
ঈদ মোবারক 🌙🌙
‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।’
সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা রইলো!
আমাদের পেইজে মিডিয়া ফি ছাড়া টিউশন / টিউটর সেবা দেওয়া হয়।
Operating as usual
ঈদ মোবারক 🌙🌙
‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।’
সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা রইলো!
With Mr. Maruf’s Teaching Zone – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
HSC-2024 পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে
⚠️ #সাবধান! ⚠️
টিউশন পাওয়ার আশায় উক্ত আইডির (Arival Tuition Rangpur) সাথে কোনো প্রকারের লেনদেন করবেন না। অভিযোগ পাওয়া গেছে, অনেকের সাথে প্রতারণা করেছে এই আইডি থেকে। তাকে গ্রুপ থেকে রিমুভ করা হয়েছে এবং রিপোর্ট করা হয়েছে আইডি।
এক বোন অভিযোগ করেছেন, তার কাছে ৫০০টাকা নিয়ে টিউশন না দিয়ে ব্লক করে দিয়েছে এই আইডির ব্যক্তি।
নিচে স্কিনশর্টসহ (কথপোকথন) দেওয়া আছে। নিজে সতর্ক থাকুন এবং অন্যকে সতর্ক করুন।
#সাবধানতা_অবলম্বন_করুন
ধন্যবাদ 💝
#ছাত্রীর #দুষ্টুমি
আমার ছাত্রী ক্লাস থ্রি তে উঠবে,তাই আমাকে একটা উপহার দিয়েছে। 🙂
© সংগৃহিত
অনার্স থার্ড ইয়ারে থাকতে এক স্বনামধন্য প্রফেসর স্যারের ছেলেকে পড়াতাম। নিজের শিক্ষকের ছেলেকে তার বাসায় পড়াতে গিয়ে দেখলাম, আমি পড়ার টেবিলে বসলে আমার স্টুডেন্ট যতটা তাড়াহুড়া করে তার বই খাতা আনতো, তার চেয়ে প্রফেসর স্যার আরো দ্রুত তার ছেলের বই খাতা নিয়ে আসতো আইমিন ছেলেকে হেল্প করতো। ওনার ছেলে পড়া না শিখলে স্যার এসে ক্ষমা চেয়ে নিতো! মারার জন্যে বেত দিয়ে যেতো!
যতটা না ভক্তি আমার ছাত্রের ছিলো আমার প্রতি, তার চেয়েও বেশী ভক্তি এবং শ্রদ্ধা ঐ প্রফেসর স্যার আমাকে করতো। আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে যেতাম। চুপ করে থাকতাম স্যারে কান্ড দেখে, তার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আরোও বেড়ে যেতো।
স্যারকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম স্যার আপনিতো আমাকে নাম ধরেই ডাকতে পারেন, তখন স্যার উত্তর দিলো "বাবা আমি যেভাবে তোমাকে ট্রিট করবো আমার ছেলে তোমাকে ঐভাবেই ট্রিট করবে, আমি তোমাকে সম্মান প্রদর্শন না করলে, সে শিখবে কই থেকে? আমার ছেলে, শিক্ষকের সম্মান বুঝবে কি করে আমি যদি তার শিক্ষককে ঐ সম্মানটা দিতে না পারি!
আমি জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম!!
এখনকার বাবা-মা'রা তার ছেলে-মেয়েদের সামনেই শিক্ষককে প্রশ্ন করে -- কি ব্যাপার কাল আসলা না কেনো? সময় দিয়ে পড়াও না কেনো? শিখায় দাওনা কেনো? তোমার পড়ানো বুঝেনা কেনো? শিক্ষক বেরিয়ে গেলে তার মূজার গন্ধ- মুখের গন্ধ- পোশাক নিয়ে হাসাহাসি হয়!!! আরও অনেক কিছু!
যে শিক্ষক কে অসম্মান করছি তার স্টুডেন্ট এর সামনে, সেই শিক্ষক যদি তাকে পড়াশোনা গলাধঃকরণ করেও দেয়! দিন শেষে এই শিক্ষা আপনার ছেলে-মেয়ের কাজে আসবেনা! লিখে রাখেন! কারন স্ব-সম্মানিত মানুষ যা বুঝাবে আপনার ছেলে-মেয়ে তার কিয়দাংশ হলেও গ্রহন করতে পারবে! আর অসম্মানিত মানুষ আপনার বাচ্চাকে যাই পড়াক না কেনো ঐ পড়া কিন্তু তার মাথায় সহজে ঢুকবেনা!!! কারন সন্তানের কাছে ঐ শিক্ষকের ভ্যালু আপনি নিজেই কমিয়ে দিয়েছেন !!!
©Ab Sourav
সিজিপিএ, প্রেম, টিউশন ৩টা একসাথে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আপনি কয়টা পেয়েছেন?
