
ছারছিনা আলা হযরত পীর সাহেব হুজুর কেবলার শুভ আগমন উপলক্ষে ইছালে ছাওয়াব ও ওয়াজ মাহফিল "আগামী কাল রোজ মঙ্গলবার"।
তারিখ: ২৩/০৫/২০২৩
স্থান: - বাইতুর রাসাদ জামে মসজিদ, কামারপাড়া নতুন বাজার, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা।
আমি হোসাইনী দলের সৈনিক, বাতিলের পক্ষে ব্যাক্তিরাই ভ্রান্ত ও বিপদগ্রস্ত।
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত❤️
Operating as usual
ছারছিনা আলা হযরত পীর সাহেব হুজুর কেবলার শুভ আগমন উপলক্ষে ইছালে ছাওয়াব ও ওয়াজ মাহফিল "আগামী কাল রোজ মঙ্গলবার"।
তারিখ: ২৩/০৫/২০২৩
স্থান: - বাইতুর রাসাদ জামে মসজিদ, কামারপাড়া নতুন বাজার, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা।
সালাফদের দ্বীন শাহজাদা সাইফুল ইসলাম এর লেখা চমৎকার এই বইটি যাদের দরকার, অর্ডার করতে পারেন লিংক নিম্নে দেওয়া হলো👇
(রিভিউটি মুফতি নেছার আহমেদ ভাইয়ের)
সালাফদের দ্বীন বইয়ের লেখক পরিচিতিঃ
শাহজাদা সাইফুল একজন তরুণ প্রজন্মের লেখক। চারপাশের সবাই যখন দ্বীনে ফেরার জন্য মরিয়া। তখন শয়তান ও বসে নেই! মুখোশের আড়ালে আবডালে থেকে, সে-ও দ্বীনে ফেরা মানুষ গুলোকে বিভ্রান্তের জালে আটকে ফেলতে আঁটসাঁট হয়ে মাঠে নেমেছে। ফলস্বরূপ হাজার বছর পূর্বে মুসলিম উম্মাহর মীমাংসিত বিষয় সমূহকে উসকে দিয়েছে জনসমক্ষে। মাজহাব আঁকড়ে ধরে থাকা কল্যাণকামী মুসলিম মননে সংশয় ও সন্দেহের বীজ বপন চলছে যখন প্রকাশ্যভাবে। এমনি এক কঠিন মুহূর্তে লেখকের হাত ধরে প্রস্ফুটিত হলো এন্টিবায়োটিক নামে অসাধারণ একটি বই।
বইটিকে লেখক উপন্যাস আকারে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে কোরআন ও সুন্নাহর রঙ-ঢঙে সাজিয়েছেন, যা বাঙলা ভাষায় এই প্রথম। বইটি পড়ার পর পাঠকদের উৎকন্ঠা ও আবেগময় একটাই বাক্য ছিলো, ‘কোরআন ও সুন্নাহর রেফারেন্স সম্বলিত বই-ও এমন হতে পারে, তা না পড়লে তারা জীবনের পরিপূর্ণতা পেতো না’। সহস্র মানুষ বিভ্রান্তির পথকে গুড বাই জানিয়ে ফিরে এসেছেন, নাজাতের পথে। যেই পথে ছিলেন আমাদের সালাফগণ। বইটি বাইতুল মোকাররম বইমেলায় বেস্ট সেলার ক্যাটাগরিতে ছিলো। বইটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জনের কারণে, লেখক হৃদয়ে আত্মতৃপ্তি পান। প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হন এই বলে যে, উম্মাহর জন্য তার অনেক কিছু করা এখনো যে বাকি! আর সেই লক্ষ্যে এন্টিবায়োটিকের ২য় ডোজ ‘সালাফদের দ্বীন’ পাঠকদের হাতে পৌছে যাবে শীঘ্রই। রব এন্টিবায়োটিকের ন্যায় এই বইটিকেও যেনো কবুল করে নেন। আমিন।
লেখক ইলিশের শহর নামে খ্যাত চাঁদপুর জেলায় শেখ বংশের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে রমজান মাসে জন্ম গ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে প্রাইমারি শিক্ষা সমাপ্ত করে ভর্তি হন ফরিদগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রামপুর বাজার দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসায়। সেখানে জেডিসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হন এবং ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পান। তারপর সাইন্স গ্রুপ থেকে দাখিলে এ+ প্রাপ্ত হন। এভাবে আলিম, ফাজিল এবং কামিল কৃতিত্বের সাথে মাদ্রাসা থেকে সমাপ্ত করেন। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে গণিতে অনার্স করেছেন। তার প্রিয় শখ ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে লেখালেখি করা এবং দ্বীনের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করা।
প্রি-অর্ডার লিংকঃ https://forms.gle/VwtskRS6nzhYyD1TA
ওয়াফিলাইফ লিংকঃ https://www.wafilife.com/shop/books/salafder-deen/
রকমারি.কম লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/288416/salafder-deen
কিছু কওমি ও খারিজিয়াতের এটাই হচ্ছে মূল আদর্শ!
