Dakshineswar Shayak Library was founded in 8th September,1996 and till today, it is helping undergraduate students by providing renowned textbooks of many subjects.
Our library has a precious collection of thousands of valuable & rare books with a view to provide the members unbeatable level of knowledge & proper guidance in numerous fields & subjects such as -1)English,2)Bengali,3)Geography,4)History,5)Commerce.6)Chemistry,7)Physics,8)Mathematics,9)Zoology,10)Physiology,11)psychology,12)Political Science,13)Education,14)Economics,15)Botany 16)Computer Science 17) Sociology 18)Nutrition 19)Journalism 20)MBA 21)Economics and more...
Operating as usual
''ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত''
২১শে মার্চ...
আজ নীলাদ্রির জন্মদিন। নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্যর জন্মদিন আমাদের লাইব্রেরির জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সুস্থ স্বাভাবিক স্বপ্নময় কলেজ পড়ুয়া এক তরুন পথ দূর্ঘটনায় অকালে বাবা মায়ের কোল খালি করে চলে গিয়েছিলো একদিন হঠাৎ। শোকস্তব্ধ ব্যকুল বাবা মা হন্যে হয়ে যুঝছিলেন বুকের মাঝে হাহাকার নিয়ে আর খুঁজছিলেন এমন কিছু যেখানে তাঁদের সন্তানের স্মৃতি অমর হয়ে থাকতে পারে। যেখানে শোক সন্তাপ ভুলে কাজের আনন্দে সন্তানের অস্তিত্ব অনুভব করা যাবে।
'কলকাতা কড়চা' আমাদের লাইব্রেরির কথা ছেপেছিলো। শিশুবিকাশ স্কুলেই তখন লাইব্রেরি চলছে। নীলাদ্রির বাবা শ্রী গণেশ ভট্টাচার্য এবং মা শ্রীমতি মীরা ভট্টাচার্য্য-র চোখে পড়েছিলো এই সংবাদ। ওনারা এলেন। অকালে চলে যাওয়া স্নাতক পড়ুয়া নীলাদ্রির ছোঁয়া পেতে চান প্রায় সমবয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। তাদেরই তো এই লাইব্রেরি! অতএব স্থির হ'ল এই স্নাতক পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের সুবিধার জন্য নীলাদ্রি ভট্টাচার্য স্মৃতি সংগ্রহ শায়কের প্রচলিত পরিকাঠামোয় সংযোজিত হ'বে।
২১ শে মার্চ ১৯৯৯। নীলাদ্রির জন্মদিনেই শুরু হয় দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরির সাথে 'ঁনীলাদ্রি ভট্টাচার্য স্মৃতি সংগ্রহ'-র সহযাত্রা।
শিশুবিকাশ স্কুল থেকে লাইব্রেরি ২০০০ সালে চলে যায় বর্তমান স্থায়ী ঠিকানায়। সঙ্গে নীলাদ্রির স্মৃতিতে তৈরি সংগ্রহশালার প্রচুর বই ও আলমারি।
ভবনের জীর্ণতার সংস্কারের প্রয়োজন প্রকট হ'তে ২০১১ সাল নাগাদ ভবনের পরিমার্জনা সহ দ্বিতল নির্মান হয়। এই ভবনের দোতলায় একটি বড় পাঠকক্ষও সেই সাথে নির্মিত হ'ল।
২১শে মার্চ ২০১২। পাঠকক্ষ চিহ্নিত হয় ঁনীলাদ্রি ভট্টাচার্য স্মৃতি পাঠকক্ষ হিসাবে।
এমন ভাবেই নীলাদ্রি ও দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি ওতোপ্রোতো, অবিচ্ছেদ্য! বজায় থাকুক এই যৌথযাপন। উপকৃত হোক স্নাতক পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকগণ। সমৃদ্ধ হোক সমাজ। এই বসন্তদিনেই তো ফুল হয়ে ফোটার প্রত্যাশায় পৃথিবীতে নীলাদ্রির আবির্ভাব!.. আজ 'শতপুস্প বিকশিত' হয় তাঁরই স্মৃতিতে! সেই ফুলের পরাগে প্রাণসঞ্চার হোক সকল শুভনির্মানে। সেই ফুলের আবিরে রঙিন হোক চরাচর।
...কলমে সৌরভ দেববর্মন
বিসর্জনের মুহূর্তে...
