Learn English
The Mind Game
Nearby schools & colleges
Dhaka, Ramna
1000
University of Dhaka
1000
Dhaka, Bangladesh
University of Dhaka
Nilkhet
University of Dhaka
University of Dhaka
Dhaka University Campus
Tsc, Dhaka University
Ramna
University of Dhaka
A platform for spreading positivity and providing inspiration to make a better world. So, The Mind Game is an inspiration.
The page name "The Mind Game" has been chose considering that everything in our lives mostly depend on our perception & thinking.
Operating as usual

টানাপোড়েনের মোমেনা- কামালের সংসারে চার মেয়ে সবাই ডাক্তার।।
#সময়টা১৯৮৩সাল।
আম্মা তখন সবেমাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছেন।
সেই বছরই পারিবারিক অসচ্ছলতায় বিয়ে হয়ে যায় তার।
দাদার বাড়িতে এসে যৌথ পরিবারে কাজের চাপে আম্মার পড়াশোনা একবারে বন্ধ হয়ে যায়।
এরমধ্যে পরিবারের হাল ধরতে বাবা পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে। এক বছর বাদে জন্ম হয় আমার বড় আপার।
বছর দুয়েক পর আমার ছোট আপার (দ্বিতীয় মেয়ে) জন্ম হলে দাদাবাড়ি আম্মার জন্য হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।
প্রতিনিয়ত আম্মাকে শুনতে হতো নানান বঞ্চনা।
পরিবারের ঘানি মুছতে মায়ের বিদেশ পাড়ি: পরিবারের খরচ সামাল দিতে না পারায় আমার বড় দুই বোনকে নিয়ে আম্মাও পাড়ি জমান বাবার কাছে ওমানে। বাবার চাকরির পাশাপাশি আম্মা হোমস্কুলিং শুরু করেন।
দুই জনের আয়ে ভালোই চলত আমাদের সংসার। এর মধ্যে আমি এবং তার দুই বছর বাদে আমার ছোট বোনের জন্ম হলে যেন আমার মায়ের জীবনে নরক নেমে এলো! প্রতিনিয়ত শুনতে হতো, ‘সব মাইয়্যা হলো, শেষ বয়সে দেখবে কে!’ বাড়ি থেকে আব্বার কাছে কল এলেই শুনতে হতো, ‘সবগুলো মেয়ে হলো, মরলে খাটিয়া ধরবে কে!’— এভাবে নানা টিপ্পনী আর কষ্টের মধ্যে আমাদের বড় করতে লাগলেন আম্মা।
ওমানে সে সময় আমাদের খরচ, আবার গ্রামে দাদা-দাদির জন্য খরচ পাঠানোর পর ভালো মানের স্কুলে আমাদের পড়ানোর অবস্থা দিনদিন কঠিন হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে আম্মা তখন সিদ্ধান্ত নেয় আমাদের নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসবেন।
চার কন্যাকে নিয়ে দেশে ফেরা: ১৯৯৫ সালে আম্মা তখন আমাদের চার বোনকে নিয়ে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে গন্তব্য অনিশ্চিত, কোথায় থাকব, কোথায় খাব! কোথাও আমাদের ঠাঁই হলো না।
শেষ পর্যন্ত আম্মা চট্টগ্রাম হালিশহরে ছোট্টা একটা বাসা নেন। সেখানে আবার শুরু হয় আমাদের জীবনযুদ্ধ। বাজার-সদাই থেকে শুরু করে আমাদের পড়াশোনার দেখভাল, সব কিছুই আম্মাকে একই করতে হতো। আমার নানা মাঝেমধ্যে এসে দেখে যেতেন। বড় আপুর বয়স তখন আট আর ছোট বোনের বয়স দুই, আমরা তখন কী যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে জীবন পার করেছি, তা কেবল আমরা জানি আর সৃষ্টিকর্তা জানেন।
দাদাবাড়ির লোকজন কখনো আমাদের খোঁজখবর নিতে আসতেন না। বরং তখন আমার আম্মাকে নানা রকম ভৎসনা শুনতে হতো আত্মীয়স্বজনের। আম্মা মুখবুজে সব সহ্য করে যেতেন আমাদের ডাক্তার বানানোর স্বপ্নে।
