শেখ এনাম সাব❣️
Umme Tasfi-উম্মে তাসফি
Nearby schools & colleges
Gajgaha Molla Bari Sorok, Faridpur
Dhaka
Rangpur, Rangpur
Sunamganj 3070
Jessore 7400
Rangpur 5460
Mirpur Dohs, Dhaka
Dhaka
East Box Nagar, Sarulia, Demra
Narayanganj 1430
Pabna 6600
Cox's Bazar To Chittagong Highway, Cox's Bazar
Dhaka, Dhaka
Dhaka, Savar
Jamalpur Sadar Upazila 2000
When Love is for The Sake of Allah it Never Dies.
ভালবাসা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়;তা মরে না
তাসফির ট্রেন ভ্রমণ...
ইংরেজিতে C এবং G এর উচ্চারণ কী হবে?
আসুন একটু জেনে নেই।
→ইংরেজিতে C এর উচ্চারণ কখন 'স' এবং কখন 'ক' হবে!
C এর সফট্ সাউন্ড হলো 'স'
C এর হার্ড সাউণ্ড হলো 'ক'
C এর পরে i,e,y এই তিন অক্ষর থাকলে তার উচ্চারণ সফট্ অর্থাৎ স হয়। যেমন: Acid,Fancy,Cell.
C এর পরে i,e,y না থাকলেই ক উচ্চারণ হবে।যেমন : Cameo,Accident.
→ইংরেজিতে G এর উচ্চারণ কখন 'জ' এবং 'গ' হবে!
G এর সফট্ সাউন্ড হচ্ছে জ
G এর হার্ড সাউন্ড হচ্ছে গ
G এর পরে i,e,y এই তিন অক্ষর থাকলে তার উচ্চারণ সফট্ অর্থাৎ জ হয়। যেমন: Agent, Margin, Gym.
G এর পরে i,e,y এই তিন অক্ষর না থাকলে তার উচ্চারণ হার্ড অর্থাৎ গ হবে।যেমন: Glass,Gape,Great.
(সংগ্রহীত)

Photos from Abdul Hi Muhammad Saifullah's post
জাস্টিস তাকী উসমানী সাহেবের স্ত্রীর একটা সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়েছিলো, সেখানে স্বামীর বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন- জীবনে কখনো ওনার স্বামী ওনাকে এক গ্লাস পানি এনে দেওয়ার'ও আদেশ দেননি।
এই বিষয়ে শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানিকে জিজ্ঞেস করা হলে তার জবাব ছিলো;
না চাইতেই যদি হাজির থাকে, তবে আদেশ করতে যাবো কেনো?
এগুলো হাজার বছর আগের রূপকথা নয়! এই দম্পতি এখনো জীবিত আছেন।
-
মাশাআল্লাহ তো...💕

স্বামী আরাফাতের ময়দানে সেজদায় লুটিয়ে পড়েছেন।
স্ত্রী ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।
আজকের দিনে এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে!
অনিন্দ্যসুন্দর এই দৃশ্য আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হজ্জ্ব করার তাওফিক দিন।

আগামী ৩ জানুয়ারি আমাদের মাহফিলের সফলতার জন্য সবার কাছে দুআ কামনা করি।

যে বাড়িতে ফজরের নামাজের পর কোরআন পাঠ হয়, সেই বাড়িতে আল্লাহর নেয়ামত বেশি থাকে!'🌸

tasfia siddika tasfi-2
Mahfuj Al Mansur Vedio inro-3
হাটহাজারী মাদরাসায় একদিন
তাসফিয়া সিদ্দিকা তাসফি
মালিক ইবনে দিনার রহ. ও দাসীর চমৎকার এক ঘঠনা। শুনে দেখতে পারেন....
হুজুরের কথা শুনে এক যুবতী অবাক! কেন অবাক! অবাক হওয়ার কারণ জানতে হলে ভিডিওটির শেষ পর্যন্ত দেখুন।
হুজুরের কথা শুনে এক যুবতী অবাক!
