প্রকৃত বই পড়ুয়ারা বই চুরি করে না। তারা বই পড়তে নেয়ার কথা বলে ইচ্ছে করেই ফেরত দিতে ভুলে যায়। 🙁
BooksWorld.com.bd
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from BooksWorld.com.bd, Ramna.
Operating as usual

বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত ও পঠিত ৫ টি বই!
১.আল কোরআন
মহাগ্রন্থ "আল কোরআন" প্রথম মুদ্রিত প্রকাশ ১৭২০ সাল, হামবুর্গ। এর আরবি ভার্সনটাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী বিক্রিত গ্রন্থ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ হাজার পেশাদার ও অপেশাদার প্রকাশক এটি প্রকাশ করে থাকে। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা থেকে প্রায় ২ কোটি এবং বিক্রয় ১ কোটি ৫ লাখ ছেড়ে যায়। বাকী কপি বিভিন্ন দেশে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। অনুবাদিত কোরআনসহ হিসেব করলে এই সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। ১৭৮৭ সালে রাশিয়ার সেন্টপিটাসবার্গ শহরে মাওলানা ওসমানের এই কোরআন মুদ্রণ ছাপার পর থেকে হিসেব করলে গত আড়াইশ বছর বা ৭ প্রজন্মে এর একটা আনুমানিক সংখ্যা দাড়াবে ১৫শ কোটি এর মতো। এই হিসাব অনুবাদিত কোরআন এবং হাতে লেখা কোরআন ছাড়া।
২.বাইবেল
খোদাইকৃত "বাইবেল" প্রথম মুদ্রিত প্রকাশ ১৪৫০ সালে । মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের আগে ছাপ দেয়া বাইবেল ২০,৩০,৪০ এরকম আংশিক পৃষ্ঠা আকারেছাপা হয়। ছাপা ও বিতরনের দিক থেকে এটি কোরআনের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশী হবে। কিন্তু সারা বিশ্বে এটি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় বিধায় বিক্রির সংখ্যা কোরআন এর চেয়ে কম। বিভিন্ন পাবলিশারদের বাইবেল বিক্রির সংখ্যা বছরে কোটি এর মতো এবং সর্বমোট ছাপা ৪কোটি ৫০ লাখ থেকে ৫ কোটি বা তারও বেশী হতে পারে। এ যাবত প্রকাশিত বাইবেলের সংখ্যা দাড়াবে ৫০ হাজার মিলিয়ন কপি।
৩.শ্রীমৎভগবত গীতা
হিন্দু ধর্মে বেদ ও মহাভারত নামে আরো ধর্মগ্রন্থ থাকলেও সবচেয়ে বেশী পঠিত গ্রন্থ "শ্রীমৎভগবত গীতা"। বছরে বিশ্বজুড়ে ৩০ লাখ গীতা বিক্রয় হয়। ভারতের কয়েকশ ভাষায় এটি ১৮০ কোটির বেশী গীতা প্রকাশিত হয়েছে । এই হিসেব অবশ্যই গত ৩শ বছরের অর্থাৎ মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার পরের।
৪.সহীহুল বোখারী
হাদীস গ্রন্থ "সহীহুল বোখারী" ইমাম বোখারীর এই অনন্য সংকলন মুসলমানদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ৬টি বিখ্যাত হাদীসগ্রন্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিক্রি হয় এটি । বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এই বইয়ের প্রতিবছর বিক্রির সংখ্যা প্রায় ২০ লাখের মতো এবং এ যাবৎ বিক্রির সংখ্যা ৫০ কোটি এর বেশী হবে।
৫.টেল অব টু সিটিজ
"এ টেল অব টু সিটিজ" এর লেখক "চার্লস ডিকেন্স"। প্রথম প্রকাশ ১৮৫৯। এ যাবৎ মোট বিক্রি ২০০ মিলিয়নের বেশী। সারা পৃথিবীতে অনুবাদ হয়েছে পঞ্চাশেরও বেশী ভাষায়। ৪৫ অধ্যায়ের এ উপন্যাসটি ১৮৫৯ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৩১ সপ্তাহ ধরে প্রকাশিত। পরে অবশ্য এটি থেকে তৈরি হয়েছে সিনেমা। অসংখ্যবার ইউরোপ আমেরিকায় এটি রেডিওতে এবং টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। বানানো হয়েছে অনেক নাটকও। এই বই সারাবিশ্বে ২০০ মিলিয়ন এর বেশী বিক্রি হয়েছে।
#সংগৃহীত