সরকারে কায়েনাত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম মোবারক কত অবলীলায় কত অবহেলায় এরা উচ্চারণ করে দিবারাত!! তাদের সাথে আমাদের সবচেয়ে বড় কনফ্লিক্ট!
ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর শাহ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ রহঃ এর জামাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড. এ. আর. এম. আলী হায়দার মুর্শিদী স্যারের প্রথম জানাজার নামাজ আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
দ্বিতীয় জানাজার নামাজ ও দাফন: উলুদাহার বাউনিয়াস্থ খানকায়ে রায়হানিয়া। ঠিকানা: খানকায়ে রায়হানিয়া, ২৯ উলুদাহা, বাউনিয়া, ঢাকা।
ইমামের উপর নির্লজ্জ আচরণের নিন্দা জানাই। যদিও তারা ক্ষমা চেয়েছে তবুও এমন নিন্দনীয় কাজ মেনে নেওয়া যায় না।
বালাকোট আমাদের চেতনা❤️
বালাকোট আমাদের অহংকার
বালাকোট উপমহাদেশের সকল ইসলামী আন্দোলনের উৎস। ইমামুত তরীকত, শহীদে বালাকোট হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) স্মরণে সেমিনারে যোগদিন, সফল করুন।
কেউ কি গোশত দেখেছ যা বেচাও হয়না, কেনাও যায়না, কিন্তু ব্যাপকহারে মানুষ তা খায়!
অথচ সেটা খাওয়া হারাম।
ঈদের মাঠে কোলাকুলি করা বিদআত!🥹 আচ্ছা এই জীবজন্তু গুলোকে চিড়িয়াখানায় রাখা হচ্ছে না কেনো 😕
যে ওয়াজ শতশত মানুষকে কাদিয়েছে
বিদ্যানন্দের বাট*পারি ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। এক বোনের আইডি থেকে বিষয়টা সামনে আসে। দেখুন, সেইম ব্যাকগ্রাউন্ড, সেইম প্রোডাক্ট। শুধু এক্সপোজার কমানো, বাড়ানো।
বিদ্যানন্দ যে জিনিসকে পোড়া কাপড়ে তৈরি অলংকার বলে প্রচার করছে, সেই একই জিনিস মার্চের নয় তারিখেই এক ই-কমার্স গ্রুপে বিক্রির জন্য আপলোড দেয়া হয়। অর্থাৎ এটা বিদ্যানন্দেরই না! ওরা শুধু আবেগ নিয়ে খেলেছে!
এখন সুশীল সমাজের বক্তব্য কী? মানবিক বিদ্যানন্দের অমানবিক বাটপারি, মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলে ফান্ড রেইজ করাটাকে কেমন দৃষ্টিতে দেখছেন?
িদ্যানন্দ ©
২০২০ সালে আহামাদুল্লাহ হুজুরের আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ফ্রান্সে নবী মোহাম্মদকে নিয়ে বিতর্কের জেরে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা শক্ত করতে তারা সীরাত পাঠ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। উনারা সেই ইভেন্টটা ডিলিট করে দিয়েছেন তাই সেটা আমি অনুসন্ধান করেও পাই নাই।
তবে পোষ্ট পেয়েছি। সেখানে বলা আছে বই কিনতে এবং বিতরনে ব্যয় করবেন তারা ১৫ লাখ টাকা। তাদের অডিট রিপোর্টে দেখানো হয়েছে বই কিনতে তারা চারগুন অর্থাৎ ৬০ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন। অনান্য খরচ আলাদা ধরা হয়েছে যেমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে ইনডিরেক্ট ডোনেশন/এডমিনিস্ট্রেটিভ খরচ দেখিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা, ভলেন্টিয়ার, আরো হাবিজাবি খরচ।
এখানে আরো একটা অসামঞ্জস্যতা হচ্ছে তারা প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মোট ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষনা করেছিলেন। যা আমি তাদের ফেসবুক পোষ্টের বাইরে নয়াদিগন্ত সহ আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমেও খুঁজে পেয়েছি। তারা প্রতিযোগিতা আয়োজন করলেন, পুরস্কারও দিয়েছেন কিন্তু সে বাবদ তাদের প্রতিজ্ঞা করা ১৫ লাখই খরচ করলেন নাকি আরো বেশি বা কম তার কোন হিসাবই নাই। নয়া দিগন্ত পত্রিকার তথ্য মতে, পুরস্কার হিসাবে ল্যাপটপ, নোটপ্যাড, বাই সাইকেল, পড়ার টেবিল, বৃত্তি, বিজ্ঞানবক্স বই এসব দেয়ার কথা ছিল। অডিটে এই খাতে শুধু বিজ্ঞানবক্স কেনা হইছে খাতে ৩৯ হাজার টাকা দেখানো হইছে।
আমি পোষ্টের এবং তাদের অডিট রিপোর্টের স্ক্রীনশটগুলো লাল কালি দিয়ে মার্ক করে দিয়েছি।