সবার ছুটি হয়ে যায়; কিন্তু কিছু মানুষের ছুটি নির্ভর করে মাস পূরণের ওপর, বেতন বিলম্বের ওপর।
#টিউশনির_গল্প
© Omor Faruk Rocky
⚠️সাবধান!⚠️
টিউশন পাওয়ার আশায় রেজিষ্ট্রেশনের নামে অপরিচিত কারো সাথে কোনরূপ লেনদেন থেকে বিরত থাকুন।
#টিউশনির_গল্প (পর্ব-০২)
২০০৮ সাল। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণীতে উঠলাম। কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছেলেদের মধ্যে রোল নম্বর ৯ থেকে ৩ হলো। ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে নতুন পরিচয় পেলাম।সপ্তম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন এক বন্ধুর কাছে বললাম, ইশ্, যদি দু'একটা টিউশনি পেতাম তাহলে অল্প টাকা দিয়েই পড়াতাম। বাবা কৃষি কাজ করতেন, তাই টিউশনির চিন্তা মাথায় এলো। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে আমার চাচি খবর দিলেন এবং চাচাতো ভাই আরমান হোসেনকে (প্রথম শ্রেণি) প্রাইভেট পড়াতে বললেন। মনেমনে খুব খুশি হলাম এবং ৬ তারিখে টিউশনি শুরু করলাম। বেতন ১৫০ টাকা। পরের দিন তার সাথে আরেকটা স্টুডেন্ট পেলাম,বেতন ১৫০ টাকা। তাছাড়া ১৩ ও ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি( দ্বিতীয় ও শিশু শ্রেণির) স্টুডেন্ট পেলাম।একজনের বেতন ১০০ টাকা এবং আরেকজনের বেতন ১৫০ টাকা। শিক্ষার্থীর নাম, তারিখ এবং টাকার অ্যামাউন্ট ডাইরিতে লিখে রাখতাম প্রথম প্রথম, আর কয়েক মাস পরপর কত টাকা ইনকাম করেছি তা হিসাব করতাম। ২০১২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত টিউশনি করে ৫১+ হাজার টাকা পেয়েছি। পরে আর হিসাব রাখিনি। এভাবেই শুরু হলো টিউশনি,জার্নি আজও চলছে, আলহামদুলিল্লাহ।
তবে টিউশনি করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। বহুমুখী অভিজ্ঞতা। মাঝেমধ্যে প্রব্লেমেও পড়েছি। একই শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং একই বাড়িতে চারজন ছিল। আমি দু'জনকে পড়াতাম। অন্য দু'জনকে পড়াতো ডিগ্রির ছাত্র। ডিগ্রির ছাত্র তাঁর দু'জন শিক্ষার্থীকে বলত, রাসেল সেভেনে পড়ে, আমিই তো তাকে পড়াতে পারি।পরে ঐ দু'জন শিক্ষার্থী আমার দু'জন শিক্ষার্থীর কাছে বলত এবং তা আমার কানে আসতো। খুব খারাপ লাগতো। তিনি টিউশনি জগতে টিকে থাকতে পারেননি,এখন হেঁটে হেঁটে মোবাইল সিম বিক্রি করে।আমি টিকে আছি।
একদিন তো দু'জন শিক্ষার্থীর সাথে বিকেলে ক্রিকেট খেলার সময় একটা স্মরণীয় ঘটনা ঘটে গেল। আমার ব্যাটিং শেষে বললাম, চল্ ,এখন পড়ার টাইম, তোরা পরে ব্যাটিং করিছ। একজন শিক্ষার্থী আমার লুঙ্গি টেনে ধরল এবং বলল, বলিং করে যেতে হবে এবং খেলা দিয়ে যেতে হবে । আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে খেলাধুলা ছেড়ে দিয়েছি।
টিউশনির টাকা পেয়ে কান্নাকাটি পর্যন্ত করেছি। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীর মা অসচেতন হওয়ায় নিজের অনিচ্ছায় এবং শিক্ষার্থীর বাবার ( ভালো টাকার মালিক) রিকুয়েস্টে দু'জন শিক্ষার্থী পড়ালাম। ঈদের আগে টিউশনির সব টাকা অন্য কাজে খরচ করেছি এবং এই দুই জনের টাকা দিয়ে নিজের ঈদের জামাকাপড় কিনার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু হায়! ঈদের আগে টাকা দিল না, সম্ভবত ঈদের দিন টাকা দিল। ২০০ টাকা দিল। একজন শিক্ষার্থী শিশু শ্রেণির, তাই তার টাকা দেয়নি। নতুন জামা কিনতে না পারায় ঈদের নামাজ পড়িনি, ঘরে শুয়ে কান্নাকাটি করেছি।তখন তো ঈদের জামাকাপড়ের মাঝেই ঈদ সীমাবদ্ধ থাকতো।আস্তে-ধীরে টিউশনি বাড়তে লাগলো। বাবা এবং চাচার (জসিম উদ্দীন) সহযোগিতার পাশাপাশি টিউশনির টাকা দিয়ে নিজের চাহিদা মেটাতে শুরু করলাম। ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন সময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এসে আমাকে বললেন, ভাতিজা, আমার মেয়েটাকে পড়াও, মাস শেষে খুশি করে দিব।মেম্বারের মেয়ে পড়াব, আমি তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। উনার শিশু শ্রেণির মেয়েকে দেড় মাস পড়ানোর পর টাকা না পেয়ে চেয়ে বসলাম এবং মেম্বার সাহেবের স্ত্রী আরেকজনের মাধ্যমে ১৫০ টাকা দিল।আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল।অন্যদের বেতন ৪০০ টাকা, যেহেতু মেম্বার তাই ৫০০ টাকা আশা করেছিলাম। আমি ফিতরার টাকা নেই না, এরকম কথা বলে টাকা ফিরিয়ে দিলে মেম্বারের স্ত্রী এসে বলে, বাবা, তুই আই দেহি যা, হিতরার টেঁয়া আলাদা রাখছি। যাহোক, কিছুদিন পর ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে আবার টাকা পাঠালো এবং অভাবের তাড়নায় আমিও নিলাম। তবে গ্রামে যারা দিন আনে দিন খায় তারাই কষ্ট করে টিউশনির টাকা দেয়, স্যালুট জানাই। আর যারা তুলনামূলক স্বচ্ছল তারা অভাব দেখায় এবং বেতন কম দিতে চায়। ঘরে সবকিছু দামী, বিলাসবহুল জীবনযাপন অথচ শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো বাজেট নেই। দুঃখজনক!!
