Begum Rokeya University,Rangpur

শুধু বীরত্বের ঘরই নয়, জোকারি কাজকর্মেরও আতুরঘর এই ক্যাম্পাস

-বর্তমানে চলছে সমন্বয়ক-সমন্বয়ক খেলা অথচ ক্যাম্পাসে সমন্বয়কই অবাঞ্চিত🤣

কিংবদন্তী ফটোগ্রাফার নীতিশ রায়ের তোলা এই ছবিটি গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ঘুরপাক খাচ্ছে, কেউ বলছে ছবিটি দেশের কেউ বা বলছে বিদেশের কিন্তু মর্মস্পর্শী এই ছবিটির আসল রহস্য কি.....

১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়। জামালপুর-শেরপুর অঞ্চলের আসাম-মেঘালয় গাড়ো পাহাড় সীমান্তবর্তী হাজং সম্প্রদায়ের রমণীর চিত্র। ছবি ক্যাপশন: 'তৃষ্ণার্ত এক নারীর নদীর জল পান আর মায়ের কোলে তৃষার্ত শিশুর মাতৃদুগ্ধ পান।' জলে ভাসমান সাদা রাঙের বস্তুগুলো হচ্ছে মানুষের মৃতদেহ।

নীতিশ রায় ১৯৪৪ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর শহরের নয়আনী বাজার এলাকায় প্রয়াত নন্দহরি রায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি সৌখিন আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে আলোকচিত্র জগতে তিনি ছিলেন একজন নক্ষত্র। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতে চলে যান। ওই বছরের ১৬ জুন মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার প্রেস ফটোগ্রাফার হিসেবে যোগদান করেন। সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত ইত্তেফাক, সংবাদ ও মাসিক পত্রিকা ফটোগ্রাফিসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তার ছবি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিশ্বের অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কার পেয়েছে। ১৯৮২ সনে জাপানে অনুষ্ঠিত সপ্তম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় নীতিশ রায়ের ছবি ‘তৃষ্ণা’ ইয়াকুল্ট পুরস্কার লাভ করে।

শিল্প-চেতনা সমৃদ্ধ আলোকচিত্রী নীতিশ রায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কৃষ্টি প্রবাহ ও ত্রিসপ্তক নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এবং অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। নিঃসন্তান সাংবাদিক নীতিশ রায় এর স্ত্রী কবি সন্ধ্যা রায়। নীতিশ রায় ৭৫ বছর বয়সে ২০১৭ সালের ৮ জুন তিনি পরলোকগোমন করেন।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা আল আমিন হোসাইন মৃধা।

আওয়ামী লীগের এমপি মোতাহার হোসেন (হাতিবান্ধা -পাটগ্রাম আসন) নির্বাচন প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
উনারা আবার এই আমলেই সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যস্ত।
আল্লাহ যারে দেয় সব সরকারের আমলেই দেয়.....

মোহাম্মদ সেলিম রেজা
শিক্ষার্থী
(ইনবক্স)

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজ চলমান রাখতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মোরশেদ হোসেন স্যারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত।

*তিনি ভারপ্রাপ্ত ভিসি অথবা কোন পদে পদায়ন হননি। এটি শুধুমাত্র অতিরিক্ত দায়িত্ব।

সূত্র: অধ্যাপক ড. মো: মোরশেদ হোসেন স্যার

"বাঁচতে চায় রিশাদ"
"গত কয়েকদিনে বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের সহায়তার লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণত্রাণ গ্রহণ করে।
তাতে কয়েক লক্ষ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করা হয়।
সংগ্রহ শেষে দুই ধাপে বন্যার্তদের সাহায্যও করে তারা।❤️🌻

অবশিষ্ট টাকাগুলো এখন রয়ে গেছে। অনেকেই এটা নিয়ে চিন্তিত কি করা যায় না যায়। ছেলেগুলা দারুণ, সবাই স্বচ্ছ, দারুণ কাজ করছে। তাই বাকি সম্পদ নিয়ে চিন্তিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

