University of Chittagong

University of Chittagong

Share

The University of Chittagong (ESTD 1966) is among the oldest & largest public universities in Bangladesh.

It offers a wide range of undergraduate & graduate degrees to approximately 30,000 students, across more than 50 programs in a wide range of fields.

10/07/2025

আইইআরডিসি আন্ত:বিভাগ শিক্ষা বিতর্ক অনুষ্ঠিত
=====
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বিতর্ক সংগঠন আইইআরডিসি আয়োজিত আন্ত:বিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ১.০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চবির বিভিন্ন অনুষদের ২০ টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ৮ জুলাই ২০২৫ শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ৪ আগস্ট দিনব্যাপী ইন্সটিটিউটে চার পর্বের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্ক ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল বোখারির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ, অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা পারভীন, আইইআরডিসির মডারেটর ও ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আমির উদ্দিন।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, বিতর্ক করতে হলে পড়তে হবে, জানতে হবে। এরপর যৌক্তিক উপায়ে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ প্রক্রিয়া একজন শিক্ষার্থীকে যোগ্য করে তুলে। এমন অনুষ্ঠান আরও বেশি হওয়া উচিত যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী হয়ে উঠতে পারে। আমি প্রায়ই শিক্ষার্থীদের বলি, কোথায় তোমার দুর্বলতা আছে, তা বের করার চেষ্টা করো। সমস্যা বের করতে পারলে সমাধানও খুব সহজে বের করা যাবে। বিতার্কিকরা এ কাজে খুবই দক্ষ হয়।

আইইআরডিসি শিক্ষা বিতর্ক ১.০ এর টাইটেল সপন্সর ছিলো দৈনিক পূর্বদেশ, লজিস্টিক পার্টনার বিসিএস উত্তরণ, গিফট পার্টনার দ্যা ইংলিশ একাডেমী, এসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে ছিল নারানা, ফ্যালকন প্রফেশনাল একাডেমি ,ফুড পার্টনার ছিল ফুড এন্ড রিসার্চ ও লঙ্গরখানা, রেডিও পার্টনার হিসেবে ছিল রেডিও কার্নিভাল এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সিটিজি পোস্ট, দৈনিক পূর্বকোণ এবং দৈনিক কালবেলা।
----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Photos from University of Chittagong's post 09/07/2025

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চবিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত
======
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী কে. এম. সাদমান রহমান সাবাব ও আসিফ আহমেদের মাগফিরাত কামনায় আজ (৯ জুলাই ২০২৫) বাদ যোহর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন অংশগ্রহণ করেন।

জানাযার পূর্বে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের জন্য শোক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, বরং পুরো জাতির সম্পদ। তাই খুব সতর্কতার সাথে জীবন পরিচালনা করে নিজেদেরকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সোহাইব নিহতদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান এবং তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এছাড়াও চবি শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. আবদুল মান্নান, উক্ত হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, অতিস দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট এ.জি.এম. নিয়াজ উদ্দিন, প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নিদের্শনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।

গায়েবানা জানাযায় ইমামতি করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি এবং চবি তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড. মো. শহীদুল হক। জানাযা শেষে দুইজন শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং নিখোঁজ একজন শিক্ষার্থী দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজ আরও একজন শিক্ষার্থী উদ্ধারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
------------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

09/07/2025

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২ জন শিক্ষার্থীর গায়েবানে জানাযা আজ বাদ যোহর চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে
====
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী কে. এম. সাদমান রহমান সাবাব ও আসিফ আহমেদ এর আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ (৯ জুলাই ২০২৫) বাদ যোহর (দুপুর ১:৩০) চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গায়েবানে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত জানাযায় সকলে শরিক হয়ে মরহুমদ্বয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সোহাইব বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজ আরেকজন শিক্ষার্থী উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

08/07/2025

চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শহীদ ফরহাদ হোসেন হল কর্তৃপক্ষের শোকবার্তা
=====
কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এবং শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র কে. এম. সাদমান রহমান সাবাবের মৃত্যু এবং আসিফ আহমেদ ও অরিত্র হাসান নিখোঁজ থাকার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ফরহাদ হোসেন হল কর্তৃপক্ষ গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চবি শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল মান্নান, আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গভীরভাবে শোকাহত। তারা এক শোকবার্তায় বলেন, কে. এম. সাদমান রহমান সাবাবের অকালমৃত্যু আমাদের সবার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। সাবাব ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু গর্বই ছিলেন না, হলের প্রাণও ছিলেন। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আমরা মিস করছি।

