Godagari Govt. High School & College

GGHSC

Operating as usual

19/03/2020

লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা
ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালেমিন

-অর্থঃআপনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই।
আমি আপনার পবিএতা ঘোষনা করছি।
অবশ্যই আমি পাপী।
সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত - ৮৮

23/11/2019

পিঁপড়া ইংরেজি ant.....
• সবচেয়ে বড় সাইজের ant কে আমরা কি বলি ?
" Elephant "
• সবচেয়ে মেধাবী ant কে আমরা কি নামে ডাকি ?
" Brilliant "
• স্থায়ী ভাবে যে ant আপনার বাসায় থাকে, তাকে কি নামে ডাকেন ?
" Permanant "
• যে ant সুন্দর পোষাক পড়ে থাকে তার নাম কি ?
" Elegant "
• টাকা পয়সার হিসাব রাখে যে ant ?
" Accountant "
• Ant কে সুস্থ করার জন্য যে ওষুধ ?
" Antibiotic "
• যে ant এর বয়স ১০০ বছরের বেশী ?
" Antique "
• Ant এর টুকরো ?
" Remnants"
• জমাট বাধা ant ?
" Coagulants "
• ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে যে ant ?
" Sergeant "
• দেশের ভিতর বিদেশী ant
" Immigrant "
• মা হতে চলেছে যে ant ?
" Pregnant "
• Ant এর বাচ্চা ?
" Infant "
• পরনির্ভরশীল ant ?
" Dependant "
• আপনাকে খুব জ্বালাতন করে যে ant ?
" Irritant "
• জোড়া বেধে চলে যে ant ?
" Concomitant "
• আপনার সাহায্যকারী ant
" Assistant "
• খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ant ?
" Important "
• সেনাবাহিনীতে চাকরী করে যে ant ?
" Lieutenant "
• নিজের স্বাধীনতার ব্যাপারে সচেতন যে ant ?
" Independant "
• Ant এর খাবার বিক্রি হয় যেখানে ?
" Restaurant "
• তাই প্রতিদিন ভাতের সাথে Ant খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন, কারন তখন আপনার শরীরে থাকবে অনেক
" Antibody "

14/05/2019

শাহ্‌
#ব্যক্তিঃ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ
ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (আরবি: فيصل بن عبدالعزيز آل سعود‎‎ Fayṣal ibn ‘Abd al-‘Azīz Āl Su‘ūd; ১৪ এপ্রিল ১৯০৬ – ২৫ মার্চ ১৯৭৫) ছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দায়িত্বপালন করেছেন। বাদশাহ হিসেবে তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আধুনিকীকরণ ও সংস্কারে সফল হন। তার বৈদেশিক নীতির মূল দিক ছিল প্যান ইসলামিজম, কমিউনিজম বিরোধিতা, ফিলিস্তিনি দাবির সমর্থন।[১][২] তিনি দেশের আমলাতন্ত্রকে সফলভাবে সংহত করেন। সৌদিদের মধ্যে তার শাসন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।[৩] ১৯৭৫ সালে তার ভাইপো ফয়সাল বিন মুসাইদের হাতে তিনি নিহত হন।
#প্রারম্ভিক_জীবন
১৯০৬ সালের ১৪ এপ্রিল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার বাবার তৃতীয় সন্তান। তার মা তারফা বিনতে আবদুল্লাহ বিন আবদুল লতিফ আল শাইখ। ১৯০২ সালে রিয়াদ জয়ের পর আবদুল আজিজ তাকে বিয়ে করেন। ফয়সালের মা ছিলেন আল আশ শাইখ পরিবারের সদস্য যা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের বংশধর। ফয়সালের নানা আবদুল্লাহ বিন আবদুল লতিফ ছিলেন আবদুল আজিজের অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষক ও উপদেষ্টা।
১৯১২ সালে ফয়সালের মা মারা যান। এরপর তিনি তার নানার কাছে প্রতিপালিত হন। নানার কাছে তিনি কুরআন ও ইসলামের মৌলিক বিষয়াদি শিক্ষা করেন। এই শিক্ষা তাকে আজীবন প্রভাবিত করেছে।
ফয়সালের একমাত্র বোন নুরাহর সাথে তার এক চাচাত ভাই খালিদ বিন মুহাম্মদের বিয়ে হয়।
সাহসিকতাকে প্রচুর মূল্য ও সম্মান দেয়া হয় এমন পরিবেশে ফয়সাল বেড়ে উঠেন। অন্যান্য সৎভাইদের তুলনায় এ দিক থেকে তিনি ব্যতিক্রম ছিলেন। তার মায়ের কাছ থেকে তিনি গোত্রীয় নেতৃত্ব বিকাশের উৎসাহ পেয়েছিলেন।
১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার বাদশাহ আবদুল আজিজকে লন্ডন আমন্ত্রণ জানায়। তিনি যেতে না পারায় ১৪ বছর বয়সী ফয়সালকে পাঠানো হয়। যুক্তরাজ্য ভ্রমণে যাওয়া তিনি প্রথম সৌদি রাজকীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সেখানে পাঁচ মাস অবস্থান করেন এবং বিভিন্ন ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করেন। একই সময়ে তিনি ফ্রান্স সফর করেন। রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সে আসা সৌদি রাজকীয় ব্যক্তি হিসেবেও তিনি সর্বপ্রথম।
#প্রাথমিক_অভিজ্ঞতা
বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের জ্যেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম হওয়ায় ফয়সাল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করেছেন। হাইল বিজয় ও আসিরের উপর প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণের পর ১৯২২ সালে তাকে ছয় হাজার যোদ্ধার সাথে এসকল প্রদেশে পাঠানো হয়। বছরের শেষনাগাদ তিনি আসিরের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেন।
