
Machuakhali Sher-E-Bangla Secondary School
MSB High School
Operating as usual


প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দিচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৩০ মার্চ।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তিসহায়তা প্রদান করা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত বা অধ্যয়নকৃত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তিসহায়তা দেওয়া হবে। ভর্তিসহায়তা পেতে শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে অবেদন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ই-ভর্তি সহায়তা ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ৩০ মার্চের মধ্যে সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভর্তিসহায়তা নির্দেশিকা’ অনুসারে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
আরও পড়ুন: যেভাবে বিনা খরচে পড়বেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রয়োজনীয় নথি
* ছবি।
* স্বাক্ষর।
* জন্ম নিবন্ধন সনদ।
* অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র ।
* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে) ।
* পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ।
আবেদন প্রক্রিয়া
ভর্তিতে সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/
* আবেদনের প্রাপ্তির ০৪-০৬ মাস পর অর্থ প্রেরণ করা হয়।
* শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার নির্বাচিত হলে তাঁর মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

“সবাইকে পবিত্র রমজানুল মোবারকের শুভেচ্ছা”

এসএসসি পরীক্ষার রুটিন-২০২৩

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনও পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ মাউশি’র


ভাষায় জন্য আত্মত্যাগকারী সকল ভাষা শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি 🖤

৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের অনুসন্ধানী পাঠ প্রত্যাহার করা হয়েছে
যাদের পরীক্ষা শেষ, নতুন বছরে নতুন ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছেন, দয়া করে কেউ ১০ টাকা কেজি দরে বই, পাঠ্য বই/গাইড বিক্রি করবেন না।
বাজারে নতুন বইয়ের দাম প্রায় ২ গুন বেড়ে গেছে, অনেকের পক্ষেই হয়তো নতুন বই কেনা সম্ভব হবেনা।
অন্তত তাদের কাছে ফ্রিতে না দিলেও অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে বই গুলো বিক্রি করে দিন। 📚
এতে করে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পরা থেকে রক্ষা পাবে। ❣
আসুন একে অপরের পাশে দাঁড়াই 🤝
আসুন মায়া ছড়াই 🎓

🇧🇩আমার শোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি 🇧🇩

সম্পূর্ণ ফ্রিতে সরকারি খরচে ফ্রিল্যান্সিং এর ১১টি কোর্স করার সুযোগ।
BITM Website Link: http://bitm.org.bd/
SEIP Link: http://seip.bitm.org.bd/
SEIP Website: http://seip-fd.gov.bd/

→এলাকার মধ্যে স্যার অন্যতম বিত্তশালী হয়েও চলাফেরায় ছিলেন অতিসাধারণ!
→জ্ঞানে গরিমায় ছিলেন অনন্য
→কোনদিন দেখিনি স্কুল বন্ধ দিতে!
→তিনি সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন অকুতোভয়!
→তিনি ক্লাসে এমনভাবে পড়াতেন যে বাসায় এসে পড়ার প্রয়োজন ছিলো না!
→তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিলো তিনি ছাত্র ছাত্রীদের এমনভাবে বুঝাতেন যে সবাই তার ক্লাসের জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করতাম।
→ক্লাসের ফাস্ট বয় ছিলাম বলে হয়তো তিনি আলাদা নজরে দেখতেন _এমনও হয়েছে যে একটা পরীক্ষায় অন্যদের তুলনায় (তার সাবজেক্ট) নাম্বার কম পেয়েছিলাম এজন্য আমার উপর নজর রাখার জন্য আরেক জন স্যারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
→একদিন স্যার আমাকে দাওয়াত দিয়ে তার বাসায় নিয়ে খাইয়েছেন 😢
আমি যেন বিপথগামী না হই 😢
→স্যার উপন্যাস পড়াতেন মুখস্থ!
দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকায় সবকিছু এমনভাবে অন্তস্থ হয়েছিল যে সবকিছুই তার নখদর্পনে ছিলো!
ইয়া আল্লাহ স্যারকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের মেহমান হিসাবে কবুল করে নিন! 🤲
আমিন!!

