Markajunnur Tahfijul QURAN Chattogram

Markajunnur Tahfijul QURAN Chattogram

Comments

ছাত্র যখন অনুপস্থিত থাকবে, তখন কর্তৃপক্ষ বিচলিত হওয়া কখনোই উচিত নয়।
কারণ হিসেবে সবচেয়ে যেটা আমার ভালো লেগেছে,
লোহাগাড়া রাজঘাটা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাবিবুল ওয়াহেদ সাহেব, বারাকাল্লাহু বলেন,
"সন্তান যার টেনশন তার"

সুতরাং কর্তৃপক্ষ বা উস্তাদের প্রতি আরজ, যেসব অভিবাবক কর্তৃপক্ষের নিয়ম অমান্য করে, তাদেরকে ফাইনের আওতায় আনুন এবং মাসিক পড়ার রুটিন তৈরি করুন।
বিশেষভাবে যেসব ছাত্র অনুপস্থিতির কারণে পিছিয়ে পড়বে, তাদেরকে দায় এড়াতে মাসিক রিপোর্ট দেখান।

কথা একটাই সন্তান যার টেনশন তার।

মু. আরশদ হোছাইন।
জামিয়া দারুল মা'আরিফ আল ইসলামিয়া চট্রগ্রাম
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি : কওমী মাদরাসার খরচ চালানোর তাওয়াক্কুল...

আমাদের দেশের অধিকাংশ কওমী মাদরাসা আবাসিক। নিয়মিত একেকটি মাদরাসায় প্রতিবেলা একেকটি বিয়ে বাড়ির রান্না করতে হয়। মাদরাসার মোহতামিম সাহেবের পকেটে অথবা মাদরাসার ফান্ডে টাকা থাক বা না থাক, রুটিনওয়ার্ক খাবার ঠিকই সময়মতো রান্না করে শতশত ছেলেদের সামনে হাজির করতে হয়। এটি কতবড় চ্যালেঞ্জিং ও তাওয়াক্কুলের বিষয় তা একজন মোহতামিম সাহেব আর তার আল্লাহই কেবল ভালো জানেন।

আবার সে মাদরাসা যদি হয় আমাদের মতো কালেকশন মুক্ত, সভা আর চাঁদা বিহীন, দাওয়াত বিহীন, যাকাত/ফিতরা/সদকা গ্রহণ করা ব্যাতিত, তাহলেতো বিষয়টি কত বড় বাস্তবতা এটি কেবল মাদরাসার পরিচালকই জানেন। গত মাসখানিক আগে একজন একটি সদকার ছাগল নিয়ে আসেন, পরে আমি আমার আরেক সাথীর মাদরাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি, যেখানে লিল্লাহ বোর্ডিং আছে। এমন ঘটনা প্রায়ই হয়।

আমি আমার বাচ্চা/উস্তাদদের যাকাত, সদকার মাল খেয়ে আলেম বানাতে চাই না। এটি আমার ব্যাক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। যারা এসব গ্রহণ করেন সেটিও তাদের ব্যাক্তিগত বিষয়। আমি এর সমালোচনাও করি না। আমাদের দেশের কওমী মাদরাসাগুলো এবং আমাদের আকাবির আসলাফগন এভাবেই যুগযুগ ধরে মাদারিসে কওমিয়্যাকে পরিচালনা করে আসছেন।

আজ থেকে ৫/৬ বছর আগেও চট্টগ্রাম শহরের কওমী হাফেজী মাদরাসাগুলো প্রতি ছাত্রের জন্য খাবার খরচ ছাড়া জনপ্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে মাসিক বেতন নিয়ে আসছিল। যাদের লিল্লাহ বোডিং আছে তাদের হিসাব ভিন্ন।

আমরাও ১৫০০/- (পনেরশত টাকা) নিয়ে থাকি। যদিও অনেক ছাত্র এর চেয়ে কম বা অর্ধেক টাকা দেয়। একেবারে ফ্রি এমন কিছু ছাত্র আছে। এলেম পিপাসু ও মেধাবী কোন ছাত্র এসেছে আর টাকার অভাবে আমি ফেরৎ দিয়েছি এমন একটি ঘটনাও নেই। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি থাকলেও মাসিক চার্য বাড়ানোর সুযোগ নেই।

যে চাল এবছরের শুরুতে প্রতি বস্তা ৩০০০ টাকা দিয়ে শুরু করছি, সেই চালের বস্তা এখন ৩৯০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়। আগে যে টাকা দিয়ে গরুর গোস্ত খাওয়ানো যেত এখন সেই টাকায় ফার্মের মুরগী খাওয়াতেই লাগে। যে মুরগী এবছরও প্রতি কেজি ছিল ১২০ টাকা সেটি এখন ২০০ টাকা। মাছের চেয়ে ডিমের দাম বেশি। এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুৎ বিলসহ সমস্ত জিনিস। যেখানে সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে মাদরাসার বিশাল ব্যাবস্থাপনা কতোটা কঠিন বাস্তবতা সেটি আল্লাহই ভালো জানেন। দূর থেকে সেটি অনুভব করা সম্ভব নয়।

কিন্তু বাস্তবতা হলো স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ, যুগোপযোগী পড়ালেখার মান বজায় রাখতে একাধিক উস্তাদসহ ছাত্র-উস্তাদের খাবারের মান ঠিক রাখতে গিয়ে প্রতিমাসে অনেক টাকা ভুর্তুকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়। এছাড়া আমাদের জাকাত, সদকার কোন ফান্ড বা কালেকশনের উমুমী কোন ব্যাবস্থাও নেই। কেবল আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল আর চোখের পানিই সম্বল। বাজারের মূল্য বৃদ্ধির এই প্রতিযোগীতা অব্যাহত থাকলে, এটি আরো কঠিন হয়ে উঠবে।

ছাত্ররা আছরের পর দোয়ার ইহতেমাম করে। শেষ রাতে উঠে দোয়া ও রোনাজারি করে। এর বদৌলতেই আল্লাহ তায়ালা মাদ্রাসা সমুহকে এখনো পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছেন।