টিউশনির একটা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আছে। যাদেরকে সর্বাত্মক দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিংবা বেতন সেক্রিফাইস করেছি তারা আমাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি। একজনের কাছে কম টাকা রাখলে সে অন্যের কাছে বলে দিত এবং আমি ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। মূলত ফ্রি কিংবা কম বেতনে টিউশনি করালে দাম থাকে না। তাছাড়া অনেকে স্কুলে থাকতে কিংবা প্রাইভেট পড়াকালীন 'স্যার’ বলে সম্বোধন করত এবং ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার পর আমাকে এখন 'ভাই’ বলে। 'স্যার’ ডাকলে তারা লজ্জিত হয়। তবে এরা নিজ বাবার থেকে উন্নত পর্যায়ে গেলে বাবাকেও কদর করবে না, আমার তাই মনে হয়। তাছাড়া সেদিন এক শিক্ষক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন, যে ছাত্র শিক্ষকদের পরিচয় অস্বীকার করে সে একদিন পিতৃ পরিচয়ও অস্বীকার করবে (আলামিন সবুজ স্যার থেকে শুনেছি)। তবে এখন শিক্ষার্থীদের সাথে সুষম পরিমাণে মিশি।অতিরিক্ত কোনো কিছুই তো ভালো না। যে যাই বলুক, সবসময় তাই বলুক। 'ভাই’ বললে আপত্তি নেই, যদি তা প্রথম থেকে বলে।
টিউশনির সুবাদে সম্মান পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। অনার্স সেকেন্ড / থার্ড ইয়ারে থাকাকালীন সময়ে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ এবং গাজিপুর ফাজিল মাদ্রাসায় ফিজিক্সের গেস্ট টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছি।
তাছাড়া রায়পুর কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতার অফার পেয়েছি, ভাইভা ফেস করে যাব বলে আর যাইনি।অশেষ কৃতজ্ঞতা অধ্যাপক কে এম মেছবাহ উদ্দিন স্যারের প্রতি, তাঁর কাছে চিরদিন ঋণী হয়ে থাকব । আরও বিভিন্ন জায়গায় অফার পেয়েছি, যা আমার জন্য পরম প্রাপ্তি। তবে উপজেলার একটা কোচিং সেন্টারে জয়েন করে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছি, যা আমার আজীবন মনে থাকবে। তাছাড়া ছাত্রাবস্থায় টিউশনির পাশাপাশি আমার তিনটি বই ( তুমি অপরা, প্রেমবিদ্যা এবং চমৎকার পদার্থবিজ্ঞান) প্রকাশ হয়েছে।ত্রিশের মতো গান লিখলেও দুটি গান( আমার একটা তুমি ছিলো
-- এস ডি রুবেল ,একটা চাকরি চাই- সাগর তালুকদার ) রিলিজ হয়েছে এবং প্রথম গানটি প্রসংশিত হয়েছে। জীবনে আদর্শ শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি অন্তত দশটি জনপ্রিয় গানের গীতিকার হতে চাই।
ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার হলো আমি সবসময় টিউশনির নাস্তা খুব উপভোগ করি। একদিন এক বাসায় নাস্তা দেওয়ার পর বললাম, আমি এগুলো পছন্দ করি না। তারপর বলতে গেলে নাস্তা দেওয়ায়ই বন্ধ হয়ে গেল। এখন আর লজ্জা পাই না, যখন যা দেয় তাই খাই। খাবার রেডির সাউন্ড পেলে একটু বেশি পড়াই কিন্তু তখনও খাবার না পেলে বিরক্তবোধ করি। আর মাস শেষে আকারে ইঙ্গিতে বেতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিই। তবে একটা কথা বলতে পারি যে, বেতনের জন্য অন্তত কোনো গরীব শিক্ষার্থীর প্রাইভেট পড়া মিস হয় না।
মাঝেমধ্যে আমি অনুতপ্ত হই এই জন্য যে, গ্রামে পরিশ্রমী শিক্ষার্থী কম পাই। অধিকাংশ স্কুল শিক্ষার্থী স্বপ্ন দেখে ফাইনাল পরীক্ষার হলে কে যাবে এবং আগে থেকেই তাঁর পূজা করে। ভালো শিক্ষকদের মাঝেও গ্রামে এমন কিছু শিক্ষক থাকে যারা অসদুপায় অবলম্বন করে পাস করার স্বপ্ন দেখায় এবং শিক্ষার্থীদেরকে জিম্মি করে নিজের কাছে প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করে। তাছাড়া স্কুল পরীক্ষার পূর্বে শর্ট সাজেশন দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা সংকুচিত করে। তবে এসব শিক্ষার্থীরা ফিউচারে কর্মজীবনে গিয়ে হতাশা সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ঐ শিক্ষকদের অসম্মান করলে তার জন্য তো শিক্ষকরাই দায়ী। আর আমার কাছে পড়ার কারণে যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে প্রেসারে ছিলো, আমি তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা(স্কুল - কলেজ) মেইন ওয়ার্ক নিয়ে কাজ করে কম। এটা হবে, সেটা হবে, ওটা হবে এবং আরো কতো কিছু যে হবে - কিন্তু পড়াশোনা নেই। গ্রামে তারা অমুক-তমুকের পিছনে ঘুরে ক্যারিয়ার জলাঞ্জলি দিচ্ছে। নেতার(অশিক্ষিত) পিছনে ঘুরে অনেক স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী বেয়াদব হয়ে যাচ্ছে, যা নেতাও জানে না। তাছাড়া আড্ডা বেড়ে যাচ্ছে এবং আড্ডায় পড়াশোনা ছাড়া সবকিছু (জিএফ-বিএফ ইত্যাদি) নিয়ে কথা হয়। কে কত দামের মোবাইল কিনবে, কে কার আগে মোটরসাইকেল কিনবে, কে কোন ভাইয়ের পিছনে ঘুরে এবং কে কোন দেশে কী করে- তাই হচ্ছে আড্ডার মূল আলোচনা। এমনকি আমার টিউশনির শিক্ষার্থীরাও এসব অকাজে আকৃষ্ট হয়, কিন্তু এখন আমি আর জোরেশোরে বাধা দেই না। তবে চাই শিক্ষার্থীরা যেন যথাসময়ে মেইন ওয়ার্ক করে এবং ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা/আলোচনা করে।
যাইহোক, কথা বাড়াতে চাই না। আমি ফিজিক্সে মাস্টার্স করেছি, ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ । এখন বন্ধুবান্ধবে অতিরিক্ত বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি, বন্ধুর অপর নাম বন্ধুক এবং মাঝেমধ্যে বলি-
এই জগতে কেউ কারো নয়, যা দেখি— তা শুধু অভিনয়।
হ্যাঁ, এটিই সত্যি। তাই টাইম পাস করি শিক্ষার্থীদের সাথে। টিউশনি নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি। রাতে প্রস্তুতি নিই এবং নিজের স্টাডি ঠিক রাখি। নিজেকে কাজে নিমজ্জিত করি। যার কাজ নেই, তার লাজ নেই। কাজ না থাকলে কাজ সৃষ্টি করার চেষ্টা করি। মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকলে অন্যের সমালোচনা করার টাইম পায় না, বরং সমালোচিত হয়।তবে একটা কথা বলতে পারি যে, টিউশনি আমার চলার পথের চালিকাশক্তি। আমি যখন টিউশনি করি, অন্য বন্ধুরা তখন অ্যাকাডেমিক বই কিংবা চাকরির বই পড়ে। আর এসব নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকলে আমাকে পড়াশোনাই ছাড়তে হবে। তাই দুটোই চালিয়ে নিচ্ছি।আল্লাহ ভরসা।
লজ্জার কথা হলো যে,টিউশনি করতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার যাঁতাকলে পিষ্ট হিয়েছি। রুপসা( ফরিদগঞ্জ) কেন্দ্রের নকল নিয়ে পত্রিকায় নিউজ হয়েছে, এই নিউজের পিছনে রাসেল ইব্রাহীম জড়িত, এরকম ভাবনা থেকে স্থানীয় প্রধান শিক্ষক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষক(অসাধু) আমার কাছে প্রাইভেট পড়তে নিষেধ করেছে। আমি যাদেরকে পড়াতাম, তাদেরকে কল দিত এবং পথেঘাটে রিকুয়েস্ট করত, যেন আমার কাছে না পড়ে তাদের/ স্কুল শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে। ঐ শিক্ষকরা দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা পড়াক, নকল সরবরাহ করতে না পারলে শিক্ষার্থীরা কাঁদবে। আমি এখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পড়াই, ফার্স্ট ক্লাসের শিক্ষার্থী পড়াই। তাদের নিষেধাজ্ঞায় আমার ইনকাম কমেনি বরং অভিজ্ঞতা বেড়েছে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আর নকল বন্ধ করার পিছনে আমি জড়িত, এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে পুরস্কৃত করব এবং যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।
একটা কথা বলতে ভুলেই গেলাম। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখেই টিউশনি লাইফের ১৫ বছর পূর্ণ হয় এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ষোলো তম বছরে পদার্পণ । সব শিক্ষার্থীর প্রতি ভালোবাসা, কারো প্রতি দুঃখ/ বদদোয়া নেই। অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সময়ের স্বল্পতা এবং নিজের অজ্ঞতার কারণে লেখাটা তত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি, সরি। শিক্ষক হতে চাই,গীতিকার হতে চাই, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখি এবং শিক্ষকতাই প্রফেশন হিসেবে আমার ফার্স্ট চয়েস। যে স্বপ্ন আমি হৃদয়ে ধারণ করি তা হলো—পড়তে চাই, পড়তে চাই, পড়তে চাই এবং পড়াতে চাই।
--------------------------------------------------------------------------------------
রাসেল ইব্রাহিম
ফরিদগঞ্জ উপজেলা,চাঁদপুর।
#টিউশনির_গল্প (পর্ব-০১)