তার স্বপ্ন আরো প্রবল হয়, যখন দেখতেন তার মেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভালো করছে। স্কুলে সবার রোল ক্লাসের প্রথম দিকে। ‘মেয়েদের এত পড়িয়ে কী লাভ, এরা তোমার কিছুই করতে পারবে না’ এমন কথা প্রতিনিয়ত শুনতে শুনতে আব্বাও একসময় হাল ছেড়ে দেন।
আমাদের পড়ালেখা বাদ দিতে বলেন।
কিন্তু আম্মা হাল ছাড়েননি।
এদিকে আব্বার শোচনীয় অবস্থা। আমাদের খরচের পাশাপাশি বাড়িতে দাদা-দাদি, ফুফুদের খরচও চালাতে হিমশিম খেতে হতো।
নভেম্বর-ডিসেম্বর বার্ষিক পরীক্ষার পর সবাই যখন গ্রামে বেড়াতে যেত আমরা তখন খুঁজে খুঁজে বৃত্তির পরীক্ষাগুলো দিতাম।
আল্লাহর রহমতে যত জায়গায় পরীক্ষা দিতাম সব জায়গায় বৃত্তি পেতাম। এদিকে ২০০১ সালে পরিবারে পুরোপুরিভাবে বিপর্যয় নেমে আসে।
আব্বা তখন চাকরি হারিয়ে ঘরবন্দি হয়ে যান। একদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ঘরবন্দি, অন্যদিকে দাদুর পাকস্থলীতে জটিল ক্যান্সার ধরা পড়ে।
পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আম্মার স্বর্ণ-গয়নাসহ জমানো সব টাকা খরচ করতে থাকেন দাদুর চিকিৎসায়।
আমাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া উপক্রম।
আম্মা তখন বাবার ২০ বছরে জমানো টাকায় কেনা চট্টগ্রাম হালিশহরে আমাদের থাকার বাড়িটাও বিক্রি করে দেন। মানবেতর জীবনযাপনের মধ্যে আল্লাহর রহমতে চার বছরের মাথায় আব্বা আবার চাকরিটা ফিরে পান।
এভাবে টানাপোড়ন আর কষ্টের মধ্যে কেটে গেল আমাদের উচ্চমাধ্যমিক জীবন।
অবশেষে স্বপ্নপূরণের পথে : ২০০৫ সালে বড় আপা দিনাজপুর সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পান, তখন আত্মীয়-স্বজন নানা কটুক্তি করত, ‘দিনাজপুর মেডিক্যালে পড়ে কী হবে, কত ডাক্তার রাস্তাঘাটে ঘোরে।’ বড় আপা কারও কথা শোনেননি, নিজেই ভর্তি আবেদন থেকে শুরু করে ভর্তি—সব একাই করেছেন।
এরপর ২০০৮-২০০৯ সেশনে মেজো আপা কুমিল্লা মেডিক্যালে, পরের বছর কক্সবাজার মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেলাম আমি। সবশেষে আমার ছোট বোনও ২০১০-২০১১ সেশনে ভর্তির সুযোগ পেল ঢাকা মেডিক্যালে। বড় আপা, মেজো আপা বোর্ডে মেডিক্যাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করতেন অনার্স মার্কসহ। এখন এলাকায় আমাদের নাম-ডাক শুরু হয়ে গেল। একসময় যারা ভৎসনা করত, এখন তারাই গর্ব করে বলে, মোমেনা-কামালের মেয়েরা ডাক্তার।
চার বোনের ঠিকানা এখন যেসব হাসপাতালে: বড় আপা ডা. কামরুন নাহার ২০১৩ সালে গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ পাশ করেন। একই বিষয়ে ২০১৫ সালে এমএসে চান্স পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এরপর এপসিপিএস পার্ট-২-তে উচ্চতর ডিগ্রি নেন ফেটোমেটারন্যাল মেডিসিনের ওপর। মেজো আপা ডা. হুমায়রা তাবাসসুম ২০১৭ সালে বারডেম হাসপাতালে সুযোগ পান এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমে।
সেখান থেকে ২০২১ এ আমার ছোট বোন ডা. নিগার সুলতানাও মেডিসিন বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ পাশ করেন। ২০২২ সালে আমি আর ছোট বোন ইন্টারন্যাল মেডিসিনে একসঙ্গে এমডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মেজো আপা, আমি এবং আমার ছোট বোন আমরা তিন জন একসঙ্গে ৩৯তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত হই।
আমাদের প্রথম পোস্টিং হয় আমাদের দাদা-নানার বাড়ি সন্দ্বীপে।
আমার মা সেখানে আমাদের ফেরত পাঠালেন যেখানে তাকে শুনতে হতো, ‘মেয়েরা পড়াশোনা করে কী হতে পারবে?