সরস্বতী পূজোর খাওয়া- দাওয়া || ২০২২
সরস্বতী পুজো 2k22🙏
লাইব্রেরিতে সরস্বতী পূজা চলছে।
খবরের কাগজ কাটিং থেকে...
পদযাত্রার কিছু টুকরো মুহূর্ত...
আজ ২রা জানুয়ারি, শায়ক লাইব্রেরির সামনে থেকে পদ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।
আগামীকাল পদযাত্রা, কাজ চলছে পুরো দমে...
আজ আনন্দবাজার পত্রিকার কলকাতার কড়চা বিভাগে প্রকাশিত লাইব্রেরির খবর...
সকলে আসুন, একটা দিন লাইব্রেরির জন্য হাঁটি...
দেখতে দেখতে ২৫ বছরের যুবক আমাদের লাইব্রেরি, সাথে বাড়ছে প্রচার ও প্রসার, এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে সকলকে একাত্ম হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে...
https://fb.watch/9Xd4Lhcc52/
কোভিড পরিস্থিতিতে সাত মাসের বেশি সময় লাইব্রেরি বন্ধ থাকার পর , আজ থেকে লাইব্রেরি পথ চলা আবার শুরু হলো, এখন থেকে সপ্তাহে দুদিন বৃহ:স্পতিবার সন্ধ্যে ৭.৩০-৯.০০ টা ও রবিবার সকাল ১০.০০-১২.৩০ পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে..
আজকের কিছু টুকরো ছবি...
কোভিড ও লকডাউনের পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন লাইব্রেরি পরিষেবা স্থগিত থাকার পর...
আগামী ৫ই ডিসেম্বর ২০২১(রবিবার) থেকে লাইব্রেরি পুনরায় পরিষেবা প্রদান করবে..
এমতাবস্থায় আগত সকল সদস্য/সদস্যা ও
পাঠক/পাঠিকাদের যথাযথ কোভিড বিধি অনুসারে পরিষেবার সাথে সংশ্লিষ্ট হ'তে অনুরোধ করা হচ্ছে।
কলমে - সৌরভ দেববর্মণ
শায়কের রথে শায়কের পথে...
'আমরা কাজ করি আনন্দে'
সাল- ১৯৮৯, আত্মপ্রকাশ লিটল্ ম্যাগাজিন হিসাবে। তারপর সারদাস্কুলে ফ্রী কোচিং সেন্টার, এসবের মধ্যে দিয়ে বিক্ষিপ্ত অগ্রগতি হওয়ার পর স্বাভাবিক থমকে যাওয়া। লাইব্রেরি হিসাবে আত্মপ্রকাশের সময়টা থেকে ধরেই আড়াই দশকের গ্রন্থাগার 'দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি'-র পথচলা যা- আজও অব্যাহত। স্নাতক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের এই লাইব্রেরির কোনো স্থায়ী ঠিকানা ছিলোনা। শ্রী অভিজিৎ রায় এবং শ্রীমতি অবন্তিকা রায়ের সৌজন্যে বিন্ধ্যবাসিনীতলায় শিশুবিকাশ স্কুলের অফিস ঘরে লাইব্রেরির পথচলা শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর। প্রচার ও প্রসার বাড়তে থাকে। আজকাল পত্রিকাতে ও আনন্দবাজার পত্রিকার কড়চায় শায়কের লাইব্রেরির খবর বেরোয়। শ্রদ্ধেয় গণেশ ভট্টাচার্য মহাশয় ও শ্রীমতি মীরা ভট্টাচার্য্য মহাশয়া এভাবেই শায়কের কর্মকান্ডে সামিল হ'ন। তাঁদের অকাল প্রয়াত পুত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে ঁনীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য স্মৃতি সংগ্রহের উদ্বোধন হ'ল ১৯৯৯ সালের ২১শে মার্চ। শিশুবিকাশ স্কুলে স্থানাভাব ও নানান সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন শ্রী দিব্যেন্দু বিষ্ণু এবং শ্রীমতি লীলা বিষ্ণু। এখন যে স্থায়ী ঠিকানা শায়কের, সেই ১১ নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জি স্ট্রিটের 'ডাঃ রবীন্দ্রনারায়ণ গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবন' এনাদেরই মহতি সৌজন্য দান যা ২০০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর।
