
আমার বিসিএস লিখিত অনলাইন ব্যাচের আজকের পরীক্ষার প্রশ্ন। চাইলে আপনারাও সমাধান করে আমাকে মেসেঞ্জারে দেখাতে পারেন।
This is a unique platform of writing & reading contemporary national & international issues, prepara
Operating as usual
আমার বিসিএস লিখিত অনলাইন ব্যাচের আজকের পরীক্ষার প্রশ্ন। চাইলে আপনারাও সমাধান করে আমাকে মেসেঞ্জারে দেখাতে পারেন।
বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) বাংলাদেশ বিদেশি সহায়তা পেয়েছে এক হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে -
ঋণ - ৯৮১ কোটি ডলার
অনুদান - ৩০ কোটি ডলার
সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে।
সূত্র: অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)
প্রশ্ন: ঋণ ও অনুদানের মধ্যে পার্থক্য কী?
এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০-টি ক্লাস হয়েছে। খুব বেশি ক্লাস হয়ে যাওয়ার আগেই যোগ দিতে পারেন। আশাকরি নিরাশ হবেন না।
বর্তমান ক্লাস টাইম: সোম ও বুধবার, রাত ৮-১১ টার মধ্যে যে-কোন এক ঘন্টা (লোড শেডিং-এর উপর নির্ভরশীল)
গতকাল অনুষ্ঠিতব্য ৪৩ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করলাম (রচনা ছাড়া)। বোনাস হিসেবে প্রদত্ত প্যাসেজটির বঙ্গানুবাদও করে দিলাম।
#আমার_৪৪তম_বিসিএস_লিখিত_ইংরেজি_অনলাইন_কোর্সে_ভর্তির_শেষ_সময়_৩১_জুলাই_২০২২
It's not so easy as you assume! Try to solve 35th BCS question inscribed in this pic (slice of my sheet) & then match to my given answer! I'm sure you would have to re-think about it.
Topic: Use of punctuation & capitalization.
Welcome to lecture -07 (Tomorrow at 5 pm)
Group link where you can take part in this live class:
https://www.facebook.com/groups/6632611250146484/?ref=share_group_link
সবাইকে ইদ মুবারক!
আজকের দিনটা হয়তো পড়াশোনার জন্য না, তবে আমি আমার জীবনের অনেকগুলো ইদের দিন পড়েই কাটিয়েছিলাম। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন ৩৭ তম বিসিএসে আবেদন করি তখন থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন ৩৮ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ইদের দিনই পড়াশোনা করেছি। সে হিসেবে প্রায় চার বছর আমি ইদের দিন পড়েই কাটিয়েছি। তাই বলে এটা না যে ইদের আনন্দ থেকে ইচ্ছে করে বঞ্চিত করেছি নিজেকে। ব্যাচেলর ছিলাম, বাসায়ও তেমন কোন কাজ ছিল না - তাই পড়াশোনাটাকেই বেঁছে নিয়েছিলাম। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আজকে হঠাৎ এসব কেন লিখছি? আসলে তেমন কোন কারণ নেই। হঠাৎ পিছনের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল! সেই সাথে এটাও অনুভব করছি যে "অর্থ সংকটে থাকা বেকার একটা ছেলে বা মেয়ের আসলে ইদের দিন বলে কিছু থাকে না।" ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে - "Only the wearer knows where the shoe pinches"
তাই মনে হচ্ছে আজকের দিনেও কেউ হয়তো আমার মতোই পড়ার টেবিলে আছে। শুধু তাদের জন্য আজকেও কিছু একটা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র!
#সেসব_ভাই_বোনদের_জন্যে_মন_থেকে_দোয়া_করি_সৃষ্টিকর্তা_যেন_তাদেরকে_একটা_উত্তম_রিযিকের_ব্যবস্থা_করে_দেন
(কাল্পনিক সংলাপের একটা পূর্ণাঙ্গ নমুনা লিখিত পেইড গ্ৰুপে পিডিএফ ফাইলে দেওয়া আছে। লেখার ধরনটা প্রচলিত গাইড বই গুলোতে সব উল্টাপাল্টা দেওয়া আছে।)
BCS Written - এ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে Problem Solving পার্টে পলিসি পেপার তৈরির একটা প্রশ্ন থাকে। বিভিন্ন গ্রুপে এ সম্পর্কে নানা ভুলভাল তথ্য, ফরমেট সহ বিভিন্ন উল্টাপাল্টা লেখা চোখে পড়ে যার কোন অথেনটিক ভিত্তি নেই। আসলে পলিসি পেপারের কোন ইউনিভার্সাল ফরমেট হয়না। প্রশ্নের ধরন/সমস্যার ধরণ, আলোচ্য ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখার ধরণ যেমন পরিবর্তনশীল তেমনি পলিসি পেপারের ধরণটাও বিভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশের লোগো/মানচিত্র ইত্যাদি দিয়ে শুধু শুধু সময় নষ্ট করার কোন মানে আমি দেখি না। এসব করতে গেলে সময়ের অভাবে নিশ্চিতভাবেই আপনার লেখার মান নষ্ট হবে। একটা পলিসি পেপারে নূন্যতম কী কী বিষয় থাকা উচিত তার একটা ধারণা এই ফরমেট থেকে পেতে পারেন (তবে এটাই যে একমাত্র ও পরিপূর্ণ সঠিক ফরমেটে সেটা কিন্তু বলছি না)। আমার ধারণা ১৫-২০ মিনিট সময়ে এর বেশী আপনার পক্ষে টানা (লেখা) সম্ভব না। এর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্লু ইকোনমির উপর তৈরিকৃত একটি পলিসি পেপারের সারসংক্ষেপ (কেবল মেরিন ফিশারিজ অংশ। পুরোটা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাবেন) দিলাম। গুরুত্বপূর্ণ কী কী ফ্যাক্টর লেখায় আনা যায়- সে সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা ধারণা পাবেন।
কেন Washington DC? (DC= District of Colombia) বলা হয়? ওয়াশিংটন ডিসি কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য?
