
মানুষের জন্য বাঁচবেন না, কারণ মানুষ বদলায়। আল্লাহর জন্য বাঁচুন যিনি অপরিবর্তনশীল আর যদি আল্লাহর জন্য বাঁচতে পারেন তখন মানুষের জন্যও বাঁচা হয়ে যায়।।
-- আরিফ আজাদ
About Description
মানুষের জন্য বাঁচবেন না, কারণ মানুষ বদলায়। আল্লাহর জন্য বাঁচুন যিনি অপরিবর্তনশীল আর যদি আল্লাহর জন্য বাঁচতে পারেন তখন মানুষের জন্যও বাঁচা হয়ে যায়।।
-- আরিফ আজাদ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক
(সূরা- ইউসুফ ১২/১০৬)
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পরিমাণ যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পনির অথবা এক সা’ পরিমাণ কিসমিস দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫০৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
বিস্তারিতঃ কমেন্টে
রিজিকের মালিক আল্লাহ
সুন্দরবনের বাঘেরা দৈনিক ৫-১৫ কেজি হরিনের মাংস খায়, তবে সুযোগ পেলে বড় পুরুষ বাঘ ৩০ কেজি মাংসও খেতে পারে।যার বর্তমান বাজার দর আনুমানিক (১০-৬০)হাজার টাকা।যদি গরু বা মহিষের মাংস খায় তারও বর্তমান বাজার দর (৩-২০) হাজার টাকা।
অথচ বাঘের কোন ইনকাম নাই,
কোনো চিন্তাও নাই।
কিন্তু আপনি ভাত খান ২৫০ গ্রাম!
তার জন্য আপনি চুরি করেন,সুদ খান,ঘুষ খান,অন্যের হক নষ্ট করেন। আরো কত কী...
আপনার একাউন্টে অনেক টাকা,আপনার শরীরে অনেক রোগ,আপনার সন্তানেরা কথা শুনে না ,আপনার অনেক দুশ্চিন্তা। বাঘ চিন্তা করে আজকে কি খাবো! আপনি চিন্তা করেন আগামি ২০ বছর কি খাবো….
আল্লাহ আমাদের কে সঠিক জ্ঞান দান করুক।
আমিন
রোজা রেখে নামাজ না পড়াকে শরিয়ত কী বলে?
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। আর রোজা তৃতীয়। দুটোই মুসলমানদের জন্য অবশ্যপালনীয়। কিন্তু রমজান এলেই দেখা যায় অনেকে রোজা রাখেন, কিন্তু নামাজ পড়েন না। অথচ নামাজ মুসলমানদের জন্য আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকটবর্তী ইবাদত।
রমজান মাসে সব ফরজ ইবাদতের মধ্যে নামাজই সবচেয়ে অগ্রগণ্য। নামাজ ইমানকে মজবুত করে। নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি: কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। প্রথম তিনটি গরিব-ধনী প্রাপ্তবয়স্ক সব মুসলমানের ওপর ফরজ। আর শেষের দুটি সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর ফরজ।
‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ত্যাগ করে, তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।’ [ বুখারি : ৫২০ ]
এ হাদিস প্রমাণ করে, বেনামাজির কোনো আমল আল্লাহ কবুল করেন না এবং বেনামাজি তার আমল দ্বারা কোনোভাবে উপকৃত হবে না। তার কোনো আমল আল্লাহর কাছে উত্তোলন করা হবে না।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সালাত (নামাজ) হচ্ছে ইমান এবং কুফরের পার্থক্যকারী।’ (মুসলিম)
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় রুকন বা স্তম্ভ। ইমানের পরই নামাজের স্থান। নামাজ ১২ মাসই আদায় করতে হয়। আর রোজা শুধু মাহে রমজানে ফরজ। একজন মুমিন মুসলমান বছরজুড়ে নামাজ আদায় করবেন–এটাই স্বাভাবিক। এর পর যখন পবিত্র মাহে রমজানের আগমন ঘটবে, তখন নামাজ আদায়ের পাশাপাশি রমজানের রোজাগুলোও পালন করবেন। একজন রোজাদার শুধু রোজা রাখবেন, নামাজ পড়বেন না–এমনটা কখনো কল্পনা করা যায় না। নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে প্রচুর আলোচনা রয়েছে।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি।’ চাবি ছাড়া যেমন তালাবদ্ধ ঘরে প্রবেশ করা যায় না; নামাজ কায়েম করা ব্যতীত তেমনি বেহেশতে যাওয়া যাবে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘মুসলমান ও অমুসলমানের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ।’
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের শেষ মূহুর্ত চলছে। ‘ঠিক সে সময় একজন লোক এসে ‘সালাম’ জানিয়ে বললেন, আমি কি ভিতরে আসতে পারি। রাসূল (সাঃ) এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) বললেন, দুঃখিত আমার পিতা খুবই অসুস্থ। একথা বলে ফাতিমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে রাসূল (সাঃ) কাছে গেলেন। হযরত রাসূল (সা) বললেন, কে সেই লোক? ফাতিমা বললেন, এই প্রথম আমি তাকে দেখেছি। আমি তাকে চিনি না।