বর্তমানে বড় আপা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল হাসপাতালে, মেজো আপা বারডেমে দায়িত্বরত আছেন।
আর আমি এবং ছোটবোন ঢাকা মেডিক্যালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণরত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
সূত্রঃ #দৈনিকইত্তেফাক
#একটা_মেয়ের_এলোমেলো_কথা
আমার শাশুড়ি বলেন আমি তাঁকে নিজের মা বলে কোনোদিন ভাবতে পারিনি l সব সময় দূরের মানুষ ভেবে এসেছি l এই নিয়ে বড় রাগ তার l প্রায়ই অভিযোগ করেন , কথা শোনান l অবশ্য তিনি ভুলও বলেন না কিন্তু l আমি সত্যি তাঁকে নিজের মায়ের মতো মোটেই মনে করি না , যদিও বিয়ে হয়ে প্রথমদিন যেদিন এ বাড়ি এসেছিলাম তিনি এক ঘর লোকের সামনে আমায় বলেছিলেন
' আমায় নিজের মা বলে মনে করবে আজ থেকে' l
আমি বরাবরের ঘুম কাতুরে l দীর্ঘ পঁচিশ বছরে ন'টার আগে বিছানা ছাড়িনি কোনোদিন l মা'ও প্রশ্রয় দিতেন l বলতেন
'ঠিক আছে ঘুমা তুই ' l
বিয়ের ধকল , ক্লান্তি সব মিলিয়ে অবসন্ন ছিলামl তাই বৌভাতের পরের দিন ঘুম থেকে উঠেছিলাম সাড়ে আটটায় l শাশুড়ি কড়া চোখে তাকিয়ে বলেছিলেন
' দীপা , এটা তোমার শ্বশুরবাড়ি l এখানকার কিছু নিয়ম আছে l সাড়ে ছ'টা বাজার পর এ বাড়ির বৌ রা কেউ বিছানায় পড়ে থাকে না l এবার থেকে সাড়ে ছ'টা তে উঠে পড়বে ' l আমি ঘাড় নেড়েছিলাম l
আমার চিরকালের প্রিয় পোশাক লং স্কার্ট আর কুর্তি l মা' ও বলে আমায় নাকি ওই পোশাকে বেশ লাগে lবিয়ের এক মাস পর ছোট মামার থেকে বিয়েতে পাওয়া লং স্কার্ট আর কুর্তি পরে বরের সাথে কোথাও একটা বেরোচ্ছিলাম l শাশুড়ি ডেকে বললেন
' এই ধরণের পোশাক আমাদের পরিবারের বৌ রা পরে না দীপা l এগুলো তুমি আর পরবে না l শাড়ি পরবে বা সালোয়ার কামিজ l না এগুলো একদম নয় ' l আমি আবারও ঘাড় নাড়লাম ওনার কথায় l
রান্নায় কোনোদিন তেমন পটু নই আমি l খুব বেশি ভাল লাগতো না রান্নাবান্না কোনোদিন l ভুল ভাল করে ফেলি সব সময় l মা অনেক বার বুঝিয়েছেন , শুধরে দেবার চেষ্টা করেছেন l কিন্তু তবুও আমি ভালো শিখতে পারিনি l বিয়ের দিন পনেরো পর একদিন মাছ ভাজতে গিয়ে মাছ ভেঙে ফেলেছিলাম l শাশুড়ি গর্জে উঠে বলেছিলেন
' এতো বড় হয়েছে তবু মাছ ভাজতে শেখ নি? নষ্ট করলে তো এতো গুলো মাছ ? মায়ের কাছে কী কিছুই শেখোনি ? একেবারে অপদার্থ তো তুমি দেখছি ' l
সেদিন ওনার রক্তচক্ষু দেখে আমি বড় ভয় পেয়েছিলাম l কাতর গলায় বলেছিলাম
'আর হবে না ভুল l '
রুই মাছের পেটি ভীষণ প্রিয় চিরকাল l আমার মা প্রতিদিন আমার পাতেই দিতেন তাই পেটিটা l এ বাড়িতেও রুইয়ের পেটি আসে l সেগুলো বরাদ্দ থাকে বাড়ির ছেলেমেয়েদের জন্য l বউয়ের জন্য ডিমই থাকে বেশিরভাগ দিন , মাঝে মধ্যে গাদার ছোট পিস্ l একদিন বলেছিলাম শাশুড়িকে আমার পেটি খাবার ইচ্ছার কথা l উনি মুখ বাঁকিয়ে বলেছিলেন
' বউ মানুষের ওতো নোলা ভালো নয় মা l যা দেওয়া হয় তাই সোনামুখ করে খাবে l এটা তো তোমার বাপের বাড়ি নয় ' l
ডিয়ার শাশুড়ি মা , আমি জানি এটা আমার বাপের বাড়ি নয় l আর আমি এও জানি যে আপনি আমার মা নন l মা নন বলেই আপনি আমার কোন শখ আল্হাদের দাম দেন নি l আমার ছোট খাটো ভুল দেখলেই আমি জ্বলে ওঠেন l কারণ আমি আপনার মেয়ে নই , বৌমাl
অন্য বাড়ির থেকে আসা মেয়েটাকে নিজের বলে আপনারা না ভাবতে পারলে কী করে তারা আপনাদের নিজের ভাববে বলুন তো l আপনারা তো বৌমাদের সাথে তাদের মায়ের মতো ব্যবহার করতে পারেন না , তাহলে কেন ছেলের বউ হয়ে আসা মেয়েটি ভাবতে যাবে আপনাকে মা ?