২০০৫ সাল নাগাদ একতলায় একটি নতুন কক্ষ নির্মিত হ'ল। অপরিহার্য ছিলেন আমাদের অত্যন্ত্য আপনজন, মাস্টারমশাই শ্রী রথীন্দ্রনাথ মিত্র। শুধু শায়কের অভিভাবক নয় রথিন বাবু ছিলেন দক্ষিণেশ্বর-আড়িয়াদহ অঞ্চলেরই শুভচিন্তক। তাঁর প্রয়াণের পর ২০০৬ সালের ১৪ই মে ভবনের নবনির্মিত কক্ষটি "রথীন্দ্রনাথ মিত্র স্মৃতি কক্ষ" হিসাবে চিহ্নিত হয়।
বাড়তে থাকে লাইব্রেরির পরিষেবা। ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনে লাইব্রেরি তাদের প্রিয়জনে পরিণত হয় অচিরেই। সাধারন মানুষের অকৃপণ সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারী কিছু অনুদান এবং বিধায়ক তহবিলের কিছু আর্থিক সাহায্যে ভবন দোতলা হ'ল এবং একটি পাঠকক্ষ নির্মিত হ'ল যা ২০১২ সালে ২১ শে মার্চ "নীলাদ্রী ভট্টাচার্য্য স্মৃতি কক্ষ" হিসাবে চিহ্নিত হয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি চলছিলো এমন নানা ওঠাপড়া তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে। অতিমারীর কারণে সাময়িক বন্ধ হ'ল শায়কের দরজা। এই সময়ে ভবনের মেরামতির কাজ হ'ল (যদিও আরও কাজ বাকি) এবং আবার পরিষেবা শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই লাইব্রেরি সাধারণত খোলা থাকে সপ্তাহে তিনদিন। রবিবার সকাল সাড়ে ন'টা থেকে সাড়ে বারোটা এবং বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে ন'টা। এই অতিমারির সময়ে আমরা লাইব্রেরি খুলছি সপ্তাহে দু-দিন। বৃহস্পতি ও রবিবার।
লাইব্রেরিতে সায়েন্স, কমার্স ও আর্টস-এর অনার্স ও পাস কোর্সের সমস্ত বিষয়ের বই আছে।
যে সমস্ত বিষয়ের বই শায়ক লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় তা হ'ল -
ইংলিশ( English), বাংলা( Bengali), ভূগোল( Geography), ইতিহাস( History), কমার্স( commerce), কেমিস্ট্রি ( Chemistry), ফিজিক্স ( Physics), ম্যাথমেটিক্স( Mathmatics), জুলজি ( Zoology), ফিজিওলজি ( Physiology), সাইকোলজি ( Psychology), পলিটিক্যাল সায়েন্স ( Political science), এডুকেশন( Education), ইকনমিক্স( Economics), বটানি (Botany), কম্পিটার সায়েন্স(Computer Science), বিজনেস ম্যানেজমেন্ট(MBA).
রজতজয়ন্তী বর্ষে আসার এই পথচলাতে শায়ক যে পরিষেবাটুকু দিতে সক্ষম হয়েছে তা অঞ্চলের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতাতেই সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে এই লাইব্রেরীর পরিষেবার উন্নতিসাধনের পাশাপাশি আধুনিকীকরণের। সময়ের দাবী মেনে ডিজিটাইজ লাইব্রেরি গঠন এবং ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পর ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সংক্রান্ত কিছু কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলের সকল সুধী নাগরিকদের কাছে সহযোগিতা কাম্য। সবাই এগিয়ে আসুন।
লাইব্রেরির কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হতে আপনাদের আসতে হবে লাইব্রেরিতে। ই-মেল : [email protected]। ফলো করতে হ'বে Dakshineswar Shayak Library নামের ফেসবুক পেজ। ফোন করতে পারেন 7397755541, 7595929233, 9339144259 নম্বরে। আপনার যে কোনরকম অনুদান বা অংশগ্রহণ সাদরে গৃহীত হ'বে।
করোনা পরবর্তী লকডাউনের বন্দি দশা কাটিয়ে আগামী ৫ ই ডিসেম্বর লাইব্রেরি নতুন ভাবে শুরু হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্যে আজ সারা সকাল আড়িয়াদহ-দক্ষিনেশ্বরের নানা জায়গায় মাইকে প্রচার ও লিফলেট বিলি করা হয়েছে, সাথে ২৫ বছরে পদার্পণের আঙ্গিকে লাইব্রেরিও সেজে উঠেছে নতুন ভাবে...