শোকবার্তায় তারা আরো বলেন, শহীদ ফরহাদ হোসেন হল পরিবারের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দোয়া করছি, মহান আল্লাহ যেন সাবাবকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং তার পরিবারকে এ শোক সহ্য করার শক্তি দেন। যারা নিখোঁজ রয়েছেন, আল্লাহ তাআলা যেন তাদেরকে নিরাপদে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
-----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

08/07/2025

চবি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়
=====
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী কে. এম. সাদমান রহমান সাবাব এর আকস্মিক মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা একই বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আরও দুই জন মেধাবী শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মাননীয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয় এক শোক বার্তায় মেধাবী শিক্ষার্থী সাবাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ শিক্ষার্থীর মৃত্যুশোক যাতে তার পরিবার-পরিজন কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন, সেজন্য তারা পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। একইসাথে নিখোঁজ দুই জন শিক্ষার্থী যাতে দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসে মহান আল্লাহর দরবারে তারা সে প্রার্থনা করছেন। উল্লেখ্য, নিখোঁজ দুইজন শিক্ষার্থী উদ্ধারে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
-----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Photos from University of Chittagong's post 07/07/2025

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হাসান মোহাম্মদ স্মারক বক্তৃতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত
======
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হাসান মোহাম্মদ স্মারক বক্তৃতা ২০২৫ আজ (৭ জুলাই ২০২৫) সকাল ১০:৩০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ইসলামের বিশ্বায়ন, বাংলাদেশ ও আমাদের জাতিসত্তা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। আরও বলেন, শিক্ষাজীবনে ড. হাসান মোহাম্মদের সঙ্গে বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম এবং নানা কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তাঁর বর্ণিল জীবন ছিল অত্যন্ত অনন্য। উপ-উপাচার্য বলেন, ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি আমরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। এ বিশ্বে ইসলামের অসংখ্য অনুসারী রয়েছেন, কিন্তু ইসলামের মৌলিক বক্তব্য আমরা ভুলে গেছি। তিনি বলেন, আজ বিশ্বজুড়ে মুসলমানেরা কেবল অনৈক্যের কারণে নির্যাতিত হচ্ছে। মুসলমানদের চরিত্র ও ঐক্যের অভাব রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি ইসলামের আদর্শ ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমে এবং বৃহৎ পরিসরে ইসলাম সম্পর্কে জানার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে স্মারক বক্তা মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার প্রথম ক্লাস নিয়েছিলেন প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ। তিনি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন, তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার কোনো কমতি ছিল না। উপ-উপাচার্য আরও বলেন, আজকের স্মারক বক্তা প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ সম্পর্কে চমৎকার আলোচনা করেছেন। এ সমৃদ্ধ আলোচনা রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে গ্রন্থ আকারে প্রকাশের জন্য তিনি স্মারক বক্তার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ড. হাসান মোহাম্মদের নেতৃত্বে আমরা কাজ করেছি। তাঁর দেখানো পথ, রোডম্যাপ ও নীতিমালার অনুসরণে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং বলেন, তিনি রেখে যাওয়া কর্মের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

সেমিনারে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক, চিন্তক, গবেষক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি. এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। স্মারক বক্তৃতায় প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবির এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।

স্মারক বক্তা মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ ছিলেন এ জাতির একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান। ইসলামিক চিন্তা-চেতনা, ইসলামের বিশ্বায়ন, বাংলাদেশের জাতিসত্তা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি যথেষ্ট গবেষণা করে গেছেন। তাঁর গবেষণা কর্মগুলো বিভিন্ন গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। বক্তৃতায় তিনি ইসলামের আবির্ভাব, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন এবং ইসলাম প্রচারে বিভিন্ন নবী-রাসূল ও সাহাবিদের বংশপরম্পরা ও জীবনীর বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে ধর্ম প্রচারকদের আগমন সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ফলে এ দেশে অনেক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে এবং জাতি তা স্বাগত জানিয়েছে। পরিশেষে তিনি বলেন, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ তাঁর গবেষণাকর্মের মাধ্যমে যে অবদান রেখে গেছেন, তা জাতীয় জীবনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