‘আজ সকালে ছাত্রীকে পড়াতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি উনি রেডি হয়ে বসে আছেন। আমি বললাম কী ব্যাপার পড়বা না আজ? কোথাও যাবে না-কি? ম্যাডাম বললেন, জি স্যার; ক’দিন পরে তো ঈদ। আমার তো কিছুই কেনা হয়নি। আমি বললাম পড়ে যাও। তা উনি না-কি আজ পড়বেন না। আমার খুব রাগ হলো। রোজার মাসে ৫ কি:মি সাইকেল চালিয়ে আসলাম। আমি তাকে বললাম, একবার ফোন দিলে আসতাম না। ও কিছু না বলে হাসতে শুরু করলো। বলে রাখি- ওর সাথে আমার অনেক ভাল সম্পর্ক। ওর হাসি দেখে আমার খুব রাগ হলো। একটু বকাও দিলাম। বকা দিতেই আঙ্কেল চলে আসল; উনিও মজা নিচ্ছেন। বললেন- কি বাবা ও আজও পড়া পরেনি? বলেই কি অট্ট হাসি বাবা-মেয়ের। আন্টিও চলে আসলেন; তিনিও হাসা শুরু করলেন। মনে মনে ভাবলাম আমি হয়তো পাগলাগারদে আছি। যত সব পাগল। আন্টি বললেন- বাবা সাইকেলটা গ্যারেজে উঠিয়ে দাও।
এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। কেন আন্টি? উত্তর আমার পন্ডিত ছাত্রী দিল। আপনিও যাচ্ছেন আমাদের সাথে। আন্টি বললেন- আমাদের একটা ছেলে আছে ওর জন্য কিছু কিনব। আমরা তো আর তেমন বুঝব না। তুমি একটু চলো। কী আর করা; চললাম। আন্টি আঙ্কেল আর পন্ডিত পিছনে বসল। আমি সামনে ড্রাইভারের পাশে। রাগ হচ্ছিল খুব। ফালতু সময় নষ্ট। কিন্তু কিছু করারও নেই। উনাদের টাকায় আমার সংসার চলে। বলে রাখি আমি সংসারে একা। যশোর এর বড় শপিং কমপ্লেক্স সিটিতে নিয়ে গেলেন। উনাদের জন্য অনেক কিছুই কিনলেন। বড় লোকের এলাহি কারবার।
সব শেষে উনার ছেলের জন্য কেনার পালা। অনেক ঘুরে দুইটা শার্ট আর একটা প্যান্ট পছন্দ করলাম। শার্ট শেষ পর্যন্ত একটা সিলেক্ট করলাম। আর একটা প্যান্ট। শেষে জুতা কেনার পালা। বললো জুতা কোথা থেকে নেওয়া যায়? বললাল আ্যাপেক্সে চলুন। ওখানে অনেকবার গিয়েছি। জুতা পছন্দও করা ছিলো। টিউশনে টাকা পেলে ওটা নিতে চেয়েছিলাম। কি আর করা ওটাই নিলাম ওই ছেলের জন্য। উনারাও অবাক, গিয়েই কোনার ওই জুতাটা কেন নিলাম? আমি বললাম আগেও এসে দেখেছি জুতাটা। বলেও ফেললাম ওটা আমিও নিব। উনারা খুশি হয়ে ওই জুতাটাই উনার ছেলের জন্য নিলেন। অবশেষে ফিরে এলাম ছাত্রীর বাসায়।
ওনার ছেলের অনেক ছবি দেখেছি। তবে সব ছোট বেলার ছবি। আবার আমাকে ৫ কিলোমিটার সাইকেল চালাতে হবে। খুব কষ্ট হচ্ছিল। সাইকেল নিতে যাব; এমন সময় ছাত্রী পিছনে এসে দাঁড়াল। বললো আপনাকে ডাকে আম্মু। অগত্যা যেতে হলো। গিয়ে দেখি আন্টি কান্নাকাটি করতেছে। আমারও মন খারাপ হয়ে গেল।
আন্টি বললো- বাবারে আজ আমার ছেলে থাকলে তোমার মতো বড় হত। এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। ওই দিন জানতে পারলাম উনার ছেলে ১২বছর বয়সে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এবার আন্টি তিনটা প্যাকেট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আরও জোরে কাঁদতে লাগল। এটা তোর জন্য কিনেছি। তুই তো আমার ছেলের মতো। তোর মাঝে আমি রাজুকে খুঁজে পায়। বলে আবার কাঁদতে লাগল। আমি নির্বাক। আসার আগে হাতে বেতনের খামটা ধরিয়ে দিল।
আমি রাস্তাতে চলে আসলাম। আর ভাবতে লাগলাম শুধু শুধু নিজেকে ছোট ভাবি। ৫ কিলোমিটার যে কখন চলে আসলাম। রুমে এসে খামটা খুলে টাকাটা বের করে আগে গুনলাম। এমনি আমার বেতন দেয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এবার একটু বেশি দিয়েছে বোনাসসহ ১০হাজার টাকা। আমি নিজে খুব খুশি হলাম। কিন্তু মনটা পড়ে রইলো আন্টির কাছে। কত বিচিত্র এই পৃথিবী। কত বড় লোক কিন্তু কত কষ্ট তাদের! আমার হয়তো কিছু নেই; কিন্তু আমার জগতে আমিই সবচেয়ে সুখী মানুষ।
---------------------------------------------------------------------------------------------
মো. আল-আমিন রাব্বী
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ (দ্বিতীয় বর্ষ)
যশোর এম এম সরকারি কলেজে
#সম্ভব_হলে_একটু_পড়ুন
নতুন টিউশনি শুরু করছেন বা করবেন তাদের জন্য কিছু কথা।
সম্পর্ক : অভিভাবকদের সাথে খুব বেশি আন্তরিক হতে যাবেন না। অনেকে তাদের সংসারের আলাপ আলোচনা শুরু করে দেয় টিচার এর সাথে৷ আপনি এই ধরনের অবস্থায় পড়ে গেলে শুধু তারা কি বলে এগুলো শুনবেন৷ আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করবেন না তারপর কি হলো বা এখন কেমন যাচ্ছে । মনে রাখবেন আপনার সাথে যতই ভালো ব্যবহার দেখাক না কেনো তাদের প্রয়োজন শেষ হলে বা আপনি টিউশন ছেড়ে দিলে কখনোই আপনার সাথে তারা যোগাযোগ রাখবে না। এমনকি স্টুডেন্ট এর সাথেও যদি রাস্তায় বা কোথাও দেখা হয় তবুও তারা আপনার সাথে কথা বলবে না। দেখেও না দেখান ভান করে চলে যাবে। ( এরকম অনেক হয়েছে আমার সাথে)