For more updates please visit to our page or call to our phone numbers...
দেখতে দেখতে আজ 25 বছরের যুবক দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি , কেমন ছিল তার শুরুর দিন গুলো, ছত্রে ছত্রে রয়েছে কোন লড়াই, রোমন্থনে লাইব্রেরির বিশিষ্ট সদস্য সৌরভ দেববর্মন
********************
আমার তখন প্রায় সেই বয়েস যে বয়সে আজ শায়ক-এর লাইব্রেরী উপস্থিত। আমার বন্ধুদলও কাছাকাছি প্রায় সমবয়সী। পড়াশোনা ক্যারিয়ার তখন পরিনতির দিকে হেলতে চলেছে অনেকেরই। জোরদার ঠেক বসতো নিয়মিত। সকাল সন্ধ্যায় স্বর্গীয় পোকাদার চায়ের দোকান তখন আমাদের মতো বেকারদের 'বিধানসভা'। চা টোস্ট ঘুগনির সাথে চুটিয়ে আড্ডা।
একদিন আমি, নানু(শুভ্র) আর রঞ্জনদাই শুধু এসেছি পোকাদার দোকানে। এমনটাই অনেকক্ষেত্রে ঘটতো। টিউশন দেওয়ার ফাঁকফোকর গুলো আদ্যাপীঠের পাথুরে সিঁড়ি বা পোকাদার বেঞ্চে কাটাতাম। নানু আর রঞ্জনদার অনেক বই, অনেক পড়াশুনা। বাড়িতে পড়া হয়ে যাওয়া অনেক বইয়ে ধুলো জমছে। রঞ্জনদা প্রস্তাব দিলো একটা লাইব্রেরী হলে বইগুলো অনেকে পড়তে পারতো। ব্যাস শুরু হ'ল মাথার মধ্যে স্বপ্নের পোকা নড়াচড়া। নানু আমি আর রঞ্জনদা মোটামুটি লড়ে যাবো টাইপ লেগে পড়লাম। ভাবনা গোছাতে গোছাতেই আরো কয়েকজন বন্ধু যেমন রাজু দত্ত, ন্যাপা কিশোর প্রভৃতি অনেকে চলে এল। ফেব্রুয়ারী হবে বোধ হয়, তাইনা!...
পরিবারের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারনে এবং মেধার সমৃদ্ধির জন্য রঞ্জনদার সমাজে বেশ একটা গ্রহনযোগ্যতা ছিলো। নানুও মেধাবী ছাত্র হিসাবে সমীহ ভালোবাসা লাভ করতো এবং শিক্ষিত সুশীল সমাজে এরা বেশ পরিচিত নাম ও মুখ ছিলো । বাস্তবিকই আমার পরিচিতি ও ক্যারিয়ারের ঔজ্জ্বল্য ওদের সাথে তুলনাতেই না আসা নিতান্ত ছাপোষা। এই অভাব অবশ্য অন্তরায় হয়নি কখনই। আমি ওদের অনুসারী হয়ে সকাল বিকাল পৌঁছে যেতাম সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট মানুষজনের পাশাপাশি সমাজবন্ধুবৎসল মানসিকতার মানুষজনের কাছে। অভিজ্ঞতা উৎসাহ আর জেদ উত্তোরোত্তর বাড়তে থাকলো।
অভিজিৎদার বাড়ি গেলাম। অভিজিৎদা প্রথমেই নিরুৎসাহিত করলেন। এবং সাথে সাথে কী কী কারনে লাইব্রেরী বন্ধ হয়ে যাবে কিছুদিন বাদে সেসব গল্প করলেন। মেলাতে পারছিলাম আমাদের আগের কিছু উদ্যোগের অকাল প্রয়াণের ইতিকথা। শায়ক লাইব্রেরী চালাচ্ছে আড়াই দশক ধরে, কিন্তু তারও আগে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা আমি, শম্ভু ব্যানার্জী শুরু করেছিলাম, সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ দা মানে প্রদীপ গাঙ্গুলি। বাপি(পার্থ), সুকু, নানু, ন্যাপা সহ আরো কয়েকজন বন্ধু জুড়ে গিয়েছিলো পরে এই উদ্যোগে। কিছু ছাপানো পত্রিকা আর কয়েকটি দেওয়াল পত্রিকা শায়ক নামেই প্রকাশিত হয়েছিলো। একটু যখন প্রসার ঘটতে চলেছে তখনই বন্ধ হয়ে গেলো অপরিনত চিন্তা ভাবনার এই অসংগঠিত উদ্যোগ। শায়ক নাম ব্যানার হয়ে গেলো। সারদা স্কুলের সৌজন্যে ফ্রী কোচিং সেন্টার চালালাম আমরা কিছুদিন, তারপর তাও বন্ধ হ'ল। মনোযোগ সহকারে পড়াতাম। বেশ ভালো লাগতো পড়াতে। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট হয়েছিলো।