কেন অবাক! অবাক হওয়ার কারণ জানতে হলে ভিডিওটির শেষ পর্যন্ত দেখুন।

নারীদের জন্য ৫০টি শরঈ নিষেধাজ্ঞা :
পুরুষ যেমন আল্লাহর বান্দা, নারীও তেমন আল্লাহর বান্দী। পুরুষ যেমন আল্লাহর নেয়ামতরাজি ভোগ করে, তেমনি নারী জাতিও আল্লাহর অগণিত নেয়ামত রাজিতে ডুবে থাকে। এজন্য পুরুষের মতো নারীরাও আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলা আবশ্যক। মৃত্যু, কবর, হাশর নশর, বিচার, মিযান, জান্নাত জাহান্নাম সবই নারীপুরুষ সকলের সামনে রয়েছে। সকলকে কাল কেয়ামতের মাঠে জবাবদিহী করতে হবে। এজন্য নারীপুরুষ সকলকে শরীয়তমতে জীবনযাপন করা জরুরি।
শরীয়তের কিছু বিধিবিধানে নারী পুরুষ উভয়ে সমান। কিছু বিধান কেবল পুরুষের জন্য, নারী সেখানে অংশিদার নয়। আর কিছু বিধান কেবল নারীর জন্য, পুরুষের সেখানে অংশ নেই। এখানে কয়েকটি এমন নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করা হচ্ছে, যা নবীজি বিশেষভাবে নারীজাতিকে সম্বোধন করে বলেছেন। যদিও অনেকগুলো পুরুষেরও পরিহার করার বিষয়। সম্ভবত নারীদের এগুলোতে পতিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, এজন্য তাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর কিছু কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। আর বাকীগুলো বিশুদ্ধ ও আমলযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। একটি আরবী পোস্টের ছায়া অবলম্বনে নতুন বিন্যাসে এখানে পেশ করা হচ্ছে। মূল পোস্টে ছিল ৩০টি। আমরা এখানে একটি ভূমিকা এবং আরও ২০টি যুক্ত করে মোট ৫০টি নিষেধাজ্ঞা পত্রস্থ করছি। আল্লাহ তাআলা কবুল করুন।
নারীদের জন্য ৫০টি শরঈ নিষেধাজ্ঞা
১) শিরক করা।
২) চুরি করা।
৩) ব্যভিচার করা।
৪) সন্তান বা ভ্রুণ হত্যা করা।
৫) যেনার তোহমত বা অপবাদ দেওয়া।
৬) অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করে স্বামীর বলে চালিয়ে দেওয়া।
৭) গায়রুল্লাহর নামে কসম করা।
৮) গায়রুল্লাহর নামে মান্নত করা।
৯) মাথায় আলগা বা পরচুলা লাগানো।
১০) উল্কি অংকন করা বা টেট্টু লাগানো।
১১) দাঁত সরু করা।
১২) ভ্রু প্লপ করা বা তুলে ফেলা।
১৩) ধোঁকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মেকাপ করা।
১৪) সুগন্ধি ও পারফিউম লাগিয়ে বাইরে বের হওয়া।
১৫) পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রকাশ করা।
১৬) ওজর ছাড়া স্বামীর যৌনচাহিদা পূরণে অস্বীকৃতি জানানো।
১৭) স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর কথা অন্যকে বলা।
১৮) স্বামী বাড়িতে থাকাকালে তার অনুমতি ব্যতিত নফল রোযা রাখা।
১৯) স্বামীর অনুমতি ব্যতিত তার সম্পদ খরচ করা।
২০) স্বামীর অবাধ্যাচরণ করা।
২১) কোনো জটিলতা না-থাকা সত্ত্বেও স্বামীর কাছে তালাক প্রার্থনা করা।
২২) স্বামী বা দায়িত্বশীল অভিভাবকের না-শোকরী করা।
২৩) পরপুরুষের সাথে নির্জনবাস।
২৪) পরপুরুষকে দেখা।
২৫) পরপুরুষের সাথে করমর্দন করা।
২৬) আচার-আচরণ বা বেশভূষায় পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণ করা।
২৭) স্বামীর কাছে পরনারীর রূপ-সৌন্দর্য্য বর্ণনা করা।
২৮) পরনারীর সতর দেখা।
২৯) পরনারীর সাথে একই কাঁথার নিচে বস্ত্রহীন ঘুমানো।
৩০) মাহরাম ছাড়া দূরের সফর করা।
৩১) জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া।
৩২) কারও মৃত্যু বা মুসবিতের সময় বিলাপ করা, কাপড়-চোপড় ফাঁড়া বা বুক চাপড়ানো।
৩৩) গীবত করা।
৩৪) চোগলখোরী করা বা একের কথা অন্যকে লাগানো।
৩৫) অন্যের দোষ খোঁজা।
৩৬) অন্যের প্রতি জুলম বা তার ক্ষতি করা।
৩৭) ঝগড়াঝাটি করা
৩৮) অশ্লীল গালমন্দ করা।
৩৯) উঁকি মারা।
৪০) আড়ি পেতে শোনা।
৪১) তিন দিনের বেশি অন্যের সাথে কথা বন্ধ রাখা।
৪২) মৃতের জানাযার সঙ্গে যাওয়া।
৪৩) পুরুষদের ভিড়ে কবর যেয়ারত করা।
৪৪) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা।
৪৫) খোঁটা দেওয়া।
৪৬) গণক ও জ্যোতিষির কাছে গমন করা।
৪৭) সন্তান ও পালিত পশুকে অভিশাপ দেওয়া।
৪৮) কাজের লোকদের ও পোষ্যজন্তুকে কষ্ট দেওয়া।
৪৯) প্রতিবেশিকে কষ্ট দেওয়া।
৫০) কারও মৃত্যুতে তিনদিনের অধিক শোকযাপন করা। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোকযাপন করা ফরয তথা বাধ্যতামূলক।