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে দেশের প্রকৃত রাজধানী ছাড়াও প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেরও একটি করে রাজধানী থাকে। ১৭৯১ সালে যখন "সিটি অফ ওয়াশিংটন" কে রাজধানী করা হলো তখন তার মূল অঙ্গরাজ্যের নাম ছিল "কলম্বিয়া"। অর্থাৎ কলম্বিয়া রাজ্যের রাজধানী ওয়াশিংটন কে পুরো দেশের রাজধানী করা হয়েছিল। আর এই "কলম্বিয়া" শব্দটি আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতীকী কাব্যিক নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে "কলম্বিয়া" শব্দকে "কলম্বাস" শব্দের feminine gender হিসেবে বিবেচনা করা হয়। (যেমন আমরা বলি বঙ্গভূমি বা বাংলা মাতৃকা)। মার্কিন কবি সাহিত্যিকরা এক সময় তাদের লেখায় এমনটা ব্যবহার করতো। মূলত ধারণা করা হয় ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করার পর থেকেই এই সংস্কৃতি ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকে। মার্কিনীরা একটি লেডি অবয়ব-কে কলম্বিয়া বলে বিবেচনা করে। তার প্রমাণও বিদ্যমান, যেমন আজকের statue of liberty-এর অবয়ব সেই কলম্বিয়া লেডির। শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথেও জড়িয়ে আছে এই কলম্বিয়া শব্দটি। যেমন University of Colombia। সুতরাং বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা জর্জ ওয়াশিংটন এবং আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাস এর নাম দ্বয়ের সমন্বয়েই আজকের Washington DC - যা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচিত।
Washington DC সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য:
👉 আপনি হয়তো ভাবছেন ওয়াশিংটন ডিসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য! কিন্তু না! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ৫০ টি অঙ্গরাজ্য (States) নিয়ে গঠিত তার মধ্যে কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসি নেই। ওয়াশিংটন ডিসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র এবং বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত Federal State & Capital city - এর মর্যাদা প্রাপ্ত। এজন্যই সিনেটে (Upper house of US Congress) ওয়াশিংটন ডিসির কোন প্রতিনিধি থাকেনা এবং নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি সভায় ওয়াশিংটন ডিসির Congressional delegates-দের কোন ভোটিং পাওয়ার ও নেই। ১৭৯৩ সালের Home Rule Act অনুযায়ী একজন মেয়র এবং ১৩ জন সদস্য নিয়ে Council of the District of Colombia গঠিত হয় এবং এরাই ওয়াশিংটন ডিসিকে পরিচালনা করে। ওয়াশিংটন ডিসির জনগণ তাদের ভোটে কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ House of Representatives - এর জন্য কিছু Congressional delegates নির্বাচিত করে যাদের কোন ভোটিং পাওয়ার থাকে না। তবে এরা নিম্ন কক্ষের বিভিন্ন কমিটির ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবে। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকট্রোরাল কলেজের জন্য তিনজন Presidential Electors নির্বাচন করে থাকে। সার্বিকভাবে ওয়াশিংটন ডিসির কাউন্সিলের কাজের উপর সিনেটের Exclusive jurisdiction power রয়েছে; অর্থাৎ সিনেট চাইলে এই কাউন্সিলের কোন সিদ্ধান্তকে ওভারটার্ন করতে পারে।
......নাজমুল হাসান
[৩৮ বিসিএস]
Something new that you are going to learn 🙂
ভাবছি এখন থেকে নিয়মিত এই পেইজে লিখবো এবং ক্লাস ভিডিও আপলোড করবো। ভালো লাগলে সাথে থাকতে পারেন।
আজকে একটা হাইভোল্টেজ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রশ্ন: বৃটেনের অংশ হয়েও কীভাবে স্কটল্যান্ড আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নেয়?
