Application Link -> https://appr.live/appid/1367103441
Multiverse of Stories
জা’আল হাক্কু ওয়া জাহাকাল বাতিল ইন্না?
Operating as usual
রমজান মোবারক...।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থভাবে রোজা রাখার তোফিক দান ক্রুন
আসসালামু আলাইকুম
আমরা মুসলমানরা অনেক বিষয় আজ উলটো বানিয়ে ফেলছি । আমিও আপনাদের মত গুনাহগার একজন মানুষ। কিন্তু আমি নিজে থেকে কিছু একটা চেষ্টা করছি নিজেকে শুধরানোর । আমি আজকে বেশ কয়েকটা বিষয়ে কিছু প্রমাণ দিবো। আমি কোন মুফতি না কিন্তু আমিও একজন মুসলমান। আর
মহানবি{ সঃ } বলেছেন,
“প্রত্যক মুসলমানের জ্ঞান অন্বেষন করা ফরয”
ইবনে মাজাহ
তাই নিজ থেকে কিছু শিখার চেষ্টা করছি। আমি এই যুগের বেশ কয়েকটি ফিতনাযুক্ত বিষয় নিয়ে নিজের অল্প একটু কথা বলবো এবং বিশেষ কয়েকটি কুরআনের আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করবো।
বি;দ্রঃ কথাগুলো আমার নিজ ব্যাক্তিগত। কোন হুজুর বা গ্রুপকে কেন্দ্র করে আমি এসব লিখছিনা । লিখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ।
১, মহিলাদের পর্দা কেমন হওয়া উচিত?
আজকালকার যুগে যে জিনিস নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি পেঁচাল বাজাই আমার মতে তা হচ্ছে মহিলাদের পর্দা । দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি আমাদের দেশে এই জিনিসটা বেশি বেজাল হয়ে যাচ্ছে । আমাদের দেশে শহুরে এলাকার মেয়েরা পর্দাহীন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন । অপসংস্কৃতির প্রভাবে আমরা বেজালে বেজাল হয়ে যাচ্ছি।
তাহলে আমাদের জ্ঞানটাও যে শূন্য হয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্ট । তাহলে এবার দেখি ইসলামে মহিলাদের পর্দা
কেমন হওয়া উচিত। আল্লাহ আল কুরআনে বলেন,
“[হে মুহাম্মদ] তুমি অনুরুপভাবে মুমিন নারীদেরকেও বলে দাও যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং নিজ লজ্জাজনক স্থান হিফাজত করে। নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে। তবে যা স্বভাবতো প্রকাশ পেয়ে যায় তা পেলে কোন অসুবিধা নেই। তাদের ঘাড়, গলা ও বক্ষদেশ যেন মাথার ওড়না দিয়ে আবৃত রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী , পিতা, শ্বশুর, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইপো , বোনপো , স্বজাতীয় নারী , মালিকানাধীন দাস, যৌন কামনা রহিত অধীন পুরুষ, নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ব্যাতিত অন্য কারো নিকট নিজ সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে। অনুরুপভাবে তারা যেন ভুমিতে স্বজোরে পা না ফেলে। অনুরুপভাবে তারা যেন স্বজোরে নিজ পদযুগল ক্ষেপণ না করে। কারন, তাতে করে তাদের অভ্যতরীণ সৌন্দর্য্য প্রকাশ পাবে। বরং হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আস। তখনি তোমরা সফলকাম হবে”
সুরা-নুর,আয়াত-৩১
অথচ হায়! আমাদের ম্যা বোনেরা আজ এগুলো মানা বাদ দিতে টিকটক , বিগো লাইভে বিভিন্নভাবে নিজেদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ করছেন। আর ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ১৪-৩০ বছর বয়সি মেয়েরা তো আরো অনেক উদ্ভাসিত এসব ব্যাপারে। মেকাপ ছাড়া তো তারা আজ চলতেই পারে না। আর বিভিন্ন পুরুষের সাথে মেলামেশার কথাটা বাদই দিলাম।
মহানবী {সঃ} বলেছেন,
“আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি যে নারী ঈমান রাখে , তার মাহরামের সঙ্গ ছাড়া একদিন একরাতের সফর বৈধ নয়”
মুসলিম-৩৩৩১
আমাদের নবী(সঃ) আরো বলেন,
“ যখনি কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনতা অবলম্বন করে তখন তাদের সাথে ৩য় সঙ্গী হয় শয়তান”
সহিহ তিরমিযি,৯৩৪
অথচ আমাদের সমাজটাই দেখুন। শিশু পার্ক, রেলওয়ে, স্কুল কলেজে আজ যা হচ্ছে তার কি কোন মানে আছে? ইসলাম ভালোবাসাকে মানে । কিন্তু ভালোবাসাটা হতে হবে মানুষকে মানুষ হিসেবে।
আপনি ভালোবাসেন ? ভালো কথা । সরাসরি বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দেন। বন্ধু বানাবেন? তাও পারেন । কিন্তু ছেলে হলে আগে নিজেকে মানিয়ে দেখবেন আপনি কি আদৌ যৌন কামনা রহিত?