আমি তোমার মায়ের মতো এ কথা মুখে বলা আর সত্যি তার মায়ের মতো হয়ে ওঠা এক নয় l তাই সত্যি যদি চান সংসারে আসা নতুন মানুষটি আপনাকে নিজের ভাবুক , তাহলে আগে আপনি তার নিজের হয়ে উঠুন l
না আমি আপনাকে মা ভাবি না l কারণ আপনিও আমায় মেয়ে ভাবেন না l আগে আমার মায়ের মতো আমায় ভালোবাসুন , তারপর না হয় আমার থেকে এক্সপেক্ট করবেন l পৃথিবীতে একতরফা তো কোনো কিছুই হয়না তাই না !
----- পল্লবী সেনগুপ্ত -----

AI কে বলা হয়েছিল --কিন জং উনকে বার্সার স্ট্রাইকার হিসেবে দেখাতে।।
লে AI এর কিম জং উন🤣🤣🤣

আঙুলের ছাপ দিয়েই খুলে যাচ্ছে মোবাইলের লক, গেটের তালা,অফিসের উপস্থিতি, ফিঙারপ্রিন্ট নিয়েই যাচাই করা যাচ্ছে কে অপরাধী, এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশান সিস্টেম প্রথম কে আবিষ্কার করেছিল জানেন?
তিনি ছিলেন একজন বাঙালী,নাম খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক।বাড়ি খুলনা জেলার কসবার পায়গ্রামে।কাজ করতেন তৎকালীন বেঙল পুলিশে।
ফিঙারপ্রিন্ট নিয়ে অনেকেই আগে কাজ করেছেন কিন্তু এর প্র্যাকটিক্যাল ইউজ কি,কিভাবে যাচাই করা যায়,কিভাবে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায় মানুষকে সেটা প্রথম আবিষ্কার করেন আমাদের দেশের কাজী আজিজুল হক।
ব্রিটিশ আমলে বেঙল পুলিশের আইজি ছিলেন এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি। তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গবেষণার জন্য নিয়োগ করেন দুই বাঙালী প্রতিভাকে, একজন গণিতবিদ কাজী আজিজুল হক, আরেকজন হেম চন্দ্র বোস।
কাজী আজিজুল হক ও হেমচন্দ্র বোস ৭০০০ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলেন। অনেক পরিশ্রম করে একটা গাণিতিক সূত্র দাড়া করলেন যেটা দিয়ে ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই এর মাধ্যমে মানুষ সনাক্ত করা যায়।আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিশাল বড় আবিষ্কার। এই পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল "বোস-হক আইডেন্টিফিকেশান সিস্টেম"। কিন্তু ওখান থেকেই ইংরেজদের বেঈমানী শুরু।
পুলিশের আইজি হেনরী সাহেব এবার সবার কাছে প্রচার করা শুরু করলেন যে এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশন সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন উনি নিজেই। এমন কি কাজী আজিজুল হক-কে কোন রকম স্বীকৃতি দিতেই অস্বীকার করলেন। তিনি চুপি চুপি একটা পেপার পাবলিশ করেও ফেললেন নিজের নামে।ব্যাস, বাংলাদেশের কাজী আজিজুল হক আবিষ্কৃত সিস্টেম এর নাম হয়ে গেল "হেনরী ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"
"হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম " এখন জগৎ বিখ্যাত, মোবাইলের টাচে, অফিসে, অপরাধী সনাক্তকরণে বলতে গেলে যত্ত জায়গায় ফিঙারপ্রিন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে, তত জায়গায় এই হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম-ই ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ করে গেল আমার দেশের সূর্য্য সন্তান, কিন্তু নাম হচ্ছে এক বেঈমান ব্রিটিশ এর।
যদিও কিছুদিন আগে ব্রিটেনের "দ্যা ফিঙারপ্রিন্ট সোসাইটি" চালু করেছে "The Fingerprint society Azizul Huque & Hemchandra Bose prize"।ওদিকে যে সিস্টেমের নাম হতে পারত "হোক-বোস সিস্টেম " তা আজ-ও "হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"-ই রয়ে গেছে।আর অজানায় থেকে গেছেন আমাদের আজিজুল হক।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের এই কদর্য কার্টুনটি ১৮৭৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বসন্তক পত্রিকায়।
কিন্তু কেন?