রাসুল (সাঃ) বললেন শুনো ফাতিমা, সে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট জীবনের অবসানকারী ফেরেশতা আজরাইল। এটা শুনে হযরত ফাতিমার অবস্থা তখন ক্রন্দনরত বোবার মতো হয়ে গিয়েছে।
নবীজী (সা.) তখন দু’হাত তুলে কেঁদে কেঁদে বললেন, হে আল্লাহ, আমার উম্মত! আমার উম্মত! তখন আল্লাহতা’আলা বললেন, হে জিবরাঈল! মুহাম্মাদকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো সে কেন কাঁদে? অতঃপর জিবরাঈল (আ.) নবীজীর কাছে এসে তা জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) সব খুলে বললেন। যদিও আল্লাহতা’আলা সব জানেন। অতঃপর আল্লাহতা’আলা বললেন, হে জিবরাঈল! মুহাম্মাদকে গিয়ে বলো, আমি অচিরেই তোমার উম্মতের ব্যাপারে তোমাকে সন্তুষ্ট করব, ব্যথিত করব না। (সহীহ মুসলিম : ২০২)।
জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হে রাসুল আপনি চিন্তা করবেন না, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের নাজাতের জন্যে।
মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসূলের কাছে এলেন জান কবজ করার জন্যে। মালাকুল মউত আজরাইল আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূলের জান কবজ করতে থাকলেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রাইলকে আল্লাহর রাসূল বললেন, ওহ জিবরাঈল! এটা কেমন বেদনাদায়ক জান কবজ করা। ফাতিমা (রাঃ) তার চোখ বন্ধ করে ফেললেন, আলী (রাঃ) তার দিকে উপুড় হয়ে বসলেন, জিবরাঈল তার মুখটা উল্টা দিকে ফিরিয়ে নিলেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, হে জিবরাঈল তুমি মুখটা উল্টা দিকে ঘুরালে কেন, আমার প্রতি তুমি বিরক্ত? জিবরাঈল বললেন, হে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাকারাতুল মউতের অবস্থায় আমি আপনাকে কিভাবে দেখে সহ্য করতে পারি!
ভয়াবহ ব্যাথায় রাসূল ছোট্ট একটা গোঙানি দিলেন। রাসূলুল্লাহ বললেন, হে আল্লাহ সাকারাতুল মউতটা (জান কবজের সময়) যতই ভয়াবহ হোক, সমস্যা নেই, আমাকে সকল ব্যথা দাও আমি বরণ করবো, কিন্তু আমার উম্মাতকে ব্যথা দিওনা।
এরপর নবী বললেন- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন,রহম করুন এবং সুমহান বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দিন।”
এরপর রাসূলের শরীরটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো। তার পা, বুক কিছুই নড়ছে না এখন আর। রাসূলের চোখের পানির সাথে তার ঠোঁটটা কম্পিত ছিলো, তিনি কিছু বলবেন মনে হয়।
হযরত আলী (রাঃ) তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে নিয়ে গেলো। রাসূল বললেন, নামাজ কায়েম করো এবং তোমাদের মাঝে থাকা দূর্বলদের যত্ন নিও। রাসূলের ঘরের বাইরে চলছে কান্নার আওয়াজ, সাহাবীরা একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্নারত। হযরত আলী (রাঃ) আবার তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে ধরলো, রাসূল চোখ ভেজা অবস্থায় বলতে থাকলেন, ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি, “হে আমার উম্মতেরা নামাজ, নামাজ..! নামাজ..!!
ভাই একটু চিন্তা করেছেন কি? আল্লাহর রাসূল বিদায় মুহূর্ত পর্যন্ত উম্মতের কথা ভুলি নি। তখন ও তিনি উম্মতের কথা চিন্তা করছেন। আল্লাহর রাসূল বিদায় শেষে এটাই আমাদের বুঝাতে চাইছেন। হে আমার উম্মত! আর যাই করো তোমরা নামাজ থেকে গাফেল হবে না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বান্দাকে যে বিষয়ে সর্বপ্রথম জবাবদিহি করতে হবে তা হলো নামাজ। যদি সে তা পূর্ণ করে থাকে, তাহলে ভালো। অন্যথায় আল্লাহ বলবেন, আমার বান্দার নফল ইবাদত দেখো। যদি তার নফল পাওয়া যায়, বলবেন, এর দ্বারা ফরজ পূর্ণ করো।’
(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪৬৭)
আর আজকে আমরা নামাজের ব্যাপারে কতটা উদাসীন একবার কি তা ভেবে দেখেছি? একবার কি চিন্তা করছি বেনামাজী হয়ে আল্লাহর রাসূলের সামনে আমি কিভাবে দাঁড়াবো? তাকে কি জওয়াব দিবো?
কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ النَّاسُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَعْمَالِهِمُ الصَّلَاةُ
‘কেয়ামতের দিন মানুষের আমলসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম তাদের নামাজ সম্পর্কে হিসাব নেওয়া হবে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৮৬৪]
নামাজ এমন একটি ইবাদত তার জন্য কোন অজুহাত চলে না! আপনি কখনো এতটাই ব্যস্ত নন যে নামাজ ছেড়ে দিতে হবে এটি মূলত নির্ভর করে আপনি নামাজকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছেন তার উপর। ব্যস্ত শরীর একদিন নিস্তব্ধ হয়ে যাবে সেদিন হয়তো নামাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করবেন কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে !!!!!
সুতরাং আমাদের সকলের নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ।
যা হওয়ার তো হয়ে গিয়েছে। আমি আমার অতীত পাল্টাতে পারবো না তবে আল্লাহ চাইলে আমার অতীতের খাতা থেকে আমার গুনাহ মুছে দিতে পারে। তাই তওবার নিয়তে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব এখনই এবং আজ থেকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি ৫ ওয়াক্ত নামাজ সময়মত পড়বো।
আল্লাহ আপনাকে এবং আমকে যথাসময় ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
সবাই চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ
এই ভিডিওটি অবশ্যই দেখবেন ও বেশি বেশি শেয়ার করবেন প্লিজ! সুযোগ বার বার আসে না End Time Secrets এই ভিডিওটি দেখবেন ই দেখবেন ও বেশি বেশি শেয়ার করুন প্লিজ! সুযোগ বার বার আসে না End Time Secrets
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন, পড়াশুনা পাশাপাশি আমরা অনেকেই অনলাইন কাজ করে থাকি, আর এই অনলাইন কাজ সহজ করার জন্নে অনেক টুলস দরকার হইতে পারে, যেমন এসও জন্নে SEMRUSH, ডিজাইন জন্নে Canava, কনটেন্ট রাইটিং জন্নে Chatgpt Pro অথবা Jasper, ভিডিও এডিটিং জন্নে Renderforest এমন নানা টুলস দরকার হুইতে পারে, তো আজকে আপনাদের এমন একটি টুলস শেয়ার করবো যেইগুলা এই কাজগুলা কে আরও সহজ করে দিবে , কি কি টুলস এবং লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম।
মাত্র ৭৫০ টাকায় নিয়ে নিন S/E/M/R*sh (সে*মরাশ) সহ 90+ Group SEO/Graphics Tools.
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন অথচ বিভিন্ন এসইও টুলস, মার্কেটিং টুলস, কনটেন্ট টুলস অথবা এডিটিং টুলস পছন্দ করেননা এমন মানুষ খুবই কম। ব্যস্ততম এই সময়ে সবাই চায় একটু দ্রুত অন্য সবার থেকে এগিয়ে থাকতে।
মূলত ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত টুলস গুলোর দাম এবং চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে। যেটা একজন ব্যক্তির পক্ষে সবগুলো টুলস অফিসিয়াল দাম দিয়ে অফিসিয়ালি কেনা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। তাই আমরা ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য প্রয়োজনীয় টুলসগুলো সবচেয়ে কমদামে শেয়ার্ড সিস্টেমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেল করে থাকি।
Tools List
----------------------------------------------------------
1. S**M**sh (সে*ম*রাশ)
2. M'oz Premium
3. U'bersuggest Pro
4. KW'finder
5. Key'word Revealer
6. Serp'Stat
7. S’eoptimer
8. K'eywordtool,io
9. Woo’rank
10. M'angools
11. S'pyfu
12. Buzz’sumo
13. J’ungle S’cout (Bonus)
14. H'elium10
15. O’utranking
16. R’ank Tracker
17. M’ajestic SEO (Bonus)
18. S’pam Zilla (Bonus)
19. Sell’The’Trend
20. Indexification
21. Link Indexer
22. Backlink Repository
23. S’eoscout
24. S’eoSiteCheckup