এখন আপনি যুক্তি দিতে পারেন ফেসবুকের ইনফরমেশনে ভুল ছিল বা তারা সঠিকভাবে জিনিসগুলো ব্যাখ্যা করতে পারেন নাই। বা পুরস্কার বিজয়ী মজিদ চাচাদের সবাইকে ১৫ লাখ টাকার পুরস্কার দিয়েছে কিন্তু তারা লজ্জ্বায় অডিটে এই খাতে খরচের কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছেন। অথবা, এইটা স্রেফ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিংয়ে আনাড়িপনা বা প্রফেশনালিজমের সমস্যা। আমি নিশ্চিত এরকম অসামঞ্জস্যতা খুঁজলে আরো বের করা যাবে।
(যারা আমার আগের পোষ্ট দেখেন নাই তাদের জন্যঃ তারা ২০২০-২১ সালের অডিট করিয়েছিলেন N.K.Roy & co কোম্পানিকে দিয়ে। এটা আহামাদুল্লাহর দাবি মোতাবেক N.K. ROY প্রথম শ্রেনীর দূরে থাক তাদের কোন স্ট্যান্ডার্ড একাউন্টিং ফার্মের মেম্বারশিপও নাই। এবং এই কোম্পানী এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্ল্যাকলিস্টে আছে অসাধুতার কারনে।) ©®
মোল্লা খানা
কিয়ামত আসবে - তার আগে মানুষ ক্রমাগত তলানিতে যেতে থাকবে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ সালাফিজমের বিস্তৃতি। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, থামবে না।
শায়েখ যখন এক মুখে দুই কথা বলে সেটা মানা যায় না ⭕ যে কাজটি মানুষের জন্য বেদায়াত কিন্তু শায়েখ করলে জায়েজ এটি সেই আমল🚫
গীবত বিষয়ে (দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত)
শাইখুল হাদিস হযরত মাওলানা মোস্তফা হামিদী রহঃ চ্যালেন্জ, ১৯৮১ ইংরেজী।
যাকাত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
আলহামদুলিল্লাহ, শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পবিত্র নগরী "মসজিদে নববী শরীফে" ইফতার বিতরণ।
সামর্থ্যবান মুসলমানদের যাকাত পরিশোধ করা উচিৎ, যথাযথ নিয়মে।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে বলে গেলেন এটা আমার হাদীস নয়
- সুফি ফতেহ আলী ওয়েসী রঃ
কথা কি ঠিক নাকি ভুল, আপনারা বলুন।
ছারছীনা দরবার শরীফের হযরত পীর সাহেব হুজুরের মদিনা শরীফে অবস্থানের ছবি। আল্লাহ পাক হুজুরকে সুস্থ ও দীর্ঘ হায়াত দান করুন।
ইফতার মুখে নেয়ার পরই স্ট্রোক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা হীরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মহফিলে এ ঘটনা ঘটে।
আল্লাহ পাক উনার সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদৌসের আলা মাকাম দান করুক।
জৌনপুর, ফুরফুরা, ছারছীনা, সোনাকান্দা, ফুলতলী, দেওবন্দ, কওমী, চরমোনাই, তাবলীগ জামাত। জামাতে ইসলামী, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ। সকলের একটাই দাবী, কাদিয়ানী ক|ফের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে কুখ্যাত ক|ফের কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। এ দাবী আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সকল মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।
খুবই সুন্দর একটা দৃশ্য, আলহামদুলিল্লাহ।
ক) পীর নিজে জান্নাতে যাবে কিনা তার কোন গ্যারান্টি আছে?
খ) পীর কি মুরিদ'দের কে জান্নাতে নিতে পারবে?
-
উপরিউক্ত আলোচনায় প্রবেশ করার আগে একটু বলে নিতে চাইঃ- আপনাদের প্রথমে জানা উচিৎ যে পীর শব্দের অর্থ কি! পীর এর মূলত দায়িত্ব কি! হ্যাঁ, আপনি যখন এই বিষয় গুলো সম্পর্কে অবগত হবেন ঠিক তখনই আপনি বুঝতে পারবেন পীর এর মূলত কি কাজ। এতে করে আপনি খুব সহজেই হক্কানী ও বে-হক্কানী (ভন্ড) বের করে নিতে পারবেন।
প্রথমে আমরা জানবোঃ-
✅ ১। পীর শব্দের অর্থ কি?
পীর শব্দের অর্থ শিক্ষক/ শায়েখ/ ওস্তাদ। আপনি যেভাবেই ডাকেন না কেন বিষয়টা আসলে একই। পীর মূলত একটি ফার্সি শব্দ। ঠিক যেমন নামাজ, রোজাও ফার্সি শব্দ।
✅ ২। পীর এর কাজ কি মূলত?
পীর একজন শিক্ষক মাত্র। এর চাইতে বেশী কিছুই নয়। আপনি যেমন কোন কিছু অধ্যায়নের জন্য একজন শিক্ষকের কাছে গিয়ে শিক্ষা লাভ করেন বা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছে জ্ঞান অর্জন করেন; বই থাকা শর্তেও এবং পড়তে পারার পরেও- ঠিক তেমনিভাবে জ্ঞান অর্জন করতেই মুসলমান যার কাছে যান তাকে বলা হয় পীর। আর পীরের কাজ হলো জ্ঞান বিতরণ করা। হ্যাঁ, পীর ছাত্র (মুরিদান) কে জ্ঞান শিক্ষা দিবেন বা শরীয়ত এর জ্ঞান শিক্ষা দিবেন।
✅ ৩। পীর কিসের জ্ঞান শিক্ষা দিবেন?
