
প্রতি বৃহস্পতিবার বাচ্চাদের কোরআন হাদিসের দারসের পাশাপাশি শিল্পকলায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়....
এখন থেকে মাদ্রাসাও হবে বহুমুখী শিক্ষার মাধ্যম ইনশাআল্লাহ...
একটি আলোকিত প্রজন্ম, আমাদের অঙ্গীকার
Operating as usual
প্রতি বৃহস্পতিবার বাচ্চাদের কোরআন হাদিসের দারসের পাশাপাশি শিল্পকলায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়....
এখন থেকে মাদ্রাসাও হবে বহুমুখী শিক্ষার মাধ্যম ইনশাআল্লাহ...
ত্ব-হা যিন নূরাঈন বালিকা মাদ্রাসা পাবনা শাখায় আপনার বাচ্চার আদব আখলাক ও ইলম অর্জনের সাথে সাথে প্রত্যেকটি বিভাগে নিয়মিত আরবি হাতের লেখা অনুশীলন করানো হয়....
হাতের লেখা:উম্মে উমামা নেহা..
কুরান বিভাগ.... ❤️🌿
বাচ্চাদের সামান্য প্রচেষ্টা...❤️🌿
সূরা মারিয়াম:৩০-৩৫
বারাকাল্লাহু ফিকুম... 🌿🌿
আলহামদুলিল্লাহ আজ থেকে একাডেমিক 2nd Term Exam শুরু....
আপনার সন্তানকে উন্নত পরিবেশ ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আজই ভিজিট করুন আমাদের প্রতিষ্ঠানে....
আমরা শুধু আপনার সন্তানের শিক্ষার দায়িত্বই নেই না, তার পুরো লাইফ ফ্রেম নিয়ে কাজ করি।
🔴আবাসিক এর ব্যবস্থা রয়েছে।
⦿ ইসলামি জ্ঞানের ঐতিহ্য ও মূলধারা ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে নতুন ও পুরাতন ধারার উপকারী ও প্রয়োজনীয় সব সমন্বয় করে আকাবের সালাফদের উম্মতের পদাঙ্ক অনুসারনের মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয় করে এক দল যুগোপযোগী মানুষ করে গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
ঠিকানাঃ গুলশান গলি, লস্করপুর, চেতনের মোড়, পাবনা।
📧 [email protected]
📲 01846177270 (WhatsApp Only)
📲01724059460
👉page : ত্ব-হা যিন নূরাঈন বালিকা মাদ্রাসা।
🌄মুহাররম মাসের তাৎপর্য, এ মাসকে ঘিরে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল কর্মকাণ্ড, সর্বপরি এ মাসে আমাদের করণীয় এবং বর্জনীয়ঃ
হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররম। হাদিসে মুহাররম মাসকে শাহরুল্লাহ (আল্লাহর মাস) বলে অভিহিত করা হয়েছে। কুরআনে বর্ণিত চারটি হারাম মাস বা সম্মানিত মাস হচ্ছে যিলকদ, যিলহজ, মুহাররম ও রজব। এই চার মাসে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ। সকল পাপাচার অন্যান্য মাসে যেমন নিষিদ্ধ, এ মাসে আরো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
❝আসমান-যমীন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কিতাবে (লৌহ মাহফুজে) মাসগুলোর সংখ্যা হল বারো। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। এটা হল সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই ঐ সময়ের মধ্যে নিজেদের উপর যুলম করো না। মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে। জেনে রেখো, আল্লাহ অবশ্যই মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন।❞
(সূরা তাওবাঃ ৩৬)
আল্লাহ তা'য়ালা কোন চারটি মাসকে হারাম বলেছেন তা আমরা রাসুল (সাঃ)-এর হাদিস থেকে জানতে পারি।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
❝এক বছর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। তিন মাস ক্রমান্বয়ে আসে, যেমন যিলকদ,
যিলহজ ও মুহাররম এবং রজব যা জুমাদাল আখির ও শাবান মাসের মাঝে হয়ে থাকে।❞
(সহিহ বুখারীঃ৪৪০৬)
এ মাসের অন্যতম একটি ইবাদত হল বেশি বেশি সাওম পালন করা। এ ব্যাপারে আমরা রাসুল (সাঃ)-এর কিছু হাদিস উল্লেখ করতে পারি।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
❝ফরজ নামাজের পর (নফল নামাজের মধ্যে) শ্রেষ্ঠতম নামাজ হচ্ছে গভীর রাতের নামাজ, আর
রমজান মাসের রোজার পর (নফল রোজা গুলোর মধ্যে) সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মুহাররম মাসের রোজা।❞
(সহিহ মুসলিমঃ২৮১৩)
মুহাররম মাসের দশ তারিখকে ❝আশুরার❞ দিন বলা হয়। এ দিনটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এদিনে রোজা
রাখাও সুন্নাহ। রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল। পরবর্তীতে রমজানের রোজা যখন ফরজ হয়, তখন আশুরার রোজাটি সুন্নাত বা নফল হয়ে যায়।
আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
❝আল্লাহ তা’আলার নিকট আমি আশা পোষণ করি যে, তিনি আশুরার রোজার মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।❞
(তিরমিযিঃ ৭৫২)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, ❝নবী করিম (সাঃ) রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়া অন্য যেসব দিনে রোজা রাখতেন, সেসব রোজার কোনোটিকেই আশুরার রোজার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে তাঁকে আমি দেখিনি।❞
(সহিহ বুখারীঃ ২০০৬)
উপরোক্ত হাদিসের আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম আশুরার সাওমের গুরুত্ব কত বেশি!