অভিজিৎদার কথা গিলতাম হাঁ করে। বেশ ভালো লাগলো অভিজিৎদার কথা। মনে হ'ল আগুন উস্কে দিতে চাইছেন। পাশাপাশি এটাও মনে হ'ল আমরা হয়তো শুরু করতে পারবো এবার।
তদ্দিনে অনেকের কাছে গেছি। শায়কের এই লাইব্রেরী বানানোর কথা বলে বই বা অর্থ চেয়েছি। আলোচনা করেছি তাঁদের অমূল্য অভিজ্ঞতা প্রসূত বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে। শুভদা(শ্রী শুভ চ্যাটার্জি), প্রফেসর কাকু(শ্রী সত্যেন মৈত্র) আমাদের উৎসাহিত ও সমৃদ্ধ করেছেন নানা সময়ে নানা ভাবে। আমাদের লাইব্রেরীতে নিছক গল্পের বই না রেখে কেনো শুধুই পাঠ্যপুস্তক তাও আবার স্নাতকস্তরের, সেই চর্চা প্রতিনিয়ত করতে হয়েছে। জায়গা চেয়েছি লাইব্রেরী করার মতো। অনেক মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জুগিয়েছেন, বই দিয়েছেন আবার সামর্থ্য মতো অর্থ দিয়েছেন। চার পাঁচ মাস বাদে আমরা আবার গেছি অভিজিৎদার বাড়ি। অভিজিৎদা আমাদের এবার এমন একটা কথা বললেন যেটা শুনে বুকের ভেতরটা আনন্দে মুচড়ে উঠলো। শিশুবিকাশ স্কুলের নীচতলাটা ছেড়ে দিলেন লাইব্রেরী তৈরী করার জন্য। ব্যাস, আমদের স্বপ্ন পরিণতির দিকে এগোচ্ছে ভেবে দ্রুত হ'ল আমাদের স্পন্দন।
অস্থায়ী তো কী, ঠিকানা তো হ'ল! বই হ'ল, জায়গা হ'ল। এবার চাই আলমারি। ঁদিলীপ দেববর্মন, মানে আমার অকাল প্রয়াত সেজদা একটা আলমারি বানিয়ে দিলেন। দ্বিতীয় আলমারি একটা এলো দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ আদ্যাপীঠ থেকে। দিন ঠিক হ'ল। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬।
সে এক হই হই ব্যপার। আগের কয়েকদিন যেন যুদ্ধকালীন তৎপরতা সবার মধ্যে। বইয়ের নম্বর করা, ক্যাটালগ করা, বিন কার্ড করা কত্তো কাজ। তার সাথে সূচনায় সমস্ত শুভানুধ্যায়ী সুজনদের উপস্থিতি নিশ্চিৎ করতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে শুরু করে আদর আপ্যায়ন আন্তরিকতাপূর্ণ করে তোলার অক্লান্ত প্রয়াস।
আমাদের পথচলা শুরু হ'ল। প্রথম গ্রন্থাগার ব্যবহারকারী ছাত্র সদস্য হিসাবে সৌরভ মুখার্জীকে দিয়েই ঐতিহাসিক শুভারম্ভ। শুরুর পরের কিছুদিন ছিলো প্রায় মাছি তাড়ানোর দশা। সীমিত সাধ্যে সর্বাত্মক প্রচার চালাচ্ছি তখন। আয় বলতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বেচ্ছা অনুদান। তাই চাকচিক্যের দিকে মন না দিয়ে গ্রন্থাগারের মূল লক্ষ্যে অবিচল থেকে মানুষের পরিশ্রমের উপার্জন থেকে দেওয়া অনুদানে লাইব্রেরীর বই কেনার কাজেই যাতে সর্বাধিক পরিমানে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই করে গেছি। অঞ্চলের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের জন্য বুক ব্যাঙ্ক ছিলো বলে কিছুটা স্বস্তি সেই শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা পেতেন। কিন্তু বইপত্রের আকাশছোঁয়া দাম আর জোগানের অভাবের জন্য স্নাতকশ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রী-অভিভাবকরা যে সমস্যায় পড়েন তার সুরাহা যাতে শায়ক হয়ে উঠতে পারে সেই চেষ্টাটাই প্রাধান্য পেতো।