উত্তর:
১৭০৬ সালে Great Britain (তখন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস) & Scotland এর মধ্যে যখন Acts of Union স্বাক্ষরিত হয় তখন Scotland এবং গ্রেট ব্রিটেন সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল। তবে সমস্যা ছিল একটি যে এদের রাজা/রাণী ছিল অভিন্ন। অর্থাৎ, Same Crown in Two Independent states। এই সমস্যা দূর করার জন্য Acts of Union স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৭o৭ এ কার্যকর হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী স্কটল্যান্ড একটি Constitutional country (provincial state নয়) তে পরিণত হয় এবং গ্রেট ব্রিটেন তার স্বতন্ত্র সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা মেনে নেয়। শুধুমাত্র ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রয়োজনে পররাষ্ট্র নীতি ও সার্বভৌমত্বের চূড়ান্ত কিছু বিষয় ইউকে পার্লামেন্টের হাতে থাকে, তবে ইউকে উক্ত চুক্তিতে এই নিশ্চয়তাও প্রদান করে যে স্কটল্যান্ডের অধীবাসীরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনে সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে চায়, তবে ইউকে তা মেনে নিবে। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সব ক্ষমতাই স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের হাতে থেকে যায়, যেমন নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি, মুদ্রা, ট্যাক্স, সীমান্ত এলাকা, নিজস্ব পতাকা, আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিত্ব (এর জন্যেই খেলায় অংশ নিতে পারে) সহ বিভিন্ন বিষয়। সাধারণত কোন প্রদেশ বা বিশেষ অঞ্চলকে (যা পূর্বে কখনো স্বাধীন ছিল না) এই সুযোগ দেয়া হয় না, যেমন হংকং। তাই স্কটল্যান্ড অন্যান্য দেশের সাধারণ কোন বিশেষ অঞ্চল বা প্রদেশের মতো নয় যা পূর্বে পরাধীন ছিল, বরং এটি পূর্বে সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম ছিল এবং বর্তমানে এটি একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র (চুক্তি অনুযায়ী constitutional country)। এজন্যই স্কটল্যান্ড এমন টি করতে পারে
এবার চিন্তা করুন তো, "হংকং কীভাবে স্বতন্ত্র দেশ নামে ফুটবল কিংবা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে থাকে?
Provincial state: যে সকল অঞ্চল কোন একটি দেশের সাথে ফেডারেশন গঠন করার পূর্বে অন্য কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের অধীন ছিল এবং চুক্তির মাধ্যমে (USA) বা চুক্তি বিহীন (ভারত) তারা একটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এসে একক সংবিধানের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। এদের ফেডারেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অধিকার সীমিত (যেমন USA), বা বেরিয়ে যাওয়ার অধিকারই নেই (যেমন ভারত)। এদের নিজস্ব কোন সংবিধান নেই।
Constitutional country: ফেডারেশন গঠনের সময় যে সকল অঞ্চল কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের অধীন ছিল না (যেমন ওয়েলস, স্কটল্যান্ড) এবং এরা অন্য কোন রাষ্ট্রের সাথে ফেডারেশন গঠন করেনি। এদের নিজস্ব সংবিধান আছে, শুধুমাত্র একক ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এবং একক রাজা বা রাণীর প্রয়োজনে এরা চুক্তি (ফেডারেশন চুক্তি নয়) করে শুধুমাত্র একক Kingdom/রাজবংশ গঠন করেছে। তবে এটি কেবলই UK-তেই ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডে দেখা যায়, অন্য কোথাও এমন নজির নেই, এমন কি উত্তর আয়ারল্যান্ডেরও এই মর্যাদা নেই। হংকং ও এই মর্যাদা পায়নি। তবে চীন সরকার হংকং কে special administrative region ঘোষণা করেছে এবং হংকং এর Basic Law নামে নিজের একটা সংবিধান আছে যেটার অনুমোদন চীন সরকার দিয়েছে, এবং এদের একটা আলাদা পতাকা আছে, আর এর ফলেই হংকং নিজ নামে খেলতে পারে যা পুরোপুরি চিনা সরকারের এখতিয়ারে হয়, চীন সরকার চাইলে এটি বাতিল ঘোষণা করতে পারে, তবে বৃটিশ সরকার চাইলেই স্কটল্যান্ডের উক্ত অধিকার বাতিল করতে পারবে না।
[নাজমুল হাসান
৩৮ বিসিএস]
তিনজন ব্যক্তির লেখালেখি আমাকে খুব ভাবায়। এরা হলেন নিকোল ডি ভার্নাডো ম্যাকিয়াভেলি, আর্থার এফ বেন্টলি এবং রবার্ট মিশেল। প্রায়ই অবাক হই এই ভেবে যে এদের রেখে যাওয়া তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে কীভাবে বর্তমান জাতি রাষ্ট্রগুলো চলছে! ম্যাকিয়াভেলি বলেছিল "Ends justify the means; not means the ends." তার এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ হয়তো আমরা সবাই বুঝি। বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে ভয়াবহ ধস নেমেছে তার মূলেই রয়েছে ম্যাকিয়াভেলির দেখানো এই পথ। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেই কীভাবে সেই ক্ষমতা ধরে রাখা যায় তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে; হোক সেই পথ বৈধ কিংবা অবৈধ! এরপর আসে আর্থার এফ বেন্টলির রেখে যাওয়া গ্ৰুপ তত্ত্ব। এই তত্ত্বের ভিত্তিতে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি হিসেবে পৃথিবীর কোন দেশেই মানুষের কোন মূল্য নেই; যতক্ষন না পর্যন্ত কেউ কোন গোষ্ঠীর অধীনে সংঘবদ্ধ না হয়। আপনার কোন দাবিই পাত্তা পাবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার পক্ষে আপনার ট্রেড ইউনিয়ন/শিক্ষক সমিতি/রাজনৈতিক দল ইত্যাদি গ্ৰুপগুলো আপনার পক্ষে না থাকে। সবশেষে আসি রবার্ট মিশেলের এলিট তত্ত্বে। এই লোক তার পলিটিক্যাল পার্টিস বইতে এলিট তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যে Iron Law of Oligarchy'র যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা বর্তমান জাতি রাষ্ট্রগুলোর সরকার ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে রীতিমত অবিচ্ছেদ্য এক বিষয়। রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য, সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই এই Iron Law of Oligarchy'র প্রাধান্য বিদ্যমান। প্রকৃত অর্থে এরা যা সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই চূড়ান্ত; এদের হাতেই মোটামুটি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ।
BCS Confidence ফেনী শাখায় আগামীকাল দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
ক্লাস টপিকস:
৪৩ তম বিসিএস ইংরেজি লিখিত : সিলেবাস পর্যালোচনা এবং Sentence correction
৪৪ তম বিসিএস ইংরেজি প্রিলিমিনারি : Identification of parts of speech & use of determiner
ফেনীর বিসিএস যোদ্ধাদের সাদর আমন্ত্রণ ❣️
(আগামী মাস থেকে ৪৪-তম বিসিএস প্রিলিমিনারির অনলাইন ব্যাচ শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজন থাকলে যোগ দিতে পারেন)
প্রবন্ধ, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা”
রচনা ও উপস্থাপনায়-
নাজমুল হাসান
৩৮-তম বিসিএস জেনারেল এডুকেশন।
রক্ত চোখের আগুন মেখে ঝলসে যাওয়া আমার বছরগুলো
তুমি আমার আকাশ থেকে সরাও তোমার ছায়া,
তুমি আমার জলস্থলের মাদুর থেকে নামো,
তুমি বাংলা ছাড়ো!
(বাংলা ছাড়ো, সিকান্দার আবু জাফর)
হ্যা, যুগে যুগে সব অপশক্তিকেই বাংলা ছাড়তে হয়েছিল, বাংলা ছাড়তে হয়েছিল আফগান, পাঠান, মুঘলদের, বাংলা ছাড়তে হয়েছিল বৃটিশদের, বাংলা ছাড়তেই হয়েছিল পাক হানাদারদের।
অনেক দামে কেনা এই বাংলায় ঠাঁই নেই কোন অপশক্তির, ঠাঁই নেই কোন রক্তচক্ষুর। দাম দিয়েই যে কিনেছি বাংলা; কারোও দানে তা পাওয়া নয়। পরিচয়ে আমি সেই বাঙালি, যার আছে ইতিহাস গর্বের; কখনই ভয় করিনাকো আমি, উদ্যত কোন খড়গের!
হ্যা, বাঙালির এই গর্বের ইতিহাসের অনেকটা জুড়েই রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। এ এমন এক অর্জন, এমন এক প্রাপ্তি, যা বিশ্বের বুকে এ জাতিকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। দেশ মাতৃকার তরে যে অসীম ত্যাগ তিরিক্ষা আর জীবন উৎসর্গের নজির এই বাঙালি জাতি দেখিয়েছে, সেটি পৃথিবীর ইতিহাসে নিতান্তই বিরল। ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে উঠে এসেছে, “বিশ্বের ইতিহাসে ১৯৭১ সালে সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো এই পূর্ব বাংলায়।“
আজ মুজিব বর্ষ, স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে, বাঙালির রক্তে আঁকা লাল সবুজের পতাকা অর্জনের এই ইতিহাসকেই আমি আমার প্রবন্ধের উপজীব্য করে তুলতে চাই। বিশ্ব মঞ্চে আরও একবার কাঁপন ধরাতে চাই এই বলে যে –
"শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;
অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;
একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস"
হ্যা, বাঙালি জাতি তার অস্তিত্ব রক্ষায়, অধিকার আদায়ে কোন অপশক্তির কাছেই আপোষ করে নি কখনও। ১৭৫৭’র ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য দুইশত বছরের জন্য অস্তমিত হয়ে গেলেও মুক্ত বাংলা প্রতিষ্ঠার স্পৃহা আর উদ্যম ক্ষণে ক্ষণে স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলছে এই বাংলায়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম শহীদ ‘শহীদ তিতুমীরের’ সফল বারাসাত বিদ্রোহ, নারিকেল বাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা বিদ্রোহ, বাংলার কৃষক বিদ্রোহ, ক্ষুদিরাম আর সূর্য সেনের আত্মত্যাগের পথ পেরিয়ে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ তারই সাক্ষ্য বহন করে। বৃটিশ শাসনামলের নানাবিধ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবেও এই বাংলা অঞ্চলকে স্বাধীন রাখায় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে ১৯৪৬ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সহ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ লাহোর প্রস্তাব এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শরৎ বসুর “অখন্ড স্বাধীন বাংলার প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে শুধু ধর্মীয় দোহাই দিয়ে ‘পাকিস্তান প্রস্তাব' গ্রহণ করার মাধ্যমে ১২০০ মাইল দূরে থাকা পূর্ব বাংলাকে পশ্চিম পাকিস্তানের ইউনিট ঘোষণা করে একক পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পথ সুগম করে। এরই সাথে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের মধ্যে দিয়ে রচিত হয় ২৩ বছরের পূর্ব বাংলার প্রতি অবর্ণনীয় শোষণ বঞ্চনার এক দীর্ঘ অধ্যায়। এই ইতিহাসকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চের ভাষণে তুলে ধরেছেন এভাবে-