বইয়ের নামঃ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার
লেখকঃ মোস্তফা কামাল গাজী
ধরণঃ প্রত্নতাত্তিক ইতিহাস
প্রকাশকালঃ আগস্ট ২০২১
প্রকাশকঃ কিংবদন্তী পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৫০ টি
মুদ্রিত মূল্যঃ ৭০০ টাকা
শুরুর কথাঃ
"বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার" একটি তথ্যভিত্তিক, প্রামাণিক ও ইতিহাসভিত্তিক বই। এর প্রতিটি পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর নানান রকম অজানা তথ্য। ৬৫০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৩৭০ বছরে নির্মিত অসংখ্য মসজিদের ইতিহাস নিয়েই লেখা বইটি।
পাঠ সংক্ষেপঃ
এককালে বাংলাদেশের বুক চিড়ে গড়ে ওঠা মসজিদগুলোর কোনোটা এখনও টিকে আছে, কোনোটা বিলীন হয়ে গেছে আবার কোনোটা ভূতুড়ে হয়ে পড়ে আছে। অধিকাংশ মসজিদই বাংলাদেশের ছায়াঘন প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত।
বইটির প্রথমে রয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইতিহাস। এই মসজিদটি ঢাকায় অবস্থিত। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬০ সালে। ১৯৬৩ সালে শেষ হয় প্রথম পর্বের নির্মাণ কাজ।
এরপর ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্বুজ মসজিদের নানান অজানা কাহিনী লেখক বইটিতে লিখেছেন। ১৪৩৫-৫৯ সনের শাসক সুলতান নাসিরুদ্দিন শাহের সময় খান আল-আজম উলুগ খান জাহান সুদূর দিল্লির জৌনপুর থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাগেরহাট অঞ্চলে গমন করেন। কথিত আছে, তিনি অলৌকিক ক্ষমতা বলে চট্টগ্রাম ও ভারত থেকে পানিপথে মসজিদ তৈরির পাথরগুলো ভাসিয়ে নিয়ে এসেছেন।
পিরোজপুরের কাঠের মমিন মসজিদের নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন পিরোজপুরের ধর্মপ্রাণ যুবক মৌলভি মমিন উদ্দিন আকন্দ। নিজ বাড়িতে কাঠ দিয়ে মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। এ উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে কাঠের নানান নকশা দেখে নিজেই সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। মমিন মসজিদ বাংলাদেশের উল্লেখ্যযোগ্য ৩০টি শিল্প সমৃদ্ধ মসজিদের মধ্যে অন্যতম বলে ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদ। ৫৯ শতাংশ ভূমি নিয়ে গঠিত মসজিদের সম্পূর্ণ অংশ। ইটের দেয়ালের উপর লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় একশজন নামাজ পড়তে পারে। ইতিহাস সমৃদ্ধ এ মসজিদটি পরিদর্শনে প্রতিনিয়ত দেশ বিদেশের বহু পর্যটক ও স্থাপত্য বিশারদরা আসেন।
গোড়ার মসজিদ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অবস্থিত এই মসজিদটি ১৯৮৩ সালে আবিষ্কৃত হয়। পুরো মসজিদটি পোড়া বাড়ির শিল্প নকশা দ্বারা আবৃত। ভেতরের ৪ টি পিলারের উপর মসজিদের ভিতটি স্থাপিত। মেহরাবের উপরে লতাপাতার নকশা চোখে পড়ার মতো। বর্গাকৃতির মসজিদটির আয়তন ৪০×৩০ ফুট আর উচ্চতা ১৫ ফুট।
শহিদি মসজিদ। ঢাকার প্রাণবন্ত কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব প্রান্তে আধুনিক স্থাপত্যের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন শহিদি মসজিদ৷ মসজিদটির নামকরণ নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহলের অন্ত নেই। ১৯৪০ সালে মসজিদটির সংস্কার শুরু হয়। প্রথা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের দূর্গাপূজা শেষে মসজিদের সামনে দিয়ে তাদের বিগ্রহ মিছিল বাজনা বাজিয়ে নিতে চাচ্ছিলো। মুসলিম সম্প্রদায় এসে বাধ সাধলে ঝামেলা শুরু হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ সৈন্যরা গুলি চালালে ৪ জন মুসল্লি সেখানে মৃত্যু বরণ করেন। সেই থেকে শহিদ মুসল্লিদের স্মরণে এই মসজিদের নাম শহিদি মসজিদ রাখা হয়।