প্যানেল আলোচক চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবির বলেন, আমি যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৮৩ সালে যোগদান করি, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদকে একজন সুদর্শন, স্মার্ট শিক্ষক ও সহকর্মী হিসেবে পেয়েছি। তিনি একজন চিন্তাশীল, পরোপকারী শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। তিনি ইসলামী চিন্তাধারা, ইসলামের প্রচার-প্রসার, ইসলামের বিশ্বায়ন এবং বাংলাদেশের জাতিসত্তা বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন, যা পরবর্তীতে গ্রন্থাকারে সংকলন করে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য রেখে গেছেন। তার অবদান দেশ ও জাতি স্মরণ রাখবে।

আরেকজন প্যানেল আলোচক চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ তার আলোচনায় ইসলামের দীর্ঘ পথপরিক্রমার বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ইসলামই একমাত্র শান্তির ধর্ম, যেখানে মানবজাতির ইহকাল ও পরকালের শান্তি নিহিত রয়েছে। যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ এ শান্তির বার্তা নিয়ে মানবজাতির কাছে ইসলাম প্রচারে এসেছেন। তিনি ইসলামের মূলবাণী পবিত্র কুরআন ও এর অর্থ পাঠের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে গবেষণার আহ্বান জানান।

চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ) -এর সভাপতিত্বে এবং উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্মারক বক্তৃতায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ বহুগুণে গুণান্বিত ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের নয়নমনি ছিলেন।

চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ) বলেন, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আর. আই. চৌধুরীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত একটি সমৃদ্ধ বিভাগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বিভাগে স্বনামধন্য শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ শিক্ষাদান করে এ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন। এই কৃতি শিক্ষকদের অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশ-বিদেশে স্ব-স্ব মহিমায় আলোর প্রদীপ হয়ে জ্বলছে। তাঁরা এ দেশ ও জাতির সম্পদ। এদের মধ্যে প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ অন্যতম। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের স্মারক বক্তৃতা বা পাবলিক লেকচার বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে—এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

সেমিনারে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন চবি মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হাসান মোহাম্মদের সুযোগ্য সন্তান ড. ফুয়াদ হাসান। তিনি উপস্থিত অতিথিবৃন্দসহ সকলকে শুভেচ্ছা, স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে একটি একাডেমিক আলোচনায় উপস্থিত হওয়ায় তিনি সকলের প্রতি প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদের পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমার বাবা একজন একাডেমিশিয়ান হিসেবে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ছেড়ে যাননি। তিনি আমাদেরকে শত্রু কমানো এবং বন্ধু বাড়ানোর জন্য উপদেশ দিতেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড. মো: শহীদুল হক। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মিঝি।
----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Photos from University of Chittagong's post 06/07/2025

ছয় শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো চবিয়ানদের মিলনমেলা
======
ছয় শতাধিক চবিয়ানের উপস্থিতিতে একটি সর্বজনীন, চমৎকার ও সফল মিলনমেলা শনিবার (৫ জুলাই ২০২৫) কুমিল্লার ফান টাউনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট জনাব এ.জি.এম নিয়াজ উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং সিডনি, অস্ট্রেলিয়া; ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর জনাব আশিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক ও মোহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আহমেদ শিহাব উল্লাহ, কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির গ্রন্থাগার ও বিনোদন সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম এবং ফেরদৌস সায়েম ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এ প্রাণবন্ত এবং হৃদয়স্পর্শী মিলনমেলার আয়োজকদের প্রতি। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মিলনমেলা কুমিল্লা ২০২৫’ শুধু একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নয়; এটি আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মাঝে এক দৃঢ় সেতুবন্ধন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের সফলতা, নেতৃত্ব এবং সমাজে অবদান আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু পুঁথিগত জ্ঞানে নয়, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং দেশপ্রেমেও সমৃদ্ধ।

উপাচার্য বলেন, আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ রকম আত্মিক সংযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য প্রেরণার উৎস। এ সম্পর্ক আরও গভীর হোক-গবেষণা, স্কলারশিপ, ক্যারিয়ার গাইডেন্স এবং নানা একাডেমিক সহায়তায় আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন—এটাই প্রত্যাশিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে নিজেকে ধন্য মনে করছি। একাডেমিক উন্নয়ন কেবল পাঠ্যপুস্তক বা শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়—এটি বাস্তব জীবনে তার প্রতিফলন দেখে বোঝা যায়। আজকের এ অনুষ্ঠানে সেই প্রতিফলন স্পষ্ট।