গ্রামের এক জমিদারবাড়িতে আয়োজন করা হয়েছে প্রকাণ্ড ভোজনের। সকলের পাতে সবেমাত্র পরিবেশন করা হয়েছে ঘিয়ে ভাজা লুচি ও মিষ্টি, এমন সময় অন্দরমহল থেকে দৌড়ে এল একটি ছ সাত বছরের ছোট্ট মেয়ে। তার চুল আলুথালু, পরনে সাদা থান। সরল মুখখানি শুকনো।
“বাবা বাবা, তোমরা লুচি খাচ্ছ? মা’কে বলো না আমাকেও লুচি দিতে!”
সকলের সামনে অপ্রস্তুত জমিদারবাবু করুণ স্বরে বললেন, “ছিঃ আজ একাদশী না। খাবার কথা বলতে নেই, মা। তুমি ঘরে যাও।”
বাচ্চা মেয়েটার চোখ ছলছল করতে লাগল। সে একঝলক চোখ বুলিয়ে নিল সবার পাতের খাবার দিকে। তারপর বাবার কাছে কাঁদোকাঁদো গলায় বলল, “কিন্তু বাবা, আমি সকাল থেকে কিচ্ছু খাইনি। একফোঁটা জলও না। আমার বুঝি খিদে পায় না? তুমি, মা, দাদারা কেউ তো একাদশী করে না? আমাকে কেন করতে হবে? আমার পেটে খুব লাগছে বাবা!”
“তুমি ঘরে যাও মা। এখানে আমরা কাজের কথা বলছি।” জমিদারমশাইয়ের কন্ঠস্বর মেয়ের প্রতি মায়ায় আর্দ্র হয়ে এসেছিল, তবু তিনি দ্রুত নিজেকে সংবরণ করলেন।
একরত্তি মেয়েটার মুখ বাবার প্রত্যাখ্যানে কালো হয়ে গেল, সে ম্লান মুখে ভেতরে চলে গেল।
জমিদারমশাই দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে বললেন, “আপনারা শুরু করুন। দেরি করবেন না। লুচি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।”
কিছুজন ইতিমধ্যেই খাওয়া শুরু করেছেন। একেবারে মধ্যমণি বিদ্যাসাগরের জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা, দেওয়া হয়েছে রুপোর থালা বাটি গ্লাস।
বিদ্যাসাগর বললেন, “আমার শরীরটা হঠাৎ ঠিক লাগছে না। কিছু মনে করবেন না। আমি খাব না। বামুন ঠাকুর, তুমি থালা সরিয়ে নিয়ে যাও।”
জমিদারবাবুর পীড়াপীড়ি না শুনে বিদ্যাসাগর উঠে পড়লেন। সকলে আহারের পর প্রস্থান করলে জমিদারবাবু বললেন, “এবার একটু মিষ্টি মুখে দিন। এখন নিশ্চয়ই একটু সুস্থ লাগছে!”
“শরীর আমার সুস্থই আছে জমিদারমশাই।” বিদ্যাসাগর তেতো মুখে বললেন, “ক্ষত তৈরি হয়েছে আমার মনে। মেয়েদের শিক্ষার জন্য আমি এতকাল ছুটছিলাম, কিন্তু এত বড় অন্যায় যে আমাদের বিধবা মেয়েদের প্রতি ঘরে ঘরে হয়ে চলেছে, তা সম্পর্কে কিনা ছিলাম পুরোপুরি অন্ধ? ছি! রামমোহন ওদের বাঁচিয়েছিলেন জ্বলন্ত চিতা থেকে। কিন্তু ওরা তো এখনো মরছে, প্রতিদিন একটু একটু করে মরছে। জ্বলছে খিদেয়, অমানবিকতায়। আপনার মেয়ে আজ আমায় চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিল।”
জমিদার নিরুত্তর। কী বলবেন বুঝতে পারছেন না।
বিদ্যাসাগর ব্যগ্রভাবে প্রশ্ন করলেন, “আচ্ছা, আপনার মেয়ে তো একেবারে ছোট, সারাজীবনটা পড়ে রয়েছে সামনে। আপনি ... আপনি পারেন না ওর আবার বিয়ে দিতে? ও তো তাহলে আবার বাঁচতে পারবে নতুন করে! বিদেশে তো কত হচ্ছে এমন।”
“এটা বিদেশ নয় বিদ্যাসাগর মশাই।” মুহূর্তে গম্ভীর হয়ে উঠল ভদ্রলোকের মুখ, “আমাদের সমাজে বিধবাবিবাহের কোন স্বীকৃতি নেই। হিন্দু মেয়েদের রি-ম্যারেজের কোন আইন নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা, কোন শাস্ত্রেও তো এ’কথা বলা নেই। আমি কী করব বলুন। মহারাজা রাজবল্লভ সেন তার মেয়ের বিয়ে দিতে পারল না, নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব বানচাল করে দিলেন, আর আমি তো সামান্য এক ভূস্বামী! আমার মেয়ের পোড়া কপাল, তাই ওকে এভাবেই বাঁচতে হবে।”
বিদ্যাসাগর উঠে দাঁড়ালেন, “কপাল লড়াই করে পাল্টাতে হয় জমিদারমশাই। আজ থেকে আমি ওর জন্য, ওদের মত ছোট ছোট অসহায় মেয়েদের জন্য সেই লড়াই-ই শুরু করব। শাস্ত্রের বিধান আর সরকারি আইন ছাড়া তো কিছুতেই মানুষ বিধবা বিবাহ মানবে না? বেশ। শাস্ত্র ঘেঁটে আমি বের করব প্রতিকার। আইনও বদলাব। আজ বিদায় নিলাম। ভাল থাকবেন।”
শুরু হল তাঁর নতুন সংগ্রাম। একদিকে কলেজে অধ্যাপনা, নিজের ছাপাখানার ব্যবসা চালানো, গড়ে তোলা স্কুলগুলোর জন্য টাকা সংগ্রহ, অন্যদিকে রাতের পর রাত জেগে বেদ উপনিষদ পুরাণ ঘাঁটা। কোথায় আছে নারীর পুনর্বিবাহের বিধান?