৬৫০-২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা সকল মসজিদের বিশদ বিবরণ রয়েছে ৩৫০ পৃষ্ঠার এই বইটি। খুবই তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠ উপযোগী করেই লেখা এই বইটি বাংলাদেশের সকল মসজিদের সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিবে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
"বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার" বইটি পড়ে সারা বাংলাদেশের সকল মসজিদ সম্পর্কে জানার কৌতূহলটা পূরণ করতে পেরেছি বলে আমি আনন্দিত। ইতিহাস সমৃদ্ধ বই পড়ে শুধু পাঠই উপভোগ করা যায় না, তার সাথে অনেক অজানা তথ্যও জেনে নেয়া যায়। আর এই বইটি আমাকে সেই সকল তথ্য জানতে সহায়তা করেছে। সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে বইয়ের প্রত্যেকটি মসজিদের বর্ণনার সাথে সাথে মসজিদটির একটি ছবিও দিয়ে দেয়া হয়েছে৷ এতে করে পড়ে যেমন ভালো লেগেছে, ঠিক তেমনি মসজিদটি চোখের সামনে দেখে পুলকিত হয়েছি। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এভাবে সকল মসজিদের ইতিহাসকে এমন তথ্যবহুলভাবে একটি বইয়ে মলটাবদ্ধ করার জন্য৷ প্রত্যকটি মসজিদের খুঁটিনাটি বিবরণ লেখক এমন সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন যে, পাঠক যদি বাংলাদেশের মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারণা পেতে চায় তাহলে "বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার" তার জন্য আদর্শ বই। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য, নানান অজানা তথ্য জানতে এটি সকলের একবার হলেও পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। বইটি এক কথায় চমকপ্রদ।
প্রোডাকশনঃ
কিংবদন্তী পাবলিকেশনের বই নিয়ে বরাবরই আমার কোনো অভিযোগ নেই। প্রকাশনীর প্রত্যকটি বইয়ের প্রচ্ছদ, বাঁধাই, পৃষ্ঠার মান সব কিছু একদম মনমতো। "বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ সমাচার" বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে বাড়তি পাওনা হিসেবে মসজিদগুলোর ছবি যুক্ত করে দিয়ে প্রকাশনী পাঠককে মসজিদটি দেখারও সুযোগ করে দিয়েছে। এক কথায় তাদের কাজ অসাধারণ।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
১০/১০
বই পড়তে গিয়ে ভালোই জ্যোতিষশাস্ত্র শিখলাম খানিক।
এক লেখকের স্মৃতিকথায় পড়লাম, লেখক তাঁর কৈশোরে এক তীর্থস্থানে গিয়েছেন। গত শতকের মহামন্দার সময়ের কথা এটা। সেই তীর্থস্থানে নামকরা এক জ্যোতিষি থাকেন। এক ভদ্র দম্পতি তাদের কিশোরী মেয়েকে নিয়ে জ্যোতিষির কাছে আসছে। মেয়ের ভবিষ্যৎ জানতে বাবা মা দু'জনেরই খুব আগ্রহ। জ্যোতিষিকে বললেন তাদের মেয়ের হাত দেখার জন্য।
জ্যোতিষি যেইমাত্র হাত দেখতে যাবে তখন মেয়েটি বলে উঠলো, আমি হাত দেখে প্রেডিকশনে বিশ্বাস করি না। মেয়েটির বাবা-মা আর জ্যোতিষি তিনজনই তিনজনের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো কিছুক্ষণ।
জ্যোতিষি চালাক মানুষ। সে খপ করে মেয়েটির হাত ধরে হাতের রেখায় পলক ফেলার আগেই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, জ্বী আপনার হাতেও তাই লেখা।
- কী লেখা?
