
Hanafi Mazhab-হানাফি মাযহাব
Nearby schools & colleges
Boral, KOLKATA
Sowmen Mitter Initiative For Language English & Related Studies, KOLKATA
Bhawanipur, KOLKATA
Grahams Land, KOLKATA
S. N. Road, KOLKATA
Kaikhali, KOLKATA
Inside of Vijaygarh Jyotish Ray College, KOLKATA
KOLKATA 700073
Barisha, KOLKATA
Sector/1 Salt Lake City, KOLKATA
Jessore Road, KOLKATA
Garia, KOLKATA
Rajarhat, KOLKATA
KOLKATA
Dum Dum Park, KOLKATA
Comments
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্তদাস বিলাল ইবনু ইয়াসার ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি আমার আব্বাকে আমার দাদার সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি দু‘আ পাঠ করবে : “আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতূবু ইলাইহি” সে জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করলেও তাকে ক্ষমা করা হবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫১৭
👉আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার রা.-এর আমল রফয়ে ইয়াদাইন করেননি
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ حَسَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ عُمَرَ، فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ إِلَّا حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ» قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ : وَرَأَيْت الشَّعْبِيَّ ، وَإِبْرَاهِيمَ ، وَأَبَا إِسْحَاقَ ، لاَ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلاَّ حِينَ يَفْتَتِحُونَ الصَّلاَةَ.
হাদীস নম্বর-১১৫ : হযরত আসওয়াদ রহ. বলেন: আমি হযরত উমার রা.-এর সাথে নামায পড়েছি। তিনি নামায শুরু করার সময় ব্যতীত নামাযে আর কোথাও হাত উঠাননি। আব্দুল মালেক বলেন: আমি শা’বী, ইবরাহীম ও আবু ইসহাককে দেখেছি; তাঁদের কেউ নামাযের শুরু ব্যতীত হাত উঠাননি। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৬৯, ত্বহাবী: ১২৬৪)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসটির রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের ثقة “নির্ভরযোগ্য” রাবী। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: وَهَذَا رِجَاله ثِقَات “এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য”। (আদ দিরায়াহ: ১৮১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা যাইলাঈ রহ. বলেন: وَالْحَدِيثُ صَحِيحٌ، “হাদীসটি সহীহ”। (নাসবুর রায়াহ: সিফাতুস সলাত অধ্যায়, ৩৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন। আর বিশিষ্ট তাবিঈ হযরত ইমাম শা’বী, ইবরাহীম নাখঈ এবং আবু ইসহাক রহ.ও নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।
👉আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রা.- রফয়ে ইয়াদাইন করেননি
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قِطَافٍ النَّهْشَلِيِّ،عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ«أَنَّ عَلِيًّا كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ ثُمَّ لَا يَعُودُ» قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: «وَرَأَيْتُ الشَّعْبِيَّ، وَإِبْرَاهِيمَ، وَأَبَا إِسْحَاقَ، لَا يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلَّا حِينَ يَفْتَتِحُونَ الصَّلَاةَ»
হাদীস নম্বর-১১৬ : হযরত আছেম বিন কুলাইব তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন: হযরত আলী রা. শুধু নামাযের শুরুতে হাত উঠাতেন পরবর্তীতে আর উঠাতেন না। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৭, ত্বহাবী: ১৩৫৩ ও ১৩৫৪)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। হযরত আছেমের পিতা কুলাইব ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর কুলাইব ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ৪৬৭১) হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: وَرِجَاله ثِقَات وَهُوَ مَوْقُوف “এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য আর হাদীসটি মাউকুফ”। (আদ দিরায়াহ: ১৮১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা যাইলাঈ রহ. বলেন: وَهُوَ أَثَرٌ صَحِيحٌ، “এ হাদীসটি সহীহ”। (নাসবুর রায়াহ: সিফাতুস সলাত অধ্যায়, ৩৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী বিন আবী তালিব রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।,
👉হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর আমল
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، عَنْ عَبْدِ الرحمن بْنِ الأَسْوَدِ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ : أَلاَ أُرِيكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّةً.
হাদীস নম্বর-১১৭ : হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. (উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ স.-এর নামাযের মতো নামায দেখাব না? এরপর তিনি নামায পড়লেন এবং তাতে মাত্র একবার হাত তুললেন। (অর্থাৎ, তাকবীরে তাহরিমার সময়ে)। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৬, আব্দুর রযযাক: ২৫৩৩ ও ২৫৩৪, ত্বহাবী: ১৩৪৯)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন
👉আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা.-এর আমল,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَّا فِي أَوَّلِ مَا يَفْتَتِحُ»
হাদীস নম্বর-১১৮ : হযরত মুজাহিদ রহ. বলেন: আমি ইবনে উমার রা.কে তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত হাত উঠাতে দেখিনি। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৬৭, ত্বহাবী: ১৩৫৭)
হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাউকুফ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য” রাবী।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন। রফউল ইয়াদাইনের হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবাগণের মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. অন্যতম। অথচ তিনি নিজে নামায পড়েছেন রফউল ইয়াদাইন করা ব্যতীত। হযরত ইবনে উমার রা.-এর এ আমল দেখে বলা যেতে পারে যে, হয়তো তিনি রফউল ইয়াদাইনের আমলকে রহিত মনে করতেন অথবা কমপক্ষে রফউল ইয়াদাইন না করার আমলকে তুলনামূলক উত্তম মনে করতেন। অন্যথায় তিনি রসূলুল্লাহ স.কে রফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়তে দেখে নিজে তা ছেড়ে দিবেন এটা হতে পারে না।
ফায়দা : হযরত ইবনে উমার রা. থেকে রফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়ার হাদীসও বর্ণিত রয়েছে। (বুখারী: ৭০৩) কিন্তু এ হাদীসের ব্যাপক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এটা মূলতঃ রসূলুল্লাহ স.-এর আমলের বর্ণনা; ইবনে উমার রা.-এর নিজের আমল নয়। কারণ, এ হাদীসটি হযরত ইবনে উমার রা. থেকে তাঁর ছেলে সালেমও বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এটাকে রসূলুল্লাহ স.-এর আমল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেখুন, বুখারী: ৭০২, ৭০০ ও ৬৯৯। এমনকি এ হাদীসটি বর্ণনা শেষে ইমাম বুখারী রহ. নিজেও মন্তব্য করেছেন যে, এ হাদীসটি হাম্মাদ বিন সালামা আইয়ূব সূত্রে নাফে’ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এটা রসূলুল্লাহ স.-এর আমল। এ বর্ণনাটি ইমাম বাইহাকী রহ. তাঁর সুনানে কুবরাতেও সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। (২৫১০) এ হাদীসের ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্দুল বার রহ. বলেন:
هَذَا الْحَدِيثُ أَحَدُ الْأَحَادِيثِ الْأَرْبَعَةِ الَّتِي رَفَعَهَا سَالِمٌ عَنِ أبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَأَوْقَفَهَا نَافِعٌ عَلَى ابْنِ عُمَرَ فَمِنْهَا مَا جَعَلَهُ مِنْ قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ وَفِعْلِهِ وَمِنْهَا مَا جَعَلَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ وَالْقَوْلُ فِيهَا قَوْلُ سَالِمٍ وَلَمْ يَلْتَفِتِ النَّاسُ فِيهَا إِلَى نَافِعٍ
“এ হাদীসটি ওই চার হাদীসের একটি যা হযরত সালেম তাঁর পিতার সূত্রে রসূলুল্লাহ স. থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হযরত নাফে’ এটাকে ইবনে উমার রা.-এর নিজের আমল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি কখনও এটাকে বনে উমার রা.-এর আমল বর্ণনা করেন, আবার কখনও ইবনে উমার সূত্রে হযরত উমার রা.-এর আমল বর্ণনা করেন। এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কথা হলো সেটা যেটা সালেম বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, রসূলুল্লাহ স.-এর আমল আর নাফে’র বর্ণনার দিকে মানুষ ভ্রুক্ষেপ করেনি। (আত তামহীদ: ইমাম যুহরীর ২৪ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়) প্রথমে ইমাম বুখারীর মন্তব্য থেকে প্রমাণিত হলো যে, হযরত নাফে’ থেকেই এ ব্যাপারে ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। আর ইবনে আব্দুল বার রহ.-এর বিশ্লেষণ থেকে প্রমাণিত হলো যে, এটা হযরত ইবনে উমার রা.-এর আমল না হওয়ার বিষয়টিই সঠিক।
হযরত ইবনে উমার রা. মৃত্যু পর্যন্ত রফউল ইদাইন করতেন মর্মে ইমাম বাইহাকী যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন সে হাদীসের একজন রাবী হলেন ইসমা বিন মুহাম্মাদ। ইমামগণ তাঁকে পরিত্যাক্ত, মিথ্যাবাদী, জঈফসহ বহু মারাত্মক দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। (মীযানুল ই’তিদাল: ৫৬৩১) অপর বর্ণনায় আরও একজন রাবী রয়েছেন যার নাম আব্দুর রহমান বিন কুরাইশ। তিনি হাদীস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত। হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন: اتهمه السليماني بوضع الحديث، “আল্লামা সুলাইমানী তাকে হাদীস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন”। (লিসানুল মীযান: ৪৬৬৯) সুতরাং ইবনে উমার রা. মৃত্যু পর্যন্ত রফউল ইয়াদাইন করতেন তা প্রমাণিত নয়।
শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে শুয়োরের বাচ্চা গুলো।
*সংজ্ঞা*~ ➡️রুকুতে যাওয়ার পূর্বে এবং রুকু থেকে উঠে তাকবীরে তাহরীমার হাত উত্তোলনের ন্যায় যে রূপ হাত উত্তোলন করা হয় সেটিকে রাফউল ইয়াদাইন বলা হয় ।
এটি করা এবং না করা নিয়ে চার ইমামের মাঝে মতানৈক্য আছে। এবং মতানৈক্য টি উত্তম ও অনুত্তম নিয়ে জায়েজ বা নাজায়েজ নিয়ে নয়...যেমন ইমাম শাফি রাহিমাহুল্লাহ এবং ইমাম আহমাদে রাহিমাহুল্লাহ এর নিকট এটি করা মুস্তাহাব এবং আমাদের নিকট তথা হানাফিদের নিকট না করাটাই মুস্তাহাব...🚩
কিন্তু বর্তমান একটি দল এটি নিয়ে, চাই হাদীস শাস্ত্রে অপর্যাপ্ত জ্ঞান বা দলীয় গোঁড়ামির কারণে এটিকে জরুরী বলে থাকে.. আমরা আজকে সেটি হাদিস ভিত্তিক ভাবে জানবো
এখানে আমরা দুটি বিষয় প্রমাণ করব...