25. S’eobility
26. L’SI Graph
27. S'peechelo
28. Bl'ackify
29. V'oicemaker
30. C'losersCopy
31. C’reaitor Ai
32. F’rase.io (Bonus)
33. Q’uillbot Pro
34. A’rticle Builder
35. L'ongTail Pro
36. S'pin Rewriter
37. W'ordAi
38. W’ordTune
39. C’anva
40. G’rammerly
41. Typli Ai (Bonus)
42. Hey’Friday
43. Text’wizard
44. A’iseo Ai (Bonus)
45. P’rowriting Aid
46. W’rtly
47. A’rticle Forge (Bonus)
48. W’riterZen (Bonus)
49. L’inguix
50. I’nstroied
51. S'cribd
52. V'idiq
53. I'nvideo
54. M'otion Array
55. M'agisto Video
56. Ai’ Video Creator
57. W’ideo.co (Bonus)
58. Art’list
59. Art’grid
60. E'legantFlyer
61. V'yond Premium
62. V’imeo
63. V'ectezzy Pro
64. R'enderForest
65. E'nvato elements
66. Pixlr
67. D’esign Ai
68. S'toryblocks
69. E'nvato Tuts+
70. Pi'kbest
71. Pi'kmonkey
72. I’cons8
73. Free'Pik Pro
74. P'icsart Pro
75. S'tory'base
76. P'lace-IT
77. Flat’icon
78. L’ovepik
79. I'conscout
80. P'owtoons
81. P'iktochart
82. StockUnlimited
83. S’killshare
84. L’inkedin Learning (Lynda)
85. Book’mate
86. Plural’Sight
87. Eye’EM Down’loader
88. Al’amy Down’loader
89. G’etty Images Down’loader
90. i’Stock Down’loader
91. A’rtlist D’ownloader
+ Upcoming Bonus Tools.
প্রাইস - ৭৫০ টাকা/৩০ দিন
Instant Purchase Link:
https://cureurl.com/hl8qjaz1gu
আপনি চাইলে আমাদের Lite plan এবং Standard Plan -ও দেখতে পারেন।
Lite Plan - 22 Tools - 450 TK
Standard Plan - 42 Tools - 550 TK
Purchase Link: https://cureurl.com/hl8qjaz1gu
আপনার একটি বা দু'টি টুলসের প্রয়োজন হলে আমাদের সিঙ্গেল টুলসের তালিকা দেখতে পারেন।
Link: https://cureurl.com/hl8qjaz1gu
এছাড়াও আমাদের 7̶0̶0̶0̶ টাকার ৬ মাস মেয়াদি প্যাকেজ পাচ্ছেন লাইফটাইম ৩৫% ডিস্কাউন্টে (Coupon: 35OFF ) 4500 টাকায় এবং যা যা পাচ্ছেন এই প্যাকেজেঃ
1. Our Advanced Package ( 90+ Tools ) + – 7 months
2. C’anva Private On Your Email – 7 Months
3. Word’Hero Unlimited words ( Long form editor available ) -- 7 Months
4. N’iches$$ Unlimited -- Best Ai Copywriting ( 7 months )
5. R’ytr - Unlimited – ( 7 months )
6. Writer’Cream – ( 7 months )
7. Closers’Copy – ( 7 months )
8. Backlink Repository – Backlink ( 7 months )
Payment Method: Shurjopay (Automatic Payment Gateway)
Bkash/Rocket/Nagad/Upay/Cellfin/Bank এছাড়াও রয়েছে Paypal এবং ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার সুবিধা। পেমেন্ট করার সাথে সাথে সার্ভিস অটোমেটিক এক্টিভ হয়ে যাবে।
>>>>>>>>
অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব ও রাজত্ব যাঁর হাতে; তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (আল-মুলক)
দিল্লিতে একজন সামুচা ওয়ালা ছিল এবং তাঁর দোকানের সামনে একটি বড় কোম্পানির অফিস ছিল। একদিন এক ম্যানেজার দোকানে সামুচা খেতে গেল।
২ টা সামুচা নিয়ে সামুচা ওয়ালাকে প্রশ্ন করলো,
তুমি খুব সুন্দর করে দোকানটা সাজিয়েছো, সিস্টেম গুলো ভালো, সুন্দর এডমিনিষ্ট্রেশন, তাহলে তোমার এত সুন্দর প্লানিং নিয়ে আমার মত জব করলে ভালো হতো না, এই সামুচা বিক্রি করে কি তুমি সময় নষ্ট করছো না?
সামুচা ওয়ালা হাসি দিয়ে বলল -
স্যার, আমার কাজটা আপনার থেকে অনেক ভাল। আজ থেকে ১০ বছর আগে আমি সামুচা বিক্রি করতাম ছোট একটি টুকরীতে। তখন আমার আয় ছিল মাসে ১ হাজার এবং আপনার বেতন ছিল ১০ হাজার। আজ ১০ বছর পর আমার আয় ১ লক্ষের বেশি আর আপনার বেতন এখন ৬০ হাজার। তাহলে আপনার থেকে আমার কাজটা বেশি ভালো নয় কি?