সুতরাং প্রতিটি মুসলিম নারী এগুলো থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। কারণ, এ গুলোর একেকটি কারণ কোনো নারী জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। ইতিপূর্বে কেউ যদি এগুলোতে কখনো পতিত হয়ে থাকে, তা হলে এখন তাওবা, ইস্তিগফার করা ও ক্ষমা চাওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকা উচিত। তা হলে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে সুসংবাদ রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَ الَّذِیۡنَ اِذَا فَعَلُوۡا فَاحِشَۃً اَوۡ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ ذَکَرُوا اللّٰہَ فَاسۡتَغۡفَرُوۡا لِذُنُوۡبِہِمۡ ۪ وَ مَنۡ یَّغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ اِلَّا اللّٰہُ ۪۟ وَ لَمۡ یُصِرُّوۡا عَلٰی مَا فَعَلُوۡا وَ ہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳۵﴾
اُولٰٓئِکَ جَزَآؤُہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَ نِعۡمَ اَجۡرُ الۡعٰمِلِیۡنَ ﴿۱۳۶﴾ؕ
"আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে পাপ ক্ষমা করবে? এবং তারা যা করে ফেলে, জেনে-বুঝে তারা তা পুনরায় করতে থাকে না।
"এরাই তারা, যাদের প্রতিদান তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতসমূহ যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর আমলকারীদের প্রতিদান কতই না উত্তম!"
(সূরা আলে ইমরান : ১৩৫-১৩৬)
মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাযী
জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া গোয়াছপুর-চুনারুঘাট
তাসফিয়া সিদ্দিকা তাসফি'র ছোটবেলা!
ময়না পাখির সাথে দুষ্টামি...
কুরবানী ঈদের দিন। পাশের বাড়ীর এক আঙ্কেলের বাড়ীতে...
তাসফিয়া সিদ্দিকা তাসফি'র ছোটবেলা...

•• 'ঈদুল আযহা'কে 'বক্বরা ঈদ' বলার কারণ ••
নামাজের বিভিন্ন মাসআলায় বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রাখার সাথে সাথে কুরবানীর বিষয়ে ও চিহ্নিত কথিত সাহীহ হাদীস অনুসারী ভাইয়েরা ফিতনা সৃষ্টি করে চলেছেন।
একজন বাজারী বক্তা ছাগল দিয়ে কুরবানী করা উত্তম প্রমানে আজগুবি এক দালীল পেশ করেছেন। পূর্বকালে এদেশের মানুষ সঠিক কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণ করত, এক গরু সাত অংশ না করে ছাগল দিয়ে কুরবানী আদায় করতেন, এজন্যই নাকি বকরি ঈদ বলা হয়।
মুলত পাকিস্তান ও ভারতের কিছু অঞ্চলে পরিবেশের কারণে গরু প্রতিপালক দুস্কর, এ সব অঞ্চলে বাধ্য হয়েই ছাগল-ভেড়া দিয়ে কুরবানী করা হয়ে থাকে,
এজন্য তারা কুরবানির ঈদকে বকরি ঈদ বলে থাকেন।
তবে আমাদের দেশে ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদকে যে "বকরা ঈদ" বলা হয়ে, তার মুল উর্দু বকরি (ছাগল) নয়, মুল হচ্ছে আরবি শব্দ বাক্বার (গরু)।
আমাদের অঞ্চল হিন্দু শাসকদের অধীনে থাকায় এক সময় গরু জবাই নিষিদ্ধ ছিল, মুসলমানগণ জীবনের ঝুকি নিয়ে তিনটি কারণে গরু কুরবানী করতেন।
১. গরু যে এক সাধারণ জন্তু তা প্রমাণ করার জন্য,
যদি গরু হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী গো দেবতা হত, তা হলে তো নিজেকে রক্ষার সামর্থ রাখত, গরু জবাই করে গরু পুজারীদের বিশ্বাসের আসারতা প্রমাণ করা হত।
২. হিন্দু বিশ্বাসের প্রভাবে অনেক মুসলমান ও গরুকে সম্মান করত, এ বিশ্বাস অপনোদনের জন্য।
৩. গরু কুরবানী ছাগলের চেয়ে সাশ্রয়ী ছিল, এক গরু সাত অংশ করে কুরবানী দেয়া হত।
ঈদুল আযহার বিশেষ আমল কুরবানী যেহেতু এতদঞ্চলে অধিকাংশ গরু তথা বাক্বার দিয়ে দেয়া হত,
এজন্য বাক্বারা ঈদ নামে প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।
আমার ধারণা, সিলেট অঞ্চলের মুসলমানগণ এ নামকরনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছেন, হযরত গাজী বুরহাহ উদ্দিন রহ এর ছেলের আকীকায় গরু জবাই কেন্দ্র করেই সিলেটে ইসলাম এসেছে।
তাই গরু দিয়ে কুরবানী সম্পাদনে সিলেটের মুসলমানদের আগ্রহ বেশি ছিল, এজন্য কুরবানীর ঈদকে তারা বাক্বারা ঈদ বলতেন।
দ্বিতীয়ত আমাদের দেশে এক সময় সাদা গাভী দিয়ে কুরবানী করাকে অভিজাত্যের প্রতিক ভাবা হত, ঢাকায়
কিছু অঞ্চলে এখন ও সে ঐতিহ্য বিদ্যমান আছে।
আরবি ভাষায় গাভীকে বাক্বারাহ বলা হয়, তা থেকে বাকারা ঈদ বলা হতে পারে।
হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমাদের কুরবানী কবুল কর।
-শাহ মমশাদ আহমদ
সুরা ইখলাসের ফজিলত :-
তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াবঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন,
“নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।”
মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
সুরা ইখলাস দশবার পড়ার ফযীলতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।”
দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়া মুস্তাহাবঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।
সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
যে ব্যক্তি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসবে, এই ভালোবাসা তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”
(বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪)

কে সেই কালো মেয়ে?
”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
রাসুলুল্লাহ স.এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য I
এক জায়গায় তিনি দেখলেন, এক লোক কিছু দাস- দাসী নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে I
আব্দুল্লাহ দেখলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, একটা ছোট নয় বছরের কালো আফ্রিকান আবিসিনিয়ার মেয়ে I মেয়েটাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো, একটু রুগ্ন হালকা-পাতলা কিন্তু কেমন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে I তিনি ভাবলেন ঘরে আমেনা একা থাকেন, মেয়েটা পাশে থাকলে তার একজন সঙ্গী হবে। এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন Iমেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন I স্নেহ করতেন I এবং তারা লক্ষ্য করলেন যে, তাদের সংসারে আগের চেয়েও বেশি রাহমাত ও বরকত চলে এসেছে I
এই কারণে আব্দুল্লাহ ও আমেনা মেয়েটিকে আদর করে নাম দিলেন "বারাকাহ"I মাশা আল্লাহ সেই কালো মেয়ে এবার হয়ে গেল বারাকাহ।এবার শুনবেন- বারাকার পুরো গল্প I
তারপর একদিন আব্দুল্লাহ, ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন I আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায় I উনার যাত্রার দুই এক দিন পর আমেনা একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, আকাশের একটা তারা যেন খুব আলো করে তার কোলে এসে পড়লো I
পরদিন ভোরে তিনি বারাকাকে এই স্বপ্নের কথা বললেন I উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন, "আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তানের জন্ম হবে"
আমেনা তখনও জানতেন না তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, বারাকার ধারণাই সত্যি I
আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি, সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন I আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে,বারাকা ছিলেন একমাত্র সবচেয়ে কাছের সঙ্গী Iএকসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয় এবং তিনি জন্ম দিলেন আমাদের প্রিয় নবীকে I
শেখ ওমর সুলাইমানের বর্ণনা অনুযায়ী, সর্বপ্রথম আমাদের নবীকে দেখার ও স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল যে মানুষটির, সে হলো এই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটি I
আমাদের নবী স.কে নিজ হাতে আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন, আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন,
"আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম সে হবে চাঁদের মত কিন্তু এখন দেখছি, সে যে চাঁদের চেয়েও সুন্দর "
এই সেই বারাকা I
'গতরাতে আমাকে একটি বিষাক্ত প্রাণী কামড় দিয়েছে' 'যদি তুমি সন্ধ্যায় এই দুয়াটি পড়ে নিতে, তাহলে সেটি তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারত না'।
একজন সাহাবির কথার জবাবে এমনটাই বলেছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আপনিও পড়ুন, শুধু বিষাক্ত প্রাণী নয়, বরং ক্ষতিকর সকল বস্তু ও বিষয় থেকে আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।
দুয়াটি হলো,
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শার রি মা খালাক্ব।
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যাবলীর দ্বারা আশ্রয় চাচ্ছি সৃষ্টির সকল অনিষ্ট থেকে। (সহিহ মুসলিম)
বহুবিবাহের জাগতিক উপকার
১. এক স্ত্রী প্রেগন্যান্ট বা মিন্স অবস্থায় থাকলে আপনি অন্য স্ত্রীর সাথে নিশ্চিন্তে স্ত্রী সহবাস করতে পারবেন, ফেতনায় পড়তে হবে না।