অভিজিৎদার দেওয়া চ্যালেঞ্জ এবার আমাদের সামনে। শায়ককে টিকিয়ে রাখতে হ'বে। একটা গ্রন্থাগার তো আর রাতারাতি একটা সমাজের সম্পদে পরিণত হতে পারেনা! সকলে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। সদস্য সদস্যা ছাড়াও অঞ্চলের বহু মানুষের যথাসাধ্য অকৃপণ সহযোগিতা পেয়ে আসছি এত্তোগুলো বছর ধরে।
শিশুবিকাশ স্কুল কর্ত্তৃপক্ষের কাছে দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরীর ঋণ অপরিশোধনীয়। অভিজিৎদা অবন্তিকাদিরা হাসি মুখে কতো রকম ভাবে যে আমাদের সাহায্য, সহযোগিতা উৎসাহ জুগিয়েছেন তা বলে বোঝানো যাবে না।
আমরা মাথায় ছাদ পায়ে মাটি পেয়েছি। কিন্তু ক্রমশই শায়কের পরিসর বাড়ছিলো দ্রুত গতিতে। প্রচারেও কিছু গতি ও শ্রী বৃদ্ধি হচ্ছিল। ১৯৯৯ সালে হঠাৎ করেই একদিন লাইব্রেরিতে এলেন গণেশ কাকু। আনন্দবাজার পত্রিকায় সোমবারের 'কলকাতার কড়চা' বিভাগে আমাদের লাইব্রেরী সংক্রান্ত খবর দেখে খোঁজ খবর নিয়ে তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। গণেশ কাকু মানে শ্রদ্ধেয় গণেশ ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের একমাত্র ছেলে নীলাদ্রী, স্নাতক স্তরে পড়াকালীন পথদূর্ঘটনায় মারা যায়। অকালে ঝড়ে যাওয়া পুত্র শোকাতুর বাবা-মায়ের কাছে শায়ক নির্বাচনের কারন এখানে তাঁরা শত পুত্র-কন্যার মাঝে নিজ সন্তানের বিয়োগ যন্ত্রনা ভুলে থাকতে চান। তাঁদের ইচ্ছা ও অনুদানে নীলাদ্রীর জন্মদিন ২১শে মার্চ ১৯৯৯-এ চালু হয় নীলাদ্রী ভট্টাচার্য্য স্মৃতি সংগ্রহ।
শিশুবিকাশ স্কুলে আর জায়গায় এঁটে ওঠা যাচ্ছিলো না। কিন্তু যাবো কোথায়! আবার লেগে পড়লাম কোমর বেঁধে। দিব্যেন্দু বিষ্ণু মানে বাঁটুলদা এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী লীলা বিষ্ণুর দানধ্যানের কথা লোকমুখে শুনেছিলাম। একদিন আমরা চলে গেলাম সন্ধ্যাবেলায়। কিছু অনুদান যদি পাই এমন ভাবনা নিয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু একটা গোটা বাড়ি অনুদান হিসাবে অফার করে বসবেন ওনারা, ভাবতেই পারিনি! নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। হাওয়ায় উড়তে উড়তে বেড়িয়ে এসে আমাদের বন্ধুদলকে যখন এই খবর জানাই তখন উৎসবের উচ্ছাস নেমেছিলো আমাদের বুকে।
অঞ্চলের বিশিষ্ট ডাঃ রবীন্দ্র নারায়ণ গাঙ্গুলীর সুযোগ্যা কন্যা লীলা বিষ্ণু তাঁর স্বর্গীয় পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে আড়িয়াদহের ১১ নেপাল চন্দ্র চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িটি শায়কের গ্রন্থাগার পরিচালনার স্বার্থে দান করলেন। এই বাড়িতে আমি ঝুমাকে টিউশন পড়াতে যেতাম কিছুদিন আগেও! ঝুমারা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ঝুমা চুমকিরা সব আবার সেই সারদা স্কুলের কোচিং সেণ্টার যখন চলতো তখন থেকেই শায়কের সাথে সম্পর্কবদ্ধ এবং সক্রিয় কর্মী ছিলো। বাড়ি তৈরী করে ঝুমারা ভাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে গেলো আর লীলা বৌদি বাড়িটি শায়ককে দান করলেন। স্থায়ী ঠিকানা পেলো শায়ক। স্বর্গীয় ডাঃ রবীন্দ্রনাথ গাঙ্গুলির জন্মদিন ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০০০ তারিখে দক্ষিণেশ্বর রীডিং ক্লাব, ডাঃ রবীন্দ্র নারায়ণ গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবন হিসাবে চিহ্নিত হ'ল। ট্রাস্টি বোর্ডে পদাধিকার বলে কামারহাটি বিধানসভা অঞ্চলের বিধায়ক এই ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি হলেন। মাননীয় মানস মুখার্জী মহাশয়ের এম. এল. এ. ল্যাডের টাকা দফায় দফায় কয়েকবার পেয়ে গ্রন্থাগার ভবন নির্মান সহ সার্বিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরী।