১৯২৫ সালে ফয়সাল হেজাজে বিজয় অর্জন করেন। তাকে ও মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজকে ইখওয়ানের দায়িত্ব দেয়া হয়।১৯২৬ সালে ফয়সাল হেজাজের শাসক নিয়োগ পান।শাসনামলে তিনি প্রায়ই স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করতেন।
১৯৩০ সালে ফয়সাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। বাদশাহ হওয়ার পরও এই দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি কয়েকবার ইউরোপ সফর করেছেন। ১৯৩২ সালে তিনি পোল্যান্ড ও ১৯৩৩ সালে রাশিয়া সফর করেন।
#যুবরাজ_ও_প্রধানমন্ত্রী
ফয়সালের বড় ভাই সৌদ বিন আবদুল আজিজ বাদশাহ হওয়ার পর ফয়সালকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাদশাহ সৌদ ব্যয়বহুল কাজে হাত দিয়েছিলেন যার মধ্যে ছিল রাজধানী রিয়াদে প্রান্তে বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ নির্মাণ। মিশরের দিক থেকেও সৌদ হুমকি অনুভব করছিলেন। জামাল আবদেল নাসের ১৯৫২ সালে মিশরের রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করেছিলেন। মিশরে পালিয়ে যাওয়া তালাল বিন আবদুল আজিজ ও তালালের প্রভাবিত প্রিন্সদেরকে নাসের ব্যবহার করতে সক্ষম ছিলেন। সৌদের ব্যয়বহুল নীতির কারণে ও বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে তার অসফলতার জন্য রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য ও উলামারা ফয়সালকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য সৌদের উপর চাপ দেন। এই নতুন অবস্থানে ফয়সাল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যয় কমিয়ে আনেন। অর্থনীতিতে তার এই পদক্ষেপ তার আমলের গুরুত্বপূর্ণ ছাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে।
বাদশাহ সৌদ ও যুবরাজ ফয়সালের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায়। ১৯৬০ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফয়সাল প্রতিবাদ হিসেবে পদত্যাগ করেন। বাদশাহ সৌদ ফয়সালের নির্বাহী ক্ষমতা ফিরিয়ে নেন এবং প্রিন্স তালালকে মিশর থেকে ফিরিয়ে এনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৬২ সালে ফয়সাল রাজপরিবারের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন লাভ করেন এবং দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হন। এসময় যুবরাজ ফয়সাল সংস্কার ও আধুনিকীকরণকারী হিসেবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হন। রক্ষণশীল মহলের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও তিনি নারীশিক্ষার বিস্তার ঘটান। সমস্যা সৃষ্টি না হওয়ার জন্য তিনি ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে নারী শিক্ষার কারিকুলাম লিপিবদ্ধ ও তদারক করান। এই নীতি তার মৃত্যুর অনেক পর পর্যন্ত টিকে ছিল।
১৯৬৩ সালে যুবরাজ ফয়সাল দেশে প্রথমবারের মত টেলিভিশন স্টেশন স্থাপন করেন। তবে মূল প্রচার শুরু হতে আরো দুই বছর সময় লাগে। আর অন্যান্য অনেক নীতির মত দেশের ধর্মীয় ও রক্ষণশীল অংশ এর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল। ফয়সাল তাদের নিশ্চিত করেন যে ইসলামের নৈতিকতার মাপকাঠি কঠোরভাবে মেনে চলা হবে এবং বেশি মাত্রায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
যুবরাজ ফয়সাল ১৯৬১ সালে মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ১৯৬২ সালে তিনি মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। এটি একটি বৈশ্বিক দাতব্য সংস্থা। সৌদি রাজপরিবার এতে বিলিয়ন ডলারের বেশি দান করেছে বলা হয়ে থাকে।
#বাদশাহ_সৌদের_সাথে_দ্বন্দ্ব
এসময় নেপত্থে বাদশাহ সৌদের সাথে ফয়সালের দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। বাদশাহ চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে তার অনুপস্থিতিতে ফয়সাল আরো বেশি ক্ষমতা লাভ করেন। তিনি সৌদের অনেক অনুগতকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে অন্যদের নিয়োগ দেন।[২৮][২৯] নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন তার ভাই ও ভবিষ্যত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ যাকে এসময় ন্যাশনাল গার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়। বাদশাহ সৌদ ফিরে আসার পর ফয়সাল দাবি করেন যাতে তাকে দায়িত্ব দিয়ে সৌদ নিজে আনুষ্ঠানিক অবস্থান গ্রহণ করেন। এসময় ফয়সালের পক্ষে উলামাদের সমর্থন ছিল।
বাদশাহ সৌদ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। ফয়সাল ন্যাশনাল গার্ডকে সৌদের প্রাসাদ ঘিরে ফেলার আদেশ দেন। শেষপর্যন্ত রাজপরিবারের সিদ্ধান্ত ও উলামাদের মতের কারনে সৌদ ক্ষমতা তার ফয়সালকে দিয়ে দেন। ১৯৬৪ সালের ২ নভেম্বর ফয়সালকে বাদশাহ ঘোষণা করা হয়। এরপর সৌদ বিন আবদুল আজিজ গ্রীসে নির্বাসনে যান।
#সৌদি_আরবের_বাদশাহ