➡️ প্রথম নম্বর বিষয় হলো, রাফউল ইয়াদাইন না করাটা সহিহ হাদিস দ্বারা এবং সাহাবা ও তাবেঈনদের আমল দ্বারা প্রমাণিত...
➡️দ্বিতীয় নম্বর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রফউল ইয়াদাইন না করা
➡️দলিল নম্বর 1👉 হাদিস. عن علقمة قال قال لا انا ابن مسعود الا اصلي بكم صلاه رسول الله صلى الله عليه وسلم فاصلى ولم يرفع يديه الا مره وفي بعد الروايات الا في اول مرة وافي بعديها الا مرة واحده مع تكبيره الافتتاح।
অনুবাদ.➡️ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত পড়ে দেখাবো না??? অতঃপর তিনি নামাজ পড়লেন এবং তার দুই হাতকে কেবলমাত্র একবার এই উত্তোলন করলেন, এবং অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে কেবলমাত্র প্রথমবারে, এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে কেবলমাত্র একবার তাকবীরে তাহরীমার সময়......
👉সুনান তিরমিজি প্রথম খন্ড 59 নম্বর পৃষ্ঠা ➡️257 নম্বর হাদিস👉 সুনানে নাসায়ী শরীফ প্রথম খন্ড 120 পৃষ্ঠা 👉সুনানে কুবরা দ্বিতীয় খন্ড 121 পৃষ্ঠা 👉আবু দাউদ শরীফ প্রথম খন্ড 109 পৃষ্ঠা👉 সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী দ্বিতীয় খন্ড 78 পৃষ্ঠা 👉মুসান্নাফে আবী শাইবা প্রথম খন্ড 213 পৃষ্ঠা➡️ 2441 নম্বর হাদিস👉 মুসনাদে আবু ইয়ালা 8 নম্বর খন্ড 454 পৃষ্ঠা ➡️5040 নম্বর হাদিস 👉মুসনাদে আহমদ প্রথম খন্ড 505 পৃষ্ঠা➡️ 3680 নম্বর হাদিস
তাহকীক =➡️👉ইমাম তিরমিজি বলেন হাদীসটি হাসান 👉আহলে হাদীসদের মহামান্য ইমাম ইবনে হাযম জাহির তার কিতাব মুহাল্লায় 3/4 বলেন,, "নিশ্চয়ই এটি সহি হাদিস".👉 বিশেষ করে আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ বলেন ,"হক কথা এটাই যে এটা সহি হাদিস. এর সনদ ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহি এবং এটি যারা দুর্বল বলেছেন তাদের পক্ষ থেকে এমন কোন দলিল পাইনি যার ভিত্তিতে এটাকে প্রত্যাখ্যান করা যেতে" তাখরীজে মিশকাত প্রথম খন্ড 254 পৃষ্ঠা ➡️809 নম্বর ক্রমিক ...এবং এছাড়াও👉 নুখাবুল আফকার দ্বিতীয় খন্ড 601 পৃষ্ঠা 👉আশার সুন্নাহ প্রথম খন্ড 103 পৃষ্ঠায় এই হাদিসকে সহি বলা হয়েছে...........🌷🌷🌷🌷🌷🌷
➡️দ্বিতীয় হাদিস 👉 حدثتا الحمدى قال حدثنا الرهرى و قال أبو عوانة حدثناعبد الله بن اىوب المخرمى و سعدان بن نصر و شعىب بن عمر و في آخرين قالوا ثنا سفىان بن عىىنة عن الرهرى عن سالم عن أبيه قال رايت رسول لله صلى الله عليه وسلم اذا افتتح الصلاة رفع يدىه حذو منكبيه واذا أراد أن ىركع و بعد ما ىرفع رأسه من الركوع فلا ىرفع و لا بين السجدتىن
👉তরজমা➡️ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার বলেন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি যখন তিনি নামাজ শুরু করতেন তার দুই হাত কে কাঁধ বরাবর তুলতেন এবং যখন তিনি রুকু করার ইচ্ছা করতেন এবং রুকু থেকে মাথা উত্তোলন করতেন তখন তিনি রফউল ইয়াদাইন করতেন না এবং দুই সিজদার মাঝে ও করতেন না......👉 মুসনাদে হুমায়দী দ্বিতীয় খন্ড 277 পৃষ্ঠা ➡️614 নম্বর হাদিস 👉সহি আবু আওয়ানাহ দ্বিতীয় খন্ড 901 পৃষ্ঠা...➡️ এ হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্ত মাফিক সহিহ
বিঃদ্রঃ হুমায়দি তিনি ইমাম বুখারীর রাহিমাহুল্লাহ একজন বিশিষ্ট শিক্ষক... 👉 ইমাম বুখারী তিনি হুমায়দির নিকট কোন হাদিস পেলে তিনি অন্যদিকে আর ধাবিত হতেন না👉 তাক্বরিব 303 পৃষ্ঠা➡️ 3320 ক্রমিক নম্বর .........
তাহকীক👉 মারি ফাতু উলুমুল হাদিস প্রথম খন্ড 99 পৃষ্ঠা 👉নুজহাতুন নাজার 26 পৃষ্ঠা... লেখা হয়েছে এ হাদীসটি অতি উচ্চ পর্যায়ের সহিহ এতে সন্দেহের অবকাশ নাই।
তাহলে আমরা প্রমাণ করলাম এই হাদিসদ্বয়ের মাধ্যমে যে নামাজের মধ্যে রফউল ইয়াদাইন না করাটাও রসূলুল্লাহ থেকে মারফু সূত্রে প্রমাণিত. এবং রফউল ইয়াদাইন করাটা যেমন প্রমাণিত এবং না করাটাও প্রমাণিত... এই কথাটি সাক্ষ্য দিয়েছেন👉 যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী রাহিমাহুল্লাহ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ দ্বিতীয় খন্ড 10পৃষ্ঠা এবং👉 আহলে হাদিসদের ইমাম আল্লামা ইবনে হাজম জাহেরী মুহাল্লা কিতাবে তৃতীয় খন্ড 235 পৃষ্ঠা এছাড়া👉 ইমাম ইবনে তাইমিয়া যিনি আহলে হাদীসদের তথা সালাফিদের নীতির একটি খুঁটি তিনি মাজমুউল ফাতাওয়া 22/253 এছাড়া👉 সিআয়াহ দ্বিতীয় খন্ড 213 পৃষ্ঠা .এতদ্বারা সম্পূর্ণ ভাবে কোন প্রকার মতানৈক্য ছাড়াই প্রমাণ করা হলো যে রফউল ইয়াদাইন করা এবং না করা উভয়টি জায়েজ.. তবে হানাফিদের নিকট না করাটাই উত্তম এর দলিল👉 ইমাম তিরমিজি প্রথম খন্ড 104 পৃষ্ঠায় বলেন
اذا تنازع خبران عن النبي صلى الله عليه وسلم نظر إلى ما عمل به اصحابه من بعده
তরজমা ➡️ যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুটি হাদিস পরস্পরবিরোধী হবে তখন লক্ষ্য করা হবে তার সাহাবাগণের প্রতি যে তারা রসূলুল্লাহর পরে কি আমল করেছে...... তো আমরা এখন তানার সাহাবা তথা খোলাফায়ে রাশেদীন দের আমলের দিকে দৃষ্টিপাত করব.....