এদিকে মার্কেটিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী রিশাদ কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা প্রয়োজন। কিছু সংগ্রহ হয়েছে, এখনও অনেক বাকি৷ এদিকে তাকে সহায়তার জন্য যে যা পারছে দিচ্ছেন কিন্তু এমাউন্টটা অনেক বড়। রিশাদের জন্য একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই ঢাকায় গিয়ে কালেকশন করছে। উপদেষ্টা নাহিদ, সমন্বয়ক সারজিসের সাথে দেখা করেছে। তারাও তাকে আশ্বস্ত করেছে। আবার বেরোবির কর্মচারীরাও তাদের একদিনের বেতনের অর্ধেক বন্যা ও অর্ধেক রিশাদের জন্য দিয়েছে। রিশাদকে সবাই সুস্থ দেখতে চায়।
এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের সাহায্যের লক্ষ্যে যে অনুদান সংগ্রহ করেছিল শিক্ষার্থীরা যার একটি অংশ এখনও ব্যয় হয়নি। সেই টাকা থেকে কিছু টাকা রিশাদের চিকিৎসার জন্য দিয়ে বাকি টাকা একটা ফান্ড করে প্রতি বছর উত্তরবঙ্গসহ অন্যান্য এলাকার বন্যার্তদের সহায়তায় ব্যয় করা যেতে পারে(প্রতিবছরই বন্যায় কালেকশন হয় সেগুলোও একত্রে করে)।

এটি ব্যক্তিগত মত, এমনটাই করতে হবে এমনটা নয়।"

MH Hridoy
Department of Mass Communication and Journalism, BRUR

আসসালামু আলাইকুম
রিশাদকে বাচানোর জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় বেরোবি থেকে একটি টিম আগামীকাল টিএসসি তে সকাল ১০ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত থাকবে। আশেপাশে কেউ থাকলে তাদের পাশে দাড়াবেন প্লিজ।
যোগাযোগ:
01317159667 (Shovon, MKT 13 Batch)

বিষয়:-কমেন্ট বক্স

পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই 😅

এই যে তোমরা যারা কাচ দিয়ে গালফ্রেন্ড পটিয়েছ তারা কি ঠিক আছো? :-P

আজকে খবরে আসছে — ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ডায়মন্ড বলে যেসব বিক্রি করতো, সেসব আসলে জাস্ট কাঁচ। এরমধ্যে কোনো ডায়মন্ড নেই।

বুয়েটে ন্যানোম্যাটেরিয়ালস ডিপার্টমেন্টে একটা এক্সট্রা কোর্স পড়ানোর সময় স্যার বলেছিলেন — দেশে ডায়মন্ড বলে যেসব বিক্রি করা হয়, সেসব একটাও ডায়মন্ড না, এসব এক বিশেষ ধরনের কাঁচ দিয়ে প্রস্তুত করা যার শেইপ ডায়মন্ড এর মতো হলেও ম্যাটেরিয়ালস ডায়মন্ডের না।

এটা আমি আগেই জানতাম বলেই ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর সাথে ২০১৯ সালে বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে বড়ো পর্যায়ের গ্যাঞ্জাম লাগে। পরে ওদের ম্যাটেরিয়ালসকে আমি চ্যালেঞ্জ করি। যেটা দিয়ে কথিত ডায়মন্ডের হার্ডনেস টেস্ট করে সেটাও সঠিক নয় বলে জানাই। অবস্থা বেগতিক দেখে একপর্যায়ে বুয়েটের স্যার কী বলেছেন জানাই, সাথে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসিল্যান্ড) এর পরিচয় দেই। তখন তারা ফুললি নমনীয় হয়, এসব যে আর্টিফিসিয়াল ডায়মন্ড সেটা স্বীকার করে, দাম বেশ কমিয়ে রাখে। সাথে নাস্তা, তোষামোদ ফ্রি।

দেশের বিখ্যাত ডায়মন্ড শপ, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড - তারা ডায়মন্ডের পরিবর্তে বিশেষ ধরনের কাঁচ বিক্রি করতো। কোটি কোটি টাকা দিয়ে যারা ডায়মন্ড কিনেছে, সেটা আসলে কাঁচ যার কোনো মূল্যই নেই। শুধু তাই না, তারা টোটাল সরকারের ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে 25,200 কোটি টাকা যা দিয়ে আরেকটা পদ্মা সেতু বানানো যাবে।

এই ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর মালিক কে জানেন? আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল। একটা দেশকে সবদিক থেকে কতোটা বীভৎসভাবে শেষ করে দেওয়া যায় তার অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে, শেখের বেটি হাসিনা। এই মহিলা সম্ভবত ইবলিশ বা ফেরাউনকেও ছাড়িয়ে গেছে।
©

তোমার মন চাইলে ক্লাস নিবানা, এইটা ঠিক আছে। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীর মন না চাইলে ক্লাসে আসলোনা এইটা নিয়া তোমার খুব জ্বলে!