📣এবার আমরা হাদিসের আলোকে আশুরার প্রেক্ষাপট জানার চেষ্টা করবঃ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,
❝এক ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করল, রমজান মাসের পর কোন মাসের রোজা রাখতে আপনি আমাকে আদেশ করেন? তিনি তাকে বললেন, এই বিষয়ে আমি
কাউকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনিনি। তবে হ্যাঁ এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর নিকটে বসা ছিলাম। এই সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! রমজান মাসের পর আর কোন মাসের রোজা পালনে আপনি আমাকে আদেশ করেন? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, রমজান মাসের পর তুমি যদি আরো রোজা রাখতে ইচ্ছুক হও তবে মুহাররামের রোজা রাখো। যেহেতু এটা আল্লাহ তা'আলার মাস। এই মাসে এমন একটি দিবস আছে যেদিন আল্লাহ তা'আলা এক গোত্রের তাওবা কবুল করে ছিলেন এবং তিনি আরো ও অনেক গোত্রের তাওবাও এইদিনে কবুল করবেন।❞
(তিরমিযিঃ ৭৪১)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ❝রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন হিজরত করে মদীনায় এলেন, তখন দেখলেন, ইহুদীরা আশুরার দিনে রোজা রাখে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার! তোমরা এইদিনে রোজা রাখো
কেন? তারা উত্তরে বলল, এ তো এক মহান দিন। এই দিনে আল্লাহ তা'য়ালা হযরত মুসা (আঃ) ও তাঁর জাতিকে উদ্ধার করেছিলেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। তাই মুসা (আঃ)
কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এই দিনে রোজা রাখতেন। (তাঁর অনুসরণ করে) আমরাও এই দিনে রোজা রাখি।
এই উত্তর শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, নবী মুসা (আঃ)-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে তো আমরাই তোমাদের চেয়ে অধিক যোগ্য ও বেশি হকদার। তখন রাসূল (সাঃ) নিজেও এই আশুরার রোজা রাখলেন এবং অন্য মুসলমানদেরকেও তা রাখতে আদেশ করলেন।❞
(সহিহ বুখারীঃ ৩৩৯৭)
বাহ্যত যদিও প্রতীয়মান হয়—রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মদীনায় আসার পর থেকে আশুরার রোজা রাখা শুরু এবং অন্য সাহাবীদেরকে এই রোজা রাখার
আদেশ করেছেন, কিন্তু বাস্তবতা এমন নয়। বরং তিঁনি মদীনায় হিজরতের পূর্বেও মক্কায় থাকা কালীন
এই দিনে রোজা রাখতেন। মক্কার কুরাইশ কাফেররাও এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদার সাথে পালন করে আসছিল যুগ যুগ ধরে। এই বিশেষ মর্যাদার দিক লক্ষ করেই তারা এই দিনে পবিত্র কাবার পুরোনো গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানোর আয়োজন করতো। তারাও এইদিনে রোজা রাখতো। আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর রীতি ছিল এমন—যখন তিঁনি
কুরাইশদের ভালো কিছু দেখতেন, তখন তিঁনি ও তা পালন করতেন। সেই সূত্র ধরেই তিঁনি ও এই
বরকতময় দিনটির রোজা রেখেছিলেন মক্কায় অবস্থানকালীন সময় থেকেই।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন,
❝আশুরার দিনটি এমন, যাতে জাহেলি যুগে কুরাইশরাও রোজা রাখতো। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-ও তাতে রোজা রাখতেন। যখন তিঁনি হিজরত করে মদীনায় চলে এলেন, তখন তিনি নিজে ও এইদিনে রোজা রেখেছেন এবং অন্যদেরকেও রোজা রাখতে বলেছেন।❞
(সহিহ মুসলিমঃ ১১২৫)
এ থেকে বোঝা যায়, মক্কায় থাকাকালীন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কুরাইশদের সাথে সাথে আশুরার রোজা রেখেছেন, তবে তিঁনি তখন কাউকে এ রোজা রাখতে আদেশ করেননি। পরে যখন মদীনায় আসলেন, তখন নিজে রাখার পাশাপাশি অন্যদেরকেও রোজাটি রাখতে আদেশ করলেন।
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরাম একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে আশুরার রোজা সম্পর্কে বললেন, এই দিনকে তো ইহুদী ও খৃস্টানরাও সম্মান করে। সাহাবীদের এই অভিযোগ শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, আগামী বছর ইনশাআল্লাহ আমি
অবশ্যই নয় তারিখে রোজা রাখব।
(সহিহ মুসলিম)
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় কেউ কেউ এমনও বলেছেন—শুধু নয় তারিখে একটি রোজা রাখলেই হবে। কিন্তু অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মত হচ্ছে , শুধু নয় তারিখে নয়, বরং দশ তারিখের সাথে মিলিয়ে নয় তারিখেও একটি রাখবে। যেন ইহুদী -খৃস্টানদের সাথে আমলের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকে। কেউ নয় তারিখের রোজাটি রাখতে না পারলে আশুরার পরের দিন অর্থাৎ এগারো তারিখেও রোজা রাখতে পারে। এতেও হাদিসের উদ্দিষ্ট বিষয় অর্থাৎ ইহুদী-খৃস্টানদের সাথে ভিন্নতার প্রকাশ ঘটবে।
সহিহ বুখারী গ্রন্থের ব্যাখ্যা "ফাতহুল বারী"-তে ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) লিখেছেন,
❝আশুরার রোজা তিন স্তরের। সর্বনিম্ন স্তর হলো একদিন রোজা রাখা, এর উপরের স্তর দশ তারিখের
আগে নয় তারিখেও রোজা রাখা, এর উপরের স্তর হলো নয়-দশ-এগারো এ তিনদিন রোজা রাখা।❞
আশুরার ফজিলত বর্ণনার ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে কিছু বাড়াবাড়ি কথাবার্তাও বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয়।
এর মর্যাদাপ্রমাণ করতে গিয়ে এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে অতীত ইতিহাসের যাবতীয় বিস্ময়কর বিষয়!
রীতিমতো যেন এক প্রতিযোগিতা!