অতি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে
আমাদের মাছুয়াখালী শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফা হুজুর আমাদের মাঝে আর নেই
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে
তিন বিভাগের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা
ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২২
ঘুর্ণিঝড় চিত্রাং এর কারণে
চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও বন্ধ থাকবে।
এম এ খায়ের
তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
শিক্ষা মন্ত্রনালয়

এসএসসি’র রুটিন চূড়ান্ত হলে ১৩ দিনে পরীক্ষা শেষ চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি প্রস্তুত...
২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো
চাকরির বাজারে রেজাল্টের চেয়ে স্কিল সেটের গুরুত্ব বেশি।
তুমি যদি কম্পিউটারে খুব দ্রুত বাংলা ও ইংরেজি টাইপ করতে পারো—সেটা একটা স্কিল। ইউনিভার্সিটি কিন্তু তোমাকে এটা শিখায়নি। কিন্তু চাকরিতে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।
তুমি যদি ভালো ই-মেইল লিখতে পারো—সেটা একটা স্কিল। তোমার ডিপার্টমেন্টে কি এই বিষয়ক কোর্স ছিলো? —ছিলো না। কিন্তু চাকরিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ।
তোমার যদি কমিউনিকেশন স্কিল থাকে তাহলে তোমার চাকরি পাওয়া সহজ হবে। ইউনিভার্সিটি কিন্তু তোমাকে এটা শেখায়নি।
তুমি যদি ভালো প্রেজেন্ট করতে পারো, তাহলে তোমার চাকরি পাওয়া সহজ হবে।
তোমার যদি কুইক লার্নিং এবিলিটি থাকে, তাহলে চাকরিতে তোমার প্রমোশন সহজ হবে। তোমার যদি টিম ওয়ার্ক এবিলিটি থাকে, প্রবলেম সলভিং এবিলিটি থাকে তাহলে চাকরিতে ক্যারিয়ার দ্রুত গ্রো করবে। এই স্কিলগুলো কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে শেখানো হয় না।
এমন বহু স্কিল আছে, যেটা ইউনিভার্সিটি তোমাকে শেখাবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো মোটা দাগে একটা সনদ দেয়া ছাড়া তেমন বড়ো কোন ভূমিকা রাখে না। চাকরির বাজারের কোন স্কিল সেটই শেখায় না। এমন কি বিষয়ভিত্তিকও যে স্কিলসেটগুলো আছে, সেগুলোও ভালো করে শেখানো হয় না। কারণ চাকরির বাজারের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ-পরিক্রমার সমন্বয় খুবই কম।
সুতরাং তুমি যদি শুধুমাত্র রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে চাকরির জন্য অপেক্ষা করো, তাহলে সে অপেক্ষা দীর্ঘ হবে। তোমাকে স্কিল সেট ডিভেলপ করতে হবে। সে দায়িত্ব তোমার নিজেরই। এই প্রতিযোগিতার বাজারে স্কিল সেট ছাড়া শুধুমাত্র রেজাল্ট দিয়ে খুব বেশিদূর যাওয়া যায় না। এটা প্রুভেন!
……………………
Alam

এরকম একটা সংগঠন প্রায় প্রতিটা স্কুলেই আছে। এবং এর মাধ্যমে তারা মাঝে মাঝেই ( প্রতি ৫ বছরে অন্তত ১ বার করে হলেও) পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। আমাদের স্কুলে একবারও এরকম কোনো আয়োজন হতে দেখিনি!! সিনিয়র কোনো ভাই উদ্যেগ নিলে আশা করি এরকম একটা সংগঠন তৈরি করে একটা প্রোগ্রাম করতে পারে। ২০২২ সালে আমাদের বিদ্যালয় ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে একটা পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করলে খুবই ভালো হত। সিনিয়র ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সাথে Mahfuj Ahmmed Shepon ভাইয়ের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনি স্কুলের পাক্তন ছাত্র পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে স্কুলের সাথেই আছেন। আপনি একটা উদ্যোগ নিলে আশা করি একটা প্রোগ্রাম আয়োজন করতেই পারেন।
বিদায়ী সকল শিক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামনা করছি ❤️🥀
আল্লাহ তোমাদের সহায় হোন।