তুমি ৯ টায় ক্লসে ডেকে নিজে ১০ টায় আসবা, এইটা ঠিক আছে। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীর ১০ মিনিট লেট হয়া গেলে তুমি কবা 'আমার ক্লাসে দেরি করে আসা নট এ্যালাউড!’

তুমি লেকচার দেওয়ার সময় কী কইতেছো নিজেই বোঝোনা, নিজেই কিছু জানোনা সেইটা ঢাকার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে প্রশ্নই করতে দিবানা। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী প্রেজেন্টেশনের সময় আমতা আমতা করলে তুমি কবা- 'তোমাদেরকে দিয়া কিচ্ছু হবে না।'

তুমি ভিসি চাটবা, প্রভিসি চাটবা, তাগো দেখানোর জন্য রুমে ফুল সাজাবা, মাইক ভাড়া করবা, ডাকি আনি ত্যালাবা, ঘন্টা ধরিয়া তোয়াজ করবা। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী সকালে না খায়া আসিয়া তোমার এই জুলুমের চাপে খালি পেটে দুপুর গড়ায়া চুপচাপ বসি আছে কিনা সেই খোঁজ তুমি নিবানা।

শুনো মিয়া, তোমারে সালামটুকু দেওয়া হয় তোমার শিক্ষক পরিচয়টার জন্যই। বাদবাকি তোমার যত গুণ সবই বেগুন। না তুমি লেকচার দিতে পারো, না তোমার মুখস্থ দুই চাইর লাইন বিদ্যার বাইরে কোনো যোগ্যতা আছে, না তুমি পরীক্ষার খাতা ঠিকমতো কাটো, না তোমার দেয়া রেজাল্ট দেখিয়া পোলাপাইনের বুঝতে অসুবিধা হয় যে কোন ছাত্ররর কত নাম্বার দেওয়া হইছে সেইটা পারফরম্যান্স বেজড না। তুমি শিক্ষক জাতির কলংক। আসলেই যারা শিক্ষক তারাই পারলে তোমারে পদচ্যুত করাইতো। শিক্ষার্থীদের দিনের পর দিন অন্যায় অত্যাচার করে যাওয়ার ফলস্বরূপ আজকের এই অপমানগুলা তোমার প্রাপ্য।
কিন্তু তোমার চামড়া বহুত মোটা। লজ্জাশরমের বিন্দুমাত্র তোমার মগজে নাই। তুমি এখনো ক্লাসরুমে যায়া বড় বড় লেকচার দিবা। এখনো দুই চারটা তেলবাজের প্রশংসা শুনিয়া ধরি নিবা যে তুমিই সেরা। আর নাইলে বুক চাপড়াইয়া কইবা 'আমার কিছু যায় আসে না।' আসার কথাও না। তোমার বিবেক তোমারে মানুষ তো দূর, পশু হইতেও শিখায় নাই। পশুর বিবেকবোধও তোমার থাইকা বেশি।

তোমারে শিক্ষার্থীরা বালডাও মূল্যায়ন করে না। মাস গেলে যে বেতনটা পাও, সেইটাও আল্লাহর ওয়াস্তে হারাম কামাই। কারণ ওই টাকা হালাল করার পরিশ্রম তোমারে দিয়া কোনোদিন হয়নাই।

'আপনি' কইরা সম্বোধন যাদের প্রাপ্য তারা পাবে। তোমারে শিক্ষককোটায় তুমি সম্বোধন করলাম। নাইলে তুই-টাই উপযুক্ত ছিলো।

নিশাত আরেফিন
শিক্ষার্থী বেরোবি

৫ আগস্ট গণভবনে ঢুকে আমি প্রথমে পুকুর পারটায় যেয়ে বসি। কেউ পুকুর পাড়ে বসে কাঁদছে, কেউ গোসল করছে, কেউ মাছ ধরছে। সবার মাঝে মুক্তির আনন্দ।

এর মধ্যে এক মধ্য বয়সী ভদ্রলোক আমার পাশে এসে বসেন। যে গ্রুপটা সর্বপ্রথম গণভবনে ঢুকে তাদের মধ্যে তিনি একজন। লোকটা নানান গল্প করতে করতে বেশ বিষন্ন হয়ে যায়।