২. এক স্ত্রী অসুস্থ থাকলে অন্য স্ত্রী রান্নাবান্নাসহ বাসার সব কাজ করতে পারবে। সাথে সুস্থ স্ত্রী অসুস্থ স্ত্রীর সেবা করতে পারবে।
৩. স্বামী অফিস বা ব্যবসার কাজে ব্যস্ততার কারণে রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে সব স্ত্রী মিলে নির্ভয়ে থাকতে পারবে। শত্রু বা তেলাপোকা/টিকটিকি বা ভুতের ভয় থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।
৪. ঘরের কাজকর্ম যেমনঃ ঘর গোছানো, রানাবান্না করা এগিয়ে থাকবে। মিলেমিশে সকল স্ত্রী বোনের মতো বাড়িকে সাজিয়ে রাখবে। ফলে সকলের পরিশ্রম কম হবে।
৫. কোন স্ত্রী শশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে অন্য স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে পারবে। ফলে তার কোন মানসিক উৎকন্ঠা বা ফিতনার ভয় থাকবেনা।
৬. মহিলাদের কাছে দাওয়াতি কাজ করার ক্ষেত্রে বেশি কাজ করা যাবে। একজন মানুষ যদি তিনজনকে দাওয়াত দেয় তাহলে চারজন মিলে বারোজন লোককে দাওয়াত দিতে পারবে।
৭. অধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে সওয়াবও অনেক বেশি হবে। একইভাবে অধিক সন্তান নেবার সুযোগ বেশি পাবে, উম্মাহ শক্তিশালী হবে।
৮. চারজন স্ত্রী থাকলে একেকসময় একেক স্ত্রীর শরীরের স্বাদ নিবে ফলে তার কখনো বাইরের কোনো নারীর প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হবে না। মানসিক প্রশান্তি বেশি হবে। ফলে শরীর ও মন তরতাজা ও সবল হবে এবং আল্লাহর রাস্তায় জীবনকে উৎসর্গ করার অদম্য স্পৃহা সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
৯. একের অধিক স্ত্রী থাকলে প্রত্যেক স্ত্রী স্বামীকে ভালবাসার প্রতিযোগিতা করবে। একে অপরের বেশি ভালবাসায় ঈর্ষান্বিত হবে এবং স্বামীকে সর্বোচ্চ উজাড় করে দেয়ার একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।
১০. অনেকজন স্ত্রী থাকাতে ষোড়শী স্ত্রীও দুই একজন থাকতে পারে। কম বয়সের স্ত্রী থাকাতে পুরুষের যৌবন সর্বদা টগবগে থাকবে। ফলে অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের স্ত্রীদের সাথে যৌন সম্ভোগে কোন দুর্বলতা আসবে না, ফলে সবাই শারীরিকভাবে সুখী থাকবে।
১১. পুরুষ শারিরীক ও মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকলে তার প্রতিদিনের কাজকর্মও সুন্দর হবে, ফলে চাকরি ও ব্যবসায় বরকত হবে।
১২. বর্তমান সমাজে নারীরা অবহেলিত, লাঞ্চিত। বিয়ের সময় কনে পক্ষ হতে বর পক্ষকে যৌতুক দিতে হয়। এমনও দেখা যায় কিছু মেয়ের বাবা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে ভিক্ষাবৃত্তি পর্যন্ত করতে বাধ্য হন। সমাজের সামর্থ্যবান পুরুষরা যদি আল্লাহর আইন মেনে একাধিক বিয়ে করেন তাহলে এই ঘৃণ্যতম যৌতুক প্রথাটি সহজেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।। আপনি কিছুকাল পরে দেখবেন পুরুষেরা নগদ মোহরানা দিয়ে বিয়ে করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগেছে। আর নারীদের সম্মান বৃদ্ধি হবে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমরা বিয়ে করো নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভালো লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি। (আল কোরআন- সূরা নিসা- আয়াত নং ৩)
অনেক নারী চারটি বিবাহকে অধিকার হরন ও জুলুম মনে করেন, যা কুফর এবং কোরআন বিরোধী হওয়ায় ইমান ভঙ্গের কারণ হতে পারে।
এই পোস্টটি করার মাধ্যমে কাউকে একাধিক বিয়ের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে না। যার সামর্থ্য আছে তিনি করবেন আর যার সামর্থ্য নাই তিনি বিরত থাকবেন। আমি যে চারটা বিয়ে করবই বা আপনাকেও করতেই হবে তা নয়। এখানে আল্লাহর একটা বিধানের কী কী সুবিধা তা তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশই আল্লাহর এ বিধানকে ঘৃণা/অসন্তুষ্টির চোখে দেখে। কিন্তু আল্লাহর কোনো বিধান মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর নয় বরং কল্যাণময়। এটা বুঝানোই এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সত্য বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সংগৃহীত ও সম্পাদিত
" সহীহ বুখারীর ১০ টি বৈজ্ঞানিক হাদীসঃ ---------------------------------------
১)নবীজি বলেন,"জ্বর আসে জাহান্নামের তাপ থেকে!সুতরাং,জ্বর কে পানি দ্বারা প্রশমিত কর!