তিনি আরও বলেন, আপনারা সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা নতুন প্রজন্মের জন্য এক অসাধারণ উদাহরণ। আমি আশা করি, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রমে আপনার মেধা, অভিজ্ঞতা ও সম্পদ দিয়ে অবদান রাখবেন।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখন গুণগত শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এ যাত্রায় প্রাক্তনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।

তিনি আরও বলেন, আজকের এ পুনর্মিলনী আমাদের সকলের জন্য এক আনন্দঘন ও আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি জানি, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নীরবে-নিভৃতে সহায়তা করে চলেছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি ভবন নয়, এটি একটি স্মৃতি, এক আত্মিক বন্ধন। সে বন্ধন আজ এখানে দৃশ্যমান-কুমিল্লায় যেন আমরা চবি ক্যাম্পাসেরই একটি পুনঃসৃষ্টি দেখছি। তিনি প্রত্যাশা করেন, এ মিলনমেলা থেকে একটি সক্রিয় অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, যা প্রশাসনিক, অবকাঠামোগত ও মানবসম্পদ উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদে অবদান রাখবে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বয়সের মানদণ্ডে যুবক, মধ্যবয়স্ক এবং প্রবীণ সকল শ্রেণির সাবেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। আয়োজনে ছিল সকালের নাস্তা, দুপুরে কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, ফিরনি, বোরহানি, কোল্ড ড্রিংকস এবং পর্যাপ্ত পানি; বিকেলে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, জিলাপি ও আইসক্রিম। সারাদিন পর্যাপ্ত কফির ব্যবস্থাও ছিল।

এছাড়াও স্মৃতিচারণ করেন কুমিল্লায় অবস্থানরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করেন বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত কুমিল্লার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত কাওয়ালী শিল্পীগোষ্ঠী আজাদী মঞ্চ এবং কুমিল্লা মহানগরীর ইতিবৃত্ত সংসদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সাহিত্যিক ও শৈল্পিক মানদণ্ডের কোনো ঘাটতি ছিল না; বরং প্রতিটি উপস্থাপনায় ছিল এক আলাদা আবেদন। ডেলিগেটদের জন্য উপহার হিসেবে ছিল চমৎকার একটি ব্যাগ, গেঞ্জি, মগ ও সুভেনির (স্মারক)।

আলোচনার পাশাপাশি পুরো সময় জুড়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, কথাবার্তা, জুনিয়র-সিনিয়র কুশলাদি, মতবিনিময়, আড্ডা-গল্প ও ছবি তোলার মধ্য দিয়ে প্রাণবন্ত সময় কেটেছে চবিয়ানদের। অনেকেই ছিলেন যাদের নাম শোনা ছিল, কিন্তু কখনো দেখা হয়নি-সেই আক্ষেপও পূরণ হয়েছে গতকাল।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত, কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা এই মিলনমেলায় সদ্বস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রকৃত অর্থেই এটি ছিল একটি সফল মিলনমেলা।
-----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

06/07/2025

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হাসান মোহাম্মদ স্মারক বক্তৃতা ২০২৫ আগামীকাল
=======
'রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হাসান মোহাম্মদ স্মারক বক্তৃতা ২০২৫' আগামীকাল ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার সকাল ১০:৩০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

'ইসলামের বিশ্বায়ন, বাংলাদেশ ও আমাদের জাতিসত্তা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

সেমিনারে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন লেখক, চিন্তক ও গবেষক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।

এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখবেন চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবির ও চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।

চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ) এর সভাপতিত্বে এবং উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। সেমিনারে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখবেন চবি মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হাসান মোহাম্মদ এর সুযোগ্য সন্তান ড. ফুয়াদ হাসান।
-----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

06/07/2025

চবি উপাচার্যের সাথে দেশের স্বনামধন্য ৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩ শিক্ষকের সৌজন্য সাক্ষাৎ
======
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতারের সাথে ০৫ জুলাই ২০২৫ উপাচার্যের অফিসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মফিজুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মো. খাদেমুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবির সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও তথ্য-ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড. মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

চবি উপাচার্য অতিথিবৃন্দকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান একাডেমিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সম্পর্কে অতিথিবৃন্দকে সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন। উপাচার্য অতিথিবৃন্দকে কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

অতিথিবৃন্দ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সম্পর্কে জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন।
----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Photos from University of Chittagong's post 05/07/2025

সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, চবি’র রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
=====
"সুবর্ণ আলোয় আলোকিত হোক বাংলাদেশ"—এ স্লোগানকে ধারণ করে সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান ৪ জুলাই ২০২৫ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং রজতজয়ন্তী স্মারক ‘সুবর্ণমৈত্রী’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম সাতকানিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহীন সিরাজ, নোয়াখালী জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট এ.বি.এম. জাকারিয়া, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিদারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (পিবিআই) আবু জাফর মো. ওমর ফারুক, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজান বিন মজিদ, চবি রাজনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে পিটুপির সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার মো. আব্দুল গণি, ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবী মো. তরিকুল্লাহসহ প্রমুখ। সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, চবি'র সভাপতি মো. তামজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সদস্য মো. শামীম হোসাইন ও আনসারু হক মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেসেলাত লিছান।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও একাডেমিক জ্ঞানচর্চার এক অসাধারণ মিলনস্থল। সবুজ পাহাড় ও পাখির কলতানে মুখরিত এ ক্যাম্পাসে প্রতিদিনই জেগে ওঠে নতুন সম্ভাবনা। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান ও গবেষণার কেন্দ্র নয়, বরং এটি একটি জীবন্ত সংস্কৃতি, যেখানে জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকশিত হয় একাডেমিক পেশাদারিত্ব, নৈতিকতা, মানবিকতা ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, চবি তার গৌরবময় রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ‘সুবর্ণমৈত্রী’ স্মরণিকা প্রকাশ করেছে। এটি শুধু একটি প্রকাশনা নয়, এটি এসোসিয়েশনের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ছাত্র-সংগঠনের দায়িত্বশীলতার এক অনন্য দলিল। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পথনির্দেশক হয়ে থাকবে।

উপাচার্য আরও বলেন, এটি সংগঠনটির দীর্ঘ ২৫ বছরের পথচলার স্বর্ণালী অর্জনের এক স্মরণীয় ও গৌরবময় অধ্যায়, যা শিক্ষার্থীদের ঐক্য, সহমর্মিতা ও সমাজসেবার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতে সুবর্ণচরবাসী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গণ্য হবে। সংগঠনটি সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একতা, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা সমিতিগুলো শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক গতিধারা ও কর্মকাণ্ডকে ধরে রাখতে এবং সমৃদ্ধ করতে অবদান রাখছে।

উপাচার্য রজতজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে এসোসিয়েশনের সকল সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং তাদের অভিভাবকতুল্য নেতৃত্বকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী পথচলায় এ সংগঠন হবে আরও বলিষ্ঠ, উদার ও মানবিক চেতনায় সমৃদ্ধ। সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীরা যেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধা, নিষ্ঠা ও নৈতিকতার পরিচয় দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব সমুজ্জ্বল করে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি এসোসিয়েশনের সকল সমাজসেবামূলক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যদ্বয় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং কৃতি ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, আজকের এই রজতজয়ন্তীর আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে এ সংগঠনকে যারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে ছাত্র সংগঠনগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা অনস্বীকার্য। সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন তারই উজ্জ্বল উদাহরণ। জ্ঞান ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীলতা, নেতৃত্বের দক্ষতা ও সামাজিক দায়বোধ গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও পরিচালকদের নির্দেশনার কথাও জানান। তিনি বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, চবি'র রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ‘সুবর্ণমৈত্রী’-র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও প্রেরণাদায়ক।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমি যেন এক ধরনের আত্মীয়তায় জড়িয়ে পড়েছি। ২৫ বছর কোনো ছোট সময় নয়। এ সময়ে এসোসিয়েশন প্রমাণ করেছে—উদ্যোগ, ঐক্য আর ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে বড় কিছু অর্জন সম্ভব। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে সংগঠনের সকল সদস্য, শুভানুধ্যায়ী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্যই আমরা আছি। শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি। পঁচিশ বছরের পথচলা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি শুধু সময়ের পরিক্রমা নয়, বরং ঐক্য, সহমর্মিতা ও নিরলস প্রচেষ্টার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সংগঠনটির অবদান এবং নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচিতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। সংগঠনটি যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব, নৈতিকতা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে—এ প্রত্যাশা করি।

উপ-উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উজ্জ্বল ছাত্রসংগঠন হিসেবে এর অভিযাত্রা আমাদের শিক্ষাঙ্গনের বহুত্ববাদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মূল্যবোধনির্ভর পরিবেশকে সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতেও এ সংগঠন জাতি ও সমাজ গঠনে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে এ প্রত্যাশা করি।