একটা পর্যায়ে বলে, জানেন ভাই, এই মহিলা দুপুরে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার ডাইনিংয়ে ১০-১২ পদের আইটেমের বুফে প্রস্তুত ছিল। একদম গরম টাটকা খাবার।

তার ফ্রিজ্গুলো খুলে দেখেছিলাম। এত বড় বড় পাংগাস মাছ আমি জীবনেও দেখিনি। একেকটা ১৫-২০ কেজি ওজনের নদীর পাংগাস।

অন্তত ১০-১২ টা আস্ত ইলিশ মাছ দেখেছি। একেকটা ১.৫ কেজির কম না।

একটা গরীব দেশে এই মহিলা রানীর মত বসবাস করছিল। অথচ এই মহিলা আমাদেরকে পিয়াজ ছাড়া, তেল ছাড়া রান্না করতে বলতো, বাচ্চাদেরকে কাঁঠালের বার্গার খাওয়াতে বলতো, ভাতের বদলে আলু খেতে বলতো।

আমার বাচ্চা অনেক দিন ইলিশ মাছ খায় না। সাধ্য হয় না কেনার। বলতে বলতে লোকটা কেঁদে ফেললো।

আমি কিচ্ছু ধরি নাই। খুব ঘৃনা লেগেছে এই খাবারগুলো দেখে।

তারপর চোখ মুছতে মুছতে বললো, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে প্রচন্ড ঘৃণা করতেন আর আমাদের কস্ট দেখে আনন্দ পেতেন।

কথা সত্য। উনি আমাদেরকে ঘৃনা করতেন, অসম্ভব রকমের ঘৃনা করতেন।

©Shahriar Ahmed

বেরোবি'র হলগুলো যেন দাঁড়িয়ে আছে অবিচল প্রহরী হয়ে!!

Pic: Sumon Ahmed Raj

একদল সুযোগ সন্ধানী মানুষ বিয়েকে অনেক নেগেটিভ ভাবে প্রচার করতেছে।তার মানে তারা বিয়ে ছাড়াই থাকতে চায়!!
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন : আর তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়ো না।

এস আলম গ্রুপের সমস্ত সম্পদের মধ্যে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড প্রপার্টিজ খাতের আর্থিক মূল্য সবচেয়ে বেশি, যার পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। এছাড়া ২১ হাজার ০৯২ কোটি টাকা মূল্যের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রও রয়েছে গ্রুপটির।

সাবধানে চলাচল করবেন। বর্তমানে প্রশাসন ঠিক ভাবে মাঠে নাই।এই সুযোগে এমন হামলার শিকার যে কেউ হতে পারো।

[ছবির ছেলেটা ভুক্তভোগী। নাম- শাহীন, বাড়ি বদরগঞ্জ। ঢাকা যাচ্ছিল। একটা অটো তাকে একা লালবাগ থেকে মডার্ণ নিয়ে যাচ্ছিল। বিএডিসি মোড়ে ড্রাইভার প্রসাবের জন্য নামে। তখনই ছেলেটিকে কোপ দিয়ে মোবাইল নিয়ে ওয়াল টপকায় ছিনতাইকারীরা। আর অটোচালকও ছেলেটার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ছেলেটিকে প্রাথমিক সেবা দেওয়া হয়েছে।]

সন্ধ্যা হলে সব কোলাহল থেমে ভেসে আসে ক্যাফেটেরিয়া থেকে গানের আওয়াজ কিংবা কোন অজানা পাখির ডাক....

বেরোবির ভিসি হিসাবে কেমন শিক্ষক চান?

