদের গড়ে তুলতে হবে উন্নত সর্বহারা সংস্কৃতি। কেবলমাত্র নজরুল, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে অথবা মৃত্যু দিনে তাদের ছবিতে মাল্যদান করাটাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলে চলবে না। তাদের জীবনের সংগ্রাম তাদের চিন্তা-ভাবনা মানুষের প্রতি বেদনাবোধ জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে আপন করে নেওয়ার যে চিন্তা সেগুলি আমাদেরকে আয়ত্ত করতে হবে। কাজের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার মধ্যে দিয়েই আমরা নজরুলের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারি। এবং এই দায়িত্ব তুলে নিতে অগ্রনি হতে হবে আমাদের ছাত্রসমাজকে। নতুনের জয়গান এর পতাকা তাদেরই বহন করতে হবে। কবির কথায় --
"জরাগ্রস্ত পুরাতন পৃথিবী চেয়ে থাকে যুগে যুগে তোমাদের এই কিশোরদের এই তরুণদের পানে।....... তোমাদের আত্মদানে তোমাদের আয়ুর বিনিময় হবে তার মুক্তি......।"
ছাত্র ঐক্য Chatra Oikya

আপোষহীন ধারার মহান বিপ্লবী বসন্ত বিশ্বাসের আত্মোৎসর্গ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য
.............................................................................
আজ বিপ্লবী বসন্ত বিশ্বাসের শহীদ দিবস। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের কথা বললে যাদের কথা প্রথমেই আসে তাদের মধ্যে বসন্ত বিশ্বাস অন্যতম। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।তার দুচোখে ছিল দেশকে স্বাধীন করার একমাত্র সংকল্প। তিনি নদীয়া জেলার পোড়াগাছা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।তার পিতার নাম মতিলাল বিশ্বাস। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দিগম্বর বিশ্বাস যিনি নীলবিদ্রোহে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে মুড়াগাছা সর্বার্থ সাধক বিদ্যালয়ে রূপলাল খাঁর তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তার শিক্ষক ছিলেন ক্ষীরোদচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রভাবেই তিনি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। সেই সময় যুগান্তর দলের কর্মী অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তার পরিচয় হয়। এই দলেরই নেতা রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে সশস্ত্র বিপ্লবী কর্মকান্ডে দীক্ষা নেন তিনি। দিল্লিতে বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনাকে সফল করে তোলার জন্য ১৯১১ সালের শেষের দিকে বসন্ত বিশ্বাসকে নিয়ে রাসবিহারী বসু চন্দননগর থেকে দেরাদুনে গিয়েছিলেন। সেখানে বসন্ত বিশ্বাসকে বোমা ছোড়ার কৌশল রপ্ত করিয়েছিলেন রাসবিহারী বসু। এরূপ অবস্থায় ১৯১২ সালের ২৩শে ডিসেম্বর ঘটে গেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী অভিযান। ১৯১১ সালে ভারতের বড়লাট দিলির দরবারে ঘোষণা করেন যে ১৯১২ সালে ভারতের সমস্ত প্রভাবশালী ও বিত্তবান ব্যাক্তিকে নিয়ে তিনি শোভাযাত্রা করবেন। ১৯১২ সালের ২৩শে ডিসেম্বর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রা যখন কুইন্স গার্ডেন থেকে চাঁদনী চক হয়ে দেওয়ান ই আমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তখন সকল মানুষ এই শোভাযাত্রা সোৎসাহে দেখছেন। বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ এই শোভাযাত্রায় সস্ত্রীক হাতির পিঠে বসে অংশগ্রহণ করেছিলেন,কিন্তু সেই অগুনতি ভিড়ের মধ্যেই হাতে এক পাউন্ড এগারো আউন্সের বোমা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন দুই দুঃসাহসিক বিপ্লবী। ২৬ বছরের রাসবিহারী বসু ও ১৬ বছরের বসন্ত বিশ্বাস। সেই সময় স্ত্রীলোকের পোশাকে লীলাবতী নাম নিয়ে এক ষোড়শী বালিকার ছদ্মবেশ ধারণ করে বড়লাটকে মারার জন্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ভবনে অপেক্ষা করছিলেন বসন্ত বিশ্বাস।