আমার পরবর্তীতে এই ব্যবসা আমার ছেলে দেখবে। সে সাজানো একটা ব্যবসা পাবে কিন্তু আপনার ছেলে মেয়ে কি আপনার মত শুরুতেই ম্যানেজার পজিশন পাবে? আমি শূন্য থেকে শুরু করেছি কিন্তু আমার ছেলে মেয়েরা শূন্য থেকে শুরু করবে না। চাকরিজীবীর ছেলে মেয়েদের শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। আপনি চাইলেও আপনার পজিশনে আপনার ছেলে মেয়ে কে বসাতে পারবেন না। আপনি ১০ বছর আগে যে কষ্টটা করেছেন আপনার ছেলে মেয়েদেরকে একই কষ্ট করতে হবে। আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত গুছিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব আর আমি তাই করেছি যা আপনি পারেন নি।
লোকটা কথা শুনে ম্যানেজার ৫০ টাকা বিল পরিশোধ করে চলে গেল।
✔️ গল্পটি শুধু সামুচা দোকানের নয় এখানে আছে অনেক বড় ম্যাসেজ যা অনুধাবন করতে পারলে দেশের বেকারত্ব দূর হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।
এই গুলুমুলু পিচ্চি বাবুটার নাম “হানি আজম”।
বাবা-মায়ের কলিজার টুকরা এই পিচ্চিটা দুষ্টামি করলেও কখনো বকা খেয়েছে কি না কে জানে। একে বকা দিতে গেলেও তো মায়া হবার কথা!
বয়সও বেশি না, মাত্র দেড় বছর। হয়তো অল্প অল্প আম্মা, আব্বা ডাকতে শিখেছে এতদিনে। তো সেদিন মায়ের সাথেই ছিল হানি। গাজার জাইতুন শহরে ই [জ] রাইলি বাহিনী যখন সরাসরি আক্রমণ চালায় তখন তাদের বাড়ি ভেঙে ভেতরে ঢুকে ন| প| ক ই [হু] দী সৈন্যগুলো।
মায়ের সামনেই এই পিচ্চিটাকে গু [লি] করে হত্য| করে। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব?
সেই মায়ের জায়গায় নিজেকে রেখে চিন্তা করার ক্ষমতা কারো থাকার কথা না। এই দুঃসাহস করতে গেলেও ভেতরটা খালি হয়ে যাবে।
এই মা যদি বেঁচে থাকেন, এই মায়ের যদি আরো সন্তান দুনিয়ায় আসে তবে প্রত্যেককেই কি এই মা ই [হু] দীদের বিরুদ্ধে লড়|ই করার জন্য প্রস্তুত করবেন না? অবশ্যই করবেন ইনশাআল্লাহ। আজকের হ|ম|সও এভাবেই তৈরি হয়েছে।
যারা আজকের হ|ম|সের বিরোধিতা করার আগে অন্তত গত ৭০ বছরের ইতিহাস দেখে এরপর কথা বলতে আসবেন৷
সোর্স- কু'দ'স নেটওয়ার্ক চ্যানেল।
💭 এই বাচ্চার আকিদা ঠিক ছিল নাকি ভুল ছিল, হানাফি ছিল নাকি সালাফি ছিল, মানহাজি ছিল নাকি মুরজিয়া ছিল এই প্রশ্ন রইলো শায়েখদের কাছে... - Mayraj Hoassain
কালেক্টেড
আল্লাহর দেয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে জিনিস যত মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যবান এই জীবনের সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আল্লাহর দেয়া জীবন ও সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ব্যয় করা শরীয়তের নির্দেশনা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমরা আমাদের মূল্যবান এই জীবনকে এমন সব আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবে খরচ করি, যার ভেতর না আছে দুনিয়ার কল্যাণ, না আছে পরকালের মুক্তি। এমন একটি অনর্থক, শরীয়া-বিবর্জিত উৎসবের নাম থার্টি ফার্স্ট নাইট। খ্রিষ্টীয় বছরের শেষ দিনটিতে দুনিয়া জুড়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই উৎসব করা হয়। দিন যত যাচ্ছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটের উন্মাদনা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, এর অপকারিতা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস
প্রাচীনকালে ইরানের প্রকৃতিপূজারীরা মনে করত—বছরের প্রথম দিন আনন্দ-ফূর্তিতে কাটালে সারা বছর ভালো থাকা যাবে। সেই উদ্দেশ্যে বছরের শুরুতে তারা নানা রকম উৎসব করত এবং বিশেষ উপাদেয় খাবার ভক্ষণ করত। কালে কালে এই বিশ্বাস খ্রিষ্টানদের ভেতর অনুপ্রবেশ করে। খ্রিষ্টানরা তাদের বর্ষপঞ্জির একত্রিশ ডিসেম্বর রাতকে উৎসবের জন্য বেছে নেয়। এই রাতকে বলা হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট। পাশ্চাত্যের অনেক দেশে এই দিনটি সাধু সিলভেস্টারের দিবস হিসেবে পরিচিত। এই রাতে বিশ্বের বহু দেশ, বিশেষ করে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দেশের নাগরিকগণ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে স্বজনদের সাথে মিলিত হন, নাচ-গান, আনন্দ-ফূর্তি ও মদপান করেন এবং আতশবাজি ফোটান। কতক খ্রিষ্টান গভীর রাতে বিশেষ প্রার্থনা-অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রচারণায় খ্রিষ্টীয় নববর্ষের এই অপসংস্কৃতি আজ আমাদের বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের গোড়ার ইতিহাস থেকে আমরা জানলাম—এর সঙ্গে প্রকৃতিপূজা এবং কুসংস্কারের নিবিড় যোগাযোগ আছে। বছরের প্রথম দিন আনন্দ-ফূর্তি করলে সারা বছর ভালো থাকা যাবে, এরচেয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও হাস্যকর বিষয় আর কী হতে পারে! অথচ বর্তমান বাংলাদেশে যারা এই উৎসবের প্রবক্তা, সকলেই তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক। এদের কাছে ইসলাম কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম অথচ নিজেরা প্রবৃত্তিপূজার নামে যা করে, প্রায় সবই অযৌক্তক, অহেতুক এবং কুসংস্কারে ভরপুর।
থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
কোনো আচার-অনুষ্ঠানকে ইবাদত গণ্য করতে হলে কুরআন-হাদীসের দলিল অথবা সাহাবীদের আমলের প্রামাণ্যতার প্রয়োজন হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পক্ষে কুরআন-হাদীস এবং সাহাবীদের আমলের কোনো দলিল নেই। এতে বোঝা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইট কোনো ইবাদতধর্মী উৎসব না।
অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন—সব কাজ কেন ইবাদত হিসেবেই করতে হবে! কিছু কিছু কাজ তো সামাজিকভাবেও হতে পারে! হ্যাঁ, কথা ঠিক। আমরা যাকিছু করি, সব ইবাদত না। আমরা এমন অনেক কিছু করি, যেগুলো ইবাদতের বাইরের জাগতিক এবং সামাজিক কাজ। যেমন : আমরা নৌভ্রমণ করি, সাইকেল চালাই, ফুলের বাগান করি। এগুলো জাগতিক কাজ। জাগতিক কাজ তখনই বৈধ হবে—যখন কাজটির মাধ্যমে শরীয়ার বিধান লঙ্ঘন এবং বান্দার হক ক্ষতিগ্রস্ত না হবে।
এখন আমরা দেখব—থার্টি ফার্স্ট নাইটের মধ্যে এই দুটি শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে কি না। প্রথমত, থার্টি ফার্স্ট নাইট এমন এক পৌত্তলিক বিশ্বাস থেকে উৎসারিত, যা মুসলিম বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিপরীত। বছরের প্রথম দিন ভালো কাটলে সারা বছর ভালো থাকা যায়—এটা ইসলামী বিশ্বাস নয়। দ্বিতীয়ত, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মাধ্যমে যেভাবে সৃষ্টির হক নষ্ট করা হয়, ইসলাম তো বটেই, কোনো সভ্য মানুষও তা সমর্থন করতে পারে না। এখন আমরা দেখব থার্টি ফার্স্ট নাইটের মাধ্যমে কীভাবে নাগরিক শান্তি বিনষ্ট ও সৃষ্টির হক নষ্ট করা হয়।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের সামাজিক ক্ষতি
থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনো ভালো দিক খুঁজে পাওয়া যায় না। বিপরীতে এর অসংখ্য নেতিবাচক দিক, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, চোখকান খোলা রাখলেই খুঁজে পাবেন।
এক. অপচয় : প্রবৃত্তিগত যত উৎসব পৃথিবীতে চালু আছে, সবগুলোর ভেতর আছে অপচয়ের ক্ষতি। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে ফানুস ওড়ানো হয়, আতশবাজি ফোটানো হয়, সাউন্ডবক্স বাজানো হয়, পান করা হয় গ্যালন গ্যালন মদ। এর পেছনে যুবসমাজ অঢেল অর্থ ব্যয় করে থাকে। এগুলো অর্থের বিপুল অপচয় ছাড়া কিছু নয়। আল্লাহ কুরআনে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কোনো বিবেকবান মানুষ অর্থ খরচ করে শয়তানের ভাই উপাধীতে ভূষিত হতে পারে না। অথচ যে রাতে আমাদের যুবকেরা ডিজে পার্টি ইত্যাদির পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে, সেই রাতেই, ডিসেম্বরের কনকনে শীতে উত্তরবঙ্গের লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ ঠান্ডায় কষ্ট পায়।