অন্যদিকে ধেয়ে আসছে তীব্র আক্রমণ। বিদ্যাসাগরের বাড়ির সামনে চলছে প্রতিবাদ, ব্যঙ্গবিদ্রুপের ঝড়। এমনকি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত তাঁর বিষবৃক্ষ উপন্যাসে সূর্যমুখীকে দিয়ে বলাচ্ছেন, “যে বিধবা বিবাহের ব্যবস্থা করে, সে যদি পণ্ডিত হয়, তবে মূর্খ কে!”
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের জনপ্রিয়তা তখন কিংবদন্তী, তাঁর এই মন্তব্য, ক্রমাগত কটূক্তি আরো উৎসাহ জোগাল রক্ষণশীলদের। গোটা দেশে যেন বিস্ফোরণ হল। ছিছিক্কার পড়ে গেল চারদিকে। সুদূর বোম্বাই থেকে ত্রিপুরা, উত্তর ভারত থেকে গ্রামবাংলা, হাজার হাজার প্রতিবাদপত্র এসে পৌঁছতে লাগল ব্রিটিশ সরকারের কাছে। এতদিন যারা বিদ্বান বলে, পণ্ডিত বলে ঈশ্বরচন্দ্রকে শ্রদ্ধাভক্তি করতেন, তাঁদের অধিকাংশই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন,.
ছি ছি, এই শিক্ষার নমুনা? বিদ্যাসাগরকে উদ্দেশ্য করে নানা অশালীন চিঠি আসতে লাগল খবরের কাগজগুলোর দপ্তরে।
গোঁড়া পণ্ডিতদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও দেশের সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ কিন্তু দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করতে লাগল বিদ্যাসাগরকে। তখন কুলীন প্রথার জন্য বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা অকালে বিধবা হতো, সারাজীবন সেই বৈধব্যের যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো তাদের। শাস্ত্রে যখন রয়েছে, তখন তারা কেন আবার নতুন করে বাঁচার সুযোগ পাবে না? হাটেবাজারে এই নিয়ে সারাক্ষণ আলোচনা। শান্তিপুরের তাঁতিরা একরকম শাড়িই বের করে ফেলল, যার পাড়ে লেখা রয়েছে একটি গান। সুখে থাকুক বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে।
[উপরের লেখাটি 'দেবারতি মুখোপাধ্যায়' এর ওয়াল থেকে নেওয়া হয়েছে। সংক্ষেপ করেছি কিছুটা।]
আজ বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ বার্ষিকীতে সবাই নতুন ভাবে গেয়ে উঠুক-
বেঁচে থাকুক বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে,.

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- “তুমি তো ৩০ হাজার টাকা বেতন পাও, এখানে তো দেখছি মাত্র ১০ হাজার টাকা!”
আমি বললাম- ১০ হাজার তোমাকে দিলাম, ১০ হাজার নিজের কাছে রাখলাম আর বাকি ১০ হাজার আমার বাবা-মায়ের জন্য।
আসিফ অবাক হয়ে বললো,
- “তোমার বাবা-মায়ের জন্য মানে! মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে মানে মেয়ের উপর তাদের দায়িত্ব শেষ! আর স্বামীর বাড়ি পা রেখেছো মানে তোমারও তাদের উপর দায়িত্ব শেষ! আলাদা করে উনাদের প্রতিমাসে তোমার টাকা দিতে হবে না। দাও বাকি টাকাটা দাও!”