শ্বাস প্রশ্বাসের মতোই অপরিহার্য ছিলেন রথীনবাবু। পত্রিকা, ফ্রী কোচিং সেন্টারে তাঁর মানসিক সমর্থন তো ছিলোই, লাইব্রেরীর ভাবনা পর্যায় থেকেই তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। উনি ছিলেন আমাদের চিন্তনের মেরুদন্ড। উনি চলে যাওয়ার পর ১৪ই মে ২০০৬ তারিখে শায়ক অভিভাবকহীন হওয়ার বেদনা সয়ে একতলার নব নির্মিত কক্ষটিকে ডঃ রথীন মিত্র স্মৃতি কক্ষ নামে চিহ্নিত করে। পরে দোতলা হ'ল। একটা বড় পাঠকক্ষ পাওয়া গেলো যা ২০১২ সালের ২১ শে মার্চ নীলাদ্রী ভট্টাচার্য্য স্মৃতি কক্ষ নামে সূচিত হয়।
শায়কের পঁচিশ বছরের চলার পথের অনেক অনেক স্মৃতির আঁজলা সরিয়ে সরিয়ে যেতে হলে এ লেখা শেষ করা সম্ভবই হবে না। মনিমুক্তের মতো স্মৃতিকনা গুলো চিকচিক করে ওঠে মনের মধ্যে। আমাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যার মধ্যে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অন্যতম। কী ব্যপক উৎসব মুখরতা আর সাংগঠনিক মুন্সিয়ানায় শায়ক উচ্ছল হয়ে উঠতো! প্রথিতযশা শিল্পীদের নিয়ে ফান্ড রেইজিং প্রোগ্রাম যখন হ'ত তখন তার টিকিট বিক্রির জন্য সবার ইনভলভমেন্ট বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠতো। অনুভূতিপ্রবণ ন্যাপার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ছিলো বাড়তি আকর্ষণ। অঞ্চলের স্কুলগুলি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাফল্যের নিরিখে শ্রেষ্ঠদের সম্বর্ধনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হ'ত। এছাড়া নিয়মিত সরস্বতী পূজো, রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন তো ছিলই, ছিলো ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান। সপ্তাহে তিনদিন, বৃহস্পতি ও শনিবার সন্ধ্যায় ও রবিবার সকালের অনেকটা সময় লাইব্রেরীর পরিষেবা চালু রেখে অন্যান্য সমাজ-সংস্কৃতিমূলক কর্মসূচীর বাস্তব রূপদান চাট্টিখানি কথা তো নয়! লাইব্রেরীর দিনগুলিতে লাইব্রেরী খোলার ক্ষেত্রেই হোক বা শায়কের যে কোনো অনুষ্ঠান শুরুর ক্ষেত্রেই হোক, সময়ানুবর্তিতার ব্যপারে আমরা খুবই সতর্ক থাকতাম। কখনও একমিনিট নড়চড় হ'লেও আমাদের গেলো গেলো রব পড়ে যেতো। গোপাল, গুরুদাসেরা আর ওদের ব্যাচমেট অনেকে লাইব্রেরীর ছাত্রছাত্রী হিসাবে এসে পরে পরিচালনায় জুড়ে গিয়ে অনেক রকম আন্তরিক চেষ্টাচরিত্র করেছে। রূপালী ছিলো একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সদস্যা। একদম সাইলেন্ট ওয়ার্কার। ওর বিয়ের আগে কোনদিন কে লাইব্রেরী খুলবে এই দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। অরবিন্দ দত্ত'র ডাকনাম রাজু। আমারও। বন্ধুমহলে ও হয়ে গিয়েছিলো দত্ত আর আমি প্রফ্। তো দত্ত'র কথা না বলে শেষ করাই যাবে না। ওর মতো ব্রিলিয়্যান্ট ছেলে অপরিসীম ধৈর্য্য নিয়ে হিসাব রক্ষার গুরু দায়িত্ব শুরুর প্রথম দিন থেকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছে। এর মাঝে ক্যান্সার সুমিতের মতো প্রাণচঞ্চল ছেলেকে হঠাৎ করে কেড়ে নিলো। শুভদারও(শুভব্রত ব্যানার্জী) তাড়া ছিলো খুব। হঠাৎ করে চলে গেলো গত বছর। শায়ক ব্যথাও কম সয়নি!