ভারতবিরোধী পোস্টে ‘ভালোবাসার’ ইমোজি :
আসাম থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এক শিক্ষার্থীকে

ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি খোলা চিঠি: (Niaz Ahmed Khan)

জনাব প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান,

স্বাধীন বাংলাদেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে আপনি ঢাবি’র উপাচার্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০২৪ সাল হতে পারে, জাতির একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড। ডিরেকশনটা হতে পাররে ভালো কিংবা আরো খারাপের দিক।

আমি একজন বিজ্ঞানের গবেষক। দীর্ঘদিন দেশের উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাবি, লিখি ও উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনামূলক স্টাডি করি। আপনি নিজেও বিদ্বান এবং অভিজ্ঞ মানুষ। ইউরোপের সংস্কৃতিতে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। আপনাকে আমি পরামর্শ দিচ্ছি না। বরং বলবো, বিনয়ের সাথে কয়েকটা বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাচ্ছি।

ঢাবি হলো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সংস্কৃতির একটা কেন্দ্রস্থল। এই বিশ্ববিদ‍্যালয়কে যদি সঠিকভাবে গড়া যায়, অন‍্যান‍্য বিশ্ববিদ‍্যালয়ে সে জোয়ার লাগবে। তাই দেশের একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে, ঢাবি’র সাথে কোন ধরণের সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও, এই প্রতিষ্ঠানটির জাগরণ আমি সবসময়ই চাই।

আপনি চাইলেই দীর্ঘদিনের অপসংস্কৃতির সব চর্চা দূর করতে পারবেন না। বহু বছরের জঞ্জাল আপনি দূর করতে পারবেন না। এগুলো মাথায় রেখেই সীমিত কয়েকটা বিষয় তুলে ধরছি। হয়তো শুরু করলে, সেই ধারবাহিকতায় ঢাবি জেগে উঠবে। বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

০১. বিশ্ববিদ‍্যালয়ে দলীয় দাসত্বের ও হুকুমের ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। যেসকল শিক্ষার্থী দলীয় রাজনীতির দাসত্ব বরণ করে, তারা দলের ভালো দাস হতে পারে কিন্তু কখনোই রাষ্ট্রের বা সমাজের লিডার হয়ে উঠবে না। বিশ্ববিদ‍্যালয়ে ছাত্র সংসদ থাকবে। আমি মনে করি প্রতি বছর (বা প্রতি দুই বছরে) সেখানে নির্বাচন থাকা প্রয়োজন। ছাত্র সংসদের সদস‍্যরা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে। সরকারের কাজের সমালোচনা করতে পারবে নিঃসঙ্কোচে। ছাত্র সংসদকে যেনো সরকার কোনভাবেই, কোন লোভেই দলীয়করণ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নাইলে ছাত্র সংসদ হয়ে উঠবে অর্থ ও পদ লোভী দানবীয় চরিত্রের।

০২. বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষকদের এই দলীয় পরিচয়, দলীয় ব‍্যানারে রাজনীতি, দলীয় পরিচয় ব‍্যবহার করে সুবিধা আদায় এসব সংস্কৃতি বন্ধের চেষ্টা করুন। প্রত‍্যেকটা মানুষ ব‍্যক্তি হিসেবে একটা দর্শন নিয়ে বাঁচবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষক যেনো বিশ্ববিদ‍্যালয়ে তার রাজনৈতিক দর্শন ব‍্যবহার করে প্রফেশনাল জীবনে কোন অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পারে, কিংবা অন‍্যের অধিকারকে বঞ্চিত না করে সেটাই নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষক সমিতি হবে রাষ্ট্রের থিংক ট‍্যাঙ্ক। তারা নির্দ্বিধায় সরকারের কাজের সমালোচনা করবে। তারা পপুলিস্ট অবস্থানে না গিয়ে সমাজের জন‍্য লাইট হাউজ হয়ে কাজ করবে। সরকারের পা চেটে বিবৃতি দেয়া কিংবা সুবিধাবাদী অবস্থান নেয়ার নিকৃষ্ট সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

০৩. বিশ্ববিদ‍্যালয়ে ভালো শিক্ষক না থাকলে, খ‍্যাতিমান শিক্ষক গড়ে না উঠলে, সেটার কোন প্রাণ থাকে না। ঢাবি’র সেই প্রাণ চলে গেছে বহু আগেই। এই মুহূর্তে ঢাবি’র নাম্বার ওয়ান কাজ হওয়া উচিত ট‍্যালেন্ট হান্ট। প্রচলিত ধারার বেতন-ভাতার কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে, কাজের পরিবেশ তৈরি করে, উচ্চতর গবেষণার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষদের কি করে ঢাবি-তে ফিরিয়ে নেয়া যায় সেটা করতে হবে। অভিন্ন নিয়োগ এবং বেতন কাঠামোতে থেকে, ট‍্যালেন্ট হান্ট অসম্ভব! এ জন‍্য চীন, দক্ষিণ কোরিয়াকে অনুসরণ করা যেতে পারে।