“২৩ বছরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।“
সম্মানিত উপস্থিতি ও আমার প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ! বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা কাব্য রচনা করতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে ৪৭-৭১ এর সেই ২৩ বৎসরের করুন ইতিহাসের কাছে। ৪৭ পরবর্তী জিন্নাহ, লিয়াকত আলী আর খাজা নাজিমুদ্দিনদের পকেট সংগঠন খ্যাত ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগে কূটকৌশলের প্রথম আঘাতটিই ছিল বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির উপর। সমগ্র পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের মুখের ভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতিগ জাতীয়তাবাদী ঐক্যের উপর প্রথম আঘাত হানে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। সাথে সাথেই প্রতিবাদের ওর উঠে সমগ্র বাংলায়। ৪৭-এই প্রতিষ্ঠিত হয় তমুদদীন মজলিশ ও রাষ্ট্রেভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উত্থাপিত উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব পাকিস্তান গণপরিষদে বাতিল হওয়ায় সাথে সাথেই ছাত্র জনতা বুদ্ধিজীবী সহ পূর্ব বাংলার সর্বস্তরের মানুষ জেগে ওঠে। ১৯৪৮ সালের ১১-ই মার্চ ছাত্র নেতাদের বিক্ষোভ ও “মতিঝিল পিকেটিং”-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ কতিপয় ছাত্র নেতাদের আটক করা হয়। সময়ের গতিতে এই আন্দোলন ধীরে ধীরে পৌঁছে যায় ১৯৫২ সালের ২১-শে ফেব্রুয়ারিতে্ – যেদিন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার আর শফিকদের বুকের তাজা রক্তে আমরা পাই আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মাধ্যমে আমাদের ২১-শে ফেব্রুয়ারি অর্জন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা। পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয় এক অদ্বিতীয় আত্মত্যাগের কাব্য, যে ত্যাগ ও অর্জন কেবলই এই বাঙালি জাতির অহংকার।
মাতৃভাষা আন্দোলনের এই জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি তার রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়, অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্বে এ অঞ্চলের সরকার ব্যবস্থার পথচলা শুরু হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মাত্র ৫৬ দিনের মাথায় ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের চক্রান্তে কেরে নেওয়া হয় বাঙালির রাজনৈতিক অধিকার; ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর জারি করা হয় সামরিক শাসন, ২৭ অক্টোবর থেকে আইয়ুব খান ক্ষমাশীন হয়ে দীর্ঘ দশ বছর এদেশের মানুষকে গোলাম করে রাখে। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন নতুন করে এ অঞ্চলের মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে থাকে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে ত্রাতা হিসেবে ছয়-দফা কর্মসূচি নিয়ে আবির্ভূত হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রূপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার প্রদত্ত ছয় দফা সাকোর উপর ভর করেই ছয়-দফা দাবি শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছিল স্বাধীনতার এক দফাতে। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ও ছয় দফা আন্দোলনে গুলি করে হত্যা করা হয় এদেশের দামাল ছেলেদের। ছয় দফা আন্দোলনকে দমাতে ১৯৬৮ সালের ৩ জুন বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। এরই ফলশ্রুতিতে ছয় দফা, ছাত্র সমাজের ১১ দফা এবং ড্যামোক্র্যাটিক অ্যাকশন কমিটির ৮ দফার উপর ভিত্তি করে সংঘঠিত হয় ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক, শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ডক্টর শামসুজ্জোহা, ছাত্রনেতা শহীদ আসাদুজ্জামান (আসাদ)সহ নাম না জানা কত প্রাণের বিনিময়ে উদ্যম বাঙালি ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানকে সফল করে; তাইতো কবির ভাষায়: “আসাদের শার্ট যেন আমাদের প্রাণের পতাকা”
৬৯’র এই গণ অভ্যুত্থান শেখ মুজিবুর রহমানকে অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তাকে প্রদান করা হয় বঙ্গবন্ধু উপাধি। আইয়ুব সরকারের পতন হলে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসেই ৭০’র নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করলেও জনগণের প্রতিনিধির কাছে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করেন। ১ মার্চ, ১৯৭১ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করার সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের মূল পর্ব।