হযরত আদম আলাইহিস সালামের জন্ম থেকে শুরু করে কেয়ামত পর্যন্ত কোনো কিছুই বাদ যায়নি।এমনকি কেউ কেউ আরও বেশি বাড়িয়ে বলেছেন। একটি বর্ণনা লক্ষ করুন―"হযরত উমর ফারুক (রাঃ)
আশুরার দিনের ফজিলত শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট জানতেচাইলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আশুরার দিনকে আল্লাহ এতটাই মর্যাদাপূর্ণ করেছেন!
তিঁনি উত্তরেবললেন, হ্যাঁ আল্লাহ তা'য়ালা আশুরার দিনে আকাশসমূহ সৃষ্টি করেছেন, জমিন সৃষ্টি করেছেন,আশুরার দিনে কলম সৃষ্টি করেছেন, লাওহে মাহফুজ সৃষ্টি করেছেন, জিবরাইল সহ অন্য
ফেরেশতাদেরও এই আশুরার দিনে সৃষ্টি করেছেন, আদমকে সৃষ্টি করেছেন এই আশুরার দিনে , নবী
দাউদ (আঃ)-কে ক্ষমাও করেছেন আশুরার দিনেই, এই দিনেই নবী সুলায়মান (আঃ)-কে হারানো রাজত্ব ফিরিয়েদেয়া হয়, নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্মও এই আশুরার দিনে , এই দিনে আল্লাহ তা'য়ালা আরশে সমাসীনহয়েছিলেন, সর্বশেষ এই দিনে কেয়ামতও সংঘটিত হবে।"
কেউ কেউ তো আরও বাড়িয়ে বলেন―"এই দিনেই আল্লাহ তা'য়ালা আরশ-কুরসি, জান্নাত-জাহান্নাম সৃষ্টিকরেছেন। হযরত আদম (আঃ)-কে বেহেশতে প্রবেশ করানো হয়, তাকে আবার বেহেশত থেকে দুনিয়ায়পাঠানো হয়, এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়, এই ১০ মহররমেই মা হযরত হাওয়া(আঃ)-এরসঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে, চাঁদ-সূর্য গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর এই মহররম মাসেই সৃষ্টিকরা হয়, হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্ম, হযরত মূসা (আঃ)-এর সঙ্গে আল্লাহ তা'য়ালার কথোপকথন,তাঁর ওপর তাওরাত কিতাব অবতীর্ণ করা, হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর রোগমুক্তি, হযরত ইউসুফ (আঃ)-এরসঙ্গে তাঁর বাবা হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর মিলন, হযরত ঈসা (আঃ)-কে আকাশে উঠিয়ে নেয়া, হযরত নূহ(আঃ)-এর নৌকা জুদি পাহাড়ে ভিড়া, হযরত ইউনুস (আঃ)-এর মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভ―এ সবইঘটেছিল এ আশুরার দিনে!"
অথচ!!!
এ ঘটনা গুলো বাস্তব হলেও এগুলোর অধিকাংশই আশুরার দিনে সংঘঠিত হওয়ারবিষয়টি ভিত্তিহীন। অর্থাৎ উপরের ঘটনা গুলো ঘটেছে এটা সত্য। কিন্তু এগুলো যে আশুরার দিনেঘটেছে এ কথাটি ভিত্তিহীন। এসকল ঘটনা আশুরার দিনে ঘটেছে এমন কোনো নির্ভরযোগ্য বর্ণনাহাদিসের কিতাবে পাওয়া যায় না। তাই এই ঘটনা গুলো কে আশুরার দিনের সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনাকরব না।
📣এবার আমরা জানবো আশুরাকে কেন্দ্র করে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল কর্মকাণ্ড এবং ভ্রান্ত বিশ্বাস সম্পর্কেঃ
হিজরি ৬১ সালের ১০ মুহাররম (আশুরার দিন) রাসুল (সাঃ)-এর প্রিয় নাতী হযরত হুসাইন (রাঃ)
কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ হন। একে তো রাসুল (সাঃ)-এর আদরের নাতী! এরপর তিনি নির্মম ভাবে শাহাদাত বরণ করেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে—এসব মিলিয়ে ঘটনাটি নবী প্রেমিক মুসলমানদেরকে এক গভীর শোকে আচ্ছন্ন করে । এ বিয়োগান্তক ঘটনাটির মধ্য দিয়ে হযরত হুসাইন (রাঃ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে হলেও সত্যকে উঁচিয়ে রাখার উপমা হয়ে রইলেন। ফলে অনেকের ধারণা, আশুরার দিনের সম্মান কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই। অথচ একথা মানতেই হবে , মুসলমানদের ১০ মুহাররম তথা আশুরার উদযাপন হিজরি ৬১ সালের পর থেকে নয়, বরং বহু শতাব্দী কাল ধরে চলে আসা আশুরাকেই রাসুল (সাঃ)-ও স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি নিজেই রোজা রেখে আশুরা উদযাপন করেছেন। অনুসারী উম্মতকেও রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। এটাই আশুরা। আশুরার সঙ্গে শোকের কোনো সম্পর্ক নেই।
আশুরা উদযাপনের দুটি ভিন্ন ধারা বর্তমানে মুসলিম সমাজে চালু আছে। একটি হাদিসে বর্ণিত রোজা রাখার মধ্য দিয়ে, যেটি পালন করে দ্বীনদার সাধারণ মুসলমানগণ। তাদেরকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আত বলা যেতে পারে। আরেকটি হলো, শোকের ধারক হিসেবে তাজিয়া মিছিল বের করা, বুক-পিঠ রক্তাক্ত করা ইত্যাদি। তাদের পরিচয়—তারা শিয়া।
নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে তারা এতটাই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে, হযরত আলী ফাতেমা