➡️👉 ইমাম তিরমিজি ও জামে আত তিরমিজির প্রথম খন্ডে 59 পৃষ্ঠায় বলেছেন," নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবা ও তাবেঈন গণের মধ্যে একাধিক উলামা রফয়ে ইয়াদাইন না করার প্রবক্তা ছিলেন এবং এটাই ইমাম সুফিয়ান ও কুফাবাসীদের মত" হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর আমল....
👉 হাদিস➡️ আলকামা রহিমাহুল্লাহ বলেন হযরত ইবনে মাসউদ বলেছেন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবুবকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে নামাজ পড়েছে তারা নামাজ আরম্ভ করা ছাড়া আর অন্য কোথাও রফয়ে ইয়াদাইন করতেন না... 👉সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী দ্বিতীয় খন্ড 113 পৃষ্ঠা 👉সুনানে দারাকুতনী প্রথম খন্ড 295 পৃষ্ঠা ➡️1120 নম্বর হাদিস
তাহকীক👉 ইলাউস সুনান তৃতীয় খন্ড 68 পৃষ্ঠা 👉জাওহারুন নাকি প্রথম খন্ড 138 পৃষ্ঠা ..বলা হয়েছে যে "হাদীসের সনদ অতি জোরদার "
এবার হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর আমল....
হাদিস হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নামাজ আরম্ভ করার সময় রফউল ইয়াদাইন করতেন আর কোন ক্ষেত্রে করতেন না।।.👉 মুসান্নাফে আবী শাইবা প্রথম খন্ড 213 পৃষ্ঠা➡️ 2442 নম্বর হাদিস 👉ত্বহাবি শরীফ প্রথম খন্ড 163 পৃষ্ঠা 👉বাইহাকী দ্বিতীয় খন্ড 114 পৃষ্ঠা👉 মুয়াত্তা মোহাম্মদ 94 পৃষ্ঠা
ইবনে মাসউদ এর আমল তিনিও নামাজের শুরু ছাড়া কোথাও রফউল ইয়াদাইন করতেন না ..👉ত্বহাবী শরীফ প্রথম খন্ড 164 পৃষ্ঠা👉 মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় খন্ড 46 পৃষ্ঠা ➡️2536 নম্বর হাদিস ও 2537 নম্বর হাদিস 👉মুজামে কাবির 9 নম্বর খন্ড 261 পৃষ্ঠা ➡️9298 ও 9299 এবং 9300 নম্বর হাদিস...
ইবনে ওমর তথা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর পুত্রের আমল...
হাদিস মুজাহিদ বলেন আমি তার পিছনে নামাজ পড়েছি তিনি প্রথমবার ছাড়া নামাজের আর কোথাও রাফউল ইয়াদাইন করেননি..👉 তাহাবী শরীফ প্রথম খন্ড 163 পৃষ্ঠা 👉মুসান্নাফে আবী শাইবা প্রথম খন্ড 214 পৃষ্ঠা➡️ 2452 নম্বর হাদিস
➡️ উপসংহার👉👉👉 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো নামাজের মধ্যে রফউল ইয়াদাইন করেছেন এবং কখনো নামাজের মধ্যে রফউল ইয়াদাইন করেননি ..👉কিছু সংখ্যক আলেমগণ বলেন যে রফউল ইদাইন রসূলুল্লাহর প্রথম জীবনের আমল ছিল শেষের দিকে তিনি পরিত্যাগ করেছিলেন ।।কিছু সংখ্যক আলেমগণের মতে যে না করাটাই উত্তম কারণ রসূলুল্লাহর প্রধান সাহাবা যেমন হজরতে আবু বকর, হযরত ওমর ,হযরত আলী, ইবনে মাসউদ এবং ইবনে উমার এবং আরো অন্যান্য সাহাবী এবং তাবেঈন রা রফউল ইয়াদাইন করেননি এর দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে সাহাবারা কখনো উত্তম কাজকে পরিত্যাগ করতে পারেন না কিন্তু তারা রাফউল ইয়াদাইন করতেন না। এ দ্বারা বোঝা যায় যে রফউল ইয়াদাইন না করাটাই উত্তম এবং এটিই হানাফী মাযহাবের মতামত। ❤️❤️❤️ আল্লাহু আলাম❤️❤️
Safiulla laskar
আমার বিশ্বাসে আমি আপোষহীন।
Operating as usual


যেকোনো যোগ্য ব্যাক্তি যুক্ত হয়ে বিতর্ক করতে পারেন।
বিষয় - তাকলীদ কি ও কেন?
তাকলীদ সম্পর্কে এটাই শেষ আলোচন তাই যারা এই বিষয়ে জানতে চান বা বিতর্ক করতে চান তাদের কে আহ্বান জানাচ্ছি।
Safiulla Laskar

Safiulla Laskar
বর্তমানে আহলে হাদীসদের ফিতনার রূপ, এ সম্পর্কে একটি আলোচনা।
বাংলাদেশ থেকে ছিলেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম সাহেব,ভারত থেকে সফিউল্লাহ লস্কর।
Safiulla Laskar

আজব শায়েখের গজব ফতওয়ার লিংক।
https://youtu.be/Tr2rbWjmimY
Muhammad Safiullah Laskar
#বুকে_হাত_বাঁধা_সম্পর্কে_কোনো_সহীহ_হাদীস_নেই।
ফোন মুনাজীর আহলে হাদীস শায়েখ(চ*টি) জাহাঙ্গীর বিন বকর v/s সফিউল্লাহ (ছাত্র জামিয়া রাহমানিয়া) Muhammad Safiullah Laskar ।
দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম পর্ব। https://fb.watch/hSS_DYos5l/

كان أصحابُ رسولِ اللهِ ﷺ يتعلَّمون هذا الدُّعاءَ إذا دخَلَتِ السَّنَةُ أو الشَّهرُ
আবদুল্লাহ ইবনে হিশাম বলেন, রাসুল (সা.)-এর সাহাবিরা নতুন বছরের আগমনে কিংবা নতুন মাসের শুরুতে এই দোয়া পড়তে অভ্যস্ত ছিলেন।
দোয়াটি এই,👇
اللهمَّ أدخِلْه علينا بالأمنِ والإيمانِ والسَّلامةِ والإسلامِ ورِضوانٍ مِنَ الرَّحمنِ وجَوازٍ مِنَ الشَّيطانِ।
আল্লাহুম্মা আদখিলহু আলাইনা বিল-আমনি, ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়া রিদওয়ানিম মিনার রাহমান, ওয়া জাওয়ারিম মিনাশ শায়তান।’
মাজমাউজ জাওয়াঈদ ১/১৪২
মুয়জামুল আউসাত ৬/১২১
আলইসাবাহ ২/২৭৮
তারিখে দামেস্ক ৯/২১৩
Muhammad Safiullah Laskar

অনেকদিন হয়ে গেল ছেলে তার পিতাকে 'আব্বু' বলে ডাকে না! এ নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে কথোপকথন!!
~পিতাঃ
বাবা, তুমি অনেকদিন পর্যন্ত আমাকে 'আব্বু' ডাক না। এর কারণ কী?
~পুত্রঃ
ইউটিউবে শায়েখের বয়ান শুনে আমি এখন কারো তাকলীদ করি না! কুরআন ও সহিহ হাদিসের বাইরে কোনো কথা বলি না। নিজের ইজতেহাদ ও তাহকীক ছাড়া কোনো আমল করি না।
~পিতাঃ
কিন্তু তুমি তো কেবল অষ্টম শ্রেণিতে পড়। জীবনে কোনো দিন মাদ্রাসার বারান্দায়ও পা দাও নি। কোনো আলেমের কাছেও পড়নি। তুমি কুরআন-হাদিস বুঝবে কীভাবে? কীভাবে ইজতিহাদ করবে?
~পুত্রঃ
কুরআন -হাদিস বোঝার জন্য মাদ্রাসায় বা আলেমের কাছে পড়তে হয় না। আল্লাহ বলেছেন, বোঝার জন্য আমি কুরআন সহজ করে দিয়েছি।
~পিতাঃ
তুমি তো আরবী পড়তে পারনা! তো বুঝবে কি করে? আর ইজতিহাদ করবে কি করে?
~পুত্রঃ
'কুরআন হাদীস' বুঝতে ও ইজতিহাদ করতে আরবী জানার প্রয়োজন নাই। তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর বাংলায় অনুদিত কিতাব পড়লে যথেষ্ট!
~পিতাঃ
আচ্ছা তুমি মুজতাহিদ মানুষ কারো তাকলিদ করবে না, ভাল কথা কিন্তু আমাকে আব্বু' ডাক না কেন?
~পুত্রঃ
সহিহ দলিল ছাড়া শুধু অন্ধের মতো কারও কথায় কোনো কিছু মানা শিরক। তাই আপনাকে 'আব্বু' বলে সেদিন ডাকব, যেদিন আমি তাহকীক করে শিওর হব যে, আপনি আমার সত্যিকারের জন্মদাতা পিতা।
~পিতাঃ
তাহলে এ ব্যাপারে আমাদের কী করতে হবে?