সম্মানিত উপস্থিতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল মার্চের ৭ তারিখে রচিত হয় মহাকাব্য, জাগ্রত হয় সমগ্র বাঙালি জাতি, একতাবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীনের দৃঢ় শপথ নেয়। আর এই মালা গাঁথার মূল কারিগর, ঐতিহাসিক মহাকাব্যের মহাকবি আর কেউ নয়- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান! বঙ্গবন্ধুর সেই তেজোদীপ্ত, বলিষ্ঠ, দিকনির্দেশনা মূলক, ঐতিহাসিক ৭-মার্চের ভাষণেই বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল তার মুক্তির পথ, আপন করে পেয়েছিল হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত সেই অধরা “স্বাধীনতাকে”। কবি নির্মলেন্দু গুণ তাই যথার্থই লিখেছেন:
“একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্য কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের,
কখন আসবে কবি, কখন আসবে কবি।
শতবছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে,
অবশেষে কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হৃদয়ে লাগিল দোলা,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা।
কে রোধে তাহার বজ্র কন্ঠ বাণী,
গণ সূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতা খানি-
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।“
হ্যা, ২০১৭ সালের, ৩০ অক্টোবর World Important Documentary Heritage হিসেবে ইউনেস্কোর Memory of the World Register এ অন্তর্ভুক্ত সেদিনের সেই ৭-মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জনের পথে হেঁটেছি, ছিনিয়ে এনেছি লাল সবুজের রক্তিম পতাকা, বিশ্ব মানচিত্রে এঁকে দিয়েছি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
২৬৬ দিনের যে চরম মূল্য আমরা দিয়েছি, তার সূচনা হয় ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে। এক রাতে হত্যা করা হয় অন্তত ৫০,০০০ নিরীহ নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙালিকে। দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাফের ৩১ মার্চের সায়মন ড্রিংকের রিপোর্ট, কিংবা জুনে প্রকাশিত অ্যান্হনিমাস কারেনহাসের সেই বিখ্যাত জেনোসাইড রিপোর্ট থেকে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যার যে বীভৎস তথ্য উপাত্ত আমরা পাই তা বিশ্ববাসীকে হতবাক করে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রোকেয়া হল সহ বিভিন্ন হল এবং পুরোনো ঢাকার শাঁখারি বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালায় পাক হানাদার বাহিনী। গণহত্যার এই ধারা রাজাকার, আলবদর, আশ শামস সহ বিভিন্ন দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহত রাখে পাক নরপিশাচের দল। যার ফল হিসেবে আমরা দেখি, ১৪ ডিসেম্বর জাতিকে মেধাশূন্য করতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় দেশের সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে, গ্ৰামের পর গ্রাম পুরিয়া ছাড়খাড় করা হয়, সম্ভ্রম হানী করা হয় দুই লক্ষ মা-বোনের, হত্যা করা হয় ৩০ লক্ষ বাঙালিকে। পল্লী কবি জসীম উদ্দিন রচিত দগ্ধগ্ৰাম কবিতার কিছু লাইন এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক:
“এইখানে ছিল কালো গ্ৰাম খানি, আমি কাঁঠালের ছায়া,
টানিয়া আনিত শীতল বাতাস, কত যেন করি মায়া।
কি-সে কি হইল পশ্চিম হতে নরঘাতকেরা আসি,
সারা গাঁও ভরি আগুন জ্বালায়ে হাসিল অট্টো হাঁসি।
সারা গাঁও খানি দগ্ধ শ্মশান, দমকা হাওয়ার ঘায়,
দীর্ঘ নিঃশ্বাস আকাশে পাতালে ভষ্মে উড়িয়া যায়।“
কিন্তু না! বাঙালির উত্থান তো ভষ্মে উড়িয়া যাওয়ার জন্য নয়! শহীদ বুদ্ধিজীবী আনোয়ার পাশার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই: “মা-গো, সন্তানের রক্তে তোমার বুক ভিজেছে; শত্রুর রক্তে তোমার পা ধোয়াবো (রাইফেল রোটি আওরাত)। সুতরাং এ বাঙালি জাতি প্রতিবাদ করতে জানে, প্রতিঘাত, প্রতিরোধ সহ সব রণকৌশল-ই রয়েছে তার রপ্ত! সেই প্রতিঘাতের সূচনা হয় পাক বাহিনী কর্তৃক আটক হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ২৬-মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এই ঘোষণাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈধতার প্রশ্নের সম্মুখীন যাতে হতে না হয় তার জন্য-ই ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ও তাজ উদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে ত্রিপুরার আগরতলায় গঠিত হয় প্রবাসী বাংলাদেশী সরকার তথা মুজিব নগর সরকার একই সাথে গৃহীত হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। দুইশত বছর পূর্বে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন যেই পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, তারই সন্নিকটে তৎকালীন কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথ তলার ভবেরপাড়ায় ১৭-ই এপ্রিল এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক সংগঠন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি সহ নানাবিধ গুরু দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার কাজ করতে থাকে। এক-ই সাথে এপ্রিলের সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভায় তাজ উদ্দিন আহমেদের বিচক্ষণতায় দেশকে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক বাহিনীও যোগ দিতে শুরু করে সর্বাত্মক এই মুক্তি সংগ্রামে। অপারেশন জ্যাকপট, অপারেশন কিলোফ্লাইট, সহ একের পর এক মুহুর্মুহু আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী।