হাসান হুসাইন (রাঃ)-এর বাইরে সাহাবীগণের বিশাল জামা'আতকে তারা নির্দ্বিধায় কাফের
বলে দিচ্ছে! তাদের নিকট আশুরা মানেই শোক। আর শোকের উদযাপন করে নিজ শরীর রক্তাক্ত করে
আর ‘হায় হুসেন হায় হুসেন’ বলে বুক চাপড়িয়ে! সন্দেহ নেই, শিয়াদের এ উদযাপনের সঙ্গে
ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক নেই মুহাররম মাসের সঙ্গে শোকেরও।
এ ব্যাপারে রাসুল (সাঃ)-এর কয়েকটি হাদিস থেকে আরও পরিষ্কার ভাবে জানতে পারব।
আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
❝যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে ) গালে আঘাত করে,
জামার বুক ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহিলী যুগের মতো চিৎকার করে, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।❞
(সহিহ বুখারীঃ ১২৯৪)
অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
❝আমি ঐ ব্যক্তি থেকে মুক্ত, যে শোকে মাথা মুণ্ডায়, বুক চাপড়ায়, কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।❞
(সহিহ মুসলিমঃ ১৬৭)
(সহিহ বুখারীঃ১২৯৬)
সংক্ষিপ্তাকারে শরিয়তের শিক্ষা এই---
❝চোখ আর অন্তর থেকে যা কিছু ঘটে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তা রহমতের অংশ। কিন্তু যা কিছু হাত ও জিহ্বা দিয়ে হয়, তা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে।❞
(মুসনাদে আহমাদঃ ২১২৭)
অর্থাৎ কেবল চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরা কিংবা পেরেশান হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। এটা মানুষের
স্বভাবজাত বিষয়। এটা ঐ রহমতের প্রকাশ, যা আল্লাহ বান্দার হৃদয়ে দান করেছেন। কিন্তু পেরেশানির কারণে যদি মানুষ তার হাত কিংবা মুখ ব্যবহার শুরু করে, তাহলে এটা হয় শয়তানের
আনুগত্য থেকে। এতে আল্লাহ তা'আলা নারাজ হন।
কোনো বিপদ-আপদ বা শোককে জিইয়ে রেখে দিনের পর দিন স্মরণ করা ইসলামের রীতি নয়। মৃত
ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশের ক্ষেত্রে ইসলাম সর্বোচ্চ তিনদিন শোক প্রকাশের অনুমোদন করে। শুধু স্ত্রীর জন্য স্বামীর মৃত্যুতে ইদ্দত পর্যন্ত (গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত অন্যথায় ৪ মাস ১০দিন) শোক প্রকাশের বিধান রেখেছে। পক্ষান্তরে শিয়া সম্প্রদায় ইসলামের সকল মূলনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে হযরত হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শাহাদাতের দিনকে মাতমের দিন বানিয়ে ফেলেছে।
মুসিবতের দিনকে মাতমের দিন বানিয়ে ফেলা একটি জাহেলি পদ্ধতি। কোনো একটা দুঃখজনক
ঘটনার স্মরণে যদি মাতম করা ও বছরের পর বছর ঐ দিনে শোক প্রকাশ করা জায়েজ হত, তাহলে
রাসুল (সাঃ)-এর ইন্তিকালের দিনটিকেই তো সর্বাগ্রে মাতমের দিন বানানো হতো!!!
📣এবার আমরা তাজিয়া মিছিল সম্পর্কে কিছু জানান চেষ্টা করবঃ
তাজিয়া বলতে বুঝানো হয় রাসুল (সাঃ)-এর প্রাণ প্রিয় নাতী হযরত হাসান (রাঃ) ও হযরত হুসাইন (রাঃ)-এর প্রতীকী কবর। তাজিয়া মিছিলে হযরত হাসান (রাঃ) ও হযরত হুসাইন (রাঃ) এর কবরের প্রতিকৃতি বানিয়ে বহন করে বিভ্রান্ত শিয়া সম্প্রদায়। আশুরার দিন শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা শোক র্যালী বা মিছিলে দুটি কবরের প্রতিকৃতি নিয়ে আসে। সেই প্রতীকী কবর দুটিকে তারা জমকালো করে সাজায়। তাদের অনেকের মধ্যে এই বিশ্বাসও রয়েছে- ঐ কবরে হযরত হাসান (রাঃ) ও হযরত হুসাইন (রাঃ) অবতরণ করেন। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে ঐ কবরের পাদদেশে তারা মান্নতের বিভিন্ন নজরানা পেশ করে। ঐ কবরগুলোর দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকে। কবরের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ায় ও প্রার্থনা করে। কবর দুটিকে বিশেষ সম্মান করে।
কবরের সাথে তারা বহন করে ঘোড়ার মূর্তি। ইসলামে যেখানে মূর্তি বানানো নিষেধ, সেখানে শিয়ারা
নিজেদের মুসলিম দাবি করা সত্ত্বে ও তাদের মিছিলে ঘোড়ার মূর্তি বানিয়ে নিয়ে আসে। সেই ঘোড়াও তাদের কাছে বিশেষ সম্মানের। সেই ঘোড়ার গায়ে ও পায়ে তারা বিভিন্ন নিয়তে সুতা বাঁধে, মান্নত করে। অনেককে দেখা যায় শিশুদের কল্যাণ কামনার্থে ঘোড়ার মূর্তির গায়ে হাত বুলিয়ে সেই হাত শিশুদের মাথায় ও শরীরে মুছে দেয়। এর দ্বারা তারা নানাবিধ কল্যাণ কামনা করে ।
আল্লাহআমাদেরকে শিয়াদের ফিতনা থেকে হেফাজত করুণ!