অনুষ্ঠানে সুবর্ণচর উপজেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।‌ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, কৃতি ও বিদায়ী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র‍্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
---------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

03/07/2025

সিরাজ উদ্দিন সাথী রচিত ‘পলাশ শিমুলের জীবন আমার’ বই চবি গ্রন্থাগারিকের কাছে হস্তান্তর করেন উপাচার্য
====
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার আজ (০৩ জুন ২০২৫) সকাল ৯টায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য জনাব এম. সিরাজ উদ্দিন মিয়ার লেখা এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘পলাশ শিমুলের জীবন আমার’ শীর্ষক বইয়ের ২টি কপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষণের জন্য চবি গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আলমগীরের নিকট হস্তান্তর করেন।

উপাচার্য সিরাজ উদ্দিন সাথী রচিত ‘পলাশ শিমুলের জীবন আমার’ বইটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের সাথে উপাচার্যের অফিস কক্ষে গত শনিবার (২৮ জুন ২০২৫) বিকাল ৩টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য জনাব এম. সিরাজ উদ্দিন মিয়া সাক্ষাৎ করে তার লেখা বইয়ের দুটি কপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার জন্য প্রদান করেন।
----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Photos from University of Chittagong's post 02/07/2025

চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন
======
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস আজ (২ জুলাই ২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ)।

উপাচার্য তার বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদেরস্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি বিভাগ। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করেই একাডেমিক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এ দেশকে পুনর্গঠনের একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। বিভিন্ন দলাদলি, একপেশে চিন্তাধারা, রাজনৈতিক হানাহানি ও সর্বোপরি অনৈক্যের ফলে সে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। বিগত ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে সে সুযোগ আবার ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, এবারের এ সুযোগ আর হাতছাড়া করা যাবে না। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে একযোগে কাজ করতে হবে। উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, এটি নেতা তৈরির ফ্যাক্টরি নয়। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরির কারখানা। যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে পারলেই নিজে থেকেই নেতা তৈরি হবে। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদেরকে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না ভেবে, সারা পৃথিবীর শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয় ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) নবীন শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে আন্তরিক শুভেচ্ছা, স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে পরাজিত করে যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে, তাদেরকে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। এ সকল অর্থ সাধারণ কৃষক-শ্রমিক থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনসাধারণের। তাই শ্রমিকের ঘামের টাকায় রাষ্ট্রের এ অর্থ যাতে বৃথা না যায়, শিক্ষার্থীদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। উপ-উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী পড়তে আসে, কিন্তু সব শিক্ষার্থী পাশ করে বের হতে পারে না—এটিও শিক্ষার্থীদের অনুধাবন করতে হবে। তিনি বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দকে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, অর্ডিন্যান্স ও নিয়মনীতি সম্পর্কে জানাতে সেমিনারের আয়োজন করার পরামর্শ দেন। উপ-উপাচার্য প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে বিশ্বমানের কারিকুলাম তৈরি করতে শিক্ষকদের আহ্বান জানান।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগ। এ বিভাগে প্রথিতযশা অনেক শিক্ষক শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়াও এ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। উপ-উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদেরকে এ ঐতিহ্যবাহী বিভাগের আলোয় আলোকিত হয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ফলেই আজকের নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। এ নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীরা যে সুযোগ পেয়েছে, তা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

বিভাগের প্রভাষক মো. এরশাদুল হকের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের বর্ষীয়ান শিক্ষক প্রফেসর ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবীর, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও উক্ত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী, বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
----------
স্বাক্ষরিত/-
ড. মোঃ শহীদুল হক
প্রশাসক
তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Want your school to be the top-listed School/college?

University of Chittagong

University of Chittagong (Bengali: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) is a public university with multidisciplinary faculties situated across a 1754-acre hilly landmass in Hathazari Upazilla, 22 kilometres north of Chittagong city of Bangladesh. This is the largest public university in the country in terms of total area of the campus. The academic activities of the university formally began on 18 November, 1966. It has more than about 25,000 students and 900+ faculty members.

The current Vice-Chancellor of the university is Professor Dr. Shireen Akhter.

A Brief History:

From the beginning of the 20th century the enlightened section of local people was pressing to set up a university in Chittagong. Necessary grants for the construction of Chittagong University were allocated on 9 March 1964 in the meeting of National Economic Council.

Telephone