—(সহীহ বুখারী,, খন্ড: ৭:অধ্যায় ৭১:হাদিস ৬২১)
২)নবীজি বলেন,"যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর!কারণ,মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার!
—"(সহীহ বুখারী, 4:54:537)
৩)নবীজি বলেন,কালোজিরা আস- সামস ব্যতিত সর্বরোগের ঔষধ! আয়েশা জিজ্ঞেস করেন,আস- সামস কি?নবীজি উত্তরে বলেন,মৃত্যু!
—— "(সহীহ বুখারী ৭:৭১:৫৯১)
৪)নবীজি বলেন,"যারা রোপ্যপাত্রে পানি পান করে,তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেটপুর্ণ করে!
—-"(সহীহ বুখারী 7:69:538)
৫) নবীজি বলেন,"জাহান্নামের আগুণ আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল,"হে আমার প্রতিপালক, আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে!সুতরাং,তিনি জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেন,একটি শীতকালে (প্রশ্বাস), অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)! এবং এটাই (গ্রীষ্মকলে) প্রখর গরম ও (শীতিকালে) তীব্র শীতের কারণ!
—-"(সহীহ বুখারী 4:54:482)
৬)নবীজি বলেন,"আল্লাহ হাচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!
—-"(সহীহ বুখারী 8:73:242)
৭)নবীজি বলেন,"ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে!কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা,কারণ এতে দুঃস্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
—-"(সহীহ বুখারী 9:87:115)
৮)আব্দুল্লাহ বর্ণিত:এক লোক নবীজির কাছে এসে বলল,সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামায আদায় করতে পারেনি!!নবীজি বললেন:শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে!
—-"(সহীহ বুখারী 2:21:245)
৯)নবীজি বলেন,"তোমরা সুর্যদ্বয় ও সুর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়।
—-"(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৯৪)
১০) নবীজি বলেন,,"যে ব্যক্তি প্রতি সকালে ৭ টি আজওয়া খেজুর খায়,তার ওপর বিষ ও জাদু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা!
——"(সহীহ বুখারী ৭:৬৫:৩৫৬)
।।সংগৃহীত।।
# হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দিন।
গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট ১ মিনিট সময় নিয়ে পড়ুন..!
শাহ আতাউল্লাহ বোখারির কাছে
কিছুলোক এসে ইমাম চাইল❗
তাদের মসজিদের জন্য একজন ইমাম দরকার।
তারা বলল, ‘হযরত!, ভালো একজন ইমাম চাই’।
তিনি বললেন, ‘ভালো ইমাম, যেমন’❓
তারা বলল, ‘ভালো আলেম হবেন। তেলাওয়াত শুদ্ধ হবে। দেখতে সুন্দর ও স্মার্ট হবেন। দুনিয়ার প্রতি মোহ থাকবে না। টাকা-পয়সার প্রতি লোভ থাকবে না। গোনাহ-খাতা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকবেন...’
শাহ সাহেব বললেন, ‘ওয়েট এক মিনিট।
তোমরা আমার কাছে ইমাম চাইতে এসছো, নাকি নবি❓
চাইছো ইমাম, আর কোয়ালিটি যা বলছো, সেগুলো তো নবিদের কোয়ালিটি। এইসব গুণ একসাথে যাদের মধ্যে থাকে, তাদেরকে নবি বলা হয়’।
সব ফুলেরই কাটা আছে। কাটার আঘাত সহ্য করেই ফুলের সুবাস নিতে হয়। আপনি কাটা আঘাত নিবেন না, শুধু ফুলের ঘ্রান নিবেন, তা কি করে হয় !