স্টুডেন্ট এর সাথে খুব বেশি ফ্রী হওয়া যাবে না। আবার খুব কঠোর হওয়াও যাবে না। বেশি ফ্রী হয়ে গেলে তখন দেখবেন উল্টো আপনার সাথে বেয়াদবি করে বসবে৷ বাসার কাজে ফাঁকি দিবে৷ আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।
পড়াশোনা : কতক্ষণ করে পড়াবেন এটা শুরুতেই ঠিক করে নিবেন৷ তবে ১ ঘন্টা বা ১ ঘন্টা ১০/১৫ মিনিট এর বেশি সময় পড়াবেন না৷ তাহলে তারা আপনাকে সস্তা মনে করবে৷ ভাববে আপনার হয়ত অনেক সময় আছে। টিউশন ও দরকার৷ আপনি বুঝি অভাবে আছেন৷ ( যদিও সবাই অভাব এর জন্যই টিউশনি করায়) । স্টুডেন্ট কে যে টপিক টা পড়াবেন ওইটা অবশ্যই আগে থেকে ভালো করে জেনে যাবেন। এক্ষেত্রে ইউটিউব, নোট,গাইট যেভাবেই হোক আপনাকে ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। ১ম দিন আপনি যে টপিক টা ভালো বোঝাতে পারবেন ওটা দিয়েউ শুরু করুন। টপিক বোঝানোর জন্য যে ধরনের উদাহরণ দেওয়া যাও ওগুলো দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন। নিজে থেকে খুব বেশি গল্প করতে যাবেন না৷ অনেক অভিভাবক লক্ষ্য করেন এই বিষয় টা।
স্টুডেন্ট কে নতুন পড়ানো শুরু করছেন। প্রথম দিকেই অভিভাবক কে বলতে যাবেন না যে আপনার বাচ্চা তো ভালোই পারে,মেধা আছে,বোঝে ভালো এই টাইপ অর্থাৎ তাদের মন রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত প্রশংসা করবেন না স্টুডেন্ট এর। এক্ষেত্রে এটা বলুন আপনার বাচ্চা র অনেক সমস্যা আছে,একটু কম বুঝে,বা অনেক কিছুই গ্যাপ আছে৷ এই টাইপ। মনে রাখবেন স্টুডেন্ট এর সমস্যা জন্য ই আপনাকে বাসায় রেখেছে টাকা দিয়ে।
স্টুডেন্ট পড়া দিতে না পারলে বা বাসার কাজ ঠিকমত না করলে তার অভিভাবক কে জানিয়ে রাখবেন৷ এতে আপনি আপনার জায়গা থেকে ঠিক থাকলেন।
মাঝে মাঝে অভিভাবক দের সাথে কথা বলুন পড়াশোনা বিষয়ে। পরীক্ষা নিবেন৷ প্রশ্ন টা হাতে লিখে পরীক্ষা নিবেন৷ এতে স্টুডেন্ট ও অভিভাবক দুজনেই ভাববে আপনি চেষ্টা করতেছেন স্টুডেন্ট এর ভালো রেজাল্ট এর জন্য৷
বেতন: পড়ানো শুরু করার আগেই কয়দিন পড়াবেন, কোন কোন বিষয় পড়াবেন কতটুকু সময় দিতে পারবেন এবং কত টাকা বেতন নিবেন এগুলো খোলামেলা কথা বলে নিবেন৷ লজ্জা করবেন তো তারাও সুযোগ নিবে। ৫০০০ হাজার টাকায় আপনাকে মাস শেষে ৩ ০০০ হাজার ধরিয়ে দিবে।
অনেক সময় দেখবেন তারা এমনি এমনি বলবে আপনার হাতে আরো সময় হবে কি না। স্টুডেন্ট পড়ানোর জন্য৷ যদি আপনার সময় থাকে তাহলে বলেবেন একটা সময় বের করে নেওয়া যাবে৷ ২য় বার বা ২য় দিন এই বিষয়ে নিজে থেকে কথা বলতে যাবেন না৷ আপনার টিউশন না থাকলেও না বা হাতে প্রচুর সময় থাকলেও না। যেমন গত দিন যে একটা টিউশন এর কথা বললেন ওটার আপডেট কি। এই টাইপ কথা বলবেন না। মোটকথা নিজে থেকে ২য় বার ওটার বিষয়ে কথা তুলবেন না। যদি তুলেন তাহলে তারা ধরে নিবে আপনার হাতে সময় আছে,আপনার টিউশন দরকার৷ তখন আপনাকে দিয়ে বেশি বেশি পড়িয়ে নিবে৷ আপনাকে ব্যবহার করবে। মাস শেষ হওয়ার ১ ম সপ্তাহে যদি বেতন না দিয়ে দেখা গেলো ১২ দিন বা ১৫ দিন পরে দিলো তাহলে প্রথম দিকেই বলে দিবেন যে বেতন টা যেন ১ম সপ্তাহেই দেয়। কারন আপনি তো অগ্রীম টাকা নিচ্ছেন না। এটা আপনার পাওনা টাকা চাইতে লজ্জা কিসের। অনেকে টানা দুই মাস বা তিন মাস বেতন বাকি রাখে। ভুল করেও এটা করবেন না। তারা ঠিকি সংসারের অন্যান্য খরচ করে। শুধু আপনার বেলাতেই তাহলে কেন এতো সমস্যা৷ এক মাসের বেতন বাকি রাখলে চেয়ে নিবেন৷ চাইতে লজ্জা পাবেন তো মারা খাবেন। আর যদি ৩ মাস বা ৪ মাসে র টাকা বাকি রাখে তাহলে ফোনে কথা বলবেন এবং রেকর্ড করে রাখবেন৷ দরকার হলে থানায় মামলা করবেন৷ কারন এটা আপনার পাওনা টাকা।