একজন মোহতামিমের এটি নিয়মিত আমল যে, নিজের ঘরে খাবার না থাকলে সমস্যা নেই, কিন্তু মাদরাসার ছাত্র-উস্তাদের জন্য ৪ বেলা খাবার রুটিন অনুযায়ী রাখতেই হয়। বিশেষ করে মাদরাসার মোহতামিম নামক ব্যাক্তি ছাড়া মাদরাসা চালানোর এই বাস্তবতার কথা অনেকেই জানেন না বা জানার কথা নয়। তাদেরকে কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করেই চলতে হয়। নতুবা এই কঠিন জামানায় এই পথ পাড়ি দেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয় ।

তবে সামগ্রিকভাবে এই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারণে আবাসিক কওমী মাদরাসাগুলো অনেকবড় কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি।
Activities of academic year 2021-22
মারকাজুন নুর তাহফীজুল কুরআন চট্টগ্রামে আসরের পর বাচ্চাদের বিনোদনের একটি মুহুর্ত।
কথাগুলো দিলকে নাড়া দিল।।।।
আলহামদুলিল্লাহ
"মারকাজুন নূর তাহফীজুল কুরআন চট্টগ্রাম"-এ ভর্তি কার্যক্রম পুরোদমে দুদিন ধরে চলছে, ভর্তি কাজে কর্মব্যাস্থ আছেন, আমাদের নাজেরা বিভাগের প্রধান, হাফেজ মাওলানা ইউনুস সাহেব দা.বা.

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালার অশেষ শুকরিয়া ও মেহেরবানী ভর্তির প্রথম দুদিনের ভিতরেই অনেকগুলো নির্ধারিত কোটা পূরণ হওয়ার পথে। দেশের শীর্ষ শিক্ষাবিদ, প্রফেসার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে এলিট উচ্চশিক্ষিত পরিবারের দায়ীদের কলিজার টুকরো সন্তানদের আমাদের হাতে তালিম, তরবিয়তের জন্য তুলে দিচ্ছেন। উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের সন্তানদের পাশাপাশি আসছেন বিভিন্ন জেলার একনিষ্ঠ মুবাল্লিগ সাধারণ সাথীদের সন্তান। তাদের দরদ, ব্যাথা ও ফিকির দেখে আমি অভিভূত।

আমাদের সম্মানীত উস্তাদ মণ্ডলী ও খাদেমদের আন্তরিকতা ও নিরলস খেদমতকে যেন আল্লাহ তায়ালা এই প্রজন্মকে বিণির্মানের জন্য কবুল করেন। আমিন

ভর্তি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ :
01558846114, 01819523011, +8801893101929
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা!! ছাত্র উস্তাদের মধ্যে রুহানিয়াত নেই। শুধু ক্ষমতা আর প্রতি হিংসার আগুন জলছে -শিক্ষক তালাবাদের মধ্যে!!!
...........................................................................

মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফি.
অনুবাদ: ইবনে নাজ্জার
সূত্র: "শাহ রাহে ইলম"

এই লেখাটা মুফতি তাকি উসমানী সাহেব হাফি. কওমি মাদ্রাসার বর্তমান এই দুরাবস্থা দেখে, নিজের শত শত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। মনের গভীরে চেপে রাখা অনেক দিনের কষ্ট আর আফসোস গুলো কলমের ভাষায় প্রকাশ করেছেন।

তাই প্রত্যেকটা কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটির কাছে, এই লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়ার আন্তরিক নিবেদন রইল।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।)

তিনি বলেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর যতোটুকু আমি বুঝতে পারলাম তা হল; কওমি মাদ্রাসার অধঃপতনের মূল কারণ হল "আস্তে আস্তে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাটা গতানুগতিক একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে। আর এর আসল উদ্দেশ্য আমরা ভুলে গিয়েছি"। যদিও আমাদের মুখে এখনো এ কথাই শোনা যায় যে, "এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল ইসলাম ধর্মের খেদমত করা"। তবে তিক্ত বাস্তবতা হল, এগুলো শুধু মুখেই বলা হয় অন্তরে থাকে অন্য কিছু। কেননা বাস্তবেই যদি আমাদের অন্তরে এই উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে আমাদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা এটাই থাকত। আকাবির ও আসলাফদের মত সর্বদা আমাদের মাথায় ঘুরত, আমাদের কোনো কাজে আল্লাহ তা'আলা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন কিনা?
আমাদের কাজে-কর্মে দ্বীনের কতটুকু খেদমত হচ্ছে?
আমরা আমাদের মূল উদ্দেশ্যে কতটুকু সফল হয়েছি?

বরং উল্টো আমরা আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ মাদ্রাসার বাহ্যিক উন্নতিতে লাগিয়েছি, যা আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বেশিরভাগ মাদ্রাসার পরিচালকরা সর্বদা এটাই চেষ্টা করেন যে, কিভাবে আমার মাদ্রাসাটা প্রসিদ্ধতা লাভ করবে? কিভাবে ছাত্রের সংখ্যা বাড়ানো যাবে? কিভাবে দেশের নামকরা শিক্ষকদের এখানে জমায়েত করা যাবে?

এক কথায় কিভাবে জনসাধারণের মাঝে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে? আর এগুলোর পিছনে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর রাত-দিনের দৌড়ঝাঁপ দেখলে তো মনে হয়, এগুলোই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আবার এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য আমরা এমন পন্থাও অবলম্বন করি, যা একজন আলেমের জন্য কখনো সমিচীন নয়। বরং কখনো কখনো তো আমরা স্পষ্ট নাজায়েজ আর অবৈধ-পন্থা অবলম্বন করতেও দ্বিধাবোধ করি না।

অন্যদিকে যদি কোনো মাদ্রাসা মোটামুটিভাবে এগুলো অর্জন করে ফেলে, তাহলে মনে করা হয় আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। অথচ আমাদের ছাত্রদের শিক্ষা, চারিত্রিক ও ধর্মীয় অবস্থা কেমন? আমরা মুসলিম সমাজ পরিচালনা করার জন্য কেমন মানুষ তৈরি করেছি?
আমাদের চেষ্টা ও মুজাহাদার দ্বারা বাস্তবে ইসলামের কতটুকু উপকার হচ্ছে? সেগুলোর কোন খবরই থাকে না।
আর আস্তে আস্তে তো এসব বিষয়ের খোঁজখবর নেওয়া, চিন্তাভাবনা করার মানুষও কমে যাচ্ছে।