দুই. স্বাস্থ্যবিপর্যয় : থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকার মতো ঘনবসতীপূর্ণ শহরে বিকট শব্দে সাউন্ডবক্স এবং আতশবাজি ফোটানো হয়। এই শহরের ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ-শিশু ও অসুস্থরা থাকে। বিকট শব্দদূষণে যেখানে সাধারণ সুস্থ মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেখানে এই অসুস্থ এবং বৃদ্ধ-শিশুদের কী অবস্থা হয় একটু কল্পনা করুন। যাদের মধ্যে ন্যূনতম বিবেক ও মূল্যবোধ আছে, তারা কখনো উৎসবের নামে এই ধরনের অনাচার করতে পারে না।
তিন. বিপর্যস্ত প্রকৃতি : থার্টি ফার্স্ট নাইটের আতশবাজি শুধু মানুষের স্বাস্থ্যই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না, এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকৃতির শোভা পাখিদের জীবনও বিপন্ন হয়ে ওঠে। গাছপালার অপ্রতুলতায় ঢাকা শহরে পাখির বসবাস কম। তার উপর বছরের প্রথম দিনের ভোরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজিতে ঝলসে যাওয়া পাখিদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে উৎসবে পাখিদের জীবন বিপন্ন হয়, সেটা কোনো উৎসবই হতে পারে না।
চার. নিরাপত্তা-ঝুঁকি : থার্টি ফার্স্ট নাইটের ফানুসের আগুনে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে ফানুস-সৃষ্ট আগুনে সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা একজন দরিদ্র নারীর প্লাস্টিক কারখানা সম্পূর্ণ ভস্ম হয়ে যায়। একই বছর উল্লাসকারীদের পটকার আওয়াজ একটি নিষ্পাপ শিশুর জীবন কেড়ে নেয়। আমরা সকলেই চাই, বছরের প্রথম ভোরটা ভালো খবর দিয়ে শুরু হোক। অথচ এই অবান্তর, অহেতুক উন্মাদনার কারণে প্রত্যেকবার বছরের প্রথম দিনটা দুঃসংবাদ দিয়ে শুরু হয়। এতকিছুর পরও আমাদের বিবেক জাগ্রত হয় না। আমাদের টনক নড়ে না।
পাঁচ. ভোগবাদী প্রজন্মের বেড়ে ওঠা : থার্টি ফার্স্ট নাইট পশুর মতো একটি ভোগবাদী প্রজন্ম তৈরি করছে। খাওয়া, মলত্যাগ করা, অতঃপর মরে যাওয়া ছাড়া পশুর জীবনের কোনো লক্ষ্য নেই। খারাপ শোনা গেলেও আমাদের জীবনটা পশুর মতোই হয়ে গেছে। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তখনই অর্জিত হবে, যখন সে অপরের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। অথচ আমরা চরম আত্মকেন্দ্রীক ও ভোগবাদী হয়ে গেছি।
ইসলাম আমাদেরকে দুটি উৎসব দিয়েছে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতরে আমরা ঈদগাহে যাওয়ার আগে গরিবের হক সদকাতুল ফিতর আদায় করি। আর ঈদুল আযহাতে কুরবানীর মাংসের একটা অংশ গরিবের হাতে তুলে দেয়ার পরেই নিজের ভাগ ঘরে তুলি। ইসলামের দুটি উৎসবেই আছে ভোগের সাথে ত্যাগের শিক্ষা। ইসলাম শুধু ত্যাগ করতেও বলে না, বলে না শুধু ভোগ করতেও। ইসলাম একটি মধ্যপন্থী সমন্বিত জীবনব্যবস্থার নাম। ইসলামের দুটি উৎসবের বাইরে আমাদের সমাজে প্রচলিত সকল উৎসবের দিকে দৃষ্টিপাত করুন, সবগুলোর উদ্দেশ্য ভোগ। কোথাও আপনি ত্যাগের মহিমা দেখতে পাবেন না।
আমরা কেন থার্টি ফার্স্ট নাইট বর্জন করব
এক. থার্টি ফার্স্ট নাইট মুসলিম কালচার নয়, এটি এসেছে অগ্নিপূজকদের কাছ থেকে। এর ভেতর অগ্নিপূজকদের শিরকি বিশ্বাস জড়িয়ে আছে। এ কারণে এই উৎসবে অংশ নেয়া মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়। রসুল সা. বলেছেন : যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
দুই. ইসলাম আমাদের জন্য যে সংস্কৃতি দিয়েছে, তা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি থাকতে কেন আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতি আমদানি করব? আমদানি তো তারা করবে, যাদের নিজস্ব সংস্কৃতি নেই। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমাদের ঈদ আছে, ওলিমা-আকীকা আছে। এ দেশের ওয়াজ-মাহফিল স্থানীয় মুসলিম সংস্কৃতির বড় উদাহরণ। এরপরও যখন আমরা সংস্কৃতির জন্য অন্যের দ্বারস্থ হই, বোঝা যায়, জ্ঞান, চিন্তা ও বোধের জায়গায় আমরা কতটা দেউলিয়া! অমুসলিমরা কি নামে-বেনামে আমাদের সংস্কৃতি গ্রহণ করে?