এক-ই সাথে বঙ্গবন্ধুও পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারে আটকাবস্থায় নজিরবিহীন বুদ্ধিদীপ্ত কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেন। রবার্ট পাইনের পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু বইটি থেকে আমরা জানতে পারি কীভাবে বঙ্গবন্ধু ভুট্রোর কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। চোখের সামনে নিজের জন্য কবর খোঁড়া দেখেও কতটা অবিচল থেকে তিনি বলেছিলেন:
“তোমরা যদি আমাকে মেরে ফেলে দাও আমার আপত্তি নাই, মৃত্যুর পরে তোমরা আমার লাশটা আমার বাঙালির কাছে পৌঁছে দিও, এই একটা অনুরোধ তোমাদের কাছে।”
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন রেসকোর্সে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কয়েকটি চরণ উদ্ধৃত করতে চাই:
“আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে বারবার মরে না। আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো, আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না, এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।“
এভাবেই বঙ্গবন্ধুর অবিচল তেজোদীপ্ত হিমালয় সমেত ব্যক্তিত্বের কাছে পাক বাহিনীর মানসিক পরাজয় ঘটে। এই মানসিক পরাজয় থেকে পাক হানাদার বাহিনী আর বেরিয়ে আসতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত মুজিব নগর সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতা, মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণ, সেক্টর কমান্ডার, ৭ বীর শ্রেষ্ঠ ও নাম না জানা হাজারও বেসামরিক ও গেরিলা যোদ্ধাদের সশস্ত্র আক্রমণের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাক বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে একে নিয়াজী মাথা নত করে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্ব মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে স্থান করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সম্মানিত উপস্থিত, গল্পটা হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো! কিন্তু না। এতো ত্যাগ তিরিক্ষায় অর্জিত স্বাধীনতার পতাকাটা যেন হঠাৎই খামচে ধরে একঝাঁক শকুনের দল। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটাকে গড়তে বঙ্গবন্ধু যখন-ই তৎপর হয়ে উঠেন, ঠিক তখনই মাত্রা সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাংলার আকাশ আবার কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে উঠে; ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সংঘঠিত হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড, সপরিবারে হত্যা করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে, ৭ নভেম্বর হত্যা করা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানীদের। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরের কথা, উল্টো হত্যাকারীদেরকেই খন্দকার মোশতাকের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের সুবাদে পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুনর্বাসন করা হয়।
সুতরাং, স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে-
এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান ?
যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-
চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।"
মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দাঁড়িয়ে আজ বাঙালি জাতি এই কলঙ্ক থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছে। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছে। সুদীর্ঘ ৫০ বছরের নানাবিধ অর্জনের অধিকাংশ-ই এসেছে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাঙালি পেয়েছে জাতির পিতার খুনিদের বিচার, পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, অর্জন করেছে সমুদ্র বিজয়, পূর্ণ করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন, বেরিয়ে এসেছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে, মহাকাশে উড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যটালাইট-১, চালিয়েছে মেট্রোরেল, প্রমত্তা পদ্মার বুকে গড়েছে গর্বের পদ্মাসেতু, উঠে এসেছে উন্নয়নের মহাসড়কে!