মোটকথা এই অধঃপতনের মূল কারন হল, "খিদমতে দ্বীন আমাদের আসল উদ্দেশ্য" এটা একবার মুখে উচ্চারণ করার পর কর্মজীবনে আমরা তা ভুলে যাই। আর এই বাহ্যিক জিনিসগুলো ঘিরেই চলতে থাকে আমাদের মেহনত-মুজাহাদা, শ্রম-সাধনা সবকিছুই। অথচ এগুলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং এগুলোর সাথে তো ইসলামের কোনো সম্পর্কই নেই আর থাকলেও এই শর্তে যে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নিয়ত শুদ্ধ রেখে এগুলোকে শুধু মাত্র মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হল, আমরা এগুলোকেই মূল উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি।

এমনিভাবে কওমি মাদ্রাসার গৌরবময় ইতিহাসের এক উজ্জল বৈশিষ্ট্য হল, এখানের শিক্ষক ছাত্রদের পারস্পরিক সম্পর্কটা গতানুগতিক সাধারণ কোন সম্পর্ক নয়, যা শুধু মাত্র শ্রেণিকক্ষের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বরং এটা পরস্পরের মধ্যে আত্মার পবিত্র সম্পর্ক। যা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকত। উস্তাদ শুধুমাত্র কিতাব পড়ানোর জন্য নিযুক্ত কোন শিক্ষক ছিল না, বরং নিজ ছাত্রদের জন্য তাঁরা ছিলেন কল্যাণকামী দরদী এক মহান পিতা।
আর ছাত্রদের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক দিক নির্দেশনা প্রদান কারী। ইলম ও আমলের ময়দানে ছাত্রদের শুভাকাঙ্ক্ষী এক অভিভাবক। সাথে সাথে তাঁরা ছাত্রদের নিজস্ব বিষয়গুলোও দেখাশোনা করতেন। ফলে ছাত্ররা শিক্ষকদের থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে চারিত্রিক শিক্ষাও গ্রহণ করত। তাঁদের থেকে জীবন পরিচালনা করা শিখত। শিখত ধার্মিকতা, একনিষ্ঠতা, বিনয়-নম্রতাসহ উত্তম চরিত্রের আরো অনেক গুণাবলী। আর এভাবেই ছাত্ররা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় শিক্ষকদের সাদৃশ্য হয়ে উঠত।

বিশেষ করে "দারুল উলুম দেওবন্দ" যেই মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ভিন্নরকম উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তা হল, এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং আদর্শ মানুষ গড়ার এক বিশাল কারখানা। যেখানে শিক্ষার চেয়ে দীক্ষার পরিমাণই বেশি থাকে। ফলে তৈরি হয় সঠিক শুদ্ধ আকিদায় বিশ্বাসী একনিষ্ঠ একজন পাক্কা মুসলমান। যারা কথার চেয়ে বেশি নিজেদের সুন্দর আচার-ব্যবহার আর উত্তম চরিত্রের মাধ্যমেই ইসলামের প্রচার-প্রসার করে।

কিন্তু আফসোসের বিষয় হল আস্তে আস্তে এ বিষয় গুলো আদিম যুগের ইতিহাসের মতো হয়ে যাচ্ছে।
আর এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষকরা নিজেদের মূল উদ্দেশ্য এটা কে বানিয়েছেন যে, শ্রেণিকক্ষে এমন ভাবে পড়ানো যাতে ছাত্ররা খুশি হয়ে যায। তাঁরা সব সময় ভাবতে থাকে, পড়ানোর জন্য তাঁদেরকে কেমন প্রবন্ধ বা কিতাব দেওয়া হয়েছে? কিভাবে ছাত্রদের ওপর নিজের জ্ঞানের প্রভাব পড়বে?
কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে ছাত্রদের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে? আর এই গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গিয়ে কোন পদ্ধতিতে পড়ালে ছাত্রদের বেশি উপকার হবে, সেটা ভুলে যায়। বরং কখনো তো তাঁরা খুঁজতে থাকে যে, কোন পদ্ধতিটা ছাত্রদের প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী হবে? ফলে শিক্ষকগণ ছাত্রদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের প্রবৃত্তির অনুগত হয়ে যায়। আর ছাত্ররা শিক্ষকের পিছনে চলে না বরং শিক্ষকরা ছাত্রদের চাহিদার পিছনে দৌড়াতে থাকে।

কিন্তু কিভাবে পড়ালে ছাত্রদের উপকার হবে?
কী কী শেখালে ছাত্ররা ধর্ম, দেশ ও জাতির জন্য আরও উপকারী হিসেবে গড়ে উঠবে?
ছাত্রদের কী ধরনের আগ্রহ-উদ্দীপনা, চাহিদা তাদের জন্য ক্ষতিকর?
কিভাবে ক্ষতিকর জিনিস থেকে তাদের আগ্রহ দূর হবে?
শ্রেণীকক্ষের বাইরে তারা কিভাবে চলা ফেরা করছে?
এগুলো বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, ছাত্রদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে আসার মতো লোকেরাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তাই এখন সর্বপ্রথম আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় কওমি মাদ্রাসার মৃত্যুপ্রায় এই "প্রাণ" পুনরায় তাজা করার প্রয়োজন। কেননা এটি ছাড়া আমাদের কওমি মাদ্রাসাগুলো বেশির থেকে বেশি আক্ষরিক জ্ঞানের "কেন্দ্র" হতে পারবে। ইসলামের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর শত্রু ইউরোপ আমেরিকার মুশরিক প্রাচ্যবিদদের মতো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পড়াশোনা করানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে যাবে। আর আস্তে আস্তে একদিন আমরা দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্য ও আবশ্যকীয় এই বৈশিষ্ট্যগুলি হারিয়ে, অবশেষে একদিন দ্বীনহারা হয়ে পড়ব।