০৪. ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। কাজটা সহজ না, যেহেতু বহু যুগ ধরে একটা পুরোনো প্রথা চলে আসছে। কিন্তু কখনো না কখনো তো এই প্রচলিত নিয়ম বন্ধ করতেই হবে। বিশ্ববিদ‍্যালয়ে সরাসরি এসিট‍্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ দেয়া হোক। নিয়োগের জন‍্য অবশ‍্যই প্রার্থীর পিএইচডি/পোস্টডক, গবেষণার মান, স্কুল ও সুপারভাইজরের মান, পাবলিকেশ সংখ‍্যা ও মান, কাজের ইমপ‍্যাক্ট এবং রিসার্চ ও টিচিং প্রপোজাল বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের জন‍্য নিজ নিজ বিভাগ/ক্ষেত্রের এক্সপার্ট টিম দিয়ে আবেদন যাচাই করে প্রার্থীদের নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনের সেসব টিমে দেশের বাইর থেকে এক্সপার্টদের যুক্ত করতে হবে, যাতে বিষয়টা আরো বেশি নিরপেক্ষ থাকে। বয়স ভিত্তিক প্রমোশন বন্ধ করতে হবে। বয়স কখনোই যোগ‍্যতার মাপকাঠি না।

০৫. ঢাবি’তে ভালো পিএইডি প্রোগ্রাম শুরু করতে হবে। কি করে ন‍্যাশনাল স্কেলে বিশ্বমানের পিএইচডি ডিগ্রির সংস্কৃতি শুরু করা যায়, সেটা এখন অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ কোরিয়ার একটা বিশ্ববিদ‍্যালয়েই যদি চার হাজার পিএইচডি স্টুডেন্ট থাকে, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ে কেন বছরে ৫০০ পিএইচডি তৈরি করতে পারবে না? প্রয়োজন হলে সৌদি আরবের কাউস্ট (KAUST), ভারতে আইআইটি কিংবা এমন আরো প্রতিষ্ঠানকে অনুসরণ করা যেতে পারে।

০৬. বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পাশ নাম্বার বাড়াতে হবে। দুনিয়ায় সম্ভবত ৫০% এর নিচে কোথাও পাশ নাম্বার নাই। কোথাও কোথাও আরো বেশি। ইউরোপ-আমেরিকায় আমি ৬০-৭০% পাশ নম্বরে পরীক্ষা দিয়েছি। পাশ নম্বর কম হওয়ায় কিছু স্টুডেন্ট দলীয় রাজনীতি ও অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করে বিশ্ববিদ‍্যালয়ের বোঝা হয়ে উঠে। বছরের পর বছর ছাত্র থাকার ব‍্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।

০৭. বিশ্ববিদ‍্যালয়ে ওয়েবসাইট থাকা চাই ঝকঝকা। যেনো সহজেই নেভিগেইট করা যায়। সকল শিক্ষকদের একাডেমিক পরিচয় ও কাজ তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা, শিক্ষার্থীদের একটা অধিকার।

০৮. স্টুডেন্টরা যেনো বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষা জীবনকে উপভোগ করতে পারে, সেজন‍্য তাদের ডিগ্রিকে একটা ডিপার্টমেন্টের সাথে জোর করে বেঁধে না রেখে, নিজেদের এক্সপ্লোর করার সুযোগ দিতে হবে। আন্ডারগ্রেজুয়েটের স্টুডেন্টরা যেনো বিভিন্ন কোর্স করে নিজেদের পছন্দকে যাচাই করতে পারে, সেই সংস্কৃতিটা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানেও এটা আছে। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ‍্যালয়েই এটা নেই। একটা স্টুডেন্ট না দেখে, না বুঝে, পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটা ডিপার্টমেন্ট সিলেক্ট করে। কিছুদিন পর বুঝতে পারে, এই ডিপার্টমেন্ট তার জন‍্য না। তাকে কেন জোর করে ৪-৫ বছর সেই বিষয়টা পড়তে হবে?