~পুত্রঃ
আপনার স্ত্রীর সংগে আপনার বিবাহ হয়েছে বলে প্রমান করতে হবে।
~পিতাঃ
বেটা, প্রমাণ স্বরূপ তোমার দাদা সাক্ষী। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। তাকে জিজ্ঞেস কর। প্রমাণ পেয়ে যাবে!
~পুত্রঃ
(রেগে গিয়ে) শুনুন, বাপ দাদার কথায় ধর্ম চলে না! বাপ দাদার দোহায় দিয়ে আপনারা ইসলামকে বিকৃত করেছেন। অথচ বাপ দাদার কথা বা প্রথা মানা সম্পূর্ণ শিরক!
~পিতাঃ
আমাদের কাছে কাগজে লিখা ছাড়া আর কোনো প্রমান নাই। এমনকি বিবাহের অন্য সাক্ষীরাও মারা গেছেন!
~পুত্রঃ
মিস্টার আমি আগেই বলেছি কুরআন ও সহিহ হাদিস ছাড়া অমুক আর তমুকের লিখা ও মুখের কথা গ্রহন যোগ্য নয়! কারণ কুরআন হাদীস ছাড়া অন্য কোন কিছুই দলিল হতে পারে না। তবে হ্যাঁ, ইউটিউব থেকে আপনাদের বিবাহের কোনো ভিডিও দেখালে বিশ্বাস করব! কারণ শায়খদের বয়ান ইউটিউবে থাকে তো, তাই আমি ইউটিউবের ভিডিও খুব বিশ্বাস করি।
~পিতাঃ
তোর মত কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নাই। আমি তোকে ত্যাজ্য করলাম।
~পুত্রঃ
তা তো করবেনই। তবে জেনে রাখুন, আপনার বিয়ের দলিল পেশ করতে না পেরে আপনে প্রমাণ করলেন, আপনে মুশরিক, বিদআতিদের একজন। যারা কোন দলিল পেশ না করে বাপ দাদার দোহায় দেয়!
ইমামদের তাকলীদ যে ছেড়েছে,
দেখবেন আল্লাহ তাকে গুগল,ইউটিউবের তাকলীদ করিয়ে ছেড়েছেন।

আজ এক শায়েখের অবস্থা।
হঠাৎ করে একটি অচেনা নম্বর থেকে কল আসলো।
প্রায় 11টা নাগাদ,কল তুলতেই প্রশ্ন ভেসে আসে যে হুজুর আমাদের গ্রামে দুটি দল এবং একটি দেওবন্দী এখন আমরা কোন দলের তাকলীদ করবো। এরপর সে উভয় দলের মধ্যে একটি মতানৈক্যপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে
তাকে আমি উত্তর দিলাম।
তারপরে জানতে পারলাম আসলে সে জানার জন্য ফোন করেনি বরং তার উদ্দেশ্য হল মোনাজারা করা।
পরিচয় প্রথমে গোপন রাখে আমি বারবার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও সে তার সঠিক নাম ও পরিচয় দেয়নি। কারণ এটাই যে জাতি তাকে চিনে যাবে সে আসলে কে।
তো কিছুক্ষণ কথা হওয়ার পরে সে সে মূর্খের মতো আবোল তাবোল বকে থাকে তারপর ফোন কেটে পালায়।
দুঃখের বিষয় হলো সম্পূর্ণ রেকর্ডিংটা করতে পারিনি কারণ আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সে সাধারণ লোক, পরে দেখলাম সে সাধারণের থেকেও মূর্খ।
শেষ কথা সে আমার এসএমএস এর রিপ্লাই দিচ্ছে কিন্তু কল তুলছে না। কেমন আজব ব্যাপার। 😆
বুকে হাত বাঁধা সম্পর্কে কোনো সহীহ হাদীস নেই।
ফোন মুনাজির আহলে হাদীস শায়েখ জাহাঙ্গীর বিন বকর v/s সফিউল্লাহ হানাফী।
পরবর্তী পার্ট আসছে ইনশাল্লাহ।
পরের ভিডিও তে।
(পরের ভিডিও #জা*র*জ পরিচয় সরাতে ব্যর্থ পাতি শায়েখ জাহাঙ্গীর। বুখারী হাদিস দিয়ে প্রমাণ করা হলো )
Muhammad Safiullah Laskar ।

- বিসমিল্লাহির রহমানিররাহিম ☺️
হে নফসঃ~
- তুমি ধৈর্য ধর, সবর কর, অপেক্ষা কর।
অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে [এমন কিছু] দান করবেন, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হবে। [সূরা দুহাঃ~৫]
কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই। [সূরা যুমারঃ~১০]
নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য, আল্লাহর ওয়াদা বাস্তবায়িত হবেই হবে। আল্লাহর হিসাবে কোনো ভুল হবে না, আল্লাহ তিল পরিমাণ যুলম করবেন না। মানুষ ভুলে গেলেও আল্লাহ তা'য়ালা কোনো কিছুই ভুলে যান না।
আপনার রব কোনো কিছুই ভুলেন না। [সূরা মারইয়ামঃ~৬৪]
হে নফস!
তুমি সবর কর, চেষ্টা কর, দুয়া কর।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দার অতি নিকটবর্তী। [সূরা বাকারাহঃ~১৮৬]
বান্দা যখনই আল্লাহর কাছে দুয়া করে, আল্লাহ বান্দার দুয়া কবুল করেন। [সূরা মু'মিন/গাফিরঃ~৬০]
হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বোত্তম কল্যাণ দান করুন এবং আগুনের আযাব হতে আমাদের রক্ষা করুন। [সূরা বাকারাহ~২০০]
হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন। [সূরা কাহফ~১০]
হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী। [সূরা কাসাসঃ~২৪]
হে আমার রব! আমি অসহায় দূর্বল অক্ষম; অতএব আপনি আমার পক্ষ হতে প্রতিশোধ নিন। [আল কামারঃ~১০]
হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আপনি যা ফয়সালা করেছেন সেগুলোর সুন্দর সমাপ্তি দিন। [মুসনাদে আহমাদঃ~ ৪/১৮১]
😥আমীন, আমীন, আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন😥

ছোট্ট অলসতা জনিত ভুল, যার কারণে আমরা একটি বিরাট সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হই।
সেটি হলো ,
আমরা নফল নামাজ কোন প্রকার কারণ ছাড়াই বসে পড়ায় অভ্যস্ত।
এটি একটি সামাজিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের জেনে রাখা উচিত আমরা এই সামান্য ত্রুটি তথা নামাজ বসে পড়ার কারণে ওই নামাজ যেটি দাঁড়িয়ে পড়লে সম্পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায় সেই নামাজের অর্ধেক সাওয়াব আমরা অর্জন করি।
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الَّذِي يُصَلِّي قَاعِدًا، قَالَ: «مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَاعِدِ»
ইমরান ইব্ন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, যে বসে বসে সালাত আদায় করে। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নফল সালাত আদায় করে তার এ সালাত সর্বোত্তম। আর যে ব্যক্তি বসে বসে সালাত আদায় করে তার জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব রয়েছে।
👇👇👇👇👇
সুনানে আন-নাসায়ী,হাদিস নং 1660.
বুখারী শরীফ হাদীস নং 1116.
তিরমিজি হাদিস নম্বর 371
ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বর 1231.
আবু দাউদ হাদিস নম্বর 951,52.
আহমদ হাদিস নম্বর 19386,19398,19872,
দারাকুতনি 2/42
সহি জামি হাদিস নম্বর 6363
বাইহাকী হাদিস নম্বর 3729.
এগুলি দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণ হলো, যদি কোন ব্যক্তি নফল নামাজ বসে পড়ে সে পরিপূর্ণ সওয়াব পাবে না বরং সে অর্ধেক সওয়াব পাবে।
কিন্তু ফিকহী মাসায়েল এ কোনো ওজর ছাড়া নফল নামাজ বসে পড়া জায়েজ।
কিন্তু সাওয়াব অর্ধেক।
আলমুহীতুল বুরহানী, খন্ড: 2, পৃষ্ঠা: 221
ফাতহুল কাদীর, খন্ড: 1, পৃষ্ঠা: 400
আলবাহরুর রায়েক, খন্ড: 2, পৃষ্ঠা: 62।
হাদিসের মধ্যে মাত্র বিতির এর পরবর্তী দুই রাকাত নফল নামাজ বসে পড়ার কথা এসেছে, এছাড়া অন্য কোন নামাজ কারণ ব্যতীত বসে পড়ার কথা আসেনি।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي ثَمَانَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ يُوتِرُ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَيْنَ النِّدَاءِ وَالإِقَامَةِ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ .
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর দুই রাকাত নামাজ বসে বসে আদায় করতেন।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬০৯।
নাসাঈ শরীফ হাদিস নম্বর 1721।
বসে নামাজ পড়ার কথা কেবলমাত্র অসুস্থতার ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে,
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ لِيَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم -: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে, তা না পারলে বসে; যদি তাও না পার তাহলে শুয়ে।
বুলুগুল মারাম, হাদিস নং 328ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বর 1016.
বুখারি হাদিস নম্বর 1117,
আবু দাউদ 952,
তিরমিজি 372.