কওমি মাদ্রাসার এই প্রাণ যা সময়ের ঘূর্ণিপাকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, এটাকে পুনর্জীবিত করতে সবচেয়ে বড় গুরুদায়িত্ব হল প্রত্যেকটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যের উপর। তাদের উচিত হল সর্ব প্রথম তাঁরা নিজেদের আমল-আখলাকের দিকে নজর দিবে। তাঁরা দেখবে ইসলামী শিক্ষা তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না?
আল্লাহর ভয় আর আখেরাতের চিন্তায় তাঁদের অন্তর কেঁপে ওঠে কি না?
রবের সাথে তাঁদের নৈকট্য বৃদ্ধি পেয়েছে কি না?
ইবাদতের প্রতি তাঁদের আগ্রহ কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে?
আমলের যেই ফজিলতগুলো দিনরাত তাঁরা অন্যকে শোনাচ্ছেন, নিজেরা তার উপর কতটুকু আমল করছেন?
আল্লাহর রাস্তায় দান সদকা করার জন্য অন্যদেরকে কুরআন হাদীস শুনিয়ে যেই উৎসাহ উদ্দিপনা দেওয়া হয়, নিজেরা তাতে কতটুকু অংশ গ্রহণ করেছে?
ইসলামের জন্য জান ও মালের কুরবানী দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে? সমাজের এই অধঃপতনে তাঁরা অস্থির হয়ে ছটফট করছে কি না?
সুন্দর সুশীল সমাজ বিনির্মাণের চিন্তা-চেতনা তাদের মন-মস্তিস্কে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে?
যদি এ বিষয় গুলো নিয়ে আমরা চিন্তা করি, বাস্তবতা আর সততার সাথে নিজেদের মাঝে এগুলোর উত্তর খুঁজি তাহলে লজ্জায় শরমে মাথা নিচু করে আফসোস আর অনুতাপ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

তাই এখন সময়ের দাবি, এই আফসোস আর অনুতাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর লজ্জা-শরমকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর করা।
তবে এটা সাময়িক হলে, তাতে কোন উপকার হবে না। বরং সর্বদা এটা মনেপ্রাণে ধারণ করে নিতে হবে, আর নিজেদের ভবিষ্যৎকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই হয়ত আবার ফিরে যেতে পারি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী অতীতে।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন, আমীন।

“মারকাযুন নূর তাহফীজুল কুরআন চট্টগ্?

Operating as usual

28/01/2023

কেন নিজামুদ্দিন?

-সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ
--------------------------------------
কেন নিজামুদ্দিন ? বা নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজ? -এই শিরোনামটি চমক সৃষ্টি কিংবা পাঠক আকৃষ্ট করার জন্যে নয়। ধরণীতে এতো এতো দ্বীনী শাখা আর শোভার ভিড়ে আজো কেন নিজামুদ্দিন আলমি মারকাজ আমাদের কাছে এতো প্রত্যাশিত, এতো প্র‍্যয়োজনীয়।

দ্বীনের এই বাতিঘরকে কেন শত প্রতিকূলতার ভিতর দিয়ে আকড়ে থাকা? শত ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে? কেনইবা আজ সারা দুনিয়ার সকল মত পথ, মাযহাব ও মাসলাকের মুসলমান কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ মাড়ি দিয়ে দ্বীনের এই লাইট হাউজকে দেখে পথ চলা? এটি কী কেবলি কোন আবেগ? কিংবা অন্য কিছু?

এই একটি মাত্র দ্বীনী মারকাজকে আকড়ে থাকার কারণে গেল কয়েক বছর স্বগ্রোত্রিয়দের কাছ নির্যাতনের স্টিম রোলার সহ্য করা। কেনই বা এই নিজামুদ্দিনকে মানতে মানতে গেল বছর বিশ্বের হাজার হাজার মুসলমানের কারাভোগ করা। মুসলিম পর্দানশিন নারীদের মাসের পর জেল খাটা। এমনকী কষ্ট নির্যাতন সহ্য করতে করতে মূত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন অনেকেই। কেনইবা খেয়ে না খেয়ে এই মারকাজের তাকাযা পুরণে হাজার লক্ষ মানুষের রাতদিন এতো এতো নজরানা ও কুরবানী৷ কেনই বা জান-মাল ও জীবনের বাজী লাগিয়ে নিজেকে দ্বীনের জন্য বিলিয়ে দেয়া? আর কেনই বা সারা বিশ্বের বাতিল শক্তি দাজ্জালি মিডিয়া আর পরাশক্তির অপপ্রচার ও টার্গেট এখন এই মারকাজকে খতম করা?

আজ থেকে শত শত বছর ধরে এই মারকাজকে কেন্দ্র করে কুরবানীর যে সীমাহীন নযরানা পেশ করা হয়েছে বিশ্বে এর দ্বিতীয় উদাহরণের নজীর কেউ দেখাতে পারবে না। এই মারকাজের ফিকিরে কত পথহারা বান্দা পথের দিশা পেয়েছেন। কত বনি আদম আলোর ফেরিওয়ালা হয়েছেন। কত নর্দামা আর গান্ধিগী জীবন ছেড়ে সত্যের সারথী হয়েছেন এর হিসাব কেবল রাব্বুল আলামিনই জানেন। কত কাফের মুশরিক রাব্বে কাবায় সেজদা দেনেওয়ালা হয়েছেন, ঈমানের বলে বলিয়ান হয়েছেন এটি আজ নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

কত শত আল্লাহর বান্দা এই মারকাজের তাকাজায় লাব্বাইক বলে দ্বীনের জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর আপন পরিবার পরিজন স্ত্রী পুত্র-কন্যা রেখে আল্লাহর রাস্তায় দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটে চলেছেন, আর সেখানেই আপন কবর রচনা করেছেন। কেন আল্লাহর রাস্তায় শাহাদতের তামন্না নিয়ে এই আত্মত্যাগ?

জগতজুড়ে এই আত্মত্যাগ আর কুরবানী কেনই বা নিজামুদ্দিন মারকাজকে ঘিরে এটি আজ অনেকটা স্পষ্ট বিশ্ববাসীর সামনে। তবে যারা দাওয়াতের কাজের ব্যাপারে পূর্ণ ওয়াকিবহাল নন, কিংবা এসব বিষয়ে জানাশোনার গন্ডি সীমিত তাদের কাছে নিজামুদ্দিন মারকাজের এই অনিবার্যতা আশ্চর্যের! বড়ই বিস্ময়ের?