- ওই যে, আপনি হাত দেখায় বিশ্বাস করেন না। সেটাও আপনার হাতে লেখা আছে।
আরেকদিন পাঠক সমাবেশে আরেকটা বই পড়লাম। বইতে বিখ্যাত কয়েকজন লেখকের সাক্ষাৎকার ছেপেছে। শেষে ছেপেছে ভারতের প্রখ্যাত লেখক খুশবন্ত সিং-এর সাক্ষাৎকার।
যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনি লেখককে হটাৎ প্রশ্ন করলেন,
- আপনার অমুক(পত্রিকাটার নাম ভুলে গেছি) পত্রিকাটা সম্পর্কে কিছু বলুন।
- পত্রিকা সম্পর্কে বলতে হলে পত্রিকাটার রাশিফলের পাতাটা নিয়ে কিছু বলি শুনুন।
- ঠিক আছে বলুন।
- আমার পত্রিকাটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠলো রাশিফলের পাতাটার জন্য। একজন জ্যোতিষি আমার পত্রিকাটার সেই রাশিফল লিখতেন। হটাৎ একদিন তিনি ভারতের অন্য একটা প্রদেশে চলে গেলেন। কিন্তু রাশিফলের পাতাটার জন্য পত্রিকার কাটতি তখন খুব ভালো। জ্যোতিষি চলে যাওয়ার পরের তিন মাস পত্রিকার রাশিফলের পাতাটা আমি চালিয়েছিলাম।
- ধরা পড়লেন না?
- কে ধরবে? জ্যোতিষি রাশিফল লিখতো কাঠখোট্টা ভাষায়। আর আমি একজন সাহিত্যিক মানুষ, আমি রাশিফল লিখতাম মনের মাধুরি মিশিয়ে, ইচ্ছে মতো রঙ চড়িয়ে।

উত্তরায় বিআরটি ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় চারজন নিহত। পরিবারের সদস্যরা কোথাও হয়তো একসঙ্গে যাচ্ছিলেন। একটা ফুটফুটে বাচ্চাও সঙ্গে ছিল। কিন্তু পথেই সব আয়োজন শেষ। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে পড়ে। নিমিষেই মানুষ থেকে লাশ।
মানুষের মৃত্যু কত নিকটে, কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনা।
মাঝেমধ্যেই এমন ধসের ঘটনা শুনি কিন্তু বিচার হয়না। ফলে এমন মৃত্যু চলতেই থাকবে। আমরাও মরতে থাকবো।
© সানাউল হক সানী

১৯৯৭ সালে ৫০০ টাকা দিয়ে আমরা কি কি কিনতে পারতাম। এখন কি কিনতে পারি? ডলার ছিলো-৪২ টাকা।
“টাকা দিয়ে সব কেনা যায় না! টাকা দিয়ে চরিত্র কেনা যায় না,
টাকা দিয়ে বিশ্বাস কেনা যায় না, টাকা দিয়ে নৈতিকতা কেনা যায় না,
টাকা দিয়ে ম্যানার্স কেনা যায় না,
টাকা দিয়ে ক্লাস হওয়া যায় না, টাকা দিয়ে ইন্টিগ্রিটি ডেভেলপ করা যায় না, টাকা দিয়ে প্রেম-ভালবাসাও কেনা যায় না।
সুতরাং টাকার পেছনে তো আমরা ছুটি,
কিন্তু সময়ের পেছনে ছোট, জীবনের পেছনে ছোট”,
___আনিসুল হক

"বই কিনুন, দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচুন। 🙂 "
আজকে লিটন দাস যত রান করবে বাতিঘর প্রকাশনীতে তত পার্সেন্ট ছাড়😄

বই পড়ুন জীবনের জন্য

সবাইকে "World Book Day" এর শুভেচ্ছা। বই পড়ুন নিজেকে জাগ্রত করুন।

বই কেন পড়ব
মো. মাহবুবুর রহমান সাজিদ
বই কেন পড়ব? এককথায় প্রশ্নটির উত্তর দিতে হলে বলব 'উন্নত জীবন' এবং 'উন্নত রাষ্ট্র' গঠনের জন্য বই পড়ব।
বইপড়া এবং জীবন একে অপরের সথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের জীবনের যাবতীয় সংকটের প্রধান কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। কেননা, এই শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বই না পড়েও মাস্টার্স পাস করা যায়। এমনকি বিসিএস ক্যাডারও হতে পারবেন। উল্লেখ্য, প্রমথ চৌধুরী একাডেমিক বইগুলোকে অপাঠ্য বলেছেন। আমি সেইসাথে ডাইজেস্ট, ওরাকল, এমপিত্রি ইত্যাদিকেও অপাঠ্যের তালিকায় রাখলাম। কেননা, প্রমথ চৌধুরী বেঁচে থাকলে এগুলোকেও অপাঠ্যের তালিকায় রাখতেন। সেইসাথে সেগুলোকে বইয়ের তালিকা থেকে অপসারণ করলাম।
আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাবসা বাণিজ্য ও চাটুকারিতা, আমাদের রাজনীতিতে নীতিহীনতা এবং আমাদের প্রশাসনে দুর্নীতি। এসবের একমাত্র কারণ বই না পড়া।
বলতে পারেন যে শিক্ষিতরাই তো যাচ্ছে এসব জায়গায়। প্রত্যহ ১৫/১৬ ঘন্টা পড়ে বিসিএস ক্যডার হচ্ছে। পড়ালেখা না করে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে যাচ্ছে? একটি খতিয়ে দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবেন। যারা চাকুরীর জন্য ১৫/১৬ ঘন্টা পড়ছেন তারা কি পড়ছেন। সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাতীয় লাইব্রেরি, শাহবাগে অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে একটু ঘুরে আসুন। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবেন। এসব লাইব্রেরির টেবিলগুলোতে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও ১০ টা বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য এবং ইতিহাস ইত্যাদির বই পাবেননা। শুধুই ফার্স্টফুড সাহিত্য, ফার্স্টফুড ইতিহাস, ফার্স্টফুড দর্শন, ফার্স্টফুড বিজ্ঞান।
বইপড়া জীবন বিচ্ছিন্ন কোন কর্ম বা অভ্যাস নয়। জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে বই পাঠের সমন্বয় ঘটাতে হয়। বই পাঠের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ঘটাতে হয় বাস্তবজীবনে। এটিই বই পাঠের উদ্দেশ্য এবং এখানেই বই পাঠের স্বার্থকথা।
বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ ফ্রান্সিস বেকনের লেখা 'Of Studies' প্রবন্ধটি এবিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল পঠিত।
বই পড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কয়েকটি দামি কথা বলেছেন ফ্রান্সিস বেকন,
"পাঠাভ্যাস মানবপ্রকৃতিকে নিখুঁত করে এবং তা আবার অভিজ্ঞতার দ্বারা নিকষিত হয়। প্রাকৃতিক দক্ষতা হলো উদ্ভিদের মতো, কেটেছেঁটে যত্ন নিতে হয়। বই সেই পরিচর্যার কাজটি করে। পাঠে পাওয়া যায় পথের দিশা এবং তা সঠিকভাবে চালিত হয় অভিজ্ঞতার দ্বারা।
চালবাজ লোকেরা পাঠকে ঘৃণা করে, সাধারণ লোকেরা প্রশংসা করে এবং জ্ঞানী লোকেরা ব্যবহার করে। তারা অভিজ্ঞতার মারফত বুঝতে পারে পাঠার্জিত জ্ঞানকে কীভাবে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে হবে।
পাঠ কাউকে নাকচ করার জন্য নয়, কোনো কিছুকে স্বতঃসিদ্ধরূপে গ্রহণ করার জন্য নয়, বাদানুবাদের জন্যও নয়। পাঠ হবে বিচার-বিবেচনার জন্য। "
আমাদের দুর্বলতা কোথায়? যারা শিক্ষাবিদ তারা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেনা। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতিবিদেরা। যারা রাজনীতিবিদ তারা জাতীয় সংসদে যেতে পারেনা। জাতীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রের সমন্বয়হীনতার কারণে শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স পর্যন্ত যতটুকুই জ্ঞানার্জন করে ততটুকুই কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সুযোগ পায়না। এটি আমাদের জাতীয় সংকট। যারজন্য দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। প্রথমত, মাস্টার্স পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার জন্য সরকার প্রচুর ভর্তুকি দিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত, যে বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন কর্মক্ষেত্রে সে বিষয়ে কাজ না করে অন্যকোন বিষয়ে কাজ করার ফলে সে বিষয়টির প্রতি অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফললাভ হয়না।
আমাদের আরেকটি ত্রুটি হলো, আমরা একদল হুবহু পাঠটিকেই বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করার ব্যর্থ চেষ্টা করি। আরেকদল পাঠটি বাস্তবতাবর্জিত বলে ঝেঁটিয়ে দূর করতে উঠেপড়ে লাগি। কিন্তু বইপাঠের উদ্দেশ্য এদুটির কোনটিও নয়। বইপাঠ আমাদের বিবেচনাবোধকে উন্নত করে। বাস্তবজীবনে আমাদের নিজস্ব বিবেচনাবোধকেই প্রয়োগ করব।
ফ্রান্সিস বেকনের আরেকটি মূল্যবান উদ্ধৃতি তুলে ধরছি,
"পাঠ একজন মানুষকে পরিপূর্ণ করে, বাগানুশীলন একজন মানুষকে চটপটে করে এবং লেখালেখি একজন মানুষকে যথাযথ করে। কাজেই যে ব্যক্তি লেখালেখি করে না তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। যে ব্যক্তি কথার চর্চা কম করে, তার প্রজ্ঞায় ভাটা পড়ে। আর যে ব্যক্তি বই কম পড়ে, জানার ভাব দেখানোর জন্য তার ধূর্ততার প্রয়োজন হয়।
ইতিহাসের পঠন মানুষকে জ্ঞানী করে, কবিতাপাঠ বুদ্ধিদীপ্ত করে, গণিতচর্চা যুক্তিবোধকে শাণিত করে, প্রাকৃতিক দর্শন নৈতিকতার ভিত্তি সুদৃঢ় করে। "
একজন পরিপূর্ণ মানুষকে ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। আর এটি সম্ভব বই পাঠের মাধ্যমে। কোন বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়। এগুলো অর্জন করতে হবে স্বশিক্ষার মাধ্যমে। এর প্রকৃষ্ট স্থান হলো লাইব্রেরি।
প্রমথ চৌধুরী এদেশে স্কুলের সংখ্যার চেয়ে লাইব্রেরির সংখ্যা বেশি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার বইপড়া প্রবন্ধে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে তুমুল ধোলাই করেছেন। প্রবন্ধটি আমাদের নবম-দশম শ্রেণীর সিলেবাসে রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের নীতিনির্ধারকরা এবং শিক্ষার্থীরা নিচের অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর করার জন্য প্রবন্ধটি পড়েন।
আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? অধিকাংশ শিক্ষার্থীর নিকট থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জানা যাবে চাকুরী অর্জন। এই উদ্দেশ্যটিও কিন্তু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পূরণ করছেনা। কেননা, মানসম্মত আমলা তৈরী করতে পারছেনা। তবে উদ্দেশ্য কি? এর একটিই সদুত্তর। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্দেশ্যহীন। তবে একেবারে উদ্দেশ্যহীন বলা যাবেনা। কেননা, এর পেছনে রয়েছে কতিপয় গোষ্ঠীর হীন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ। সেই শক্তিশালী পুজিঁবাদী চক্রের হাত থেকে শিক্ষাব্যবস্থার মুক্তি সহজসাধ্য নয়। তবে আমাদের মুক্তি কোথায়?