সেই সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাংকভবন থেকে বড়লাটকে লক্ষ্য করে এক পাউন্ড এগার আউন্সের একটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বড়লাট বেঁচে যান কিন্তু তার একজন চৌকিদার মারা যান। বিপ্লবীদের এই দুঃসাহসিক কার্যকলাপ ব্রিটিশ সরকারের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় পুলিশ দোষীকে খোঁজার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। গোটা দেশজুড়ে ব্রিটিশরা খানাতল্লাশি চালিয়েছিল তাদেরকে খুঁজে পেতে। কিন্তু যুগান্তরের এই বীর বিপ্লবীকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে খুঁজে নাগালের মধ্যে আনতে পারেনি তারা।এমনকি তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে ব্রিটিশ পুলিশ এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতিতে রাসবিহারী বসু ও বসন্ত বিশ্বাস গা ঢাকা দিতে দেরাদুনে পালিয়ে যান। এই সময় পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে দেরাদুনে দিল্লিতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেই প্রতিবাদী সভাতেও বসন্ত বিশ্বাস ঘটনাটির নিন্দা করে বক্তব্য রাখলেন। এমনকি বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ও সুর চড়িয়ে ছিলেন তিনি। তার বক্তব্য শুনে সাময়িকভাবে ব্রিটিশ পুলিশ তার প্রতি সন্দেহ করা বন্ধ করেছিল কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। এর মধ্যেই তিনি তার পিতাকে হারিয়েছেন।1914 সালের 26 শে ফেব্রুয়ারি পিতার শেষকৃত্যের সময় ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতায় কৃষ্ণনগর থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। 1914 সালের 23শে মে দিল্লি লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা শুনানি শুরু হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু সরকার তাকে যাবজ্জীবনের বদলে মৃত্যুদণ্ড দিতেই অধিক আগ্রহী ছিল, সেই কারণে লাহোর হাইকোর্টে একটি আপিল দাখিল করা হয় ও বিচারের নামে প্রহসন করা হয়। তার বয়স দুবছর বাড়ানোর চেষ্টা করা হয় ফাইলে কারচুপি করে এটা প্রমাণ করার জন্য যে তিনি তার কৃত অপরাধের গুরুত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবহিত ছিলেন । এর ফলে তার মৃত্যুদন্ডই প্রাপ্য। অতএব তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। ব্রিটিশ শাসিত ভারতের পাঞ্জাবের আম্বালাতে 1915 সালের 11ই মে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। অত্যাচারী ব্রিটিশরা বসন্ত বিশ্বাসের প্রাণ কেড়ে নিলেও তার আত্মবলিদান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে স্বমহিমায়। বিংশ শতকে যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সবথেকে কম বয়সে দেশের মুক্তির জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে স্বর্ণাক্ষরে রয়ে গিয়েছে এই বঙ্গসন্তানের নাম। শুধু ভারতেই নয়, ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে সুদূর টোকিওতেও তার উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ।টোকিওর মাদাম তেতসু কোং হিওচির বাগানে তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাসবিহারী বসু ফলক নির্মাণ করিয়েছিলেন।যার দু-চোখে থাকে এমন রক্তচক্ষু দীপ্তি আর বুকে জ্বলজ্বল করে দেশকে স্বাধীন করার একমাত্র সংকল্প অগ্নিযুগের সেই মহান বিপ্লবীর প্রয়াণ দিবসে আমাদের সকলের অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
ছাত্র ঐক্য Chatra Oikya

"শতাব্দীর সূর্য আজি রক্ত মেঘ মাঝে/
অস্ত গেল, হিংসার উৎসবে আজি বাজে/
অস্ত্র অস্ত্র মরণের উন্মাদ রাগিনী/
ভয়ংকরী।"