দোষে গুনে মানুষ❗
ইমাম সাহেবও একজন মানুষ। তাহার দোষ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি কি কখনো একজন ইমাম সাহেবের সাথে নিজের দোষ গুন অনুপাত করে দেখেছেন ❓
মাঝে মধ্যে নিজের দোষের দিকেও তাকিয়ে দেইখেন যে, একজন ইমামের তুলনায় আপনার দোষের পরিমান কত বেশি❓
আবার গুনের দিকেও তাকিয়ে দেইখেন,
আপনার চেয়ে একজন ইমামের গুন কত বেশি।
মহাকাশের তুলনায় গোটা সৌরজগত একটি বালির ১,০০,০০০ ভাগের একভাগ
Musa Al Hafij
(লেখাটি পড়তে পড়তে মাথা ঘুরে যাবে। আল্লাহু আকবার)
হে মুসান্না! তুমি বড় হয়ে এই লেখাটি পড়বে।
তোমার জন্য লিখছি ঢাকায় বসে। ঢাকা বড় এক শহর, বাংলাদেশের রাজধানী।
যখন লিখছি,তখন এর আয়তন ৩০৬ বর্গকিলোমিটার। শহরটি অনেক বড়, কিন্তু এটি আয়তনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র এক অংশ। কেননা সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের আয়তন ১, ৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
( এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন জেগে উঠা প্রায় ১৬০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ এবং ভারত থেকে পাওয়া ২৮,৪৬৭ ও মিয়ানমার থেকে পাওয়া ৭০,০০০ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা। ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য মোট আয়তন প্রায় ২,৪৭,৬৭৭ বর্গ কিলোমিটার )
তাহলে তো বাংলাদেশ বিরাট ব্যাপার!
বাংলাদেশ হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের সামান্য এক অংশ, যার আয়তন ৪,৪৫,৭৯,০০০ বর্গকিলোমিটার। এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর একটি অংশ মাত্র। যে পৃথিবীর আয়তন ৫১,০১,০০,৫০০ বর্গকিলোমিটার!
তাহলে পৃথিবী এতো বড়ো!
হ্যাঁ, পৃথিবী বড়। কিন্তু সে সৌরজগতের নগণ্যতম এক সদস্য। সৌরজগত এতো বিশাল, যাকে কোনো কিলোমিটার এর হিসাবে ব্যক্ত করা কঠিন।
এখানে দূরত্ব মাপার জন্য যে একক ব্যবহার করা হয়,তার নাম এইউ বা এস্ট্রোনোমিকাল ইউনিট। এক এইউ মানে হচ্ছে প্রায় পনেরো কোটি কিলোমিটার!
সৌরজগতের বিশালতা বুঝাতে গ্রহসমূহের দূরত্বের কথা বলা যেতে পারে। ঘন্টায় ১১৫ কিলোমিটার গতির গাড়ি দিয়ে সূর্য থেকে নেপচুনে যেতে প্রায় ৪৬ হাজার বছর লেগে যাবে! আর এই গাড়ী দিয়ে সৌরজগতের দূরবর্তী অংশ ওর্টক্লাউড পাড়ি দিতে লেগে যাবে প্রায় দুই কোটি বছর!
কিন্তু এই সৌরজগত মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র এক অংশ। কারণ মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে রয়েছে এক হাজার কোটি সৌরজগত! এতে আছে সূর্যের মতো প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি নক্ষত্র।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পরিসর প্রায় ৫.৭ট্রিলিয়ন বা ৫৭০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০ মাইল।
কিন্তু মিল্কিওয়ে হচ্ছে গ্যালাক্সিক্লাস্টারের সামান্য এক অংশ। গ্যালাক্সিদের সংখ্যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসাবে প্রায় দুই লাখ কোটি!
একটি গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে থাকে এক থেকে ১২ হাজার গ্যালাক্সি।
গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ছড়িয়ে আছে ৪বিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল বা ৪০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০মাইল ব্যাপী।
গ্যালাক্সি ক্লাস্টার সমূহ সোপার গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের নগণ্য অংশ। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি যে সোপার ক্লাস্টারের সদস্য, তার নাম ভার্গো। এর আয়তন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ!
কিন্তু এ রকম সোপার ক্লাস্টারের সংখ্যা অগণিত। আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বে এমন সোপার ক্লাস্টার আছে প্রায় ১০.২ মিলিয়ন!
এ সব সোপার ক্লাস্টার সোপার সোপার ক্লাস্টার সমূহের নগণ্য অংশ। সেগুলোর উপরে রয়েছে ট্রিপল সোপার ক্লাস্টার!