ক্ষমতায় আসার পর ফয়সাল একটি ভাষণে বলেন, “আমি আপনাদের কাছে নিবেদন করছি, ভাইয়েরা, আমাকে ভাই ও সেবক হিসেবে আমার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। ‘মহিমা’ (ম্যাজেস্টি) শুধু আল্লাহর জন্য সংরক্ষিত এবং 'মুকুট' হল আসমান ও জমিনের মুকুট।" বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ রাজকীয় পদবির ব্যবহার শুরু করেছিলেন। ফয়সাল সেগুলোর বিস্তার ঘটান। বাদশাহ আবদুল আজিজের সরাসরি বংশধরদেরকে "হিজ রয়েল হাইনেস" ও আবদুল আজিজের ভাই বা সেরূপ সম্পর্কিত হলে তাদের "হিজ হাইনেস" বলে সম্বোধন করার নিয়ম ছিল। আল সৌদের অন্য কোনো শাখার সদস্য হলে "হিজ এক্সিলেন্সি" বলার রীতি ছিল।
১৯৬৭ সালে ফয়সাল দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করেন এবং প্রিন্স ফাহাদকে সেই পদে নিয়োগ দেন।
#অর্থব্যবস্থা
ক্ষমতারোহণের পর ফয়সাল দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারকে প্রধান কর্তব্য হিসেবে গুরুত্ব দেন। শাসনের প্রথমদিকে তিনি তার রক্ষণশীল অর্থনৈতিক নীতি চালু রাখেন এবং দেশের বাজেটে ভারসাম্য রক্ষায় তার লক্ষ্য সফল হয় ও তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
#আধুনিকীকরণ
শাসনের শুরুতে সকল সৌদি রাজপুত্রকে তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর পরিবর্তে দেশের ভেতর লেখাপড়া শেখাতে হবে মর্মে আদেশ জারি করেন। ফলে দেশের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের দেশে এনে লেখাপড়া করাতে থাকে। ফয়সাল দেশের বর্তমান প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোর প্রবর্তন করেন এবং আধুনিক কল্যাণ ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি বিচার মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশে প্রথমবার “পাঁচ বছরব্যপী পরিকল্পনা” শুরু করেন।
১৯৬৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টেলিভিশন প্রচার শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে ফয়সাল নামে তার এক ভাইপো নতুন স্থাপিত টেলিভিশন হেডকোয়ার্টারে হামলা চালালে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়। এই হামলাকারী ফয়সালের ভবিষ্যত হত্যাকারীর ভাই। ফয়সালের হত্যার জন্য এই ঘটনাকে মোটিভ হিসেবে ধরা হয়। দেশের রক্ষণশীল অংশ থেকে তার সংস্কারের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলেও ফয়সাল তার আধুনিকীকরণ চালু রাখেন এবং তার নীতিকে ইসলামের সাথে সংগতিশীল রাখা নিশ্চিত করেন।
#অভ্যুত্থানের_বিরুদ্ধে_পদক্ষেপ
১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে এই অঞ্চলে কয়েকটি অভ্যুত্থান হয়। মুয়াম্মার গাদ্দাফির অভ্যুত্থানের ফলে ১৯৬৯ সালে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া থেকে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ হয়। তাই ফয়সাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেন। তার শাসনের প্রথমদিকে লিখিত সংবিধানের ব্যাপারে দাবি উঠলে তিনি বলেন যে "কুরআন আমাদের সংবিধান" ১৯৬৯ সালের গ্রীষ্মে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে জেনারেলসহ কয়েকশ সামরিক অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়।অভ্যুত্থান মূলত বিমান বাহিনীর অফিসাররা পরিকল্পনা করে এবং তাদের লক্ষ্য ছিল রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে নাসেরপন্থি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। ধারণা করা হয় যে আমেরিকান গোয়েন্দাদের সহায়তায় পরিকল্পনা জানা যায় কিন্তু হুমকি কতটা গভীর ছিল তা স্পষ্ট নয়।
#ধর্মীয়ক্ষেত্র
ফয়সাল তার দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রকে স্বীকার করতেন। তিনি অওয়াহাবিদেরকেও কাছে আনেন। তার শাসন শেষ হওয়ার পর সম্প্রদায়গত বিভাজন বৃদ্ধি পায়। ক্ষমতারোহণে সাহায্য করলেও ফয়সালের ক্ষমতালাভের পর উলামাদের প্রভাব হ্রাস পেয়েছিল। আল আশ শাইখ পরিবারের সাথে মায়ের দিক থেকে সম্পর্ক এবং প্যান আরবিজমের বিপক্ষে থাকা প্যান ইসলামিক আন্দোলনে প্রতি তার সমর্থন থাকলেও তিনি উলামাদের ক্ষমতা ও প্রভাব হ্রাস করেন।[৪০] চরমপন্থি ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের প্রভাব খর্ব করতে তিনি চেষ্টা চালান। তার আধুনিকীকরণে উলামাদের বিরোধিতাকে তিনি উপেক্ষা করে চলেন।
দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন আল মদিনা কলেজ অব থিওলজির রেক্টর আবদুল আজিজ ইবনে বাজ। ফয়সালের সমালোচনার কারণে তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। অনেকে চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়ে পড়ে। এমন অন্যতম চরমপন্থি ছিলেন জুহাইমিন আল ওতাইবি।[৪১]
#দাসপ্রথা_বিলুপ্তি
সৌদি আরবে দাসপ্রথা চালু ছিল। ১৯৬২ সালে জারি করা এক ফরমানে ফয়সাল দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেন। পিটার হুবডের বর্ণনা অনুযায়ী এসময় প্রায় ১৬৮২জন দাস মুক্ত হয় এবং সরকারের খরচ হয় জনপ্রতি ২০০০ মার্কিন ডলার। বিতর্ক রয়েছে যে ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ও বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের মধ্যে আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র দাসপ্রথা উচ্ছেদের বিষয় উত্থাপন করেছিল এবং জন এফ কেনেডি চূড়ান্তভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেন।