একবিংশ শতাব্দির মহান সংস্কার আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ লিখেছেন, কোন ধরনের চাটুকারিতা ও মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে যে বাস্তাব কথাটি আজ সবার সামনে অপকটে বলা যায় তাহলো, বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও বিস্তৃত, সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও উপকারী দাওয়াতের নাম হলো তাবলীগ জামাতের দাওয়াত। এই দাওয়াতের মারকাজ হলো দিল্লীর নিজামুদ্দিনে অবস্থিত তানলীগের মারকাজ। ( ভুমিকা, মুন্তাখাব হাদীস)

ভারত মনীষা মাওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান রহ. তাবলীগী তাহরীক নামক গ্রন্থে তার স্মৃতি কথায় লিখেছেন, “আজ নিযামুদ্দিন একটি জাতীয় ; বরং আন্তর্জাতিক বিপ্লবের কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ জায়গাটির দৃষ্টান্ত হলো হৃৎপিন্ডের মতো। হৃৎপিন্ড থেকে যেমন রক্ত প্রবাহিত হয়ে পুরো শরীর ঘুরপাক খেয়ে আবার হৃৎপিন্ডে ফিরে আসে , তেমনি অসংখ্য মানুষ এখান থেকে বের হয়ে দুনিয়ার আনাছে- কানাছে ছড়িয়ে পড়ে। ফিরে এসে নতুন শক্তি শঞ্চয় করে এবং দ্বিতীয়বার নিজেদের তাবলিগী মিশন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ।এখানে এমন এক বিপ্লবের খোঁজ পাওয়া যায় ,যার শুরু আছে; কিন্ত শেষ নেই।”

দারুল উলুম দেওবন্দের ছদরুল মুদাররিসিন ,আমিরুল হিন্দ উলাদে রাসুল সািইয়্যেদ আরশদ মাদানী দা.বা. কে গতবছর এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল, অনেকেই বলছেন, নিজামুদ্দীনে করোনার সময় এমন অনুষ্ঠান না করলে কী হতো? সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী তার উত্তরে বলেন : এটি আজকের নতুন কোন বিষয় নয়। এরকম অনুষ্ঠান শত বছর ধরেই নিজামুদ্দীনে হয়ে আসছে প্রতিদিন। আমি হযরতজী ইলিয়াস [রহ.] এর জামানায় আব্বা হযরতের (কুতবে আলম শায়খুল ইসলাম সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানী রহ.) সাথে বহুবার নিজামুদ্দীন গিয়েছি। তখনো মেওয়াতিরা সেখানে নিয়মিত আসতো। বড় বড় মজলিস হতো। এখনো নিজামুদ্দীন মার্কাজ থেকে হাজারো দেশ-বিদেশের জামাত নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। এটি মার্কাজের সাধারণ নিয়ম। মিডিয়া সেটিকে সমাবেশ নাম দিয়েছে মার্কাজ বা তাবলীগ সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায়। সারা দুনিয়ার লাখ লাখ মুসলমান তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীন শিখতে নিজামুদ্দীন মার্কাজে শত বছর ধরে এভাবেই আসা-যাওয়া করছে। বছরের পর বছর ধরে একই উপায়ে তাবলীগে তারা বিভিন্ন জামাতের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে যায়।

#সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, তাবলীগের বিভক্তির পরেও কী সেরকম অবস্থা নিজামুদ্দীন মার্কাজে আছে?
সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী তখন উত্তরে বলেন: কেন থাকবে না। নিজামুদ্দীন তো তার আগের জায়গায়ই আছে। দু’একজন চলে গেলে মূল প্রতিষ্ঠানের প্রভাব কখনো বিনষ্ট হয় না। দারুল উলূম থেকে অনেকেই চলে গেছেন, বড়বড় হাস্তিরা নানান বড়বড় অভিযোগ নিয়ে, আলাদা মাদরাসা করেছেন, কই দারুল উলূম তো তার আগের জায়গাই আছে। এই মার্কাজে ইলিয়াস [রহ.] সহ অসংখ্য আকাবির-বুজুর্গদের কুরবানী, চোখের পানি আর কুরবানী আছে। এটি এমনি এমনি কী নষ্ট হয়ে যাবে? এর সাথে মকবুলিয়াতের সম্পর্ক আছে। যারা চলে গেছেন আমি আশা করি, সেসব বুজুর্গরাও আপোসে এখতেলাফ মিটিয়ে মার্কাজে আবার চলে আসবেন।"

আমরা যারা নিজামুদ্দিন নিয়ে র্চচা ও গবেষনা করি তাদের অনেকেরই এই ইতিহাস জানা আছে এই মারকাজিয়তকে ধবংস করতে ১৩বার বিদ্রোহ হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এই মারকাজকে আপন কুদরত দ্বারা হেফাজত করেছেন। ইনশাল্লাহ ইমাম মাহদী আ. আসার আগ র্পযন্ত এটিই উম্মোহ বিনির্মানে মিল্লাতের সবচেয়ে বড় মারকাজ বা কেন্দ্র অথবা সদর দপ্তর হিসাবে ঠিকে থাকবে ইনশাল্লাহ। দ্বীনের ঐক্যবদ্ধ কাজের জন্য মারকাজিয়্যাত বা একটি কেন্দ্র থাকার অপরিহার্য দাবী এটি দ্বীনী মেহনতের বুনিয়াদী উসুল। সীরাতের অপরিহার্য একটি অধ্যায়। ইসলামের মৌলিক জীবনাচারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

মাওলানা সাঈদ আহমাদ খান রহ. বলেন, দাওয়াতের সাথীদের উচিত, নিজেদেরকে মারকাজের সাথে জুড়ে রাখা। মূূল মারকাজ একটিই হয়। মূল মারকাজের অধীনে অনেক শাখা হয়। যেমন খোলাফায়ে রাশেদার যুগে মদীনা মুনাওয়ারা মারকাজ ছিল। আমীর ও খলিফার অবস্থানস্থলও ছিল মদীনা। তেমনিভাবে আমাদেরও মারকাজ হচ্ছে নিজামুদ্দীন। এই মারকাজের সাথে প্রত্যেক পুরাতন ও নতুন সাথীর সম্পর্ক রাখা একান্ত আবশ্যক। সেখানকার নির্দেশনা নিয়েই চলা উচিত। (সাইদ আহমাদ খান রহ. পত্রাবলী : পৃষ্ঠা ৪/৩৭০)