আর মেয়ে হলে বন্ধুত্বের মাঝেও পর্দা থাকতে হবে। স্টাইল করা পর্দা নয়, এমন পর্দা থাকতে হবে যেন আপনার সৌন্দর্য্য আপনার বন্ধুর কাছে প্রকাশ না পায়।
আমি হয়ত অনেক কিছু বলছি , কেউ কেউ বলবেন আমি ডিজিটাল না। আমি বলবো ভাই, অশ্লীলতাকে ডিজিটাল বলে না। বন্ধু-বান্ধব একটা সামাজিক বন্ধন । কিন্তু আমাদের সমাজে এই কথা কম অশ্লীলতা বেশি মাথায় থাকে।
মহানবী (সঃ) বলেন,
“লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি শাখা”
সুনানে নাসাই
তিনি আরও বলেন,
“ অশ্লীলতা যেকোন জিনিসকে খারাপ করে”
তিরমিযি
আশা করি কিছুটা হলেও বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আল্লাহ আমাদের হেফাজত দান করুন
আগামী পর্বে আরেকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। লাইক দিয়ে পাশে থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ
সুরা আল কাহফ আয়াত ১৩ এর তাফসির্ .........
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কিভাবে হেদায়াত করেন তার একটি জলন্ত উদাহারণ
১) فتية শব্দটি فتي এর বহুবচন, অর্থ যুবক। [ফাতহুল কাদীর] তাফসীরবিদগণ লিখেছেন, এ শব্দের মধ্যে ইঙ্গিত আছে যে, কর্ম সংশোধন, চরিত্র গঠন এবং হেদায়াত লাভের উপযুক্ত সময় হচ্ছে যৌবনকাল। বৃদ্ধ বয়সে পূর্ববর্তী কর্ম ও চরিত্র এত শক্তভাবে শেকড় গেড়ে বসে যে, যতই এর বিপরীত সত্য পরিস্ফুট হোক না কেন, তা থেকে বের হয়ে আসা দুরূহ হয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দাওয়াতে বিশ্বাস স্থাপনকারী সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন যুবক। [ইবন কাসীর]
(২) আসহাবে কাহফের স্থান ও কাল নির্ণয়ে বিভিন্ন মত এসেছে। এগুলোর কোনটি যে সঠিক সে ব্যাপারে সঠিক কোন সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। আলেমগণ এ ব্যাপারে দুটি অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তাদের একদলের মত হলো, আমাদেরকে শুধু এ ঘটনার শুদ্ধ হওয়া ও তা থেকে শিক্ষা নেয়ার উপরই প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তাদের স্থান ও কাল নির্ধারনে ব্যস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্য একদল মুফাসসির ও ঐতিহাসিক এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পেশ করার মাধ্যমে কাহিনীটি বোঝার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।
তাদের অধিকাংশের মতে, আসহাবে কাহফের ঘটনাটি ঘটে আফসোস নগরীতে। হাফেয। ইবন কাসীর রাহেমাহুল্লাহ তার তাফসীরে এ সাতজন যুবকের কালকে ঈসা আলাইহিস সালামের পূর্বেকার ঘটনা বলে মত দিয়েছেন। ইয়াহুদীগণ কর্তৃক এ ঘটনাটিকে বেশী প্রাধান্য দেয়া এবং মক্কার মুশরিকদেরকে এ বিষয়টি নিয়ে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করতে শিখিয়ে দেয়াকে তিনি তার মতের সপক্ষে দলীল হিসেবে পেশ করেন। [দেখুন, ইবন কাসীর]