#বৈদেশিক_সম্পর্ক
ফয়সাল তার বাবার মত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন এবং সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করেন। ফয়সাল কমিউনিস্ট বিরোধী ছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট ব্লকের অন্য কোনো দেশের সাথে কোনো প্রকার রাজনৈতিক সম্পর্ক তিনি রাখতে রাজি ছিলেন না।[১][৪৩] তিনি জায়নবাদের কঠোর সমালোচক ছিলেন এবং কমিউনিজম ও জায়নবাদকে সম্পর্কিত হিসেবে দেখতেন।[৪৪] যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য পাশ্চাত্য গণতন্ত্রী দেশের সাথে তিনি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে যুক্তরাজ্য সফরে তিনি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে হিরার হার উপহার দেন।
বাদশাহ ফয়সাল আরব বিশ্বের রাজতন্ত্রী ও রক্ষণশীল আন্দোলনকে সমর্থন দেন। তিনি সমাজতন্ত্র ও আরব জাতীয়তাবাদি প্রভাব বিরোধী ছিলেন ও প্যান ইসলামিজমকে এর বিকল্প হিসেবে দেখতেন। শেষের দিকে তিনি মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন এবং এর পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কয়েকটি মুসলিম দেশে ভ্রমণ করেন। প্যান আরবিজমের সমর্থক না হলেও ফয়সাল আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সৌহার্দের আহ্বান অব্যাহত রাখেন।
১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফয়সাল মরক্কোর রাবাতে একটি সম্মেলন আহ্বান করেন। এক মাস আগে আল আকসা মসজিদে হামলার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই সম্মেলন ডাকা হয়। ২৫টি মুসলিম রাষ্ট্রের নেতারা এতে অংশ নেন। এতে ১৯৬৭ সালে অধিকৃত অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দিয়ে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এই সম্মেলনে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭০ সালে নাসেরের মৃত্যুর পর ফয়সাল মিশরের নতুন রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাতকে কাছে আনেন। আনোয়ার সাদাত নিজেও সোভিয়েত প্রভাব থেকে বের হয়ে আমেরিকাপন্থি শিবিরে যোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। ১৯৭৩ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের কারণে ফয়সাল আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহ প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে তেলের মূল্য বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনা তার কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য ছাপ রেখেছে এবং বিশ্বব্যপী আরবদের মধ্যে তার জন্য মর্যাদা বয়ে আনে। ১৯৭৪ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ম্যান অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে। সংকটের ফলে তেলের মূল্যবৃদ্ধি তার মৃত্যুর পর সৌদি আরবের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। তেল থেকে পাওয়া নতুন মুনাফা ফয়সালকে ছয় দিনের যুদ্ধের পর মিশর, সিরিয়া ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে সহায়তা বৃদ্ধিতে সক্ষম করে। সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে ফয়সালের তেল প্রত্যাহার করার কারণে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়। উল্লেখ্য তার হত্যাকারী অল্পকাল পূর্বেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে আসে।
ব্যক্তিগত জীবন
ফয়সাল চারবার বিয়ে করেছিলেন। তার তিনজন স্ত্রী প্রভাবশালী সুদাইরি, আল জুলুয়ি ও আল সুনায়েন পরিবারের সদস্য।
তার প্রথম স্ত্রী সুলতানা বিনতে আহমেদ আল সুদাইরি। তিনি সুদাইরি পরিবারের সদস্য ছিলেন।
দ্বিতীয় ও সবচেয়ে বেশি পরিচিত স্ত্রী ছিলেন ইফফাত আল সুনায়েন। তিনি তুরস্কে জন্মগ্রহণ করেন ও সেখানে বড় হন। তিনি ছিলেন ১৮১৮ সালে মিশরীয় বাহিনী কর্তৃক ইস্তানবুল বা কায়রো নিয়ে যাওয়া আল সৌদ পরিবারের বংশধর। ১৯৩২ সালের দিকে তুরস্কে ফয়সালের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় তাদের দেখা হয়। তারা জেদ্দায় ফিরে আসেন এবং সেখানে ১৯৩২ সালে তাদের বিয়ে হয়।ফয়সালের অনেক সংস্কার, বিশেষত নারীদের নিয়ে সংস্কারে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রভাব ছিল।
তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন আল জাওহারা বিনতে সৌদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ আল কাবির। তাদের মেয়ের নাম মুনিরা। জাওহারা ছিলেন ফয়সালের আত্মীয়া নুওরা বিনতে আবদুর রহমানের মেয়ে। ১৯৩৫ সালের অক্টোবর তারা বিয়ে করেন।
চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন হায়া বিনতে তুর্কি বিন আবদুল আজিজ আল তুর্কি। ইনি জুলুয়ি গোত্রের সদস্য ছিলেন।তাদের ছেলে হলেন প্রিন্স খালিদ।