এছাড়া আরো কিছু বসে নামাজ পড়ার বর্ণনা রয়েছে যেগুলি রসূলুল্লাহর বৃদ্ধ বয়সের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তাই আমাদের সকলের উচিত প্রত্যেক নফল নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া
কারণ আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা বলেছেনঃ
فَٱسۡتَبِقُوا۟ ٱلۡخَیۡرَ ٰتِۚ
তোমরা সৎ কাজে এগিয়ে যাও।
একটি হাদিসের মধ্যে এসেছে
اذا بلغ المؤمن من الكبر ما يؤجزه عن العمل كتب له ما كان يعمل
যখন মুমিন বান্দা তার বার্ধক্যে উপনীত হয় যা তাকে আমল হতে অক্ষম করে দেয় ওই বান্দর জন্য সে পূর্বে যে আমল করলে সেই আমলের সাওয়াব লেখা হয়।
তাফসীরে জালালাইন 502 নম্বর পৃষ্ঠা।
সূরা তীন এর তফসির।
এ হাদীস দ্বারা বোঝা যায় যদি এখন থেকে কোন ব্যক্তি নফল নামাজ নিয়মিত দাঁড়িয়ে পড়ে তাহলে যখন সে বার্ধক্যে উপনীত হবে।
তখন যদি বয়সের ভারে নামাজ বসে পড়ে সেক্ষেত্রে তার পরিপূর্ণ সাওয়াব লেখা হবে।
আল্লাহ সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন।

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ الشَّنِّيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ بِلاَلَ بْنَ يَسَارِ بْنِ زَيْدٍ، مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُنِيهِ عَنْ جَدِّي أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ " .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্তদাস বিলাল ইবনু ইয়াসার ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি আমার আব্বাকে আমার দাদার সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি দু‘আ পাঠ করবে : “আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতূবু ইলাইহি” সে জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করলেও তাকে ক্ষমা করা হবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫১৭

👉রফউল- ইয়াদাইন-না করার ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবায়ে কিরামের আমল
👉আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার রা.-এর আমল রফয়ে ইয়াদাইন করেননি
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ حَسَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ عُمَرَ، فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ إِلَّا حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ» قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ : وَرَأَيْت الشَّعْبِيَّ ، وَإِبْرَاهِيمَ ، وَأَبَا إِسْحَاقَ ، لاَ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلاَّ حِينَ يَفْتَتِحُونَ الصَّلاَةَ.
হাদীস নম্বর-১১৫ : হযরত আসওয়াদ রহ. বলেন: আমি হযরত উমার রা.-এর সাথে নামায পড়েছি। তিনি নামায শুরু করার সময় ব্যতীত নামাযে আর কোথাও হাত উঠাননি। আব্দুল মালেক বলেন: আমি শা’বী, ইবরাহীম ও আবু ইসহাককে দেখেছি; তাঁদের কেউ নামাযের শুরু ব্যতীত হাত উঠাননি। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৬৯, ত্বহাবী: ১২৬৪)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসটির রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের ثقة “নির্ভরযোগ্য” রাবী। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: وَهَذَا رِجَاله ثِقَات “এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য”। (আদ দিরায়াহ: ১৮১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা যাইলাঈ রহ. বলেন: وَالْحَدِيثُ صَحِيحٌ، “হাদীসটি সহীহ”। (নাসবুর রায়াহ: সিফাতুস সলাত অধ্যায়, ৩৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন। আর বিশিষ্ট তাবিঈ হযরত ইমাম শা’বী, ইবরাহীম নাখঈ এবং আবু ইসহাক রহ.ও নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।
👉আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রা.- রফয়ে ইয়াদাইন করেননি
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قِطَافٍ النَّهْشَلِيِّ،عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ«أَنَّ عَلِيًّا كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ ثُمَّ لَا يَعُودُ» قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: «وَرَأَيْتُ الشَّعْبِيَّ، وَإِبْرَاهِيمَ، وَأَبَا إِسْحَاقَ، لَا يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلَّا حِينَ يَفْتَتِحُونَ الصَّلَاةَ»
হাদীস নম্বর-১১৬ : হযরত আছেম বিন কুলাইব তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন: হযরত আলী রা. শুধু নামাযের শুরুতে হাত উঠাতেন পরবর্তীতে আর উঠাতেন না। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৭, ত্বহাবী: ১৩৫৩ ও ১৩৫৪)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। হযরত আছেমের পিতা কুলাইব ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর কুলাইব ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ৪৬৭১) হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: وَرِجَاله ثِقَات وَهُوَ مَوْقُوف “এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য আর হাদীসটি মাউকুফ”। (আদ দিরায়াহ: ১৮১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা যাইলাঈ রহ. বলেন: وَهُوَ أَثَرٌ صَحِيحٌ، “এ হাদীসটি সহীহ”। (নাসবুর রায়াহ: সিফাতুস সলাত অধ্যায়, ৩৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী বিন আবী তালিব রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।,
👉হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর আমল
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، عَنْ عَبْدِ الرحمن بْنِ الأَسْوَدِ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ : أَلاَ أُرِيكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّةً.
হাদীস নম্বর-১১৭ : হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. (উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ স.-এর নামাযের মতো নামায দেখাব না? এরপর তিনি নামায পড়লেন এবং তাতে মাত্র একবার হাত তুললেন। (অর্থাৎ, তাকবীরে তাহরিমার সময়ে)। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৬, আব্দুর রযযাক: ২৫৩৩ ও ২৫৩৪, ত্বহাবী: ১৩৪৯)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন
👉আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা.-এর আমল,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَّا فِي أَوَّلِ مَا يَفْتَتِحُ»
হাদীস নম্বর-১১৮ : হযরত মুজাহিদ রহ. বলেন: আমি ইবনে উমার রা.কে তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত হাত উঠাতে দেখিনি। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৬৭, ত্বহাবী: ১৩৫৭)
হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাউকুফ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য” রাবী।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন। রফউল ইয়াদাইনের হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবাগণের মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. অন্যতম। অথচ তিনি নিজে নামায পড়েছেন রফউল ইয়াদাইন করা ব্যতীত। হযরত ইবনে উমার রা.-এর এ আমল দেখে বলা যেতে পারে যে, হয়তো তিনি রফউল ইয়াদাইনের আমলকে রহিত মনে করতেন অথবা কমপক্ষে রফউল ইয়াদাইন না করার আমলকে তুলনামূলক উত্তম মনে করতেন। অন্যথায় তিনি রসূলুল্লাহ স.কে রফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়তে দেখে নিজে তা ছেড়ে দিবেন এটা হতে পারে না।
ফায়দা : হযরত ইবনে উমার রা. থেকে রফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়ার হাদীসও বর্ণিত রয়েছে। (বুখারী: ৭০৩) কিন্তু এ হাদীসের ব্যাপক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এটা মূলতঃ রসূলুল্লাহ স.-এর আমলের বর্ণনা; ইবনে উমার রা.-এর নিজের আমল নয়। কারণ, এ হাদীসটি হযরত ইবনে উমার রা. থেকে তাঁর ছেলে সালেমও বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এটাকে রসূলুল্লাহ স.-এর আমল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেখুন, বুখারী: ৭০২, ৭০০ ও ৬৯৯। এমনকি এ হাদীসটি বর্ণনা শেষে ইমাম বুখারী রহ. নিজেও মন্তব্য করেছেন যে, এ হাদীসটি হাম্মাদ বিন সালামা আইয়ূব সূত্রে নাফে’ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এটা রসূলুল্লাহ স.-এর আমল। এ বর্ণনাটি ইমাম বাইহাকী রহ. তাঁর সুনানে কুবরাতেও সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। (২৫১০) এ হাদীসের ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্দুল বার রহ. বলেন:
هَذَا الْحَدِيثُ أَحَدُ الْأَحَادِيثِ الْأَرْبَعَةِ الَّتِي رَفَعَهَا سَالِمٌ عَنِ أبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَأَوْقَفَهَا نَافِعٌ عَلَى ابْنِ عُمَرَ فَمِنْهَا مَا جَعَلَهُ مِنْ قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ وَفِعْلِهِ وَمِنْهَا مَا جَعَلَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ وَالْقَوْلُ فِيهَا قَوْلُ سَالِمٍ وَلَمْ يَلْتَفِتِ النَّاسُ فِيهَا إِلَى نَافِعٍ
“এ হাদীসটি ওই চার হাদীসের একটি যা হযরত সালেম তাঁর পিতার সূত্রে রসূলুল্লাহ স. থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হযরত নাফে’ এটাকে ইবনে উমার রা.-এর নিজের আমল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি কখনও এটাকে বনে উমার রা.-এর আমল বর্ণনা করেন, আবার কখনও ইবনে উমার সূত্রে হযরত উমার রা.-এর আমল বর্ণনা করেন। এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কথা হলো সেটা যেটা সালেম বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, রসূলুল্লাহ স.-এর আমল আর নাফে’র বর্ণনার দিকে মানুষ ভ্রুক্ষেপ করেনি। (আত তামহীদ: ইমাম যুহরীর ২৪ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়) প্রথমে ইমাম বুখারীর মন্তব্য থেকে প্রমাণিত হলো যে, হযরত নাফে’ থেকেই এ ব্যাপারে ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। আর ইবনে আব্দুল বার রহ.-এর বিশ্লেষণ থেকে প্রমাণিত হলো যে, এটা হযরত ইবনে উমার রা.-এর আমল না হওয়ার বিষয়টিই সঠিক।
হযরত ইবনে উমার রা. মৃত্যু পর্যন্ত রফউল ইদাইন করতেন মর্মে ইমাম বাইহাকী যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন সে হাদীসের একজন রাবী হলেন ইসমা বিন মুহাম্মাদ। ইমামগণ তাঁকে পরিত্যাক্ত, মিথ্যাবাদী, জঈফসহ বহু মারাত্মক দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। (মীযানুল ই’তিদাল: ৫৬৩১) অপর বর্ণনায় আরও একজন রাবী রয়েছেন যার নাম আব্দুর রহমান বিন কুরাইশ। তিনি হাদীস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত। হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন: اتهمه السليماني بوضع الحديث، “আল্লামা সুলাইমানী তাকে হাদীস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন”। (লিসানুল মীযান: ৪৬৬৯) সুতরাং ইবনে উমার রা. মৃত্যু পর্যন্ত রফউল ইয়াদাইন করতেন তা প্রমাণিত নয়।

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কোনো মাথব্যথা নেই,
শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে শুয়োরের বাচ্চা গুলো।

আজকের বিষয় হল➡️ *রাফউল ইয়াদাইন*
*সংজ্ঞা*~ ➡️রুকুতে যাওয়ার পূর্বে এবং রুকু থেকে উঠে তাকবীরে তাহরীমার হাত উত্তোলনের ন্যায় যে রূপ হাত উত্তোলন করা হয় সেটিকে রাফউল ইয়াদাইন বলা হয় ।
এটি করা এবং না করা নিয়ে চার ইমামের মাঝে মতানৈক্য আছে। এবং মতানৈক্য টি উত্তম ও অনুত্তম নিয়ে জায়েজ বা নাজায়েজ নিয়ে নয়...যেমন ইমাম শাফি রাহিমাহুল্লাহ এবং ইমাম আহমাদে রাহিমাহুল্লাহ এর নিকট এটি করা মুস্তাহাব এবং আমাদের নিকট তথা হানাফিদের নিকট না করাটাই মুস্তাহাব...🚩
কিন্তু বর্তমান একটি দল এটি নিয়ে, চাই হাদীস শাস্ত্রে অপর্যাপ্ত জ্ঞান বা দলীয় গোঁড়ামির কারণে এটিকে জরুরী বলে থাকে.. আমরা আজকে সেটি হাদিস ভিত্তিক ভাবে জানবো
এখানে আমরা দুটি বিষয় প্রমাণ করব...
➡️ প্রথম নম্বর বিষয় হলো, রাফউল ইয়াদাইন না করাটা সহিহ হাদিস দ্বারা এবং সাহাবা ও তাবেঈনদের আমল দ্বারা প্রমাণিত...
➡️দ্বিতীয় নম্বর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রফউল ইয়াদাইন না করা
➡️দলিল নম্বর 1👉 হাদিস. عن علقمة قال قال لا انا ابن مسعود الا اصلي بكم صلاه رسول الله صلى الله عليه وسلم فاصلى ولم يرفع يديه الا مره وفي بعد الروايات الا في اول مرة وافي بعديها الا مرة واحده مع تكبيره الافتتاح।
অনুবাদ.➡️ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত পড়ে দেখাবো না??? অতঃপর তিনি নামাজ পড়লেন এবং তার দুই হাতকে কেবলমাত্র একবার এই উত্তোলন করলেন, এবং অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে কেবলমাত্র প্রথমবারে, এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে কেবলমাত্র একবার তাকবীরে তাহরীমার সময়......
👉সুনান তিরমিজি প্রথম খন্ড 59 নম্বর পৃষ্ঠা ➡️257 নম্বর হাদিস👉 সুনানে নাসায়ী শরীফ প্রথম খন্ড 120 পৃষ্ঠা 👉সুনানে কুবরা দ্বিতীয় খন্ড 121 পৃষ্ঠা 👉আবু দাউদ শরীফ প্রথম খন্ড 109 পৃষ্ঠা👉 সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী দ্বিতীয় খন্ড 78 পৃষ্ঠা 👉মুসান্নাফে আবী শাইবা প্রথম খন্ড 213 পৃষ্ঠা➡️ 2441 নম্বর হাদিস👉 মুসনাদে আবু ইয়ালা 8 নম্বর খন্ড 454 পৃষ্ঠা ➡️5040 নম্বর হাদিস 👉মুসনাদে আহমদ প্রথম খন্ড 505 পৃষ্ঠা➡️ 3680 নম্বর হাদিস
তাহকীক =➡️👉ইমাম তিরমিজি বলেন হাদীসটি হাসান 👉আহলে হাদীসদের মহামান্য ইমাম ইবনে হাযম জাহির তার কিতাব মুহাল্লায় 3/4 বলেন,, "নিশ্চয়ই এটি সহি হাদিস".👉 বিশেষ করে আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ বলেন ,"হক কথা এটাই যে এটা সহি হাদিস. এর সনদ ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহি এবং এটি যারা দুর্বল বলেছেন তাদের পক্ষ থেকে এমন কোন দলিল পাইনি যার ভিত্তিতে এটাকে প্রত্যাখ্যান করা যেতে" তাখরীজে মিশকাত প্রথম খন্ড 254 পৃষ্ঠা ➡️809 নম্বর ক্রমিক ...এবং এছাড়াও👉 নুখাবুল আফকার দ্বিতীয় খন্ড 601 পৃষ্ঠা 👉আশার সুন্নাহ প্রথম খন্ড 103 পৃষ্ঠায় এই হাদিসকে সহি বলা হয়েছে...........🌷🌷🌷🌷🌷🌷
➡️দ্বিতীয় হাদিস 👉 حدثتا الحمدى قال حدثنا الرهرى و قال أبو عوانة حدثناعبد الله بن اىوب المخرمى و سعدان بن نصر و شعىب بن عمر و في آخرين قالوا ثنا سفىان بن عىىنة عن الرهرى عن سالم عن أبيه قال رايت رسول لله صلى الله عليه وسلم اذا افتتح الصلاة رفع يدىه حذو منكبيه واذا أراد أن ىركع و بعد ما ىرفع رأسه من الركوع فلا ىرفع و لا بين السجدتىن
👉তরজমা➡️ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার বলেন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি যখন তিনি নামাজ শুরু করতেন তার দুই হাত কে কাঁধ বরাবর তুলতেন এবং যখন তিনি রুকু করার ইচ্ছা করতেন এবং রুকু থেকে মাথা উত্তোলন করতেন তখন তিনি রফউল ইয়াদাইন করতেন না এবং দুই সিজদার মাঝে ও করতেন না......👉 মুসনাদে হুমায়দী দ্বিতীয় খন্ড 277 পৃষ্ঠা ➡️614 নম্বর হাদিস 👉সহি আবু আওয়ানাহ দ্বিতীয় খন্ড 901 পৃষ্ঠা...➡️ এ হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্ত মাফিক সহিহ
বিঃদ্রঃ হুমায়দি তিনি ইমাম বুখারীর রাহিমাহুল্লাহ একজন বিশিষ্ট শিক্ষক... 👉 ইমাম বুখারী তিনি হুমায়দির নিকট কোন হাদিস পেলে তিনি অন্যদিকে আর ধাবিত হতেন না👉 তাক্বরিব 303 পৃষ্ঠা➡️ 3320 ক্রমিক নম্বর .........
তাহকীক👉 মারি ফাতু উলুমুল হাদিস প্রথম খন্ড 99 পৃষ্ঠা 👉নুজহাতুন নাজার 26 পৃষ্ঠা... লেখা হয়েছে এ হাদীসটি অতি উচ্চ পর্যায়ের সহিহ এতে সন্দেহের অবকাশ নাই।
তাহলে আমরা প্রমাণ করলাম এই হাদিসদ্বয়ের মাধ্যমে যে নামাজের মধ্যে রফউল ইয়াদাইন না করাটাও রসূলুল্লাহ থেকে মারফু সূত্রে প্রমাণিত. এবং রফউল ইয়াদাইন করাটা যেমন প্রমাণিত এবং না করাটাও প্রমাণিত... এই কথাটি সাক্ষ্য দিয়েছেন👉 যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী রাহিমাহুল্লাহ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ দ্বিতীয় খন্ড 10পৃষ্ঠা এবং👉 আহলে হাদিসদের ইমাম আল্লামা ইবনে হাজম জাহেরী মুহাল্লা কিতাবে তৃতীয় খন্ড 235 পৃষ্ঠা এছাড়া👉 ইমাম ইবনে তাইমিয়া যিনি আহলে হাদীসদের তথা সালাফিদের নীতির একটি খুঁটি তিনি মাজমুউল ফাতাওয়া 22/253 এছাড়া👉 সিআয়াহ দ্বিতীয় খন্ড 213 পৃষ্ঠা .এতদ্বারা সম্পূর্ণ ভাবে কোন প্রকার মতানৈক্য ছাড়াই প্রমাণ করা হলো যে রফউল ইয়াদাইন করা এবং না করা উভয়টি জায়েজ.. তবে হানাফিদের নিকট না করাটাই উত্তম এর দলিল👉 ইমাম তিরমিজি প্রথম খন্ড 104 পৃষ্ঠায় বলেন
اذا تنازع خبران عن النبي صلى الله عليه وسلم نظر إلى ما عمل به اصحابه من بعده
তরজমা ➡️ যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুটি হাদিস পরস্পরবিরোধী হবে তখন লক্ষ্য করা হবে তার সাহাবাগণের প্রতি যে তারা রসূলুল্লাহর পরে কি আমল করেছে...... তো আমরা এখন তানার সাহাবা তথা খোলাফায়ে রাশেদীন দের আমলের দিকে দৃষ্টিপাত করব.....