একজন পীর সে তার ছাত্র'কে ইসলামের ৪টি স্তরের জ্ঞানের শিক্ষা দিবেন যেমন : ১. শরীয়ত। ২. তরীকত। ৩. হাকিকত। ৪. মা’রিফত। এগুলো কি তা জানতে হলে এই লিংকে দেখতে পারেনঃ-
ইসলামের ৪টি স্তরের কথা উল্লেখ করেছেন । যেমন : ১. শরীয়ত। ২. তরীকত। ৩. হাকিকত। ৪. মা’রিফত।
১। শরীয়তের পরিচয় : ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যাবতীয় বিধানকে শরীয়ত বলা হয়। এক কথায় 'কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াসের' উপর ভিত্তি করে যে জীবন ব্যবস্থা গড়ে উঠে তাকেই শরীয়ত বলা যায়।
২। তরীকতের পরিচয় : তরিকা একটি ইসলামী পরিভাষা। ইসলামের আগমনের ফলে জ্ঞানের যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল তার বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার মধ্যে এলমে তাসাউফ অন্যতম। এলমে তাসাউফের বিশেষ পরিভাষা হলো তরিকা। তরিকা আরবি শব্দ। এটি এক বচন, বহু বচন হলো তারাইক। প্রখ্যাত আরবি অভিধান লিসানুল আরবে এর অর্থ লেখা হয়েছে সিরাত, মাজহাব, অবস্থা। (লিসানুল আরব দশম খ-, ২২১ পৃষ্ঠা)। আল মুজামুল ওয়াফি অভিধানে (৬৫৮ পৃষ্ঠায়) এর আরও কতগুলো অর্থ লেখা হয়েছে, যেমন- পদ্ধতি, রীতি, উপায়, রাস্তা, পথ মত, মাধ্যম, স্তর। পরিভাষায় তরিকার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জুরজানি বলেছেন, আল্লাহর পথের অনুসারীদের বিভিন্ন মানজিল অতিক্রম করে উঁচু স্তরে উন্নীত হওয়ার জন্য যে বিশেষ রীতি-পদ্ধতি তাই হলো তরিকা। (আত্তারিফাত লিল আল্লামা জুরজানি, পৃ. ১৪১)।
জীবনের সকল দিককে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়; একটি বাহ্যিক এবং অন্যটি অভ্যন্তরীন বা আধ্যাত্মিক। মন্দ স্বভাব কয়েকটি বিষয়- ১) জিহ্বার আপদ (মিথ্যা, গীবত, ইত্যাদি), ২) অপব্যায়, ৩) কৃপণতা, ৪) বিদ্বেষ, ৫) অহংকার, ৬) প্রতিপত্তি প্রীতি, ৭) দুনিয়ার মহব্বত, ৮) লোভ, ৯) হিংসা, ১০) রিয়া বা লোক দেখানো কাজ করা, ১১) খাহেশে নফসানী বা প্রবৃত্তির চাহিদ চরিতার্থ করা বা জৈবিক চাহিদার পূরণে লালায়িত হওয়া, ১২) আত্মগর্ব, ১৩) ক্রোধ ইত্যাদি এই মন্দ স্বভাব বা খারাপ চরিত্র গুলো দূর করা তরীকতপন্থী ছালেকের কর্তব্য।
আর প্রশংসনীয় চরিত্র- ১) ইরাদা ও নিয়ত, ২) ইখলাছ (একনিষ্ঠতা), ৩) উন্স (মহব্বত), ৪) তাবলীগ (ধর্মপ্রচার), ৫) ফিকির (আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে গভীর চিন্তা), ৬) তাফবীয (আল্লাহর উপর নিজের যাবতীয় বিষয়কে সোপর্দ করা), ৭) তাক্বওয়া (পরহেযগারী), ৮) তাওয়াযু (বিনয়), ৯) তাওবা, ১০) তাওহীদ (একত্ববাদ), ১১) তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা), ১২) খুশু (স্থিরতা), ১৩) ভয়, ১৪) দুআ, ১৫) আশা, ১৬) রিযা (সন্তুষ্টি), ১৭) যুহুদ (দনিয়ার প্রতি অনীহা), ১৮) শুকর, ১৯) শওক (আখিরাতের প্রতি আগ্রহ), ২০) ছবর (ধৈর্য), ২১) সততা, ২২) মহব্বত ইত্যাদি।
দিল বা অন্তর থেকে দূরাশা, লোভ, কৃপনতা, হারাম, পরনিন্দা, মিথ্যা, হিংসা, অহংকার, ভন্ডামী, আক্রোশ, আত্মগরীমাসহ (উপরে উল্লেখিত ১৩টি) যাবতীয় মন্দ স্বভাব বা খারাপ চরিত্র সমূহ দুর করা এবং তওবা, ইনাবাত, যুহদ, শোকর, তাওয়াক্কুল, তসলীম, রেজা, সবর, কানাআতসহ (উল্লেখিত ২২টি) সৎগুনাবলী সমূহ অন্তরে অর্জন করার পদ্ধতিকে তরীকত বলে।
৩। হাকিকতের পরিচয় : তরিকতের আমল সমূহ যথাযথভাবে পালন করার দ্বারা অন্তরে যে নূর সৃষ্টি হয় তাকে হকিকত বলে। আন্তরিকভাবে খোদার প্রেমের স্বাদ ও পরমাত্মার সাথে তার যোগাযোগ হয়। এটা হচ্ছে সুফী সাধনার চুড়ান্ত স্তর। এ স্তরে উন্নীত হলে সুফী ধ্যানের মাধ্যমে নিজস্ব অস্তিত্ব খোদার নিকট বিলীন করে দেন।