অন্যান্য সৌদি বাদশাহদের ছেলেদের চেয়ে ফয়সালের ছেলেরা ব্যতিক্রমী শিক্ষা পেয়েছিলেন। সৌদি সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে তারা দায়িত্বপালন করেছেন। প্রিন্স খালিদ আসির প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। তিন দশক তিনি এই দায়িত্বপালন করেছেন। এরপর তিনি মক্কা প্রদেশের গভর্নর হন। সৌদ বিন ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন। প্রিন্স তুর্কি সৌদি গোয়েন্দাবিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন এবং যুক্তরাজ্য ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।
ফয়সালের মেয়ে লুলুওয়াহ বিনতে ফয়সাল সৌদি আরবের একজন নারী শিক্ষাকর্মী। ১৯৬২ সালে তার মেয়ে প্রিন্সেস সারা বিনতে ফয়সাল আল নাহদা নামক দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠান উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম চাইলট প্রাইজ ফর হিউমেন রাইটস অর্গানাইজেশন নামক পুরস্কার পায়।
ফয়সাল ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
#হত্যাকান্ড
১৯৭৫ সালের ২৫ মার্চ ফয়সালের উপর তার সৎ ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল বিন মুসাইদ গুলি চালায়। হামলাকারী এর অল্পকাল আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরে। মজলিসে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শাসকের সাথে নাগরিকদের সাক্ষাত ও আবেদন জানানোর সুযোগ থাকে।
ওয়েটিং রুমে ফয়সাল কুয়েতি প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলছিলেন। তারাও ফয়সালের সাথে দেখা করার অপেক্ষায় ছিল। এসময় হামলাকারী তার দিকে এগিয়ে এসে গুলি চালায়। প্রথম গুলি তার চিবুকে লাগে ও দ্বিতীয় গুলি তার কান ঘেষে চলে যায়। একজন রক্ষী তার খাপবদ্ধ তলোয়ার দিয়ে হামলাকারীকে আঘাত করে।হামলাকারীকে হত্যা না করার জন্য তেলমন্ত্রী আহমেদ জাকি ইয়েমেনি বারবার চিৎকার করতে থাকেন।
বাদশাহ ফয়সালকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় তিনি বেঁচে ছিলেন। হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হলেও তা ব্যর্থ হয় এবং ফয়সাল অল্পসময় পর মারা যান। হামলার আগে ও পরে হামলাকারী শান্ত ছিল বলে জানা যায়। হত্যার পর তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়।
ভাই খালিদ বিন মুসাইদের হত্যার বদলা নেয়ার জন্য ফয়সাল বিন মুসাইদ এই কাজ করেছেন বলে একটি মত রয়েছে। বাদশাহ ফয়সাল দেশে আধুনিক সংস্কার করছিলেন। এসবের ফলে অনেকেই তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। প্রিন্স খালিদ বিন মুসাইদ তাদের অন্যতম। টেলিভিশন ভবনে হামলা করার সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে তিনি মারা যান।
প্রিন্স ফয়সাল বিন মুসাইদকে হামলার পরপর গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে মস্তিস্কবিকৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে বিচারে সৌদি চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তাকে সুস্থ ঘোষণা করে। বিচারে তার মৃত্যুদন্ড হয় এবং রাজধানী রিয়াদে প্রকাশ্যে তার শিরশ্ছেদ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৮ জুন এই দন্ড কার্যকর করা হয়। এসময় হাজারের বেশি জনতা উপস্থিত ছিল।
মৃত্যুর পরের দিন ২৬ মার্চ ফয়সালের লাশ রিয়াদের আল আউদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় তার উত্তরসুরি ও ভাই খালিদ বিন আবদুল আজিজ কেঁদে ফেলেছিলেন।
#স্মৃতিচিহ্ন_ও_অবদান
মৃত্যুর ফয়সালের পরিবার কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।
গায়ক রবার্ট হান্টার ১৯৭৫ সালে ব্লুস ফর আল্লাহ এলবামে বাদশাহ ফয়সালের প্রশংসা করেছেন। ২০১৩ সালে আলেক্সেই ভাসিলেভ কিং ফয়সাল অব সৌদি আরাবিয়া: পারসোনালিটি, ফেইথ এন্ড টাইমস নামক জীবনী প্রকাশ করেছেন।
#পাকিস্তান
1️⃣বাদশাহ ফয়সালের সম্মানে ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর লায়ালপুরের নাম বদলে ফয়সালাবাদ রাখা হয়।
2️⃣ইসলামাবাদের ফয়সাল মসজিদও তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। করাচির প্রধান হাইওয়ের নাম শাহরায়ে ফয়সাল ও করাচি বিমানবন্দরের নিকটে শহরতলীর নাম শাহ ফয়সাল কলোনি রাখা হয়েছে।
3️⃣করাচিতে অবস্থিত পাকিস্তানের প্রধান দুটি বিমানঘাটির একটির নাম ফয়সালের সম্মানে “পিএএফ বেস ফয়সাল” রাখা হয়েছে।

21/04/2019

আপনার সংগ্রহে থাকা এই স্কুলের পুরোনো কোনো ছবি, গল্প, স্মৃতি অথবা মজার কোনো কাহিনী যা মনে হইলে আপনি নস্টালজিক হয়ে যান,আছে কি এমন কোন কাহিনী? তাহলে এইখানে শেয়ার করুন।
আমরা জানতে চাই আপনার কথা।
~~~~~~~~~~~~~~
[ আমাদের মেসেজ পাঠান ]

03/01/2019

Happy New Year
& Best of luck to our SSC & HSC Candidates :)

22/09/2018

আজ থেকে শুরু করুনঃ
পড়তে বসলেই ১০ মিনিটের মধ্যে ঘুম আসে ? কেন?