তিন. থার্টি ফার্স্ট নাইট উন্মাদনা ও ভোগবাদিতাকে উৎসাহিত করে, যা ইসলামের দর্শন ও চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা কখনোই চাই না—আমাদের সন্তানেরা ভোগাবদী হয়ে বেড়ে উঠুক। একজন মানুষকে তখনই প্রকৃত মানুষ বলা যাবে, যখন সে ভোগের পাশাপাশি অপরের জন্য ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দেয়ার মানসিকতা অর্জন করবে।
ইসলাম শারীরিক আনন্দ-ফূর্তির চেয়ে আত্মার আনন্দকে গুরুত্ব দেয়। শারীরিক আনন্দের চেয়ে আত্মার আনন্দ অনেক বেশি মহিমাময়। রসুল সা. বলেছেন : অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী।
নতুন বছরের আহ্বান
নতুন বছর মানে নতুনের আগমনই শুধু নয়, নতুন বছর মানে পুরতনের বিদায়ও। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা উল্লাসে ফেটে পড়ি, অথচ একটিবারও ভাবি না, আমার জীবনের পঞ্জিকা থেকে আরো একটি বছরের পাতা ঝরে গেল। আমাদের জীবন তো ভাই বরফের মতো, ক্রমাগত গলছে। জীবন থেকে গলে যাওয়া সেই মুহূর্তগুলোর জন্য কি আমাদের মন খারাপ হয়? থার্টি ফার্স্ট নাইটে আমরা কি একবারও ভাবি—কবরের দিকে আমার পা আরো একধাপ এগিয়ে গেল? কবরের জন্য আমার সঞ্চয় কী? সব নতুনই আনন্দের নয়। ভোরের সূর্যোদয় কার না পছন্দ! অথচ একজন ফাঁসির আসামীর কাছে ভোরের সূর্যোদয় দুঃস্বপ্নের মতো। ফাঁসির আসামীর কাছে নতুন সূর্যোদয় মানেই মৃত্যুর কাছে আরো একটা দিন এগিয়ে যাওয়া।
আমরাও কি প্রত্যেকে ফাঁসির আসামীর মতো মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি না? আল্লাহ কি জন্মের সাথে সাথে আমাদের মৃত্যু পরোয়ানা লিখে দেননি? প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে—এই আয়াত কি আমরা শুনিনি? তবে কীসের এই নববর্ষ উদযাপন! কেন এই উন্মাদনা!
নতুন বছর উদযাপনের আগে আমাদের প্রথম করণীয়—ভালো কাজগুলো অব্যাহত রাখা এবং বিগত দিনের ভুলত্রুটিগুলো শোধরানো। নতুন বছরে আমাদের জীবনে যদি পরিবর্তন না আসে, আমরা যদি একই ভুলে ডুবে থাকি, যদি আমাদের অপূর্ণতাগুলোকে পূর্ণতা দিতে না পারি, তবে আমাদের এই আচার-অনুষ্ঠান উদযাপনের কোনো সার্থকতা নেই।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করার এবং ইসলামীয় কৃষ্টি-কালচার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।
সালাতুল ফজর ...
আলহামদুলিল্লাহ। ফজরের নামাজ পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাত প্রাপ্তির সুসংবাদ রয়েছে।
হজরত আবু জুহাইর উমারা ইবনে রুয়াইবা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগে (ফজর ও আসরের নামাজ) আদায় করবে সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।”
সহিহ-মুসলিম ৬৩৪।
"তোমরা কি এ থেকে নিৰ্ভয় হয়েছ যে, যিনি আসমানে রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে সহ যমীনকে ধ্বসিয়ে দেবেন, অতঃপর তা হঠাৎ করেই থর থর করে কাপতে থাকবে?"
- সূরা মূলক, আয়াত ১৬।
অফিসিয়ালি পাবনা এক্সপ্রেসের সকল বিস্তারিত দেখে নিন 😊
কোন কোন স্টেশনে কখন যাত্রা বিরতি করবে।
📸 SBF Shofol
সাঈদীর মৃত্যু: স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করলেন পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রকি।
অভিনন্দন!! সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য!