পাকিস্তানের হাজী আব্দুুল ওয়াহাব রহ. বলতেন, "মাওলানা ইলিয়াস রহ দাওয়াতের কাজকে আল্লাহ তায়লার কাছে কবুল করিয়েছেন, যার ফলে মানুষ ঘরে ঘরে পাইতেছে, তাই এ কাম আগে বাড়তেছে। নিযামুদ্দিনের মাটিকেও আল্লাহ তায়লার কাছে কবুল করাইয়াছেন! এই কাজ দুনিয়াতে ততদিন পর্যন্ত চলবে, যতদিন পর্যন্ত নিযামুদ্দিন থেকে হরকতটা চালু থাকবে, দাওয়াতের আলমি কাজ সারা দুনিয়ায় কাম টিকাইয়া রাখার আর কোনো জায়গা নাই!
(এর অডিও রেকর্ড উমর ফারুক সাহেবের যবানে এখনো সংগ্রহিত আছে আমাদের কাছে।)

হে আল্লাহ; নিজামুদ্দিন মারকাজকে কেয়ামত পর্যন্ত দায়েম ও কায়েম রাখো, এই মারকাজ ও মারকাজের আমীর ও, সকল জিম্মাদার ও এর সাথে জুড়ে থাকা সারা দুনিয়ার তাবলীগের সাথীদের হেফাজত করুন। কবুল করুন।

Photos from Markajunnur Tahfijul QURAN Chattogram's post 05/11/2022
03/11/2022
21/10/2022

ছাত্র-উস্তাদের বিনোদনের সময়

21/10/2022

ছাত্রদের এসব আমল পরিপূর্ণ করা একমাত্র মাদ্রাসায় থেকেই সম্ভব।

Photos from Markajunnur Tahfijul QURAN Chattogram's post 21/10/2022

জুমাবার উপলক্ষে ছাত্রদের মেধাবিকাশের উদ্দেশ্যে অল্প সময়ের জন্য ঘুরাঘুরি।।।।।।

20/10/2022
Photos from Markajunnur Tahfijul QURAN Chattogram's post 15/10/2022

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে হিফজ ও নাজেরা সবক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল। আমাদের ৩জন ছাত্রদের আজ সবক প্রদান করেছেন, উস্তাজুল হুফফাজ হাফেজ মাওলানা রেজাউল কবির সাহেব। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মামুন সাঈদ, পেশ ইমাম, মারকাজুল হুদা জামে মসজিদ, হাফেজ মাওলানা ইউনুস, বিভাগীয় প্রধান, মারকাজুন নুর তাহফীজুল কুরআন চট্টগ্রাম সহ আরও অনেক বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ছাত্রদের হাফেজে কুরআন হিসেবে কবুল ফরমান।

Photos from Markajunnur Tahfijul QURAN Chattogram's post 24/09/2022

প্রিয় শায়েখের এই মতের সাথে আমি পরিপূর্ণ একমত

19/09/2022

ডা. জাকির নায়েক বলেন, তাবলীগী জামাত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীনী জামাত। দলটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী। নিসন্দেহে তারা খুব ভালো কাজটাই করছেন। তিনি বলেন আমি নিজে ছাত্র জামানায় ২/৩ দিন তাবলীগে সময় লাগিয়েছি।

সৌদিতে তাবলীগ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এটি সৌদির স্পষ্ট ভুল। আমি এর শক্ত প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন, হতে পারে ভুল ইনফরমেশনের কারণে সৌদি সরকার এই ভুলটি করেছে। তিনি বলেন, আশা করি সৌদি সরকার তাদের ভুল বুঝবে এবং সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করবে।

মাসিক দ্বীনী দাওয়াত

19/09/2022

দারুল উলুম দেওবন্দে "রাবেতায়ে মাদারেসে ইউপি" র বৈঠক

বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ হিন্দুস্তানের মাদারিসের উপর সরকার কর্তৃক বিভিন্ন তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ বিভিন্ন জরিপ চালাচ্ছে সরকার৷ মাদরাসার তাফসীলি খোঁজ খবর নিচ্ছে৷ বিশেষ করে ইউপির মাদরাসাগুলোতে৷ এতে করে অনেক মাদারিস আতঙ্কে রয়েছে৷

এরই প্রেক্ষিতে আজ দারুল উলূম দেওবন্দ " রাবেতায়ে মাদারেসে ইউপি"এর উদ্যোগে সকল মাদারিসের মুহতামিমদের নিয়ে একটি মাজলিসের ডাক দেয়৷ এ পরিস্থিতিতে উত্তরণের উপায় কী? কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ আমাদের!

সকাল থেকে দেওবন্দের মসজিদে রশীদে ইউপির সকল মাদারিসের মুহতামিমদের নিয়ে মাজলিস শুরু হয়৷ কানায় কানায় ভরে যায় মসজিদে রশিদ৷

এ সঙ্কটময় মুহূর্তে সকলেই যেন তাদের অভিভাবকের নিকট এসে হাজির হয়েছে৷ চাতকপাখির ন্যায় সকলেই তন্ময় হয়ে আকাবিরদের বক্তব্য শুনছেন৷ বিশেষ করে হযরতুল উস্তাদ আরশাদ মাদানী হাফি. এর নসীহত থেকে সামনের জন্য পাথেয় সংগ্রহ করছেন৷

হযরত আরশাদ মাদানী হাফি. মাজলিসে তাঁর বক্তব্যে অত্যন্ত দরদের সাথে মাদারিসের সামনের হিফাজতের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিকনির্দেশনা দেন-

১৷ শিশুদের অধিকারের কথা মাথায় রেখে ছাত্রদের মারধরের পদ্ধতি আজ থেকে তালাক দিন, না হলে মাদরাসাগুলোকে নিরাপদ রাখতে পারবেন না।

২৷ মাদরাসায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশের যত্ন নিতে হবে, বাথরুম ও টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে স্থায়ী লোক নিয়োগ করতে হবে।

৩৷ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আধুনিক শিক্ষা সকল মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলক করতে হবে, দারুল উলূম দেওবন্দও আগামী বছর থেকে শুরু করবে, ইনশাআল্লাহ।