আমি বাবা-মায়ের জন্য যে টাকাটা আলাদা করে রেখেছিলাম, সেই টাকাটাও আসিফের হাতে তুলে দিলাম। আসিফ টাকাটা গুণে বললো
- “তোমার নিজের জন্য টাকা রাখতে হবে কেন? তোমার যা লাগে সবই তো আমি দিই!”
আসিফের কথার ধরণ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম কি বুঝাতে চেয়েছে। আমি আমার জন্য রাখা টাকাটাও চুপচাপ তার হাতে দিয়ে দিলাম…
শ্বাশুড়িও কিছুটা তার ছেলে আসিফের মতোই। একদিন মার্কেট থেকে একই রঙের দুইটা শাড়ি এনে শ্বাশুড়িকে দেওয়ার পর শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউমা, একই রঙের দুইটা শাড়ি এসেছো কেন? দুইটা দুই রকম আনতে?”
আমি বলেছিলাম- একটা আপনার জন্য, একটা আমার মায়ের জন্য।
সেদিন শ্বশুড়ি বিরক্ত হয়ে বলেছিল
- “তোমার আহ্লাদ দেখে বাঁচি না। মেয়ে মানুষের বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই সব। এতো বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করলে হবে?”
মাথা নিচু করে বলেছিলাম- ঠিক আছে, আর বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করবো না!
পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় আসিফকে বললাম,
- আমাকে ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা দিও। আর শোনো, বাসায় ফেরার সময় আমার জন্য নতুন দুই সেট ব্রা*-পেন্টি* নিয়ে এসো, আর হ্যাঁ ফার্মেসি থেকে এক প্যাকেট প্যাডও। ব্রা আনার সময় ভুল সাইজ এনো না কিন্তু! যদি আনো, তাহলে তোমারই আবার সেটা চেঞ্জ করে আনতে হবে।
কথার ধাক্কাটা হয়তো আসিফ নিতে পারেনি। তাই বোবা হয়ে গেলো! আমি মানিব্যাগ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে অফিস চলে গেলাম…
অফিস থেকে ফেরার পর শ্বাশুড়ি একটা শাল দেখিয়ে বললো,
- “এটা রিনা (আমার ননদ) আমার জন্য কিনে পাঠিয়েছে। কেমন হয়েছে বউ মা?”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- রিনার তো বিয়ে হয়েছে। সে শ্বাশুড়ির জন্য শাল না কিনে কোন আক্কেলে আপনার জন্য কিনেছে বুঝলাম না! বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই মেয়েদের নিজের বাড়ি! জানি না রিনার এতো আহ্লাদ কেন? যা হোক, শালটা আমি নিয়ে গেলাম। পরে সময় মতো রিনার কাছে পাঠিয়ে দিবো! একথা বলে শ্বাশুড়ির গা থেকে শালটা খুলে নিজ রুমে চলে আসলাম…
কিছুক্ষণ পর আসিফ বাসায় ফিরলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- আমার জিনিস এনেছো?
আসিফ মুখ ভোঁতা করে বললো- “না, আনিনি!”
কিছুটা রেগে বললাম,
- আনো নি কেন? আমার পেট ব্যথা শুরু হয়েছে। একটু পর যখন পিরিয়ড শুরু হবে, তখন বিদেশ থেকে আনা এই দামী কম্বলে রক্তের দাগ লেগে গেলে সেটা কি ভালো লাগবে? আমার কথা শুনে আসিফ তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে গেলো…
কিছুক্ষণ পর এক প্যাকেট প্যাড এনে আমার হাতে দেওয়ার পর আমি বললাম
- বাকী জিনিস কোথায়?
আসিফ মাথা নিচু করে ১০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বললো
- “আজ থেকে তোমার জিনিস তুমিই কিনো। মেয়েদের সব জিনিস পুরুষ কিনতে পারে না!”
পরদিন বাবা বাসায় এসে আমার স্বামী-শ্বাশুড়ির সামনে আমাকে বললো,
- “মা, আমার বয়স হয়েছে। কখন কি হয় বলা যায় না। তুই তোর প্রাপ্য সম্পত্তিগুলো বুঝে নে।”
বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম,
- কিসের সম্পত্তি বাবা? তুমি জানো না, মেয়েরা বিয়ের পরে পর হয়ে যায়? তুমি যেদিন আমায় বিয়ে দিয়েছো, সেদিনের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার দায়িত্ব শেষ! আর আমি যখন শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছি, তখনই তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব শেষ! আমার স্বামী-শ্বাশুড়ি আমাকে সেটাই শিখিয়েছে!
বাবা অবাক হয়ে বললো,
- “মা, এসব তুই কি বলছিস?”