কবিগুরুর সার্ধশতবর্ষ পার হয়ে গেলেও কবির কবিতার প্রতিটি শব্দ যেন আজও চোখের সামনে স্পষ্ট। হিংসা, স্বার্থপরতা, মৃত্যু, অস্ত্র আর যুদ্ধের গন্ধ চারিদিকে। তারই মাঝে আজ পালিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। তবে শুধুই রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা, বক্তৃতা, বড় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হলে তা হয়ে পড়বে আনুষ্ঠানিক। জীবনে চলার পথে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্য থেকে পাওয়া শিক্ষা আমাদেরকে যদি না ভাবায়, আমাদের বিবেককে, মনুষ্যত্বকে যদি নাড়া না দেয় এবং বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমাদেরকে ক্রিয়াশীল করে তুলতে না পারে, তবে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন বৃথা হয়ে যাবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম এক বিশেষ পরিস্থিতিতে। যখন নবজাগরনের মধ্য দিয়ে নতুন সমাজের ও চিন্তার ক্ষেত্রে নতুন ধরনের মানুষের অভ্যুত্থান ঘটছে ।এরই পাশাপশি কবিতায়-গল্পে-গানে সেই চিন্তার প্রকাশ ঘটতে থাকে। পরবর্তী সময়ে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দেশকে স্বাধীন করার আকাঙ্ক্ষায় বহুমানুষ প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা করতে থাকেন। এরই মধ্যে ঘোষিত হয় বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব। বাংলা ভাগ! এই প্রস্তাবে গোটা বাংলা ক্ষোভে ফেটে পড়ছে, একে ভিত্তি করে সমস্ত বাংলার মানুষ এক হয়ে দাঁড়াল। সংগ্রামী মানুষের প্রতিনিধি সুরেন ব্যানার্জি বললেন- “We will unsettle the settled fact.” মেয়ের অসুস্থতা-মৃত্যু উপেক্ষা করেও এই বঙ্গভঙ্গের চক্রান্তের বিরুদ্ধে নিজে বাড়িতে মিটিংও করেছিলেন কবিগুরু অনেক আগেই। পরবর্তীতে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় 'রাখি বন্ধন' এর ডাক দিলেন। কলকাতার মাঠে বসে স্বদেশী গান গাইলেন- "বাংলার মাটি, বাংলার জল.." আবার এরই মধ্যে তাঁর দৃষ্টি পড়ল সাধারণ মানুষের কিছু ঘটনার উপর, যা দেখে দুঃখে বেদনায় তিনি ভেঙে পড়লেন। তিনি দেখলেন, যে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে গোটা বাংলা লড়ছে কিন্তু এই বাংলায় আবার মুসলমান- হিন্দু-খ্রিস্টান-শূদ্র-ব্রাহ্মণ এর ভেদাভেদ একাধিক মানুষের চিন্তার মধ্যে রয়ে গেছে। মুখে সকলেই বলছেন- "একই সূত্রে গাঁথিয়াছি সহস্র মন।" কিন্তু আসলে তা সবাই করতে পারেননি। এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মনুষ্যত্ব-মানবিকতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ এগিয়ে এসেছিলেন। শুধু তাই নয় দিকে দিকে মানুষের জীবনযন্ত্রণা, গরীবের ওপর ধনীদের শোষণ, ধর্মের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বেড়াজাল ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যবাদীদের বিভৎস রূপ দেখে তিনি ছটফট করতেন, যা তাঁর গানে ও কবিতায় বার বার প্রকাশ পেয়েছে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বলেছিলেন - "নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস/ শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস/ বিদায় নেবার আগে তাই/ ডাক দিয়ে যাই/ দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে/ প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে।"
তিনি একসময় বলেছিলেন -“আমাদের ভারতবর্ষীয় সঙ্গীত মুসলমানেরও বটে, হিন্দুরও বটে। তাহাতে উভয় জাতীয় গুনীরই হাত আছে ;... চিত্র,স্থাপত্য,বস্ত্রবয়ন, সুচিশিল্প,ধাতু দ্রব্য নির্মাণ, দম্ভকার্য,নৃত্য,গীত ও রাজকার্য মুসলমানের আমলে ইহার কোনোটাই একমাত্র মুসলমান বা হিন্দুর দ্বারা হয় নাই ; উভয়ে পাশাপাশি বসিয়া হইয়াছে।” কিন্তু আজ ধর্মের মোহে ধর্ম ব্যবসায়ীরা কবির এই কথার বিরোধী। এদের কর্মকাণ্ড সমাজের ক্ষতি করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন সংঘবদ্ধ সংগ্ৰাম করা প্রয়োজন। শুধুমাত্র শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত না রেখে