৩৷মাদারিসে ইসলামিয়ার আর্থিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বিবেচনায় আনতে হবে। নিজস্বভাবে একটি বার্ষিক অডিট পরিচালনা করুন। আগামী বছর থেকে মাদারিসগুলোতে দারুল উলূম দেওবন্দের প্রতিনিধিরাও বিভিন্ন সময়ে হিসাব পর্যালোচনা করতে পারেন।

৫৷ মাদারাস জমি ও সম্পত্তির কাগজপত্র স্থিতিশীল রাখুন এবং এ ব্যাপারে একেবারেই গাফিলতি করবেন না৷

৬৷ সাম্প্রতিক জরিপ দেখে আতঙ্কিত হবেন না, তবে জরিপ প্রতিনিধির সাথে বিনয়ী হন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করুন।

৭৷ দেশের যেমন আধুনিক শিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন তেমনি জাতিরও প্রয়োজন একজন ভালো আলেম ও মুফতি, একজন ভালো হাফিজ ও ক্বারীর, একজন ভালো ইমাম ও মুয়াজ্জিনের এবং একজন ভালো ধর্মীয় নেতার।

৮৷ শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে বৈধ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করুন, প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হতে দেবেন না।

৯৷ মাদারিসে ইসলামিয়ার কর্মকর্তাদের এবং সংশ্লিষ্টদের সাহস ও পারস্পরিক সহযোগিতা প্রচার করতে হবে৷

১০৷ মাদরাসা ইসলামিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে৷

মাজলিস শেষে সদরে জমিয়ত, সদরুল মুদাররিসীন দারুল উলূম দেওবন্দ হযরতুল উস্তাদ আরশাদ মাদানী হাফি. মিডিয়ার সামনে কথা বলছেন৷ সাথে রয়েছে দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস হযরত আবুল কাসিম নুমানী হাফি.৷

মিডিয়ার সাথে কথা বলছে কী বীরত্বের সাথে, কী সাহস নিয়ে! ছবিগুলো ভাল করে খেয়াল বা দেখলে অনুমেয় হয় যে, ডজন খানেক সাংবাদিক ঘিরে ধরেছেন হযরতকে, তিনি বীরদর্পে বলে যাচ্ছেন!

আল্লাহ উভয় হযরতকে দীর্ঘায়ু করুন৷ মাদারিসে হিন্দকে হিফাজত করুন৷ তাদের পরিস্থিতি অত মুয়াফেক নয়৷

19/09/2022

মাশা আল্লাহ

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা আগামি শিক্ষা বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা চালু করতে যাচ্ছে। এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত দেশ, জাতী ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বিরাট প্রভাব ফেলবে বলে আশা রাখি, ইনশা আল্লাহ।

এভাবে আমাদের দেশেও যদি মাদ্রাসাগুলার অধীনে স্কুল, কলেজ শিক্ষা চালু থাকতো, তাহলে কতইনা উত্তম হতো।

10/09/2022
19/08/2022

ছাত্র যখন অনুপস্থিত থাকবে, তখন কর্তৃপক্ষ বিচলিত হওয়া কখনোই উচিত নয়।
কারণ হিসেবে সবচেয়ে যেটা আমার ভালো লেগেছে,
লোহাগাড়া রাজঘাটা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাবিবুল ওয়াহেদ সাহেব, বারাকাল্লাহু বলেন,
"সন্তান যার টেনশন তার"

সুতরাং কর্তৃপক্ষ বা উস্তাদের প্রতি আরজ, যেসব অভিবাবক কর্তৃপক্ষের নিয়ম অমান্য করে, তাদেরকে ফাইনের আওতায় আনুন এবং মাসিক পড়ার রুটিন তৈরি করুন।
বিশেষভাবে যেসব ছাত্র অনুপস্থিতির কারণে পিছিয়ে পড়বে, তাদেরকে দায় এড়াতে মাসিক রিপোর্ট দেখান।

কথা একটাই সন্তান যার টেনশন তার।

মু. আরশদ হোছাইন।
জামিয়া দারুল মা'আরিফ আল ইসলামিয়া চট্রগ্রাম

18/08/2022

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি : কওমী মাদরাসার খরচ চালানোর তাওয়াক্কুল...

আমাদের দেশের অধিকাংশ কওমী মাদরাসা আবাসিক। নিয়মিত একেকটি মাদরাসায় প্রতিবেলা একেকটি বিয়ে বাড়ির রান্না করতে হয়। মাদরাসার মোহতামিম সাহেবের পকেটে অথবা মাদরাসার ফান্ডে টাকা থাক বা না থাক, রুটিনওয়ার্ক খাবার ঠিকই সময়মতো রান্না করে শতশত ছেলেদের সামনে হাজির করতে হয়। এটি কতবড় চ্যালেঞ্জিং ও তাওয়াক্কুলের বিষয় তা একজন মোহতামিম সাহেব আর তার আল্লাহই কেবল ভালো জানেন।

আবার সে মাদরাসা যদি হয় আমাদের মতো কালেকশন মুক্ত, সভা আর চাঁদা বিহীন, দাওয়াত বিহীন, যাকাত/ফিতরা/সদকা গ্রহণ করা ব্যাতিত, তাহলেতো বিষয়টি কত বড় বাস্তবতা এটি কেবল মাদরাসার পরিচালকই জানেন। গত মাসখানিক আগে একজন একটি সদকার ছাগল নিয়ে আসেন, পরে আমি আমার আরেক সাথীর মাদরাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি, যেখানে লিল্লাহ বোর্ডিং আছে। এমন ঘটনা প্রায়ই হয়।

আমি আমার বাচ্চা/উস্তাদদের যাকাত, সদকার মাল খেয়ে আলেম বানাতে চাই না। এটি আমার ব্যাক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। যারা এসব গ্রহণ করেন সেটিও তাদের ব্যাক্তিগত বিষয়। আমি এর সমালোচনাও করি না। আমাদের দেশের কওমী মাদরাসাগুলো এবং আমাদের আকাবির আসলাফগন এভাবেই যুগযুগ ধরে মাদারিসে কওমিয়্যাকে পরিচালনা করে আসছেন।