আমার সকল শিক্ষককে জানাই 'বিশ্ব শিক্ষক দিবস'-এর শুভেচ্ছা।❤️🥀
কে কতো সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন?
ঝটপট কমেন্ট করে ফেলুন ✍️
ব্যাগ, বই রেডি তো?
একটি বিশেষ ঘোষণাঃ-
আমি আমার গ্রামের (গ্রাম -সোনাকান্দা, ইউনিয়ন -কবাই) ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি , যে তোমাদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো (সাঃগণিত,উঃগণিত,রসায়ন, পদার্থ) ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম (Google Meet)এর মাধ্যমে রাত ৯টার সময় (ফ্রী) পড়াতে চাই, যারা ইচ্ছুক তারা আমার সাথে যোগাযোগ করিবা।
যোগাযোগ করো নিম্নোক্ত লিঙ্কে!
পোস্ট টি শেয়ার করে অন্যকে দেখতে সাহায্য করো।https://www.facebook.com/md.nizamulhaque.35977

❤️❤️❤️
█▒▒▒ সর্বশেষ/Just In ▒▒▒█
*সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা 🥀❣️

শৈশবের নস্টালজিয়া - সাত
সময়টা বর্ষাকাল। চারদিকে খাল-বিল পানিতে একাকার। আমাদের মধ্যে তখন চলতো ভেলা বানানোর ব্যস্ততা। ভেলাকে বরিশালের ভাষায় বলা হত 'ভোর'।
ভেলা তৈরির সহজ উপায় হল চার-পাঁচটি বা তারও বেশি সংখ্যক কলা গাছের গুঁড়ি একত্রে বাঁধা । বাধাঁর জন্য ব্যবহার করা হত চিকন গাব গাছ কিংবা অন্য গাছের ছোটো কাষ্ঠ দিয়ে তিন বা চারটি পেরেক।
ভেলা বানানোর কাজ শেষ হলে আমরা বাহনটি নিয়ে বেড়িয়ে পড়তাম খালে- বিলে। যখনই সময় পেতাম তখন আমাদের সময় কাটতো ভেলা নিয়ে ঘুরার মাধ্যমেই। সবথেকে ভালো স্মৃতি হলো ভেলা নিয়ে খুব সকালে বিলের মাঝে শাপলা তুলতে যাওয়া। আরও একটি মজার স্মৃতি ছিলো যখন এর ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশী চড়ে বিকালবেলা ঘুড়তে বের হতাম, তখন একটু বেশী নড়াচড়া করে ভেলাটি উল্টে গিয়ে পানিতে পড়ে ভিজে যাওয়া। অবশ্য অনেক সময় ইচ্ছে করেই করা হত পড়ন্ত বিকেলে আরেকজনকে ভিজিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য। এরকম করে কত আনন্দেই কাটতো আমাদের শৈশবের দিনগুলো!!
এখনকার সময়ে সেরকম ভোর চালানো চোখে পড়েনা। ধীরে ধীরে আমাদের এরকম অনেক ঐতিহ্যই হারিয়ে যেতে বসেছে।
আইডিয়া এবং পিকচার সংগ্রহ করা হয়েছে Khan Mizanur Rahman Mizan ভাইয়ের ফেইসবুক ওয়াল থেকে।