০৯. আবিষ্কার-উদ্ভাবনে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। বস্তুত আমাদের উদ্ভাবনের সংস্কৃতি নাই। বিজ্ঞান গবেষণার সংস্কৃতি নাই। এই সংস্কৃতি না থাকায়, শিক্ষার্থীরা গবেষক হতে চায় না। বিজ্ঞানী হতে চায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ে বিজ্ঞান গবেষণার সংস্কৃতি না থাকায়, সারা দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও সেটার প্রভাব পড়েছে। বিজ্ঞান গবেষণাকে গড়ে তুলতে হলে, কয়েকটা ক্ষেত্রকে প্রাধান‍্য দিয়ে কোয়ালিটিফুল রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশি এক্সাপার্টদের সম্পৃক্ত করে দেশেই দক্ষ গবেষক তৈরির কাজ শুরু করতে হবে (৪ এবং ৫ নম্বরেও ইংঙ্গিত করা হয়েছে)।

১০. স্টুডেন্টদেরকে স্নাতক তৃতীয়-চতুর্থ বর্ষে থাকতেই কর্পোরেট ও সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, সংস্কৃতি, প্রতিষ্ঠানের ট্রেন্ড ইত‍্যাদি বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। সেজন‍্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ইন্টার্নশিপ, এক্সচেইঞ্জ রিসার্চ ইত‍্যাদির ব‍্যবস্থা জোরদার করুন। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে অভিজ্ঞদের ডেকে এনে বিশ্ববিদ‍্যালয়ে যুক্ত করুন। তারা স্টুডেন্টদের সাথে হালের ট্রেন্ড তুলে ধরবে। কেন একটা বিষয় পড়বে, কি করতে পারবে পড়ে—এইসব বিষয় জানা, বুঝা ও উপলব্ধি করা একটা স্টুডেন্টের জন‍্য খুবই প্রয়োজনীয়। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের ৭০-৮০% স্টুডেন্ট জানেই না তারা কেন একটা বিষয় পড়ছে! চলমান বাজারের চাহিদা ও উচ্চশিক্ষার সাথে অসামঞ্জস‍্য, শিক্ষার্থীদেরকে চাকরির বাজারে বিপাকে ফেলে দেয়।

জনাব প্রফেসর খান, আমার পক্ষ থেকে এই ১০ টা পরামর্শই থাকবে এখন। শিক্ষার্থীদের আবাসন, পরিবহন এসব বিষয়ে এখানে মতামত বা পরমার্শ দিচ্ছি না। কারণ এগুলো এতোই মৌলিক যে সকল শিক্ষার্থীদেরই আবেদন। আমার পরামর্শগুলো হলে ঢাবি’কে আগামী ২০-৩০ বছরে একটা বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়ার চিন্তা থেকে। একই চিন্তা অন‍্যান‍্য বিশ্ববিদ‍্যালয়ের জন‍্যও প্রযোজ‍্য।

ধন‍্যবাদ।

রাফিউল আলম

ইস্কনের পরিচালক কি চায়! জন্মাষ্টমী নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচারের কারন কি?

সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কি আসলেই প্রাণ ভয়ে, ঘরে লুকিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেছেন?

মানুষের ভালোবাসা এক ভয়ানক জিনিস, কেউ চাইলেই থামিয়ে রাখতে পারবে না❤️

একজন আপু তাঁর স্বর্ণালংকার যা ছিল সবই দিয়ে গেছে! তিনটা আংটি ও হাতের রুলি।

উনি তার নামটি পর্যন্ত বলে যান নি। কী দেশপ্রেম মানুষের! কী নেশায় উন্মত্ত মানুষ এই দেশপ্রেমের নেশায়! ❤️

টিএসসি- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২৭-০৮-২০২৪ইং
Abir Hossain Giash

ত্রানের ট্রাক.....চট্টগ্রাম রোড....
আশা করি উত্তরবঙ্গে বন্যা হলে আমরা এই একই চিত্র দেখবো।

লন্ডনে বাসা ভাড়া খুবই এক্সপেন্সিভ। মূলত পুরা বাসা বা ফ্ল্যাট নেওয়া স্টুডেন্টদের পক্ষে সম্ভব না। এক রুমের ভাড়াই আসে দেশের টাকার দেড় লাখ টাকা বা তারও উপরে। তাই লন্ডনে এসে আমি একটা বাংলো বাসার একটা রুমেই উঠেছিলাম ১০ দিনের জন্য।