কবি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারায় ইংরেজ বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার নিয়ে লড়েছিলেন। ভারত রক্ষা আইন, রাওলাট আইন ও জালিয়ানাওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং হিজলী জেলে ইংরেজ কর্তৃক বিপ্লবীদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ও আন্দামান জেলে স্বাধীনতা আন্দোলনের বন্দীদের মুক্তি আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন ,এমনকি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদও করেছেন। ইংরেজদের দেওয়া সম্মান নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেছেন। তাঁর কবিতা ও গান তৎকালীন সময়ে বিপ্লবীদের প্রেরণা দিত। তিনি সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার পরিবেশ দেখে ' জীবনের শ্রেষ্ঠ তীর্থ দর্শন' বলেছিলেন।
আজ আমরা প্রবল সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি । যেখানে নারীর লাঞ্চনা, বৃদ্ধ মা-বাবার অবমাননা, শিশুদের মৃত্যু প্রতিমুহূর্তে ঘটছে। আজ স্বাস্থ্য-শিক্ষা-খাদ্য এমনকি মনুষ্যত্ব-মানবিকতার সংকট পর্যন্ত দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে এ সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত করতে , নতুন প্রজন্মকে বারবার শক্ত হাতে ধাক্কা দিতে হবে এই পচা গলা সমাজের ভিতকে । পুরনো ভিত ফেলে নতুন-সুন্দর-শক্ত ভিত গড়তে হবে। কবিগুরুর ভাষায় তাই বলতে চাই " ..এইসব মূঢ় ম্লান মূক মুখে দিতে হবে ভাষা/ এইসব শ্রান্ত, শুষ্ক ভগ্ন বুকে ধনিয়া তুলিতে হবে আশা/ ডাকিয়া বলিতে হবে, যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তোমা চেয়ে/ যখনি জাগিবে তুমি তখনি সে পালাইবে ধেয়ে।"
ছাত্র ঐক্য Chatra Oikya
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Serampore
Serampore
Science based educational fb page for students that provides mcqs on Biology, Chemistry, Computer science and Mathematics
Mahesh Colony
Serampore, 712202
All types of Bridal make up & Party make up done here at a reasonable price with care
Belting Bazar Lane
Serampore
We Train-Abacus,Art,Basic Computer,Chess,Guitar,Karate,Table Tennis,Modern Singing,Roller Skating,Ve
89 G T Road
Serampore, 712203
Hello guys! Welcome to my page. Here you will get all notifications of my upcoming videos on youtube
7/A, B. P. Dey Street, 1st Floor , Above Axis Bank
Serampore, 712201
ICA Edu Skills is the leading training institute in Accounts, Finance, and Taxation. With the presence of over 100 cities in India, it offers the widest range of Job guarantee CIA courses with the support of practical skill-building training programs
Serampore, 712201
I welcome you on behalf of the Department of Retail Management, Serampore College and thank you for showing your interest in us.
77/K, MUKHERJEE PARA, POST. - CHATRA
Serampore
CSIR NET Life Sciences, NEET BIOLOGY and other entrance examination preparation page
Serampore, 712203
Teaching Students since 2000, from rosebud nursery to class 10. Contact for further details.
Dakshin Rajyadharpur, Near Nursary More
Serampore, 712201
L&T-Construction Skills Training Institute (CSTI) at Serampore provides Job Linked Free Skill Develo
9, -A, Raja Rammohan Roy Sarani
Serampore, 712201
An Institute of Modern Astrology & Allied Studies. Courses Offered Astrology, Vastu, Palmistry, Nume
512 (26/B) RM Sarani
Serampore, 712203
Vashishth Narayan Institute of Mathematics & Science (VNIMS) is a premier Mathematics & Science focu