সমাধান:

❐উজ্জ্বল আলোয় পড়তে বসুন । দিনের বেলা যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলোর জন্য জানালা এবং দরজা খোলা রাখুন। রাতের বেলা টেবিল ল্যাম্প ইউজ করতে পারেন। কম আলোয় কখনো পড়বেন না।

❐কোনো কিছুতে ১০-১৫ মিনিটের বেশি একটানা মনযোগ ধরে রাখা কঠিন । সেটা বিরক্তিকর হলে আরও কঠিন। ১০ মিনিট পর পর ১-২ মিনিটের ব্রেক দিন। দিনের বেলা হলে বেলকোনির আলো বাতাস খেয়ে আসুন। রাতের বেলা হাত এবং মাথা ঘুরিয়ে নাড়ুন। এবং বেশি বেশি পানি পান করুন।

❐অবশ্যই বিছানায় পড়তে বসবেন না। পুরো শরীর রেস্টে চলে গেলে বাকি আর চোখেরও রেস্ট নিতে ইচ্ছে করবে। এজন্য চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন।
(অনেকে বিছানায় পড়তে সাছন্দ্য পান। তাদের ক্ষেত্রে যেই জায়গায় তারা উপযোগী সেইখানে পড়া উচিত কিন্তু চেয়ার টেবিল বেষ্ট এতে আপনার পড়ার প্রতি তীব্র ইচ্ছা ও আগ্রহ বাড়বে)

৪। শব্দ করে পড়লে ঘুম আসার সম্ভাবনা একবারেই কমে যাবে। মনে মনে পড়তে গেলে ঘুম বেশি আসে।
(কিন্তু শব্দ করে পড়লে আপনি মিনিট এ ১৫০ টির মত শব্দ উচ্চারণ করতে পারবেন কিন্তু নিশ্চুপ ভাবে পড়লে ২৫০+ তাই রিভিশানের ক্ষেত্রে চুপ করে পরাই বেটার)

৫।সারাদিন ঘরে বসে থাকবেন না । মাঝে মাঝে বাইরে বের হোন প্রাকৃতিক আলো বাতাসে।

৬।পড়া শুরু করার আগে নিয়মিত চা কফি খান। প্রয়োজনে অপ্রোয়োজনে বেশি চা কফি খেলে ইফেক্ট কমে যেতে পারে।

৭। মোটিভেশন অনেক দরকার । আপনি কেন পড়বেন বা পড়ছেন , সেটা মাথায় এনে প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়ুন।
৮.স্টিকি নোট/পেন্সিল/কলম দিয়ে দাগিয়ে দাগিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার ইন্দ্রিয় সক্রিয় থাকবে ও পেশীগুলাও সতেজ থাকবে!

সর্বশেষ , পড়াশোনা মানসিক সাধনার ব্যাপার। ভোগের জিনিষ থেকে নিজেকে দূরে রেখে চেয়ার টেবিলে বই নিয়ে বসে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। এত সহজ এবং আনন্দদায়ক হলে সবাই ভাল রেজাল্ট করতো। সেক্ষেত্রে এর কোনো বিষেশত্ব থাকতো না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে পড়বেন , আপনি সফল হবেন। না পারলে কোনো উপদেশই আপনার জন্য কাজে আসবে না।
Collected

28/08/2018

#1
প্রতিদিন ঘুমান গড়ে সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা। বেশি সময় নয়, ভালভাবে ঘুমানোই বড় কথা।মোবাইল সাইলেন্ট করে আর ল্যাপটপ দূরে রেখে ঘুমাবেন।
#2
মোবাইলের ড্রাফ্টসে কিংবা একটা নোটবুকে আপনার মাথায় বিভিন্ন মুহূর্তে যে ভাল কথা কিংবা চিন্তাভাবনা আসে, তা লিখে রাখবেন।সাধারণত সুন্দর চিন্তাগুলি দুইবার আসে না।
#3
প্রতিদিন ৩০ মিনিট নিয়ম করে কোন একটা মোটিভেশনাল বই পড়ুন কিংবা লেকচার শুনুন। এ সময় নিজের ইগোকে দূরে রাখবেন।
#4
কোন সময় মন যদি খুব অশান্ত হয়ে যায়, এবং কিছুতেই সেটাকে শান্ত করা না যায়, তবে ১০ মিনিট হাঁটুন আর হাঁটার সময় নিজের পদক্ষেপ গুনুন। আরেকটা কাজ করতে পারেন। সেটি হল, মাথা থেকে সমস্ত চিন্তা বের করে দিয়ে মাথাটাকে সম্পূর্ণ ফাঁকা করে দিয়ে চুপ করে ১০ মিনিট আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা।
#5
প্রতিদিন সকালে উঠে সেদিন কী কী কাজ করবেন, সেটি একটা কাগজে ১০ মিনিটে লিখে ফেলুন। কাগজটি সাথে রাখুন। আগের দিনের চাইতে অন্তত একটি হলেও বেশি কাজ করার কথা লিখবেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিলিয়ে নিন, সবগুলি করতে পেরেছেন কিনা।
#6 যে কাজটা করা দরকার, সে কাজে জেদি হওয়ার চেষ্টা করুন। কাজটার শেষ দেখে তবেই ছাড়ুন।
#7
যিনি আপনাকে তার জীবনে অপরিহার্য মনে করেন না, তাকে আপনার জীবনে অপরিহার্য মনে করার বাজে অভ্যেস থেকে সরে আসুন।যে আপনাকে ছাড়াই সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছে তার জন্যে দম আটকে মরে যাওয়ার মানে হয় না।আপনি কত সময় ধরে তার সাথে ছিলেন, সেটা বড় কথা নয়;বরং সামনের সময়টাতে কত বেশি তাকে জীবন থেকে ডিলিট করে থাকতে পারবেন, সেটাই বড় কথা।
#8
খুব দ্রুত পড়ার অভ্যাস করুন। পড়ার সময় কীভাবে অপ্রয়োজনীয় অংশগুলিতে চোখ বুলিয়ে যেতে হয়, সেটা শিখুন। প্রয়োজনীয় অংশগুলি দাগিয়ে দাগিয়ে বারবার পড়ুন। এতে আপনার পড়ার সময় কমে যাবে।
#9