যাইহোক আমরা অনেকেই আজ আর নিয়মিত লাইব্রেরীতে আসা যাওয়া করতে পারিনা। নতুন প্রজন্ম হাল ধরেছে। কৌশিক(ঘোষ) ছিলো আমাদের আর পরের প্রজন্ম অর্থাৎ অরূপ,প্ললব, অরূন্ধতী, ভিকিদের মধ্যে সেতুর মতো। ট্রানজিশন পিরিয়ডটা বেশ সামলে দিয়েছিলো। আমাদের পরে তারাই সুষ্ঠু পরিচালনার ভার নিয়ে সফলতার সাথে লাইব্রেরি পরিচালনা করে আসছে বছরের পর বছর। আর বর্তমানে সৌরভ, পর্ণা, দীপ্তেশ, সুদীপরা সেই ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে লাইব্রেরীকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। পঁচিশ বছর একটা মাইলস্টোন। এই ছেলে মেয়েগুলো নিজেদের পড়াশোনা ক্যারিয়ার সামলানোর পাশাপাশি উদ্বৃত্ত সময় লাইব্রেরীর জন্য উজার করে দিচ্ছে বলেই এখনও শায়ক জীবিত।
এ যেন এক রিলে রেস্! প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে হাতবদল হয়ে যাচ্ছে পরিচালনার দায়িত্বভার, ব্যাটনের মতো। যদ্দিন এমনটা হবে তদ্দিনই শায়কের আয়ু। আশা রাখি ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকবে শায়কের লাইব্রেরী বছরের পর বছর, দশকের পর দশক, শতকের পর শতক।
Thursday | 7:30pm - 9pm |
Sunday | 10am - 12:30pm |
"Managerial Brass with Army Class" Army Institute of Management, Kolkata (AIMK) was established in July 1997 by the Army Welfare Education Society (AWES)
Photography Studio and Institute.
Xavier's Commerce Society is the representative society of the B.Com department at St. Xavier's College, Kolkata.
Kredent Academy - (www.kredentacademy.com) is a Capital Market Training Institution.
game development Training Institute industry’s leading production-based training programs in animation, android, iphone, windows, xbox, PC game development
SMS is the most hospitable place i have ever visited....proud to be a marian....those champion like quality that SMS has put in helps me a lot...i hope and pary for the current students as well that they get the champion traits from sms........!!!!
Vivekananda college Trinamool Chatra Parishad
A perfect of Western Dance and Drawing also Art and Crafts. Exam fecility, Stage Show, Private Class also available. We also provide certificate.
Our mission is to become a leader in empowering and nurturing youth with high quality education, skills and experience.
Al ameen mission is best institution for westbengle, India
Get top-quality tutoring for your board exams from our experienced faculty. Subjects taught: Maths, Physics, Chemistry & Biology.