আজ থেকে ৫/৬ বছর আগেও চট্টগ্রাম শহরের কওমী হাফেজী মাদরাসাগুলো প্রতি ছাত্রের জন্য খাবার খরচ ছাড়া জনপ্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে মাসিক বেতন নিয়ে আসছিল। যাদের লিল্লাহ বোডিং আছে তাদের হিসাব ভিন্ন।

আমরাও ১৫০০/- (পনেরশত টাকা) নিয়ে থাকি। যদিও অনেক ছাত্র এর চেয়ে কম বা অর্ধেক টাকা দেয়। একেবারে ফ্রি এমন কিছু ছাত্র আছে। এলেম পিপাসু ও মেধাবী কোন ছাত্র এসেছে আর টাকার অভাবে আমি ফেরৎ দিয়েছি এমন একটি ঘটনাও নেই। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি থাকলেও মাসিক চার্য বাড়ানোর সুযোগ নেই।

যে চাল এবছরের শুরুতে প্রতি বস্তা ৩০০০ টাকা দিয়ে শুরু করছি, সেই চালের বস্তা এখন ৩৯০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়। আগে যে টাকা দিয়ে গরুর গোস্ত খাওয়ানো যেত এখন সেই টাকায় ফার্মের মুরগী খাওয়াতেই লাগে। যে মুরগী এবছরও প্রতি কেজি ছিল ১২০ টাকা সেটি এখন ২০০ টাকা। মাছের চেয়ে ডিমের দাম বেশি। এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুৎ বিলসহ সমস্ত জিনিস। যেখানে সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে মাদরাসার বিশাল ব্যাবস্থাপনা কতোটা কঠিন বাস্তবতা সেটি আল্লাহই ভালো জানেন। দূর থেকে সেটি অনুভব করা সম্ভব নয়।

কিন্তু বাস্তবতা হলো স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ, যুগোপযোগী পড়ালেখার মান বজায় রাখতে একাধিক উস্তাদসহ ছাত্র-উস্তাদের খাবারের মান ঠিক রাখতে গিয়ে প্রতিমাসে অনেক টাকা ভুর্তুকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়। এছাড়া আমাদের জাকাত, সদকার কোন ফান্ড বা কালেকশনের উমুমী কোন ব্যাবস্থাও নেই। কেবল আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল আর চোখের পানিই সম্বল। বাজারের মূল্য বৃদ্ধির এই প্রতিযোগীতা অব্যাহত থাকলে, এটি আরো কঠিন হয়ে উঠবে।

ছাত্ররা আছরের পর দোয়ার ইহতেমাম করে। শেষ রাতে উঠে দোয়া ও রোনাজারি করে। এর বদৌলতেই আল্লাহ তায়ালা মাদ্রাসা সমুহকে এখনো পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছেন।

একজন মোহতামিমের এটি নিয়মিত আমল যে, নিজের ঘরে খাবার না থাকলে সমস্যা নেই, কিন্তু মাদরাসার ছাত্র-উস্তাদের জন্য ৪ বেলা খাবার রুটিন অনুযায়ী রাখতেই হয়। বিশেষ করে মাদরাসার মোহতামিম নামক ব্যাক্তি ছাড়া মাদরাসা চালানোর এই বাস্তবতার কথা অনেকেই জানেন না বা জানার কথা নয়। তাদেরকে কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করেই চলতে হয়। নতুবা এই কঠিন জামানায় এই পথ পাড়ি দেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয় ।

তবে সামগ্রিকভাবে এই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারণে আবাসিক কওমী মাদরাসাগুলো অনেকবড় কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি।

18/08/2022
Want your school to be the top-listed School/college in Chittagong?

Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

মারকাজুন নুর তাহফীজুল কুরআন চট্টগ্রামে আসরের পর বাচ্চাদের বিনোদনের একটি মুহুর্ত।
আলহামদুলিল্লাহ, আসন্ন মাহে রমাদানকে সামনে রেখে  আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মারকাজুন নূর তাহফীজুল কুরআন চট্টগ্রাম- এর শীতাত...
মাত্র ৩বছর বয়সের খাদিজা বিনতে রোকন
নূরানী কায়দা ছাত্রদের একাংশ
হিফজ সবক প্রদান অনুষ্ঠান
মাসজিদুল হারামের সবচেয়ে বিখ্যাত মুয়াজ্জিন শায়খ আলি বিন আহমদ মোল্লা (রহ) এর সমধুর কণ্ঠের আজান

Location

Category

Telephone

Website

Address


Chittagong
4203
Other Schools in Chittagong (show all)
Ispahani Public School & College Ispahani Public School & College
Zakir Hossain Road
Chittagong, 1207

upload photos of ur IPSC lyf...& dont 4get 2 invite more & more friends...:)

Radiant School & College Radiant School & College
Campus-1: 3 Zakir Hossaun Road, South Khulshi. Campus-2: House No. 1, Road No. 1, South Khulshi
Chittagong

Worst School In the WORLDDD!!!

Purba Bakalia City Corporation Kindergarten Purba Bakalia City Corporation Kindergarten
Chittagong

A kindergarten school which is ruled by Chittagong City Corporation

Darsul Quran Madrasah Darsul Quran Madrasah
2no Gate
Chittagong, 4209

তালিম, তারবিয়াত ও দাওয়াহ আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আলহামদুলিল্লাহ

Tahseenul Uloom Madrasah Tahseenul Uloom Madrasah
4 Number Word Paschim Boroghona, Banshkhali
Chittagong, 4390

This is an non Government madrasah. managed by the help of all muslim.

Edu Care Pre Cadet School Edu Care Pre Cadet School
Chittagong, 4350

A Trusted Educational Academy For your Child.We provide Them A 1st class education service As like y

TV sajib Gaming TV sajib Gaming
খাগড়াছড়ি
Chittagong, মাবাবারদোয়া

MES Coders Club MES Coders Club
MES Collage
Chittagong, 4225

Naherpur High School Naherpur High School
নাহেরপুর, পোষ্টঃ মহাজনহাট, মিরসরাই
Chittagong, 018195026

Ashekane Awlia Abdul Monaem High School Ashekane Awlia Abdul Monaem High School
Chittagong

All information about school and online class

Creative Academy Creative Academy
College Road
Chittagong

একটি সুন্দর পরিবেশেই পারে একজন সুন্দ?