শৈশবের নস্টালজিয়া - ছয়
বছরের শুরুর দিকে দেখতাম সবাই নতুন বছরের বইগুলা নিয়া ফুঁড়ুনি আর লাল-সাদা রংয়ের একটা পেঁচানো সুতা দিয়া ‘বই সিলাই’ করতো। পুরা বই সিলাইর কাজটা ছিল বড় শৈল্পিক! আমি খুব মনযোগ দিয়ে দেখতাম কেমনে বই ‘সিলাই’ করা হয়। প্রথমে বইয়ের বাধাই করা জায়গার কাছেই উপর থেকে নিচে পরপর সমান দূরত্বে তিনটা ছিদ্র করা হতো।তারপর কেমনে জানি ফুড়ুনির মাথায় ছোট্ট একটা খাঁজে সুতাটার একটা মাথা আটকিয়ে কয়েকবার ঐ ছিদ্রগুলার মধ্য দিয়া সুতাটারে আনা নেয়া করে শেষে এক হাতে সুতার একমাথা একটু টান দিয়ে ধইরা আরেক হাতের আঙুল দিয়ে সুতার বাকি অংশটারে বইয়ের কোন ছিদ্রের উপর চাপ দিয়া ধরে একটা ‘গিট্টু’ দেয়া হইতো। এর পরে বাড়তি সুতাটা কেঁচি বা ব্লেড দিয়া কেটে নেয়া হতো। এখন ছিদ্রগুলা যদি বইয়ের বেশি সাইডে পড়তো ‘সিলাই’টা একটু নড়বড়ে হয়ে যেতো।
বইয়ের উপরে প্রায় সময়ই খাকি রংয়ের শক্ত কাগজ বা পুরানা ক্যালেন্ডার এর কাগজের ‘আলগা’ কভার লাগানো থাকতো যার উপর বইটার নাম, আপুদের নাম, স্কুল বা কলেজের নাম এবং রোল নাম্বার লিখা থাকতো। খাকী কাগজটা আলাদা কিনতে পাওয়া যাইতো। সম্ভবত বাঁশ কাগজ নাম ছিল। আর বছর শেষে পুরানো ক্যালেন্ডার রেখে দেয়া হতো বইয়ের কভার লাগানোর জন্য। এই আলগা কভার বইয়ের আসল মলাট আর সাইড ‘ছিঁড়া যাওয়া’ থেকে বইটারে সুরক্ষা করতো।
আজকাল অনেকে পড়াশোনা কিংবা গল্পের বই পড়ার ক্ষেত্রে পিডিএফ ব্যবহার করছেন। এতে করে অনেক বই সহজে পড়তে পারলেও, এতে একটা প্রিন্ট করা বই পড়ার মতো আস্বাদ কি সত্যিই পাওয়া যায়? কিংবা পুরানো ক্যালেন্ডার দিয়ে বইয়ের মলাট দেয়ার সেই আনন্দর কি খোঁজ মেলে? আমি জানি না। আমি সত্যিই জানি না।
(সংগৃহীত)

শৈশবের নস্টালজিয়া - পাচঁ
শীতের সকাল। চাদর দিয়ে পুরো শরীর পেচিয়ে নিয়েছি। সামনে একবাটি মুড়ি আর গুড়। উঠোনে পাটি পেরে গলা হাঁকিয়ে রগ টানটান করে এক সুরে পড়ে চলেছি,
" এ.. সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
এ.. আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে। এ.."
এই "এ" টা অবশ্য কবিতায় থাকতো না কিন্তু সুর করে পড়ার সময়ে কই থেকে জানি উদয় হতো। অন্যমনস্ক হলে আরো বেশী পেয়ে বসতো।
বইটি রঙিন ছবি সংবলিত নয়। তারপরও শিশুদের আকর্ষণ থাকতো অমোঘ। আদর্শের শিক্ষা ছড়ানো ১২ পৃষ্ঠার পাতলা সেই নিউজপ্রিন্টের বইটা ছিল একসময়ে আমাদের প্রথমিক শিক্ষার প্রধান ভীত। নীতিকথা শেখানোর প্রথম পাঠ্যবই সেই আদর্শ লিপি। সেই বই থেকেই প্রথম শেখা-
অ-অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করো
আ-আলস্য দোষের আকর
ই-ইক্ষু রস অতি মিষ্ট
ঈ-ঈশ্বরকে বন্দনা কর
উ-উগ্রভাব ভাল নয়
ঊ-ঊর্ধ মুখে পথ চলিও না
ঋ-ঋষিবাক্য শিরোধার্য
এ-একতা সুখের মূল
ঐ-ঐশ্বর্য রক্ষা করা কঠিন
ও-ওষধি ফল পাকিলে মরে
ঔ-ঔদার্য অতি মহৎ গুণ
বইয়ের প্রথম পাঠ ছিল স্বরবর্ণ। আমাদের স্বরবর্ণের সংখ্যা ১১ টি বলেই জানা। কিন্তু আদর্শ লিপির স্বরবর্ণ একটি বেশী। তবে ‘৯’ কে সংখ্যা হিসেবে এখন সবাই জানে। আদর্শ লিপিতে কিন্তু ‘৯’ একটি স্বরবর্ণ। যার উচ্চারণ হতো ‘লী’ এর মতোন।
এই সমাজ থেকে এখন আদর্শ লিপি উঠে গেছে। হয়তো এর সঙ্গে কিছু আদর্শেরও বিলীন হয়েছে। যা আপাতভাবে এই সমাজের কাছে খুবই নগন্য কিন্তু গভীরতা দিয়ে ভাবলে বোঝা যায় ওটাই ছিল আরাধ্য।
(সংগৃহীত)