শুধু তাই নয়, জাতি গড়ার কারিগর হিসেবে সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ঈর্ষনীয় সাফল্য গাঁথা কিছুটা উল্লেখ না করলে বড্ড অপরাধী মনে হবে নিজেকে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, কুদরত ই ক্ষুধা শিক্ষা কমিশন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করেই বর্তমান সরকারের হাত ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও জেন্ডার সমতার প্রমাণ স্বরূপ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার্থীর হার এখন যথাক্রমে ৫১ ও ৫৪%। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, উপবৃত্তি, বিগত এক দশকে বিনামূল্যে ২.৯৫ বিলিয়ন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া, ICT in Education Master Plan (2012-2021) গ্রহণ সহ শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসনের ভিত্তি গড়ে তুলতে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন- এই সাফল্যের প্রতিচ্ছবি।
পরিশেষে বলতে চাই, আসুন, আজকের এই ঐতিহাসিক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে সমস্ত সাহসকে পুঞ্জীভূত করে শপথ করি-
ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেবো মুক্তিযুদ্ধের শৌর্যে সাহসে ও বলিষ্ঠতায়। আমরা অকুতোভয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই একাত্তরের বাঙালি জাতি যে মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মহৎ আভিষ্টকে সামনে রেখে, আন্তর্জাতিক পরাশক্তি পুষ্ট পাকিস্তানি বর্বরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হয়েছিল, সকল সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে এই পবিত্র মাতৃভূমি থেকে হায়নাদের বিতাড়িত করেছিল, সেই প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতার বিজয়কে আমরা সমস্ত সত্তার সাথে সুরক্ষিত রাখবো, বিশ্বপটে এঁকে দেবো বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার ছবি। আমরা যেন ভুলে না যাই-
""আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?
আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে
আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।
এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে
শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?
তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই,
সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই"
Power & Function of US Senate:
Part-1: https://youtu.be/62Nt8MLWuj0
Part-2: https://youtu.be/tJ19cdogG-Y
(রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একাডেমিক + বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রার্থীরা দেখতে পারেন)
এগুলো একটু ভালো করে দেখে বই থেকে বেশী বেশী অনুশীলন করলে রাইট ফর্ম অফ ভার্ভে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
Part-01: https://youtu.be/pyd3OAWlezQ
Part-2: https://youtu.be/d5DQ0cjLsS0
Part-3: https://youtu.be/lj967e5M0xg
Part-4: https://youtu.be/W7JWLjdivA0
Part-5: https://youtu.be/gDVN12AaLug
Part-6: https://youtu.be/cOveqok-66k
Part-7: https://youtu.be/5wciURp9ou8
Part-8: https://youtu.be/scV95wKXvRI
Part-9: https://youtu.be/0R6r1b1lBJI
Part-10: https://youtu.be/z4eFAACLuVw
Part-11: https://youtu.be/YwCNajpKw6k
Part-last part: https://youtu.be/h5f_27KEFnE
৪৪ বিসিএস প্রিলিমিনারিতে কোয়ালিফাই করতে চান এমন সর্বোচ্চ ২০ জন ডেডিকেট প্রার্থীকে আগামী ২-৩ মাস সময় দিতে চাই। আগ্রহী কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন। সকল কার্যক্রম অনলাইনেই চলবে। তবে যারা অফলাইনে ক্লাস করতেছেন তারাও চাইলে অফলাইনের পাশাপাশি যোগ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে কোন অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না। অন্যদের ক্ষেত্রে কিছু ফি দিতে হবে। আগ্রহ এবং সংখ্যা বিবেচনা করে ফি পরে নির্ধারণ করে দিবো।
প্রিলি টিকার এই মিশন শুরু হবে আগামী ৫ জানুয়ারি ২০২২ থেকে, এবং চলবে প্রিলি পরীক্ষা পর্যন্ত। প্রিলি+রিটেনের যে যে টপিক গুলোতে মিল রয়েছে সেগুলো প্রিলিতেই বুঝিয়ে দিবো।
প্রিলির সব বিষয় নিয়েই কার্যক্রম চলবে, তবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব থাকবে অঙ্ক, ইংরেজি, বাংলা, ও বিজ্ঞানের উপর। আর বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সহ ভূগোল, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের সবকিছুই আলোচনা করা হবে। এছাড়াও যার যে টপিকে সমস্যা তার সাথে ওয়ান টু ওয়ান সেশনেও সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবো। মোট কথা প্রিলিতে ১২০+ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে, এবং আশাকরি আমার নিজের বিসিএস জার্নির অভিজ্ঞতা, এবং দীর্ঘদিনের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আপনাদের কৌশলগত প্রস্তুতি এবং সফলতায় সর্বোচ্চ সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
শুভকামনায়-
নাজমুল হাসান
৩৮ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন ক্যাডার (মেরিট-১০ম)
৩৭ বিসিএস নন ক্যাডার (সুপারিশ প্রাপ্ত)
প্রাক্তন নেভাল অফিসার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাক্তন সিনিয়র অফিসার, সোনালী ব্যাংক।
ইংরেজি শিক্ষক: বিসিএস কনফিডেন্স।
As the country’s largest skills development center, BSDI has been working since 2003 to develop th
Odhyyon ERP- a pioneer Learning Management Tool admired by 500+ institutions in Bangladesh, since 20
Our mission is to make skilful & educated manpower by giving world standard education. We provide ea
Embark on your academic journey overseas with Executive Study Abroad.
Study Abroad & Scholarship service since more than 10 years.
Dream Abroad Educational Consultancy (DAEC) place for interested people those who dream of studying
hi, I'm Shakib professional digital marketer and Marketing expert. My Core skill are total social
Greenhouse tutorial is an uncompromising endeavour for the academic and moral development of our nex