কিন্তু এগুলো সবই হচ্ছে সেই জগতের বিবরণ, যাকে পর্যবেক্ষণ করা গেছে! কিন্তু পর্যবেক্ষণীয় মহাবিশ্বের চেয়ে প্রকৃত মহাবিশ্ব অন্তত ২৫০ গুণ বিশাল!
কিন্তু যা বলা হলো, তা আসলে না বলারই সমান। কারণ মহাবিশ্ব সম্পর্কে ১০০ ভাগের একভাগেরও কম জ্ঞান লাভ করতে পেরেছে মানবজাতি। কেউ কেউ বলেছেন,সেটা দুই ভাগ হতে পারে। কিন্তু বাকি ৯৮ ভাগ সম্পর্কে কিছুই জানা হলো না, বলা গেলো না!
এ হচ্ছে মহাকাশের মধ্যকার জগত। যে মহাকাশের তুলনায় এই সৌরজগত একটি বালির ১০০০০০ ভাগের এক ভাগও নয়।
কিন্তু সেই মহাকাশের উপরে কী আছে? আরো আছে ছয় মহাকাশ!
সেগুলো আরো আরো বড়। সেখানে কতকিছু আছে? কল্পনা করা যায়?
কেবলই অনুভব করা যায়, কত বিশাল এই সৃষ্টিজগত
এবং প্রিয় মুসান্না, তুমি এ থেকে ভেবে নাও, কত বিশাল এর স্রষ্টা! মহান আল্লাহ, যিনি হচ্ছেন রাব্বুল আলামীন। অর্থাৎ যত জগত আছে, সকল জগতের প্রতিপালক!
|| মাইন্ডফুল ওজু ||
[]ওজু করার সময় যখন আমরা ডান হাত ধুই তখন আমরা মনে মনে দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ আমার এই দুই হাত দিয়ে যেনো কোনো খারাপ কাজ না হয়।
[] কুলি করার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ আমার এই মুখ দিয়ে যেনো কোনো খারাপ কথা,গীবত,পরনিন্দা,চোগলখোরি,মিথ্যা না বের হয়,আমার এই মুখ দিয়ে যেনো তাই বের হয় যা তোমাকে সন্তুষ্ট করে,এই ওজুর পানির মাধ্যমে আমার মুখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ নোংরা বের করে দিন হে রব্ব।
[] নাকে পানি দেয়ার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ এই নাক দিয়ে যেন আমি জান্নাতের সুঘ্রাণ পাই ইয়া রব্ব।
[] মুখে পানি দেওয়ার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ আমার এই মুখকে তুমি কিয়ামতের দিন উজ্জল করে দিও প্রভু একে তুমি অন্ধকারাচ্ছন্ন করিও না মালিক।
[] ডান হাত ধোয়ার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ আমার এই হাতে আমাকে আমলনামা লাভের সৌভাগ্য দান করুন হে রব্বুল আলামীন।
[] বাম হাত ধোয়ার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ আমার এই হাতকে তুমি আমলনামা গ্রহণের দায়ভার থেকে মুক্ত করো মালিক।
[] মাথা মাসেহ করার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ এই ওজুর পানির মাধ্যমে আমার মস্তিষ্ক উর্বর করে দাও যাতে আমার চিন্তাভাবনা আমার পড়ালেখা সবকিছু দিয়ে আমি তোমাকে খুশি করতে পারি,
আমার এই মাথা যেনো দুনিয়া ও আখিরাতে তুমি ছাড়া আর কারো সামনে নত না হয় হে প্রভু।
[] কান মাসেহ করার সময় দুয়া করতে পারি যে হে আল্লাহ আমার এ কান দিয়ে যেনো হারাম গান বাজনা না শুনি,গিবত পরনিন্দা না শুনি আমাকে সাহায্য করুন মালিক।
[] পা ধোয়ার সময় দুয়া করতে পারি যে, হে আল্লাহ আমার এই পা দুটোকে আপনি পুলসিরাত পার হওয়ার সময় দৃঢ় করে দিন যাতে সহজে পার হতে পারি,
আমার এ পা যেনো জান্নাতের স্পর্শ পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করে ইয়া রব্ব, আমার এই পা কে জাহান্নামের স্পর্শ পাওয়া থেকে মাফ করে দিন ইয়া গাফফার!
সুবহানাল্লাহ একবার ট্রাই করে দেখুন কতটা সুন্দর ওজু হয় কতটা নরম দিল হয়,নামাজে কতটা বিনয়ী হওয়া যায় আর আল্লাহ চাইলে ওজু করে আল্লাহর নির্দেশ পালনকালীন দুয়াসমূহ কবুল হয়ে যায় ইনশাআল্লাহ ❤
©
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Website
Address
Madhabpur
Habiganj, 3331
It's a page for sharing techniques of learning English.Nowadays on-line learning is very affordable