আমাদের মুক্তির কান্ডারি হতে হবে আমাদেরকে।
প্রমথ চৌধুরী তার প্রবন্ধে বলেছিলেন,
"যাঁরা হাজারখানা ল-রিপোর্ট কেনেন, তারা একখানা কাব্রগ্রন্থও কিনতে প্রস্তুত নন, কেননা, তাতে ব্যবসার কোনো সুসার নেই।"
'আমরাও বই বলতে একাডেমিক বই এবং চাকুরীর বই বুঝি। অন্যান্য বই পড়লে পরীক্ষায় ভাল করতে পারবনা। বিসিএসেও কাজে লাগবেনা। হুদাই সময় নষ্ট।' এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য এবং বিজ্ঞানের হাজারখানেক বই পড়তে হবে।
প্রমথ চৌধুরী তার বই পড়া প্রবন্ধে বলেছিলেন,
"আমার বিশ্বাস শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না।সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।"
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ষড়যন্ত্রে নিজেদের জীবন উৎসর্গ না করে সুশিক্ষিত হওয়ার দায়িত্বটি নিজের হতে নিন। জ্ঞানের সকল শাখায় অবাধে বিচরণ করুন। সন্তানকে ভাষা শিক্ষা দিয়ে বয়সনুযায়ী পাঠোপযোগী বই হাতে তুলে দিন।
একেকটি বই আমাদের মধ্যে একেকটি চোখ সৃষ্টি করে। যে যত বেশি বই পড়ে তার চোখ সংখ্যা ততবেশি। যারফলে তার বিবেচনাবোধ সূক্ষ্ম হয় এবং সিদ্ধান্ত সঠিক হয়। একটি বিষয়কে ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান এবং ইতিহাসের দৃষ্টিকোন থেকে যাচাই করে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হয়।
সৈয়দ মুজতবা আলী তার 'বইকেনা' প্রবন্ধে আনাতোলা ফ্রাঁসের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, 'আমার মনের চোখ তো মাত্র একটি কিংবা দুটি নয়। মনের চোখ বাড়ানো-কমানো তো সম্পূর্ণ আমার হাতে। নানা জ্ঞানবিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ত করতে থাকি, ততই এক-একটা করে আমার মনের চোখ ফুটতে থাকে।’

বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়। যার সাথে কোনদিন ঝগড়া হয় না, কোনদিন মনমালিন্য হয় না
__প্রতিভা বসু

বাংলাদেশে প্রথম একাডেমিক কেন্দ্রিক অনলাইন বুক ষ্টোর ,যেখানে আপনারা পাবেন স্কুল, কলেজ ইউনিভার্সিটি ও মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানর বই সমূহ । এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন বিনোদনমূলক বই । মন ও মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। সেই সংকল্পেই আমাদের পথ চলা। ঘরে বসেই আপনারা সেরা বই সমূহ কালেক্ট করতে পারবেন। আপনাদের সেবায় আমরা সবসময় নিয়জিত।
আমাদের ওয়েব সাইট লিংক https://booksworld.com.bd/
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Contact the school
Telephone
Website
Address
Ramna