উপরোক্ত সকল আলোচনা থেকে আমরা আশুরার ফজিলত এবং এই দিনকে ঘিরে সমাজে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস আর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। এবার সংক্ষিপ্ত আকারে এই দিনে আমাদের করণীয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
১) আশুরার দিন অর্থাৎ মুহাররম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখা। সম্ভব হলে ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ বা
১১ তারিখেও রাখা। আশুরার রোজা দুইটি রাখা ভালো। তিনটি রাখা আরও বেশি ভালো।তবে বেশি সম্ভব না হলে অন্তত ১০ তারিখের একটি রোজা হলেও রাখা।
২) রাসুল (সাঃ) মুহাররম মাসকে আল্লাহর মাস বলেছেন এবং বলেছেন, রমজান মাসের পর এ মাসের রোজাই শ্রেষ্ঠ। তাই এতে বেশি বেশি রোজা রাখা চাই। আমরা এ মাসের আইয়ামে বীজের (হিজরি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ) রোজা এবং সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা গুলো রাখার চেষ্টা করতে পারি।
৩) তাওবা ইস্তিগফার করা। এ মাসে অতীতের একটি গোত্রের তওবা কবুল করা হয়েছিল।পরবর্তী আরও অনেক গোত্রের তওবা কবুল করবেন। তাই আমাদেরও এ দিনটিতে বিশেষভাবে তাওবা ইস্তিগফার করা উচিত।
৪)এটা যেহেতু সম্মানিত মাস, তাই এ মাসের সম্মানে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
ঈদ মুবারাক 🌙
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম!
সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। ঈদ হোক আনন্দময় ও বরকতময়।
📌 আগামীকাল ফজর থেকে তাকবির শুরু!
আপুরা মনে রাখার জন্য এভাবে একটা কাগজে লিখে, জায়নামাজের উপর পিন দিয়ে আটকে দিতে পারেন। তাহলে আর তাকবির দিতে ভুলে যাবেন না ইন শা আল্লহ।
আনন্দ উৎসব যেন হয় সকলের!
হতদরিদ্র পরিবার খাদিজার জন্ম। বছর গড়িয়ে নতুন বছর চলছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সাথে পায়ে পা দিয়ে যুদ্ধ করছে তার পরিবার। কখনো বেগুনপোড়া কিংবা ডাল-ভাজি খেয়েই চলে যাচ্ছে দিন। মেঘ ডাকা আকাশের দিকে চেয়ে আজ খাদিজা ভাবছে গরু নামক প্রাণীর স্বাদ পায়নি ঠিকঠাক কতদিন হবে? ১ বছর কিংবা তার কিছুটা কম?
ভারাক্রান্ত মন হুট করে কি যেন মনে করে উচ্ছাসিত হলো। তার কিশোরী মনে আনন্দ অনুভব হচ্ছে এখন। ভাবনায় তার "কুরবানীর ঈদ।" এই উৎসবে আর যাই হোক ঈদে তো একটু গোশতের স্বাদ পাওয়া যাবে!
খাদিজা নামক চরিত্রটি যদিও কল্পনা কিন্তু আশে-পাশে হাজার খাদিজাদের বসবাস। সামর্থ্যবান মধ্যবিত্ত শ্রেণিই ই যখন এক কেজি গোশত মাসে কেনার সাহস করেনা। তখন খাদিজা বাবার এত সাহসী হবার গল্প তো ভয়ংকর।
খাদিজার মায়েরা ঈদে পথ চেয়ে বসে থাকে কখন ঘরে আসবে কোন কুরবানীদাতা। সাথে নিয়ে আসবে "ছেলে-মেয়ের মুখের হাসি।"
প্রিয় পাঠক আপনার পাঠানো সহায়তার যদি দুঃখী মায়ের চোখে খুশির জল আসে কিংবা খাদিজাদের উচ্ছাস! রব্বে কারীম এটাকে জারিয়া করে বৃদ্ধি করে দিবেন অনেকখানি বি ইজ নিল্লাহ।
আমাদের আশেপাশের খাদিজাদের খুশির কারণ হতে কুরবানী প্রজেক্ট এ অংশগ্রহণ করুন সামর্থ্য অনুযায়ী।
উক্ত প্রোজেক্ট এ কুরবানিকৃত পশুর অংশ চলে যাবে দেশের বিভিন্ন স্থানের সামর্থ্যহীন মুসলিম পরিবারের কাছে।
উক্ত প্রজেক্ট এ সামিল হয়ে যেমন আমরা কুরবানীর সওয়াব তো পাবোই সাথে সাথেই উম্মাহের ও দ্বীনের খেদমতের বিরাট সুযোগ পাবো৷
তাক্বওয়ার কিংবা আল্লাহর নৈকট্য লাভের এমন সুযোগ কি হাতছাড়া করা সম্ভব?
✅কুরবানী প্রজেক্ট এ শরীক হবার মাধ্যম-
১/ ১টি পূর্ণ গরুর মূল্য দিয়ে (মূল্য ৭০০০০ টাকা)
২/ গরুর এক ভাগ দিয়ে। গরুর এক ভাগের মূল্য ১২,০০০(বার হাজার) টাকা
৩/ ১টি ছাগলের পূর্ণ মূল্য দিয়ে (১২-১৫ হাজার টাকা)
৪/ যে কোন পরিমাণ নফল দান দিয়ে
♻সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা-
✅ব্যাংক একাউন্ট :
Islamic Bank Bangladesh PLC
Branch: Rangpur
Acc Name: Md Fakhrul Alam Yamin
Acc no: 20501170204403412
✅নগদ:
01763002627
01765922612
রেফারেন্সঃ Qurbani
✅রকেট:
01765922612
রেফারেন্সঃ Qurbani
✅বিকাশ :
01763002627
01765922612
রেফারেন্সঃ Qurbani
[পোষ্টে উল্লেখিত নম্বর টা অন্য নম্বরে সাদাকাহ এর অর্থ পাঠিয়ে প্রতারিত হবেন না]
✅সার্বিক যোগাযোগ : 01315188248 (WhatsApp Only)
ছোট্ট পরিমান দান ও আপনার নাজাতের অসিলা হতে পারে, এছাড়াও উক্ত প্রজেক্টের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমেও বিশাল পরিমাণ সওয়াবের ভাগীদার হতে পারে আপনিও!