শৈশবের নস্টালজিয়া - চার
সে সময়ের গোসল মানেই হয় পুকুর, খাল নয় নদী। গ্রামের বাদর ছেলেগুলোর সাথে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়া৷ পড়নে থাকতো লুঙ্গি। কিছুক্ষণ ঝাপাঝাপির পরে মাথায় আসলো এবার ভাসতে হবে। হাত দিয়ে পানিতে জোড়ে জোড়ে বাড়ি দিয়ে প্রথমে বাতাস ঢোকাতে হয় লুঙ্গির ভেতরে। কিছুক্ষণ পরেই ফুলে ফেপে ওঠে এটি। এবার আরাম করে বসে এক হাতে শক্ত করে লুঙ্গি ধরে অন্য হাত বৈঠার মতো করে নৌকার মতো ভেসে চলতাম। এ যে কি অপার্থিব আনন্দ!
কিন্তু দূর্ঘটনা যে ঘটতো না। তা না। মাঝে মাঝে দেখা যেত ফুলে ফেপে লুঙ্গির গিট খুলে গেছে। লুঙ্গি নিজের মতো ভাসতে ভাসতে চলে গেছে দূরে আর সে দিগম্বর হয়ে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে৷ এতে অবশ্য আমরা খুব একটা লজ্জা, টজ্জা পেতাম এমন না। যেন এই তো স্বাভাবিক!
সাতারের জন্য এখন নানা প্রযুক্তি এসেছে। ভেসে থাকার জন্য গ্যাসওয়ালা টায়ার। কিন্তু লুঙ্গি ফুলিয়ে নদীর বুকে ভেসে থাকার যে আনন্দ সেইটে আর কিচ্ছুতে মেলে না। মেলানো যায় না।
(সংগৃহীত)

শৈশবের নস্টালজিয়া - তিন
আমাদের ছেলেবেলার গ্রীষ্মকালে পকেটে একটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াতাম! অলস দুপুরগুলোতে ছুটে যেতাম কোথায়, কোথায়। বাগান, নদীর ধার, শ্মশান ঘাট, ধানক্ষেত, পানের বরজ। কিন্তু নজর থাকতো বুড়ো আমগাছের উপর। নদীর মতো যার বিস্তৃত শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে গেছে বহুদূর! সঙ্গী থাকতো সেই অস্ত্রটি। নিজেদের তখন ডাকু ডাকু লাগতো! সাধারণত ঝিনুক ভালো করে ধুয়ে শানের উপর ঘষে ঘষে তৈরি হতো আম কাটার সেই মারণাস্ত্র!
বাড়ীর বউ ঝিয়েরা যখন মাদুর বিছিয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে সেই সময়ে আমাদের অপারেশন চলতো। পা টিপে টিপে আমগাছের তলে যাওয়া। এরপর কাচা আমগুলো কোনরকম লুঙ্গির কোচের মধ্যে নিয়েই ভো-দৌঁড়। এক ছুটে পগারপার!
এরপর কোন এক নির্জনে বসে সেই অস্ত্রটি দিয়ে ক্যাচ ক্যাচ করে আমগুলোর গা থেকে পাতলা পাতলা আঁশ ছাড়িয়ে নেয়া। এরপর পাকেরঘর থেকে চুরি করা নুন, মরিচ আর ঝালের গুড়োর সাথে মিশিয়ে তৈরী হতো এক অমৃত! চোখ বুজে গোগ্রাসে সেই মাখানো আম মুখে ভরতাম আর ঝালে বিষম খেতাম।
আহারে দিনগুলো!
কার কার আছে এরকম অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
(সংগৃহীত)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Location
Category
Contact the school
Telephone
Address
Barisal
8283
Pantho Sarak
Barisal
Hi there!through this page we will practise English together. this is a great way to learn English .
ফজলুল হক এভিনিউ, ৩য় তলা, কাকলির মোড় সংলগ্ন
Barisal, 8200
উদ্যোক্তা একাডেমি- Uddokta Academy
Farid Monjil, Bogra Road
Barisal, 8200
We are to render you the best service. It's not just words, it's the reality!
At Patuakhali In Barisal
Barisal, 586841
পেইজটি আপনার সাহায্যের জন্যই।