➡️👉 ইমাম তিরমিজি ও জামে আত তিরমিজির প্রথম খন্ডে 59 পৃষ্ঠায় বলেছেন," নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবা ও তাবেঈন গণের মধ্যে একাধিক উলামা রফয়ে ইয়াদাইন না করার প্রবক্তা ছিলেন এবং এটাই ইমাম সুফিয়ান ও কুফাবাসীদের মত" হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর আমল....
👉 হাদিস➡️ আলকামা রহিমাহুল্লাহ বলেন হযরত ইবনে মাসউদ বলেছেন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবুবকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে নামাজ পড়েছে তারা নামাজ আরম্ভ করা ছাড়া আর অন্য কোথাও রফয়ে ইয়াদাইন করতেন না... 👉সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী দ্বিতীয় খন্ড 113 পৃষ্ঠা 👉সুনানে দারাকুতনী প্রথম খন্ড 295 পৃষ্ঠা ➡️1120 নম্বর হাদিস
তাহকীক👉 ইলাউস সুনান তৃতীয় খন্ড 68 পৃষ্ঠা 👉জাওহারুন নাকি প্রথম খন্ড 138 পৃষ্ঠা ..বলা হয়েছে যে "হাদীসের সনদ অতি জোরদার "
এবার হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর আমল....
হাদিস হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নামাজ আরম্ভ করার সময় রফউল ইয়াদাইন করতেন আর কোন ক্ষেত্রে করতেন না।।.👉 মুসান্নাফে আবী শাইবা প্রথম খন্ড 213 পৃষ্ঠা➡️ 2442 নম্বর হাদিস 👉ত্বহাবি শরীফ প্রথম খন্ড 163 পৃষ্ঠা 👉বাইহাকী দ্বিতীয় খন্ড 114 পৃষ্ঠা👉 মুয়াত্তা মোহাম্মদ 94 পৃষ্ঠা
ইবনে মাসউদ এর আমল তিনিও নামাজের শুরু ছাড়া কোথাও রফউল ইয়াদাইন করতেন না ..👉ত্বহাবী শরীফ প্রথম খন্ড 164 পৃষ্ঠা👉 মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় খন্ড 46 পৃষ্ঠা ➡️2536 নম্বর হাদিস ও 2537 নম্বর হাদিস 👉মুজামে কাবির 9 নম্বর খন্ড 261 পৃষ্ঠা ➡️9298 ও 9299 এবং 9300 নম্বর হাদিস...
ইবনে ওমর তথা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর পুত্রের আমল...
হাদিস মুজাহিদ বলেন আমি তার পিছনে নামাজ পড়েছি তিনি প্রথমবার ছাড়া নামাজের আর কোথাও রাফউল ইয়াদাইন করেননি..👉 তাহাবী শরীফ প্রথম খন্ড 163 পৃষ্ঠা 👉মুসান্নাফে আবী শাইবা প্রথম খন্ড 214 পৃষ্ঠা➡️ 2452 নম্বর হাদিস
➡️ উপসংহার👉👉👉 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো নামাজের মধ্যে রফউল ইয়াদাইন করেছেন এবং কখনো নামাজের মধ্যে রফউল ইয়াদাইন করেননি ..👉কিছু সংখ্যক আলেমগণ বলেন যে রফউল ইদাইন রসূলুল্লাহর প্রথম জীবনের আমল ছিল শেষের দিকে তিনি পরিত্যাগ করেছিলেন ।।কিছু সংখ্যক আলেমগণের মতে যে না করাটাই উত্তম কারণ রসূলুল্লাহর প্রধান সাহাবা যেমন হজরতে আবু বকর, হযরত ওমর ,হযরত আলী, ইবনে মাসউদ এবং ইবনে উমার এবং আরো অন্যান্য সাহাবী এবং তাবেঈন রা রফউল ইয়াদাইন করেননি এর দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে সাহাবারা কখনো উত্তম কাজকে পরিত্যাগ করতে পারেন না কিন্তু তারা রাফউল ইয়াদাইন করতেন না। এ দ্বারা বোঝা যায় যে রফউল ইয়াদাইন না করাটাই উত্তম এবং এটিই হানাফী মাযহাবের মতামত। ❤️❤️❤️ আল্লাহু আলাম❤️❤️
Safiulla laskar

https://chat.whatsapp.com/DPQFM6moODgDQ5rmD3trav
সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য অথবা কোনো বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনা করতে এই গ্রুপে অ্যাড হতে পারেন।
👉তবে মনে রাখবেন আপনি যদি বিতর্ক করতে চান কোনো বিষয়ে তাহলে আপনার প্রতিটি কথা দলিল ভিত্তিক হতে হবে।
👉কোনো প্রকার লিংক গ্রুপে শেয়ার করলে কোনো প্রকার সতর্কতা ছাড়াই রিমুভ করা হতে পারে।
👉কোনো প্রকার অপ্রয়জনিয় কথা বার্তা বললে রিমুভ করা হতে পারে।
اجابة الباطل لدفع المخالف WhatsApp Group Invite
এডমিনদের কাছে অনুরোধ করছি- প্রতিদিন একটা নির্ধারিত সময়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন- উত্তর পর্বের Live অনুষ্ঠান করা হোক। যার যা জানার সরাসরি জেনে নিতে পারবেন।
জন্ম, নাম ও বংশধর:
ইমাম আবু হানিফা ইরাকের কুফায় ৫ সেপ্টেম্বর ৬৯৯ ইংরেজী মোতাবেক ৮০ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর আসল নাম নুমান ইবনে সাবেত ইবনে যূতি।
আবু হানিফা তার কুনিয়্যাত বা ডাকনাম। পরবর্তী যুগে তিনি ইমাম আবু হানিফা নামেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। বিশ্ববাসী তাকে আবু হানিফা নামেই বেশী চেনে। (মুসলিম মণীষা, আবদুল মওদুদ, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা)
উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের রাজত্বকালে ইমাম আবু হানিফা ইরাকের কুফা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ছয় বছর বয়সে আবদুল মালিক মৃত্যুবরণ করেন। ষোল বছর বয়সে তিনি পিতার সাথে হজ্জে গিয়েছিলেন তার পিতা সাবিত বিন যুতা কাবুল, আফগানিস্তানের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার পিতার বয়স যখন ৪০ বছর তখন আবু হানিফা জন্মগ্রহণ করেন। বংশধরের দিক থেকে তাকে অ-আরবীয় বলে ধরা হয়ে থাকে কারণ তার দাদার নামের শেষে যুতা।
প্রখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ খতীবে বাগদাদী আবু হানিফার নাতি ইসমাইল বিন হামাদের বক্তব্য থেকে আবু হানিফার বংশ ব্যাখা দেন। অন্য আরেক ইতিহাসবিদ হামাদ আবু হানিফাকে পারসিক বংশ্বদ্ভূত বলে দাবি করেন। আবু হানিফার বংশ নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য মত হলো তিনি কাবুলের পারসিক বংশদ্ভূত।
শিক্ষা জীবনের সূচনা:
প্রথমত- ইমাম আবু হানিফা রহ. ‘কূফা’ শহরেই ইলমে কালাম ও ইলমে ফিকাহ শিক্ষা করেন। অতঃপর কূফার শীর্ষস্থানীয় ফিকাহ শাস্ত্রবিদ হাম্মাদ রহ.-এর নিকট জ্ঞান আহরণ করতে থাকেন। তিনি দীর্ঘ আঠারো বছর ইমাম হাম্মাদের একান্ত সান্নিধ্যে জ্ঞানার্জনে নিমগ্ন থাকেন।
অতঃপর ১২০ হিজরীতে স্বীয় ওস্তাদ ইমাম হাম্মাদের যখন ইন্তেকাল হয়। এ সময় তিনি উস্তাদের স্হলাভিষিক্ত হয়ে তাঁর শিক্ষাকেন্দ্রে কুফার ‘মাদ্রাসাতুর রায়’-এর পূর্ণদায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ এরপর তিনি কুফা শহর থেকে সফর করে দীর্ঘ ছয়টি বছর মক্কা-মাদীনা অবস্থান করে সেখানকার সকল শায়খদের নিকট থেকে ইলম হাসিল করেন।
প্রাথমিক জীবন বা ব্যবসায়িক জীবন:
ইমাম আবু হানিফার রহ. প্রাথমিক জীবন কেমন ছিল এ বিষয়ে ঐতিহাসিকগণ বেশীকিছু উদ্ধৃত করেননি। তিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ কাপড় ব্যবসায়ী। ইমাম আবু হানিফার পৈত্রিক পেশা ছিল কাপড়ের ব্যবসা। ইরান থেকে শুরু করে ইরাক, সিরিয়া ও হেজায পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলব্যপী বিপুল পরিমণ মুল্যবান রেশমী কাপড়ের আমদানী ও রফতানী হতো। পৈত্রিক এই ব্যবসার সুবাদেই তিনি প্রচুর বিত্তের মালিক ছিলেন।