উম্মাহের কল্যাণ ই আমাদের ফিকির!
#সিরাতুন্নাবি_কোর্স_করে_বাইতুল্লাহ_যিয়ারাত_করুন!
#সিরাতুন্নাবি_সা_কোর্স_সিজন_০৩
#প্রি_রেজিষ্ট্রেশন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা,
আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে "Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa"র ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনী তথা সীরাতুর রাসূল ﷺ শিক্ষা কোর্স "সিরাতুন্নাবি ﷺ" এর সিজন ০৩
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা...
কতটুকু জানি আমরা আমাদের প্রিয় নবিজিকে? ﷺ
কতটুকু মানি তার সুন্নাহ?
৬০-৭০ বছরের এই ক্ষণজন্মায় কতবারই বা পড়ে দেখেছি মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মহামানবের জীবনী?
কখনো কি ভেবে দেখেছি কতটুকু আর কি-ই বা করেছি আমরা তার রেখে যাওয়া দ্বীনের জন্য?
কখনো কি ভেবেছি চলমান বিশ্বের সমস্যাগুলোর সিরাত কেন্দ্রিক সমাধান নিয়ে?
ভেবেছি কি কখনো কিভাবে মুখ দেখাব আমরা তার ﷺ সামনে কাল ক্বিয়ামাতের মাঠে কাওসারের তীরে?
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা!
আসুন নিজেদের শত দুনিয়াবি ব্যস্ততাকে ছুড়ে ফেলে অন্তত একবার চর্চা করে দেখি আমাদের প্রিয় নবি, মহান আল্লাহর প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদ ﷺ এর পবিত্র সিরাত। ত্ব-হা যিন নুরাইন ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসার এবারের আয়োজন সেই সুবর্ণ সুযোগকে কেন্দ্র করেই!
তাই দেরি না করে আজই এক্ষুনি রেজিষ্ট্রেশন করুন।
আর হ্যা! আপনি জানেন কি, কোর্স শেষে বিজয়ী সেরা ৩ জনের জন্য কি থাকছে? "সরাসরি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর রাওজায় গিয়ে প্রিয়নবী-কে সালাম দেয়ার সৌভাগ্য! জি ইনশাআল্লাহ মক্কা ও মদিনা যিয়ারাতসহ একটি উমরাহ প্যাকেজ!
তাহলে আর দেরি কেন?
রেজিষ্ট্রেশন লিংকঃ
https://tawhaazinnurain.com/course/siratunnabi-pbuh-course/
প্রি-রেজিষ্টেশনের শেষ তারিখ :
১৫ মুহাররম, ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক
২০ জুলাই, ২০২৪ ইং
ওরিয়েন্টেশন ক্লাস :
১ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
মূল ক্লাস শুরুর তারিখঃ
৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
ইনশাআল্লাহ...
কোর্সের মেয়াদ : মাত্র ২ মাস।
(এই মেয়াদে মূল ক্লাস, প্রস্তুতি এবং ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে)
সাপ্তাহিক ৩/৪ টি লাইভ ক্লাস।
মোট ক্লাস সংখ্যা: ২০টি (এক্সাম ও সলভ ক্লাস ব্যাতিত)
কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
রেজিষ্ট্রেশন ফিস প্রযোজ্য।
প্রি-রেজিষ্ট্রেশন উপলক্ষ্যে ২৫% ছাড়ে মাত্র ৭৫০ টাকা (এককালীন ফি)
সিজন ০৩ এর জন্য নির্ধারিত বই “মাকতাবাতুল হেরা” থেকে প্রকাশীত “সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)” রচিত “নবীয়ে রহমত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”।
উস্তায আবু ত্ব-হা মুহাম্মাদ আদনানের ছত্রছায়ায় পরিচালিত আপনাদের প্রিয় Taw Haa Zin Nurain Book Shop এ সর্বোচ্চ ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপঃ https://wa.me/+8801878257351
অথবাঃ https://m.me/tawhaazinnurain.book
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
১। রেজিষ্ট্রেশন, ফিস প্রদান, বই সংগ্রহ ও ক্লাস সমাপ্ত করার পর প্রাথমিকভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের পরবর্তীতে লিখিত ও চুড়ান্ত ১০ জনের মাঝে ভাইভার মাধ্যমে সেরা ৩ জন উমরাহ বিজয়ী প্রতিযোগী চুড়ান্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ!
৩। এছাড়াও সেরা ৩ সহ চতুর্থ থেকে দশমের প্রত্যেকেই পাবেন প্রাইজমানি, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।
কোর্সটি ১৫ থেকে ৬০ বছরের সকল শ্রেণী পেশার নারী ও পুরুষ জন্য উন্মুক্ত। প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa এবং উস্তায Abu Taw Haa Muhammad Adnan এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।
উক্ত সীরাত কোর্সটির ইন্সট্রাকটার আপনাদের প্রিয় উস্তাদ আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান (হাফি) জানান, আপামর জনসাধারণকে সীরাত সম্পর্কে সচেতন করতে এবং সিরাত পাঠে আগ্রহী করে তুলতেই নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। একাকী সিরাত পাঠ করলে অনেক সময় সাধারণ মানুষ শেকড়ে পৌছাতে ব্যর্থ হন।
তাই যদি সিরাতের উপর কোন উস্তাদের তত্ত্বাবধানে কোর্স করা যায় তাহলে একদিকে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানাও যাবে এবং কোর্স শেষে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মহান আল্লাহর ঘর যিয়ারাতের সৌভাগ্যও নাসিব হবে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে দেশ ও বিদেশের বিত্তবান ও দানশীল দ্বীনি ভাই ও বোনদের প্রতি উস্তাদ আবু ত্ব হা মুহাম্মাদ আদনান (হাফি:)'র উদাত্ত আহবান:
প্রিয় দানশীল ও বিত্তবান দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, প্রিয় নবি মুহাম্মাদ ﷺ এর পবিত্র জীবনীর প্রচার প্রসার ও শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার এই মহৎ প্রজেক্টে আপনিও আপনার হালাল অর্থ সাদাকা করে শরীক হউন।
আপনার প্রেরিত অর্থ সিরাতের কিতাবরুপে প্রবেশ করুক সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে, অথবা মাধ্যম হউক আল্লাহর বান্দাদের বাইতুল্লাহ যিয়ারাতের। এছাড়াও ত্ব হা যিন নুরাইন ইসলাম অনলাইন মাদ্রাসার বিভিন্ন শিক্ষা প্রজেক্ট সহ ত্ব-হা যিন নুরাইন ইসলামিক সোসাইটির বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে আপনিও এগিয়ে আসুন ক্বলবুন সালিম নিয়ে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের লক্ষ্যে!