৪। মা’রিফতের পরিচয় : অন্তরের নূরের দ্বারা আল্লাহ পাকের সঙ্গে গড়ে উঠা সম্পর্ককে মা‘রিফত বলে। এ পর্যায়ে উত্তীর্ণ ব্যক্তিকে আ‘রিফ বা সুফী বলে। যাঁরা মাটির তৈরী মানুষ হয়েও মর্যাদায় আগুণের তৈরী জ্বীন এবং নুরের তৈরী ফেরশতেদার উর্দ্ধে উঠতে সক্ষম হন।
সুফীদের পরিভাষায় মা’রিফত হচ্ছে- 'এমন এক স্তর যার মধ্যে বান্দাহ উপনীত হলে সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে অবগতি অর্জন করতে পারে। এ স্তরে পৌঁছতে পারলে তার অন্তর আলোক উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তখন তিনি বস্তুর নিকট তত্ত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করেন। মানব জীবন ও সৃষ্টি জীবনের গুপ্ত রহস্য তার নিকট স্পষ্ট হয়ে ভেসে ওঠে।'
✅ ৪। এতো ডঃ/আলেম থাকা শর্তেও কেন পীরের কাছে যাবো?
পীর শব্দটিকে আমরা এতোটাই ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে উপস্থাপন করছি সমাজে যে - মানুষ মনেই করে পীর মানে মূর্খ/ বে-আলেম। আসলে তা নয়; একটা উদাহরণ দিলেই বুঝবেনঃ- আমাদের দেশের অনেক ধরনের ডাক্তার আছেন। কেউ এমবিবিএস, এফসিপিএস, হৃদ-স্পেশিয়ালিস্ট, নিউরোলজিস্ট, ডেন্টিস্ট, চক্ষু-ডাক্তার, হোমিওপ্যাথিকস্ট। এভাবে অনেক ধরনের ডাক্তার আছে। যে যেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ঠিক তেমনিভাবে দ্বীন ইসলামের প্রচারকদের মধ্যে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ রয়েছে। কারো পরিচয় ইমাম, মাওলানা, মুফতি, মোহাদ্দিস, ফকিহ নামে। ঠিক তেমনি যিনি অন্তরের শুদ্ধিকরণ এর শিক্ষা দিয়ে থাকেন তাকে শায়েখ/পীর উপাধিতে ডাকেন জ্ঞানীরা। যদিও তারা মূলত সকলেই আলেম (ঠিক যেমন বিভিন্ন বিষয়ে স্পেশিয়ালিস্ট হিসেবে পরিচিত হওয়ার পরেও তারা কিন্তু মূলত ডাক্তার)।
📝আসুন এবার মূল প্রশ্নের উত্তর এর দিকে চলে যাই।
✔ ক) পীর নিজে জান্নাতে যাবে কিনা তার কোন গ্যারান্টি আছে?
মহান আল্লাহ বলেন: فَلَا تَعۡلَمُ نَفۡسٞ مَّآ أُخۡفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعۡيُنٖ جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٧﴾ [السجدة: ١٧] ‘কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’’ (সূরা সাজদাহ: ১৭)
আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন এরশাদ করেন أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ، فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ “আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন নেয়ামত তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখে নি, কোনো কান শোনে নি এবং এমনকি কোনো মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না। এরপর তিনি বলেন, যদি তোমরা চাও, তাহলে নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ো। যার অর্থ হলো: “কেউ জানে না, তার জন্য কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।” (বুখারী, ৩২৪৪; মুসলিম, ২৮২৪)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন: ﴿هَٰذَا ذِكۡرٞۚ وَإِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ لَحُسۡنَ مََٔابٖ ٤٩ جَنَّٰتِ عَدۡنٖ مُّفَتَّحَةٗ لَّهُمُ ٱلۡأَبۡوَٰبُ ٥٠﴾ [ص: ٤٩، ٥٠] “এ এক স্মরণ। মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে উত্তম আবাস চিরস্থায়ী জান্নাত, যার দরজা সমূহ তাদের জন্য উন্মুক্ত।” (সূরা সদ: ৪৯ – ৫০)
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: ﴿ يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ١١ ﴾ [المجادلة: ١١] “তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন; আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।” (সূরা আল-মুজাদালা: ১১)