তৎকালীন বিশিষ্ট ওলামাগণের মধ্যে সম্ভবত তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি রাস্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা বা বিত্তবানদের হাদীয়া-তোহফা প্রাপ্তির পরোয়া না করে নিজ উপার্জনের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ, এলেমের সেবা এবং তাঁর নিকট সমবেত গরীব শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ব্যয়ভার নির্বাহ করার ব্যবস্হা করতেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। পিতা ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী । তাঁর মৃত্যুর পর এই ব্যাবসার দায়িত্ব নিতে হয় যুবক ইমাম আবু হানিফাকে। (আল ফিকহুল আকবার, ভূমিকা, ইমাম আবু হানিফার জীবন ও কর্ম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)।
তাঁর অসামান্য দক্ষতা ও নিষ্ঠায় ব্যাবসা প্রসারিত করার পাশাপাশি কাপড় তৈরির এক কারখানা স্থাপন করেন। যা কিছু দিনের মধ্যেই অনন্য হয়ে ওঠে। ব্যবসায় তার সততার পরিচয় পেয়ে দিগ্বিদিক থেকে লোকেরা তার দোকানে ভিড় জমাতেন।
এভাবে তিনি জন মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত লাভ করলেন। ইমাম শাবী রহ. তাকে ইলমের ব্যাপারে উৎসাহিত করার আগ পর্যন্ত তিনি এ ব্যবসাকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন। (উসুলুদ্দিন ইনদা আবি হানিফা, পৃষ্ঠা- ৬৬)
ব্যবসা জীবন থেকে শিক্ষা জীবনে পদার্পণ:
কিশোর বয়স থেকেই ইমাম সাহেব পিতার ব্যবসার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীক কাজেই তাঁকে বিভিন্ন বাজার ও বাণিজ্য কেন্দ্রে যাতায়াত করতে হতো। ঘটনাচক্রে একদিন ইমাম শাবীর রহ. সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়ে যায়। প্রথম দর্শনেই ইমাম শাবী আবু হনীফার নিষ্পাপ চেহারার মধ্যে প্রতিভার স্ফুরণ লক্ষ করেছিলেন।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে বৎস! তুমি কি কর? এ পথে তোমাকে সব সময় যাতায়াত করতে দেখি? ইমাম সাহেব জবাব দিলেন, আমি ব্যবসা করি। ব্যবসার দায়িত্ব পালনার্থেই ব্যবাসায়ীদের দোকানে দোকানে আমাকে যাওয়া-আসা করতে হয়। ইমাম শাবী রহ. পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এটা তো তোমার লেখাপড়ার বয়স। কোন আলেমের শিক্ষায়তনেও কি তোমার যাতায়াত আছে? আবু হানিফা সরলভাবেই জবাব দিলেন, সেরূপ সুযোগ আমার খুব কমই হয়।
কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই ইমাম শাবী আবু হানিফাকে জ্ঞানার্জনে মনোযোগী হওয়ার প্রতি আগ্রহী করে তুললেন। ইমাম আবু হানিফা বলেন, ইমাম শাবীর রহ সেই আন্তরিকতাপূর্ণ উপদেশবাণী গুলো আমার অন্তরে গভীরভাবে রেখাপাত করল এবং এরপর থেকেই আমি বিপনীকেন্দ্রগুলোতে আসা-যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্রেও যাতায়াত শুরু করলাম। এ সময় আবু হানিফার রহ. বয়স ছিল উনিশ বা বিশ বছর।(আল ফিকহুল আকবার, ভূমিকা, ইমাম আবু হানিফার জীবন ও কর্ম,ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)
হাদিসশাস্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ:
ফিকাহ অধ্যায়নের এরপর তিনি হাদিস শিক্ষার জন্য তদানিন্তন হাদিস বেত্তাদের খিদমতে হাজির হন এবং শিক্ষা লাভ করেন। তখনও কোন প্রনিধান যোগ্য হাদিস গ্রন্থ সংকলিত হয়নি। কোন একজন মুহাদ্দিস সকল হাদিসের হাফিজ ছিলেন না। প্রথমে তিনি কুফায় অবস্থানরত মুহাদ্দিসদের থেকে হাদিস শেখেন।
এরপর তিন বসরা যান। সেখানে হজরত কাতাদাহ রহ.-এর খিদমতে হাজির হন এবং হাদিসের দরস হাসিল করেন। তারপর ইমাম আবু হানিফা রহ. হজরত শুবা রহ.-এর দরসে যোগ দেন। তাঁকে হাদিস শাস্ত্রে ‘আমিরুল মুমিনিন’ বলা হয়।
কুফা ও বসরার পর ইমাম আবু হানিফা হারামাইন শরিফাইন এর দিকে দৃষ্টিপাত করেন । প্রথমে তিনি মক্কা গেলেন এবং সেখানে তিনি হাদিসবিদ হজরত আতা ইবনে আবু রিবাহ রহ. -এর দরবারে যান এবং দরসে শামিল হয়ে শিক্ষা অর্জন করেন। ১১৫ হিজরিতে আতা রহ. ইন্তেকাল করলে তিনি মক্কায় চলে আসেন এবং হজরত ইকরামা রহ. -এর কাছ থেকেও হাদিসের সনদ লাভ করেন। (আল ফিকহুল আকবার, ভূমিকা, ইমাম আবু হানিফার জীবন ও কর্ম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)
ফিকাহশাস্ত্রে ইমাম আবু হানিফার রহ. অবদান:
যুক্তিবিদ্যাসহ অন্যান্য বিষয়ে অসাধারণ জ্ঞানে গুণান্বিত হওয়ার পাশাপাশি ইমাম আবু হানিফা রহ. ইসলামী শরীয়তের বিধিবিধানের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। ইমাম শাবী রহ. -এর অনুপ্রেরণায় আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক তাওফিক প্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি ফিক্বহের জগতে পদার্পন করেন। ইলমে দ্বীন শিক্ষার্জনের মানসে বিভিন্ন মুহাদ্দিস ও ফকীহদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন।
ফিকহের উপর তার এত আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল যে, তিনি হাম্মাদ ইবনে আবি সুলায়মান রহ. এর সান্নিধ্যে সুদীর্ঘ্য ১৮ টি বছর ইলমে দ্বীন শিক্ষার্জনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। কুরআন হাদিস গবেষণা তথা ইজতিহাদের ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য।
তাকে সমকালীন যুগে ফকীহদের সর্দার বলে গণ্য করা হত। এছাড়া তিনি ইরাকের কুফা নগরীর ‘মুফতী’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ইলমী ময়দানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি হানাফী মাযহাবের প্রবর্তক। আজো তিনি ইমাম আজম নামে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন এবং প্রসিদ্ধ চার ইমামের মাঝে তাঁকেই শ্রেষ্ঠ ইমাম হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বর্তমানে ইরাক, চীন, ভারত, পাকিস্তান,বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ নিজেদের জীবনচলার পথে উদ্ভুত সমস্যার সমাধানে ইসলামের দিকনির্দেশনা হিসেবে তার মাজহাবকে মেনে চলেন।এমনকি উসমানী সাম্রাজ্যের অন্তর্গত এলাকাসমুহে আবু হানিফা রহ.-এর মাজহাবকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রে প্রয়োগ করা হত। (উসুলুদ্দিন ইনদা আবি হানিফা-৯৯)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Contact the school
Telephone
Website
Address
Basanti
Basanti
743312
Basanti, 743329
This is the official page of Fulmalancha Hritu Bhakat High School (H.S).
Basanti, 743312
I am srimanta bar I help business owners grow then business 10x with the business strategy please co
Hiranmaypur, South 24 Parganas
Basanti, 743312
LOVE ME OR HATE ME BUT YOU WILL NEVER CHANGE ME.
Basanti (Chowmatha), South 24 Parganas
Basanti, 743312
Indira Gandhi Siksha Niketan [Schussler Biochemic Medical College & Hospital] is legally constituted
VILL+po/Hiranmoy Pur
Basanti, 743312
Food makes a lot of gloomy days seem brighter! #food Please subscribe my channel and share ...
Basanti Road (near 7 No More)
Basanti, 743329
An educational institution with proper aim...