নিন্মোক্ত মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আপনাদের সাদাকা প্রেরণ করতে পারেন।
01763002627
01765922612
বিকাশ পারসোনাল (রেফারেন্সঃ Baitul Maal)
01883646419
বিকাশ মার্চেন্ট
01765922612
01763002627
নগদ পারসোনাল (রেফারেন্সঃ Baitul Maal)
01765922612-2
রকেট পারসোনাল
Bank Details:
Al-Arafah Islami Bank
Branch: Rangpur
Acc Name: K M Afsanul Adnan Anto
Acc No: 0971120018405
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করুন।
আমিন। আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদ ওয়া সাল্লিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
✅ হটলাইন নম্বর
+88025 8880 9270 (10 AM - 10 PM)
01740-433580 (Whatsapp Only)
সাদাকা সংক্রান্ত যোগাযোগঃ +8801315188248 (WhatsApp Text Only)
বিঃদ্রঃ অফিশিয়াল পোস্টে উল্লেখিত বা অফিশিয়াল ভিডিওতে মেনশানকৃত একাউন্ট নাম্বার বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যাতিত অন্য কোন ঠিকানায় আপনার অর্থ প্রেরণ করা থেকে বিরত থাকুন, এবং অনুগ্রহ করে আপনার সাদাকা প্রেরণের পর আমাদের অফিশিয়াল পেইজ বা এডমিন প্যানেলে যোগাযোগ করে কনফার্ম করুন। বারাকাল্লাহু ফিকুম৷
জানিনা আমার এই কথা টা কার কোন কাজে লাগবে !
এই যুগে কোন ছেলে মেয়ে যদি আঠারো বা বিশ বছরের পর শুধু একাডেমিক পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। আর ভাবে অনার্স মাস্টার্স করে চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে দৌড়াবে । তাহলে নিশ্চিত থাকেন আপনার জীবনের সবচেয়ে গোল্ডেন টাইম টা আপনি প্রোপারলি কাজে লাগান নি !
©️
আসুন, এক নজরে দেখে নিই জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের আমল-
■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।
■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।
■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।
■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তা'আলা নিয়েছেন।
■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।
■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!
■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
■■ রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
■■ কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!
■■ কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।
■■ আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)
■■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)
■▪মহান আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, এবং হিফাযত করুন(আমীন)।
আল্লাহ বলেন, আমি ৬টি জিনিসকে লুকিয়ে রেখেছি ৬টি স্থানে। কিন্তু মানুষ তা খুঁজে বেড়ায় ভিন্ন জায়গায়।
১. আমি দ্বীন ইসলামকে রেখেছি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও ধৈর্যের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে উদরপূর্তি ও দুনিয়ার স্বচ্ছলতার মধ্যে।
২. আমি সম্মান রেখেছি শেষ রাতের ইবাদতে, কিন্তু মানুষ খোঁজে, শাসক ও ক্ষমতাবানের সাহচর্যে।
৩. আমি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রেখেছি জান্নাতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে দুনিয়াতে।
৪. আমি বড়ত্ব রেখেছি বিনয় ও নম্রে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে অহংকারে।
৫. আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্প তুষ্টিতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে লোভ- লালসার মধ্যে।
৬. আমি দোয়া কবুল হওয়াকে নিহিত রেখেছি হালাল উপার্জনের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে হারাম উপার্জনে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন,
আ-মীন।
#অনলাইন_সেমিনার
#জিলহজ্ব_মাসে_করণীয়
েজিষ্ট্রেশন_করুন
الحمد لله رب العالمين والعاقبة للمتقين والصلاة والسلام على رسول الله محمد و على آله و أصحابه أجمعين, السلام عليكم و رحمة الله و بركاته.
সম্মানীত দ্বীনি ভাই/বোন,
মহান আল্লাহ সুবহানাহুয়া তায়ালা বলেন,
والفجر، وليال عشر
অর্থঃ শপথ ফজরের, শপথ দশ রাত্রির।
সূরা ফজর (৮৯) : ১-২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা) ও মুজাহিদ (রাহি) সহ অধিকাংশ সাহাবী, তাবেয়ী ও মুফাসসিরের মতে এখানে দশ রাত্রির দ্বারা জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। হাফেয ইবনে কাসীর রাহ. বলেন, এটিই বিশুদ্ধ মত।
তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫-৫৩৬
এবার চলুন একটি হাদিসের দিকে তাকাই:
হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ يَعْنِي أَيَّامَ الْعَشْرِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ.