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: ﴿أَفَمَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَ ٱللَّهِ كَمَنۢ بَآءَ بِسَخَطٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأۡوَىٰهُ جَهَنَّمُۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ ١٦٢ هُمۡ دَرَجَٰتٌ عِندَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ بَصِيرُۢ بِمَا يَعۡمَلُونَ ١٦٣ ﴾ [ال عمران: ١٦٢، ١٦٣] “আল্লাহ যেটাতে সন্তুষ্ট, যে তারই অনুসরণ করে, সে কি ওর মত, যে আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়েছে এবং জাহান্নামই যার আবাস? আর সেটা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল! আল্লাহর কাছে তারা বিভিন্ন স্তরের; তারা যা করে, আল্লাহ সেসব ভালভাবে দেখেন।” (সূরা আলে ইমরান: ১৬২ – ১৬৩)
কবরের নেয়ামত সমূহ সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদের জন্য। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। [সূরা: ফুসসিলাত (হামীম সেজদাহ); আয়াত: ৩০]
আল্লাহ বলেন- ‘আর জান্নাতকে উপস্থিত করা হবে মুত্তাকিদের জন্য, (সেখানে) কোনো দূরত্ব থাকবে না। এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল প্রত্যেক (আল্লাহ) অভিমুখী, (তাঁর হুকুমের) হিফাজতকারীর জন্য। যারা না দেখে পরম দয়াময়কে ভয় করে এবং (আল্লাহ) অভিমুখী ক্বলবে (অন্তর নিয়ে) উপস্থিত হয়।’ (সুরা ক্বাফ : আয়াত ৩১-৩৩)
আল-বুখারী (৬৯৩৩) এবং মুসলিম (১৬৫৯) বর্ণনা করেছেন যে, আবু যর বলেছেনঃ আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যেঃ হাররাহ এর পাশে জিবরাঈল আমার নিকট উপস্থিত হলেন এবং বললেন ‘আপনার উম্মতদেরকে আনন্দের সংবাদ দিন যে, আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করে যদি কেউ মারা যায়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আমি বললাম, হে জিবরাঈল এমন কি যদি সে চুরি করে এবং এমন কি যদি সে যিনা করে তাহলেও? সে বললঃ হ্যাঁ, আমি বললামঃ এমন কি যদি সে চুরি করে এবং এমন কি যদি সে যিনা করে তাহলেও? সে বললঃ হ্যাঁ, আমি বললামঃ এমন কি যদি সে চুরি করে এবং এমন কি যদি সে যিনা করে তাহলেও? সে বললঃ হ্যাঁ এবং এমন কি যদি সে মদ পান করে তাহলেও।’’’
এই হাদিসের আলোকে - হক্কানী পীর/শায়েখ/ মুমিন ব্যাক্তি ১০০% জান্নাতে যাবে; আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় এবং আমার নবীজীর শাফায়াত লাভ করে, ইনশাআল্লাহ। নবীজীর হাদিস অনুসারে এমন অপরাধীও যদি জান্নাতে যেতে পারে তবে হক্কানী পীর'রা অবশ্যই জান্নাতে যাবে; কারণ হক্কানী পীর শরীয়ত এর উপর আমল'কে গুরুত্ব দেয়।
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আলোচনায় পবিত্র কালামে পাকে ঘোষণা করা হয়েছে - الا ان اولياء الله لا خوف عليهم ولا هم يحزنون .الذين امنو وكانوا يتقون.لهم البشري في الحياة الدنيا وفي الاخره. لا تبديل لكلمات الله .ذالك هوا الفوز العظيم. অর্থাৎ- মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং যারা ভয় করে (আল্লাহকে)। তাদের জন্য রয়েছে ইহকালে ও পরকালে সুসংবাদ। আল্লাহর কথা মালার কোন ব্যত্যয় ঘটে না। এটাই মহা সাফল্য। (সূরা ইউনুস ৬২-৬৪)
যেখানে/যার কাছে গেলে মানুষ অন্তরের সাথে সাথে শরীয়তের আমলের শিক্ষা পায়; তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে (দাঁড়ি রাখে, নামাজ পড়ে, আল্লাহ পাকের জিকির শিক্ষা পায়, নবীজীর প্রতি দুরুদ পড়ে, সুন্নতী পোষাক পড়ে - ইত্যাদি) বুঝতে হবে তিনি যোগ্যতম ওস্তাদ/ পীর/ শিক্ষক।
✔ খ) পীর কি মুরিদ'দের কে জান্নাতে নিতে পারবে?