পোশাক : আপনি টিউটর মানে আপনি একজন শিক্ষক এক্ষেত্রে শিক্ষক এর যেরকম পোশাক হওয়া উচিত ওই ধরনের পোশাক পড়বেন৷ গোল গলা বা ভি গলা এই টাইপ টিশার্ট পড়ে না যাওয়াই উত্তম। সবসময় শার্ট, পাঞ্জাবি, কলার আছে এরকম টি শার্ট পড়ে যাবেন৷ এসব ক্ষেত্রে একটু বিনিয়োগ করতে হয়৷ মানে আপনি ভালো মানের দুইটা শার্ট বা পাঞ্জাবি কিনে নিবেন। মানে খরচ করবেন একটু। স্টুডেন্ট বা অভিভাবক যেটা বেশি খেয়াল করে সেটা হলো পায়ের স্যান্ডেল। দরজা খেলার সময় তারা আগে আপনার পায়ের দিকেই লক্ষ্য করবে৷ এক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন ভালো মানের স্যান্ডেল বা জুতা পড়ে যাওয়ার। মোটকথা আপনি অভাবে পড়ে স্টুডেন্ট পড়াতে গেছেন এটা বুঝতে দিবেন না। স্টুডেন্ট বা অভিভাবক দরজা খুলে দিলে আপনি সেটা লাগাতে যাবেন না। আপনি সরাসরি পড়ার টেবিল এর কাছে চলে যান। পড়ানো শেষে আপনি দরজা খুলবেন না স্টুডেন্ট কে বলবেন খুলে দিতে। অনেক সময় নিজেকেই দরজা খুলতে হয়৷ এক্ষেত্রে দরজা খুলে আপনি সরাসরি চলে যাবেন দরজা বন্ধ করতে যাবেন না।
নাস্তা : স্টুডেন্ট এর বাসায় নাস্তা দিলে খাবেন৷ তবে সব খাবার খাবেন না৷ কিছু রেখে দিবেন মানে যেগুলো রাখা যায়। আর যে বাসায় নাস্তা দেয় না মানে কখনোই না সে বাসায় ভুল করেও এক গ্লাস পানিও চাইবেন না। পানি পিপাসা অনেক বেশি হলেও না৷ স্টুডেন্ট কে পড়ানো শেষ করছেন বাসার কাজ দিচ্ছেন দেখবেন এমন সময় আপনাকে নাস্তা দিলো। আপনি সরাসরি চলে আসবেন৷ বলবেন আমার হাতে তেমন সময় নেই অন্য দিন খাবো। এরকম করলে দেখবেন পরের দিন থেকে আগেই নাস্তা নিয়ে আসবে। আসলে তারা এমনটা করে যাতে আপনি আরো কিচ্ছুক্ষণ পড়াতে পারেন নাস্তা খেতে খেতে। মাঝে মাঝে খাবেন না৷ বলবেন পেট ভরা আছে আজ খাবো না। তবে এটা মাথায় রাখবেন আপনার সাথে পড়ানোর চুক্তি হয়েছে নাস্তা খাওয়ানোর না। এজন্য এটা চাইবেন না যে নাস্তা দেয় না কেন৷ আসলে সব পরিবারের একই রকম সামর্থ্য থাকে না।
পরিপাটি : সবসময় পরিপাটি হয়ে যাবেন৷ যেমন পড়াতে যাওয়ার আগে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে নিন৷ যেহেতু স্টুডেন্ট টিচার কাছাকাছি বসে। এজন্য আপনার মুখ থেকে যেন গন্ধ না আসে এটা খেয়াল রাখবেন। শরীর ঘেমে গেলে পকেট টিস্যু ব্যবহার করবেন রুমাল না। আর হালাকা পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
মিস হয়ে গেলে : কোন কারনে দেখ গেলো পড়াতে যেতে পাড়লেন না। আপনার পরীক্ষা, বা বাসায় কেউ অসুস্থ বা আপনি নিজেই অসুস্থ তাহলে ফোন করে বলে দিবেন যে কাজ পড় গেছে বা অসুস্থ বা পরীক্ষা আজ যেতে পারবেন না। নিজে থেকে বলতে যাবেন না যে এই গ্যাপ টা অন্য দিন পড়িয়ে দিবো৷ তবে মাসে ৩,৪ দিন গ্যাপ পরে গেলে অন্য দিনে পড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। খুব বেশি তারা থাকলে ১ ঘন্টার জায়গায় ৩০/৪০ মিনিট পড়িয়ে ছুটি দিয়ে দিন।
আর হ্যাঁ মেয়ে স্টুডেন্ট হলে বা মহিলা অভিভাবক এর সাথে কথা বলার সময় তাদের দিকে খারাপ চোখে তাকাবেন না৷ আর এটাও ভাববেন না স্টুডেন্ট এর সাথে বা স্টুডেন্ট এর মায়ের সাথে বা বোনের সাথে আপনার প্রেম ভালোবাসা হবে। এই ধরনের চিন্তা মাথায় রাখবেন না৷
সর্বপরি অন্যের বাচ্চার ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার এর বারোটা বাজিয়ে দিবেন না।
ধন্যবাদ......
© Collected
⚠️ #সাবধান ⚠️
এই আইডি বা পেইজ থেকে অনেকের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। তাই টিউশন পাওয়ার আশায় কারো সাথে আগাম লেনদেন করবেন না। একে আমাদের Rangpur Best Tuition Media(RBTM) গ্রুপ থেকে Ban করা হয়েছে এবং আপনিও সাবধান থাকুন।
#সতর্কতা_অবলম্বন_করুন
অনেকে অভিযোগ করেছেন ( Rangpur Best Tuition Media) এই গ্রুপের কিছু ব্যক্তি প্রতারণা করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। তারা আসলে আপনার মতোই গ্রুপ মেম্বার। আপনারা দয়া করে তাদের সাথে কথোপকথনের স্কিনশর্ট গ্রুপে শেয়ার করুন। আমরা ব্যবস্থা নেব।
অন্যথায় আপনার কাছে কেউ টাকা চাইলে বা লেনদেন করলে আমরা দায়ী থাকবো না।
Rangpur Best Tuition Media(RBTM)
#পড়ানো_হয়
পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন
ভালো পড়ানোর নিশ্চয়তায়...⭐
৩ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
As a Chemistry & Physics Teacher (Former) at অগ্রগতি - Agragatee Academic & Nursing Coaching
As a Chemistry & Physics Tutor
(Mohammad Maruf Hasan)
Department of Physics
Begum Rokeya University, Rangpur.