অর্থাৎ আল্লাহর নিকট যিলহজ্বের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও (এর চেয়ে উত্তম) নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, সেই ব্যক্তির জিহাদের চেয়ে উত্তম যে নিজের জান-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে। অতপর কোনো কিছু নিয়ে ঘরে ফিরে আসেনি।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৮; সহীহ বুখারী,
হাদীস ৯৬৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৫৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭২৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৯৬৮
তাই প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আলহামদুলিল্লাহ! আসন্ন আশরায়ে জিলহজ্ব'কে সামনে রেখে Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa'র এবারের আয়োজন অনলাইন সেমিনার
"যেভাবে কাটাবেন বছরের শ্রেষ্ঠ দশক"
অনলাইন সেমিনারের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
✅ পবিত্র ও সম্মানিত চারটি মাস।
✅ কুরআন ও হাদীসের আলোকে আশারায়ে জিলহজ্ব।
✅ আশারায়ে জিলহজ্ব-এর গুরুত্ব ও ফযীলত।
✅ জিলহজ্বের ১ম ১০ দিনের বিশেষ আমলসমূহ।
✅ কুরবানী - ফযীলত, গুরুত্ব ও আহকাম।
✅ কুরবানীর দিনের ফযীলত ও বিশেষ আমল ইত্যাদি।
আলোচনা করবেন-
উস্তায আবু ত্ব-হা মুহাম্মাদ আদনান,
পরিচালক, ত্ব-হা যিন নূরাঈন অনলাইন মাদ্রাসা
উক্ত সেমিনারের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১০০৳ যার পুরো অংশই চলে যাবে ত্বহা যিন-নূরাঈন অনলাইন মাদ্রাসা কতৃক আয়োজিত কুরবানী প্রোজেক্ট এ। উক্ত প্রোজেক্ট এ রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে ৩ টি উত্তম সাদাকায় আপনিও যুক্ত হতে পারেন....................
✅ উত্তম সাদাকা ও কুরবানি প্রজেক্ট।
✅ উত্তম ইলম ও আমলের পরিকল্পনা।
✅ জনকল্যান।
তাই আর দেরি না করে উত্তম বিনিয়োগে আজই যুক্ত হতে রেজিস্ট্রেশন করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার সাদাকা আমরা পৌঁছে দিব সমাজের অসহায়,দুস্থ ও মাসাকিনদের মাঝে।
তারিখঃ ০৮ই জুন, ২০২৪ খ্রীঃ
সময়ঃ রাত ৯ টা ৩০ মিনিট ইনশাআল্লাহ।
রেজিষ্ট্রেশন লিংকঃ https://tawhaazinnurain.com/course/online-seminar-on-dulhajj/
[রেজিষ্ট্রেশনের সাথে সাথে প্রাইভেট হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটিতে জয়েন করবেন।]
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
+88025 8880 9270 (10 AM - 10 PM)
01740-433580 (Whatsapp Only)
এছাড়া যেকোনো পরিমাণ অর্থ দিয়ে আপনিও উক্ত কুরবাণী প্রজেক্টে অংশ নিতে পারেন। সেটা হতে পারে হাজার টাকা বা লক্ষ টাকাও!
আপনার প্রেরিত অর্থ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরবানিকৃত পশুর সম্পূর্ণ অংশ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হবে ইন শা আল্লাহ।
কুরবাণী প্রজেক্টে অংশ নিতে নিন্মোক্ত নম্বরগুলো আপনার অর্থ পাঠান।
bKash, Nagad
01763002627
রেফারেন্সঃ Qurbani
Rocket, Nagad, bKash
01765922612
রেফারেন্সঃ Qurbani
ব্যাংক অ্যাকাউন্টঃ
Islamic Bank Bangladesh PLC
Branch: Rangpur
Acc Name: Md Fakhrul Alam Yamin
Acc no: 20501170204403412
উপরে উল্লেখিত নম্বর ছাড়া অন্য কোনো নম্বরে আপনার সহায়তা পাঠিয়ে প্রতারণার স্বীকার হবেন না।
প্রয়োজনে যোগাযোগের নম্বরঃ 01315188248 (WhatsApp Only)
[বিঃদ্রঃ সাদাকায়ের জন্য পাঠানো অর্থ রেজিষ্ট্রেশন ফি হিসেবে গণ্য হবে না।]
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে বছরের শ্রেষ্ঠ এই দশটি দিন সুস্থতার সাথে ভরপুর আলমে কাটানোর তাওফিক দান করুন আমিন। আল্লাহুমা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদ ওয়া সাল্লিম। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
আল্লাহ মুজাহারার গুনাহ মাফ করেন না।
🟥 মুজাহারা কী? জেনে নিন বিস্তারিত।
মুজাহারা হল এমন কোনো পাপ, যা প্রকাশ্যে করা হয় অথবা গোপনে পাপ করার পরে তা সকলের কাছে প্রকাশ করে দেওয়া হয়।
রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
আমার উম্মাহ'র প্রত্যেক মুসলিমই বিচার দিবসে রক্ষা পাবে শুধুমাত্র একটি দল ছাড়া। তারা হল যারা নিজেদের পাপকে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়!
এরপর তিনি বিষয়টা ব্যাখ্যা করেন, মুজাহারা হল এটাই যে, যেমন এক ব্যক্তি রাতে কোনো পাপ করে ফেলে এরপর আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তা পর্দা (গোপন) দিয়ে দেন এবং তাকে অপমান করেন না। কিন্তু এর পরদিন সে মানুষকে বলে বেড়ায়, "গতরাতে আমি এটা এটা করেছি!
আল্লাহ তাকে এবং তার পাপকে গোপন রাখে,
কিন্তু সে আল্লাহর দেওয়া পর্দাকে ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
এটাই হলো মুজাহারা! 💔
Monday | 09:00 - 16:00 |
Tuesday | 09:00 - 16:00 |
Wednesday | 09:00 - 16:00 |
Thursday | 09:00 - 16:00 |
Saturday | 09:00 - 16:00 |
Sunday | 09:00 - 16:00 |