কেউ কাউকে সরাসরি জান্নাতে নিতে পারবে না। জান্নাতে নেওয়া পীরের দায়িত্ব নয় বরং জান্নাতে যাওয়ার জন্য কি কি আমল করতে হবে তা দেখিয়ে দেওয়া ও শিক্ষা দেওয়াই শুধু পীরের দায়িত্ব। আর সেভাবে আমল করে করে পীরের সব মুরিদরাই জান্নাতে যাওয়ার উপযুক্ত আমল নিয়ে কবরে যাবে। আর তখন আল্লাহ পাকের ইচ্ছায়, নবীজীর সুপারিশ এবং সলেহীনদের সুপারিশে জান্নাতে যেতে পারবে।
সলেহীনদের সুপারিশের হাদিসঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবুল জাদয়া রাঃ হতে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতের এক ব্যক্তির সুপারিশে বনী তামীম গোত্রের লোক সংখ্যা হতেও অধিক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তথ্যসূত্রঃ- সুনানে তিরমিযী শরীফ, সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরীফ ৫৩৬১, সুনানে দারেমী]
রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক সুপারিশ করবে। (১) নবী রসূল। (২) উলামায়ে কিরাম (৩) শহীদ গন। [তথ্যসূত্রঃ- সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফঃ ৫৩৭০]
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি বিরাট দলের জন্য সুপারিশ করবে। আবার কেউবা নিজ আত্মীয় স্বজনের জন্য সুপারিশ করবে। আবার কেউ একটি লোকের জন্য সুপারিশ করবে। শেষ পর্যন্ত আমার সকল উম্মত বেহেশতে প্রবেশ করবে। [তথ্যসূত্রঃ- সুনানে তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ ৫৩২৬]
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্নিত - রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, জাহান্নামীদের সাড়িবদ্ধ ভাবে দাঁড় করানো হবে। অতঃপর জান্নাতবাসীদের মধ্যে হতে এক ব্যক্তি তাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করবেন। ফলে জাহান্নামীদের এক ব্যক্তি তাকে বলবে, হে ব্যক্তি! আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না? আমি ঐ ব্যক্তি, যে (তৃষ্ণার সময়) আপনাকে পানি পান করিয়েছিলাম এবং তাদের মধ্যে হতে অন্য এক ব্যক্তি বলবে আমি ঐ ব্যক্তি যে ওযু করার জন্য আপনাকে পানির পাত্র দিয়েছিলাম। ফলে তার জন্য সুপারিশ করা হবে, অতঃপর তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। [তথ্যসূত্রঃ- সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরীফ ৫৩৬৪]
রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন, কিয়ামতের দিন আমিই হবো সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগনের ইমাম ও তাদের খতীব এবং আমিই হবো তাঁদের ছহিবে শাফায়াত এতে আমার কোন ফখর নেই।” [তথ্যসূত্রঃ- সুনানে তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ ৫১৪ পৃষ্ঠা]
রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন হাশরবাসীগন বিক্ষিপ্ত ভাবে ছোটাছুটি করে একজন অন্যজনের নিকট চলে যাবে। অতঃপর তারা হযরত আদম আলাইহিস সালামের নিকট এসে বলবে, আপনি আপনার রবের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। তখন তিনি বলবেন, আমি এখন একাজে উপযুক্ত নই। তোমাদের এ ব্যাপারে ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের নিকট যাওয়া উচিত, কেননা তিনি হচ্ছেন পরম করুনাময় আল্লাহ পাকের খলীল। সূতরাং তারা হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের নিকট এসে সুপারিশ প্রর্থনা করবে। তিনিও বলবেন, আমি একাজে সক্ষম নই। সুপারিশের জন্য তোমরা হযরত মুসা আলাইহিস সালামের কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহ পাকের সাথে কথা বলেছিলেন। অতপর তারা মুসা আলাইহিস সালামের নিকট আসবে এবং সুপারিশ প্রার্থনা করবে। তিনি বলবেন আমিও সক্ষম নই। তবে তোমাদের হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে যাওয়া উচিত। কেননা তিনি হচ্ছেন, রুহুল্লাহ। তখন তারা ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে আসবে এবং সুপারিশ প্রার্থনা করবে। তিনিও বলবেন আমি এ ব্যাপারে সক্ষম নই। তবে তোমাদের হযরত সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাওয়া উচিত। তখন তারা আমার নিকট আসবে, আর আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলবো, আমিই এ ব্যাপারে সক্ষম। তখন আমি আমার প্রতিপালকের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করবো।” [তথ্যসূত্রঃ- সহীহ বুখারী শরীফঃ ৪৭১২, ৭৫১০]
এ হাদীস শরীফ থেকে বোঝা গেলো রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হচ্ছেন শাফায়াতে কোবরার অধিকারী। অর্থাৎ তাঁর পূর্বে কেউই সুপারিশ করতে পারবে না। সকল নবী, রসূল, আওলিয়ায়ে কিরাম, আলেম, নামাজ, রোজা, কুরআন, দুরূদ ইত্যাদি বিষয় সকলেই সুপারিশ করবে কিন্তু এসকল সুপারিশ হবে শাফায়াতে কোবরা রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশের পর। এখন সলেহীনদের সুপারিশ করা'কে আপনি মানবেন নাকি মানবেন না তা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আব্দুর রশিদ স্যারকে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দেওয়ায় অভিনন্দন। আরবী বিশ্ববিদ্যালয় একজন যোগ্য লোক পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পপতি আমিন মোহাম্মাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এম. এনামুল হক সাহেব ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ সকাল ১০ টায় গুলশান সোসাইটি মসজিদে নামাযে জানাযা শেষে বনানী গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর সকল পীর ভাইকে মরহুমের জানাযা ও দাফন কার্যে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ জরুরী বার্তা পাঠিয়েছেন, পবিত্র মদীনা মুনাওয়ারা থেকে।