আমি বললাম- ঠিক বলেছি বাবা, আমার কিছুই লাগবে না।
আসিফ আমতা আমতা করে আমাকে বললো,
- “তুমি আমাদের ভুল বুঝছো, বিষয়টা এমন না!”
শান্ত গলায় আসিফকে বললাম,
- তুমিই বলো বিষয়টা কেমন? আমার কি ইচ্ছে হতে পারে না, যে মানুষটা আমাকে এতো বড় করলো, পড়াশোনা শিখিয়ে যোগ্য পাত্রের সাথে বিয়েও দিলো, তার জন্য কিছু করতে? আজ আমি চাকরি করছি সবটা তো উনার জন্যই। উনি তো চাইলেই পারতেন উনার মেয়েকে পড়াশোনা না করাতে। আমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে উনার প্রতি আমার সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে? মেয়ে বিয়ে দিলেই যদি বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যেতো, তাহলে আমার বাবা এখানে আসতো না আমার প্রাপ্য আমাকে বুঝিয়ে দিতে।
আসিফ আর কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে রইলো…
আমি তখন শ্বাশুড়িকে বললাম,
- এক মাকে ছেড়ে আরেক মায়ের কাছে এসেছি। আমার দুই-দুইটা মা! যে মেয়ের দুই-দুইটা মা, সে তো একটু আহ্লাদি হবেই। আমি এক মায়ের জন্য কিছু কিনবো, আরেক মায়ের জন্য কিনবো না, সেটা কিভাবে হয় মা, আপনিই বলুন?
শ্বাশুড়ি মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগলো…
আসিফ আমার হাত ধরে বললো,
- “তুমি তোমার সম্পত্তি নাও কিংবা না নাও, এতে আমার বিন্দু পরিমাণ আপত্তি নেই। কিন্তু তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না। আমি চাই তোমার সাথে থেকে হলেও আমার নিচঁ মন-মানসিকতার পরিবর্তন হোক।”
বাবা আমাদের এসব কথা শুনে অবাক হয়ে বললো- “মা রে, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!”
হেসে বললাম- তেমন কিছু না বাবা। একটু সমস্যা হয়েছিল, তোমার সামনেই সেটা সমাধান হয়ে গেলো।
শ্বাশুড়ির কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- আহারে সোনা, শালটা নিয়ে গেছি বলে কান্না করতে হবে না?
শ্বাশুড়ি আমার কান টেনে বললো,
- “ফাজিল মেয়ে, মায়ের সাথে ঢং করা হচ্ছে? শালের জন্য না, আমি আমার করা ভুলের জন্য, আর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আরেকটা মেয়ে পেয়েছি, সেই খুশিতে কান্না করছি।”
মানুষ কখনো ভুলের উর্ধ্বে নয়। সংসার জীবনে এমন সমস্যা হতেই পারে। আপনার প্রতিবাদের কৌশলটা শুধু একটু অন্য রকম হোক…
-প্রতিবাদের কৌশল হোক অন্য রকম
#আবুল_বাশার_পিয়াস
©️

বট বৃক্ষের বিদায়😥😥😥
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মৃত্যুবরণ করেছেন।
শেষ হল একটা যুগের।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Telephone
Website
Address
Nilkhet Road, South City Corporation Market, Nilkhet
Dhaka
1205
House 15/2, Road 3, Dhanmondi R/A
Dhaka, 1205
Welcome to the Most Promising and Fastest Growing Private University Of Bangladesh
House # 80, Road # 8/A, Satmasjid Road, Dhanmondi
Dhaka, 1209
UIU is one of the best Privete Univercity in Bangladesh with Excellent Faculty Members and Environme
19, Purana Paltan
Dhaka
Little Jewels Nursery Infant and Junior School
Iqbal Road
Dhaka, 1207
Mohammadpur Preparatory and Higher Secondary School is a higher secondary school located at Mohammadpur, Dhaka.
Motijheel
Dhaka, 1000
The best Educational Institution of the country.....
Farmgate, Tejgaon
Dhaka, 1215
Welcoming all the Crossamers and Crossians to walk down the memory lane of our Alma Mater. 📚
Begum Rokeya Avenue
Dhaka, 1207
Sher-e-Bangla Nagar Govt. Boys' High School is a public school located at Agargaon, Dhaka, Establis
Mirpur-2
Dhaka, 1216
Monipur High School is a secondary school located in Dhaka, Bangladesh. Monipur High School is also known as Monipur Uccha Biddalay. The school has been a consistent performer in Dhaka Board's SSC examinations since its inception.
House/23, Road/03, Dhanmondi R/A
Dhaka, 1215
Center for Research on Islamic Management and Business (CRIMB), a registered research center, is working on Islamic Management and Business.