কিন্তু অধিকাংশ মুফাসসির ও ঐতিহাসিকগণ এ ঘটনাটিকে ঈসা আলাইহিস সালামের পরবর্তী ঘটনা বলে বর্ণনা করে থাকেন। তাদের মতে, ঈসা আলাইহিস সালামের পর যখন তার দাওয়াত রোম সামাজ্যে পৌঁছতে শুরু করে তখন এ শহরের কয়েকজন যুবকও শির্ক থেকে তাওবা করে এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে তাদের যে বর্ণনা এসেছে তা সংক্ষেপ করলে নিম্নরূপ দাঁড়ায়ঃ তারা ছিলেন সাতজন যুবক। তাদের ধর্মান্তরের কথা শুনে তৎকালীন রাজা তাদেরকে নিজের কাছে ডেকে পাঠান।
তাদের জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের ধর্ম কি? তারা জানতেন, এ রাজা ঈসার অনুসারীদের রক্তের পিপাসু। কিন্তু তারা কোন প্রকার শংকা না করে পরিষ্কার বলে দেন, আমাদের রব তিনিই যিনি পৃথিবী ও আকাশের রব। তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদকে আমরা ডাকি না। যদি আমরা এমনটি করি তাহলে অনেক বড় গুনাহ করবো। রাজা প্রথমে ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, তোমাদের মুখ বন্ধ করো, নয়তো আমি এখনই তোমাদের হত্যা করার ব্যবস্থা করবো।
তারপর কিছুক্ষণ থেমে থেকে বললেন, তোমরা এখনো শিশু। তাই তোমাদের তিনদিন সময় দিলাম। ইতিমধ্যে যদি তোমরা নিজেদের মত বদলে ফেলো এবং জাতির ধর্মের দিকে ফিরে আসো তাহলে তো ভাল, নয়তো তোমাদের শিরশ্ছেদ করা হবে। এ তিন দিন অবকাশের সুযোগে এ সাতজন যুবক শহর ত্যাগ করেন। তারা কোন গুহায় লুকাবার জন্য পাহাড়ের পথ ধরেন। পথে একটি কুকুর তাদের সাথে চলতে থাকে। তারা কুকুরটাকে তাদের পিছু নেয়া থেকে বিরত রাখার জন্য বহু চেষ্টা করেন।
কিন্তু সে কিছুতেই তাদের সংগ ত্যাগ করতে রাযী হয়নি। শেষে একটি বড় গভীর বিস্তৃত গুহাকে ভাল আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়ে তারা তার মধ্যে লুকিয়ে পড়েন। কুকুরটি গুহার মুখে বসে পড়ে। দারুন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত থাকার কারণে তারা সবাই সংগে সংগেই ঘুমিয়ে পড়েন। কয়েকশত বছর পর তারা জেগে উঠেন। তখন ছিল অন্য রাজার শাসনামল। রোম সাম্রাজ্য তখন নাসারা ধর্ম গ্ৰহণ করেছিল এবং আফসোস শহরের লোকেরাও মূর্তিপূজা ত্যাগ করেছিল।
এটা ছিল এমন এক সময় যখন রোমান সাম্রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে মৃত্যু পরের জীবন এবং কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে জমায়েত ও হিসেব নিকেশ হওয়া সম্পর্কে প্ৰচণ্ড মতবিরোধ চলছিল। আখেরাত অস্বীকারের বীজ লোকদের মন থেকে কিভাবে নির্মূল করা যায় এ ব্যাপারটা নিয়ে কাইজার নিজে বেশ চিন্তিত ছিলেন। একদিন তিনি আল্লাহর কাছে দো'আ করেন যেন তিনি এমন কোন নির্দশন দেখিয়ে দেন যার মাধ্যমে লোকেরা আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। ঘটনাক্রমে ঠিক এ সময়েই এ যুবকরা ঘুম থেকে জেগে উঠেন। জেগে উঠেই তারা পরস্পরকে জিজ্ঞেস করেন, আমরা কতক্ষণ ঘুমিয়েছি?