আপনার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকান। দেখবেন, কিছু কিছু বিষয়ে স্রষ্টার অনুগ্রহে আপনি অনেক বিপদ কিংবা দুর্ভাগ্য থেকে বেঁচে গেছেন এবং ভাল আছেন।ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুকরিয়া আদায় করে ঘুমান।
#10
বিভিন্ন মোটিভেশনাল বই,বিভিন্ন গ্রেটম্যানদের বায়োগ্রাফি,বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থএসব বই পড়ার সময় অবশ্যই বিশ্বাস করে পড়তে হবে। যদি আপনি পৃথিবীতে সবকিছুই যুক্তি দিয়ে বিচার করেন, তবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। তবে বইগুলিতে যা যা আছে, সেগুলির মধ্য থেকে আপনার দরকারি জিনিসগুলিকেই গ্রহণ করুন।
#11
মাসে অন্তত দুইদিন রোযা রাখুন। রোযা মানসিক শক্তি বাড়ায়, সহনশীল এবং বিনীত হতে শেখায়।
#12
ব্যাগে অন্তত একটি ভাল বই রাখুন আর সুযোগ পেলেই পড়ুন। মোবাইলেও পিডিএফ আকারে বই রাখতে পারেন।
#13
প্রতিদিন অন্তত একজন ব্যক্তিকে সাহায্য করুন কিংবা ক্ষমা করে দিন। এতে আপনার নিজের প্রতি সম্মানবোধ বাড়বে। নিজেকে সম্মান করুন সবচাইতে বেশি।
#14
সপ্তাহে একদিন বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভোর হওয়া দেখুন। এটি আপনার ভাবনাকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
#15
একটা সহজ বুদ্ধি দিই : অন্য মানুষকে সম্মান করে না, এমন লোকের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। উদ্ধত লোকের কাছ থেকে তেমন কিছুই শেখার নেই।
#16
নিজের চারিদিকে একটা দেয়াল তৈরি করে রাখুন। সে দেয়ালেঘেরা ঘরে আপনি নিজের মতো করে নিজের কাজগুলি করার জন্য প্রচুর সময় দিন। এতে আপনি অন্যদের চাইতে একই সময়ে বেশি কাজ করতে পারবেন। সবাইকেই সময় দিলে আপনি নিজের কাজগুলি ঠিকমতো করতে পারবেন না।
#17
প্রতিদিন একটা ভাল বইয়ের অন্তত ৩০ পৃষ্ঠা না পড়ে ঘুমাতে যাবেন না। ফেসবুকিং করার সময় বাঁচিয়ে বই পড়ুন। বই পড়ে, এমন লোকের সাথে মিশুন। যে ছেলে কিংবা মেয়ে বই পড়ে না, তার সাথে প্রেম করার কিছু নেই। আর যদি ভালবেসেই ফেলেন, তবে তাকে বইপড়া শেখান।
#18
আপনার চাইতে কম মেধা আর বুদ্ধিসম্পন্ন লোকজনের সাথে সময় কম কাটান। তবে কখনওই তাদেরকে আঘাত করে কোন কথা বলবেন না। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাথে একবার কথা বলা ২০টা বই পড়ার সমান। ভুল লোকের সাথে সময় কাটানোর চাইতে একা একা থাকা ভাল।
#19
প্রতিদিন আপনি যতটুকু কাজ করতে পারেন, তার চাইতে কিছু বাড়তি কাজ করুন।
#20
সপ্তাহে একদিন ঘড়ি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে একেবারে নিজের মতো করে সময় কাটান। সেদিন বাইরের পুরো দুনিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন এবং যা যা করতে ভাল লাগে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে করা হয় না, সেসব কাজ করে ফেলুন।
#21
আপনি সম্মান করেন কিংবা পছন্দ করেন, এমন কোন ব্যক্তির ১০টি ভাল গুণ কাগজে লিখে ফেলুন। এরপর আপনি বিশ্বাস করুন যে, সে গুণগুলি আপনার মধ্যেও আছে এবং যতই কষ্ট হোক না কেন, সে গুণগুলির চর্চা করতে থাকুন। উনি যেরকম, সেরকম হওয়ার অভিনয় করুন। উনি যেভাবে করে কাজ করেন, একই স্টাইলে কাজ করুন। এ কাজটি ২ সপ্তাহ করে দেখুন, নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
#22
অন্যরা করার আগেই নিজেই নিজের বাজে দিকগুলি নিয়ে মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে ঠাট্টা করুন। এতে করে আপনার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।
#23
প্রতিদিনই এমন দুটি কাজ করুন, যেগুলি আপনি করতে পছন্দ করেন না। করার সময় বিরক্ত লাগলেও থেমে যাবেন না। যেমন, এমন একটি বই পড়তে শুরু করুন, যেটি আপনার পড়া উচিত কিন্তু পড়তে ইচ্ছা করে না। কিংবা এমন একজনকে ফোন করুন যাকে ফোন করা দরকার কিন্তু করা হয়ে ওঠে না। কিংবা বাসার কমোডটি পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে করে আপনার দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা বাড়বে।
#24
আপনি যেমন হতে চান, তেমন লোকের সাথে বেশি বেশি মিশুন। খেতে পছন্দ করে, এমন লোকের সাথে মিশে আপনি ওজন কমাতে পারবেন না।
#25
দিনে একবার টানা ৩০ মিনিটের জন্য মৌন থাকুন। ওইসময়ে কারোর সাথেই কোন কথা বলবেন না। খুব ভাল হয় যদি চোখ বন্ধ করে পুরোনো কোন সাফল্যের কিংবা সুখের কোন স্মৃতির রোমন্থন করতে পারেন। এটা মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