তিনি ছারছীনা মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সদস্য ছিলেন এবং ছারছীনা দরবারের একজন একনিষ্ঠ খাদেম ও শুভাকাঙ্খী ছিলেন।
আল্লাহ পাক মরহুমের সকল দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।
৫ম রমজান ২৮শে মার্চ রোজ মঙ্গলবার ২০২৩ই
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা দরবার শরীফের পীর, আমিরে হিযবুল্লাহ, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ। আরও অনেক প্রখ্যাত দ্বীনের খাদেম ও বুজুর্গরা সহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের মেহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাহরীতে রোজাদারদের ডাকা সুন্নাত
১। ইমাম আবু বকর ইবনু আবী শায়বাহ রহ. বর্ণনা করেছেন,
عَنْ أَبِي رُهْمٍ السَّمَاعِيِّ, أَنَّهُ سَمِعَ عِرْبَاضَ بْنَ سَارِيَةَ , يَقُولُ: دَعَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ إلَى السَّحُورِ، فقَالَ: " الْغَدَاءُ الْمُبَارَكُ "
অর্থাৎ, আবু রুহম সামাঈ হতে বর্ণিত, নিশ্চয় তিনি হযরত ইরবাদ্ব ইবনু সারিয়া রাদ্বি. কে বলতে শুনেছেন, রাসূলে পাক দঃ আমাদেরকে রমজান মাসে সাহরীর জন্য ডাকতেন এবং তিঁনি বলতেন: বরকতময় ভোররাত্র। (মুছান্নাফু ইবনু আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৮৭২১)
২। ইমাম নাসাঈ ও ইমাম তাহাবী রহ. হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন,
عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَدْعُو إِلَى السَّحُورِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، فَقَالَ: " هَلُمُّوا إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ " .
অর্থাৎ, হযরত ইরবাদ্ব ইবনু সারিয়া রাদ্বি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ দঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি রমজান মাসে সাহরীর জন্য ডাকছেন এবং বলছেন: তোমরা বরকতময় ভোরের সাহরীর দিকে আসো।" (নাসাঈ: সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ২৪৫৪; শারহু মুশকিলিল আসার, হাদিস নং ৪৮৪১)
৩। ইমাম নাসাঈ রহ. আরেকটি হাদিস এভাবে বর্ণনা করেছেন,
عن خالد بن معدان قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم لرجل هلم الي الغداء المبارك يعنى السحور.
অর্থাৎ, হযরত খালিদ ইবনু মা'দান রাদ্বি. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম দঃ এক ব্যক্তিকে বললেন, বরকতময় ভোরের সাহরীর দিকে আসো।" (সুনানু নাসাঈ, হাদিস নং ২২৬৫)
৪। ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম আহমাদ রহ. হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন,
عَنْ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ: دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى السَّحُورِ فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ: " هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ "
অর্থাৎ, হযরত ইরবাদ্ব ইবনু সারিয়া রাদ্বি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে পাক দঃ আমাকে রমজান মাসে সাহরীর সময় ডেকে বললেন: বরকতময় ভোরের সাহরীর দিকে আসো।" (সুনানু আবী দাউদ, হাদিস নং ২০০০; মুসনাদু আহমাদ, হাদিস নং ১৬৮১২; মুজামুল কবীর হাদিস নং ১৫০৫০)
বিঃদ্রঃ- মাইকে অতিরিক্ত ডাকাডাকি না করে একটু সময়ের গ্যাপ দিয়ে দিয়ে ডাকা উচিৎ। সেটা ২/৩ মিনিট পরপর হতে পারে।
মহান আল্লাহ তা'আলা যেন সবাইকে সুন্নাতের অনুসারী আমল করার তৌফিক দান করেন, আমিন।
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর, আমিরে হিযবুল্লাহ হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মাঃজিঃআঃ পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য এক বরকতময় কাফেলা নিয়ে রওনা হয়েছেন।
আল্লাহ পাক প্রিয়ো শায়েখ ও কাফেলার সবাইকে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আমার মাঝে ফিরিয়ে আনুক। সকলেই শায়েখের সুস্থতা ও নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করবেন।
সৌদি আরবের আল-আসির প্রদেশ থেকে উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা মুকাররমায় আসার পথে এক মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ২০ জন বায়তুল্লাহর মুসাফির ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি....)
আল্লাহপাক মরহুমদের উমরার উদ্দেশ্যকে কবুল করুন। তাদেরকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, আমীন 🤲
হজরত উসমান (রাঃ) যখন কোনো কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত। তাই একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- আপনি জান্নাত ও জাহান্নাম স্মরণ করে এত কাঁদেন না, যতটুকু কাঁদেন কবর দেখে, এর কারণ কী?
তিনি বললেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি। এখানে যদি কেউ রক্ষা পেয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী সব ঘাঁটি তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। আর এখানে কেউ যদি রক্ষা না পায় তাহলে পরবর্তী সব ঘাঁটি তার জন্য খুব কঠিন হবে।
তিনি আরও বললেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, মেরাজের রজনীতে আমি যত ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি তার মধ্যে কবরের আজাবই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ।
(তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং-২৩০৮)
হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবরের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি দিও, আমিন।