কেউ বলেন একদিন, কেউ বলেন দিনের কিছু অংশ। তারপর আবার একথা বলে সবাই নীরব হয়ে যান যে এ ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন। এরপর তারা নিজেদের একজন সহযোগীকে রূপার কয়েকটি মুদ্রা দিয়ে খাবার আনার জন্য শহরে পাঠান। তারা ভয় করছিলেন, লোকেরা আমাদের ঠিকানা জানতে পারলে আমাদের ধরে নিয়ে যাবে এবং মূর্তি পূজা করার জন্য আমাদের বাধ্য করবে। কিন্তু লোকটি শহরে পৌঁছে সবকিছু বদলে গেছে দেখে অবাক হয়ে যান। একটি দোকানে গিয়ে তিনি কিছু রুটি কিনেন এবং দোকানদারকে একটি মুদ্রা দেন।
এ মুদ্রার গায়ে অনেক পুরাতন দিনের সম্রাটের ছবি ছাপানো ছিল। দোকানদার এ মুদ্রা দেখে অবাক হয়ে যায়। সে জিজ্ঞেস করে, এ মুদ্রা কোথায় পেলে? লোকটি বলে, এ আমার নিজের টাকা, অন্য কোথাও থেকে নিয়ে আসিনি। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। লোকদের ভীড় জমে উঠে। এমন কি শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নগর কোতোয়ালের কাছে পৌছে যায়। কোতোয়াল বলেন, এ গুপ্ত ধন যেখান থেকে এনেছো সেই জায়গাটা কোথায় আমাকে বলে। সে বলেন, কিসের গুপ্তধন? এ আমার নিজের টাকা। কোন গুপ্তধনের কথা আমার জানা নেই।
কোতোয়াল বলেন, তোমার একথা মেনে নেয়া যায় না। কারণ তুমি যে মুদ্রা এনেছো এতো কয়েক শো বছরের পুরনো। তুমি তো সবেমাত্র যুবক, আমাদের বুড়োরাও এ মুদ্রা দেখেনি। নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোন রহস্য আছে। লোকটি যখন শোনেন অত্যাচারী যালেম শাসক মারা গেছে বহুযুগ আগে তখন তিনি বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর্যন্ত তিনি কোন কথাই বলতে পারেন না। তারপর আস্তে আস্তে বলেন, এ তো মাত্ৰ কালই আমি এবং আমার ছয়জন সাথী এ শহর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম এবং যালেম বাদশার যুলুম থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। লোকটির একথা শুনে কোতোয়ালও অবাক হয়ে যান।
তিনি তাকে নিয়ে যেখানে তার কথা মতো তারা লুকিয়ে আছেন সেই গুহার দিকে চলেন। বিপুল সংখ্যক জনতাও তাদের সাথী হয়ে যায়। তারা যে যথার্থই অনেক আগের সম্রাটের আমলের লোক সেখানে পৌঁছে। এ ব্যাপারটি পুরোপুরি প্রমাণিত হয়ে যায়। এ ঘটনার খবর তৎকালীন সম্রাটের কাছেও পাঠানো হয়। তিনি নিজে এসে তাদের সাথে দেখা করেন। তারপর হঠাৎ তারা সাতজন গুহার মধ্যে গিয়ে সটান শুয়ে পড়েন এবং তাদের মৃত্যু ঘটে। এ সুস্পষ্ট নির্দশন দেখে লোকেরা যথার্থই মৃত্যুর পরে জীবন আছে বলে বিশ্বাস করে। এ ঘটনার পর সম্রাটের নির্দেশে গুহায় একটি ইবাদাতখানা নির্মাণ করা হয়। [বিস্তারিত দেখুন, কুরতুবী; বাগভী; ইবন কাসীর; তাফসীর ও আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহঃ ২/৫৭০]
(৩) আয়াতের অর্থ হলো, যখন তারা খাঁটি মনে ঈমান আনলো তখন আল্লাহ তাদের ঈমান বৃদ্ধির মাধ্যমে সঠিকপথে চলার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিলেন এবং তাদের ন্যায় ও সত্যের উপর অবিচল থাকার সুযোগ দিলেন। তারা নিজেদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দেবে কিন্তু বাতিলের কাছে মাথা নত করবে না। এ আয়াত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের একটি সুস্পষ্ট দলীল যে, ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। অনুরূপ দলীল সূরা মুহাম্মদ এর ১৭, সূরা আত-তাওবার ১২৪ এবং সূরা আল-ফাতিহ এর ৪ নং আয়াতেও এসেছে।

আল্লাহ বলেন,
"হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মুর্তি, এবং ভাগ্য নির্ধারণের জন্য তীর নিক্ষেপ এ সবগুলোই নিকৃষ্ট শয়তানি কাজ। কাজেই এসব থেকে সম্পুর্ণভাবে বিরত থাক, যাতে তোমরা মুক্তিলাভ ও কল্যাণ পেতে পার। শয়তান মদ ও জুয়া দ্ধারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা-তিক্ততা সৃষ্টি করে থাকে; আর আল্লাহর স্মরণ এবং নামাজ থেকে তোমাদের বিরত রাখাই হলো শয়তানের একান্ত কাম্য; তবুও কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে না?"
(সূরা আল-মায়িদা, আয়াত:৯০-৯১)
আল্লাহ বলেন,
" হে মুমীনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট খাটিভাবে তওবা কর"
(সূরা আত্তাহরীম: আয়াত-৮)
বান্দা যখন সালাতে সুরা-ফাতিহা পড়ে, আল্লাহ তখন বান্দার প্রতিটি আয়াতের জবাব দেন,,,,
(মুসলিম,৯০৪)
💜💜💜
শুভ হিজরি নববর্ষ💜💜
হিজরি সন নিয়ে কতিপয় তথ্য,,,
১. মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স:) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময়কাল থেকে হিজরি সন গণনা করা হয়,,,
২. হিজরি সন গণনার প্রবর্তক ইসলামের ২য় খলিফা হযরত উমর ফারুক (র:),,,
৩. হিজরি ক্যালেন্ডার চাঁদ কেন্দ্রিক,,এটির মাসের ১ম তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল,,,
৪. ১৭ জন সাহাবির মতামতের সমন্বয়ে চাঁদ কেন্দ্রিক ক্যালেন্ডার হিজরি প্রবর্তিত হয়
💜💜💜
ঘুমের আগে ২১ বার বিছমিল্লাহ পড়ুন। ,,,
এতে আপনার প্রতি নিঃশ্বাসে সওয়াব লিখা হবে💜💜💜
রাসুল(স:) বলেন,
"আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দুঃখে-কষ্টে ফেলেন,
(বুখারি,হাদিস নং:৫৬৪৫)
রাসুল(স:) বলেন,
"আমার উম্মতের সত্তর হাজার মানুষ বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। যারা অন্যকে ঝাড়ফুঁক করতে বলবে না, কোন বিশেষ কিছু দেখে কুলক্ষণ মনে করবে না। উপরন্তু তারা নিজ পালনকর্তার উপর সর্বদা ভরসা রাখবে"
(বুখারি, হাদিস: ৬৪৭২)
💜
আল্লাহ বলেন,
"(হে মুহাম্মদ) তুমি অনুরুপভাবে মুমিন নারীদেরকেও বলে দাও যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে। তবে যা স্বভাবতই প্রকাশ পেয়ে যায় তা পেলে কোন অসুবিধা নাই। তাদের ঘাড়, গলা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইপো, বোনপো, স্বজজাতীয় নারী, মালিকানাধীন দাস, যৌন কামনা রহিত অধীন পুরুষ, নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ব্যাতিত অন্য কারো নিকট নিজ সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে। অনুরুপভাবে তারা যেন সজোরে ভূমিতে সজোরে পা না ফেলে। অনুরুপভাবে তারা যেন ভূমিতে তাদের পদযোগল ক্ষেপণ না করে। কারণ এতে তাদের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য্য প্রকাশ পাবে। বরং হে মুমিনগ্ণ! তোমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আস। তখনই তোমরা সফলকাম হবে"
(সূরা নূর, আয়াত: ৩১)
আল্লাহ বলেন,
"তুমি কখনো কোন বিষয়ে এমন বলো না যে, আমি এই কাজটি আগামীকাল করবো। বরং বলবে 'ইনশাল্লাহ'(যদি আল্লাহ চান)
(সুরা কাহফ,আয়াত: ২৩-২৪)
💜
ভালো যদি বাসতে হয় মুহাম্মদ(স:) কে বাসুন,,,
দুনিয়াতেও সুখ-শান্তি পাবেন, আখিরাতেও শান্তি পাবেন✌✌✌✌✌
কালেমা তৈয়ব-
আল্লাহর কোনো শরিক নেই এবং মুহাম্মদ(স:) তার রাসুল
💜💜
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Location
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Bandar
Chittagong