#26
প্রায়ই ভাবুন, আপনি এই মুহূর্তেই মারা গেলে আপনার পরিবারের বাইরে আর কে কে আপনার জন্য কাঁদবে। ওরকম লোকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কী কী করা যায়, ভাবুন এবং করুন।
#27
সকালে ভোর হওয়ার আগে উঠুন।বেশিরভাগ লোকই রাতে জাগে আর গল্প করে সময় নষ্ট করে।ভোরের আগে উঠতে পারলে, আপনাকে বিরক্ত করার কেউ থাকবে না,আপনি পড়াশোনা করা ছাড়া আর তেমন কোন কাজই পাবেন না।
#28
কোন একটা কাজ করতে হুট করেই পরিশ্রম করা শুরু করে দেবেন না। আগে বুঝে নিন, আপনাকে কী করতে হবে, কী করতে হবে না। এরপর পরিশ্রম নয়, সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করুন।
#29
পৃথিবীতে কেউই জিরো থেকে হিরো হয় না। আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি কোন ব্যাপারটাতে হিরো হতে চাচ্ছেন। আপনি যে বিষয়টাতে আগ্রহ বোধ করেন না, কিংবা যেটাতে আপনি গুরুত্ব দেন না, সেটাতে সময় দেয়া মানে, স্রেফ সময় নষ্ট করা। আপনি যেটাতে সময় দিচ্ছেন, সেটাই একদিন আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে চেনাবে।
#30
বুদ্ধিমত্তা আর অর্জনের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল নয়। যার যত বেশি বুদ্ধি, সে তত বেশি এগিয়ে, এরকমটা সবসময় নাও হতে পারে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে ভাল রেজাল্ট-করা স্টুডেন্টদের শতকরা মাত্র ২০ ভাগ গ্রেটদের তালিকায় নাম লেখাতে পারে। বাকি ৮০ ভাগ আসে তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি। তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নিজের সাথে লড়াই করে যান।
হ্যাপি লিভিং
সংগ্রহ

14/07/2018

.

03/07/2018

Love yourself enough to never lower your standards for anyone😊😎

17/05/2018

পড়াশোনা দ্রুত মুখস্থ করা ও মনে
রাখার উপায়:
০১. জোরে পড়ুন :
জোরালো কণ্ঠে পড়ুন। জোরে পড়লে
মাথায় তথ্য দ্রুত ঢুকে যায়। যেমন একটি
গান যখন শোনেন, তখন তা দ্রুত মনে
পড়ে। যা পড়ছেন তা কানে প্রবেশ
করলে দ্রুত মুখস্থ হবে।
০২. লক্ষ্য স্থির করুন :
পড়তে বসলে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন।
বইয়ের কত পাতা পর্যন্ত কত সময়ের
মধ্যে শেষ করবেন তা ঠিক করে নিন।
নয়তো মনোযোগ হারাবেন এবং
সময়ের অপচয় হবে।
০৩. নিজেই যখন শিক্ষক :
নিজেই নিজের শিক্ষক হয়ে উঠুন। কি
পড়লেন, কি মুখস্থ করলেন ইত্যাদি
বুঝতে নিজেই শিক্ষকতা পালন করুন।
নিজেই পরীক্ষা দিন এবং তা যাচাই
করুন।
০৪. নোট করুন :
যাই শিখবেন তাই লিখে ফেলুন।
এগুলো নোট করুন। লেখা হলে তা দ্রুত
মাথায় ঢুকে যাবে এবং সহজে ভুলবেন
না।
০৫. ইন্টারনেটের ব্যবহার :
আধুনিক যুগে পড়াশোনার বড় সুবিধা
দেয় ইন্টারনেট। বিভিন্ন টপিক
সম্পর্কে ধারণা নিন। যে বিষয়ে
পড়ছেন তার সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই
হয়তো বইয়ে নেই। এগুলো ইন্টারনেটে
দেখে নিন। এতে ধারণা পরিষ্কার
হবে।
০৬. বিরতি দিন :
একটানা অনেকক্ষণ পড়লে অস্থিরতা
চলে আসবে। এর জন্যে নিয়মিত অল্প
সময়ের জন্যে বিরতি নিন।
০৭. চিউইং গাম :
এটি চিবোতে পারেন। গবেষণায়
দেখা গেছে, চিউইং গাম চিবোতে
চিবোতে পড়লে তা মাথায় দ্রুত
প্রবেশ করে। এ সময় মস্তিষ্কের
কার্যক্রম দ্রুত হয় এবং গামের ফ্লেভার
বেশ উপকারী হয়ে ওঠে।
০৮. হাঁটুন :
বেশ কিছুক্ষণ পড়ার পর ১৫-২০ মিনিট
হেঁটে আসুন। এতে দেহের রক্ত চলাচল
বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম
পাবে।
ধন্যবাদ।

Location

Category

Website

Address


Thana Road
Godagari
6290

Opening Hours

Monday 10:00 - 16:00
Tuesday 10:00 - 16:00
Wednesday 10:00 - 16:00
Thursday 10:00 - 16:00
Sunday 10:00 - 16:00

Other Schools in Godagari (show all)
Goma High  School Goma High School
Godagari

One of the most prestigious and historical high School of Rajshahi District. It gave birth to man

Pirijpur High School,Godagari,Rajshahi Pirijpur High School,Godagari,Rajshahi
Pirijpur High School
Godagari, RAJSHAHI

Pirijpur High School is situated in Pirijpur on the bank of Padma River.This School is a good school