প্রথম রাতটা থাকলাম। পরদিন সকালে উঠে কিচেনে যাবো নাস্তা বানাতে দেখি শুকনা করে চোখ বড় এক বয়ষ্ক ভদ্রলোক। আমার দিকে চোখ রাঙায়ে তাকায়ে জিজ্ঞেস করলো, কতদিন থাকবেন এখানে আপনি? বুঝলাম, উনি বাড়িওয়ালা।

লন্ডনে বাড়ির মালিকরা এজেন্সিকে ভাড়াটিয়া খোঁজার দায়িত্ব দেয়। আমার এজেন্সির সাথে যোগাযোগ হয়েছিলো। তাই আমি বাড়িওয়ালাকে চিনতাম না। আর বাড়িওয়ালা এজেন্সিকে বাসা দিয়ে দিলে সেই বাসায় থাকাটাও বাড়িওয়ালার জন্য অবৈধ হয়ে যায়। সুতরাং বাড়িওয়ালা সেখানে অবৈধভাবেই বাস করছিলেন।

তবুও আমি তাকে বললাম, নতুন বাসা পেলেই চলে যাবো। তো আমাকে খুব কড়াভাবে বললেন এখানে (কিচেনে) কিছু রাখবেন না। ফ্রিজ ইউজ করবেন না। আমিও ঝামেলা করলাম না, ঠিক আছে বলে সম্মতি দিলাম।

পরে দুপুরে খাবার রান্নার সময় কিচেনে যেতেই লোকটার মারাত্মক চিৎকার। কিচেন নাকি ইউজ করা যাবে না, রান্না করা যাবে না। তো আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে খাবো কী!? উনি বললেন এটা ওনার ভাবার বিষয় না। ১০ দিন থাকার কথা উনি জানেন কিন্তু রান্নাবান্না বা গোসল করার কথা উনি জানেন না। অর্থাৎ থাকা যাবে শুধু রুমে কিন্তু শাওয়ার করা বা রান্না করা যাবে না। অথচ ভাড়া ঠিকই চার্জ করছিলেন।

যদিও ওনার সাথে অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করে আমি রান্নাটা ঠিকই করে নিয়েছিলাম। চিৎকার করার সময় অনেক অকথ্য ভাষায় উনি আমাকে অপমান করেছিলেন আর সমানে কাঁপছিলেন। এমনকি ভয় দেখিয়েছিলেন আমাকে পোলিসে ধরিয়ে দিবেন। যদিও উনি সেটা করতে পারতেন না।

লন্ডনে মানবাধিকার লংঘন জনিত মামলা ও শাস্তি দুটোই আমিই বরং ওনার বিরুদ্ধে করতে পারতাম।

এরপর যতদিন সেই বাসায় থেকেছি বাথরুমে গেলে বাইরে থেকে লাইট নিভিয়ে দেওয়া, রান্নাঘরে ঢুকতে না দেওয়া এহেন মানসিক অত্যাচার নাই সে করে নাই।

আমিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছিলাম। এক বয়ষ্ক লোকের খারাপ ব্যবহার কতই বা আর নেওয়া যায় আর তার সাথে কতই বা আর খারাপ ব্যবহার করা যায়। তার উপর তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য এবং সম্মানিত লোক। পরে অবশ্য দ্রুত সরে যাই সেই বাসা থেকে।

সেই স্বনামধন্য এবং সম্মানিত বয়ষ্ক লোকটাকে সেদিন দেখলাম ভারত পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। বিজিবি তার গলা ধরে জেরা করছে। কলাপাতার উপর শুয়ে আছে, সারা গা ভেজা। ৬০/৭০ লাখ টাকা খুইয়েছেন, মার খেয়েছেন।

সত্যি বলতে আমার খুব খারাপই লেগেছে লোকটার এই দুরবস্থা দেখে। আমার বাবার বয়সী একজন লোক সারাটাজীবন অহংকার, খারাপ আচরণ, মানুষকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া তার চরিত্রে রপ্ত করেছে।

লন্ডনে তার বেশ কয়েকটা বাড়ি আছে। থাকেনও প্রায় লন্ডনে। তার অহংকারের পতনই তাকে হয়তো বাংলাদেশে ডেকে নিয়ে গেছে!

লিখেছেন অজন্তা বড়ুয়া

আজ দেখলাম রাস্তায় যাকে দেখছেন তাকেই মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন হিরো আলম 😅

ভিসি নিয়োগ দিতে যত দেরি করবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা ততই বাড়বে।

দ্রুত যোগ্য ভিসি নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি....