An interesting binomial distribution limit problem for JEE and ISI in Bengali
Career Disha কেরিয়ার দিশা
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Career Disha কেরিয়ার দিশা, Education, Calcutta Bara Bazar.

ভাইরাস—এই ছোট্ট জিনিসটা ঠিক কী? ওটা কি জীব, না অজীব? ও কি শুধুই ভয়ংকর রোগ ছড়ায়, নাকি প্রকৃতির একটা গোপন হাতিয়ার? ভাইরাস প্রকৃতির এক বিচিত্র সৃষ্টি। বিবর্তনের পথে উন্নততর জীবের উদ্ভবের কাজে প্রকৃতির অন্যতম হাতিয়ার এই ভাইরাস। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে জীবাণু মারবার চিকিৎসাপদ্ধতির বিকল্প এই ভাইরাস। প্রতি শতাব্দিতে হাজারো রোগে লাখো মানুষের মৃত্যুদাতাও এই ভাইরাস। একাধারে জীবজগতের শত্রু ও পরম মিত্র , প্রাণ ও অপ্রাণের সীমানার সান্ধ্যপ্রদেশে দাঁড়ানো রহস্যময় সেই ভাইরাসের সন্ধানেই এই বই।

মহাকাশের জ্যামিতি
যেসব বৈপ্লবিক তত্ত্ব মানুষের চিন্তা ও কর্মের জগতে বিপুল ওলোটপালোট ঘটিয়ে দিয়েছিল অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদকে তার মধ্যে সর্বোত্তম বললেও সম্ভবত অত্যুক্তি হয় না। স্থান ও সময়ের চিরপ্রচলিত ধারণা ও সংজ্ঞাই আমূল পালটে গিয়েছিল আইনস্টাইনের তত্ত্বের অভিঘাতে! ত্রিমাত্রিক জগতের জায়গায় এল চতুর্মাত্রিক জগৎ। এই অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য জগতে কিন্তু আইনস্টাইন সর্বপ্রথম পদার্পণ করেননি। ইউক্লিডের জ্যামিতির দোর্দণ্ড প্রতাপকে অতিক্রম করে বোলেয়াই, লোবাচেভস্কি, রিমান ও এরকম আরও কিছু অসামান্য প্রতিভাধর গণিতবিদদের হাত ধরে প্রথমে তৈরি হয়েছিল অ-ইউক্লিডীয় জ্যামিতি। সেই জ্যামিতির হাত ধরে মিনকাউস্কি নিয়ে আসেন চতুর্মাত্রিকতার ধারণা এবং সেখান থেকে আইনস্টাইন নির্মাণ করেন আপেক্ষিকতাবাদের যুগান্তকারী সৌধ।
ইউক্লিড থেকে আইনস্টাইন পর্যন্ত মেধাচর্চার সেই দীর্ঘ ও বিস্ময়কর পথকে দুই মলাটের মধ্যে ধরার প্রচেষ্টা করেছে এই বই। মেধাচর্চার সমান্তরালে রয়েছে এইসব মানুষের জীবনের চিত্তাকর্ষক বিভিন্ন মুহূর্ত নিয়েও আলোচনা। ভাষার স্বচ্ছতা ও প্রসাদগুণে এই গ্রন্থ বিজ্ঞানপ্রেমী এবং এমনকী সাহিত্যপ্রেমী মানুষের হাতে হাতে ফিরবে আনতে পারে।
লেখক পরিচিতি : ডঃ শঙ্কর ঘোষ 'সোসাইটি ফর থিওরেটিক্যাল অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ফ্লুইড মেকানিক্স', কলকাতার গবেষক ছিলেন। ভারত, ইউরোপ ও আমেরিকার নানা প্রথম শ্রেণির বৈজ্ঞানিক জার্নালে তাঁর গবেষণাপত্র নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। কলকাতার 'ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট'-এর সঙ্গে দীর্ঘকাল গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন। তাছাড়া নরওয়ের ট্রন্ডহাইম বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রিসের আরিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও গবেষণা সূত্রে যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রধান গবেষণার ক্ষেত্র ম্যাথেম্যাটিক্স, ফিজিক্স ও স্ট্যাটিসটিকস।
বইটি কেনার লিঙ্ক কমেন্টে

অঙ্ক -
শব্দটা আমাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ ভয় পেয়ে পালাই, আবার কেউ ভালোবেসে আপন করে নিই। আসলে কথায় আছে কোনো বিষয়কে ভালোবাসলে সেও পাল্টা সোহাগ ফিরিয়ে দেয়। তবে বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মানোর কাজটা অনেক সময় সহজ করে দেন শিক্ষকরা। আসলে তিনি জটিল সমীকরণ আর উপপাদ্যকে গল্পের আকারে বোঝাতে জানতেন। টেরই পাওয়া যায় না কখন খেলার ছলে কঠিন সব অঙ্কের সমাধান করতে শিখে যায়। গণিত একটা অ্যাডভেঞ্চারই বটে। এও তো এক আশ্চর্য ভাষাশিক্ষা, যার নাম গণিত। আজ থেকে চার হাজার বছর আগে ভারতে শুরু হয়েছিল সেই রোমাঞ্চকর ম্যাথভেঞ্চার। সুলেখক ও গবেষক শ্রী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের হাত ধরে সেই ঐতিহাসিক সফর করে এলাম 'আর্যভটের পুথি'-তে চেপে।
সহজ সরল শব্দের বুননে লেখক এখানে শিখিয়েছেন গুণতে শেখার ম্যাজিক। সিন্ধু উপত্যকা ও আর্যযুগের গণিতের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন। উঠে এসেছে শূল্বসূত্রের কথা, পাণিনি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে একাত্ম করে দিয়েছেন, এসেছে জৈন গণিতবিদ্যার প্রসঙ্গ, বাকশালির পুথির উল্লেখ, ভারতে অঙ্কের স্বর্ণযুগ, পাই কাহিনী, ফিবোনাচির অদ্ভুত জগৎ, কলনবিদ্যার জন্ম, এবং পরিশেষে অঙ্কের বিদেশযাত্রা।
মনোরম এই যাত্রাপথে লেখক বিভিন্ন বয়সের ছাত্রদের অঙ্ক শিখিয়েছেন, তবে নানা ছবি ও উপমার আশ্রয়ে তা হয়ে উঠেছে মনোগ্রাহী। শুধুমাত্র আর্যভট নয়, অঙ্কের প্রায় সকল ইন্ডিয়ান আইডলের সঙ্গে আলাপ করিয়েছেন তিনি। তাঁদের যুগান্তকারী চিন্তা ও আবিষ্কারের কথা জেনেছি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলে বইটির জুড়ি মেলা ভার। ইচ্ছুক পাঠকদের জন্য আরো কিছু বইয়ের নাম রয়েছে শেষের দিকে যার মাধ্যমে এই বিষয়ে জ্ঞানার্জন চালু রাখা যাবে।
ছিমছাম হার্ডকভার আর ছোটখাট সাইজের বইয়ের প্রতি আমাদের বরাবরের লোভ। সঙ্গে এমন সুন্দর বিষয় থাকলে তো আর কথাই নেই। অঙ্কের সূত্র বর্ণনায় ক,খ,গ-এর উল্লেখ কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করেছিল অবশ্য। A,B,C,X,Y,Z এ অভ্যস্ত বাঙালিকে এইটুকু মানিয়ে নিতে হবে।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
বইটি কেনার লিঙ্ক কমেন্টে

জওহর নবোদয় বিদ্যালয়, বাঁকুড়া
গাণিতিক জ্যামিতিই কি পদার্থবিজ্ঞানে ‘থিওরি অফ এভরিথিং’র চাবিকাঠি?
সম্প্রতি পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে — তা হলো গাণিতিক জ্যামিতি ব্যবহার করে মহাবিশ্বের সবকিছুর সূত্র খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা। নিউ সায়েন্টিস্টে প্রকাশিত এক নিবন্ধে উঠে এসেছে, কেন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করছেন, ভবিষ্যতের সবকিছুর তত্ত্ব (থিওরি অফ এভরিথিং) আসলে জ্যামিতির মধ্যে নিহিত।
পদার্থবিজ্ঞান দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে মহাবিশ্বের মৌলিক কণা ও শক্তির মধ্যে সম্পর্ক বোঝার। কিন্তু গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন, স্থান ও সময়কে নিয়ে আমাদের প্রচলিত ধারণাগুলো হয়তো পুরোপুরি যথাযথ নয়। সেই ধারণাকে পিছনে রেখে বিজ্ঞানীরা এখন এমন একটি গাণিতিক কাঠামো নিয়ে কাজ করছেন, যা ‘অ্যাম্পলিটুডিহেড্রন’ নামে পরিচিত।
অ্যাম্পলিটুডিহেড্রন হলো একটি জটিল জ্যামিতিক গঠন, যা কণার সংঘর্ষের প্রক্রিয়া এবং তাদের বিভিন্ন সম্ভাব্য ফলাফলকে একটি স্বচ্ছ ও সরল গাণিতিক ফ্রেমওয়ার্কে উপস্থাপন করে। এর বিশেষ দিক হল এটি স্থান এবং সময়ের ধারণাকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে কাজ করে, যা পদার্থবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়, মহাবিশ্বের কার্যকলাপের পেছনে এক গভীরতর, স্থান-কালের বাইরের গাণিতিক বাস্তবতা লুকিয়ে আছে। বিজ্ঞানীদের আশা, এই পথে আগিয়ে গিয়ে তারা এমন একটি তত্ত্ব উদ্ভাবন করতে পারবেন যা মহাবিশ্বের সব মৌলিক নিয়ম একত্রিত করবে।
বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী নোয়াম আর্কানি-হামেদ ও জারোস্লাভ ট্রঙ্কার এই তত্ত্বের অন্যতম পেছনে থাকা গবেষক। তাদের মতে, মহাবিশ্বের সবচেয়ে মৌলিক নিয়মাবলীকে বুঝতে হলে আমাদেরকে গাণিতিক জ্যামিতির এ নতুন পথ অনুসরণ করতে হবে।
ফলে, পদার্থবিজ্ঞানের ভবিষ্যত গাণিতিক কাঠামো এবং জ্যামিতির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এই দিক থেকে বোঝা যাচ্ছে, মহাবিশ্বের রহস্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য আমাদের চিন্তার পথ বদলাতে হবে — স্থান ও সময়কে নয়, বরং গাণিতিক গঠনগুলোকে প্রথম স্থান দিতে হবে।

আইআইটি বোম্বের বিজ্ঞানীরা এক নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা হিমালয়ের বরফ ঢাকা অঞ্চলের শীতকালে ঘর গরম রাখতে সাহায্য করবে। এই প্রযুক্তির মূল কথা হলো গ্রীষ্মে সূর্যের তাপ ধরে রাখা এবং শীতকালে সেটি ব্যবহার করে ঘর উষ্ণ রাখা। এতে করে গ্রামীণ এবং দুর্গম এলাকাগুলোতে ডিজেল হিটার বা কাঠের ব্যবহার অনেকটাই কমে যাবে।
তাদের তৈরি ‘সৌর-তাপ ব্যাটারি’ নামক যন্ত্রটি বিশেষ ধরনের লবণ—স্ট্রন্টিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহার করে। গ্রীষ্মে এই লবণ সৌর তাপ শোষণ করে জমা রাখে। শীতকালে আর্দ্র বাতাসের সাহায্যে এই তাপ পুনরুদ্ধার করা হয়, যা ঘর গরম করে। একটি ছোট মডিউল প্রায় ৫০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা তাপ ধরে রাখতে পারে, যা ৪ মাস পর্যন্ত এক ঘর গরম রাখার মতো শক্তি দেয়।
এই প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব এবং দীর্ঘস্থায়ী। ডিজেলের মতো দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানি ব্যবহার না করেও হিমালয়ের মানুষজন শীতকালে আরাম পাবে। এছাড়া, এই ব্যাটারি গরম জায়গায় চার্জ করে সরিয়ে নেওয়া যায়, তাই গ্রীষ্মের তাপ জমা করে শীতে ব্যবহার করা খুব সহজ।
এই উদ্ভাবন লাদাখ, কাশ্মীর, সিকিমের মতো ঠাণ্ডা এলাকায় ব্যাপক কাজে আসবে, যেখানে তাপের জন্য ডিজেল অনেক সময় জটিলতা তৈরি করে। সেনাবাহিনীর উচ্চ পাহাড়ি ক্যাম্পগুলিতেও এর ব্যবহার পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।
ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি পুরো হিমালয়ের দূর্গম এলাকায় টেকসই, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উষ্ণতার সমাধান হয়ে উঠতে পারে।
এই ধরনের উদ্ভাবন আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের সৃজনশীলতা ও পরিবেশ সচেতনতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

কেরিয়ার নির্বাচনের গোড়ার কথা -
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাধ্যমিককে একটু ভাল রেজাল্ট করার পর ছাত্রছাত্রীরা একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মাধ্যমিককে ভাল করেছে মানেই সায়েন্স পড়তে হবে এবং পরবর্তী টার্গেট ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার। এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। কারণ এই সময় যা স্থির করা হবে সেটাই সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে, তাই কোনও বিষয়ের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা আছে কিনা সেটা দেখেই ভর্তি হওয়া অত্যন্ত দরকার। ধরা যাক কারও সাহিত্যের প্রতি প্রবল আকর্ষন কিন্তু জোর করে তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি করা হল; সে যদি কিছুদিন পরে গণিতের রস হারিয়ে ফেলে, তখন কি হবে? বা উল্টোটা হল, বাবা-মা সাহিত্যের দুনিয়ার মানুষ কিন্তু তাঁদের সন্তান এর স্বপ্ন আর্কিটেক্ট হওয়া, তাকে যদি জোর করে সাহিত্যে ভর্তি করানো হয় তাহলে যে রসে রবীন্দ্রনাথ নজরুল তার কাছে বিষ হয়ে উঠতে পারে।
আবার প্রায়ই দেখা যায় নিজের ভালোলাগার বিষয় নিয়ে পড়েও, কোনও একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পাওয়ায় প্রতিবছর কতশত ছেলেমেয়ে ডিপ্রেশনের শিকার হয়, কখনও আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। এর একমাত্র কারণ এটাই যে তারা জানে না ওই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আর কোন কোন রাস্তা খোলা রয়েছে। এছাড়াও নামি কলেজে ভর্তি হয়েও সেই বিষয়ে ইন্টারেস্ট না থাকায় ক্লাসে ফেল করছে বা কোনোক্রমে পাশ করছে কিম্বা ড্রপ আউটই হয়ে যাচ্ছে এমন উদাহরণও ভুরিভুরি। MHRD-র রিপোর্ট বলছে শেষ পাঁচ বছরে আইআইটি থেকে আট হাজারের বেশী ড্রপ আউট হয়েছে। কেউ কেউ আবার সোনার হরিণ ধরার জন্য মরনপণ করে বছরের পর বছর কোটা বা দিল্লিতে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে। হয়ত এদেরই কেউ ভালো কবিতা লিখতে পারে, কেউ ভালো গান করতে পারে, কেউবা হউত বল পায়ে মাঠে আগুন ঝরাতে জানে। এগুলো গল্প নয় বরং আমার চোখে দেখা!
প্রবনতা অনুযায়ী কেরিয়ার নির্বাচন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। সুখ-শান্তি-সংসার সব জলাঞ্জলি দিয়ে কোটি-কোটি টাকা উপার্জন করতে হবে এমন কোনও কথা নেই, আনন্দের সাথে কাজ করে যাওয়াটাই জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। সামান্য টাকা থাকলেও মানুষ বেঁচে থাকে, কিন্তু জীবনে সুখ না থাকলে তা মৃত্যুরও অধম। আর সুখের প্রধান উপকরণ নিজের কাজে আনন্দ পাওয়া। আজ দুনিয়ার ৮৫ শতাংশ বা তারও বেশি মানুষ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে বাধ্য হন, আর তাই এই ডিপ্রেশান, মানসিক অশান্তি আর তার থেকে হাজারো শারীরিক ব্যাধি। জীবনে যার ভাল লাগে সেটাই করো খেলাধুলা, পড়াশোনা, ছবি আঁকা, চাষবাস, অভিনয় বা অন্য যে কোনও কাজ কারণ সেটাতেই তোমার সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে এবং ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে একদিন ঠিক পৌঁছে যাবে চাঁদের পাহাড়ে।
কেরিয়ারে উন্নতি করতে চাইলে শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা নয় নিজের ইচ্ছাকে অনুসরণ করাও দরকার। কোন কাজ ছোট বা বড় নয় সবই জীবনের অভিজ্ঞতার উৎস।
ছোট বেলায় গ্রামের স্কুলে পড়ার সময় দেখেছি ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট পড়াশুনা করেও কোন চাকুরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছে। কারন জিজ্ঞাসা করলে বলত সরকার চাকুরি দিচ্ছে না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ইত্যাদি। এসব শুনতে শুনতে হাপিয়ে উঠেছিলাম একসময়; ভাবতাম এইতো অবস্থা আমি পড়াশুনা করেই বা কি করব। তারপর যখন আরো বড় হলাম তখন মনে হত"চাকরি? সে তো iPhone এর মতো দামী; হবে বড়োলোকের তালুকদার, পায় বুঝি কেবল কোনও বড়ো সাহেবী স্কুলে পড়া ছেলেমেয়রাই।" কথাটা পুরোপুরি অর্থহীন! তোমার ভালোবাসার বিষয়ে তুমিই সেরা........... সেখানে তোমায় হারায় সাধ্যি কার?

JEE Advanced 2025 পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে ২৭ তম স্থান(AIR -27) অধিকারী সমুদ্র সরকার। ছেলেটি কাটোয়া কাশিরাম দাস বিদ্যানিকেতন এর প্রাক্তন ছাত্র।
সুত্র - বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ

কেরিয়ার দিশা---
(বইটি কেনার লিঙ্ক কমেন্টে)
ছোটবেলায় গ্রামের স্কুলে পড়ার সময় দেখেছি—ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট পড়াশোনা করেও কোনো চাকরি পাচ্ছে না, হতাশায় ভুগছে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলত, "সরকার নাকি চাকরি দিচ্ছে না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ইত্যাদি।" এসব শুনতে শুনতে একসময় হাঁফিয়ে উঠেছিলাম। ভাবতাম, আমিও পড়াশোনা করেই বা কী করব?
তারপর যখন আরও বড় হলাম, তখন মনে হত—চাকরি? সে তো আইফোনের মতো দামী। সেটা হবে কোনো বড়লোকের ছেলেমেয়ে, তালুকদার বা সাহেবি স্কুলে পড়া কোনো সাহেবের। কথাটা তেতো হলেও খানিকটা সত্যি।
এরপর যখন প্রত্যন্ত গ্রাম ছেড়ে শহরের বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে মিশতে শুরু করলাম, তখন থেকে আমার ভাবনাগুলি আস্তে আস্তে পাল্টাতে শুরু করল। বুঝলাম, গ্রামের ছেলেমেয়েদের বেকারত্বের প্রধান কারণ উদ্দেশ্যহীনভাবে পড়াশোনা। গ্রামের বেশিরভাগ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা ব্যাকআপ প্ল্যান কিছুই থাকে না। পড়াশোনা করতে হয়, তাই করে। এমনকি শহরের ছেলেমেয়েরাও এই সমস্যায় কম ভোগে না।
এই যুগেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেরিয়ারে সাফল্য বলতে বোঝায় ভালো চাকরি। বাকি ক্ষেত্রগুলিকে যথেষ্ট অবহেলা করা হয়। অধিকাংশের লক্ষ্য থাকে ভালো কিছু করা, অথচ নিজের জন্য সেই ‘ভালো জিনিসটা’ কী, এবং সেখানে পৌঁছাতে কী কী উপায় আছে—তা বেশিরভাগেরই অজানা। ফলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠে সোনার হরিণ!
লাখো ছেলেমেয়ে সোনার হরিণ ধরার জন্য মরণপণ লড়াই করে বছরের পর বছর কোটা বা দিল্লিতে নরকযন্ত্রণা ভোগ করছে। অথচ এদের মধ্যেই কেউ অসাধারণ লেখেন, কেউ ভালো গান করেন, কেউ দুর্দান্ত টিম লিডার হতে পারেন। এগুলি গল্প নয়—আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আবার নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগ্রহ না থাকায় বহু ছেলেমেয়ে ফেল করছে, কোনোরকমে পাশ করছে, কিংবা ড্রপআউট হচ্ছে। এ বিষয়ে আমিও ব্যতিক্রম নই। আইআইটি থেকে শেষ পাঁচ বছরে কত ছেলেমেয়ে হারিয়ে গেছে তার ইয়ত্তা কে রাখে? সংখ্যাটা নেহাত কম নয়—সাড়ে তিন হাজারের ঘরে!
আজ ইন্টারনেটের যুগেও ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই বললেই চলে। তারা জানেই না তাদের প্রবণতা কী। ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু সরকার ও সিস্টেমকে দোষারোপ করে এবং ইন্টারনেট–সোশাল মিডিয়ায় সময় কাটায়।
কেরিয়ার গড়া একটা বড় সাধনা। এই সাধনায় সিদ্ধি লাভের জন্য কখনো কখনো গোটা দুনিয়ার বিপরীত স্রোতে সাঁতার কাটতে হতে পারে।
সারাবছর আড্ডা দিয়ে চাকরির পরীক্ষা দিলে, ফেল করেই কাঁদতে বসে—"সব আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত!" আর কেউ যদি অনগ্রসর শ্রেণির হন, তবে বলেন—"আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, শুধু অনগ্রসর বলেই আমার হল না।" ভাই, তোমাদের কথা মেনে নিলাম। তবে সে চক্রান্ত তো আইনস্টাইনের বিরুদ্ধেও হয়েছিল। তিনি যদি ভালো চাকরি পেয়ে যেতেন, তবে হয়তো পদার্থবিজ্ঞান আজ অনেক কিছু হারাত! সবকিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে ভিক্ষা চাইবেন না। কঠোর পরিশ্রম করুন। বাস্তববাদী হোন, তবে অবাস্তবকেও দাবি করতে শিখুন।
সপ্তাহে একদিন দিন নিজেকে। ভাবুন—আপনি ঠিক পথে চলছেন তো? কাজ, পরিবার, অবসর, বন্ধু—সবার জন্য আলাদা সময় দিন। যেটা চাইছেন সেটা পাবেন তো? সেটা পেতে যা যা ত্যাগ করতে হবে, সেগুলি মেনে নিতে পারবেন তো? এভাবেই বেরিয়ে আসবে জীবনের শর্টটার্ম ও লংটার্ম টার্গেট। নিজেকে চিনতে পারবেন, স্থির হবে জীবনের লক্ষ্য। জীবনে মেধাবী হওয়ার চেয়ে কঠোর পরিশ্রমী হওয়া অনেক বেশি জরুরি। নীরবে কঠোর পরিশ্রম করুন, সাফল্য একদিন হইহই করে গোটা দুনিয়াকে জানিয়ে দেবে।
বইটি কেনার লিঙ্ক কমেন্ট এ দেওয়া আছে।

খালি পায়ে শুরু, আজ শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাঁকুড়ার সুরজ সোরেন..........
দারিদ্র্য, অনটন, অভাব—এসবকে পেছনে ফেলে আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের জায়গা করে নিয়েছে বিষ্ণুপুরের কুলুপুকুর গ্রামের সুরজ সোরেন। বিষ্ণুপুর এর আদিবাসী গ্রাম কুলুপুকুর আজ গর্বিত। গ্রামে ছিটে বেড়ার ঘরে দিনমজুর বাবা-মায়ের সঙ্গে বড় হয়ে উঠেছে সুরজ। পরিবারের আর্থিক অবস্থার কারণে খেলার সরঞ্জাম কেনা তো দূরের কথা, বহুদিন খালি পায়েই খেলতে হয়েছে তাকে।
তবু হাল ছাড়েনি সুরজ। সুরজ সরেন মাগুরা গীতা স্পোর্টস একাডেমীর ছাত্র। সুরজের কোচের নাম কল্যাণ হেমব্রম। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শুরু হয় তার স্বপ্নপূরণের পথচলা। পরিশ্রম আর প্রতিভার জোরে সে জায়গা করে নেয় অনূর্ধ্ব-১৭ নাইন-এ-সাইড বাংলা দলে। সেখানে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি নিজেও হন লিগের সেরা খেলোয়াড়।
এবছর সুরজ সোরেন শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন —সাউথ এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে। প্রিয় ফুটবলার রোনাল্ডোকে অনুসরণ করে মিডফিল্ডে খেলা পছন্দ করে সুরজ। সে জানায়, “স্বপ্ন একটাই—দেশের হয়ে খেলবো, বাংলার নাম উজ্জ্বল করব।”
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Calcutta Bara Bazar
Opening Hours
Monday | 9am - 5pm |
Tuesday | 9am - 5pm |
Wednesday | 9am - 5pm |
Saturday | 9am - 5pm |
Sunday | 9am - 5pm |