Contact: 01723-158701
🚫 সাবধান! সাবধান! সাবধান! 🚫
টিউশন পাওয়ার আশায় রেজিষ্ট্রেশনের নামে কেউকে আগে টাকা পেমেন্ট করে প্রতারিত হবেন না। একটু দেখে শুনে কাজ করবেন।
⚠️ গ্রুপের অনেকের সাথে টিউশন দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কেউকে সন্দেহজনক মনে হলে লেনদেন থেকে বিরত থাকুন এবং কথপোকথন বা টেক্সট পাবলিকলি শেয়ার করুন যাতে অন্যরাও সচেতন হতে পারেন।
📛 তাছাড়া আমাদের গ্রুপের সাথে তথাকথিত টিউশন দাতাদের কোন সম্পর্ক নেই। তারাও গ্রুপের সাধারণ সদস্য।
© Rangpur Best Tuition Media(RBTM)
⚠️সাবধান⚠️
বেরোবি’র ১৫ তম ব্যাচ ক্যাম্পাসে আসার পর থেকেই কিছু প্রতারক চক্র টিউশন দেয়ার নাম করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
শুধুমাত্র নতুনরাই না, পুরাতন শিক্ষার্থীরাও এই প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তাই সবাই এবিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
যেহেতু সবাই এই পেইজে কানেক্টেড নাই তাই আপনি বা আপনারা যারা দেখবেন পোস্ট টা, তারা স্ক্রিনশট নিয়ে আপনার ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে দিয়ে দিবেন, এতে করে সবাই এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচবে।
★কেউ টিউশনির জন্য অগ্রিম টাকা পাঠাবেন না অনলাইনে....
ধন্যবাদ।
© Collected
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
ছেলেটা আজ এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে স্কুলে গেছে। রেজাল্টে সে A+ পেয়েছে। সে প্রচুর খুশি।ফেরার পথে রিক্সায় উঠে রিক্সাওয়ালাকে বললো,,, "আজ আমার লাইফের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন টা পূরণ হলো! আমি A+ পেলাম।দেখা যাক ভবিষ্যত আমায় কোন জায়গায় নিয়ে যায়!"
পেছন ফিরে রিক্সা ওয়ালা বললো"Congratulations
আমি রফীক আলী। Golden A+ ২০১৪ batch!
©Copy
⚠️সাবধান!⚠️
টিউশন পাওয়ার আশায় রেজিষ্ট্রেশনের নামে কেউকে আগে টাকা পেমেন্ট করে প্রতারিত হবেন না। একটু দেখে শুনে কাজ করবেন।
© Rangpur Best Tuition Media
⚠️সতর্কতা⚠️
টিউশনি/কোচিং-এ কাঁচা টাকার লোভে পড়ে ক্যারিয়ারে time-দিচ্ছেন না,তাদের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ!
অতীতে যারা এমন করেছে কেউ ভালো নেই।
©EduHive
#অনুভূতি
বেশির ভাগ টিউশনি করে চলা ছেলে- মেয়ে গুলো ইচ্ছে করলেই বিকালে সাধের ঘুম দিতে পারে না, ইচ্ছে করলেই হুটহাট করে কোথাও ঘুরতে যেতে পারে না।
টিউশনি চলে গেলে চলব কিভাবে এই ভয়ে। একদিন টিউশনিতে না গেলে স্টুডেন্টের মা ফোন দিয়ে বলে- 'বাবা, আজকে যে আসলে না; ওর তো পরীক্ষা।'
তার পরেও এরা বেঁচে থাকে নিজে আয় করার তৃপ্তি নিয়ে, অসীম ভালো লাগা নিয়ে ।
© Nayon Shikdar
ভর্তি চলছে! ভর্তি চলছে! ভর্তি চলছে!
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত অগ্রগতি একাডেমিক এন্ড নার্সিং কোচিং - Agragatee Academic & Nursing Coaching-এ
৬ষ্ঠ হতে দশম শ্রেণির একাডেমিক কোচিংয়ে ভর্তি চলছে।
✅ভর্তির সময়সীমা: ১২ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
✅ক্লাস শুরু: ১লা আগস্ট হতে।
⭐ আমাদের সুবিধাসমূহ:
১. স্পেশাল ক্লাসরুম
২. অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক দ্বারা ক্লাস নেওয়া হয়
৩. সপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়া হয়
প্রাইম ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
আবেদনের সময়সীমা: ৩০ আগস্ট, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।
⭐আবেদনের যোগ্যতাঃ
✅ কেবলমাত্র ২০২২ ও ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত। তবে, যারা এখনো এ বছর স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি সম্পূর্ণ করতে পারেননি তাদেরকে ভর্তির পরপরই ভর্তি রসিদের কপি জমা দিতে হবে।
✅ এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত মোট জিপিএ কমপক্ষে ছাত্র: ৯.০০ এবং ছাত্রী: ৮.৮o ।
✅ অভিভাবকের মাসিক আয় ১০,০০০/- টাকা বা তার নিচে হতে হবে (ইতিমধ্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না)।
⭐ আবেদন কোথায় করবেনঃ
✅ অনলাইনে অথবা ডাকযোগের যেকোন একটিতে আবেদন করতে হবে।
✅ অনলাইন লিংকঃ scholarship.primebankfoundation.org
©Credit: অগ্রগতি একাডেমিক এন্ড নার্সিং কোচিং - Agragatee Academic & Nursing Coaching
আল - আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
✅ আবেদন যোগ্যতা: যারা ২০২১ সালের এইচ. এস. সি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি কলেজ অধ্যয়নরত।
বিস্তারিত কমেন্টে...
©Copy from: অগ্রগতি একাডেমিক এন্ড নার্সিং কোচিং - Agragatee Academic & Nursing Coaching
ঈদ মোবারক 🌙🌙
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
Rangpur Best Tuition Media(RBTM) - গ্রপের সকল সদস্যকে জানাই ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।
সবার ঈদ হোক বরকতময় ও কল্যানকর। 💝💙
Rangpur Best Tuition Media
guidelines for admission and provide information,study materials , other problem solving,demo class.
Financial journalist demystifying markets, economy & personal finance. #finance #investing
●台湾華語講師・医療通訳・翻訳 ●日本同志社女子大学大学院卒 ●台湾ベビーシッター資格 ●インファイトマッサージ協会インストラクター ★(IAIM嬰幼兒按摩講師) ★師範大学中国語教師研修課程済
Looking to improve your pronunciation? Need help with English, Spanish or French homework? I can help